#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_২০
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
“কে আপনি?? বার বার ফোন দিচ্ছেন কেনো? সমস্যা কি!!??”
নীল কোনো কথা না বলে চোখ বন্ধ করে ফোনটা কানে চেপে ধরে আছে।
~ ফাইজলামি করেন এতো রাতে ফোন দিয়ে। কথা যখন বলবেন না তাহলে ফোন দেন কেন বার বার!! আরেক বার ফোন দিলে মোবাইলের ভিতর দিয়ে গিয়ে মেরে ভর্তা বানিয়ে আসবো। আজাইরা পাবলিক।
নীল এবারের কথাটা শুনে মুচকি হাসলো। তারপর খট করে ফোনটা কেটে দিয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো। জ্বলজ্বল করে বেসে উঠেছে “হরিন” নামটি।মেয়েটার বোকা বোকা কথাগুলো মনে করে আবারো হেঁসে উঠলো নীল।তারপর সবার দিকে তাকালো।
আদিবা আর আবিরকে অনেক আগেই রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে। সত হলেও বাসর তো আর ছাঁদে সবার সামনে সারতে পারবে না। রাত ২টায় ওদের রুমে পাঠিয়েছে।
নূর কথা বলতে বলতে রেলিঙে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। নীল গেলো নূরকে ডাকতে। কিন্তু তার আগেই আদি এসে বললো, ” নীল ওকে ডাকতে হবে না। ঘুমিয়ে পড়েছে আমি নিয়ে রুমে দিয়ে আসবো।”
আদির কথা শুনে মাহির চোখ মুখ আসতে আসতে লাল হয়ে আসছে। কত বড় সাহস আবারো ওর ছোট্ট বোনটার কাছে আসার কথা কোন মুখে বলছে এই ভাই নামের নরপিশাচ!!….
আদি নূরের হাত ধরবে। মাহি কিছু বলার আগেই রুদ্র বলে উঠলো, ” আদি তোর বউ ডাকছে নিচে। তুই তোর বউয়ের কাছে যা। আমি নূরকে দিয়ে আসছি। বলেই নূরকে কোলে নিয়ে নিলো।
আদি শান্ত চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। নূর রুদ্রের শার্ট খামচে ধরেছে। আদি চোখ সরিয়ে নিলো। চোখ খুব জ্বালা করছে। আচ্ছা শুধু কি চোখ জ্বালা করছে?? ওহু বুক টাও খুব জ্বালা করছে!!
রুদ্র নূরকে নিয়ে নিচে চলে যেতেই আদি আর নীল নেমে গেলো।
মাহি চলে যাওয়ার জন্য ওঠে দাঁড়াতেই ফায়াজ এসে দাঁড়ালো মাহির সামনে।
সামনে কয়েকটা ফুল গাছ আছে। ফুল ও ফুটে আছে।সব গুলোই গোলাপ।নূরের গোলাপ খুব পছন্দ। তাই এই গাছগুলো ও নিজে যত্ন করে।
“কাল থেকে এত গুলো কল দিলাম। একটাও কল ধরলে না কেন??”
মাহি ফুল গাছ থেকে চোখ সরিয়ে বিরক্তকর দৃষ্টিতে ফায়াজের দিকে তাকালো। এই লোক কাল থেকে আজ পর্যন্ত না হলেও ১০০+কল দিয়েছে।বিরক্ত হয়ে ফোনটাই বন্ধ করে রেখেছে মাহি।
~বার বার কল কেনো দিয়েছেন?? আমার জানা মতে আপনার সাথে তো আমার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই য়ে বার বার কল দিতে হবে!”
ফায়াজঃ ওওহ আচ্ছা!! সম্পর্ক নেই তাই কল ধরবে না? এতো এতো কল দিলাম মানবতার খাতিরে ও তো একবার ধরতে পারতে।আর সম্পর্কের কথাই যখন বলছো। তুমি চাইলে সম্পর্ক হতে পারে…
মাহিঃ অনেক রাত হয়েছে ঘুমানো দরকার। সকালে আবার ভার্সিটিতে যেতে হবে।
ফায়াজঃ রুদ্র বলছিলো। তোমার নাকি একটা টিউটর ধরকার…?
মাহিঃ হুম দরকার তো ছিলো!
ফায়াজঃ তুমি চাইলে আমি তোমাকে পড়াতে পাড়ি।
মাহির মুখটা চুপসে গেলো সে তো চেয়েছে রুদ্র ওকে পড়াক। কিন্তু রুদ্র ওর জন্য অন্য জন দেখে ফেললো। আর এই বেটা তো পড়াবে ধুর আমার মুখের দিকে হা করেই তাকিয়ে থাকবে। মনে মনে কতগুলো বলে মাহি ভাবছে কি উত্তর দেওয়া যায়। ‘না’ বললে ওকে অপমান করা হবে তাই বাধ্য হয়ে বললো,” আচ্ছা ” (শুধু একবার পড়াতে আসো চান্দু দুই দিনে পালাবে। পড়ানোর সখ মিটে যাবে।)
———
আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আদিবা কে বললো ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পরতে। অনেক রাত হয়ে গেছে। কাল আবার অফিসে যেতে হবে।
আদিবা আবির কে কিছু জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলো না। আজ বিয়ে হয়েছে কাল কি অফিসে না গেলে হয় না। কিন্তু মনের কথা মনে রেখেই ওয়াশরুম ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে আবির শুয়ে পরেছে। আদিবা গিয়ে আবিরের বিপরীত পাশে শুয়ে পরলো।
———
সকালে আবিরের ঘুম ভাংগে আদিবার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দে। বিরক্ত হয়ে পাশ ফিরতেই চোখ আটকে গেলো আদিবার মাঝে।মিষ্টি কালার শাড়ি পরেছে,সাথে দু’হাতে ভর্তি মিষ্টি রঙের চুড়ি।চুড়ি হাতে দিয়ে মাথা আঁচড়ানোর ফলে রিনঝিন শব্দ হচ্ছে। আবির তাকাবে না তাকাবে না করেও বার বার তাকাচ্ছে।
আবির চোখ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই আবার চোখ আটকে গেলো। আদিবার হাত উঁচু করার কারনে উন্মুক্ত পেট দেখা যাচ্ছে। আবির নেশা ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।আবির নিজের মাথায় নিজে বার কয়েক বারি দিলো ওর এমন নেশা নেশা কেনো লাগছে। আজ আদিবাকে পুরাই অন্য রকম লাগছে। বউ বউ লাগছে।বউ কে তো বউ এই লাগবে আবার ভাবলো ওতো আমার বউ তাহলে এতো জড়তা কীসের!! আমি চাইলেই এখন ওকে আমার কাছে টেনে নিতে পারি।ভালোবাসায়,ভালোবাসায় রাঙিয়ে দিতে পারি। নিজের এই অদ্ভুত ভাবনা গুলোকে এক সাইডে সরিয়ে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিলো।
হটাৎ দরজার ঠকঠক আওয়াজে নূর লাফিয়ে উঠলো। সে যানে রুদ্র বাদে আর কেউ ওর রুমের দরজা খোলা থাকলে পারমিশন নেয় না। রুদ্র একমাত্র ওর রুমে পারমিশন নিয়ে আসে। আজ আবার রুদ্রের কি কাজ ওর রুমে। খুব সুন্দর করে আয়নার সামনে বসে সাজগোজ করছিলো নূর। সাজগোজ প্রায় শেষ ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে, চোখে কাজল দিচ্ছিল।
~দরজা খোলা আছে…
রুদ্র নূরের রুমে ঢুকে হা করে তাকিয়ে আছে।
~কি হলো ভাইয়া এভাবে থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?? কিছু বলবেন??
রুদ্র কিছু না বলে নূরের সামনে এসে দাঁড়ালো। একদম সামনে নিজের বৃদ্ধ আঙ্গুল নিয়ে ওর ঠোঁটে ছোঁয়িয়ে দিলো।
রুদ্রের হটাৎ এমন কাজে নূর একদম জমে গেছে।
ঠোঁটের আশেপাশে লেপ্টে থাকা লিপস্টিক মুছে দিয়ে রুদ্র সরে গেলো।
রুদ্রঃ এমন ভূত সাজার কারন কি??
নূরঃ ভূত!!
রুদ্রঃ হুম! আমি তো প্রথম দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম। তুমি দেখতে এমনিতেই পেত্নী, ডাইনী,পিশাচিনীদের মতো আর আজকে সেজে তো একদম ভূত হয়ে গেছো।দাঁড়াও এক মিনিট বলে পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফটাফট নূরের কয়টা ছবি তুলে নিলে। আর নূর বেকুবের মতো তাকিয়ে আছে। ওর কি রিয়াকশন দেওয়া উচিৎ সে বুঝতে পারছে না। ওকে অপমান করে আবার ওর ছবি নিজের মোবাইলে তুলে নিলো। কি উচ্চ লেভেলের বেয়াদব ছেলে।
নূর কিছু বলবে তার আগে রুদ্র বলে উঠলো, “যাও ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে আসো”
নূরঃ আপনি বলবেন আর আমি শুনবো ভাবলেন কিভাবে।!!?কালকে আপনার জন্য আমি কোনো মজা করতে পারিনি তাও আপনাকে কিছু বলিনি। তাই বলে আপনি আজকেও আমার আনন্দ মাটি করতে পারেন না। আজ আমি খুব সুন্দর করে সাজলাম কই একটু প্রসংশা করবেন তা না।
রুদ্রঃ তুমি কি প্রসংশা নেওয়ার জন্য সেজেগুজে বাহিরে যাচ্ছ??
নূরঃ অবশ্যই।
রুদ্রঃ চুপচাপ ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হও। আমি নিচে অপেক্ষা করছি।
নূরঃ নাআআআআআআআআ! না! আমি আজকে কলেজ যাবো না। আজ কিসের কলেজ!! বাসায় বিয়ে রেখে আমি কলেজ কি করবো!!
রুদ্রঃ বাসায় বিয়ে রেখে মানে!!?কাল তো বিয়ে হয়ে গেছে। আর বিয়েটা তোমার না। যে তুমি থাকতে হবে। তারাতারি এই সব ধুয়ে একদম নরমাল সাজে নিচে আসবে।
রুদ্র রুম থেকে বের হতেই নূরের রাগে মন চাচ্ছে সব কিছু ভেঙে চুরমার করে ফেলতে।এই লোকের সমস্যা কি? আবির ভাইয়ার মতো এই লোকের গলায় ও বউ ঝুলিয়ে দিতে হবে। না হলে শান্তিতে কিছুই করা যাবে না। এই লোকের বিয়েতে ইচ্ছে মতো সাজগোজ করে সারা বাড়ি টইটই করে ঘুরে বেড়াবো।হুম আজকেই বড় আম্মুকে বলবো উনার বিয়ের কথা।
———
আবির সকালে অফিসে চলে গেছে। ওর নাকি খুব ইম্পর্ট্যান্ট কাজ পরে গেছে না গেলেই নয়। তবে কাজটা শেষ করেই বাসায় চলে আসবে।
মাহি গেলো আদিবার রুমে।
আদিবা এসে মাহিকে জড়িয়ে ধরলো।
মাহিঃ এই ছাড় বলছি। একদম ধরবি না। আমি কি তোর জামাই নাকি..?এভাবে জামাই কে ধরিস (চোখ মেরে বললো)…
আদিবাঃ না ছাড়বো না জান্স।তোকে জড়িয়ে ধরে যেই শান্তি পাই জামাই কেও মনে হয় জড়িয়ে ধরে এই শান্তি পাবো না!!
মাহিঃতুই আমার কাছে এসে যদি সব শান্তি নিয়ে নিস আমার জামাইর কি হবে!! আর কাল রাতে কি কি হয়েছে বল..? দুষ্টু হেসে…
আদিবাঃ মাহির বাচ্চা লুচু মেয়েদের মতো হাসবি না!!
মাহিঃ আরেহ্ বাহ্ তোমরা কিছু করবা সেটা দোষ না আর আমি শুনলেই দোষ হয়ে গেলো। এটাই বুঝি তোর ভালোবাসা!!
আদিবাঃ থুর!! তোর ভাই তো পুরাই নিরামিষ ভালো করে হাতটাও ধরে নি…আর অন্য কিছু…
মাহিঃ কি বলিস!! সত্যি!!!…?
আদিবা উপর নিচ মাতা দুলিয়ে বুঝালো সত্যি।
মাহিঃ আহারে ভাই না হয় নিরামিষ তুই তো আমিষ নিজে হাতটা ধরতে পারলি না…. তোদের এই নিরামিষ বাসরের গল্প শুনে আমার তো বিয়ে করার ইচ্ছে টাই চলে গেলো।
আদিবা মাহির মুখের অবস্থা দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলো। আর মাহি ওর হাসির দিকে তাকিয়ে আছে। কতদিন পর মেয়েটা এমন মন খোলে হাসছে। আদিবা নিজের হাসির শব্দে নিজেই অবাক হয়ে গেলো।
———
নূর এক গাল হেসে বললো,”থ্যানক্স ভাইয়া।”
রুদ্র চোখ ছোটো ছোটো করে তাকিয়ে আছে, ” কি বেপার ওর তো রেগে থাকার কথা। এতো সুন্দর হাসি দেওয়া হচ্ছে। মনে মনে কি খিচুড়ি পাকাচ্ছে..?এই মেয়ে!!
———
আদিবা কে ওর শাশুড়ী অনেকের সাথেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। আর ইশারায় সালাম করতে বলছে।এক এক করে সবার সাথে পরিচয় হলো। সবাই খুব পছন্দ করলো আদিবা কে৷ অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে আদিবার আব্বু আম্মু কি করে?? উওরে ওর শাশুড়ী বলেছেন ওর আব্বু অনেক নাম করা উকিল ছিলো। কিন্তু একটা এক্সিডেন্টে ওর আব্বু আম্মু মারা গেছে। ওর মামা-মামী মেয়ের মতো করে ওকে বড় করেছে।
———
নূর আর ইরিন ক্লাস শেষ করে গিয়ে ক্যান্টিনে বসলো।
ইরিন কয়েকটি শাড়ির ছবি নূরের সামনে রাখলো এমন সময় ওদের সাথে এসে যোগ হলো নীল।
ইরিন নীল কে দেখেও না দেখার মতো করে নূরকে বললো,” দেখ তো কোনটা বেশি সুন্দর!!? ”
নূর কিছু বলার আগেই নীল বলে উঠলো, ” এই হরিণ এইগুলো কি তোমার বিয়ের শাড়ি নাকি..?
ইরিনঃ জ্বি ভাইয়া! নূর কোনটা সুন্দর বল তো..?
নূরঃ সব গুলোই তো সুন্দর। কিন্তু এগুলো কার জন্য..?
নীলঃ বিয়ে তে শাড়ির ছবি পাঠিয়েছে বলে এমন ধেই ধেই করে ছবি গুলো নিয়ে নেচে নেচে সবাইকে দেখানোর কি আছে??আর নূর তকে বলি তুই একবার ভাব তো এই যে তোর বেস্ট ফ্রেন্ড, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো একবার ও তকে বললো?? না। আজকে বিয়ের শাড়ির ছবি এনে তকে দেখাচ্ছে। কেমন মেয়েকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে ছিস। দিন দিন তুই ক্যারেক্টারলেস হয়ে যাচ্ছিস।শেষ পর্যন্ত আমি কি না ক্যারেক্টারলেস এর ভাই হলাম তাও বড় ভাই ছি!ছি!….
ইরিনঃ বলা শেষ আপনার!! এখন আমার সামনে থেকে যান তো প্লিজ।
নীল রেগে ফুসফুস করতে করতে বললো, ” সত্যি কথা বললে কেউ পছন্দ করে না..”
ইরিন রেগে বলে উঠলো, “নূরের বাচ্চা তোর এই ক্যারেক্টারলেস ভাইটাকে বলবি আমার সামনে থেকে যেতে!!”
———
মাহি ভার্সিটি থেকে এসে দরজায় কলিং বেল টিপ দিলো। আজকে কখনোই ভার্সিটিতে যেতো না। কিন্তু আজ পরিক্ষার কিছু নোট দিবে তাই বাধ্য হয়ে যেতে হলো।
আনিতা বেগম দরজা খোলে মাহির দিকে তাকালো তারপর সাথের ছেলেটার দিকে।
আম্মু তোমাকে বলে ছিলাম না ওই দিন রাস্তা এক্সিডেন্ট এর কথা।
আনিতা বেগম হ্যাঁ বললেন।
এই হলো মাহিন ওই দিন আমাকে যে বাঁচিয়ে ছিলো তার সাথে মাহিন ও ছিলো। আজ বাসার সামনে দেখা হয়ে জোর করে নিয়ে আসলাম।
আনিতা বেগমঃ খুব ভালো করেছিস। আসো বাবা ভেতরে আসো।
মাহিন ভদ্র ছেলের মতো সালাম দিলো।
ইতি মধ্যে মাহিন সবার সাথে ভালোই ভাব জমিয়ে ফেলেছে।
মাহি এসে বললো, ” মাহিন ভাইয়া চলেন আপনাকে আমারদের নতুন ভাবির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।”
মাহিন মাহির সাথে আদিবার রুমের সামনে দাড়িয়ে আছে।
মাহিঃ নতুন ভাবি দেখো কাকে নিয়ে এসেছি?
আদিবা মাহির মুখে ভাবি ডাক শুনে ভূত দেখার মতো পিছন ফিরলো।
আদিবা কে দেখে মাহিনের বুক কেঁপে উঠল। এটাই কি মাহির নতুন ভাবি!! না!না! এটা কিছুতেই হতে পারে না৷ হাত মুষ্টি বদ্ধ করে তাকিয়ে আছে আদিবার দিকে৷
পিছন থেকে রিয়া বলে উঠলো, ” তুহিন ভাইয়া..!!??
চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।