#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৩০
🍂
নজর কারা লাইটিং আর মুগ্ধকর পরিবেশে সবাই ব্যস্ত সবার মতো,, কার এতো খিয়াল আছে অন্যের খবর রাখা,,, সবাই সবার মতো ব্যস্ত,,, সবাই দলে দলে গল্পে মেতে উঠেছে হাতে স্পট ডিংক,,, বিজনেস পার্টি হওয়ায় ছেলেরা সবাই সুট পরেছে, মেয়েরা কেউ কেউ ওয়েস্টার্ন ড্রেস, গাউন, জিন্স, শার্ট ,ইত্যাদি পরেছে খুশি মতো,,, সন্ধ্যা থেকেই পার্টি শুরু হয়েছে, আর এখন বাজে রাত ৯ঃ৪৫ মিনিট,,
উনার এই প্রাণহীন পার্টি গত দু ঘন্টা যাবত ড্রয়িংরুমে এক কোনায় দাদীর সাথে দাড়িয়ে অসহায় ফেস করে দেখে চলছি আমি,,, কিন্তুু এতে কারও কোনো ভাবান্তর নেই, দাদীর সবাই সাথে হেসে কথা বলে চলছে সেই কবে থেকে,,, আর কিছুক্ষন আমার হাতে ভিন্ন ধরনের খাবার তুলে দিচ্ছে,,, প্রথম প্রথম খাবার গুলো খেলেও পরে খাবার গুলো একটাও খেতে পারিনি, সব গুলো খাবার আমার পিছনে টেবিল ওপর রেখে দেয় দাদীর অগোচরে,,, আর আমি খাবই বা কি করে দশ মিনিট পর পর কি আর খাবার খাওয়া যায় নাকি,, পেটে খাবার গুলো ঠিক ঠাক জায়গায় পৌঁছাতেও তো আদা ঘন্টা সময় লাগে,,, সেই জায়গায় দাদী আমাকে দশ মিনিট পর পর খাবার দেয়,,, আর আবার পাশে থাকা মানুষ গুলো সাথে গল্পে মেতে উঠে দাদী,,,,
.
আমি দাদী দিকে একপলক তাকিয়ে আবার সামনে তাকায়,, এখানে উনার (রিদ) ফ্যামেলির সবাই আছে,,
ফয়সাল ভাইয়া ফ্যামেলির সবাই ও এসেছে,,,
সবাইকেই অনেক সুন্দর লাগছে,, আয়ন ভাইয়া, ফয়সাল ভাইয়া, ফুপা, দাদাজান, কালো সুট পরেছে, মিল রেখে, আর নিহা আপুর এ্যাস কালার গাউন পরেছে, ফিহা পিংক এ মধ্যে গাউন,,, দাদী,ফুপি, শাড়ি পরেছে,, আর আমি শাড়ি দুটোর মধ্যে একটাও পড়েনি ইচ্ছা করিনি তাই পড়েনি,, সাদার মধ্যে হালকা কাজে চুরিদার জামা পরেছি,,,,
উরিও (রিদ) সব সাদা মধ্যেই পরেছে,, কাকতালীয় ভাবে আমাদের দুজনেই কালার মিলে গেল,,, কিন্তুু কালার মিলেও আমাদের নজর মিলছে না একবারে জন্যও,,, পার্টিতে আসার পর থেকে আমি এই নিয়ে অনেক বার উনার দিকে তাকালাম কিন্তুু ভুল করেও একবারে জন্যও আমার দিকে তাকায় নি,,, কেমন গম্ভীর মুখ হয়ে সবার সাথে দাড়িয়ে আছে স্পট ডিংক হাতে নিয়ে, কিন্তুু কারও সাথে কোনো কথা বলছে না শুধু শুনে যাচ্ছেন,, আচ্ছা একটা মানুষ এতটা গম্ভীর কীভাবে হয় আমি বুঝি না, কারও সাথে ভুল করেও হাসি ফোটে কথা বলে না, আর ফ্যামেলির সাথে দিনের পাঁচ কথা বলে কিনা সন্দেহ আছে সবকিছু কেমন সাইলেন্ট সাইলেন্ট থাকা চাই উনার,,, আর উনার চোখ দুটো কেমন গভীর ভাব, মূহুর্তের সবকিছু ধরা পরে যায় উনার চোখে কাছে,,, কিন্তুু এ চোখে আজ আমি কেমন অভিমান মীশ্রিত রাগ দেখতে পারছি মনে হচ্ছে উনি কোনো বিষয়ে আমার সাথে রাগ করে আছে যার জন্য আমার দিকে তাকাচ্ছ,,, কিন্তুু সেটা কি আর উনি বা আমার সাথে অভিমানের রাগ করবে কেন,,, এই রকম তো উনি কখনো করে না আমার সাথে, বরং আমার উপর নিজের সব রাগ নিবারণ করে, তাহলে আজ এই….
.
আচ্ছা উনি কি সকালে বিষয়টা নিয়ে রেগে আছে,,,,?
বাপরেররর সকালে মার খেতে খেতে বাঁচলাম,, লাস্ট মোমেন্ট এ দাদাজান আমার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিল, আর উনার হাত থেকে বাচিয়ে ছিল,,, আর আমি সকালে পর থেকে সারাদিন উনার থেকে পালিয়ে ছিল এক প্রকার, কিন্তু কপাল আমার এত সহায়ক ছিল না তাই দুই তিন বার উনার মোহমুহি হতে হয়েছে আমার,, তখন উনি শুধু শান্ত দৃষ্টি রেখে আমাকে এক পলক দেখে চলে যেত সামনে থেকে,,, আর তখন উনার চোখে কোনো রাগ, অভিমান, কিছু ছিল না সবটাই স্বাভাবিক ছিল,,,,
.
উনার এমন রাগে কারণটা আমি বুঝতে না পেরে,,, আবারও আমি মাথা তুলে তাকায় উনার দিকে আর আমি নিজের দৃষ্টি স্থির রেখে উনার (রিদ) তাকিয়ে আছি,, আমিও দেখতে চাই উনি কি সত্যিই আমার ওপর রেগে আছে কিনা,, উনার স্লাইডে আমি দাড়িয়ে আছি, আর উনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,, উনার একপাশে আমি দাড়িয়ে থাকায় আর উনি আমার দিকে না তাকানোতে আমি এক মনে উনাকে দেখে চলছি পলকহীন ভাবে,,,
আমি কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর হুট করেই উনি স্লাইড থেকে সামনে দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরে,,, এতে করে আমি শুধু উনার পিছন দেখতে পারছি,, উনি ঘুরে দাঁড়াতেই নড়েচড়ে ওঠি আমি, উনি কি আমার এভাবে তাকানোটা দেখেছেন এতক্ষণ না হলে উনার পাশে থাকা মানুষ গুলোকে রেখে শুধু উনি একা কেন ঘুড়লেন,,,? এমন সব প্রশ্ন মাথায় আওরাতেই আমার মনটা খুসখুস করে ওঠে উনাকে আরও ভালো করে দেখার জন্য,,
.
তাই দাদীর পাশ থেকে ফিহা পাশে গিয়ে বসলাম কারণ এবার উনাকে আমি সামনে থেকে দেখতে পারবো তাই,, ফিহা আমাকে ওর পাশে বসতে দেখে আমার দিকে তাকিয়ে শুধু একটা হাসি দিল তারপর আবার নিজের কাজে মনোযোগী হল মানে ফিহা কারও সাথে চেট করছে,,,
.
আমি ও শুধু হাসলাম পরে হাসি মুখে সামনে তাকাতেই আমার হাসি মুখ হা হয়ে গেল,,,, কারণ ডলি আপু হঠাৎ কোথায় থেকে দৌড়ে এসে আবারও জরিয়ে ধরে গালে একটা স্পট কিস করে,,,, সাথে সাথে উনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল, উনার সাথে দাড়িয়ে থাকা সবাইও হা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একবার উনার (রিদ) দিকে তো একবার ডলি আপুর দিকে তাকাচ্ছে ভয়ে ভয়ে,,,,
.
উনি মূহুর্তের রেগে দাঁতে দাঁত চেপে ডলি আপুর দিকে তেড়ে যেতেই আমাকে গোল গোল চোখে আরও হা করে তাকাতে দেখে থেমে যা,, পরে কিছুক্ষন চুপ থেকে অনেকটা হাসি মুখে বললো,,,,
.
—” বেবি ইউ লুকিং সো বিউটিফুল টু নাইট,,, হুয়াই ইউ লেইট কামিং টু দিজ পার্টি,,, ইউ হুয়াট আই এম ওয়েটিং ফর ইউ,,,,
উনার এমন কথায় আমি সহ উনার পাশে থাকা লোক গুলোও আবাক উপর অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে আছি,, আর বুঝার চেষ্টা করছি কি বলছেন উনি,, আচ্ছা উনি কি ডলি আপুকে লাভ করে,,, কিন্তুু উনি তো নিজেই বলেছে উনি কাউকে ভালোবাসে না তাহলে এভাবে কথা বলছে কেন,, আর বেবি বা বলছেন কেন উনি কি আমাকে মিথ্যা বললো,,,, আর ডলি আপুর জন্য কি আমাকে মানতে পারছে না,,
,
আমার এসব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই ডলি আপু খুশিতে আত্মহারা হয়ে উনার দিকে আরও এগিয়ে এসে উনাকে উদ্দেশ্য করে বললো,,,,
.
—-” ওহ মাই গট,,, লাইক সিরিয়ালি, দ্যা ARK আমার জন্য ওয়েট করছে,,, আমার এতো বছরের ভালবাসা বুঝতে পেরেছে,,, বেবি তুমি আমাকে এতটা ভালোবাস আমি বুঝতে পারি নি ( ন্যাকা লজ্জা পেয়ে)
.
উনি খানিকটা তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,,,,
—” ইয়াহ বেবি,, আমি সত্যি বুঝতে পারিনি তোমার ভালোবাসাটা এতো বেড়ে গেছে,,, জানলে আরও আগেই কমিয়ে দিতাম,,, যায় হুক এখন তো বুঝতে পারলাম তাই তোমার মনে আশা পূরণ করে দিব আমি,,, তোমার জন্য সারপ্রাইজ রইল,,,
.
ডলি আপুনি খুশিতে চোখ মুখ চকচক করে বললো,,,
—” সত্যি বেবি, তুমি আমার জন্য সারপ্রাইজ প্লেয়িং করবে,,,, আমি তো ভাবতেই পারছি না,, আর তুমি,,,
উনি ডলি আপুকে থামিয়ে দিয়ে বললো,,,,
—-” হুম,,, তোমার ভাবতে হবে না, তোমারটা আমি ভেবে রেখেছি অলরেডি,,, আর তুমি সারপ্রাইজ না নিলেও আমি দিব,,, সো চিলই,,, পাটি এনজয় করো যাও,,,,
.
বলেই উনি ঘুরে দাড়ায় আর ডলি আপু ও উনার সাথে অনেকটা চিপকে দাঁড়িয়ে পরে,,, ওনাদের দুজনে কথা শুনে আর এভাবে সবার সামনে দাঁড়িয়ে তাকতে দেখে ভ্রু কুচকে এলো আমার,,,, উনার কি সত্যি রিলেশনশিপ এ আছে নাকি,,, আমি কি একবার ডলি আপুর সাথে কথা বললো এ বিষয়ে,,, আর যদি রিলেশন থাকে তো,,? আচ্ছা উনি যদি ডলি আপুকে বিয়ে করতে চাই তো আমার কি উনার লাইফ থেকে চলে যেতে হবে,, হয়তো যেতে হবে, কারণ এটাই তো হওয়ার কথা ছিল,,,
.
আমি তো সব জেনে শুনেই বিয়েটা করছি তাহলে আমার আপত্তি থাকার কথা না,,, ডলি আপুর সাথে উনার (রিদ) সম্পর্কে কি জেনেই চলে যাব আমি অনেক দূরে,,, আমি আমার কথা রাখব উনাকে মুক্তি দিয়ে,,,,, এমন সব চিন্তা ভাবনা করতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম,,,
.
আমার আর বসে থাকতে ভালো লাগছে না কেমন সব অস্থির অস্থির লাগছে,,, সবকিছুই কেমন দুটাই ভুগছি, মনে এই অস্থিরতা কাটাতে আমার কারও সাথে কথা বলা প্রয়োজন তাই নিজের শান্ত করার জন্য ওঠে দাড়ালাম উদ্দেশ্য দাদাজান কাছে যাব, কয়েক কদম এগিয়ে আসতেই সামনে এসে হাজির হয় অচেনা একটা ছেলে,, আমি তাকে পাশ কাটিয়ে এক পা বাড়াতেই আবারও সামনে এসে দাঁড়ায়,,, এবার আমি ভ্রু কুচকে তাকাতেই, ছেলেটি মুখে বিদঘুটে হাসি টেনে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,
.
—” হাই হটি,,, ইউ লুকিং সো হুট,,, যদিও তুমি ঠিক ঠাক কাপড় পড়েছো তারপর ও তোমার সবকিছুতে কেমন নেশা নেশা ভাব আছে,,, তুমি কি একা নাকি এই পাটিতে অনেকক্ষণ ধরে দেখছি তুমি একা একা বসে আছো তুমি চাইলে আমাকে বলতে পার আমি তোমার অনেক ভালো কম্পানি দিতে পারি,,, (খানিকটা আমার দিকে ঝুকে এসে)
,
ছেলেটি বিদঘুটে হাসি আর বিচ্ছিরী টাইপ কথা শুনে আমি তিক্ততা প্রকাশ করে আবারও এখান থেকে কোনো কথা না বলে চলে যেতে লাগলাম,,, কারণ এ মূহুর্তে আমার মন ভালো নেই আর এই বাজে ছেলেটা আমার মুডটা আরও খারাপ করে দিবে তাই কোনো বাহানা ছাড়াই চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই আবারও অচেনা ছেলেটা আমার পথ আটকে দাঁড়ায়,,,
পরে আমাকে উদ্দেশ্য করে বিচ্ছিরি হাসি দিয়ে বললো,,,,
.
—” ওপসসস,,, বেবি কি আমার ওপর রাগ করেছে,,, বেবি কিন্তুু এখন রাগ করলে ও তাকে এখন যেতে দিব না আমি কারণ বেবিকে আমার এখন চাই,, আর তোমা……
—” বাকি কথা গুলো বলার আগে কেউ অচেনা ছেলেটা সুটের কলার টেনে ধরে তার দিয়ে ঘুরায়, আমি চমকে উঠি,, আর সাথে সাথে চোখ পরে আয়ন ভাইয়া রাগী ফেস,,, প্রচন্ড রেগে ছেলেটি কলার চেপে ধরে আছে,, উনার চোখ দুটো দেখে মনে হচ্ছে এখনি রক্ত বের হবে,, উনাকে এতটা রাগতে আমি কখনো দেখিনি এটাই প্রথম দেখলাম,,, আয়ন ভাইয়াকে সবসময় হাসি খুশি শান্ত ভাবে দেখেছি আমি উনার এমন রাগে সাথে আমি পরিচিত নয়,,, তাই এ মূহুর্তে আমার উনাকে দেখে খুব ভয় করছে আমার,,,, তখনি উনি রাগে রি রি করতে করতে বললো…..
.
—-” এত বড় কলিজা তোর তুই ওর(মায়া) এরিয়ে যাওয়ার পরও ওকে তুই বারবার ডিস্টার্ব করছিস,,, আজ তোর কলিজাটা মেপে দেখবো আমি,,, আর তুই ওকে কি বলেছিস এতক্ষন বল শুনি,,,, (কলার চেপে ধরে ঝাঁকাতে ঝাকাতে)
.
হঠাৎ এমন কিছু জন্য হয়তো ছেলেটি প্রস্তুুত ছিল না তাই আকস্মিক ঘটনায় বোকা বনে যায় ছেলেটি,, পরে যখন বুঝতে পারে কি হচ্ছে তার সাথে, তখন তার চেহারায় ভয়ে চাপ ফুটে ওঠে আর নিজেকে বাঁচানো চেষ্টা করতে করতে বললো,,,,,
—” সরি স্যার আসলে আমি বুঝতে পারিনি, আমি তো ম্যাম এ সাথে পরিচয় হতে আসছিলাম বিশ্বাস করোন,, ম্যামকে করে দেখোন,,,, (ভয়ে সিটিয়ে আছে)
.
ছেলেটা এমন কথায় আয়ন ভাইয়া আমার দিকে তাকায় পরে আমাকে কিছু বলবে আমি তার আগেই নিজের মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানা যার অথ হল অচেনা ছেলেটি যা বলছে সত্যি বলছে,,, এ মূহুর্তে আমার মিথ্যা বলা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না কারণ আমি চাই না আমার জন্য উনার (রিদ) পাটিতে কোনো ঝামেলা হুক,,, তাই মিথ্যা বললাম,,,
আমার মাথা নাড়ানো দেখে আয়ন ভাইয়া কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে,, আর নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
—” আজ ছেড়ে দিলাম বাট নেক্সট টাইম পরিচয় হওয়ার জন্য ও ওর(মায়া) আশেপাশে যাতে তোকে না দেখি,, গট ইট,,,, যা এবার,,,
বলেই এক প্রকার ধাক্কা মেরে ছেড়ে দেয়,, পরে ওপরে দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলে আনার দিকে হাসি মুখে তাকায়,,, পরে আমার হাত দুটো ধরে রেখে বললো,,,,,
—-” তুমি একা কেন মায়ুপাখি, তোমাকে না আমি নানুমা সাথে রেখে এসেছিলাম তো,,, একা একা পাটিতে ঘুরছো কেন হুম…?
আয়ন ভাইয়া কথায় আমি নিজের মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে উঠি….
—” আমার ভালো লাগছে না তারা একা একা করছিলাম,,, তাই দাদাজান এর কাছে যাচ্ছি কথা বলার জন্য,,, আচ্ছা ভাইয়া তুমি কি আমার সাথে একটু থাকবে আসলে একটু কথা বললো আরকি,,, আমার কিছু ভালো লাগছে এ মূহুর্তে তাই,,,
কথা গুলো বলে আয়ন ভাইয়া চোখে দিকে ভালো করে তাকায় আমি,, উনার চোখ দুটো কেমন অদ্ভুত ভারী ভারী লাগছে আমার কাছে, কই আগে তো এমন দেখেনি আমি তাহলে আজ এত গভীর ভাবে দেখছি কেন আমি,,,, কি হয়েছে আমার আজ,, চোখে কথা মনে করতে আমি সাথে সাথে পাশ ফিরে তাকায় উনার দিকে সাথে সাথে আমি চমকে উঠি,,, গম্ভীর দুটো চোখ আমার এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শুধু,,,, উনি (রিদ) আমার দিকে ঘুরে দু’হাত পকেটে গুঁজায়ে স্টং হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই দাঁড়িয়ে আছে,,,,, কিন্তুু উনাকে দেখে যতটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে তার চোখ দেখে মোটেও স্বাভাবিক লাগছে না,,, কারণ উনার চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে এতটা লাল হয়ে চোখ উনার তখন হয় যখম উনি কিছু ভয়ানক করে তখন,,, আর উনার চোখ দেখে মনে হচ্ছে উনি সবকিছু পুড়িয়ে দিবে বা ধংশ করার তান্ডব লিলায় মেতে উঠবে,,,
আচ্ছা উনি এমন করছে কেন, আমি কি আবার কোনো ভুল করেছি,,,, আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে আবারও আয়ন ভাইয়া ডাকে তার দিকে ফিরে তাকায় আমি চুপ করে আছি,,, পরে আয়ন ভাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,
—-” মায়ুপাখি সত্যি করে বলতো ঐ ছেলেটা যা বলেছে সবকি সত্যি ছিল না মিথ্যা কারণ আমার কেন জানি ছেলেটি কথা বিশ্বাস হয়নি,, তাই তুমি বলো সত্যিটা কি,,
আয়ন ভাইয়া কথায় আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠি…..
—-” হে ছেলেটি সবসত্যি বলেছে,,, আমার সাথে পরিচয় হতে এসেছিল শুধু আর ছেলেটা এমনি এমনি আমার পথ আটকে দাড়াচ্ছিল,,, তোমার এই রকম,,,,৷
বাকি কথা গুলো বলার সুযোগ হয়ে উঠেনি আমার,,, কেউ আমাকে হেঁচকা টানে তার দিকে ঘুরিয়ে প্রচন্ড জোর একটা চড় বসে দেয়,,,, চড়টা এত জোরে ছিল যে মূহুর্তেই আমার মাথা ঝিম ধরে যায়,, আকস্মিক ঘটনায় আমি চমকে উঠার সুযোগটা ও পায় নি,,,, গালে হাত দিয়ে ঝিম মেরে দাঁড়িয়ে আছি তখন আয়ন ভাইয়া গলার আওয়াজ কানে আসে উনি উচ্চ সুরে বললো,,,,,
—-” রিদদদদদ
আমি পিটপিট করে উনার দিকে তাকিয়ে কিছু বলার জন্য আস্তে করে বলে উঠি,,,,
—-” আপনি আম,,,,
বাকি কথা গুলো পেটেই রইল মুখে আর আসতে পারলো না তার আগে আরও একটা পরলো অন্য গালে,,, এবার আমার ঝিম ধরাটা দু গুন হল,, আমি দুগালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, ঝাপসা চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি,,,,( টলটলে চোখে,,,,)
চলবে…..