দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_২৬

0
973

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_২৬

🍂
মায়া এক রুমে কোনায় বসে দীর্ঘ এক ঘন্টা যাবত কান্না করেই চলছে দুঃখে, কষ্টে, আর ভয়ে, সিটিয়ে আছে,,, মায়া হিচকি তুলে কান্না করেই চলছে আর বারবার হাত দিয়ে চোখে পানি মুছতেছে আড়চোখে রিদকে দেখছে,,,

রিদ মায়ার এমন কান্ড দীর্ঘ এক ঘন্টা যাবত দেখে চলছে শান্ত দৃষ্টি রেখে,, মায়ার ঠিক সামনে সোফায় আরাম করে বসে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়ার কান্না ভরা ফুলা চোখ মুখের দিকে,,,

রিদ আরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে তাকার পর, মায়ার দিকেই দৃষ্টি রেখে তার বডিগার্ড আসিফকে ডাক দেয় চিৎকার করে,,, রিদের ডাক শুনে মায়া মূহুর্তের কেঁপে ওঠে,, আর সাথে সাথে রুমে ঢুকে আসিফ হতত্মভ হয়ে রিদের সামনে যেতেই ডাক দেয়,,,” ভাই…

আসিফের ডাক কানে আসতেই রিদ তার দৃষ্টি সরিয়ে আসিফের দিকে তাকায়, পরে ঝটপট উত্তরে আসিফ কে উদ্দেশ্য করে বললো…..

—” আসিফ তোর ভাবির জন্য একটা বড় পাতিলে করে ফুটন্ত গরম আনবি, আর অন্যটাতে ঠান্ডা পানি,, আর তোর ভাবির থেকেও বড় মোটা একটা লাঠি আনবি বুঝেছিস,,,, আর এই বউ তোমার হাইট জানি কতো, পাঁচ ফুট না তুমি,, (মায়াকে উদ্দেশ্য করে ভ্রু কুঁচকে) হে তাই, আসিফ লাঠিটা যেন তোর ভাবির থেকে দুই ইঞ্চি বড় হয়, আর সাথে করে একটা দাঁড়ালো বড় দেখে ছুরি ও দিয়ে যাস তোর ভাবির জন্য,,, আর আমার কাছে তো বন্ধুক আছেই,,, বউ চলবে না তোমার এতে নাকি আরও লাগবে,,, (আদুরি গলায়)

মায়া কোনো উত্তরের আশা না করেই আবারও আসিফকে ঝটপট তাড়া দিয়ে উদ্দেশ্য করে বললো…

—” আসিফ যাতো তাড়াতাড়ি,, আমার অনেক ক্ষুদা লেগেছে তো দেখছিস না অনেক রাত হয়ে গেছে, রাত ৪ঃ১৮ বাজে তো,,, যা তাড়াতাড়ি করে সব গুলো নিয়ে আয়,,,

আসিফ রিদের কথায় কিছু বুঝতে না পেরে, শুধু নিজের মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানায়, পরে এক পলক মায়াকে দেখে নিজের মতো করে হেঁটে চলে যায় রিদের দেওয়া কাজ সম্পূর্ণ করতে,,,,

রিদের কথা শুনে মায়া নিজেকে আরও গুটিয়ে নেয় ভয়ে,,,, মায়ার কান্না বেগ আরও বেড়ে যায় কিন্তুু রিদের ভয়ে নিজের দুহাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে কান্না করতে লাগে,,, এবার হিচকি মাত্রা আরও বেড়ে যায় যে মায়ার নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে অনেক,,,,

রিদ তার কথা শেষ করে মায়ার দিকে আবারও শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, পরে নিজের হাতে বন্ধুকটা টেবিলের ওপর শব্দ করে রাখে,,, এতে মায়া আবারও কেঁপে ওঠে,,, এবং রিদ নিজের বন্ধুকটা মায়ার সামনে ঘুড়াতে থাকে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে,,,,

কেউ কিছু বলছে না,,, রিদ কিছুক্ষন তাকিয়ে পরিই আসিফ রুমে প্রবেশ করে এবং স্থির গলায় ডাক দিয়ে বললো….

—” ভাই,, জিনিস গুলো কই রাখবো,,,,

রিদ আসিফে দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বললো…

—” এতোক্ষণ লাগে,,, তোর ভাবিকে কি কাঁদিয়ে শান্তি পাস নাকি,,, তাড়াতাড়ি এই গুলা ওর সামনে রাখ,,, আর শুন বাহির থেকে দরজাটা লক করে দিস আমি না ডাকা পযন্ত কেউ যাতে ডিস্টার্ব না করে,,, এবার যা তুই….

আসিফ এবারও নিজের মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানি চলে যায় আর বাহির থেকে রিদের রুমে দরজাটা লক করে দেয়,,,

দরজা লক করতেই রিদ নিজের বন্ধুকটা রেখে, সব গুলো জিনিসে চোখ বুলাই,,, তারপর কিছুটা চিন্তা শুরে মায়াকে উদ্দেশ্য করে বললো…..

—” বউ,, আগে তোমাকে কেটে ফুটন্ত গরম পানিতে ধুলে ভালো হবে নাকি আগে ধুয়ে পরে ছুরি দিয়ে কাটলে ভালো হবে কোনটা বলতো,,, (চিন্তা করে ছুরিটা স্লাইড করতে করতে)

মায়া ভয়ে ভরকে আছে, এই বুঝি আজ তার শেষ দিন,, রিদ কি তাকে রান্না করা ছাড়ায় খেয়ে ফেলবে গরম পানিতে ডুবিয়ে,,, ভাবতেই মায়ার দমটা আটকে আসছে নিশ্বাসটা যেন আরও বন্ধ হয়ে গেছে,,,, ঠিক মতো নিজের নিশ্বাস টাও নিতে পারছে না,,, রিদ কিছু করার আগে হয়তো মায়া নিজের ভয়ে আর নিশ্বাসের কারণে মারা যাবে এমন অবস্থা আছে…..

মায়ার ভয়টা আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় রিদের কথায়,, রিদ আবারও মায়াকে তাড়া দিয়ে বললো,,,

—” বউ নাকি বন্ধুকটা ভালো হবে মারা জন্য বলতো,,,(বন্ধুকটা হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে)

মায়া করুন ভাবে রিদের দিকে তাকায় অসহায় ফেস করে, কিন্তুু কোনো উত্তর দেয় না রিদের কথায়, স্থির বসে নিজের জায়গায়,,, মায়ার কোনো নড়াচড়া না দেখে রিদ মায়ার দিকে চোখ তুলে তাকায় পরে মায়ার অবস্থা দেখে শান্ত ভাবে ওকে হাতে ইশারায় কাছে ডেকে বললো….

—” এদিকে আসো,,,

এবারও মায়ার কোনো পরিবতন না দেখে রিদ কিছুটা ধমক সুরে বললো….

—-” তুমি কি আমার কাছে আসবে নাকি ছুরি নিয়ে তোমার পেট আমি ফুটো করে দিব কোনটা বল,,, (দাঁতে দাঁত চেপে)

রিদের ধমকিতে মায়ার কেপে ওঠে,,, ভয়ে রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে করে উঠে দাঁড়িয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে রিদের সামনে দাঁড়ায় নিজের কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করে….

মায়া রিদের সামনে আসতেই রিদ টেবিলে ওপর থেকে লাঠিটা নিয়ে উঠে দাঁড়ায় মায়ার সামনে,, রিদের এমন কাজে মায়া কেপে উঠে ভয়ে দু কদম পিছিয়ে যায়,,, মায়ার পিছিয়ে যাওয়াতে পায়েলের ঝনঝন শব্দে রিদের কানে আসতেই ভ্রু কুঁচকে আসে ওর,,,, পরে এক পলক মায়াকে দেখে কিছু না বলে উল্টো ঘুরে ব্যাডের স্লাইডে গিয়ে বসে পরে,,, মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে চোখের ইশারায় আর লাঠি দিয়ে খুঁচা দিয়ে জায়গায় দেখিয়ে বললো,,,

—” এখানে এসে দাড়াও চুপচাপ,,, (শান্ত ভাবে)

মায়া বাধ্য মেয়ে মতো রিদের ইশারা করা জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে পরে মাথা নিচু করে,,,, মায়া সামনে আসতেই রিদ হাতে থাকা লাঠিটার মাথা দিয়ে ফ্লোরে আস্তে করে বারি দিয়ে শব্দ করে চলছে, আর এতে করে মায়া ভয়ে বারবার কেঁপে উঠছে,,,,

রিদ শান্ত গলায় মায়াকে বললো….

—” আমাকে ভয় পাও, (মায়া মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে)
গুড বেশি বেশি করে ভয় পাবে ঠিক আছে,, আর ভয় পাওয়া শাস্তের জন্য ভালো,,, এবার বলো কি কি প্লেয়িং আছে তোমার পেটের ভিতর পালানোর জন্য,,, যদি না বলো তো লাঠিটা দিয়ে,,, নাহ লাঠি দিয়ে না ঐখানে যে ছুরিটা আছে ঐটা দিয়ে তোমার হাতে পায়ে লগ্ একটা একটা করে কাটবো আমি দ্বিতীয় বার আর প্রশ্নও করবো না….. এবার তাড়াতাড়ি করে পেট থেকে বের করো সব…. (তাড়া দিয়ে)

মায়া ভয়ে কাচুমাচুম করে, কিছু বুঝতে না পেরে কাঁপা কাঁপা গলায় আস্তে করে বললো,,,,

—-” কিসের পালানোর প্লেয়িং,,, (নাক টেনে)

রিদ কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললো….

—-” তোমার সলিড পালানোর প্লেয়িং বাড়ি থেকে,,, এখন বলোনা যে তুমি কিছু জান না, আমি সব শুনেছি, আর তোমার কি মনে হয় এত সোজা সবকিছু.. আমার থেকে পালানোটা তোমার কাছে ইজি মনে হয়,,, ( ভ্রু কুঁচকে)

মায়া রিদের কথায় আমতা আমতা করে বললো…

—-” আশিক মিথ্যা কথা বলেছে আপনাকে,,, পাতানো ভাইয়াটা না সবসময় এমন করে,,,, দাদীর সাথে ও মিথ্যা বলে আমার নামে,,, সব সময় পটপট করে মিথ্যা বলে আমাকে বলার সুযোগ ও দেয় না,,,, এটা তো অনন্যায় তাই না এজন্য দাদীকে আমি বলেছিলাম যাতে ওর পাপ কাজ থেকে মুক্তি করে দিতে চাকরি থেকে বের করে দিয়ে সবাইকে একসাথে,, কিন্তুু দাদী আমার কথা শুনেনি,,, এবার হলতো আপনাকেও পাতানো ভাইয়াটা মিথ্যা বলেছে,,, সত্যি বলছি আমি,,, (অসহায় ফেস করে)

রিদ মায়ার দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে….

—” আমি তোমাকে কখন বললাম যে আশিক আমাকে বলেছে এসব কথা হুম,,,, আর যদি তোমাকে সুযোগ দেওয়া হয় তো তুমিও বুঝি মিথ্যা বলতে,,,? (মায়া নিজের মাথা উপর নিচ করে নাড়িয়ে সুমতি জানা যার মানে সে সুযোগ পেলে বলতো)

রিদ কিছুটা উচুস্বরে বলে উঠে,,,,,

—-” ইডিয়েট….. তোমার পালানোটা এত সোজা নয়, আমি থাকতে তো নয়ই,,, তাই সব বাদ,, (খানিকটা থেমে আবারও বললো) একচুয়েলি তোমার ভুলটা কোথায় জানো, আমার সামনে আসাটা “উহুম,,, সামনে আসাটা ফ্যাক্ট না জ্বালানোটা ফ্যাক্ট,,, তোমাকে কবে দেখেছি জানো আমাদের বিয়ে ঠিক তিন দিন পর সকালে বাগানে মধ্যে সবার সাথে হেসে কথা বলছিলে আর কিছু একটা করছিলে,,, আর তুমি আমায় কবে দেখছো জানো আড়াই মাস পর তাও আবার মার্কেটে তোমার ফোন ভেঙে ছিলাম তখন,,, তোমার সাথে এমন করি কেন জানতে চাও না তুমি,,, তোমাকে সব জানাবো কিন্তুু তখন যখন তুমি নিজেই আমার কাছে জানতে চাইবে তার আগে নয়,,,, আমার থেকে পালানোর রাস্তা আমি ঠিক সে দিনই বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম সবক্ষেত্রেই,,, তাই চাইলেও উড়তে পারবে না তুমি সেই সব পথে বন্ধ তোমার জন্য,,,, (শান্ত সুরে)

রিদ কিছুক্ষন থেকে থেকে আবারও কৌতুহল চোখে মায়াকে বললো,,,,

—” আচ্ছা বিয়ে আগে কি কখনো কাউকে পছন্দ করতে মনেমনে,,,, কারণ তোমার ছোট থেকে এই পযন্ত আসা সবটাই আমার জানা,,, প্রেম ভালোবাসা কি কখনোই বুঝে উঠতে পারনি তুমি,,, আর পারবে কি করে সারাদিন মায়ের আচল ধরে রাখলে তো আর পারা জায় না তাই না,,,, আর পড়াশোনা কথা তো বাদই দিলাম,,, এখন বল মনে কথা গুলো আমার সবটা জানা চাই,,, কি কাউকে পছন্দ করো মনে মনে……

রিদের কথা গুলো শুনে খুব সুন্দর করে নিজের মাথা উপর নিচ নাড়ায় যা অর্থ হ্যাঁ তার পছন্দ আছে
পরে কিছুটা স্বাভাবিক কন্ঠে বললো….

—-” মনে মনে না প্রকাশেই পছন্দ করি আমি ওদেরকে প্রেম করার জন্য দাদীও জানে,,,,

রিদ রেগে চোখ মুখ শক্ত করে বললো,,,,

—” তোমার প্রেম করার জন্য কে কে আছে লিস্টে শুনি,,, একটু বলবেন নাম গুলো (দাঁতে দাঁত চেপে)

মায়া কিছুটা চিন্তা সুরে বললো….

—” অনেকই তো আছে,,, দাদাজান, আশিক বাঁধে আমার বাকি চারজন বডিগার্ড,, ড্রাইবার কাকু, বাগানে কাজ করে ছয়জন বাগানকাকু, বাড়ির ভিতরে আছে ভালো কাকু, দুজন সেইফকাকু, আর গেটের দু’জন দারোয়ান কাকুও আছে লিস্টে,, সবাইকে আমার পছন্দ তাই ওদের সাথে প্রেম করবো,,,

মায়ার কথা শুনে রিদ খানিকটা রেগে বললো,,,

—” পারফেক্ট,,, সব কয়টার চাকরি শেষ এবার,,,, তা তোমার এত বড় লিস্টের থেকে দুজন কে বাধ দিলে কেন,,,? আশিক, আয়নকে, আর আমারটা না হয় বুঝলাম কিন্তুু ওরা বাদ পরলো কেন লিস্ট থেকে,,, (দাঁতে দাঁত চেপে)

রিদের কথায় মায়ার সোজাসাপটা উওর দেয়,,,,

—-” কিভাবে করবো উনারা আমার ভাই হয়তো,,, আশিক আমার পাতানো ভাই, আর আয়ন ভাইয়া আমার এমনি এমনি ভাই তাই ওদেরকে লিস্টে নিতে পারবো না আর প্রেমও করতে পাবো না তো….

রিদ মায়ার কথা শুনে একটা ভ্রু উচু করে বললো,,,,

—-” তোমার যাকে ভালো লাগবে সে সবার সাথে প্রেম করবে তুমি,,,,?

রিদের কথা শুনে আবারও খুব সুন্দর করে নিজের মাথাটা উপর নিচে করে নাড়ায় যা অর্থ হ্যাঁ তার পছন্দ হলেই প্রেম করবে,,,,

মায়ার মাথা নাড়ানো দেখে রিদ কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললো,,,,

—-” সেই তা তো করবাই,,, ইডিয়ট,,,, এখন আমি ছুরিটা দিয়ে তোমার পেট ফুটো করে সব প্রেম বেড় করবো তোমার পেট থেকে, পরে ঐ গরম পানিটা তোমার শরীরে ডালবো,,, পরে তোমাকে আমার পেটে পুরবো ভালো হবে না বলো,,,, (ভ্রু নাচিয়ে)

মায়ার এতক্ষণ কান্না অফ থাকলেও এখন রিদের কথা গুলো শুনে হু হু কান্না করে দেয় ভয়ে,,, আর কাঁপা কাঁপা গলায় বললো…..

—-” প্লিজ আমাকে খাবেন না,,,, আমাকে আপনার পেটে পুরবেন না,,,, ঐখানে আমার গরম লাগবে তো,,,
আমি আর আপনাকে জ্বালাবো না, ঝগরাও করবো না, সামনে ও আসবো না, কিছুই করবো না তবু আমার পেট ফুটো করে খাবেন না, আমার ভয় লাগে তো…..
(হিচকি তুলে কান্না করতে করতে)

—-” তো আমি কি করবো,,, আমি তো তোমাকে আজিই খাব, আমার অনেক ক্ষুদা লেগেছে,,,,

কিছুক্ষন থেমে কিছু একটা চিন্তা ভাবনায় করে আবারও রিদ বললো,,,,,

—” তোমাকে ছাড়তে পারি যদি আমাকে বলো যে তোমার রাগ উঠলে কি কর সবার সাথে,,, তাহলে আমি ঠিক করবো তোমাকে ছাড়বো কিনা,,,( ভ্রু কুঁচকে)

মায়া কান্না করতে করতে বললো,,,

—-” না আমি পারবো না দেখাতে, দেখালে আপনি আরও রাগ করবেন আমার সাথে পরে আমাকে এমনি এমনি টুস করে গিলে ফেলবেন তো,,,৷

রিদ মায়ার কথা শুনে রাগে রি রি করতে করতে দাঁড়িয়ে পরে তারপর মায়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,,,,

—-” বলা লাগবে না,,, এখন এমনিতেই তোমাকে গিলে খাব আমি,,,, জাস্ট ওয়েট,,,,

বলেই রিদ যেই পা বাড়াবে টেবিলে রাখা ছুরিটার দিকে ওমনি মায়া হামলা করে বসে রিদের ওপর,,, মায়া রিদের ভয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে রিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে,,,

আকস্মিক ঘটনায় রিদ নিজেকে সামলিয়ে উঠতে পারেনি,,, মায়ার এমন ঝাপিয়ে পড়ার জন্য রিদ একদমই প্রস্তুুত ছিল না,,, মায়া রিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ার সাথে সাথে রিদ নিজের তাল সামলিয়ে রাখতে না পেরে মায়াকে নিয়ে পড়ে বিছানা ওপর,,,

মায়া রিদকে বুঝে উঠার আগেই রিদের পেটে বসে পড়ে,,, পরে রিদের একহাতে চুল আর অন্য হাতে বাহু শক্ত করে চেপে ধরে গলায় মুখ গুজিয়ে কামড় বসায় গালায়, গালে,,,, পরে একটু নিচে নেমে নিজের রেগে নিজের ডান হাতটা দিয়ে রিদের শার্ট টেনে ধরে পর পর তিন তিনটা বোতাম চিরে ফেলে খালি বুকে কামড়িয়ে ধরে……

.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here