হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|১৭| #শার্লিন_হাসান

0
194

#হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|১৭|
#শার্লিন_হাসান

(প্রাপ্ত বয়স্ক মনস্কদের জন্য উন্মুক্ত)

সুহাসিনী সহ নাজিয়া বাড়ীতে আসার পেছন দিয়ে সীতারা আহমেদ,তিয়াশ খান চলে এসেছে। জাফিন ও তাদের সাথে আছে। বন্যা তাঁদেরকে ঠান্ডা শরবত দেয়। শরবত পান করে তারা সবাই উপরে চলে যায়। লিভিং রুমটা একদম ফাঁকা সবাই নিজ,নিজ রুমে। বন্যা কিচেনে থালা ধুয়ে রাখছে। আচমকা কোমড়ে কারোর স্পর্শ পেতে চমকে যায়। হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে সে হাত আরো বেশী শক্ত করে তার কোমড় আকড়ে ধরে নিকের সাথে মিশিয়ে নেয়। বন্যা পারফিউমের স্মেল শুকে বুঝতে পেরেছে এটা জায়ান আর স্পর্শটা ও তার কাছে অতি পরিচিত।

-জায়ান স্যার আ আপ..নি?

-হুম সুন্দরী আমি। সেদিন তো নাজিয়াকে পাঠালে আমি রেডি ছিলাম অথচ তুমি আসলে না।

বন্যা জায়ানের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা লাগায়। কোন ভাবে সফল হয় না। না পেরে দরজার দিকে মুখ করে বন্যা। সামনে নাজিয়াকে ফোন হাতে দেখতে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। জায়ান সামনে তাকায়নি তবে বন্যার গাড়ে নিজের থোতমা দিয়ে রেখেছে। তখন নাজিয়া গলা খাকাড়ি দিতে জায়ান চিটকে দূরে সরে যায়। নাজিয়াকে দেখে বলে,

-তুমি কখন আসলে পাখি?

-এদিক দিয়ে বেচিংয়ে যাচ্ছিলাম বাট তোমাকে দেখলাম ওইখানে…

-হ্যাঁ,হ্যাঁ আমি ত.. তো ওই যে ”
আশেপাশে তাকায় জায়ান। ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে বলে,

-ফ্রিজ থেকে পানির বোতল নিতে এসেছি।

-ওহ আচ্ছা তা পানির বোতল কোথায় তোমার?

-বন্যা দিবে। বন্যা আমি সোফায় বসলাম বোতল নিয়ে আসো।

জায়ান তড়িঘড়ি প্রস্থান করে। নাজিয়া বন্যার দিকে তাকায়। বন্যা তাকে দেখে মাথা নিচু করে নেয়।

-তুমি চাকরীটা ছেড়ে দাও আপাতত।

-কিন্তু আমার মা তো অসুস্থ প্রতিমাসে তার ঔষধের জন্য অনেক টাকার দরকার। চাকরীটা ছেড়ে দিলে না খেয়ে মরতে হবে।

-সেই ব্যবস্থা আমি করে দেবো তোমায়। আমার বাবার এটিএম কার্ড যখন খুশি তখন আমি নিতে পারি। তোমার স্যালারীর ফিফটি পার্সেন্ট আমি দেবো আর ফিফটি পার্সেন্ট আমার জিজু দিবে।

-জিজু…

-ডোন্ট ওয়ান্না টক বন্যা আন্টি। আমি গেলাম!

নাজিয়া চলে আসে রুমে। ফোনটা বের করে ভিডিওটা দেখে নাজিয়া। সে তো অপেক্ষায় ছিলো কখন জায়ান আসবে! বন্যাকে কিচেনে একা পেলে জায়ান ছাড়তো না এরকম কিছু মাথায় এসেছিলো নাজিয়ার। এরকম একটা প্রমাণ কতদিন ধরে চেয়েছিলো। ফাইনালী ডান! ভিডিওটা নিবরাসের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয় নাজিয়া।

******

সন্ধ্যায় নাস্তা করে আনায়া খাটে বসে আছে। নিবরাস রুমেই পায়চারি করছে আর কলে কথা বলছে। আনায়া তার দিকে তাকাচ্ছে বারবার। কিছুক্ষণ পর নিবরাস ফোনটা পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকিয়ে আনায়ার সামনে এসে বসে। আনায়া ফোনে ধ্যাণ দিতে নিবরাস ফোন তার থেকে কেড়ে নেয়।

-ফোনটা দিবেন নাকী আমি চলে যাবো বাড়ী থেকে?

-প্লিজ তুমি কথাটা তো শোনো?

-একটা কথাও বলবেন না আপনি। আপনাকে দেখলেই আমার রাগ উঠে খু’ন করতে মন চায় আপনাকে।

-স্যরি তো!

-সরুন আমার সামনে আসবেন না দয়া করে। এরকম আলগা দরদ আমার দরকার নেই।

-আনায়া শোনো না?

আনায়া চোখ গরম করে তাকায়। নিবরাস সেসবে ভ্রুক্ষেপ না করে উঠে দাঁড়ায়। কাউচের উপরে রাখা শপিং ব্যাগটা এনে আনায়ার দিকে দেয়।

-গার্ডেনে এসো একটু পর!

-ঠেকা পরেনি আমার।

-শপিং ব্যাগটা তো খুলে দেখো?

-প্রয়োজন মনে করি না।

নিবরাস ব্যর্থ চোখে তাকায়। আনায়া এতো গাড় ত্যাড়া। মনে হচ্ছে তারই কিছু করতে হবে। নিবরাস সোজা দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আসে।

-আমার কথা না শুনলে আমিও রাগ করবো।

-করুন তাতে আমার কী? আপনার রাগ ভাঙানোর জন্য তারিশা আছে না?

-আবারো তাকে আনছো আমাদের মাঝে।

-আমি আনিনি আপনি এনেছেন। আচ্ছা এটা বলুন আমি আগে নাকী তারিশা আগে?

-অফকোর্স তুমি।

-তাহলে আমায় ড্রপ করে দিয়ে আসতে সমস্যা! তারিশাকে নিয়ে তো সুন্দর ভাবেই ঘুরে আসলেন। এতে বুঝা যাচ্ছে আপনার কাছে আমি কতটা ইমফরটেন্ট।

-তোমার ভার্সিটি উল্টো দিকে আর ওরটা আমার যাওয়ার পথেই।

-তো বারণ করতেন? বলতেন আপনার তাড়া আছে নিতে পারবেন না।

-ও সীটে বসে গেছে আমার কোলে না।

-আপনার সাথে নিবেন কেন?

-আর কখনো নেবো না স্যরি।

আনায়া কথা বাড়ায়না। চুপচাপ বসে থাকে নিনরাস তার মুখোমুখি বসে বলে,
-শাড়ীটা পড়ে রেডি হয়ে নিও।

-পারবো না।

-আরেকবার বলো?

আনায়া তাকায়। নিবরাস কঠোর চাহনি দিয়েছে। আমতাআমতা করে বলে,
-আচ্ছা ঠিক আছে।

-একটু তো সন্মান দাও আমায়। এভাবে তুচ্ছ করো কেন?

-সন্মান! দেওয়ার সময় ঠিকই দেবো। এখন যান আমার মাথা গরম করবেন না প্লিজ।

নিবরাস উঠে চলে যায়। আনায়া থামাতে গিয়েও থামায়নি। আজকের গিফ্ট গুলো এখনো দেখা হয়নি। নিনরাস যেতে শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে একটা শাড়ী সাথে কিছু জুয়েলারি বের করে আনায়া। নিবরাসের আনা পার্সেলটা আনবক্সিং করে। সেখানেও শাড়ী,জুয়েলারি,গাজরা সহ সুন্দর একটা কম্বো ছিলো। আরেকটা পার্সেলে অনেকগুলো চকলেট। ছোট্ট একটা চিরকুট পায় আনায়া। তাতে লিখা,

-জানি না আমায় দেখে তোমার কেমন ফিল হয় বা কেমন চোখে দেখো আমায়। বাট বিলিভ মি তোমার চেহারার দিকে ফাস্ট টাইম তাকিয়ে আমি মায়ায় পড়ে গেছি। ভাবি, এই সুন্দর মেয়েটি আমার বোন! দেখতে ঠিক আমার মতো আমার টুইন বললে ভুল হবে না। ছোট্ট মেয়েটার পক্ষ থেকে তোমার জন্য সামান্য কিছু।

আনায়া হাসে। শাড়ীটায় হাত ভুলায়। যত্ন সহকারে চিরকুট সহ কাবাডে ঢুকিয়ে রাখে।

অতঃপর শাড়ী নিয়ে রেডি হতে চলে যায়। আনায়া শাড়ীটা পড়ে সাথের জুয়েলারি গুলোও পড়ে নেয়। তেমন একটা সাজেনি তবে কম ও সাজেনি। আজকে বেশ সাজতে মন চাইছে তবে সিম্পলের মাঝে কিছুটা গর্জিয়াস। আয়নায় নিজেকে দেখে আনায়া। ভাবছে নিবরাস অজ্ঞান না হলেই হলো।

দশটা বাজতে বাকীরা ডিনার করে নেয়। নিবরাস জানায় তারা বাইরে ডিনার করবে। এছাড়া পরাগ আগে বলেছে মরিয়ম নওয়াজকে তাদের ডেকোরেশন সাথে নিবরাসরা গার্ডেনে ডিনার করবে। সবকিছু সাজিয়ে পরাগ ও ডিনার করে নেয়। তবে মেইন সুইচ তাকে পাহাড়া দিতে হবে। কখন আবার তারিশা অফ করে দেয় ঠিক নেই।

তারিশা খেতে বসে বারবার আনায়ার খোঁজ করেছে সাথে তাঁদের রাতের ডিনার নিয়ে একশ একটা প্রশ্ন করেছে। পরাগ পারে না ধমকি একটা দিয়ে বসিয়ে দেয়।

তাদের খাওয়া শেষ হতে যে যার রুমে চলে যায়। নিবরাস আনায়াকে মেসেজ দিতে সে রুম থেকে বের হয়। করিডোর পেড়িয়ে সিঁড়ির কাছে যেতে হবে। করিডোরে থাকা অবস্থায় তারিশার সাথে দেখা হয়। আনায়াকে দেখে বলে,

-শাড়ীটা সুন্দর তবে তোমায় মানাচ্ছে না।

-শেয়ালের চোখে সবই সরিষা ফুল। এনি ওয়ে আমি কমপ্লিমেন্ট চাইনি তোমার থেকে। আমার ভদ্রলোক আমায় দেখে কমপ্লিমেন্ট দিবে। অবশ্য সবার চোখে ভালো কিছু মানান সই হয়না। নিজেকে যেমন ভাবে অন্যকেও ঠিক তেমনই ভাবে। আগে নিজেকে আয়নায় দেখো।

আনায়া মেজাজ গরম হয়ে যায়। আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে চলে যায় সিঁড়ির দিকে। তারিশা যাওয়ার পানে তাকিয়ে রয়। আনায়াকে আজকে সুন্দর লাগছে। তার শখের পুরুষ আনায়ার সাথে ডিনার করবে। কত সুন্দর একটা মোমেন্ট কাটাবে ভাবতে তারিশার গা জ্বলে যাচ্ছে।

আনায়া বাড়ী থেকে বেড়িয়ে ত্রস্ত পায়ে ডেকোরেশন করা জায়গা খুঁজতে লাগে। কিছুটা এগিয়ে আসতে লাইট অন হয়। আনায়া পুরো সারপ্রাইজড হয়ে যায়। সামনের জায়গাটা সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা লাভ সেফের বেলুন আনায়ার বেবি পিংক কালারের শাড়ীর সাথে মেচিং করে হোয়াইট,পিংক বেলুন দিয়ে। মাঝখানের কয়েকটা বেলুন স্যরি লেখা। সাথে কয়েকটা স্যাড ইমুজি! বড় টেবিলজুড়ে ক্যান্ডেল লাইট কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো। মাঝখানে একটা কেক রাখা সেটাতেও স্যরি লিখা। সাথে কয়েক রকমের ড্রিং,খাবার ও আছে। আনায়া এসব দেখে আশেপাশে তাকায়। নিবরাসকে খুঁজছে।

তখন লাইট অফ হয়ে যায় আবার। মোমবাতির আলোয় চারপাশটা মৃদু আলোকিত হয়। আনায়া ছোট্ট করে ডাক দেয়,
-চাঁদাবাজ নেতা! ওহ্ স্যরি আমার লিডার কোথায় লুকিয়ে বসে আছেন?

নিবরাস ত্রস্ত পায়ে আসে তখন। লাইট অন হতে আনায়া নিবরাসকে দেখে। সে হোয়াইট কালারের পাঞ্জাবি পরিধান করেছে। একটু গভীরভাবে খেয়াল করলো আনায়া। হোয়াইট কালারের পাঞ্জাবিতে তাকে আজকে দারুণ লাগছে। আনায়া হাসে নিবরাসকে দেখে। তখন নিবরাস বলে,

-জান বলে ডাক দিতে পারতে তা না কীসব চাঁদাবাজ বলছো। বউ তুমি আসলেই পাষাণ।

-স্যরি মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে।

-এরপর থেকে আর বলবা না এসব। ভবিষ্যতে আমার বাচ্চাকাচ্চারা ও দেখবো তোমার থেকে শুনে আমায় চাঁদাবাজ বলছে।

-বলবে না।

-আচ্ছা চলো।

নিবরাস হাত বাড়িয়ে দিতে আনায়া তার হাতে নিজের হাত রাখে। দু’জনে চেয়ারে বসে। নিবরাস নিজে আনায়াকে খাবার বেড়ে দেয়। আনায়া চুপচাপ খেয়ে নেয়। দু’জনের খাওয়া দাওয়া শেষ হতে নিবরাস একটা বক্স এগিয়ে দেয় আনায়ার দিকে।

-শোনো রাগ করার জন্য একটা গিফ্ট আরেকটা তোমার বাসর রাতে তো কিছু দেইনি সেই গিফ্ট। অবশ্য বাসর করতে পারিনি গিফ্ট দিয়ে কী লাভ?

-বদলোক বাসর ছাড়া আর কোন কথা মুখে নেই।

-বউ প্লিজ বুঝো! আমাদের ও তো বেবি দরকার। চলো আজকে লং ড্রাইভে যাই। আমাদের বাংলোতে বাসরটা সেরে ফেলি।

-চুপ! রাগ ভাঙাতে এনেছেন নাকী বাসর করার প্রস্তাব দিতে? বদলোক একটা।

-দু’টোই।

-মুখটা বন্ধ রাখবেন?

-আচ্ছা রাখলাম।

আনায়া গিফ্টগুলো খুলে দেখে। একটা বক্সে গোল্ডের ব্রেসলেট সাথে দু’টো রিং রাখা। রাগ ভাঙানোর জন্য। আর বাসর রাতের লেইট গিফ্ট যেটা সেই বক্সে তডায়মন্ডের একটা নেকলেস সাথে গোল্ডের একটা চেইন রাখা।

আনায়া গিফ্টগুলো আবারো বক্সে ঢুকিয়ে টেবিলর এক কোণে রাখে। নিবরাস প্রশ্ন করে,

-গিফ্ট কম হয়েছে তাই না? আচ্ছা পরের বার বেশী করে দেবো। আমি শপিংমলে গেলে সব কিনে আনবো।

-আমি একবার ও বলেছি কিছু?

-না বলোনি তোমার মুখ দেখে বুঝলাম। শ্বশুর মশাই নিশ্চয়ই এর থেকে বেশী কিছু তোমায় দিয়েছে আমি কিছুই দিতে পারলাম না এখন অব্দি তোমায়।

-দিবেন কীভাবে? সারাদিন মেয়েদের চিপায় থাকেন।

-কই? আমি এখন আর কোন ইভেন্টে গেলে মেয়েদের সাথে পিক তুলি না।

-আগে তো তুলতেন?

-এরকম হ্যান্ডসাম,সিঙ্গেল নেতাকে যে কেউ চাইবে ইমপ্রেস করতে।

মুখ বাকায় আনায়া। নিবরাস হেঁসে বলে,

-আমার চাঁদের পূর্ণিমা।

-আর আমার অমাবস্যার চাঁদ।

নিবরাসের হাসি আপনার আপনি থেমে যায়।

-আমি তোমার থেকে বেশী ফর্সা বউ।

-তো কী? একদম ভাব নিবেন না বলে দিলাম।

আমার ‘হৃদয় কোঠায় চাঁদের পূর্ণিমা’ এসেছে। ভালোবেসে হৃদয় কোঠরে থাকবে তো?

-থাকবোনি।

-একটু সুন্দর ভাবে বলো না?

-ভালোবাসবো! আপনার হয়ে সবসময় থাকবো।

নিবরাস আনায়ার হাতের পিঠে চুমু খায়। কয়েকটা ফ্লাওয়ার আনায়াকে দেয়। অতঃপর তারা দু’জন কেক কাটে। আনায়া নিবরাসের দিকে তাকিয়ে হাসে।
নিবরাস আর সময় ব্যয় না করে আনায়ার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,

-মহারানীর রাগ ভেঙেছে তো?

-না ভাঙেনি।

-চুমু খেলে ভাঙবে তাই না?

-আসলে এসব কিছুতে রাগ ভাঙবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ঠোঁটে আমি অত্যাচার করতে পারবো।

-পাষাণ বউ।

আনায়া নিবরাসের গাড়ে কামড় বসিয়ে দেয়। নিবরাস কিছুটা ছিটকে সরে যায় আনায়ার থেকে। আনায়া নিবরাসের হাত টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে। পা উঁচু করে নিবরাসের অধরে,অধর মিলিয়ে নেয়।

আনায়ার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিবরাস গাড়ে হাত রাখে। কামড়টা জোরেই দিয়েছে আনায়া। নিবরাস অভিমানী স্বরে বলে,

-কামড় না দিলেও পারতা।

-বেশ করেছি।

নিবরাস হুট করে আনায়াকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটতে থাকে। আনায়া তার গলা জড়িয়ে ধরে বলে,

-অসভ্য লোক নিচে নামা তো।

-বউ আজকে আর ছাড়ছি না কিন্তু। একবারে বাবুর পাপা হওয়ার মতো অসভ্যতামী করেই ছাড়বো।

#চলবে

(এবার খুশি তো সবাই? প্লিজ কেউ আমায় লজ্জা দিবেন না। 🥲 কীভাবে পার্ট লিখেছি জানি না তবে লেখার ক্ষেত্রে আমি নিলজ্জ হয়ে গেছি বাট পার্টের রোমান্টিকতা নিয়ে কেউ সামনাসামনি প্রশ্ন করলে আমার ভীষণ লজ্জা লাগে।😞🐸)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here