#হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|৫|
#শার্লিন_হাসান
রাজের কাহিনী শেষ করে দিয়েছে নিবরাস। লাভ টা হলো কী? এই নিবরাস ঠান্ডা মাথায় সব শেষ করে দিলো? কোথায় ভেবেছিলাম আনায়াকে চ’ড় থা’প্পড় মেরে ডিভোর্স দিয়ে তাড়িয়ে দিবে। রাজের কথা বিশ্বাস করার কথা ছিলো নিবরাসের। আচ্ছা এখনকার যুগে বেড শেয়ার,বফ এসব থাকা সিম্পল ব্যপার বাট নিবরাস বিশ্বাস করলো না কেন? কোন রিয়েক্ট করলো না কেন? এই নিবরাস চাচ্ছে কী?
পায়চারি করতে,করতে কথাটা বলে আহিয়া। শামিম সরদার এসেছে কিছুক্ষণ আগে।
তাঁদের মাঝের একজন বলে,
-এই নিবরাস ঠান্ডা মাথায় যা করার করে। ওর সাথে কেউ পারবে না।
কথাটা শেষ হতে শামিম ছেলেটাকে ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় গালে। কয়েকটা কুৎসিত গা’লি দিয়ে বলে,
-আমাদের লোক হয়ে নিবরাসের গুণগান গাইছিস? ওই নিবরাস সিংহের বাচ্চার মতো চলাফেরা করে। অথচ ওর জায়গায় আমার থাকার কথা ছিলো।
তখন আহিয়া বলে,
-নিবরাস যেমন আনায়া টাও তেমনই। এই নিবরাসের পরিবারকে আমি শেষ করে দিবো।
-বোনের মৃ’ত্যুর জন্য?
প্রশ্ন করে শামিম সরদার। আহিয়া কিঞ্চিৎ হেঁসে বলে,
-সেটা আসল ফ্যাক্ট না! এই নিরব মির্জার জন্য একসময় আমাদের সব নিলামে উঠেছিলো। পথের ভিখারী হয়ে গিয়েছিলাম। বাপ করলো যায় ছেলে কম কী করলো? আমার বোন তো ওকে ভালোবাসতো! ও একটু ভালোবাসলে কী এমন ক্ষতি হতো?
বিরক্ত হয় শামিম সরদার। এসব প্রেম ভালোবাসা তার কাছে বিরক্ত লাগে। ভার্সিটি থাকা কালীন বেশীরভাগ মেয়েরা নিবরাস,নিবরাস করতো। সেটাও শামিম সরদারের বিরক্ত লাগতো।
আহিয়া বিরক্ত হয়ে বেড়িয়ে আসে। আপাতত কোন প্লানিং নেই তার মাথায়। কিন্তু নিবরাসের সংসার না ভাঙা অব্দি তার শান্তি হবে না।
*****
বিকেলের দিকে বাড়ীতে ফিরে নিবরাস। নিজের হাতের দিকে তাকায়। এই হাত দিয়েই তো খু’ন করলো সে। রুমে প্রবেশ করতে দেখলো আনায়া বসে ফোন স্ক্রোল করছে। নিবরাস সেসবে পাত্তা না দিয়ে শাওয়ারে ঢুকে যায়।
আনায়া অপেক্ষায় আছে কখন নিবরাস আসবে আর ছেলেটার খোঁজ নিবে। আদৌ কিছু করেছে, জেলে দিয়েছে নাকী ছেড়ে দিয়েছে।
নিবরাস আসতে প্রশ্ন করে আনায়া,
-লোকটাকে কী করেছেন?
-উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি।
ঠান্ডা মাথায় জবাব দেয় নিবরাস। আনায়া উঠে দাঁড়ায়। নিবরাসকে পুনরায় জিজ্ঞেস করে,
-ইয়ার্কি করছেন? নেতা না আপনি! দয়ামায়া নেই?
-নিবরাস কারোর সাথে ইয়ার্কি,হাসিঠাট্টা করে না। রাজ আমার ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলো আগে।
-তারপর?
-আমার বিপক্ষ দলের সাথে হাত মিলায়! একে আজকে হলেও মারতে হতো কালকে হলেও! নেও আজকে আপদ বিদায় করে দিলাম। এরপর আর কেউ আপনাকে বিরক্ত করবে না।
আনায়া কথা বলেনা। নিবরাসের দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে। নিবরাস মুচকি হেঁসে বলে,
-আচ্ছা আমি কী আগের থেকে বেশী সুন্দর হয়ে গেছি?
আনায়া চোখ সরিয়ে নেয়। নিবরাস ঠোঁট কামড়ে হেঁসে বলে,
-কালো হয়ে গেছি? আপনি বললে আমি ফেসের যত্ন নিবো।
-আপনি একটা গুন্ডা! বাবা আমাকে একটা গুন্ডার সাথে বিয়ে দিলো? এই আপনি আবার আমায় মে’রে ফেলবেন না তো?
-এসব বলে না জান। নেতার বউ হয়ে নেতাকে গুন্ডা উপাধি দিচ্ছো? জনগণ শোনলে তো তোমায় পাবলিক প্লেসে রেখে কেলানি দিবে। তখন কিন্তু আমি বউ বলে পরিচয় দেবো না। বলবো আগেরটার মতো এটাও এসেছে আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করতে।
-আগেরটা মানে?
-বুঝবে না তুমি।
-আপনার আগের বউ?
হাতে টান পড়ে আনায়ার। নিবরাস তাকে একটানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। আলতো করে আনায়ার ওষ্ঠ স্পর্শ করে।
-একদম বেশী নড়াচড়া করে না জান। প্রেকটিস করাচ্ছি!
আনায়া রেগে তাকিয়ে আছে নিবরাসের দিকে। নিবরাসের কথায় হাসি,কষ্ট দুঃখ সবই প্রকাশ পাচ্ছে! মানুষের সামনে ভাবসাব নিয়ে চলা নেতা তার সাথে রোমান্স করছে।
-আমি কী কোন কথা জিজ্ঞেস করে কোন উত্তর পাবো না আপনার থেকে?
-পাইবা তবে ফাল’তু কিছু জিজ্ঞেস করে না।
নিবরাস পাঞ্জাবির হাত কিছুটা গুটিয়ে নেয়। বাক্যব্যয় না করে নিচে চলে যায়। আনায়া সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। নিবরাস আসলেই রাজকে মে’রে ফেলেছে? এই নিবরাস তো একজন ক্রিমিনাল তাহলে। অথচ নিজেকে সাদা পান্জাবিতে মুড়িয়ে রেখেছে।
আনায়া ভাবতে পারছে না আর। নিবরাসকে দিনদিন তার কাছে রহস্যজনক মনে হয়। এই রহস্য কোনদিন ফাঁস হলে নিবরাস পবিত্র থাকবে নাকী পাপী হয়ে যাবে?
তখন আবার মিসবাহ আসে আনায়ার কাছে। তার সাথে ড্রয়িং করতে৷ আনায়া ও এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে চলে যায় মিসবাহর সাথে।
মিসবাহর স্টাডি টেবিলের সামনে দু’জন বসে আছে। কখনো আনায়া ড্রয়িং করছে কখনো মিসবাহ।
নিবরাস বসে,বসে কিছু ফাইল দেখছে। তাঁদের কোম্পানির কর আদায়ের বিষয়টা পরাগের মাধ্যমে জেনেছে নিবরাস। কর্মচারীদের থেকে নাকী একটু বেশী কর নেওয়া হয়। এই নিয়ে কয়েকজন অসন্তুষ্ট। নিবরাস আগামী কালকে অফিসে যাবে। তার বাবাকে যদিও কিছু জানায়নি।
চেয়ারে বসে চোখ বন্ধ করে রেখেছে নিবরাস। এই নাম,যশ,খ্যাতি সবই তো আসলো। তবে কিছু কালো পথ ও আছে তার এই মঞ্চে দাঁড়ানো এবং এই পর্যন্ত টিকে থাকা। ক্যারিয়ারের শুরুটা শামিম সরদারের সাথে রেষারেষি ভাবের মাধ্যমে শুরু। কিছুটা পরিচিতি আসতে সবচেয়ে জঘন্য ব্যপার নিবরাসের কাছে যেটা মনে হয় সেটা হলো নারী বিষয়ক।
এমপি হওয়ার ছয়মাসের মাথায় তার ক্যারিয়ার বাদ করে দিতে চেয়েছে আহিয়ার বোন। সে জানতো আহিয়ার বোন তাকে পছন্দ করে সে ভার্সিটি লাইপ থেকে কিন্তু নিবরাস অপছন্দ করে তাকে। সে বেশ ভালো করেই জানে রিভেঞ্জ নিতে চায়। বিজন্যাসে থাকাকালীন আহিয়ার বাবার সাথে নিরব মির্জার ভুল বোঝাবুঝি হয়। আহিয়ার বাবা বিজন্যাসে লস খায়! আবার তাঁদের সব নিলামে উঠেছিলো। অনেককিছু মিলিয়েই ব্যপারটা। সেজন্যই নিবরাস বরাবরের মতো সব এভোয়েড করে গেছে। ক্ষ্যন্ত হয়নি আহিয়ার বোন তাহিয়া। নিবরাস ও তাকে জায়গা মতো পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন আবার আহিয়া তার পেছনে লেগেছে। তবে নিবরাসের কিছু যায় আসে না। না আছে সাক্ষী না আছে কোন সাক্ষাৎকার বা প্রমাণ। যা করে সব জায়গায় শেষ! ভিক্টিম সাথে প্রমাণ ও।
তারিশা মিসবাহর কাছে যায়। আনায়া তাকে দেখে কথা বলে। তারিশা কিছুটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। আনায়া বুঝতে পারেনা বিষয়টা। ভেবেছে মিসবাহকে কিছু জিজ্ঞেস করবে। তারিশা কিছুক্ষণ থেকে চলে যায়।
আনায়া মিসবাহকে প্রশ্ন করে,
-ও কী কোন ব্যাপারে হার্ট হয়েছে?
-জানি না। হোস্টেল থেকে আসার পর আন্টি কেমন জেনো হয়ে গেলো।
মাথা ঘামায় না আনায়া। উঠে রুমে চলে আসে। নিবরাসের খোঁজ মেলেনি। হয়ত ব্যস্ত!
নিরব মির্জা, মরিয়ম নওয়াজ তারিশাকে নিয়ে কথা বলছে।
তখন নিরব মির্জা বলেন,
– নিবরাসের বিয়েটা তো এভাবেই হয়ে গেলো। আমাদের পরিবারের সবাই মিলে কোথাও একটু ঘুরতে যাওয়া দরকার।
-কীভাবে যাবো? তেমার ছেলের এই সমস্যা ওই সমস্যা। আজকে এটা কালকে ওটা। পরিবারকে সময় দেওয়ার মতো সময় তার কাছে নেই। রাজনীতি আমার পছন্দ না তাও ছেলেটা রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়ালো।
-রাজনীতি খারাপ কী? নিজে সাবধাণ হয়ে চললে হয়। মানুষের সেবা করা এটা তো অনেক ভাগ্যের ব্যপার।
-সেবা করে না খু’ন করে আপনাদের ছেলে।
মনে,মনে কথাটা বলে আনায়া। আনায়াকে দেখে মরিয়ম নওয়াজ তাকে কাছে ডেকে নেয়। তার পেছন দিয়ে মাইশা,মিসবাহ আসে। তার গল্প করছে। মূলত কোথাও ট্যুর দেওয়া যায় তা নিয়েই ভাবছে।
আনায়া সন্তুষ্ট হতে পারছে না। বারবার একটা কথাই মাথায় ঘুরছে নিবরাস খু’নি। খু’নির সাথে সে কীভাবে সংসার করবে?
তখন নিনরাস,রোহীত সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকেই আসছে কথা বলতে,বলতে। আনায়ার চোখ যায় নিবরাসের দিকে। সাদা পান্জাবি পড়া কতটা স্নিগ্ধ লাগছে অথচ কে বিশ্বাস করবে লোকটা কাউকে মে’রে ফেলেছে।
-আচ্ছা রোহীত, পরাগ ওরা সব জানে? না জানার কী আছে? সারাক্ষণ নিবরাসের পেছনে লেগে থাকে। আচ্ছা নিবরাস যখন মারলো রাজকে তখন পুলিশ ছিলো না? অবশ্য থাকলে কী? টাকা দিলে সব বন্ধ মুখ। নিবরাস আর ভালো কোথায়? সে ও তো নোং’রা রাজনীতি করে।
মির্জা বাড়ীর সবাই ডিনার করে নেয়। আনায়া আর বাকীদের মাঝে থাকে না। রুমে চলে যায়।
****
পরের দিন সকালে খান বাড়ী ডেকোরেশনের কাজ চলছে। বাড়ীতে উৎসব লেগেছে। জায়ানের বোন উম্মে আয়াত নিধি । বিয়েটা অবশ্য শিকাদারদের একমাত্র ছেলে শাহরিয়ার সায়ন্তিক শিকদারের সাথে।
সীতারা আহমেদ তার বড় ঝা সুহাসিনীর সাথে বসে শাড়ী চুজ করছে বিয়ের জন্য। তাঁদের বড় মেয়ের বিয়ে। সীতারা আহমেদের একটা মাত্র মেয়ে এই সংসারে এবার টেনে উঠেছে। আর ছোট্ একটা ছেলে আছে পাঁচ বছর বয়স।
তার মেয়ের নাম উম্মে আয়াত নাজিয়া। ছেলে জাফিন খান। শুনেছেন তার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে কয়েকদিন আগে এমপির সাথে।
নিধি,নাজিয়া বাইরে বের হবে। কিছু কেনাকাটা আছে তাঁদের। যদিও বা তাঁদের এক জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্য আছে। বাড়ী থেকে পারমিশন পেতে দু’জন বেড়িয়ে পড়ে। আজকে নিজেদের কার নেয়নি। রিকশায় করে যাবে।
মূলত নাজিয়ার জন্যই নিধি বেড়িয়েছে। তার আগের বোনের খোঁজ জানতে চায় নাজিয়া। জিজ্ঞেস করলে কেউই বলেনি। কিন্তু তার ইচ্ছে বোনকে দেখার। এতোদিনে তো ঠিকানা জানতো না তবে শুনেছে এমপির সাথেই বিয়েটা হয়েছে।
এমপির বাড়ীতে যাবে! অনুমতির একটা ব্যপারস্যপার আছে। নাজিয়া সেসব ভাবছে না। কেউ কিছু বললে বলবে এমপি তার জিজু।
সকালে মির্জা বাড়ীতে নাস্তা শেষ করে যে যার কাজে চলে যায়। নিবরাস আজকে অফিসে যাবে। আনায়া রান্নার কাজে সামিল হয়েছে। কাজের বুয়া দু’জন রান্নাবান্না দেখলেও আনায়াও আজকাল ব্যপারটা দেখে।
লিভিং রুম পুরোটা পরিপাটি করে নিয়েছে সার্ভেন্ট দু’জন।
আনায়া গরুর মাংশ রান্না করে বাইরে চলে এসেছে। আজকে এটাই তার হাতে প্রথম রান্না শ্বশুর বাড়ীতে। কিছুক্ষণ পর দারোয়ান একজন সার্ভেন্টকে দিয়ে খোঁজ পাঠায় আনায়ার।
আনায়া বাইরে যাবে কী যাবে না ভাবছে। তার ভাবনার মাঝে মেয়ে দু’টো ভেতরের দিকে আসে। অবশ্য অনেকেই আসে এভাবে! তখন আনায়া বা বাড়ীর বউ,মেয়েরা ভেতরেই থাকে।
নাজিয়া সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন সার্ভেন্ট কে জিজ্ঞেস করে,
-স্যারের ওয়াইফ কে?
সার্ভেন্ট আনায়াকে দেখিয়ে দেয়। নাজিয়া সালাম দেয় আনায়াকে। আনায়াও সালামের জবাব দেয়। আনায়ার কাছে কেমন জেনো লাগছে। মরিয়ম নওয়াজ আসতে আনায়া কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মরিয়ম নওয়াজ তাঁদেরকে বসতে বলে। আনায়া ও বলে!
তখন নিধি বলে,
-নাজিয়া আপনার সাথে দেখা করার জন্য অস্থির। এখন না আগে থেকেই কিন্তু আপনার ঠিকানা জানতো না। এখন তো শুনেছে এমপি স্যারের সাথে বিয়ে হয়েছে সেজন্য সমস্যা হয়নি বেশী।
মুখ ফসকে কথাটা বলে দেয় নিধি। নাজিয়া এবার কী বলবে ভাবছে। আগের কথা জিজ্ঞেস করলে? বলে দিবে তারা বোন? যদি আনায়া রিয়েক্ট করে। সীতারা আহমেদকে এখনো ভালোবাসে আনায়া? যে ছোটবেলায় তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। সত্য কোনদিন গোপন থাকে না। নাজিয়ার কাছেও কিছু সত্য গোপন রাখা হয়েছিলো কিন্তু কিছুটা বুদ্ধি হওয়ার সাথে,সাথে সবই জেনে নেয় সে।
তখন আনায়া বলে,
-আমাকে আগে থেকে চেনো তোমরা?
-হ্যাঁ চিনি।
নাজিয়া বলে। নিধি চুপচাপ বসে আছে। সে জানে এখন সে কথা বলা মানে প্যাসকেলের সাথে সূচকের প্যাচ লাগানো। যেটার সমাধান হয়না! আর যা প্যাচ লাগবে সেটা জাতে পদে পড়বে না।
তখন আনায়া প্র্শ্ন করে,
-কীভাবে চেনো?
-আসলে আমি খান বাড়ীর মেয়ে। তিয়াশ খান এর বড় মেয়ে উম্মে আয়াত নাজিয়া। আশা করি তুমি চিনবে আমায়।
#চলবে
( রাইটিং ব্লকে আছি। পার্ট একটা সাজাতে দেড়ঘন্টা চলে যায়🥺 অথচ অন্যান্য সময় ত্রিশ-চল্লিশ মিনিট যথেষ্ট ছিলো।😒)