দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া #পর্বঃ_২৪

0
999

#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_২৪

🍂
সামনের ছেলেটা রেগে রিদের দিকে তেড়ে আসতেই রিদ ডানহাতটা মায়ার মাথা থেকে নিয়ে সামনে ছেলেটার হকিস্টিকটা ধরে টান দিয়ে নিয়ে বুক বারবর লাতি মেরে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠে,,,,,,

—-” হারামীর বাচ্চরা মরার পাখা গজাইছে,, দেখছিস না ওহ ভয় পাচ্ছে,,,

নিচে পরে থাকা ছেলেটাকে দেখে পাশ থেকে অন্যজন রেগে গজগজ করতে করতে বললো,,,,,

—” ভেবেছিলাম তোকে মারবো শুধু,, কিন্তু এখন তো সাথে মধুমাল ও যোগ হয়েছে, ছেড়ে দেয় কিভাবে বল, তোকে মেরে তোর মধুমালকে নিয়ে আজকে পার্টি হবে,, চিন্তা করি না ওকে খুব আদর করব আমরা সবাই,,,, আর ওকে আ……..

ছেলেটা থামে,, থামে নয় এইটুকুতেই ছেলেটাকে থামতে হয়েছে,,, কারণ ছেলেটার পুরুষগাঙ্গে আর ঠোঁট বরাবর গুলিতে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে,,,,
কারণ রিদ এতক্ষণ নিজের করা আঘাত সহ্য করলেও মায়া সম্পর্কে বাজে কথা সহ্য করতে পারেনি। তাই যে মুখে বলেছে আর যেটাকে নিয়ে ইঙ্গিত করেছে সে দুটো স্থানই গুলিতে বৃথ করেছে,,,,

রিদ চোখ দুটিতে রক্ত লাল করে মায়াকে একহাতে আগের মতো জরিয়ে ধরে আর অন্য হাতে বন্ধু্ক তাক করে রাগে রি রি করতে করতে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,,

—-” এত সোজা… সবকিছু এত সোজা.. এখানে আসার আগে রিদ খান সম্পর্কে খুঁজ না নিয়েই চলে এলি? যাকে দেখার অনুমতি আমি কাউকে দেয়নি সেখান তোরা এমনই এমনই কথাগুলো বলে ফেললি,,,রিদ খান জীবনে প্রথম কাউকে মাপ করবে বলে ঠিক করেছিল, কারণ তোদের জন্য ওহ (মায়া) আমার কাছে এসে তাই,, কিন্তু তোরা তাকেই ভয় দেখাচ্ছিস। আজকে আমিও তোদের কলিজাটা মেপে দেখবো কত বড় হারামির বাচ্চারা। আমাকে মারতে মাত্র সাত জন্য এলি? তোদের বস বড্ড কাঁচা খেলোয়াড় মাত্র সাত জন্যকে পাঠালো রিদ খানকে মারার জন্য ভেরি ব্যাড। কিন্তু আমি কাচা খেলোয়াড় দের সাথে খেলে নিজের পারসোনালিটি নষ্ট করি না,,, আর রইলো তোদের কথা, তো আমি আমার বানানো রুলসেই ঠিক রাখলাম,, যে কাউকে ক্ষমা করা ব্যাড ম্যানান্স,,, জানিস তো… (বাঁকা হেঁসে)

নিচ পরে থাকা ছেলেটা এবার উঠে রিদের সামনে দাঁড়িয়ে রেগেমেগে বললো,,,

—” জানি তো, জেনেই এসেছি, তোকে একা পেয়েছি বলেই তো আজকে তোকে শেষ করে দিব,,, আর আমরা সাত জন্যই কাল হয়ে এসেছি তোর, ঐ দাঁড়িয়ে আছিস কেন শালারে ধর,,,,,

ছেলে গুলো রিদের দিকে এগিয়ে আসতেই রিদ ওদের দিকে হাতের ইশারায় থামতে বলে,,, পরে রাগে শক্ত গলায় বললো,,,,,

—-” ঐ ব্যাট বয়ের বাচ্চারা,,, যেখানে আছিস ঐখানেই দাঁড়িয়ে থাক,,, দেখছিস না আমার বউ ভয় পাচ্ছে,আগে ওকে সান্ত্বনা দিয়ে নেয় তারপর নড়াচড়া করবি বুঝেছিস,, আমার বাচ্চা বউ সবকিছুতেই ভয় পাই কি করি বলতো,,, আর এমনিতেও তো তোরা মরবি কিন্তুু তোদের কারণে আমার বাচ্চা বউ যদি আরও ভয় পায় তোহ আই সয়ের আমি কি করব তোরা চিন্তা ও করতে পারবি না,,,

রিদের কথায় আবারও রেগে সামনে ছেলেটা বললো,,,

—” কি করবি তুই, তুই একা কি করবি আমাদের,,,,

রিদ মূহুর্তের বাঁকা হেঁসে বললো,,,,,

—” সেই…. আমার সম্পর্কে খুঁজ না নিয়ে চলে এলি মরতে,, আর সিংহ দল বেধে থাকলেও সিংহ একা থাকলেও সিংহই থাকে তার তেজ কমে যায় না,,, তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক আমি আগে আমার লক্ষী বউকে বুঝিয়ে নেই,,,

বলেই রিদ মায়ার মাথায় আদুরে একহাত বলিয়ে দিতে লাগল আর মায়া রিদের না গলা ছাড়ছে না নিচের নামছে এমনকি পা দুটো ও না,,, ভয়ে সিটিয়ে আছে রিদকে হারানো ভয়ে জেঁকে বসেছে তার মনে তাই আগের ন্যায় থেকে শুধু একি বলি আওরাচ্ছে,,, রিদের গুলি শব্দে কেঁপে ওঠেতেই রিদকে আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরে কান্না বেগ বেড়ে উঠে,,, একসময় হিচকি পরিমাণ বেড়ে যায়,,,,

রিদ মায়ার মাথায় আদুরে একহাত বলিয়ে দিতে দিতে বললো,,,

সোনা ভয় পায় না,, দেখ সব ঠিক আছে, আর আক্কেলরা তোহ আমাদের সাথে দুষ্টমি করতে এসেছে,, আর উনারা না আমাদের সাথে ডিসুম ডিসুম খেলেই চলে যাবে একেবারে জন্য আর আসবে না আমাদেরকে ডিস্টার্ব করতে,,,, তুমি দেখ না টিভিতে টম আর জেরি কিভাবে ঝগড়া করে খেলে আক্কেলরা ও আমাদের সাথে ঝগড়া ঝগড়া খেলবে,, তাই তুমি লক্ষী সোনার মতো গাড়ির ভিতরে গিয়ে বস ঠিক আছে,, আমি তোমার আক্কেলদের সাথে ঝগড়া ঝগড়া খেলে আসছি,,, চল,,,

রিদের কথায় মায়ার ভয়টা কিছুটা কমে গেলেও রিদকে আঁকড়ে ধরে মাথা না উঠিয়ে বললো,,,

—-” তাহলে আমিও দেখবো ঝগড়া ঝগড়া খেলা,,,, আমি তো টিভিতে অনেক দেখেছি টম আর জেরির খেলা,,, তবু আমি আপনাকে ছেড়ে যাব না,,,

রিদ মায়ার মায়ার হাত বুলিয়ে দিতে দিতে করুন কন্ঠে বললো,,,,

—-” প্লিজ সোনা এমন করে না,,,

রিদের কথা মায়ার চটপট করে বললো,,,

—” নাহহহ…. (জেদ ধরে)

অবগায় রিদ আর কোনো উপায় না পেয়ে মায়ার ঘাড়ে জোরে চাপ দিতেই মায়া ‘আহ” করে বেহুশ হয়ে যায়,,, রিদের ঘাড় পরে তাকে,, রিদ যত্ন সহকারে মায়াকে ঘাড় থেকে নামিয়ে কোলে করে গাড়ির ভিতরে রেখে আসে,,,,,

রিদ ছেলে গুলো সামনে এসে হাতে থাকা বন্ধুকটা এক স্লাইডে রেখে দেয়,, তারপর গুন্ডা গুলোকে উদ্দেশ্য
বললো,,,

—” তোদের যা আছে তা দিয়েই হবে অভগ্গা আমারটা কেন নষ্ট করবো,,, চল শুরু করা যাক,,,

রিদের কথা শেষ করতেই সামনে থাকা ছেলেটি পাশের ছেলেটি হাত থেকে একটা ধারালো ছুরি নিয়ে তেড়ে এসে রিদকে আঘাত করতে যাবে রিদ স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা স্লাইডে সরে ছেলেটা হাত ধরে সাথে সাথে হাতে একটা মুচড় দিয়ে ছুরিটা নিয়ে নেয়,,, পরে শান্ত ভাবে তাকিয়ে থেকে স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেটা হাতে নিচ থেকে হাতে ছুরি বসাতে বসাতে ওপরে উঠতে থাকে,, ছেলেটা চিৎকার করেই যাচ্ছে,, রিদ ছেলেটা মুখে দিকে তাকিয়ে সাথে সাথে দক্ষ হাতে ছুরি বসায় ছেলেটির গলায়,,, তারপর ছেলেটিকে ছেড়ে দিতেই পাশ থেকে আরও একটি ছেলে তেড়ে আসে রিদের দিকে,,,,

রিদ ছেলেটি গলা বরাবর ছুরি ছুড়ে মারে সাথে সাথে এই ছেলেটিও মাটিতে টলে পরে,, রিদ এগিয়ে এসে মাটি থেকে দুটো ছুরি তুলে নেয়,,, আর বাকি চার জন্যকেও দক্ষ হাতে চালিয়ে দুই ছুরি ছেলে গুলোর শরীরে বসায় এলোমেলো ভাবে,,, সবাইকে মারতেই আশিক ও রিদের নিজের বডিগার্ডরা হাজির হয়,,,

রিদ ওদের দিকে এক পলক তাকিয়ে নিজের হাত ধুতে ধুতে বললো,,,

—” হাফ এন আওয়ার সময় দিলাম লাশ গুলো মাটি চাপা দিয়ে দিবে আর রাস্তাটা পানি দিয়ে ধয়ে দিবে,,,
আশিক আমার সাথে চল তোর ম্যাডামকে ডক্টর দেখাতে হবে মায়ায় ব্যাথা পেয়েছে,,,,,

বলেই রিদ গাড়ি মধ্যে মায়ার সাথে পিছনে বসে পরে,,, মায়াকে শুয়ার থেকে বসিয়ে একহাতে জরিয়ে ধরে শান্ত ভাবে,,, পরে মায়াকে এক পলক দেখে নিজের চোখ বন্ধ করে সিটে গা এলিয়ে দেয়,,,, রিদের মাথায় এখন অন্য চিন্তা যা কেউ যানে না,,

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here