#দেওয়ানা (আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়
#পর্বঃ_০৩
🍂
ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলছি আমি। কি দোষ করলাম যার কারণে আমার সাথে এতটা বাজে ব্যবহার করল লোকটা তা জানা নেই। এই জন্য ভার্সিটিতে যেতে চাইনি আমি। কিন্তুু দাদী আমার কথা শুনল না। কিন্তু দাদীকে এবার আমার কথা শুনতে হবে। আজকের সব ঘটনা গুলো বলে আমি আর ভার্সিটিতে যাব না। আর না ঐ বাজে লোকটার সামনে পড়ব হুহ্। যে ভাবা সেই কাজ, চোখ মুছে হাঁটা ধরলাম দাদীর রুমের দিকে উদ্দেশ্য দাদীকে সবকিছু খুলে বলা। ধুপধাপ পা ফেলে দাদীর রুমে ঢুকে দাদীর কে কিছু বলতে না দিয়ে আমি কাটকাট গলায় বলে উঠি
—“দাদী আমি আর ঐ বাজে ভার্সিটিতে যাব না। ঐখানের ছেলেরা ভালো হয় না। বাজে হয়। তাই আমিও আর পড়বো না ঐখানে।
আমার হঠাৎ আগমনে চমকে যান দাদী। আমার দিকে তাকিয়ে আতংকে উঠে যেন। তাৎক্ষণিক দৌড়ে আসে আমার কাছে দাদী। আমাকে অস্থির বংগিতে পরখ করতে করতে প্রশ্ন করেন…
—” কি হয়েছে সোনামা তোর? এ অবস্থা কেন?
দাদীর কথায় ঠোঁট ভেঙ্গে কান্না চলে আসলো আমার।দেরি না করে মূহুর্তেই ঝাপটে ধরলাম দাদীকে। জরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে খোলে বললাম সবকিছু। সব শুনে দাদী আমাকে শান্তনা দিতে লাগলো। আমার পিঠে আদুরী হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে বললো…
—” সোনামা ভয় পাসনা। আমরা আছি তো তোর সাথে। তাছাড়া ভার্সিটিটি তোর দাদাজানের। তাই যে তোর সাথে বাজে ব্যবহার করেছে তাকেও তোর দাদাজান ছাড়বেনা না। খুঁজে বের করে পুলিশে দিবে। আমি তোর দাদাজানকে সব বলব এই বিষয়ে। তুই ভয় পাসনা কেমন। এবার যাহ তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়। তিনটা বেজে গেছে গোসল করে দুপুরের খাবার খেতে আয়। আমি তোর জন্য নিচে অপেক্ষা করছি যাহ।
দাদীর কথা গুলো মনে ধরলো আমার। কথা না বাড়িয়ে মাথা নাড়ালাম। অতঃপর দুপুরের খাবার খেয়ে সারা বিকাল ও রাতে দাদীর সাথে গল্প করে পার করলাম। দশটার দিকে নিজের রুমে এসে ঘুমিয়ে পরি,,,,
রিদ মায়াকে বাসায় পাঠিয়ে সে তার কাজে চলে যায় আরাফ খানের সাথে দেখা করে। এবং একেবারে রাতে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে ডিনার করার জন্য নিচে নামতে নামতে এদিক ওদিক চোখ বুলাই চারপাশে। যেন কাউকে খুজে চলছে তার অশান্ত চোখ জোড়া। খুঁজে না পেয়ে ঘড়ি দিকে তাকায় ১২ঃ১৫ বাজে। অনেকটা রাত হয়ে গেছে হয়তো ঘুমিয়ে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষ। রিদ চুপচাপ নিচের চলে আসে। নিঃশব্দে ডাইনিংয়ের চেয়ার টেনে বসে পড়ে। সেখানে আগের থেকেই তাঁর দাদা-দাদি তার জন্য অপেক্ষা করছিল খাবার নিয়ে। রিদ বসার সাথে সাথে দাদী হাসি মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে প্লেটে। আশেপাশে কাজে লোকরা দাঁড়িয়ে আছে কারণ হেনা খাঁন নিজের হাতে সবাইকে খাওয়াতে পছন্দ করে তাই। রিদ সকালে নাস্তা আর রাতের ডিনার দাদা-দাদী সাথে করে কিন্তুু দুপুরের খাবারটা বাহিরে খায় সবসময়। মায়া সকালের নাস্তা রিদ যাওয়া পর করে। আর রাতের ডিনার রিদের আসার আগে। কারণ রিদের ভয়ে তাঁর সামনে আসতে চাই না মায়া। হেনা খাঁন রিদকে খাওয়ার তুলে দিয়ে ফিরে আসে আরাফ খানের দিকে। স্বামী প্লেটে খাবার তুলে দিতে দিতে আরাফ খানকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে….
—” আজ নাকি মায়া সাথে কেউ ভার্সিটিতে অসভ্যতামি করেছে। তুমি কি জানো এই বিষয়ে কিছু? বাসায় ফিরে মেয়েটা কান্না করতে করতে শেষ। ভিষণ ভয় পেয়েছে মেয়েটা।
—” কি আজকে ঘটনা এটা?
—” হুমমম! আজকের ঘটনা। মেয়েটা ভার্সিটি থেকে নাজেহাল অবস্থায় ফিরেছে। দুটো হাতে কেটে ছিঁড়ে গেছে অনেক। ভয়ও পেয়েছে ভিষণ। আমাকে বলছে যে ওহ নাকি আর ভার্সিটিতে যাবে না। পড়াশোনা করবে না। এমনিতেই আমি ওকে ভার্সিটিতে পাঠাতে পারি না। যেতে চাই না ভার্সিটিতে। আর এখন তো আরও যেতে চাইছে না। তুমি দেখত! কে এই বাজে কাজটা করল। কার এত বড় সাহস আমার সোনামা দিকে হাত বাড়ায়।
—” কি বলছো এসব সোনামার সাথে আমার ভার্সিটিতে একটা ছেলে অসভ্যতামি করছে! আর তুমি সেটা আমাকে এখন বলছ,,, ( ভিষণ রেগে) কি হয়েছিল সোনামা সাথে আমাকে বলো।
হেনা খান নিজের স্বামীকে সবটা খুলে বললেন কি হয়েছে তা সোনামা সাথে। সবটা শুনে রাগান্বিত হলো আরাফ খান।
—” কিহ? আমাদের গার্ড দিয়ে ডাকিয়েছে তাও আবার আমার অফিস রুমে? কতো বড় সাহস। আচ্ছা সোনামা কি গার্ডটাকে চিনবে দেখলে? তাহলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আমি ও ছেলেকে ধরে জেলে দিব।
রিদ এতক্ষণ যাবত নিরব স্রোতার মতোন সবটা শ্রবণ করে যাচ্ছিল। খুব মনোযোগ সহকারে নিজের খাবার শেষ করে উঠে দাঁড়ালো দাদাভাইকে উদ্দেশ্য বলল…
—” এখানে সাহসের কিছু নেই দাদাভাই! তবে তোমার নাতনিকে বলে দিও কাউকে পুড়ানোটা ছেড়ে দিতে! তাহলে সেও জ্বলানোটা বন্ধ করে দিবে’।
বলেই টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে চলে যেতে যেতে আবারও বলে উঠে…
—” তোমার নাতনিকে ভালো হতে বলে দাও দাদাভাই। নয়তো কাঁপলে দুঃখ আছে ভবিষ্যতে।
কথা গুলো বলেই রিদ হনহন করে নিজের রুমে প্রস্তান করলো। পিছন থেকে রিদ চলে যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল হেনা খান আর আরাফ খান। মূলত তাদের মাথায় এটা ঢুকছে না যে, মায়া কি এমন করেছে আর রিদই বা কি বলে গেল তাদের। কনফিউজডের ছড়াছড়ি। সবকিছু নিয়ে ভাবতেই নিজেদের মাথা খালি খালি লাগছে এ মুহূর্তে, তাদের,,,
ড্রয়িংরুমে সোফায় বসে সামনে টেবিলে একগাদা বই নিয়ে বসে আছি আমি। সাথে আছে আমার ভিলেন দাদী। আমি যাতে পড়া রেখে না ঘুমাতে পারি তাই আমাকে রুম থেকে এনে ড্রয়িংরুমে পড়াচ্ছে তিনি। পড়া নামক প্যারা এখন সহ্য করতে হচ্ছে বলে অসহ্য লাগছে ব্যাপকভাবে আমার। তাই বই হাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছি সারা টেবিল জোরে। তখনই দাদী ফোন বেজে উঠে। ফোনে দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। আমি জানি কে কল করেছে দাদীকে। ছোট ফুপির কল করেছেন। আমি পড়া বাদ দিয়ে দাদীর কথা শুনছিলাম বসে বসে।
কথা বলার একটা সময় ফুপি জানি কি বলল দাদীকে, তা জানিনা! তবে দাদী তৎক্ষনাৎ বলে উঠে…
—” হ্যাঁ আমার রুমে। তুই কি এক্ষুনি দেখতে চাইছিস।
—“(…)
—” আচ্ছা দাঁড়া! দেখাচ্ছি।
বলেই দাদী উপরে নিজের রুমে দিকে যেতে যেতে আবার পিছন ফিরে আমাকে উদেশ্য করে বলে,,,
—” খবরদার মায়া ঘুমানো চেষ্টা করবি না পড়া রেখে। আমি যাব আর আসব। আর শুন! একটা ছেলে আসবে দুইটা ফাইল নিয়ে তোর দাদাজানের ফাইল ঐ গুলা,,, আমি উপরে যাচ্ছি, তুই ফাইল গুলো ছেলেটার কাছ থেকে নিয়ে নিস কেমন। ছেলেটা তোর দাদাজানের অফিসের বিশ্বস্ত লোক। তাই কাজে লোককে বলিস ছেলেটাকে নাস্তা দিতে ঠিক আছে।
আমি হ্যাঁ বললাম। দাদী চলে গেল। আমি সাথে সাথে বই বন্ধ করে দিলাম। কিসের কি পড়া আবার হুহ। আহা কি শান্তি! কি শান্তি!
কিছুক্ষণ মধ্যেই কলিংবেলের আওয়াজ কানে আসতেই দাদীর কথা মনে পরলো। কাজে লোকের আগে আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। সামনে তাকাতেই ফাইল গুলো চোখে পরে আমার। কারণ যে লোক ফাইল নিয়ে দাড়িয়ে আছে সে এত লম্বা যে আমি তার বুক পযন্ত পরি আর লোকটা ফাইল গুলো একহাতে বুকে চেপে ধরে আছে তাই তার দিকে কষ্ট করে তাকানো প্রয়োজন বোধ মনে করিনি। আমি তৎক্ষনাৎ দুই হাত বাড়িয়ে বলি…
—” দিন ফাইল গুলো আমাকে দিন।
কিন্তুু অদ্ভুত ছেলেটা নড়াচড়া না দেখে আমি নিজেই টান দিয়ে ফাইল গুলো নিয়ে নিজের বুকে সাথে চেপে ধরলাম। ছেলেটার দিকে না তাকিয়ে সামনে ঘুরে বললাম…
—” আসুন ভিতর আসুন! সোফায় বসুন! আমি আপনার জন্য নাস্তার ব্যবস্হার করছি। আপনি বসুর।
রিদ এতক্ষণ মায়া কান্ড বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আসলে সে আসার সময়, আরাফ খানের কাছ থেকে ফাইল গুলো নিয়ে এসেছিল। কারণ সে চাই না তার বাড়িতে বাহিরের লোক আসুক। আগে সে নিজেই তার বাড়িতে মিটিং করত। কিন্তুু মায়া রিদের সামনে আসার পর থেকে সে খান বাড়িতে মিটিং করা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তার এখন বাহিরের লোক আসাটা পছন্দ করে না। কেন পছন্দ করে না, সেটা সে নিজেও জানে না। সে শুধু জানে তার বাড়িতে কেউ না আসুক ব্যাস! মূলত সে এই জন্যই নিজে ফাইল গুলো নিয়ে আসে। কিন্তুু হঠাৎ করে মায়া তাকে এত আপায়্যান করছে কেন? কি এমন হলো যে আজ হঠাৎ করে বউ বউ হয়ে গেল? যে তাকে নাস্তা খেতে বলছে! বাকি সময় তো রিদের সামনে আসতে চাই না! তাকে ভয় পায় বলে শুধু পালিয়ে বেড়ায় তাহলে আজ? ভাবতে ভাবতে গিয়ে সোফায় বসল রিদ। মায়া কাজে লোক দিয়ে নাস্তা এনে রিদের সামনে রাখে। রিদকে দেখে কাজে লোক মায়াকে কিছু বলবে, তার আগেই হাতে ইশারায় তাদের চুপ থাকতে বলে রিদ। কারণ রিদ ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে মায়া তাকে না চিনে আপ্যায়ন করছে তাই সেটা মিস করতে চাইছে না সে। মায়া রিদকে নাস্তা দিয়ে নিজের বইয়ের উপর তিনটা ফাইল রাখল এবং সোফায় না বসে নিচে ফ্লোরে বসল। টেবিলের উপর হাত দিয়ে ফাইল গুলো দেখতে থাকে, ইয়া বড় মোটা মোটা ফাইল তার উপর নাম লেখা আছে আরাফাত খান দ্বিতীয়টাতে ও তাই আছে , কিন্তু তৃতীয়টাতে চোখ পরতেই মায়া চমকে উঠে রিদের দিকে তাকায়। চোখ বড় বড় করে বলে…
—” একি উনার(রিদ) ফাইল কেন এনেছেন আপনি? জানেন উনি শুনলে কি হবে আপনার?
কথা গুলো বলেই মায়া আবার ফাইল দিকে তাকায়। রিদ খানিকটা কৌতুহল বশে বলে…
—” কেন? কি হবে?
—” কেন আপনি জানেন না বুঝি? আপনার চাকরি থাকবে না খেয়ে ফেলবে উনি। ডিসমিস করে দিবে সবকিছু থেকে। আর শুনুন! আমি বুদ্ধিটা দিলাম তাই আমার নাম কিন্তু আপনার স্যারকে বলবেন না বলে দিলাম হুহ্ ,,,,,,
—” অকারণে কাউকে চাকরির থেকে বের করে হয় না। দোষ করলে বের করা হয় বুঝছ? আর তোমার কথা কেন বলব না? (ভ্রু কুঁচকে)
রিদের কথায় খানিকটা উত্তেজিত হলো মায়া। ভয়ার্ত কন্ঠে বলল…
—” প্লিজ প্লিজ আমার কথা বলবেন না উনাকে। কারণ উনি আমাকে একদম সহ্য করতে পরে না। এখন যদি শুনে আমি উনার জিনিসপত্রে হাত দিয়েছি তাহলে উনি আমাকে বকা দিবেন। তাই প্লিজ কিছু বলবেন না। প্লিজ!
মায়ার কথায় দীর্ঘশ্বাস ফেলল রিদ। আস্ত একটা মানুষকে পুড়াচ্ছ অথচ সে কিছু বলছেনা। সেখানে সামান্য তুচ্ছ জিনিসপত্র হাত দিয়া তো কিছুনা।
—” ঠিক আছে বলব না।
—” ধন্যবাদ আপনাকে।
বলে পুনরায় ফাইলটা দিকে তাকায়। বড় বড় অক্ষরের উনার(রিদ) নামটা মধ্যে নিজের হাত বুলাতে লাগলাম। পাশ থেকে সূক্ষ্ম নজরে উনি আমার কাজ দেখছেন হয়তো বুঝা চেষ্টা করছেন আমি কি করতে চাচ্ছি। আমি বিষয়টিতে বিশেষ একটা মাথা ঘামালাম না। পূর্বের মতো ফাইলের উপর উনার নামটাকে দেখতে দেখতে বলে উঠি…
—” আচ্ছা! আপনার স্যারের কি কোনো গালফ্রেন্ড আছে?
—” না (সোজাসাপটা উত্তর)
—” আপনি এত শিওর কিভাবে হন? (ফাইল দিকে তাকিয়ে)
—” আমি জানি তাই।
—” কিভাবে? আপনাকে কি উনি বলেছেন এসব? আচ্ছা আপনাকে একটা কাজ দিলে করতে পারবেন। আপনি উনার(রিদ) গফ আছে কিনা আমাকে বলবেন। আর আমি! দাদাজানকে বলে আপনার প্রমোশনের ব্যবস্থা করিয়ে দিব। কি পারবেন কিনা বলেন।
—” বললাম তো গার্লফ্রেন্ড নেই। তুমি কি করবে এসব জেনে? কি কাজ তোমার?
—” আমারই তো সব কাজ। কারণ আমার জন্য উনি ঝামেলায় পরতে হয়েছে। আমি এই বাড়িতে একটা বিশেষ কাজে জন্য আছি। যতক্ষণ না কাজটা হচ্ছে আমি এই বাড়ি আর উনাকে মুক্তি দিতে পারব না। তাই আমার জানাটা জরুরী যে, উনার লাইফে বিশেষ কেউ আছে কিনা। তাছাড়া আমি কারও কাছে ওয়াদা বদ্ধ হয়ে আছি। তাই আপনি আমার কাজটা করে দিবেন তো আমি আপনাকে আপনার ন্যায্য পারিশ্রমিক দিব।আপনার জন্য যদি কারও জীবন বেঁচে যায় তো সেটা আপনার প্রাউড ফিল করা দরকার তাই না।
কথাটা বলেই আমি আর কোনো দিক না তাকিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের রুমে যেতে যেতে আবার বলে উঠি,,,,,
—” ভেবে দেখবেন বিষয়টি। আমি আশায় রইলাম কাল আমাকে জানাবেন অবশ্যই। দাদাজানকেও বললে হবে, দাদাজান আমাকে বলে দিবে।
বলেই চলে আসলাম নিজের রুমে। বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম এই মূহুর্তে ভিষণ ঘুম পাচ্ছে আমার ভিষণ।
চলবে,,,,,,,,,,