দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া #পর্বঃ_২৩

0
986

#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_২৩

🍂
আমি স্থির হয়ে যায়,, আমার মনে হচ্ছে আমি শ্বাসরুদ্ধকর সমস্যায় ভোগছি,,, আমার সাথেই কেন এমন হয় আমি কি আর বাঁচতে পারবো না,,,,

আমার সারা শরীলে মূহুর্তে কেঁপে ওঠে,, মনে মধ্যে অস্থিরতার পাখিটি মূহুর্তে ঝাপটাতে থাকে বেড়িয়ে আসার জন্য আর আমি বাধ্য ন্যায় মতো টায় জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলাম কোনো নড়াচড়া করছি না,,, ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে,,, আচ্ছা আমার কলিজা কি পানিতে ভরপুর ছিল যা এখন আমি ভয় পাওয়াতে শুকিয়ে যাচ্ছে,,, সবগুলা পানি কি এখনি শেষ হয়ে যাবে.. আবার পরে ভয় পাওয়া জন্য কি একটুও পানি পাব না আমি,,, এবার আমার ভয়ে সাথে সাথে কষ্ট ও লাগছে এ ভেবে যে আমার কলিজার সব পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে পরে আমি ঠিক করে ভয় ও পেতে পারবো না,,,, আমার এতো কষ্ট কেন… আমি এতো কষ্ট আমি কই রাখবো…! বালিশে নিচে রাখবো নাকি কাপড়ে সাথে বাজ করে কর্বাডে রেখে দিব,,,?

আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে কারো পায়ের শব্দের কেঁপে ওঠি আমি, মূহুর্তে মনে পরে গেল আমার ভয়ে কথা,, আমি মাথা উচু করে সামনে তাকাতেই চোখে পড়ল আমার গুনোধর স্বামীকে,,, রিভালবার হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে আমার সামনে,,,,

উনার হাতে রিভালবার দেখে আমি মূহুর্তে থমকে গেলাম,,, একবার উনার (রিদ) দিকে তো আবার রিভালবার দিকে তাকাচ্ছি,,, কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না ভয়ে আমি ঘামতে লাগলাম মূহুর্তে,,, উনার একহাত পকেটে গুঁজিয়ে অন্য হাত দিয়ে আমার দিকে বন্ধুকটা তাক করে রেখেছে,,, ভয়ে আমার কান্না চলে আসতেছে আমার সাথেই কেন এমন হয়,,, যতই দূরেই যায় না কেন ঘুরে ফিরে উনার সামনেই পড়তে হয় আমাকে,,, আজকে রুম থেকে বের না হলে কি এমন হতো,,,, এমন কিছু হবে জানলে আমি সারাজীবন রুমে ভিতরই কাটিয়ে দিতাম তবু উনার সামনে আসতাম না,,, আজকে আমার শেষ রাত আমি আর উনার থেকে বাঁচতে পারবো না আজকে,,,

আমি অশ্রু সিক্ত চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি উনি ধীর পায়ে এক পা এক পা করে আমার দিকে এগিয়ে আসছে বন্ধুক তাক করে… আর আমি ভয়ে ধীর পায়ে এক পা এক পা পিছিয়ে যাচ্ছি,,, যেতে যেতে আমার পিঠ দেয়ালে টেকে যায় উনি এগিয়ে আসতে আসতে আমার একদমই কাছে চলে আসে পরে একহাত আমার পাশে স্লাইডে দেয়ালে রেখে আমার দিকে অনেকটা ঝুকে ডানহাতে থাকা বন্ধুকটা আমার কপাল বরাবর রাখে,,,,

আমি উনার এমন কাজে বরাবরই কেঁপে ওঠি,, তাহলে সত্যি কি উনি আমাকে মেরে দিবেন,,, আমার কি দোষ কি করেছি আমি যে আমার সাথে এমন করছে,, শুধু উনার ফ্ল্যাটে থাকছি বলে এমন করছেন উনি কি চান না আমি উনার কোনো কিছু ব্যবহার করি,,, আমাকে বললেই হতো আমি চলে যেতাম সবকিছু ছেড়ে এমনিতেও চলে যেতাম,,,,

আমি অশ্রু সিক্ত চোখে উনার দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলি,,,,

—-” আপনি আমাকে মার….

উনি আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে আমার মূখের ভিতর উনার হাতে থাকা বন্ধুকটা চেপে ধরে আরো খানিকটা ঝুঁকে আস্তে করে বললো,,,,,,

—–” তোমাকে পুড়িয়ে মজা পাইনি তাই বন্ধুক নিয়ে এসেছি মারা জন্য,,, এবার কি করবে বলো সব সময় পালানো চিন্তায় থাকো তাই তোমার জন্য এ ব্যবস্হ,,, এখন মেরে দেয়,,, ফটো করে দেয় তোমায়,,, এই যে উড়া উড়ি করছো সব শেষ করে দেয় এক গুলিতে,,, কি বলো দিব একটা গুলি,,,,

উনার এমন কথা গুলো শুনে আমার শরীলের সর্ব শক্তি হারিয়ে ফলছি কি করবো কিছু বুঝতে না পেরে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নিজের সব শক্তি দিয়ে উনাকে ধাক্কা দিতেই উনি কিছুটা দূরে সরে যান আমার থেকে,,, উনি হয়তো এমন কিছু জন্য প্রস্তুুত ছিল না তাই আমার আকস্মিক ধাক্কা কিছুটা দূরে সরে যান আমার থেকে,, আর আমার ধাক্কা দিয়ে উনি ঠিক হতে হতে আমি পালানোর জন্য দৌড় দিলাম মেইন দরজা দিকে,,,,

দৌড়ে গিয়ে লিফ্ট এ উঠে পরি আমি,, লিফ্টের বাটন প্লেস করে লিফ্টের দরজার অফ হবে এমন সময় দেখি উনি দৌড়ে আসছে আমার দিকে হাতে বন্ধুকটা নিয়ে আর আমাকে থামতে বলছে আর ফোন করে আশিকে কি যেন বলছে,,,

আমার এ মূহুর্তে উনাকে প্রচন্ড ভয় করছে তাই উনার থেকে বাঁচার জন্য আমি যেকোনো কিছু করতে পারি,,
তাই এ মূহুর্তে উনার থেকে পালানোটা আমার জন্য স্রেয় মনে হচ্ছে,,, লিফ্টের দরজা খুলতেই আমি কোনো দিক না তাকিয়ে দৌড় দিলাম মেইন গেটের দিকে,,, সামনে দিকে দিক থেকে আশিক আর আমার বাকি বডিগার্ডরা আসছে আমার কাছে,,,, এবারে তাদেকেও আমার ভয় করতে লাগলো, আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি উনি দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে শান্ত স্বাভাবিক ভাবেই তাকিয়ে আছে,,, উনার এমন শান্ত দৃষ্টি সাথে আমি পরিচিত তাই ভয়টা আরও একধাপ বেড়ে গেল,, কারণ উনি যখন এমন শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তখন উনি খুব ভয়ানক কিছু করে তাই এবার উনার সামনে কিছুতেই পড়তে চাই না,,,

আমি এতক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলাম যখন আশিক আর বাকি বডিগার্ডরা আমার কাছে আসতেই আমি ওদের পাশ কাটিয়ে দৌড় দিলাম মেইন রাস্তা দিকে, সফল ভাবে ওঠে ও যায়,,, সামনে দিকে তাকিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম পিছনে তাকাইনি ভয়ে,, কিছু দূর এসে হাপিয়ে গেলাম হাটু ওপর দু হাত ভর দিয়ে হাঁপাচ্ছিলাম,, চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডাকা তবে ল্যামপোস্ট এ আলোয় রাস্তাটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,,, আমি উঠে দাঁড়িয়ে আবারও দৌড় দিব এমন সময় একটা মৃদু শব্দ আমার কানে আসে,, আমি কৌতূহল চোখে চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম পরে পিছন ফিরে তাকাতেই আমি থমকে গেলাম মূহুর্তের,,,

উনাকে সাত আটটা ছেলে ঘিড়ে ধরে রেখেছে,, একজন উনার সামনে দাঁড়ানো একটা হকিস্টিক নিয়ে,,,, সামনে ছেলেটা উনাকে একটা বারি দেয়ার ফলে উনি হালকা এক স্লাইড ঝুকে যান আর কপাল থেকে রক্ত বের হয়ে যায়,,,,,

এসব দেখে আমর চোখ দিয়ে আটোমিটিক পানি পরতে লাগলো,,, আমি পিছনে থাকায় ওরা কেউ আমাকে দেখতে পারছে না,, উনি আমার পিছনে আসতে গিয়ে এই ছেলে গুলো উনাকে ধরেছে,,, মূহুর্তের আমি আমার সব ভয় ভুলে গেলাম আর মায়া শুধু একটা কথা কাজ করছিল যে করেই হোক উনাকে বাঁচাতে হবে,, উনার কিছু হতে পারে না আমি উনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,,, সামনে ছেলেটা আবারও উনাকে মারতে যাবে এমন সময় আমি এক চিৎকার করে উঠে,,, “নাহহহহ”…. চিৎকার করার সাথে সাথে সবাই আমার দিকে ফিরে তাকাতেই আমি কাউকে কিছু বুঝার সুযোগ না দিয়ে ঝড়ে গতিতে দৌড়ে উনার ওপর ঝাপিয়ে পরি,,,আমার পা দুটো মাটির থেকে দেড় ফুট ওপরে তুলা আর দুহাত দিয়ে উনার গলা জরিয়ে ধরে উনার ঘাড়ে মুখ গুজায় আমি,,,,

আর বলতে থাকি,,,

—-” প্লিজ উনাকে মেরুনা,,, উনি আমার জন্য এখানে এসেছে,,, প্লিজ উনাকে কিছু করোনা,,, (কন্না করতে করতে)

মায়ার এমন আকস্মিক ঘটনায় সবাই চমকে উঠে,,,
আর রিদ আবাক হয়ে যায় এ ভেবে যে কিছুক্ষন আগেও তার থেকে বাচা জন্য মেয়েটা পালাচ্ছিল আর এখন তাকে বিপদ থেকে বাচানো জন্য চলে এসেছে সত্যি অদ্ভুত মেয়েটা,,,, রিদ মুচকি হেসে আদুরি একহাত মায়ার কমড়ে রেখে নিজের সাথে ভালো করে চেপে ধরে আর অন্য হাত মাথায় রেখে মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে যে কি হবে না বুঝচ্ছে,,,

রিদ আর মায়ার এসব কান্ড দেখে বখাটে ছেলে গুলো রাগে গজ গজ করতে করতে বললো,,

—” এই শালারে একা মারার কথা ছিল এখন দেখি আরেকটা এসে জুটেছে,,, সমস্যা নাই দুইটারে এক সাথেই মারা যাক,,, ঐ তোরা দাঁড়িয়ে আসোস কেন মার শালারে,,,,

বলেই সামনে থাকা লোকটা মায়া আর রিদকে একসাথে করে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে,, রিদ মায়াতে মন্ত থাকায় সামনে আসা ছেলেটাকে দেখেনি,,,
বারি দেয়া সাথে সাথে রিদ মায়াকে নিয়ে ঝুকে যায় কিন্তুু রিদ মায়াকে ছাড়েনি বরং আরও শক্ত করে ধরে রাখে,,,

হকিস্টিক ভারির আঘাতে মায়া আরও শক্ত করে রিদকে জরিয়ে ধরে হু হু কান্না করে দেয় আর বলে উঠে,,,,

—-” প্লিজ উনাকে মারবেন না। উনাকে মারবেন না। (কান্না করতে করতে)

রিদ মায়াকে নিয়ে সোজা হয়ে দাড়িয়ে নিজের সাথে আগের মতোই চেপে রেখে আদুরি একহাত মায়ার মাথায় বুলিয়ে দিতে লাগল,,, তখনই পাশ থেকে শব্দ কানে আসতেই রিদ ইশারায় ওদের বললো,,,

—” শিশশশইইই ওহ ভয় পাচ্ছে,,,,, (আস্তে করে)

সামনের ছেলেটা রেগে রিদের দিকে তেড়ে আসতেই রিদ ডানহাতটা মায়ার মাথা থেকে নিয়ে সামনে ছেলেটার হকিস্টিকটা ধরে টান দিয়ে নিয়ে বুক বারবর লাতি মেরে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠে,,,,,,

—-” হারামীর বাচ্চারা মরার শখ হইছে। পাখা গজিয়েছে পিঠে! দেখছিস না ওহ ভয় পাচ্ছে,,,

.
চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here