হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|১| #শার্লিন_হাসান

0
701

‘তোর বর আগেও একটা বিয়ে করছে আনায়া; অথচ তুই এতোদিন নিজেকে কতটা লয়্যাল রাখলি। ছেলেদের ইগনোর করতি দেখ সেজন্য তোর ভাগ্যেই বিবাহিত জামাই জুটলো।

আমি যে তোকে এটা বলেছি কাউকে বলিস না।’

মামাতো বোন আহিয়ার কাছ থেকে কথাটা শোনে কোন রিয়েক্ট করেনি আনায়া। তার বাবা তার ভালো চেয়ে হয়ত বা করেছে। আর বাবার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করে আনায়া। লোকে যা বলার বলুক! তার এখন বিয়ে হয়ে গেছে। আর ঘন্টাখানেক পর বিদায়ের সময় ও ঘনিয়ে আসবে।

এই বিয়েটা মোটামুটি গোপনে হচ্ছে। বাইরের লোক তেমন কেউই জানে না। তবে বিয়ের খবরটা লিক হতে ও হয়ত বেশী লেট নেই। সাধারণ দিনের মতো সাদা পান্জাবি পড়েই বিয়েতে এসেছে নিবরাস। তার দলের লোক ছাড়া কেউই জানে না বিয়ে নিয়ে।

ডান হাত দিয়ে বা হাত কচলাচ্ছে আনায়া। তেমন ভাবেনি তবুও কেমন জেনো লাগলো। এমপি আগে বিয়ে করেছে এটা তো লিক হওয়ার কথা ছিলো। কেউ না জানলেও তার বাবা নিশ্চয়ই জানতো। নিবরাসের বাবার সাথে গলায়,গলায় ভাব। নেতা নিবরাসের সাথেও।

আনায়ার বাবা জিয়াউর রহমান মেয়েকে নিবরাসের হাতে তুলে দিয়ে বলেন,

-তোমার প্রতি বিশ্বাস এবং ভরসা সবশেষে ভালোবাসা রয়েছে আমার। আল্লাহর পর আমার মেয়ের দ্বিতীয় ছায়াটা তুমি হইয়ো।

নিবরাস মাথা নাড়িয়ে বলে,
-জ্বী আমি চেষ্টা করবো।

অতঃপর আনায়াকে নিয়ে মির্জা ভিলার দিকে রওনা হয়। গাড়ীতে কেউ কারোর দিকে ফিরিয়েও তাকায়নি। আনায়ার মাথায় নিবরাসের আগের বিয়ের কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে।

মির্জা বাড়ীতে আসতে লোকের সমাগম দেখতে পেলো আনায়া। না থাকারই বা কী আছে? এমপির বাড়ী বলে কথা। লোকজন একের পর এক। বিশাল বাড়ীতে লোকের অভাব নেই! অথচ আনায়ার বাড়ীতে তেমন মানুষই নেই। চাচ্চুদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর আনায়ার একাই সময় কাটতো। মা তো সে কবেই ছেড়ে চলে গেলো নিজের সুখের খোঁজে।

কয়েকজন মেয়ে আনায়াকে একটা রুমে নিয়ে যায়। বিশাল লিভিং রুম জুড়ে লোকের সমাগম। নতুন বউ! ভেতরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন মরিয়ম নওয়াজ। তার মেয়ে মাইশা নওয়াজ তার অন্যান্য কাজিনদের সাথে মিলে আনায়াকে নিয়ে ভেতরে যায়। সেখানে আনায়া চেন্জ করে আরেকটা শাড়ী পরিধান করে। যথাসময়ে নাস্তা আসে। বাকীদের সাথে বসে হালকা নাস্তা করে নেয় আনায়া।

ফ্রেশ হয়ে দলের লোকেদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেছে নিবরাস। তাদের বৈঠকঘরে এই আলোচনা। বিশেষ করে তার এলাকার উন্নয়ন নিয়ে। সেই সাথে বিপরীত দলের লিডার শামিম সরদার। উঠেপড়ে লেগেছে তার পেছনে।

নেতার বিয়ে হলো অথচ কোন জাঁকজমক কিছুই হলো না। না তেমন লোক আসলো, জানাজানি হলো! সাধারণ আর পাঁচটা দিনের মতো আজকের দিনটাও নিবরাসের কাছে একই মনে হলো। নিজের জীবনের সাথে আরেকজন জড়ালো সেটা মনেই হয়না।

দশটার দিকে তাঁদের কোম্পানির কিছু ফাইল দেখে সে।
তাদের মির্জা কোম্পানিকে টেক্কা দিতে চায় জায়ান কোম্পানি। ব্যস্ত হাতে ফাইল দেখছে। তার পেছন দিয়ে তার ভাগিনা মিসবাহ আসে। মামুকে ব্যস্ত দেখে বলে,

-মামু ডিনার করবা না?

-তুমি করে নেও বাকীদের সাথে মামু একটু ব্যস্ত।

-মামু তুমি অনেক পঁচা। জানো কী তুমি?

নিবরাস হাতের ফাইলটা রেখে তাকায় মিসবাহর দিকে। শান্ত কন্ঠে বলে,

-কী করলাম সোনা?

-বউমনির সাথে পরিচয়টা করিয়ে দিলে না আমায়। মামু চলো আমি, তুমি,বউমনি একসাথে বসে গল্প করি।

-আহা! মামুর কী আবদার! দেখো মিসবাহ আমি ব্যস্ত। তুমি পারলে গিয়ে তোমার বউমনির সাথে গল্প করো মামুর এসবে ইন্টারেস্ট নেই।

-আসবে না তাই না? দাঁড়াও মজা দেখাচ্ছি।
মনে,মনে কথাগুলো বলে মিসবাহ স্থান ত্যাগ করে। কিছুটা সামনে এসে চিৎকার করে উঠে। মিসবাহর চিৎকার শুনে নিবরাস তড়িঘড়ি উঠে যায় হাতের ফাইলটা রেখে।

মিসবাহ নিচে পড়ে কান্না করছে। নিবরাস তাকে কোলে উঠিয়ে নেয়। গালে হাত রেখে বলে,

-কী হয়েছে সোনা? পড়ে গেলে কীভাবে?

-তুমি আমার সাথে আসলেই তো আর পড়তাম না আমি। আসেনি কেন?

নিবরাস পড়েছে বিপাকে। ততক্ষণে মরিয়ম নওয়াজ সাথে মাইশা এসেছে তাঁদের কাছে। মিসবাহর কথা শুনে মরিয়ম নওয়াজ বলেন,

-কী এমন ক্ষতি হতো মিসবাহর সাথে আসলে? দেখলে তো বাচ্চাটা পড়ে ব্যথা পেয়েছে।

-স্যরি সোনা, মামু আসছি পাঁচ মিনিটের মধ্যে।

-হ্যাঁ এসো আমার ঘরটায়তে ই আসো। এক মিনিট লেট হলে আড়ি তোমার সাথে।

-একদম লেট হবে না সোনা।
কথাটা বলে মিসবাহর কপালে চুমু খায় নিবরাস। উঠে ত্রস্ত পায়ে ফাঁকা রুমটায় যায়। ফাঁকা বললে ভুল হবে, বসার মতো সোফা টেবিল,আলামরি আছে দুইটা। যেখানে নিবরাস তার পার্সোনাল ফাইল রাখে,ফাইল দেখে নিরবে। হাতের কাজ কোনরকম শেষ করে হাঁটা ধরে মিসবাহর রুমের দিকে।

রাত বাজে দশটা। বাকীরা ব্যস্ত! কেউ নিবরাসের রুম নিয়ে,কেউ রান্নাবান্না নিয়ে। এই মূহুর্তে অনেকে হয়ত জেনেছে তার বিয়ের কথাটা। ত্রস্ত পায়ে রুমে প্রবেশ করতে নিবরাসের আঁখি জুগল যায় খাটে বসে থাকা অষ্টদশী কন্যার দিকে। জামদানী শাড়ীতে নিজেকে মুড়িয়ে রেখেছে। গাঢ় সবুজ রঙের জামদামী শাড়ীটা ফর্সা দেহে ফুটে উঠেছে বেশ ভালোভাবে। মেয়েটাকে দেখে অল্পবয়সী মনে হচ্ছে। নিবরাস চোখ সরিয়ে নেয়।নিবরাস মিসবাহকে ডাক দেয়।

মিসবাহ হাত দিয়ে ইশারা করে নিবরাসকে আসতে,বসতে। নিবরাস অস্বস্তি অনুভব করছে। আনায়া নিবরাসের দিকে তাকায়। কালো পাঞ্জাবি পড়ে আছে লোকটা। দেখতে ভালোই লাগছে। চেহারায় সবসময় গম্ভীর্যতা থাকলেও নেতানেতা ভাবটা বেশ প্রখর।

নিবরাস সোফায় বসে পড়ে। আনায়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-আপনি জিয়াউল আংকেলের মেয়ে আনায়া রাইট?

আনায়া ভ্যাবয়ছ্যাকা খেয়ে যায়। এতো ভাব কিসের লোকটা? সে তো তার শিকড়েই বেঁধে নিয়েছে নিজেকে। ভাব দেখিয়ে লাভ কী সেই একদিন হলেও বউয়ের কাছেই আসতো হবে। নিবরাসকে মূহুর্তে বিরক্ত লাগলো আনায়ার কাছে। ইগো,এট্টিটিউড তারও পছন্দ কিন্তু ওভার না।

নিবরাস কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না। সে জানে আনায়া জিয়াউর রহমানের মেয়ে তাও জিজ্ঞেস করলো। তখন মিসবাহ বলে উঠে,

-মামু বউমনিকে নিয়ে খাবার খেতে আসো। নানু ডাকছে।

-কখন ডাকলো মিসবাহ?

-এখনি ডাকবে দেখো।

তখন একজন মেয়ে সার্ভেন্ট এসে তাঁদেরকে খাবার খেতে যাওয়ার জন্য বলে। নিবরাস বুঝেছে এটা তো ডেইলি রুটিন! মিসবাহ ভালো করেই জানে।

সার্ভেন্ট ডাক দিতে মিসবাহ ছুটে চলে। তখন নিবরাস আনায়াকে বলে,

-চলুন! ডিনার করবেন।

নিজে হাঁটা ধরে। আনায়া তার পেছনে আসছে। টেবিলে সব সাজিয়ে রাখছেন মরিয়ম নওয়াজ। আনায়াকে দেখে তড়িঘড়ি তার কাছে গেলেন। চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে নিজ হাতে খাবার বেড়ে দিলেন।

-তুমি খেতে পারবা তো মা? নাকী আমি খাইয়ে দেবো?

মরিয়ম নওয়াজের কথায় নিবরাস তাকায় আনায়ার দিকে। তার কাছে কেন জানি ওভার লাগছে সবকিছু। আনায়াকে এতো প্রশ্রয় দেওয়ার কিছু হয়নি। কিন্তু সেটা বাইরে প্রকাশ করতে পারলো না নিবরাস। খেয়ে উঠে গেলো সবার আগে। বাকীরা খাচ্ছে একের পর এক। মানুষ গিজগিজ করছে মির্জা ভিলাতে। যদিও একটু পর অনেকটা ভিড় কমে যাবে।

******

ফুলসজ্জিত রুমের খাটের এক কোণে বসে আছে আনায়া। নিবরাস রুমে প্রবেশ করেছে সবে মাত্র। তবে কোন কথা না বলে বালিশ হাতে নেয়। পেছন ঘুরে বলে,

-আপনার সাথে এডজাস্ট করতে আমার সময় লাগবে।

-এতো বেশী ঢং দেখাবেন না। এই শুনুন আমিও এতো ইন্টারেস্ট নই আপনার উপর। সেই শুরু থেকে আপনার ভাবটাই দেখে যাচ্ছি। নেতা! তো কী? বাইরের মানুষের কাছে নেতাগিরি আর ভাব দেখাবেন আনায়ার সামনে না।

-আমি কারোর সামনে ভাব দেখাই না! তবে যার তার সাথে কথাও বলি না। তেমন মিশি না, বিশেষ করে আপনার মতে মানুষদের সাথে। বাকীদের সাথে ঠিক আছি।

-নেতার ব্যবহারের কী অবস্থা। এ আবার করবে জনগনের সেবা? প্রশ্নই আসে না!

-এই শুনুন আপনাকে এতো বেশী কথা বলতে বলিনি।

– আমি তো আপনাকে ভোটই দেবো না।

-আপনার একটা ভোটে আমার কিছু যায় আসে না মিস আনায়া ইবনাত অরি।

-হয়নি বলা! বলবেন মিসেস মুয়াম্মার নিবরাস মির্জা অরি।

-উফফ কী শখ!

-আপনি এমন রসকষহীন মানুষ কেন?

-আপনাকে উত্তর দিতে বাধ্য নই আমি।

-লাগবে না আপনার উত্তর। বাবা যে কী দেখে আমায় বিয়েটা দিলো। এটা জামাই ও না জামাইয়ের মাথা ও না। ওই জনদরদি হতে পারবেন বউ দরদি না।

-আমার জীবনে আমি কারোর সাথে এতো কথা বলেছি কীনা জানা নেই! এই আপনার মতো বাঁচাল মেয়ের সাথে বলতে হলো।

-আপনাকে কে মানা করেছে বকবক না করতে? আজব!

-সরুন তো!

আয়ানাকে ঠেলে নিজের সীটে শুয়ে পড়ে নিবরাস। ওতো নাটক করার সময় তার নেই। আনায়া বসে,বসে ভাবছে কী করবে? আচ্ছা আগের বিয়ের কথা কিছু জিজ্ঞেস করবে? যদি আবার বেশী রিয়েক্ট করে? যদি এই দাবাং মার্কা হাত দিয়ে তাকে চড় দিয়ে দেওয়ালে পোস্টার বানিয়ে জুলিয়ে দেয়?

-না,না এই রিস্ক কিছুতেই আনায়া নিতে পারবে না। এই নেতা এতো রসকষহীন কেন? দেখতে আটাশবছরের যুবক মনে হলেও মনটা আশি বছরের বুড়ো লোকদের মতো। বুড়ো লোকরাও ভালো বউ পাগ’ল হয়। এই ভদ্রলোক তো বউ বলতে এলার্জী। কী জানি দেখা যাবে মানুষের সামনে তাকে বউয়ের জায়গায় বোন বলে না পরিচয় করিয়ে দেয়।

আনায়া সব ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেয়। তবে একটা ভাবনা রয়েই যায় আর সেটা হলো নিবরাসের বিয়ে নিয়ে। যদি নিবরাস বিয়ে করে থাকে?

-বাবাই জেনেশুনে একটা বিবাহিত ছেলের সাথে আমায় বিয়ে দিলো? কিন্তু লোকটাকে দেখে মনে হয়না বিয়ে করেছে আগে। এমন ও তো হতে পারে আহিয়া মিথ্যে বলেছে আমাকে। কিন্তু ও কেন মিথ্যে বলবে?

আনায়াকে বসে থাকতে দেখে নিবরাস বলে,

-সালাম তো দেননি! বিয়েটা যা,যা বাসরটা শুদ্ধ হলো না। মনে হয় আরেকবার বিয়ে করে বাসর শুদ্ধ করে নিতে হবে।

নিবরাসের কথায় আনায়া তাকায়। চোখ বন্ধ করে কথাগুলো বলেছে নিবরাস। আনায়া তখন বলে,

-আপনি তো এসে বালিশ হাতে কোনদিকে জানি হাটা ধরলেন? ভাব আপনি দেখিয়েছেন আর আমি সালাম দেওয়ার সুযোগ কোথায় পেলাম?

-ঝগড়া করতে,করতে দম আসে আর যায় আবার আপনি দিবেন আমায় সালাম?

-আচ্ছা আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

-কী কথা?

-আপনি নাকী আগে একটা বিয়ে করেছেন?

আনয়ার কথা নিবরাস কোন রিয়েক্ট করে না। মুখে গাম্ভীর্যতা টেনে বলে,

-হ্যাঁ করেছিলাম তো! আপনি জানেন না?

-তো আমাকে বিয়ে করলেন কেন?

-আপনার বাপ আমার বাপ দু’জনে চেয়েছে সেজন্য আর সবচেয়ে বড় কথা আমার বিয়ের বয়স হয়েছে। এখন বিয়ে না করলে কী বুড়ো হয়ে করবো?

-আগে না বিয়ে করলেন?

-ডোন্ট ওয়ান্না টক। ফাল’তু কথা মুখ দিয়ে বের করলে থাপ্পড় দিয়ে দেওয়ালে পোস্টার বানিয়ে জুলিয়ে দেবো। যান ঘুমান।

-ফাল’তু কথা কী? সত্যিটা বললেই ভালো লাগে না আপনার। আপনি নিশ্চয়ই বউকে জ্বালিয়ে,ঝগড়া করে মেরেছেন।

নিবরাস আনায়ার হাতে ধরে টান দিয়ে নিজের উপর ফেলে দেয়। একবাহু দিয়ে আনায়ার কেমড় আঁকড়ে ধরে।

-আর একটা কথা বললে অশুদ্ধ বাসরটাই আমি সেরে নিবো।

-এই আপনি আমায় থ্রেট দিচ্ছে…”

নিবরাস নিজের ওষ্ঠদ্বয় আনায়ার ওষ্ঠদ্বয়ে ঠেকালো।
কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিতে আনায়া ছিটকে দূরে সরে যায়। তখন নিবরাস বলে,

-আর একটা ফাল’তু কথা বললে আবারো এমনটাই হবে। ঘুমান তো! বাঁচাল কোথাকার।

আনায়ার মনে চাচ্ছে নিবরাসের চুলগুলো টেনে ছিঁড়তে। এই লোকের সাথে ঝগড়া করে জেতা যাবে না। এমনকি তার আগের বিয়ে নিয়েও কিছু জানতে পারবে না। জিজ্ঞেস করলেই ঠাস করে ওষ্ঠ ঠেকিয়ে দিবে।

#চলবে
(টোটাল শব্দসংখ্যা: ১৫৯২)

#হৃদয়_কোঠায়_চাঁদের_পূর্ণিমা|১|
#শার্লিন_হাসান

(নিবরাস ফ্যানদের জন্য গল্পটা। বাঁধনহীন সেই বাঁধন অকারণ গল্পের নিবরাস চরিত্র আর “হৃদয় কোঠায় চাঁদের পূর্ণিমা” গল্পের চরিত্র অনেকটাই ডিফারেন্স হবে। আশা করি আপনাদের সা’পোর্ট পাবো। গল্পের নাম মনে রাখবেন তাহলে পরবর্তী পার্ট পেতে সহজ হবে। আসসালামু আলাইকুম।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here