শিমুল_ফুল #১২ #জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর

0
138

#শিমুল_ফুল
#১২
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর

রোকসান অনেকদিন ধরেই সন্দেহ করছিলো আজকে যখন বিয়ের কথা বলাতে পুষ্প কেঁদে দিয়েছে তখনি সন্দেহ আরো গুরুতর হয়।রাতে ভাত খেতে ডাকলে তখন দেখে পুষ্প মোবাইলে কি জানো করছে।পরে তিনি চেক করে কিছুই পায়নি।কিন্তু রোকসানা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে পুষ্প প্রেম করে।তার এতো ছোট মেয়েটা প্রেম করে ভাবতেই গা শিউরে উঠে।নিজেই নিজের মনকে বুঝ দেন যে এমন কিছুনা,পুষ্প এসবে পা বাড়াবেনা।রাত একটার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে রোকসানার ঘুম ভেঙ্গে যায়।বাথরুম থেকে এসে কি মনে করে পুষ্পর দরজা ধাক্কা দেয়,পুষ্প সচরাচর দরজা বন্ধ করে ঘুমায়।আজকে খোলা পেয়ে তিনি ভেতরে ঢুকে।ঘুটঘুটে অন্ধকারে হঠাৎ মনে হলো মেয়েটাকে দেখে যাই,লাইট জ্বালিয়ে রোকসানার প্রান পাখি উড়ে চলে যাবার অবস্থা।পুষ্প বিছানায় নেই, দরজা বাহির থেকে আটকানো।তিনি বুঝতে পারলনা কি করবে,মিজানকে ডাকবে নাকি নিজেই খুঁজতে যাবে।পুষ্প বিয়ের কথা শুনে পালিয়ে গেলো?এসব ভেবে তিনি নিঃশব্দে কাঁদতে থাকে।কতো আশা ছিলো মেয়েটাকে নিয়ে আর পুষ্প এটা কি করলো?সিদ্ধান্ত নিলেন যতোক্ষণ পুষ্প না আসে অপেক্ষা করবেন।

পুষ্প চোখের মনি অস্বাভাবিক বড় দেখাচ্ছে।আড়চোখে দরজার দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে আজকে দরজা বন্ধ করার কথা মনে ছিলো না।ভয়ার্ত চোখে তার আম্মার দিকে তাকায়।রোকসানা এগিয়ে আসে।পুষ্পর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো,
“কই গিয়েছিলি?”

পুষ্প জ্বিব দিয়ে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়।তার নিশ্চুপতা দেখে রোকসানা দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
“কথা বল।কই গিয়েছিলি?”

পুষ্প মিথ্যা করে বললো,
“আম্মা শিলা আসছিলো।জরুরী নোট নিতে।”

“রাত আড়াইটা বাজে নোট নেয়?কই গিয়েছিলি বল।”

পুষ্প বুকটা অস্বাভাবিকভাবে কাঁপছে।কি বলবে ভেবে পায় না,
“আম্মা প্রস্রাব করতে গিয়েছিলাম।”

“ঘরে বাথরুম থেকে বাহিরে যাবি কেন?

আগুন আগুন প্রশ্নের মুখে পড়ে পুষ্পর নাকের পাটাতন ফুলে চোখ গড়িয়ে জল পড়ে।রোকসানা পুষ্পর দুই গালে হাত দিয়ে চেপে ধরে হিসহিস করে বললো,
” কু,ত্তার বাচ্চা।কই গিয়েছিলি সত্যি করে বল।তা না হলে জ,বাই করে ফেলবো কিন্তু।”

পুষ্পর দু’চোখ দিয়ে পানি পড়ে।তোতলে বললো,
“আম্মা বিশ্বাস করো আমি…”

রোকসানা বললো,
“রাত একটা বাজে যে মেয়ে ঘরে থাকেনা ফিরে আসে আড়াইটা বাজে।তাকে বিশ্বাস কিভাবে করবো?”

পুষ্প কেঁপে কেঁপে কাঁদে।রোকসানার চোখ দিয়ে আগুন ঝড়ছে।
“এই অসভ্য নিলজ্জ মেয়ে তুই আমাদের ঘুমে বেঁচে ফেললি?”

থেমে আবার বললেন,
“ছেলেটা কে?”

পুষ্প চোখ তুলে তার আম্মার দিকে তাকায়।
“নাম কি?”

পুষ্প চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।রোকসানার এই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা সহ্য হয় না।পুষ্পর নরম গালে হাত দিয়ে চেপে ধরে বলে,
“নাম বল।”

পুষ্প তারপরেও কিছু বলেনা দেখে তিনি হাত দিয়ে এতো জোড়ে চাপ দিলেন যে ঠোঁট কেঁটে,দাতের সাথে গালের নরম চামড়া লেগে কেঁটে রক্ত বের হয়ে যায়।পুষ্প ককিয়ে উঠলেও তিনি ছাড়েন না।আবারো জিজ্ঞেস করে ছেলেটার নাম বলার জন্য।পুষ্প বলেনা।রোকসানা রাগে শরীরের সব শক্তি দিয়ে পুষ্পর গালে থাপ্পড় দেয়।পুষ্প ছিটকে গিয়ে টেবিলে পড়ে কপাল ফুলিয়ে ফেলে।রোকসানা পিছন থেকে পুষ্পর চুলের মুঠি ধরে টেনে বলে,
“একবারো আমাদের কথা ভাবলি না?নিজের গায়ে কলংক লাগাতে চলে গেলি?তোর আব্বার তোকে নিয়ে কতো স্বপ্ন সেটা বুঝলি না?এখন তোর আব্বা এসব শুনলে তো স্ট্রোক করবে।আল্লাহ আমার পেটে এ কেমন ব,দমায়েশের জন্ম দিয়েছি।”

এটা বলে তিনি নিজের কপালে নিজে থাপ্পড় মারতে থাকে।পুষ্প ফুপিয়ে কেঁদে বলে,
“আম্মা”

রোকসানা টেবিলের উপর থেকে স্টিলের স্কেল হাতে নেয় পুষ্প কিছু বুঝার আগেই এলোপাথাড়ি মারতে থাকে পুষ্প আর্তনাদ করে সরে গেলে টেনে বিছানায় ফেলে মারে।পুষ্প কেঁদে কেঁদে বলে,
“আম্মা আর মাইর না আম্মা।”

রোকসানা থামে না।এমন মেয়ে জন্ম দিয়েছে!যে কিনা এতো রাতে ছেলের কাছে চলে যায়।পুষ্পর চুল খামচে বললো,
“নাম বল।”

সারা শরীরে মরণব্যথা নিয়ে পুষ্প চুপ করে বিছানায় পড়ে আছে।রোকসানা আবারো স্কেলে দিয়ে আঘাত করে,পুষ্প আর সইতে পারে না।অস্ফুট স্বরে বললো,
“শিমুল।শিমুল ভাই।”

চেয়ারম্যানের ছেলে শিমুলের নাম শুনে রোকসানা স্তব্ধ হয়ে যায়।এই মেয়ের মাথা কি ঠিক আছে?কতো বড় শিমুল তার সাথে নাকি প্রেম করে,আবার এতো গভীর রাতে দেখাও করে।তার মেয়েটা ঠিক আছেতো?অজানা ভয়ে রোকসানার কলিজা কাঁমড়ে উঠে।
ধপ করে পুষ্পর বিছানায় বসে বললো,
“শিমুল?”

পুষ্প ঠোঁট কামড়ে কাঁদে।মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।রোকসানা কপালে হাত রেখে শব্দ করে কাঁদে।
“আল্লাহ কি বলে এই মেয়ে?কই শিমুল কই তুই?মাথা ঠিক আছে?”

পুষ্পর এই মূহুর্তে ভিষন অসহায় লাগছে।মায়ের কান্না দেখে দম আটকে আসতে চায়।মনে হয় এই প্রেম না করলেই ভালো ছিলো।রোকসানা বলে,
“কতো দিনের প্রেম?”

পুষ্প সত্যিটা বলে না।মাথা নামিয়ে বললো,
“কিছুদিন।”

“আর কবে থেকে রাতে দেখা করিস?”

পুষ্প মিথ্যা করে বললো,
“আজকেই প্রথম।”

রোকসানার বিশ্বাস হয় না।
“সত্যি করে বল।”

পুষ্প নিজের মাথায় হাত রেখে বললো,
“মাথায় হাত দিয়ে বলছি আম্মা আজকেই প্রথম।”

রোকসানার চোখে শিমুলের উঁচু লম্বা গড়ন ভেসে উঠে।পুষ্পর হাত ধরে বললো,
“তুই ঠিক আছিস তো?সত্যি বলবি।”

পুষ্পর মা কিসের কথা বলছে পুষ্প বুঝতে পারে।তার শিমুল তো এতো খারাপ না।উপর নিচ মাথা নেড়ে বললো,
“আমরা খারাপ কিছু করিনি আম্মা।”

পুষ্পর দিকে তাকিয়ে রোকসানা বলেন,
“তাহলে রাতে কিসের দেখা?এতো বড় ছেলের সাথে কিসের সম্পর্ক? ছেলেদের কি চিনিস তুই?কতোটুকু চিনিস,একবার সব আদায় করতে পারলে রাস্তায় ছুড়ে মারতে এক মূহুর্ত দেরী করবেনা।”

পুষ্প বিশ্বাসের সাথে বললো,
“শিমুল ভাই এমন না।”

রোকসানা তেতে উঠে।
“বেশী চিনে ফেলেছিস? চেয়ারম্যানের ছেলে সর্বনাশ করে চলে গেলে কি করতে পারবি?”

তারপর পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমাদের কথা একবারো ভাবলি না?কিভাবে এমন খারাপ হলি তুই?তোকে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম।”

পুষ্পর সারা শরীরে ব্যাথা,অন্তরে ব্যাথা।মায়ের দিকে তাকানোর সাহস পাচ্ছে না।তার শিমুলের উপর তার বিশ্বাস আছে শিমুল তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
রোকসানা মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে কিছুক্ষণ পরে বললো,
“এখন থেকে শিমুলকে ভুলে যাবি।সাফিন ভালো ছেলে বিয়ে হলে শহরে থাকবি।শিমুলের থেকে ভালো রাখবে তোকে।”

শিমুলকে ভুলে যাবে?পুষ্প সব ব্যাথা ভুলে রেগে বললো,
“কখনো ভুলবো না।”

“সাফিন এর থেকে ভালো ছেলে।”

পুষ্প রোকসানার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমার শিমুলকে চাই।”

রোকসানার চোখের পানি পড়ছে।মেয়ে এতটা খারাপ কবে হলো টের পেলো না!এমন উগ্র আচরনে তার মেজাজ আকাশ ছুঁয়ে যায়।হাতের স্কেল দিয়ে আবার পুষ্পকে আঘাত করে বললো, “সাফিনকেই বিয়ে করবি।বেশী নড়চড় হলে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেবো।জন্ম যখন দিতে পেরেছি মারতেও পারবো।”

গায়ের জোড় দিয়ে আঘাত করে মনের রাগ মিটায়।পুষ্প ছুটে রোকসানার পায়ে ধরে বললো,
“আম্মা আর মাইরো না আম্মা মরে যাচ্ছি।”

“তাহলে বল সাফিনকে বিয়ে করবি।”

পুষ্প আহাজারি করে বললো,
“আমাকে মেরে ফেললেও আমি শিমুলকে ছাড়বো না।”

রোকসানা পুষ্পকে টেনে বিছানায় ফেলে ইচ্ছামত থাপ্পড় দিয়ে বলে,
“তাহলে মরে যা।তোর মতো মেয়ে লাগবেনা।নিলজ্জ বেহায়া,অসভ্য।”

এবার পুষ্প আর চোখ খুলে তাকাতে পারে না নিস্তেজ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে।মনে মনে বলে ‘শিমুল তুমি কই জান দেখোনা তোমার ফুলকে কিভাবে মেরেছে।আমি আর সইতে পারছিনা’ কিন্তু শিমুল তো বুঝতেও পারে না তার ফুলের নির্মম পরিনতি।

রোকসানা যাওয়ার আগে বলে,
“কালকে দেখতে আসবে কোন উলটাপালটা কিছু করলে আমি আর তোর আব্বা একসাথে বিষ খেয়ে মরে যাবো।”

তারপর চুপচাপ তার স্বামীর কাছে যায়।সিদ্ধান্ত নেয় আপাতত কাউকে কিছু বলবে না।বাকি রাত নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলে।

সকালের দিকে পুষ্পর জ্বর চলে আসে।সারা শরীরে কালসিটে দাগ পড়ে গেছে।আজকে ঢাকা থেকে দেখতে আসবে এই অবস্থায় কিভাবে দেখাবে।রোকসানা জ্বর আর ব্যাথার ঔষুধ খাইয়ে দিলেন।নয়টার দিকে শিলা আসে।রোকসানা শিলাকে দেখে বললো,
“শিলা পুষ্প আজকে কলেজে যাবে না।”

“কেন চাচী?”

রোকসানা গরুর মাংস ধুয়ে নিতে নিতে বলে,
“সাফিনকে দেখেছো না সাফিনের পরিবার আজকে পুষ্পকে দেখতে আসবে।”

শিলা চমকে রোকসানার দিকে তাকায়।তারপর বলে,
“কিন্তু চাচী আজকে তো কলেজে রেজিষ্ট্রেশন করার ডেট।একটা সিগনেচার লাগবে।”

“পরে দিলে হবে না?”

“না চাচী আজকেই দিতে হবে।”

আজকে মেহমান না আসলে রোকসানা নিজে পুষ্পকে কলেজে নিয়ে যেতো।কিন্তু নতুন মানুষ আসবে হরেক রকমের রান্না করতে হবে।তাই শিলাকে বললো,
“শিলা পুষ্পর তো জ্বর তুমি নিয়ে যাও কাজ শেষ হলে একটা রিক্সা করে দিও।”

“আচ্ছা চাচী।”

পুষ্পর রুমে গিয়ে পুষ্পর অবস্থা দেখে
শিলা মৃদু আর্তনাদ করে।পুষ্প শিলাকে দেখে সব খুলে বলে।শিলা তখনি শিমুলকে এসএমএস করে জানায়,”পুষ্প দেখা করবে কলেজে যাওয়ার পথে।”

শিমুল আর তিয়াশ ক্লাবে বসে ছিলো।সব ছেলেপেলে মিছিলে পাঠিয়েছে।শিলার মেসেজ পেয়ে কপাল কুচকে যায়।দ্রুত পায়ে গিয়ে রাস্তার সামনে দাঁড়ায়।কিছুক্ষণ পরে শিলা আর পুষ্প আসে।শিমুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।বুকে সুক্ষ ব্যাথা অনুভব হয়।কালকে রাতেও তো সুস্থ ছিলো আজকে কি হলো যে হাটতে পারছেনা!শিলাকে ইশারা করে ক্লাবের ভেতরে আসতে।

শিমুলের অফিস রুমে পুষ্পকে বসিয়ে শিলা আর তিয়াশ বাহিরে চেয়ারে বসে পড়ে।শিমুল একনজরে পুষ্পর দিকে তাকিয়ে আছে।এগিয়ে গিয়ে পাশে দাঁড়ায়।
“কি হয়েছে?”

পুষ্প নিঃশব্দে কাঁদে।শিমুল হাতে ধরে দাঁড় করাতে নিলে পুষ্প কেঁদে উঠে।শিমুল ওরনা সরিয়ে হাত দেখে বললো,
“এগুলা কি পুষ্প?”

“আম্মা সব জেনে ফেলেছে।”

“কিভাবে?”

“রাতে এসে রুমে পায়নি আমি তখন বাহিরে ছিলাম।”

শিমুল চোখ ভুলিয়ে বললো,
“সারা শরীরে মেরেছে?”

“হ্যাঁ।”

জামার উপর দিয়ে যতোটুকু দেখা যায় দেখে শিমুল বললো,
“তোর মা কি মানুষ?এভাবে কেউ মারে?”

পুষ্প শিমুলের সানিধ্যে এসে যেন আরো গলে যায়।কেঁদে কেঁদে বলে,
“আমি আপনাকেই ভালোবাসি,আপনাকেই বিয়ে করবো।সাফিনকে না।”

শিমুল খুব সাবধানে পুষ্পকে নিজের বুকে নেয়।
“তুই আমারই জান।আর কেউ নিতে পারবেনা।”

পুষ্প শিমুলের বুকে মাথা রেখে শান্তি পায়।
“আমাকে বিয়ে করবেন?”

শিমুল পুষ্পর মুখে হাত রেখে বললো,
“এখন করবি?চল তাহলে”

“পরে।”

পুষ্পকে সামনে দাঁড় করিয়ে দেখে,তার ছোট্ট ফুলের গায়ের প্রতিটি আঘাত তাকে কষ্ট দিচ্ছে।পুষ্প শিমুলের চোখে পানির অস্তিত্ব লক্ষ করে।শিমুল পুষ্পর কালসিটে দাগে অনেক অনেক চুমু খেয়ে বললো,
“এভাবে কেউ মারে?পাগল টাগল নাকি?আমি কি কথা বলবো?”

পুষ্প শিমুলের দিকে তাকিয়ে থাকে।শিমুল আবারো পুষ্পকে বুকে নেয়।কালো দাগে আলতো করে চুমু খেয়ে বললো,
“আমি তোর আব্বার সাথে কথা বলে নেবো।”

পুষ্প তখনো শিমুলের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।শিমুল চোখের পাতায় চুমু দিয়ে বললো,
“খুব খারাপ লাগছে জান?”

পুষ্প ঠোঁট উল্টে বললো,
“আপনি ভালোবাসলে সব সইতে পারবো।”

শিমুল তাকিয়ে থাকে তার ফুলের দিকে কতটা যন্ত্রণা পেয়েছে মেয়েটা!
“আর কয়টা দিন তারপর একদম কাছে নিয়ে আসবো।”

শিমুল গলা উচিয়ে তিয়াশকে ডাকে,তিয়াশ আসলে বলে,
“বাজার থেকে ব্যাথার অয়েন্টমেন্ট নিয়ে আয়।জলদি।”

তিয়াস চলে গেলে পুষ্প বললো,
“এসব লাগবে না।”

“আমার লাগবে।”

তারপর আবারো পাগলের মতো পুষ্পর শরীরে আলতো আদরে যেন ব্যাথা কমানোর বৃথা চেষ্টা করে।পুষ্প চোখ বন্ধ করে ভাবে,’এমন ভালোবাসলে মার খেতেও ক্ষতি নেই।’

“খুব ভালোবাসি শিমুল ভাই।”

“সরি রে জান।খুব ব্যাথা হচ্ছে?”

শুষ্ক মুখে হেসে পুষ্প বললো,
“আপনি আদর করলে সব ব্যাথা পালিয়ে যায়।”

শিমুল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে,এতো ভালো কেন মেয়েটা?

পুষ্প কপালের ফোলাটা দেখিয়ে বললো,
“এখানে একটা চুমু দেন না।”

চলবে…….
মতামত বলে যাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here