#রাত্রীপ্রিয়া
#পর্বঃ১৫
লেখনীতেঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী
আজ সাত-সকালে উঠেছে, রায়হান চৌধুরী। বাড়ির সকালে এখনো যে যার রুমে, ঘুমোচ্ছে। উনি চুপচাপ
ছেলের রুমে গিয়ে খোঁজ করছে, ছেলেকে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার ছিলো তাকে। কিন্তু ছেলেটা এখনো ঘুমোচ্ছে। আজ জকিংও যায়নি। বাড়ির ছেলে-মেয়েরা আজকাল কেউ কোনো নিয়মনীতি কিছুই মানছে না। সকাল ছয়টা, এখনো সবগুলো ঘুমোচ্ছে। এতে খানিকটা বিরক্ত হলো, রায়হান চৌধুরী।পরক্ষণে উনি ঘুমন্ত ছেলেকে বার কয়েক ডাকলো,
“এ্যাই সায়মন? সায়মন?”
জবাব নেই কোনো। যা দেখে উনি ছেলের গা ছুঁয়ে এবার একটু উচ্চ স্বরেই ডাকলো ,
“এ্যাই, সায়মইন্না? সায়মইন্না? উঠঠঠ।”
সকাল সকাল বাবা’র কাজে চরম বিরক্ত, সায়মন। সে ঘুমঘুম কণ্ঠে বললো,
“তোমার সমস্যা কি আব্বু? সাতসকালে তোমার বউ’কে রেখে, আমাকে বিরক্ত করছো কেন?”
“এ্যাই, একদম ফা’ল’তু কথা বলবি না তুই।
তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস কেনো? তাড়াতাড়ি ওঠে পড়। কতো বেলা হয়েছে জানিস? উঠ। উঠে একটু ব্যায়াম-ট্যায়ম তো কর! দিনদিন যা মোটু হয়ে যাচ্ছিস, এমন হলে তো তোর কপালে বউ জুটবে না-রে! বিয়ে করতে চাইলে, শরীরে একটু ফিটনেস আন। উঠে পড়। চল বাপ-ব্যাটা মিলে আজ জগিং এ বের হই।”
“তুমি জগিং ফকিং করে তোমার গোপাল ভারের মতো ভুঁড়িটা কমিয়ে, সুগার ডেডি হয়ে যাও আব্বু। এরপর দেখো, বুড়ো বয়সে কোনো তিশার খোঁজ মিলে কি-না। আমার চিন্তা তোমাকে করতে হবে না। আমার শরীরে এখনো যে ফিটনেস আছে, এতেই মেয়েরা আমার পিছনে লাইন বাঁধে।
তুমি এখন যাও তো, আব্বু। ঘুমাতে দেও আমাকে। রাতে ভালো ঘুম হয়নি।”
আসছে একটু পরই…….