#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_১০
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
মাহি নিজের রুমে শুয়ে আছে। আর বিকেলের কথা মনে করে খিলখিল করে হেসে উঠছে। ছেলেটা আসলেই পাগল, বোকাও বটে।( ফায়াজ পড়ে গিয়ে রাগী চোখে মাহির দিকে তাকিয়ে থাকে।তখনি মাথার উপর দিয়ে একটা কাক কা কা করে উড়ে যাওয়ার সময় হাগু করে দেয়, ঠিক সেই সময় ফায়াজ ও উপরের দিকে তাকায়।আর হাগু এসে পড়ে ফায়াজের কপালে।বেচারা ফায়াজ তো ভেবাচেকা খেয়ে যায়।আসলে ওর সাথে হচ্ছে টা কি?
এদিকে মাহি হাসতে হাসতে রাস্তার কিনারায় বসে পরে। ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। সেই লেভেলের বিনোদন পেয়েছে।
ফায়াজের মন চাচ্ছে নিজের গালে নিজেই দুইটা থাপ্পড় বসাতে।কেনো এই বেয়াদব মেয়েটাকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে এসে ছিলো।
হঠাৎ ফায়াজের চোখ আঁটকে গেলো মাহির মুখের মধ্যে। মেয়েটা হাসলে গালের মাঝ খানে গর্ত হয়ে যায়।তখন খুব কিউট লাগে দেখতে। এই যে খিলখিল করে হাসছে প্রতিটি হাসির শব্দ ফায়াজের হার্টবিট বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু বেশিক্ষন আর সেই মুগ্ধতা থাকলো না।
ফায়াজ চারপাশে তাকিয়ে দেখলো রাস্তা দিয়ে কিছু লোক আসা যাওয়া করছে।তারা কি অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকিয়ে যাচ্ছে। ফায়াজ নিজের দিকে তাকিয়ে ভাবলো,” বাহ্ ফায়াজ বাহ্।আজ একটা মেয়ে তোকে সার্কাসের জোঁকার বানিয়ে দিলো দেখ রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছে কি অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে যাচ্ছে। যেনো আমি মানুষ না এলিয়েন নেমে এসেছি। এখন আমাকে কেউ দেখলে নিশ্চয়ই টিচার না টোকাই ভাববে।
মাহিঃ এই যে,আপনি কি আজ এখানে থাকবেন বলে মনস্থির করে নিয়েছেন নাকি? উঠছেন না কেনো!?
ফায়াজঃ তুমি তো বারি অসভ্য মেয়ে!! আমি তোমার এতো বার উপকার করলাম আর তুমি কি না আমাকে হাসির পাত্র বানিয়ে দিলে।
মাহির এবার সত্যি মায়া হলো।
ও সিনেমার জনদরদী শাবেনা কে দেখেছিলো জসিমের মাথা দিয়ে রক্ত বের হওয়ার সময় নিজের আঁচলের কাপড় ছিঁড়ে মাথায় বেঁধে দিতে।
কিন্তু মাহি তো কাপড় পড়েনি। ওড়নার কোনা ধরে টানাটানি শুরু করলো কিন্তু না এতো ছিঁড়ছে না।
ফায়াজ চোখ ছোটো ছোটো করে এতোক্ষন মাহির কর্মকাণ্ড দেখছিলো।এবার বলে উঠলো, ” এই মেয়ে তুমি ওড়না নিয়ে টানাটানি করছো কেনো?
মাহিঃ আপনার কপালের হাগুটা তো পরিস্কার করতে হবে৷ নাকি এই অবস্থায় নিজের বাসায় যাবেন?
ফায়াজঃ আমার কাছে তো রুমাল আছে!…
মাহি রেগে বলে উঠলো, ” রুমাল থাকলে হা করে আমার দিকে কি দেখছেন? নিজের কপাল পরিস্কার করেন।নাকি এটার ঘ্রাণ ভালো লাগছে?
ফায়াজ রেগে বলে উঠলো, ” তুমি তো অকৃতজ্ঞ, বেয়াদব মেয়ে!!…
মাহি রেগে কিছু বলতে গিয়েও বললো না। চুপচাপ পিছনে ফিরে হাঁটা শুরু করলো। ।একবারও পিছন ফিরে তাকায়নি।)
——
নূর আর রুদ্র দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার আকাশ দেখছে।
নূর বলে উঠলো, ” আপনি কাউকে কোনো দিন ভালোবেসে ছেন?
রুদ্র কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,” না” (তবে এখন প্রতি নিয়ত তোমার উপর মুগ্ধ হচ্ছি। এই যে খোলা চুলে তোমাকে এলোকেশী কন্যা লাগছে।বার বার মৃদু বাতাসে চুল উড়ে এসে বার বার মুখের উপর পড়ছে আর তুমি বিরক্ত হয়ে হাত দিয়ে পিছনে সরিয়ে দিচ্ছে। আর আমি সন্ধ্যার আলোতে মুগ্ধ হয়ে তা দেখছি,মনের কথা মনেই রয়ে গেলো।)
নূরঃ আপনার তো আজকে প্রথম দিন ছিলো হসপিটালে এতো তারাতারি চলে আসলেন যে?
রুদ্র কিছু বললো না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে রেলিংয়ে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নূর পিছন ফিরে রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।বৃষ্টি হওয়ার কারনে ছাঁদ পিচ্ছিল হয়ে আছে।নূর পা বাড়াতেই পিচ্ছল খেয়ে পড়ে যেতে নিলেই রুদ্র নূরের কোমর জড়িয়ে ধরলো।
ভয়ে নূর চোখ বন্ধ করে নিয়েছে।যখন মনে হলো সে পড়েনি।আসতে আসতে চোখ খুলে তাকালো।
নূর চোখ খুলে তাকাতেই রুদ্র বললো,”কেয়ারফুললি চলো।সব সময় আমি থাকবো না বাঁচানোর জন্য। আজ দু দু’বার আমি তোমাকে পড়ে কোমর ভাঙা থেকে বাঁচিয়েছি।বলে নূরকে সুজা করে দাঁড় করিয়ে ছেড়ে দিলো।
নূর লজ্জায় কিছুই বললো না। ছি!ছি!ছি দু দুবার উনার সামনেই পড়তে হলো।নূর তোর আর মান সম্মান রইলো না। সব শেষ, এখন উনি নিশ্চয়ই ভাবছেন আমার বার বার পড়ে যাওয়ার রোগ আছে!!…
——
রুহি আজকে জেদ ধরে আছে আদির হাতে খাবে।আদি না খাইয়ে দিলে ও নাকি খাবে না।
বাধ্য হয়ে আদি রুহিকে খাইয়ে দিচ্ছে।
তখনি ড্রয়িং রুমে আগমন ঘটলো নূর,মিম, শুভ্রতা ভাবি আর মাহির।
নূর কে দেখে রুহি নেকামি শুরু করলো।
নূর সে দিকে পাত্তা না দিয়ে, মিম কে বললো রিমোট টা দিতে। ওরা চারজন আজ প্লেন করেছে ভূতের মুভি দেখবে।হঠাৎ নূরের ফায়াজ স্যারের কথা মনে পড়লো।ওদের কাছে রিমোট দিয়ে দৌড়ে উপরে নিজের খুপরি ঘরটার দিকে গেলো মোবাইল খুপরি ঘরে।
মোবাইল নিয়ে আসার সময় রুদ্রের দরজার সামনে এসে থেমে গেলো।দরজা ফাঁকা আসতে করে ঘরে উঁকি দিলো
পুরো ঘরে চোখ বোলালো না রুমে কেউ নেই।আসতে করে রুমে ঢুকে গেলো।
মনে মনে বলে উঠলো, ” সকালে আমাকে অপমান করে ছিলেন, যেনো আপনার ঘরের সামনে না আসি। এক জগ পানি নিয়ে খাটের মাঝ খানে ঢেলে দিলো। এবার একটা বিজয়ী হাসি দিয়ে , চারদিকে তাকিয়ে দেখলো রুদ্রকে কোথাও দেখা যায় কি না। কিন্তু না রুদ্র কোথাও নেই। খুশিতে নাচতে নাচতে নিচে নেমে গেলো।
রুহি ভ্রু কুঁচকে নূরের দিকে তাকিয়ে রইলো।
রুহি বুঝে পায় না।একটা মেয়ে এতটা স্ট্রং হয় কিভাবে। চোখের সামনে একমাস না দুইমাস না তিন তিনটা বছরের প্রেমিক কে দেখেও সে ভেঙে পরছে না। কতো সুন্দর হাসি তামাশার মধ্যে নিজেকে ভেস্ত রাখছে।কেউ দেখলে বুঝবেই না এই মেয়ের মন ভেঙেছে কয়েক দিন আগে।কিন্তু রুহিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী না।যেভাবেই হোক সে নূরকে ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে দেখতে চায়।যেদিন নূরকে কাঁদতে দেখবে ওই দিন রুহি নিজেকে সার্থক মনে করবে।
সবাই মিলে বসে “THE NUN” মুভিটা দেখছিলো।ভয়ে মিম একদম জমে গেছে।রুহিও খুব ভয় পেয়েছে মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। শুভ্রতা ভবি এমনিতেই খুব ভীতু আর এখন তো মিম কে জড়িয়ে ধরে আছে কিন্তু নূর আর মাহি ঠিক আগের মতোই আছে।মুভি অর্ধেক চলছে এমন সময় কে যেনো টিভি বন্ধ করে দিলো।
সবাই পিছনে ফিরে দেখলো রুদ্র রেগে বোম হয়ে আছে।
মিম বলে উঠলো, ” কি হয়েছে ভাইয়া? কিছু লাগবে?”
রুদ্র শান্ত ভাবে জিজ্ঞেস করলো,” আমার রুমে কে গিয়েছে? ”
কেউ কিছু বলার আগেই রুহি বলে উঠলো, ” আমি দেখেছি কে গিয়েছে!! বলেই নূরের মুখের দিকে তাকালো। (নূর যখন তারাহুরো করে উপরে খুপরি ঘরের দিকে যায়।রুহি ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আর রুহি যেখানে বসে আছে এখান থেকে স্পষ্ট রুদ্রের রুমের দরজা দেখা যায়।)
নূর ভয় পেয়ে গেলো।ও তো খেয়াল করেনি এখান থেকে যে রুদ্রের রুম দেখা যায়। এখন কি করবে?
রুদ্র গম্ভীর কন্ঠ বলে উঠলো, ” কাকে দেখেছেন ভাবি?(বয়সে ছোটো হলে কি হবে রুহি তো সম্পর্কে বড়।তাই রুদ্র ভাবি বলেই ডাকে)
রুহি নূরের মুখ দেখে ভেতরে ভেতরে খুশিতে কয়েক বার নাগিন ডান্স দিয়ে নিলো।বেচারি নিশ্চয়ই কিছু করেছে মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে প্রচুর ভয় পেয়ে আছে।রুহি ও সুযোগ পেয়েছে এই সুযোগ কি আর হাত ছাড়া করা যায় ঝটপট বলে দিলো,ভাইয়া আমি নূরকে দেখেছি তোমার রুম থেকে বের হতে।”
সাথে সাথে নূরের মুখটা পাংশুটে হয়ে গেলো।
সবাই চোখ ছোটো ছোটো করে নূরের দিকে তাকালো।
মাহি বলে উঠলো,” তো কি হয়েছে ভাইয়ের রুমে বোন যেতেই পারে!!”
রুদ্রঃ অবশ্যই যেতে পারে কিন্তু কেনো গিয়ে ছিলে নূর?
নূরঃ আসলে ভাইয়া, আসলে…
রুদ্রঃ কি আসলে,আসলে করছো? সত্যিটা বলো?
নূরঃ হাঁ মনে পড়েছে,মনে পড়েছে!! আসলে কি ভাইয়া আমার না একটা সাবজেক্ট বুঝতে ছিলাম না। এখন তো আবির ভাইয়া ও বাসায় নেই যে বুঝিয়ে দিবে। তাই আপনার কাছে গিয়ে ছিলাম কিন্তু আপনিতো রুমেই ছিলেন না।
রুদ্র নিঃশব্দে হেসে দিলো। মেয়েটার কথা শুনলে যে কেউ বিশ্বাস করতে বাধ্য যে সে সত্যি বলছে।
রুদ্রঃ আচ্ছা তাহলে বই নিয়ে আমার রুমে চলে আসো।
নূরঃ না ভাইয়া এখন আর দরকার নেই আমি মাহি আপুর থেকে বুঝে নেবো।
রুদ্রঃ বেশি কথা আমার পছন্দ না। চুপচাপ বই নিয়ে আমার রুমে আসো!!
মাহিঃ রুদ্র ভাইয়া আমারো একটা সাবজেক্টে সমস্যা ছিলো যদি একটু বুঝিয়ে দিতেন!!
রুদ্র কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,” মাহি তুমি যেই সাবজেক্ট নিয়ে পড়ছো এটার বিষয় আবির খুব ভালো বুঝাতে পারে। তুমি ওর কাছে বুঝে নিও।আর নূর তারাতাড়ি বই নিয়ে আমার রুমে আসো….
রুহির মুখটা ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেলো। সে তো ভেবে ছিলো নূর সবার সামনে রুদ্রের থেকে বকা শুনবে।আর ও সেই একটা ফিল নিবে। কিন্তু প্রতি বারের মতো এবারো ওর আশায় এক বালতি জল ঢেলে দিলো।
——
থুর ভাল্লাগে না এই পড়াশোনা। কোন পাগলে ধরছিলো, কেনো যে বলতে গেছলাম পড়াশোনা কথা।অন্য কথাও তো বলতে পারতাম। আমার এই বা দোষ কি ওই সময় ভয়ে যেটা মনে আসছে বলে দিছি। তাই বলে আধাঘন্টা ধরে বইয়ের সামনে বসায় রাখবো। যা আমি তোরে অভিশাপ দিলাম, তোর কোনো দিন বিয়া হইবো না।বিয়া হইলে ও বউ একটা ডাইনী পরবো।
রুদ্র এতোক্ষন খাটে বসে নূরের দিকেই তাকিয়ে ছিলো।সেই কখন থেকে দেখছে নূর বিরবির করে কি যেনো বলছে।
রুদ্রঃ আমার খাটে পানি কেনো ফেলেছো?
নূরের বুক ভয়ে ধুকধুক করা শুরু হলো।যেটার ভয় পেয়েছিলো সেটাই হলো।
নূরঃ কি!! কিসের পানি ভাইয়া? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
রুদ্রঃ পাক্কা অভিনেত্রী। এক কাজ করো কাল থেকে শুটিং করা শুরু করো। খুব ভালো অভিনয় করতে পারো তুমি।সে যাই হোক আমার বিছানা তোমার কি ক্ষতি করেছে শুনি?( রুদ্র যতই রেগে যাওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। প্রথম যখন বিছানার মধ্যে পানি দেখে ছিলো। খুব রেগে গিয়ে ছিলো। যেখানে ওর রুমে। ওর অনুপস্থিতিতে আসা নিষেধ। সেখানে কেউ এসে বিছানায় পানি ঢেলে গেছে।খুব রেগে গিয়ে ছিলো। কিন্তু যখন জানলো এটা নূরের কাজ হঠাৎ রাগটা হাওয়া হয়ে গেলো।এই যে এখনো রাগ করে কয়টা কড়া কথা শুনাতে চাচ্ছে, কিন্তু না তার তো রাগ হচ্ছে না। কিন্তু সে এমনি এমনি ছেড়ে দিবে না ।)
যেখানে নূর পাঁচ মিনিট ভালো করে পড়ায় বসে না। সেই মেয়ে একঘন্টা ধরে বইয়ের সামনে বসে আছে!!
নূরঃ ভাইয়া খুব খিদে পেয়েছে!!
রুদ্র নূরের মুখের দিকে তাকালো। ও ভাবলো সত্যি মনে হয় খিদে পেয়েছে। নূরের মুখের দিকে তাকিয়ে খুব মায়া হলো। ভেবে ছিলে দু’ঘন্টার আগে ছাড়বে না।কিন্তু আজ প্রথম দিন তাই ছেড়ে দিলো।
রুদ্রঃ কালকে ঠিক একি টাইমে। বই নিয়ে আমার রুমে চলে আসবে।
নূরঃ কিইইইইই!! আবার কালকে ও? আমি তো সব পাড়ি।
রুদ্রঃ ওওওহ আচ্ছা তুমি সব পারো?
নূরঃ জ্বি!!…..
রুদ্রঃ ঠিক আছে বই বের করো….
নূরঃ ভাইয়া বলছি কি। কালকে ঠিক টাইমে আপনার রুমে বই নিয়ে চলে আসবো..
রুদ্রঃ এই তো গুড গার্ল….
নূর বিরবির করে বললো,”তোর মাথা সাদা হনুমান।”
——
🎶” আমার ভিনদেশী তারা
একা রাতেরই আকাশে
তুমি বাজালে একতারা
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বলবো কাকে🎶
আজ সাথে গিটার নেই। অদ্ভুত এক অনূভুতি কাজ করে রাতের আকাশ দেখার মাঝে।রাতের শীতল বাতাস মনকে ফুরফুরে করে তুলে।আকাশে হাজারো তারার মেলা। মনে হচ্ছে, এই তারাগুলো প্রতিদিন নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলে আকাশটা কে।দূর থেকে কুকুরের আওয়াজ বেসে আসছে। মূহুর্তটা যদি এখানেই থমকে যেতো।
কিরে পেত্নীর রানী প্রতিরাতে ছাঁদে এসে বেসুরে গলায় গান না গেলে বুঝি ঘুম আসে না।কোনদিন না জানি তোর এই গান শুনে এখান দিয়ে যাওয়া ভূত গুলো এই গানের মালিকের প্রেমে পড়ে যায়। তখন কি হবে ভূতে ভূতে ঝগড়া লেগে যাবে একজন কে নিয়ে।
নূর পিছনে না ফিরেই শব্দ করে হেসে উঠলো। সে কন্ঠ শুনেই বুঝতে পেরেছে।
লোকটি আবার মিনমিনিয়ে বললো,” প্লিজ এভাবে হাসিস না। ঠিক বুকের বাম পাশে গিয়ে চিনচিন ব্যথা করে”
চলবে….
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।