স্নিগ্ধ_প্রিয়া #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_৩৭

0
607

#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_৩৭

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

জায়ান শীতল দৃষ্টিতে তাকালো পূর্বাশার পানে। স্বাভাবিক কন্ঠেই বলল – এই যেমন ধরো পা’ছা’র উপরে, মেইন পার্টে অর্থাৎ প্যান্টে ঢাক থাকা স্থানগুলোতে, যা না কাউকে দেখাতে পরবে আর না প্রকাশ করতে পারবে।

পূর্বাশা বিস্মিত হলো। গোল গোল চোখে তাকালো জায়ানের পানে। আতঙ্কিত কন্ঠে বলল – আপনি ইয়ান ভাইয়ের মেইন পার্ট….

এইটুকু বলে থতমত খেল মেয়েটা। লজ্জায় দৃষ্টি নত হলো পূর্বাশার। আমতা আমতা করে বলল – এভাবে আরেকজনের ভবিষ্যতকে আঘাত করতে একটুও বুক কাপলো না আপনার? আপনি তো ভারী বাজে পুরুষ মানুষ।

জায়ানের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো, তীক্ষ্ম কন্ঠে বলল – যে আমার ভবিষ্যৎ এর দিকে হাত বাড়াবে তার ভবিষ্যৎ আমি সুস্থ সফলভাবে রেখে দেব তা তুমি ভাবলে কি করে? এতটাও ভালো মানুষ নই আমি।

এবার যেন পূর্বাশা আঁতকে উঠলো আগের থেকেও। আতঙ্কগ্রস্ত চোখ মুখ নিয়ে সে বলেই ফেললো – ইয়ান ভাই আপনার মেইন পার্ট মানে ভবিষ্যতের দিকে হাত বাড়িয়েছে?

পূর্বাশার কথায় যেন থতমত খেয়ে গেল জায়ান। নিজের চোখ জোড়া নিচু করে তাকালো প্যান্টের দিকে। শিউরে উঠলো যেন। অপ্রস্তুত কন্ঠে বলল – না না ও আমার মেইন পার্টের দিকে হাত বাড়াবে কেন? আমি তো তোমার কথা বলেছিলাম। তুমি নামক ভবিষ্যতের দিকে হাত বাড়ানোর কথা বলেছিলাম।

পূর্বাশার হতবাকতার রেশ একটু কমলো। মিনমিনিয়ে বলল – তাই বলে আপনি এভাবে ইয়ান ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নষ্টের মতো কাজ করবেন?

জায়ানের মুখশ্রী থমথমে হলো। গম্ভীর কন্ঠে সে বলল – এখন পর্যন্ত আমি অল্পতে ছেড়ে দিয়েছি ঐ ব্যাটাকে। তবে এরপরও যদি ও তোমার দিকে আবার হাত বাড়ায় কিংবা হাত বাড়ানোর চেষ্টাও করে, নির্ঘাত আমি ওকে পুরুষ আক্তার মহিলা বানিয়ে হাসপাতালের বেডে শুইয়ে দেব তাতে কোনো ভুল নেই।

পূর্বাশা সরু দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে তবে কথা বাড়ালো না। এর সাথে কথা বাড়িয়ে খুব একটা লাভ যে নেই তা সে জানে খুব ভালোভাবেই। তাছাড়া এই মুহূর্তে তার জরুরী কাজ রয়েছে অনেক। এতক্ষন যে এই স্থানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু শুধু এত বকবক করেছে তাতে তার সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তাই আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুত প্রস্থান করলো মেয়েটা। এখন যেতে হবে তৃষামের কাছে।

_________________________________

সময়ের চলমান গতিতে কেটে গেল কয়েকটা দিন। চীনের পরিবেশে শীতটা বেড়েছে প্রচন্ড। বাংলাদেশেও হয়তো এই সময়ে শীতই পড়ছে। এই কয়দিনের মধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে মিসেস শীও, জায়ান, পূর্বাশা আর তৃষাম বেড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। মূলত মিসেস শীও কলেজ কর্তৃপক্ষের একজন হওয়ায় ছুটিটা এত সহজে নিতে পেরেছে তারা। সে যাই হোক, চীনের এয়ারপোর্ট থেকে সকল প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্লেনে চেপে বসেছেন মিসেস শীও, জায়ান, পূর্বাশা আর তৃষাম। চীনে অবস্থানকালীন শার্ট প্যান্ট কিংবা ফতুয়াতে নিজেকে আবৃত করলেও মিসেস শীও আজ বাঙালিদের মতো শাড়ি পড়েছেন, নিজের দেহকে আবৃত করেছেন শাড়িতে। সেই যৌবন বয়সে জাফর চৌধুরীর সাথে প্রেম থাকাকালীনই শাড়ি পড়া শিখে নিয়েছিলেন তিনি। লোকটার যে বড্ড ইচ্ছে ছিল তাকে যেদিন প্রথম সে বাংলাদেশে নিয়ে আসবে সেদিন শাড়ি পড়িয়ে আনবে। এর আগে মিসেস শীও যে একবার বাংলাদেশে এসেছিল সেবারও শাড়ি পড়েই এসেছিলেন। তবে খুঁজে পাননি নিজের কাঙ্ক্ষিত পুরুষকে। এবার হয়তো খুঁজে পাবেন সেই আশাতেই প্লেনে চেপে বসেছেন। অবশ্য চোখে মুখে তাদের সকলেরই উৎকণ্ঠা ছেয়ে রয়েছে। কারো চোখে মুখে প্রিয় মানুষকে আবার কাছে পাওয়ার উৎকণ্ঠা আর কারো চোখে মুখে প্রিয় মানুষগুলোকে আবারও একত্রিত করে মিলিয়ে দেওয়ার উৎকণ্ঠা।

চীনের এয়ার পোর্ট থেকে প্লেন উড়তে শুরু করার মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ব্যবধানে সবাই পৌছে গেল বাংলাদেশে। বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই পূর্বাশা আর তার নিজের বাড়িতে গেল না। বাবা মাকে কল করে বলে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জে মামার বাড়িতে পৌঁছে যেতে। নিজেরাও একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে দ্রুত রওনা দিল মামার বাড়িতে অর্থাৎ তৃষামদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। জায়ান গোল গোল চোখে ট্যাক্সি থেকে পর্যবেক্ষণ করছে আশেপাশে। এই তার প্রথম বাংলাদেশে আসা। শহরের মধ্যে গায়ে গায়ে যানবাহন, জনসংখ্যার ভরপুরতা, গরম আবহাওয়া, মাঝে মাঝে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ, আবার নাকে বারি খাচ্ছে তীব্র আবর্জনার দূর্গন্ধ। সব মিলিয়ে যেন মাথা ঘুরে উঠছে জায়ানের। এর মধ্যে আবার হঠাৎ করে মনে হলো তাদের ট্যাক্সিটা যেন ঝাকুনি দিয়ে ক্ষানিকটা নিচে পড়ে গেল আবার পরক্ষনেই উপরে উঠে গেল। হকচকিয়ে উঠলো জায়ান। গাড়ির জানালা থেকে তাকালো সে বাইরে। তারা কি রাস্তার নিচে পড়ে গিয়েছিল তবে? নাহ রাস্তায়ও তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঠিকঠাকই তো আছে সব। জায়ানের এমন পর্যবেক্ষণ দেখে পূর্বাশা হয়তো বুঝতে পারলো তার মনের কথা। বেশ স্বাভাবিক কন্ঠেই সে বলল – ওখান থেকে রাস্তা ভাঙা ছিল।

জায়ান অবাক হলো যেন। অবাক কন্ঠেই বলল – এখানে রাস্তার মাঝে ভাঙাও থাকে?

কথাটা বলতে বলতেই গাড়িটা আবার যেন নেমে গেল একটু নিচে। জায়ান দ্রুত তাকালো জানালা থেকে। দেখতে পেল দুইটা বাস পাশাপাশি হইহই করে রাস্তা থেকে ছুটে যাচ্ছে। হয়তো দুটো বাস প্রতিযোগিতা করছে, আবার মাঝে মাঝে একটা বাস অন্য বাসের সাথে লাগিয়ে দিচ্ছে। তখনই এক বাসের হেল্পার আরেক বাস চালকের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলল – মাদা***

জায়ান যেন নতুন শুনলো শব্দটা। এটা কি কোনো বাংলা শব্দ যা সে জানে না? নিশ্চই তাই হবে। ভিতরে ভিতরে কৌতুহল অনুভব করলো জায়ান। জানালা থেকে মুখ ঘুরিয়ে সে তাকালো পূর্বাশার পানে। উৎসুক কন্ঠে প্রশ্ন করলো – হোয়াট ইজ মাদা*** কৃষ্ণময়ী? ( মাথা*** কি কৃষ্ণময়ী )

পূর্বাশা অপ্রস্তত হয়ে পড়লো যেন। তৃষাম কেশে উঠলো সাথে সাথে। বাংলাদেশ এসে প্রথম শব্দ হিসেবে একে এটাই শিখতে হলো? এ ছাড়া কি আর কোনো শব্দ ছিল না? পূর্বাশাকে উত্তর না দিতে দেখে জায়ান আবার বলল – হোয়াট ইজ মাদা*** ?

এই প্রশ্নের উত্তর সে কি দিবে? আদও এটা কোনো উত্তর দেওয়ার মতো প্রশ্ন? এদিকে মিসেস শীওও উৎসুক হয়ে আছে এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। এত বছর ধরে বাংলা শিখলেও এই শব্দটা সেও প্রথম শুনছে। কি এক বিপাকে পড়লো পূর্বাশা। চট করে একটা বুদ্ধি বের করলো সে। ঠোঁট টেনে হেসে বলল – আমিও তো জানি না। তবে তৃষাম ভাই জানে বোধহয় উনাকে জিজ্ঞেস করুন।

পূর্বাশার কথা শেষ হতে না হতেই এবার সকলের দৃষ্টি পড়লো তৃষামের পানে। সেও অপ্রস্তত হয়ে রয়েছে বেশ। পূর্বাশা তাকে এভাবে ফাঁসিয়ে দিতে পারলো? এখন কি উত্তর দিবে সে? তাও মিসেস শীও যদি না থাকতেন তবে জায়ানকে একা উত্তরটা দেওয়া যেত। কিন্তু মিসেস শীওর সম্মুখে দাঁড়িয়ে এই উত্তর সে কিভাবে দিবে? কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে ভাবলো তৃষাম অতঃপর বলল – আসলে এর উত্তরটা অনেক বড় তো গাড়িতে বসে বলতে পারবো না। বাড়িতে গিয়ে বলবো ঠিক আছে।

– কিন্তু ওরা তো এক শব্দে একটু সময়ের মধ্যেই বলল।

জায়ানের কথায় অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসলো তৃষাম অতঃপর বলল – শব্দটা ছোট কিন্তু এর অর্থ অনেক বড় তো তাই। তোকে বুঝাতে সময় লাগবে।

তৃষামের কথা আপাতত নিল জায়ান। আর কোনো প্রশ্ন না করে জানালার দিকে মুখ করলো। সাথে সাথে জানালা বন্ধ করলো তৃষাম। আবার কোনদিক থেকে কোন কথা শুনে বসবে এই ছেলে তারপর প্রশ্ন করবে তাকে। তার থেকে এই জানালা বন্ধ থাকাটাই শ্রেয়। তবে তৃষামের এভাবে হুট করে জানালা বন্ধ করে দেওয়াতে বেজায় বিরক্ত হলো জায়ান, বিরক্তিভরা কন্ঠে সে বলল – এটা কি করলি?

– ধূলো! ধূলো আসছে তো বাইরে থেকে তাই জানালা বন্ধ করে দিয়েছি।

– আসুক ধুলো তবুও আমি বাহিরের পরিবেশ দেখতে চাই। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি।

কথাটা বলেই জানালাটা আবার খুললো জায়ান। উৎসুক দৃষ্টিতে দেখতে রইলো বাইরের দিকে। তবে সৌভাগ্যবশত আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা শব্দ চোখে পড়লো জায়ানের যার দরুন এবাবের মতো বেঁচে গেল তৃষাম।

***

চীন থেকে বাংলাদেশে আসতে যতটা সময় ব্যয় হয়েছে তার অধীক সময় ব্যয় করে এয়ারপোর্ট থেকে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছালো পূর্বাশারা। ট্যাক্সি থেকে একে একে নেমে দাঁড়ালো সবাই। বিশাল এক বাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের সম্মুখে। যদিও চীনের অলিতে গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা বড় বড় বিল্ডিং এর সম্মুখে এ বাড়ি নগন্য তবে শৌখিন বেশ। তৃষামকে নিজেদের ব্যাগ আর লাগেজের দায়িত্ব দিয়ে জায়ান আর মিসেস শীওকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকলো পূর্বাশা। বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে বসার কক্ষেই দেখা মিললো প্রায় জন বিশেক মানুষের। পূর্বাশাকে দেখেই উঠে এলো তারা। তাদের মধ্য থেকেই এক নারী এসে জড়িয়ে ধরলো পূর্বাশাকে। আবেগী কন্ঠে বলল – কতদিন পর দেখা পেলাম তোর মা। আমাকে ছেড়ে কিভাবে ওদেশে গিয়ে এতদিন ছিলি তুই?

– তোমার সাথে পরে কথা বলছি মা। আগে যে কাজে এসেছি তা করতে দাও।

পূর্বাশার কথায় পাখি বেগম ছেড়ে দিলেন মেয়েকে। উৎসুক দৃষ্টিতে তাকালো জায়ান আর মিসেস শীওর পানে। তারাও তাকিয়ে ছিল পাখি বেগমের পানেই। জায়ান বুঝলো এই নারী পূর্বাশার মা। কিন্তু বাকি লোকজন কারা? এরা সবাই কি এক পরিবারের? এক সাথে থাকে তারা? জায়ানের ভাবনার মধ্যেই পূর্বাশা এগিয়ে গেল তার বড় মামা জাহিদ চৌধুরীর পানে। ব্যস্ত কন্ঠে বলল – মামা চাবিটা দাও।

জাহিদ চৌধুরী যেন হাতে নিয়েই দাঁড়িয়ে ছিলেন চাবিটা। পূর্বাশা চাইতেই তার হাতে সে তুলে দিল চাবি। মেয়েটা সময় ব্যয় করলো না আর। মিসেস শীও আর জায়ানকে সাথে নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে উঠে এলো দোতালায়। একবারে কোনার এক তালাবদ্ধ কক্ষের সামনে দাঁড়ালো গিয়ে। কক্ষের দ্বারের তালাটায় কেমন জং ধরে গেছে। চকচকে রূপালি বর্ন ছেড়ে গায়ে জড়িয়েছে মরিচাধরা রং। পূর্বাশা চাবির সংস্পর্শে গ্যাচ গ্যাচ আওয়াজ তুলে তুললো তালাটা। দরজার সম্মুখে দাঁড়িয়েই দরজার পাশে দেওয়ালে লাগানো সুইচ বোর্ডে হাত দিয়ে আলো জ্বালালো অন্ধকার ঘরে। সাথে সাথেই কক্ষের ভিতর থেকে আওয়াজ এলো – আলো! আলো জ্বালিয়েছে কে? কে আলো জ্বালিয়েছে?

সেই চিরচেনা কন্ঠস্বর। যে পুরুষালী শক্তপোক্ত কন্ঠের প্রেমে একদিন পড়েছিলেন মিসেস শীও। চোখ তুলে সম্মুখের দিকে তাকালেন তিনি। চোখে পড়লো এক জীর্ণ দেহী উন্মাদকে। যাকে হাতে পায়ে শিকল জড়িয়ে শিকল বন্ধী করে রাখা হয়েছে। জীর্ণশীর্ণ দেহটাকে আবৃত করে রেখেছে ছেড়া মলিন পোশাক। দাঁড়ি আর চুলগুলো বড় বড় হয়েছে অনেকটা। দীর্ঘদিন চিরুনি না করার কারনে চুলগুলোতে জট পাকিয়ে গেছে। আলো সহ্য না করতে পেরে চোখ দুটো খিচে বন্ধ করে রয়েছে। চোখ দুটো ভরে উঠলো মিসেস শীওর। এত বছর পর তার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রিয় পুরুষের দেখা পেয়েছেন মিসেস শীও। কিন্তু এই অবস্থায়? এত বছরে লোকটাকে হারিয়ে ফেলার ভয় মিসেস শীও অজস্রবার পেয়েছেন কিন্তু এই অবস্থায় ফিরে পাবেন কখনও কল্পনাও করেননি তিনি। বাকশক্তি হারিয়ে ফেললেন যেন মিসেস শীও। কাঁধে ঝুলানো কাঁধ ব্যাগটাও লুটিয়ে পড়লো মেঝেতে। শরীরের শক্তি জুগিয়ে যেন সে আজ এগিয়ে যেতে পারছে না নিজের প্রিয় পুরুষের পানে। মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলো নিজ স্থানেই। পূর্বাশা কি বুঝলো জানা নেই। তবে সে হাত রাখলো মিসেস শীওর কাঁধে। শান্ত কন্ঠে বলল – আমার মেঝ মামা জাফর চৌধুরী।

চলবে…….

ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here