#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_২২
🍂
আমি তো ইচ্ছা করে উনার সামনে আসিনি আর উনি তো এখনো আমার চেহারা দেখেনি,,,,, আমার চেহারা দেখলে উনি আমায় পুড়িয়ে ফেলবে,,,, আমি কি করবো এখন,, কে বাঁচাবে উনার থেকে আমাকে,,,,,
আমি কি আজ আর বাঁচতে পারবো না উনার (রিদ) থেকে,,,,,
প্রচন্ড ভয়ে আর অস্থিরতা আমার কান্না চলে আসছে,,,
এ মূহুর্তে আমার কি করা উচিত কিছুই বুঝতে পারছি না,,, আমি শুধু চাইছি কেউ এখন চলে আসুক আর আমাকে উনার হাত থেকে বাচিয়ে নিয়ে যাক,,,, আমি আমাকে কিছুতেই ঠিক রাখতে পারছি না হার ভাঙানো কান্না আসতেছে আমার,,, তাই দু হাত দিয়ে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে কান্না থামানো চেষ্টা করছি তারপরও মাঝে মাঝে হিচকি উঠে যাচ্ছে,,,, উনার কোনো সারা শব্দ না পেয়ে,, আমি উনার থেকে পালানোর জন্য ঠোঁট চেপে ধরেই টেবিল থেকে নামার জন্য একটু নড়ে উঠতেই উনার পায়ে শব্দ আমার কানে আসে,, আমার দিকে এগিয়ে আসছেন,,, এবার আমি ভয়ে সিটিয়ে গেলাম কান্না ব্যাগটা আরও ভেড়ে গেলো,,,
তখনি কেউ আমার দু পায়ের নিচ দিয়ে নিজের হাত ঢুকেয়ে আমাকে বসা অবস্থা সম্পূর্ণ ওপরে তুলে ফেলে,,, আমি দু পা ভাজ করে টেবিল ওপর বসে ছিলাম মূখ চেপে ধরা অবস্থায়,,, হঠাৎ করে আমি হাওয়ায় ভাসছি বিষয়টি আমার বোধগমন হল না তাই আমার কান্না অফ হয়ে গেল,,, আর আমি কোথায় আছি সেটা দেখার জন্যই পাশ ফিরে তাকাতেই উনার গালের সাথে আমার নাক বারি খায়,,, সাথে সাথে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার,,, এখন কি হবে আমার একের পর এক ভুল করেই যাচ্ছি আমি,,, এখন আবার ছুঁয়ে ও দিলাম ভাবতেই আবারও কান্না চলে আসলো আমার,,,
আমার পিঠ উনার বুকের সাথে মিশানো আর উনার মাথা আমার কাদের ওপর রাখা,, আর উনার হাত দুটো আমার দু পায়ের নিচ দিয়ে ধরে রাখা যেভাবে আমি বসে ছিলাম ঠিক সেভাবেই আমাকে উনি উপরে তুলে নেন, আর আমি ভয়ে নিজের দু’হাত দিয়ে সম্পূর্ণ মূখ ডেকে কান্না করতে লাগলাম এ ভেবে যে উনি কি সত্যি এখন আমাকে পুড়িয়ে ফেলার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন,,,
রিদ মায়াকে এভাবেই ধরে কিছু দূর হেটে রুমে একপাশে সোফা উপর বসে পরেন,,,, পরে মায়াকে নিজের কোলে ওপর আরাম করে বসিয়ে দেন,,,
স্থির দৃষ্টিতে মায়াকে পর্যবেক্ষন করতে লাগল,,,
মায়া ওর ভয়ে সিটিয়ে আছে,,, আর কান্না করছে,,,
মায়ার কান্না থামানো চেষ্টা রিদ করছে না,,, আর না ভয় ভাঙানো চেষ্টা কারণ রিদ জানে এ মূহুর্তে মায়া আরও ভয় পাবে যদি সে দুটো একটাও করে এখন তো,,,তাই মায়াকে মায়ার মতো থাকতে দিয়ে শান্তা দৃষ্টিতে পযবেক্ষন করে চলছে ওকে,,,,,
মায়ার পড়নে একটা কালো চুরিদারি জামা,, চুল গুলো কাটি দিয়ে বাধা যার কারণে সামনে দিকে অনেক অবাধ্য চুল চলে এসেছে,,, হাতে কালো কাচের চুরি পায়ে বরাবরই মতো পায়েল পড়া,, সব মিলে আগের মতোই লাগছে,,, কিন্তুু রিদের কাছে মোটেও সাধারণ লাগছে না আজ ওর কাছে মোহনিত লাগছে,,, তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির এক ফুটা জল,, তাই কাতর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,,,
তার এ দেখাটা যেন মনে শান্তি পাচ্ছে না আর মায়াও নিজের মুখ ডেকে রেখেছে তাই রিদের মায়াকে ছুয়ে দিতে ইচ্ছা হচ্ছে প্রবল ভাবে,,, তবে সেটা ভালোবেসে নয় এতোদিন দূরে ছিল বিধায় রিদের মনকে ভিষন ভাবে পুড়িয়েছে মায়া তাই মায়াকে দিয়েই তার পুড়া মনের ঔষধ লাগাবে,,, আর সেটা হল মায়া নিজেই,,
রিদ মায়ার কান্নারত অবস্থায় মায়ার কাদ থেকে নিজের মাখা তুলে মায়াকে আরও একটু কাছে টেনে বুকে সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নেই,,,, মায়া তখনো ভয়ে কাঁপতে লাগলো আরও বেশি সিটিয়ে গেল কিন্তুু রিদের ভয়ে নড়াচড়া করল না,,, রিদ মায়াকে নিজের সাথে মিশিয়ে রেখে এক হাত দিয়ে মায়ার গায়ে ওড়না খুলতে লাগল আলতো হাতে,,,, ওড়নায় টান পড়তেই মায়া নড়েচড়ে ওঠে আর সাথে সাথে রিদ,,, ” উহুম ” শব্দ করে মায়াকে থামিয়ে দেয়,,,
মায়ার গায়ে জড়ানো ওড়নাটা খুলে একপাশে রেখে,, দু’হাতে মায়ার পেট ঝাপটে ধরে বেধে মায়ার গলায় মূখ গুজাতেয়, মায়া কেঁপে ওঠে নিজের দু হাত মুখ থেকে সরিয়ে রিদের হাতে ওপর রাখে আর বুঝার চেষ্টা করছে রিদ কি করতে চাইছে ওর সাথে,,,,
রিদ মায়ার গলায় মাঝ বরাবরই তিলটায় ঘাড় ভাবে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে কিছুক্ষন,, পরে সাথে সাথে খুব জোরে কামড় বসায় মায়ার গলায়,,,,
মায়ার এবার ব্যাথায় আর ভয়ে হু হু করে কান্না করে দেয়,,, আবার রিদের কথা মনে পড়তেই আবারও নিজের হাত দিয়ে মূখ চেপে কান্না আটকানো চেষ্টা করছে হিচকি তুলে,,,,,,
রিদ মায়ার কান্না আওয়াজ শুনে মায়ার কানে ধীর ভয়েস এ ফিসফিস করে বললো,,,,
—-” নাও দিয়ে দিলাম তোমার লাভবার্ডট,,, কিন্তুু আমাকে যে এত দিন পুড়ালে না কারার শর্তেও,,, তার শাস্তি হিসেবে তোমাকে পিষে ফেলি নিজের সাথে হুম,,,
তোমাকে এবার নিজের সাথে পিষার জন্য এসেছি,,,
এবার আর না তোমাকে ছাড় দিব না আর না দিব নিজেকে,,, আর যেখানে নিজেকে ছাড় দিব না সেখানে তো অন্য কেউ দিয়ার প্রশ্ন আসে না,,,,
পিষে ফেলা কথাটি কানে আসতেই মায়ার আর কিছুই ভাবতে পারেনি সাথে সাথে ডুলে পড়ে রিদ এ বুকে,,,
হে মায়া প্রচন্ড ভয়ে জ্ঞান হারায়,,,,,
মায়া জ্ঞান হারাতেয় রিদ মায়াকে ঐ ভাবেই কিছুক্ষন চেপে ধরে বসে থাকে পরে মায়াকে সোফায় শুইয়ে দিয়ে আশিকে কল করে,,,,,
🍁
নিজের রুমে বিছানা উপুড় হয়ে শুয়ে আছি আমি,,, কিছু ভালো লাগছে না,,, আজকে ভার্সিটিতে যাইনি কালকের বিষয়টি নিয়ে,,, উনি কালকে আমার সাথে যা করেছেন তারপরে ভার্সিটি নাম নিলেয় ভয়ে রুহ কেঁপে ওঠে আমার তাই কিছু দিন ভার্সিটিতে যাব না ঠিক করলাম,,, দাদীকে বলেছিলাম আমার শরীল ভালো না তাই যাব না,, আমার কথা শুনে দাদী সাথে সাথেই আয়ন ভাইয়াকে নিয়ে হাজির হয়ে গেল,,, পরে দাদীকে এটা সেটা বুঝিয়ে বললাম দাদীও মেনে গেল,,,
পরের আয়ন ভাইয়া কিছুক্ষন থেকে অফিসে চলে যায় আর দাদী সারাদিন আমার সাথে থেকে রাতে চলে যায়,,, মালা হয়তো ঘুমাচ্ছে আশিকরা বাহিরে আছে নিজের কাজে,,,,,
আমার চোখে কিছুতেই ঘুম আসছে না বার বার শুধু উনার চিন্তা ভাবনায় ঘুড় পাক খাচ্ছে,,, কাল যখন আমার হুস আসে তখন আমি নিজের রুমেই ছিলাম,,,,
মালা আমাকে বললো আমি নাকি গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম পরে মালা নাকি আমাকে রুমে এনেছে,,, কিন্তুু আমি তো জানি আমি আমার সাথে কি হয়েছে,,,
এসব ভাবতে ভাবত একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম পাশ থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম ১১ঃ০৩ বাজে,, কিছু ভালো লাগছে না বলে তাই উঠে ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে ফ্ল্যাটের মধ্যে হাটা হাঁটি করার জন্য রুম থেকে বের হচ্ছিলাম এমন সময় আমার কানে একটা অদ্ভুত শব্দ ভারি খায়,,, আমি কৌতুহল বশে আগ্রহী হয়ে শব্দটা অনুসরণ করতে থাকি কিন্তুু মাঝ পথেই আমার পা থেমে যায়,,, আমি স্থির হয়ে যায়,, আমার মনে হচ্ছে আমি শ্বাসরুদ্ধকর সমস্যায় ভোগছি,,, আমার সাথেই কেন এমন হয় আমি আর বাঁচতে পারবো না,,,,
.
চলবে,,,,,,,