#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_২২
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
“চল ফুচকা খেতে যাবি…?”
ইরিন নূরের দিকে তাকিয়ে বললো,’হ্যা যাওয়া যায়।’
নূরঃ চল।
ইরিন আর নূর কলেজের সামনে ফুচকা খাচ্ছে।
নূরঃ মামা আরেক প্লেট দেন ঝাল দিবেন বেশি করে।
ইরিনঃ এতো ঝাল কিভাবে খাস তুই..?
‘হেই কেমন আছো..?’
ইরিনঃ আসসালামু আলাইকুম মা…তুক্কো ভাইয়া।
ইরিনের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে শুভ সালামের উওর দিয়ে নূরের দিকে তাকালো।
আহ্ হাসি তো নয় যেনো তীর ছোড়লো ইরিনের বুকে সে আবারো ক্রাশ খেলে শুভর উপর,হাসির উপর প্রেমে পড়লো।
নূর শুভকে দেখেই খাওয়া বন্ধ করে রাগা ফুঁসছে।
শুভঃ নূর তুমি ঠিক আছো..?
নূরঃ ইরিন চল…
শুভ অবাক হয়ে গেলো নূরের এমন ব্যাবহারে।
নূর ফুচকার প্লেট টা রাখবে এমন সময় শুভ গিয়ে নূরের সামনে দাঁড়ালো কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে এর আগেই নূর একটা ঝাল ফুচকা শুভর মুখে ঢুকিয়ে দিলো।
শুভ বোকার মতো তাকিয়ে আছে।
নূর শুভর দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো, ‘ যখন তখন আমাকে বিরক্ত করতে আসবেন না। আপনার চেলা গুলোকে সাবধান করে দিবেন যেনো আমার আশেপাশে ঘুরঘুর না করে।যেখানে সেখানে ভাবি না ডাকে।আপনার জন্য আমি ক্লাসে ও শান্তি পাচ্ছি না। যে যেভাবে পারছে বলে যাচ্ছে। যেই শুভ ভাই কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না তাকে কি দেখিয়ে পাগল করেছি।আপনার জন্য না জানি দুই দিন পর আরো কি কি শুনতে হয়। তাই প্লিজ আমাদের থেকে দশ হাত দূরে থাকবেন!!…
শুভ চুপচাপ এতক্ষন নূরের কথাগুলো শুনলো ঝাল থেকেও বেশি জ্বালা করছে বুকে।কার এত বড় সাহস নূরকে এই সব বলে তাকে এই কলেজ থেকে বের করে দিবে।
নূর আর ইরিন চলে গেলো। শুভ এখনো তাকিয়ে আছে নূরের যাওয়ার দিকে। পরক্ষনে কাকে যেনো কল দিলো।
শুভঃ আমি দশ মিনিটের মধ্যে জানতে চাই,১০২নং ক্লাস রুমে আজ কি হয়ে ছিলো!…
——
ইরিনঃ নূর শুনলাম সামনে নাকি একটা মেলা বসেছে চল যাই।
নূরঃ না যাবো না। তুই যা।
ইরিনঃ চল না কলিজা প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
নূরঃ আচ্ছা চল।
মেলায় চুড়ি দেখছিলো নূর। মেলাটা অনেক বড়। ঘুরে ঘুরে দেখছে ইরিন। আর নূর একটা দোকানে চুড়ি হাতে নিয়ে পড়ে দেখছে ওকে কেমন লাগবে।
হঠাৎ পিছন থেকে একটা কন্ঠস্বর কানে বেজে উঠলো,’ কালো চুড়ি কেনো..? নীল চুড়ি নাও। নীল চুড়ি তোমাকে সুন্দর মানাবে।
নূর পিছন ফিরে তাকিয়ে মনে হচ্ছে এক হাজার ভোল্টেজের শক খেয়েছে। উনি এই মেলায় কি করছে..?
নূরঃ রুদ্র ভাইয়া আপনি?
রুদ্রঃ দেখতেই তো পাচ্ছো। জিজ্ঞেস করার কি আছে…
নূরঃ আপনি এখানে কি করছেন..?
রুদ্রঃ তুমি কি করতে এসেছো..?
নূরঃ আমি তো মেলা দেখার জন্য এসেছি…
রুদ্রঃ আমি ও মেলা দেখার জন্য এসেছি।
নূরঃ আপনি তো এখন হসপিটাল থাকার কথা। মেলা দেখার জন্য নিজের ডিউটি ফেলে চলে এসেছেন.!
রুদ্রঃ এত অবাক হওয়ার কি আছে। তুমি কলেজ যাওয়ার নাম করে মেলায় মেলায় ঘুরে বেড়াও। আজকে বাসায় গিয়ে চাচ্চু কে বলতে হবে।
নূরঃ একদম না রুদ্র ভাইয়া। আমি তো শুধু আজ কেই এসেছি। আর কখনো আসিনি।
রুদ্রঃ একাই এসেছো..?
নূরঃ না ইরিন ও এসেছে।
রুদ্রঃ ওওহ তোমার বান্ধবী..?
নূরঃ জ্বি… আপনি কার সাথে এসেছেন..?
রুদ্রঃ কেনো আমাকে দেখে কি তোমার ছোটো বাচ্চা মনে হয়। যে কারো সাথে আসতে হবে।
নূর আর কিছু না বলে চুড়ি দেখা শুরু করলো।
কিছুক্ষন পর রুদ্রের দিকে তাকিয়ে দেখে রুদ্র মুখ কালো করে এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছে।
নূরঃ সত্যি করে বলুন তো আপনি এখানে কার সাথে এসেছেন..? গার্লফ্রেন্ড এর সাথে তাই না..?
রুদ্র অবাক হয়ে বললো,’ কেনো গার্লফ্রেন্ড ছাড়া কি আশা যায় না..? কই কোথাও তো সাইনবোর্ড দেখছি না। যে লেখা আছে গার্লফ্রেন্ড ছাড়া আসা নিষেধ।
নূরঃ একদম বেশি কথা বলবেন না ভাইয়া। শুধু শুধু কেনো মেলায় আসবেন।
রুদ্রঃ আমি তো শুধু শুধু আসিনি।
নূরঃ তাহলে..
রুদ্রঃ নীল বললো তুমি মেলায়। তাই আমিও দুই ঘন্টার জন্য চলে আসলাম।
নূরঃ আপনাকে নীল বলেছে আমি এখানে আর আপনিও চলে এসেছেন।কি আজব আপনি বললেন আর আমি বিশ্বাস করে নিলাম।কিন্তু নীল কোথায়।
দেখো তোমাকে এই কানের ঝুমকোটা বেশি সুন্দর লাগবে।
ইরিন বিরক্ত হয়ে নীলের দিকে তাকালো। এই ছেলে আসার পর থেকে এই নিয়ে মনে হয় মেলার অর্ধেক জিনিস ওকে দেখিয়ে ফেলেছে। কখনো বলছে এটা সুন্দর লাগবে আবার কখনো ওটা।যখন ও ধরতে যায় তখনি আবার বলছে না না এটা না অন্যটা দেখো।
ইরিনঃ আপনার সমস্যা কি..?
নীলঃ এভাবে বলছো কেনো কত কষ্ট করে সব কিছু তোমাকে দেখাচ্ছি। তোমার আমাকে থ্যাংক্স দেওয়া দরকার আর তুৃমি রেগে যাচ্ছো।এটা কিন্তু ঠিক না হরিণ।
ইরিনঃ আপনাকে বলেছি আমার হেল্প করতে। এখনো ভালো করে একটা চুড়িও কিনতে পারিনি। যেটা ধরি ওটাই আপনার পছন্দ হয় না। এবার মুখে টেপ মেরে চুপ করে দাড়িয়ে থাকুন। আর একটা কথাও বলবেন না।
নূর সামনে তাকিয়ে দেখে কয়েকটা মেয়ে হা করে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। গেলো তো শান্ত মেজাজটা গরম হয়ে।
নূরঃ আপনাকে এত সুন্দর করে সেজেগুজে মেলায় আসতে কে বলেছে।.?
রুদ্রঃ আমি সেজেগুজে কখন আসলাম। আমি তো হসপিটাল থেকে এসেছি।
নূর রুদ্রের দিকে রেগে বলে উঠলো, ‘ যেখান থেকেই আসুন এখানে আসার কি দরকার ছিলো। ‘
রুদ্রঃ তুমি জানো মেলায় কতো বাজে বাজে ছেলেরা আসে। আর তুমি একটা মেয়ে বান্ধবী নিয়ে লাফাতে লাফাতে চলে আসলে।তাি আমি তোমার বডিগার্ড হয়ে চলে আসলাম।
নূরঃ আপনি জানেন না সুদর্শন পুরুষ মেলায় আসতে নেই।
নূরের কথা শুনে রুদ্র হুঁ হুঁ করে হেসে উঠলো।
নূর আর চোখে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে আবার মেয়ে গুলোর দিকে তাকালো। এখনো হা করে তাকিয়ে আছে আর এক জন আরেক জনকে কি যেনো বলছে।
নূর মিনমিন সুরে বলে উঠলো, ‘ একদম হাসবেন না আপনি৷ এমনিতে মেয়েগুলো আপনাকে দেখে ক্রাশ খেয়েছে আর আপনার এই মুগ্ধ করা হাসিতে নিশ্চয়ই এক একটার হার্টবিট মিস হয়েছে।’
নূর রুদ্রের হাত ধরাতে রুদ্র ভূত দেখার মতো চমকে নূরের হাতের দিকে তাকালো।
নূরঃ চলেন আমি চুড়ি কিনবো।
রুদ্রঃ এখান থেকে কেনো। এই চুড়ি গুলো খুব সুন্দর।
নূর একবার চুড়ি আরেক বার মেয়েগুলোর দিকে তাকিয়ে রুদ্রের হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো।
ইরিন চুড়ি নিয়েছে দুই ডজন। নূরের জন্য নিজের জন্য। কানের ঝুমকো নিয়েছেও দুইজোড়া। আরো অনেক কিছু নিয়েছে। নীল আর ওকে বিরক্ত করেনি ভদ্র ছেলের মতো দাঁড়িয়ে ছিলো।
পাশে থেকে ইরিনকে একটা মেয়ে বলে উঠলো, ‘ আপু তোমার বয়ফ্রেন্ডটা তো অনেক ভালো।তুমি ধমকানোর সাথে সাথে মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে একটু উচ্চ সুরে কথা বললে ব্রেক*আপ।
ইরিনের বলতে ইচ্ছে হলো। আপু এই বেয়াদব ছেলে আমার বয়ফ্রেন্ড না। কিন্তু কেনো যেনো আর বলতে ইচ্ছে হলো না।
নীলের সামনে এসে বললো, ‘ আমার শেষ। আপনি কি কিছু কিনবেন..?
নীল মাথা নেড়ে বুঝালো। না সে কিছু কিনবে না।
ইরিন সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে উঠলো, ‘ ওহহহ আল্লাহ ওই তো আমার ক্রাশ।কত খুঁজেছি কিউটের ডিব্বাটা কে।ওফ্ফ এই মেলায় পাবো ভাবতেও পারিনি। ‘
ইরিনের কথা শুনে নীলের চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো। হাত মুষ্টি বদ্ধ করে ইরিন যে দিকে তাকিয়ে আছে নীল ও তাকালো।
নীল সামনে তাকিয়ে থমকে গেলো। লাস্টে কিনা ইরিন রুদ্রের উপর ক্রাশ খেলো। নিজের ভাইয়ের উপর।
ইরিন খুশিতে নীলের হাত ঝাপটে ধরে বলে উঠলো, ‘ দেখ দুস্ত ছেলেটা কতো কিউট, হ্যান্ডসাম ওফ্ফ আমি তো দেখেই ফিদা।এমন একটা কিউট পুলা যদি আমার বয়ফ্রেন্ড হতো না না জামাই হতো এক সপ্তাহ রুম থেকেই বের হতাম না।’
নীলের মনে হচ্ছে ও স্বপ্ন দেখছে। এই হরিণের মাথা ঠিক আছে কাকে কি বলছে। মনতো চাচ্ছে ঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় বসাতে।
নীলঃ হরিন তুমি ঠিক আছো..
ইরিন চমকে নীলের দিকে তাকালো সে তো এই সুদর্শন যুবক কে দেখে ভুলেই গিয়ে ছিলো ওর সাথে নূর না নীল আছে। লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ছি! ছি! ছি নীল এখন ওকে ক্যারেক্টারলেস মেয়ে ভাববে।
নূর ইরিনের সামনে এসে বললো , ‘ কি রে তুই এভাবে নতুন বউদের মতো মাঝ মেলায় দাঁড়িয়ে লজ্জায় লাল নীল হচ্ছিস কেনো।’
নূরের কন্ঠ শুনে মাথা তুলে নূরের দিকে তাকালো। সাথে ওই সুদর্শন যুবক কে দেখেও ফিরে তাকালো না। এই যুবকের জন্য আজ ওর মাথা কাটা গেছে ভুলেও আর এই যুবকের দিকে ও তাকাবে না।
ওর কি দোষ ও যাকে দেখে তার উপর ক্রাশ খায়। ওর জীবনে ওর দেখা এমন কোনো ছেলে নেই যে ও ক্রাশ খায়নি। শুধু বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে পারবে ওর সাথের এই নীল ছেলেটির উপর ও কোনো দিন ক্রাশ খায়নি। তবে, তবে হাজার বার মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থেকেছে এই ছেলেটির দিকে। নীল কি কখনো বুঝতে পেরেছে তার দিকেও কোনো মেয়ে এতটা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। নীল যথেষ্ট সুন্দর ছেলে যে কোনো মেয়ে প্রথম দেখায় প্রেমে পরতে বাধ্য।
———
রিয়া বই সামনে বসে আছে আর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মাহিন কে দেখছে।
মাহিন রিয়াকে এক ধমক দিয়ে বলে উঠলো, ‘ এই মেয়ে পড়া বইয়ের দিকে আমার দিকে না। আজ যদি পড়া না পারো আমার হাতে সত্যি মার খাবে।’
রিয়াঃ আমি আপনার দিকে তাকাই নিতো স্যার আমি তো আপনার মাঝে একটা জিনিস খুজতে ছিলাম।
মাহিনঃ রিয়া বেশি কথা না বলে পড়ায় মনযোগ দাও।
রিয়াঃ শুনতে চাইবেন না স্যার। কি খুঁজছি।
মাহিনঃ আমার একদম শুনার ইচ্ছে নেই।
রিয়াঃ কিন্তু আমার তো বলতে ইচ্ছে হচ্ছে।
মাহিন বিরক্ত হয়ে রিয়ার দিকে তাকালো।
রিয়াঃ স্যার আপনার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলো তাও আপনি এতো শান্ত আছেন কিভাবে। আপনার মুখে তো দেবদাস-এর কোনো কিছুই দেখছি না। আপনি তো এতক্ষনে প্রেমিকার শুখে দেবদাস হয়ে যাওয়ার কথা।
মাহিনঃ ফালতু বকবক না করে চুপ করে থাকো। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেদের প্রেমের শুখে দেবদাস হলে সংসার দেখবে কে। আর আমি কাল থেকে আর আসবো না।আমার চাকরি হয়েছে।
রিয়াঃ স্যার আপনার চাকরি হলো আর আপনি এই মাত্র বললেন। এটা কিন্তু একদম ঠিক করেননি কষ্ট পেলাম স্যার।মিষ্টি কোথায়..?
মাহিনঃ খুব জলদি বিয়ে করছি একসাথে না হয় বিয়ের মিষ্টি ও খাওয়াবো।
মাহিনের মুখে বিয়ের কতা শুনে হাসি হাসি মুখটা চুপসে গেলো। চোখে জল চিকচিক করে উঠলো। খুব যত্ন করে চোখের পানি আড়াল করে নিলো রিয়া। না আর কিছুতেই এই মানুষটার সামনে সে দুর্বল হবে না। অনেক বেহায়া পনা করেছে আর করবে না।
আজ থেকে তিন মাস আগে প্রপোজ করে ছিলো তখনি মাহিন ওকে বলে দিয়েছে ও অন্য কাউকে খুব ভালোবাসে। তারপর অনেক কষ্টে জানতে পেরেছে মেয়েটির নাম আদিবা কিন্তু সে কি জানতো সেই আদিবা ওর ভাবি হয়ে যাবে। স্যার তার মনের কথা তার প্রেয়সীকে বলার আগেই ছ্যাঁখা খেয়ে যাবে।
———
রাতে মাথা ধরে আছে তাই নূর গেলো কফি বানাতে। কফি বানাতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছে অনেকক্ষানি জায়গা ফুসকা পড়ে গেছে। নূর এবার ভ্যা ভ্যা করে কান্না করে দিলো।
রুদ্র ড্রয়িং রুমে বসে ছিলো নূরের কান্নার আওয়াজ শুনে তারাতাড়ি রান্না ঘরে উঁকি দিলো। নূর হাত বারবার ঝারা দিচ্ছে চোখ দিয়ে পানি পরছে।
রুদ্র অস্থির হয়ে এসে নূরের হাত ধরে বললো,’ তোমার হাত পুড়ল কিভাবে..?’
নূর কান্না বন্ধ করে রুদ্রের দিকে তাকালো। রুদ্র কে দেখে মনে হচ্ছে হাতটা নূরের না রুদ্রের পুড়েছে।
নূরঃ কফি বানাতে এসে ছিলাম। পাতিলে হাত লেগে পুড়ে গেছে বলে আবার কান্না শুরু করলো।
আনিতা বেগম মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনে তারাতাড়ি এসে দেখেন মেয়ে হাত পুড়িয়ে দাঁড়িয়ে কান্না করছে৷
রুদ্র নূরকে ড্রয়িং রুমে আসতে বলে নিজের রুমে গেলো।
একটু পর একটা মলম এনে যত্ন করে হাতে লাগিয়ে দিলো।
নূর হাতের ব্যথা ভুলে রুদ্রের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রিলো। আচ্ছা ও কি আবার কারো মায়ায় জরাচ্ছে।
ইতিমধ্যে বাসার সবাই এসে ঘিরে ধরলো নূরকে। মাহিতো নূরকে জড়িয়ে ধরে আছে। একটা মাত্র আদরের ছোট বোন তার। হাত অনেকটাই পুড়ে ফুসকা পড়ে গেছে।
রুহি মনে মনে খুশি হলেও মুখটা কালো করে দাঁড়িয়ে আছে, ‘ইইসস নূর কষ্ট হচ্ছে…? ‘
চলবে….
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।