#তোমাকে_চাই_নিরবধি
#পর্বঃ৫
লেখনীতেঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী
কারো উপস্থিতি টের পেয়েও খাবার রেখে ততক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ালো না, ফারহান। ধীরেসুস্থে কুহেলিকা’কে নিজ হাতে পুরো খাবারটা খাইয়ে শেষ করলো। হাত ধুয়ে তাওয়াল্লা দিয়ে মুখটাও মুছিয়ে দিলো, তার। অতঃপর এঁটো প্লেট গুলো পাশের টেবিলে রাখলো। কুহেলিকা সরু দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করলো সবটা। কে বলবে, এই পুরুষটি ভ’য়ং’ক’র! এই যে এখন দেখলেই মনে হবে, সে একজন যত্নশীল পুরুষ! আবার যার ভিতরে লুকিয়ে আছে, হিং’স্র’তা, ক’ঠো’র’তা! ততক্ষণাৎ, চোখ ঘুরিয়ে নিলো কুহেলিকা। সে এসব ভাবতে চায় না। মানুষটি তার দেখা জ’ঘ’ন্য’তম খারাপ লোক! মু’খো’শে’র আড়ালে রয়েছে, কালো পর্দা। এই লোকটাকে প্রচন্ড ঘৃণা করে সে! জড়োসড়ো হয়ে মাথা নিচু করে নিলো, কুহু। আড় চোখে সেসব একবার পর্যবেক্ষণ করে নিলো, ফারহান। এতে অবশ্য তার কিছু যায় আসে না।
নিজ কার্য শেষ করে, ফারহান তবেই ফিরে আসলো। পালঙ্কে’র বাঁ-পাশে’র মাথার বালিশটা ঠিক করে দিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
“এই মেয়ে, শুয়ে পড়ো এখানে। সারাদিন অনেক কেঁদেছো, এবার চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ো।”
যা শুনে কুহেলিকা নিচু কণ্ঠে শুধালো, “আমি আমার কক্ষে যাই, ফারহান ভাই। এখানে আমার অস্বস্তি লাগছে।”
মুহুর্তেই তার দিকে র’ক্তি’ম চোখে তাকালো, ফারহান। ধমক দিয়ে বললো,
“এই মেয়ে তোমাকে আমি কি বললাম, শুনতে পাওনি? ফের আমার কথা অমান্য করার মতো দুঃসাহসিকতা দেখিও না, কিন্তু! আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করো না, কুহেলিকা। মুখ বন্ধ করে, চুপচাপ এখানে শুয়ে পড়ো।”
এই দৃষ্টিতে কতটা ভ’য়ংক’র লাগছে মানুষটাকে। ভয়ে সিটিয়ে গেলো, মেয়েটা’র কোমল মন। তার ছোট্ট দেহখানা সারাদিনের ক্লান্তি’তে ভে’ঙে আসছে, চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। কথা বাড়ানোর শক্তি পেলো না আর। অগত্যা কুহেলিকা চুপচাপ পাতলা একখানা নকশীকাঁথা গায়ে জড়িয়ে, একপাশে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে পড়লো।
ফারহান দ্রুত কক্ষে’র হারিকেনে’র আলো বন্ধ করে দিলো। মুহুর্তেই কক্ষে ঘোর অন্ধকারে ছেয়ে গেলো। তার তীক্ষ্ণ শ্রাবণ শক্তি বলছে, এখনো আগন্তুক কক্ষে’র বাইরে রয়েছে, তাদের লুকিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। ফারহান অন্ধকারে’র মধ্যেই অভিজ্ঞ পায়ে বিছনার দিকে এগিয়ে আসলো। কক্ষ অন্ধকার হতেই ভয় বাড়লো, কুহেলিকা’র। কেঁপে উঠলো তার, বক্ষ! এখন কি মানুষটা তার থেকে নিজের পুরুষত্ব হাঁচিল করে নিবে। এ সম্পর্কে তার ধারণা রয়েছে। সাবালিকা হওয়ার পর দাদি-নানিদের থেকে শুনেছে সেসব। ফুলশয্যা রাত থেকে স্বামীর সোগাগা হতে হয়, বধূদের। এটাই নিয়ম! কিন্তু, কিন্তু সে তো স্বামী নামক মানুষটাকে অসম্ভব ঘৃণা করে। হৃদয়ের মাঝে বসবাস করছে, মনের প্রিয় পুরুষ। অথচ আজ সে অন্য পুরুষের শয্যা সঙ্গী! যে পুরুষটি মনে আছে, সে পুরুষ আজ পাশে নাই।
যাকে নিয়ে কিশোরী মন বুনেছে হাজারো রঙিন কল্পনা, সে আজ তার জন্য নি’ষি’দ্ধ।
ভাবতেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো, সে। তার বিশ্বাস, তার পুরুষটি ফিরলে ঠিকই এই লোকটার থেকে ছিনিয়ে নিবে তাকে। তাকে সতর্ক থাকতে হবে। কুহেলিকা নিজেকে ধাতস্ত করে কাঁপা কণ্ঠে বললো,
“ফারহান ভাই! আপনি…..”
ততক্ষণাৎ শক্ত হাতে তার মুখ চেপে ধরে থামিয়ে দিলো, ফারহান। নিজের মাথাটা একটুখানি ঝুঁকিয়ে ফিসফিস করে শুধালো,
“চুপ, চুপ! আওয়াজ করো না, বালিকা। আমাদের কক্ষে’র আশেপাশে কেউ একজন রয়েছে। সে দেখছে আমাদের। আমি দেখতে চাই কার এতো বড় দুঃসাহস! আমি এদিকটা দেখছি।
তুমি ঘুমাও। ভয় নেই, তুমি না চাইলে তোমার সাথে আমি কোনো জোরজবরদস্তি করবো না। তোমার ঘুমের সুযোগও নিবো না। কেননা, জমিদার পুত্রের এতোটা দুর্দিন এখনো আসেনি।”
শান্ত হয়ে গেলো কুহেলিকা। তারও কপালেও চিন্তা’র ভাজ পড়লো। এতো রাতে কে এসেছে মহলে? মাহাদ ভাই নয়তো? উঁহু! এতো তাড়াতাড়ি তো মানুষটার ফেরার কথা নয়। তাহলে, কার এতো বড় দুঃসাহস?
ফারহান কয়েক মুহূর্ত সময় নিয়ে, তার মুখ ছেড়ে দিয়ে সটান হয়ে দাঁড়ালো। আরো মিনিট পাঁচেক সময় নিয়ে সাবধানী পায়ে কক্ষে’র দরজা খুলেই আশেপাশে টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে ধরলো। বঙ্গে এই টর্চ লাইটের প্রচলন খুব একটা নেই বললেই চলে। সাধারন মানুষ এই যন্ত্রের নামও শুনেনি কখনো। বনেদী ঘরের লোকজনের কাছে একটা দু’টি পাওয়া যেতে পারে! বিলেতে পড়াকালীন রাতবিরেত চলাচলের জন্য সেখান থেকে ব্যাটারি যুক্ত টর্চ লাইট নিয়ে এসেছে, ফারহান। বিলেতে এগুলোর প্রচলন ব্যাপক। টর্চে’র কৃত্রিম আলোতে ততক্ষণাৎ অন্ধর মহলের চারপাশ আলোকিত হয়ে গেলো। এরিমধ্যে মনে হলো, আবছা একটা ছায়া লুকিয়ে পড়লো কোথাও। ফারহান মল্লিক সেটা পরখ করে মৃদু কণ্ঠে শুধালো,
“কে তুই? দাঁড়া বলছি। এক বাপের জন্ম হলে দাঁড়িয়ে যা। আমি একটু তোর চেহারাখানা দেখতে চাই। দেখতে চাই, তোর কলিজাটা ঠিক কতটা বড়!”
কোথাও কোনো সাড়া নেই। পায়ের আওয়াজ ও থেমে গিয়েছে। চারপাশে শুনশান নীরবতা, ঘুটঘুটে অন্ধকার। ফারহান দ্রুত পায়ে, আশেপাশে টর্চের আলোর সাহায্য খুঁজে চলছে আগন্তুক’কে। কোথাও কোনো হদিস মিললো না।
এইটুকু সময়ের মধ্যে, নিখোঁজ। কি করে সম্ভব?
জমিদার পুত্র ফারহান মল্লিকে’র সূক্ষ্ম দৃষ্টি ফাঁকি দেওয়া কি এতোই সহজ! নিখুঁত ভাবে এই কাজ যেনতেন লোকের দ্বারা সম্ভব নয়! কস্মিনকালেও না!
আগন্তুক যে তার থেকেও চতুর, চট করে ধরে নিয়েছে ফারহান। তবুও আরো কিছুক্ষণ বৃথা ঘাটাঘাটি করলো সে। না কোথাও কোনো সন্ধান পাওয়া গেলো না। ক্রোধে থরথর করে কাঁপছে, ফারহান। অসহনশীল ক্রোধ নিয়ে শক্ত ইটপাটকেলে’র দেয়ালে নিজ হাতে একখানা ঘু’সি দিয়ে বললো,
“আজ আমার চোখ ফাঁকি দেওয়া সহজ হলেও, তোকে আমি দেখে নিবো। রাতবিরেত ফারহান মল্লিকে’র শয়ন কক্ষে তাক লাগিয়েছিস! ভুল করলি! বড় ভুল করেছিস! তুই যেই হোস, এর শাস্তি স্বরুপ তোকে আমি মৃ’ত্যু উপহার দিবো!”
____________
সোনালী রৌদ্রস্নাত একটি ভোর। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত পরিবেশ। জমিদার বাড়ির কর্তারা ও কর্মচারী’রা মিলে আলতাফে’র মৃ’ত্যু দে’হ তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে খুব ভোরে মহলে ফিরেছে। তারা সবাই যে যার কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছে। বাড়ির গিন্নি’রা ভৃত্যদের সঙ্গে নিয়ে রসুইঘরে বিশাল রাজকীয় রান্নাবান্না’র আয়োজন করছে। কর্তা’রা সবাই ক্ষু’ধা’র্ত। কিছুক্ষণে’র মধ্যেই ভোজনকক্ষে প্রবেশ করবে তারা। তাই রসুইঘরে চাপা সো’র’গো’ল চলছে।
বাড়ির ছোটরা এখনো উঠেনি কেউ। ফারহান, কুহেলিকা’কেও দেখা যাচ্ছে না কক্ষে’র বাহিরে। জমিদার মাতা বসার ঘরের আরাম কেদারায় বসে, পান চিবাচ্ছে। মেজেতে বসে তার হাঁটুতে তেল মালিশ করে দিচ্ছে তার খাস দাসী, হাজেরা। সপ্তদশী এক কিশোরী মেয়ে, হাজেরা। ছোট থেকেই জমিদার বাড়ি’তে এসেছে দাসী হিসেবে। জমিদার মাতা’কে সকল খবরাখবর দিয়ে থাকে সে। এতে জমিদার মাতা খুশী হয়ে তাকে দুই-চার কড়ি বকশিসও দেয়।
এরিমধ্যে জমিদার মাতা হাজেরা’কে চাপা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“ওহে, ছেড়ি? জাবেইদ্দার বড় মাইয়াডা’রে দেখছোস? হেরা নয়া স্বামী-স্ত্রী কি নিদ্রা থাইকা জাগে নাই এখনো?”
“কইবার পারতাম না, আম্মা! সক্কাল বেলা তাহাগো কাউরে চোক্ষে পড়ে নাই। আমাগো’রে তো ছোট পুত্রুর ওদিকে যাওন নিষিদ কইরা দিছে গা।”
মাথা নিচু করে বললো, হাজেরা। চট করে পা ঝাঁকি দিয়ে উঠে দাঁড়ালো, জমিদার মাতা। হাতে শৌখিন বেতের লাঠিতে ভর করে ঠকঠক আওয়াজ করলো।
হন্তদন্ত পায়ে ছুটে গেল, ফারহানে’র কক্ষে। দরজায় মৃদু ধা’ক্কা দিতেই খুলে গেলো। কোনো অনুমতি ছাড়াই ভিতরে প্রবেশ করলো, সে। কুহেলিকা এখনো বেঘোর নিদ্রায় ম’গ্ন। ফারহান’কে দেখা যাচ্ছে না কোথাও।
নতুন বধূ হয়ে নাতনী’কে এখনো ঘুমোতে দেখে মাথায় হাত দিয়ে হাহুতাশ শুরু করলো, বৃদ্ধা দাদিজান। ততক্ষণাৎ ঘুমন্ত মেয়েটার পাশে বসে শরীরে ধা’ক্কা দিয়ে বললো,
“ওহে মাইয়া? তোর কোনো আ’ক্কে’ল নাই গো? এতো বেলা হইয়াছে আর তুই এখনো নিদ্রা’য় আছন্ন। তাড়াতাড়ি উঠ দেখিনি। তোর সোয়ামী কই রে?”
দাদিজানের বিলাপ কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই তড়িঘড়ি করে উঠে বসলো, কুহেলিকা। চোখ ডলতে ডলতে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে শুধালো,
“কিছু বলিবেন, দাদিজান? এতো ভোরে কি কার্য নিয়া আসিয়াছেন আপনি?”
“ওই মাইয়া! নয়া বধূ হইয়া এখনো তোর কাছে, এতো ভোর? ভোরে উঠে ফরজ স্নান করিয়াছিস? দেখি চুল দেখি তোর।”
বলতে বলতে কুহেলিকা’র খোলা চুলে হাত দিলো, দাদিজান। শুকনো চুল দেখে আতঙ্কিত কণ্ঠে পুনরায় শুধালো,
“আহারে! ওই ছুড়ি, তুই এখনো ফরজ স্নান করিস নাই! ছ্যাহ! সোয়ামী’র সোহাগ তো ঠিকঠাক নিয়াছো, অথচ স্নান এখনো বাকি। জলদি গিয়ে স্নান করে আয়। অপবিত্র, বাসিকাপড় নিয়া কক্ষে থাকিয়া বের হোসনে।”
দাদিজানে’র কথা বুঝতে পেরে, লজ্জায় মাথা নুয়ে ফেললো কুহেলিকা। তার ফর্সা মুখখানায় ছড়িয়ে পড়ছে, লালচে আভা। কি সব বেশরম কথা বলছে, দাদাজান? কি লজ্জা! কি লজ্জা!
ফারহান মাএই কক্ষে’র সঙ্গে থাকা হাম্মামখানা (ওয়াশরুম) থেকে স্নান করে বেড়িয়েছে। ভিতরে বড়বড় পাএে জল এনে রাখে,ভৃত্য’রা। জমিদার মহলের মহিলা’রা সবাই সাধারণ এখানেই স্নান করে থাকেন। পুরুষেরা কলপাড়ে বা নদীর ঘাটে স্নান করে। প্রতিদিন ভোরে স্নান করা’র অভ্যাস, ফারহানে’র। আজ স্নানে’র জন্য বাহিরে গেলো না সে। গতকাল শেষ রাতে এসে পালঙ্কে’র এক পাশে শুয়ে ছিলো সে। কুহেলিকা তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। বয়স ঊনত্রিশ ঊর্ধ্ব এক যুবকের পাশাপাশি প্রথম বারে’র মতো, পালঙ্কে যুবতী নতুন বধূ। না চাইতেও তাকে নিয়ে হাজারো অনুভূতি’রা ভির জমেছে তাহার হৃদয়ে’র করিডোরে। তবুও খুব গোপনে সে অনুভূতি শাসিয়ে নিজের ভিতরে রেখেছে, যুবকটি। সারা রাতটাই আশপাশ করেই কাটিয়ে দিয়েছে। কুহেলিকা’র ঘুম ভা’ঙা আগেই আবার উঠে পড়েছে। যাতে পাশাপাশি তাকে দেখে অস্বস্তি না হয়, মেয়েটার। ভোরে বাগানে’র শিশির বিন্দুতে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি, কিছুক্ষণ সাধারণ ব্যায়াম করে তবেই পুনরায় কক্ষে এসেছে। যা সবকিছুই কুহেলিকা’র অগোচরে।
ভিতর থেকে স্নান সেরে, উদাম শরীরে তাওয়াল্লা পেঁচিয়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে কক্ষে প্রবেশ করলো ফারহান মল্লিক। এমন সময় দাদিজানে’র কথা কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিলো,
“ভোর সকালে অন্যে’র বধূকে জোরজবরদস্তি করে স্নান না করিয়ে আপনি স্নান করে নিন, দাদিজান। দাদাজান তো মহলেই আছে, আপনার স্নানও তো বোধহয় বাকি! নয়তো, সেই ব্যাবস্হা করুন।
আমার বধূ’কে স্নান করানো’র জন্য আমি আছি, তাহার চিন্তা আপনার করিতে হইবে না।”
পিছনে তাকিয়ে নাতিকে দেখে লজ্জায় মুখ ডাকলো দাদািজান। এরিমধ্যে বজ্জাত নাতির কথার ইঙ্গিত বুঝতে পেরে লজ্জায় কুঁকড়ে গেলো সে। আঁচলে মুখ ডেকে বললো,
“ছ্যাহ! বেশরম বেটা! বেশরম পুরুষ! বেহায়া, কোনহানকার! দূর হ তুই আমার চোক্ষে’র সামনে দিয়ে।”
“বুড়ি আমি আসছি তোমার কক্ষে নাকি তুমি আসছো আমার কক্ষে! তুমি নয়া বিবাহিত নাতি-নাতনীদের সোহাগের মাঝে এন্টি নিবা। আর আমি কিছু বলিলেই, বেশরম!”
ততক্ষণাৎ বিনাবাক্যে সুড়সুড় করে বেরিয়ে পড়লো, দাদিজান। নি’র্ল’জ্জ নাতি! না জানি নিশি রজনী’তে তার নাতনীটার কি অবস্থা করেছে! চিন্তা হলো তার। তবুও এই বেহায়া ছেলেটার সামনে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারলো না। আবার বেফাঁস কিছু বলে, লজ্জা দিবে তাকে। সেসব ঝুঁকি নিলো না, দাদিজান। এদের দাদি-নাতির কথা শুনে কান গরম হয়ে গেলো, কুহেলিকা’র। মাথা ভোঁভোঁ করছে! শরমে মাটির নিচে, ঢু”কে যেতে ইচ্ছে করছে তার। ছি! ছি! লোকটা কতটা নির্লজ্জ! নিজের পোশাক পড়তে পড়তে যা আড় চোখে ফারহান পর্যবেক্ষণ করলো। অতঃপর গুরুগম্ভীর কন্ঠ বললো,
“হয়েছে আর লাজ পেতে হবে না, বালিকা! বালিকা বধূর ওমন লজ্জা রাঙা মুখ দেখলে নিজেকে সামলেতে পারবো না, কিছু একটা করে ফেলবো! তখন আবার আমাকে চরিত্র’হী’ন উপাধি দিও না, যেন!
সেসব না চাইলে, যাও গিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে শাড়ীটা পাল্টে নেও।”
চলবে….
[গল্প একটু ধীরগতিতে এগোচ্ছে। কেউ অধৈর্য হবেন না। কেমন লাগছে আজকের পর্ব? সবাই পেজে রেসপন্স করবেন। ]