আশার_হাত_বাড়ায় |৯| #ইশরাত_জাহান

0
412

#আশার_হাত_বাড়ায় |৯|
#ইশরাত_জাহান

খাটে পা দুলিয়ে বসে আছে অর্পা।স্টোভে রান্না করছে শ্রেয়া।এই ছোট বাড়িতে অটো গ্যাসের ব্যাবস্থা নেই।এখন নতুন গ্যাস কিনে টাকা নষ্ট করতেও চায় না শ্রেয়া।তাই তো স্টোভে কোনমতে চালিয়ে যাচ্ছে।অর্পা বলেছিলো,”আয় আমিও তোকে একটু সাহায্য করি।”

কিন্তু শ্রেয়া তাকে বসে থাকতে বলেছে।অফিস থেকে এসে অর্পাকে কল করে ডেকেছে।কালকে রনিকে কোর্টে ওঠানো হবে।এত তাড়াতাড়ি কাজগুলো হওয়াতে একটু অবাক শ্রেয়া।শুনেছে পাওয়ারফুল কেউ এই কেস করেছে।সাথে আবার শ্রেয়ার ডিভোর্স এর ব্যাপারটা জড়িত হয়েছে।শ্রেয়াকে সেখানে থাকতে হবে।এক কথায় বলা যায়,এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে কাল।কথাগুলো শ্রেয়াকে জানিয়েছে মিসেস তানহা।এইগুলো অর্পাকে বলে দেয় শ্রেয়া।সব শুনে অর্পা বলে,”তুই কি যাবি কাল?”

মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুঝিয়ে শ্রেয়া বলে,”আমি দেখতে চাই ওর শাস্তি।এমন সুযোগ কয়জন পায়?অন্যায়ের বিচারটা যেভাবে তাড়াহুড়া করে পেয়ে গেলাম এটা তো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি হয়ে গেলো।বলতে গেলে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।”

“আমার মনে হয় তোর না যাওয়াটা ভালো হবে।”

কিছুটা অবাকের সাথে তাকালো শ্রেয়া।অর্পা এমন কথা কেনো বলছে!শ্রেয়ার তাকানো দেখে অর্পা বলে ওঠে,”তুই তো ডিভোর্সটাই দিতে চেয়েছিলি।রনির নামে কোনো কেস করিস নি।আর এই ঝামেলায় তোকে জড়াতে মন চাচ্ছে না।আমার তো মনে হয় এমনিতেই তোর ডিভোর্স ভালোভাবে হয়ে যাবে।”

স্টোভ বন্ধ করে পাশে রাখলো শ্রেয়া।নাকে কেরোসিনের হালকা গন্ধ আসছে।অর্পা এটা আরামের সাথে শুকতে থাকে।শ্রেয়া দেখে হেসে দেয়।বলে,”ছোটবেলা থেকে তোর এসব ভালো লাগে।বড়লোক বাড়ির বউ হয়েও পরিবর্তন হয়নি।”

মুখ ভেংচি দিয়ে অর্পা বলে,”বিয়ের পর মেয়েদের নাম পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু মন ন।আমাদের ছোটবেলার স্মৃতি এগুলো।কিভাবে ভুলি বল?”

“হুম,আচ্ছা শোন।আমি ইচ্ছা করেই রনিকে ফেস করতে চাই।দেখতে চাই ও কেমন করে আমার সামনে ওর এই পতনের দিন।যে অত্যাচার করেছে আমাকে তারপরও আমি ওকে ছার দিয়েছি।কিন্তু প্রকৃতি ওকে ছার দেয়নি।আমি নিজের চোখে দেখতে চাই ওর কর্মের ফল।সুযোগ একবার এসেছে।পায়ে ঠেলে ফেলে দিতে চাই না।”

অর্পা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে শ্রেয়ার কথা।কিছু একটা ভেবে বলে,”চল আমার সাথে।”

ভ্রু কুঁচকে শ্রেয়া বলে,”কোথায়?”

“পার্লারে।”

অর্পার মাথায় আলতো চাটি মেরে শ্রেয়া বলে,”রাত হয়ে গেছে দেখেছিস।তোর এখন নিজের বাসায় যেতে হবে।আর ওসব পার্লারে এখন যাবো কেনো?”

“আরে রাত অতটাও বেশি না।ঢাকা শহরে এটা কিছুই না।তুই তো ঘরকুনো।তুই এখন বাইরে বেড় হয়েছিস আস্তে আস্তে জানতে পারবি সব।আমাদের নিজস্ব গাড়ি আছে। সেফলি যাওয়া আসা করতে পারবো।”

“কিন্তু পার্লারে কেনো যাবো?”

“কাল তুই রনির সামনে সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে যাবি।”

“পাগল হয়েছিস!ওটা আদালত কোনো বিয়ে বাড়ি না যে সেজে গুঁজে যাবো।”

শ্রেয়ার এক হাত ধরে অর্পা বলে,”নিজের সুখটা কাকে বেশি দেখাতে হয় জানিস?যে তোর সুখ দেখতে চায় না। কাল যখন রনি ও তার পরিবার তোকে সুখে থাকতে দেখবে তখন তাদের করা অন্যায়গুলো উপলব্ধি করতে পারবে।তোকে বলেছিলো না যে তোর রূপ চলাফেরা থেকে ওই মেয়েটা অনেক ভালো।মেয়েটাকে তো দেখলাম কেমন রং ঢং করে চলেছিলো রেস্টুরেন্টে।তুইও কাল তেমন যাবি।দেখাবি যে চাকচিক্য রূপ ধারণ করলেই ওমন সুন্দরী হওয়া যায়।ঘরে বসে হাড়ি পাতিল নিয়ে বসে থাকলে তার সৌন্দর্য্য এমনিতেই ঝলসে যায়।এই কয়দিনে তুই ওদের থেকে দূরে থেকে সুখে শান্তিতে আছিস এটা ওদের দেখাবি। তোর জীবন থেমে থাকেনি এটা দেখিয়ে দিবি তুই।”

বলেই শ্রেয়ার হাত ধরে টানতে থাকে অর্পা।বাধ্য হয়ে অর্পার টানাটানিতে পার্লারে গেলো শ্রেয়া।তবে অর্পার কথাগুলো শুনে তার ইচ্ছা করছে রনি ও ওই পরিবারকে এসব দেখিয়ে দিতে।

******
কড়াইতে শুকনো ঝাল ভাজতে থাকে রিমলি।মাত্রই একটা ডিম ভেজেছে।ডিম ভাজা আর আলু ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খাবে।সৃষ্টি বেগম শ্রেয়ার কথা ভেবে চলেছেন।শ্রেয়ার সাথে কথা বলতে না পেরে তার চিন্তা বেড়ে গেছে।রিমলি এটা দেখে একটু কষ্ট পেলেও আবার খুশি হয়।যেভাবে ভীত ভীত হয়ে চলতো এতদিন এখন মেয়ের জন্য চিন্তা করুক।খাবারগুলো তৈরি করে রিমলি বসলো সৃষ্টি বেগমের কাছে।বলে,”খাবার রেডি মা।আসো খেতে হবে তো।”

সৃষ্টি বেগম ভাবুক দৃষ্টিতে বলে,”আমি খাবো না তুই খা।”

“এভাবে না খেয়ে থাকলে কি আপুকে পেয়ে যাবে?একটু কিছু খেয়ে তারপর না হয় আবার কল দিবো।”

“কাল ঢাকায় যাবো।”

বিষম খেলো রিমলি।একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলে,”টিকিট কাটা লাগবে তো মা।”

“সে আমি কেটেছি।পাশের বাড়ির খালেদকে দিয়ে।”

মাথায় হাত পড়লো রিমলির।কালকে রনিকে আদালতে নেওয়া হবে আর কালকে সৃষ্টি বেগম ঢাকা যেতে চাচ্ছেন।না পেরে রিমলি প্রশ্ন করে,”তুমি আপুকে কোথায় খুঁজে পাবে?”

“রনির মায়ের কল এসেছিলো।সে বললো রনিকে নাকি পুলিশ নিয়ে গেছে।কাল কোর্টে নেওয়া হবে রনিকে।একটু সাহায্যের দরকার।আমি এখন এত টাকা কই পাবো?এমনি ধার দেনা পরিশোধ করেছি কষ্ট করে।একটু ভালোভাবে বলেছি কিন্তু তার কি ব্যাবহার!আমার বিশ্বাস শ্রেয়া ওখানে আসবে। তাই আমরা সকাল সকাল এখান থেকে বেড় হবো।ট্রেনে ছয় ঘণ্টা লাগবে যেতে।একবার সামনে পাই ধরে বেঁধে যশোরে নিয়ে আসবো।”

“যদি না আসে?”

“আসবে না মানে!যুবতী মেয়ে ওখানে কি করবে?আমার কাছে আসলে তাও কোনমতে থাকতে পারবে।”

এবার রিমলি বলে ওঠে,”এগুলো তখন মনে ছিলো না যখন আমি বারবার বলতাম আপুর সাথে অন্যায় হচ্ছে?”

সৃষ্টি বেগম এবার ঘুরে তাকালো রিমলির দিকে।বলে,”সংসার করতে গেলে টুকটাক ঝামেলা হয়।আমিও যে তোর বাপের হাতে মাইর খাই নাই এমন না।স্বামীরা বাইরে থেকে কাজ কাম করে এসে ক্লান্ত থাকে।ওদেরকে তো সেভাবে দেখাশোনা করতে হয়।তোর বোনের নামেও তো নালিশ আসতো।কোনোদিন রনির জামা পুড়িয়ে দেয় তো কোনোদিন খাবারে ঝাল লবণ বেশি।এভাবে করতে থাকলে তো ঝামেলা বাড়বে।”

“কি সেই পুরনো চিন্তাধারা নিয়ে আছো মা।দুনিয়া বদলে গেছে।মেয়েরা এখন এতটা সহ্য করে থাকে না।”

“এই জন্যই তো ঘরে ঘরে আজ তালাক বাড়ছে।আগে আমরা অপেক্ষা করে থাকতাম কখন স্বামীর মন পাবো।কিভাবে চললে ভুল হবে না।স্বামী যতই কটু কথা বলুক না কেনো বউ হয়ে মুখ খোলা যাবে না।আর এখন তোরা কি করিস?কিছু হইলেই তর্ক জুড়ে দিস।”

রিমলি বুঝলো এখন তর্ক করা বেকার।মাথা গরম আছে সৃষ্টি বেগমের।কাল ঢাকায় যাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না সৃষ্টি বেগমকে।রিমলি উঠে এবার মরিচ ভর্তা করতে থাকে।আলু গুলো মেশাতে মেশাতে বলে,”সে কাল ঢাকায় যাবে যখন এখন আসো কিছু খেয়ে নেও।এভাবে না খেয়ে থাকলে কাল ঢাকার ট্রেনে না উঠে হসপিটালে যাওয়ার ব্যাবস্থা তুমি করে দিবে।”

সৃষ্টি বেগম চোখ গরম করে তাকালেন। রিমলি একটু বেশি চালাক।লোকের মুখে অনেকবার শুনতে হয় ছোট মেয়েরা চতুর হয় বেশি।রিমলি তেমন হয়েছে।শ্রেয়া এমন না।শ্রেয়াকে যা বলতো তাই করতো।এখন আবার শ্রেয়া তার ফোনটাই ধরছে না।মা হয়ে সৃষ্টি বেগমের চিন্তা বেড়ে গেছে।

*****
অসহায় হয়ে সোফায় বসে আছে রুবিনা।এমন কেউ নেই যে তাদের সাহায্য করতে পারবে।রুহি ও রুমা কান্না করে একাকার হয়েগেছে।এখন শুধু উপায় ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে ফিরে যাওয়া।কাল রনির কেসের ফয়সালা দেওয়া হতে পারে।যে কেস করেছে তার পরিবারের লোকই আবার উকিল।একেকজনের একেক দাপট আছে।যেগুলো শুনে কেউ এগিয়ে আসতে চায় না।উকিল নিতে চেয়েছিলো কিন্তু টাকা নেই কাছে।রনির ব্যাংক একাউন্ট লক করা।আত্মীয়রা মিলে লাখ লাখ টাকা দিতে পারবে না।আজকাল উকিল হায়ার করা মুখের কথা না।কোনমতে রাতের খাবারটা খেয়েছে তিনজনে।

*****
পার্লারে বসে আয়নায় নিজের মুখ দেখে নিজেই অবাক শ্রেয়া।এই মাত্র তার ফ্রেশিয়াল করা শেষ হলো।মুখটা অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।চোখের নিচের কালো দাগ এখন নেই।অর্পা এসে পাশে দাড়ালো।শ্রেয়াকে দেখে বলে,”কি নিজেকে চেনা যায়?”

লজ্জা পেলো শ্রেয়া।হেসে দেয় অর্পা।দুজনে মিলে বাইরে ঘুরছে এখন।বেশি কথা চলছে কালকে কিভাবে কি করবে এগুলো নিয়ে।কথার মাঝেই শ্রেয়ার ফোনে ম্যাসেজ আসে।চেক করে দেখে রিমলি লিখেছে,”কাল আমরা আসবো।তুমি নাকি কোর্টে যাবে।রনির মা কল দিয়ে আম্মুর কাছে সাহায্য চায়।যদিও আম্মু সাহায্য করার অবস্থায় নেই কিন্তু এটা শিওর হলো যে তুমি কোর্টে থাকবে কাল।তাই সুযোগ বুঝে কাল ঢাকায় যাওয়া আমাদের।ঘাবড়ে যাবে না একদম।আমি আছি তোমার পাশে।নিজেকে শক্তি রেখো আপু।”

ম্যাসেজটি পড়ে শ্রেয়া একটু দীর্ঘশ্বাস নিলো।অর্পা জিজ্ঞাসা করে,”কি হয়েছে?”

“কাল মা আসবে বোনকে নিয়ে।চিন্তা বেড়ে গেলো কি যে হবে।”

অর্পা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলে,”যা হবে ভালো হবে।আণ্টি নিজের চোখে দেখবে তার আদরের জামাইয়ের করা পাপ।”

রাস্তার দিকে চোখ রেখে শ্রেয়া বলে,”জানিস দোস্ত!মা আমাকে একদিন বলেছিলো,আমার যদি সুযোগ থাকতো তোকে নিয়ে বিদেশ ঘুরতাম উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতাম।বিয়ে দিতাম না।আমার মায়েরও ইচ্ছা আমাকে ভালো কোনো পজিশনে রাখা কিন্তু মা আমার পুরোনো রীতি নীতিতে আটকে আছে।কারণ আমাদের অবস্থাও যে এরকম।মা তো মাঝে মাঝে এটাও বলে যে রিমলি না থাকলে আমরা মা মেয়ে মোটা কাপড়ে মোটা ভাতে কোনো রকমে থাকতাম।কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রিমলির দিকটাও আমাদের দেখতে হবে।লোকে মুখে অনেক কথা বলে। কেউ বলবে তুমি সংসার ছাড়বা বোন দেখার কি আছে?কিন্তু লোকে দুটো সাহায্য করে বলবে না যে এবার তোমার একটা রাস্তা হয়েছে তুমি তোমার মা বোনদেরকে নিয়ে শান্তিতে থাকবে।এই যে এখন আমি সুযোগ পেয়েছি তাই আমি চেষ্টা করছি।আগে সুযোগ ছিলো না মুখ বুজে থাকতাম।এগুলো যে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এটা লোকে বোঝে না।আমার বোনটাও তো কম না।এতক্ষণে হয়তো দশ কথা শুনিয়ে দিয়েছে মাকে।আমি যেমন হয়েছি মায়ের মতো ভীতু বোন হয়েছে বাবার মতো সাহসী।”

কথাগুলো বলতে বলতে শ্রেয়ার চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে।মায়ের জন্য কষ্ট হয় শ্রেয়ার।মা যে তাকে বাধ্য হয়ে সংসার করতে বলে এটা শ্রেয়া বোঝে।মা যদি এতই খারাপ হতো তাহলে সংসারে সুখী হওয়ার জন্য একেক সিজনে একেক জিনিস পাঠাতো না।বিয়ের সময় গহনা ফার্নিচার দিতো না।কোনো রকমে বিয়ে দিয়েই শেষ করতে পারতো।রনির মা ও রনির সুন্দর ব্যাবহার দেখে শ্রেয়ার বিয়ে দেয় সৃষ্টি বেগম।বিয়ের পর আসল রূপ বেড় হয় তাদের।গ্রামের ভিতরে বসবাস হওয়ার কারণে লোকলজ্জায় ভয় পায় সবাই।এখানে কেউ কাউকে সাহায্য করবে না কিন্তু শেয়াল কুকুরের হামলা দিনে রাতে পড়বে।আজকাল মেয়েরা যেমন স্বাধীনতা খোঁজে তেমন মেয়েদের নিরাপত্তার অভাবটা অনেক।দিনদিন মেয়েদের নিয়ে বাজে খবর বেশি আসে।এগুলো দেখে তো আরো ঘাবড়ে যায় সৃষ্টি বেগম।শ্রেয়াকে কোলে পিঠে করে রাখতে পারলেও রিমলিকে সামলে রাখতে পারে না।ও খুব উড়ন্ত।

শ্রেয়ার চোখের পানি মুছে অর্পা বলে,”আমি জানি আণ্টি এতটা খারাপ না।আণ্টি সিচুয়েশন বুঝে এমনটা হয়েছে।আংকেল থাকলে আণ্টি এমনটা করত না।কিন্তু কি আর করার!দেখা যাবে কাল কি হয়।এখন তো একটু হাসিখুশি কাটা।”

বলেই দুজনে আবার আনন্দ করতে থাকে।শ্রেয়াকে বাসায় পৌছে দিয়েই অর্পা চলে আসে নিজের বাসায়।হল রুমে বসে আছে জিনিয়া।অর্পাকে দেখে রাগ দেখিয়ে উঠে যায়।অর্পার একটু কষ্ট হলেও অভ্যস্ত হয়েছে তার।বাচ্চা দিতে না পারার জন্য অর্পাকে ওর শাশুড়ি সহ্য করতে পারে না।মিমি এসে জড়িয়ে ধরে অর্পাকে।মিমিকে পেয়ে দুঃখ ভুলে যায় অর্পা।দুজনে মিলে খেলাধুলা করতে থাকে এখন।

চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here