রাত্রীপ্রিয়া #পর্বঃ৪ লেখনীতেঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

0
362

#রাত্রীপ্রিয়া
#পর্বঃ৪
লেখনীতেঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

“ওই কচি? ওমন করে আকাশে’র দিকে তাকিয়ে কি খুঁজে চলছো, গো? দূরন্ত আকাশে’র দিকে তাকিয়ে লাভ হবে না গো, আকাশে দুঃখ ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাবে না তুমি! জমিনে তাকাও, কচি! চোখ মেলে খুঁজে দেখো, জমিনেই লুকিয়ে রয়েছে অমূল্য রতন।”

যুবকটির কথা কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই পরশের গভীর ধ্যান ভাঙ্গলো। শব্দ অনুসরণ করে সেদিকে তাকালো, একবার। কালো রঙের ফর্মাল ড্রেসে পাশের ছাদে দাঁড়িয়ে আছে লম্বা চওড়া এক শ্যাম বর্ণের সুদর্শন যুবক। ঠোঁটের কোণে তাহার মিষ্টি হাসি।
বিরক্ত হলো, পরশ। মুখ ঘুরিয়ে নিলো। কপালে ভাজ পড়লো, যুবকটির। মেয়েটার এহেন নিরবতা তার কাছে খটকা লাগলো বেশ। অন্য সময় হলে শক্ত কণ্ঠে দুই-চার কথা শুনিয়ে দিতো। ঝাঁজালো কণ্ঠে বলতো,

“কতবার বলছি, আমাকে এভাবে কচি কচি বলে ডাকবেন না নয়ন ভাই। আমার সুন্দর একটা নাম আছে। পরশ আমার নাম। আমি কচি না, যথেষ্ট বড় হয়েছি।”

মেয়েটার স্বভাবে’র সাথে এই নিশ্চুপ, নিরবতা বড্ড বেমানান। মেয়েটার থেকে কাঙ্ক্ষিত রেসপন্স না পেয়ে নয়ন পুনরায় আবারো মৃদু কণ্ঠে বললো,

“ওই কচি? কথা বলছো না যে। মনের কোণে অভিমান জমেছে না-কি মন খারাপ তোমার?”

“কিছু হয়নি, নয়ন ভাই। এমনিতেই কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।”

জবাব দিয়ে সিঁড়ী’র কাছাকাছি এসে নিচে নামতে উদ্যত হলো, পরশ। নয়ন মেয়েটার আচরণে বিস্মিত, হতবাক! যে মেয়ে সারাদিন কথা বলে, আজ তার কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার! নয়ন আনমনে কিঞ্চিৎ হাসলো। সানাম চৌধুরী’র প্রাণ প্রিয় বন্ধু, নয়ন খান। পাশাপাশি বাসা তাদের। দু’জন ছোট থেকেই একসাথে বড় হয়েছে তারা। নয়ন শহরের নাম করা একজন অ্যাডভোকেট। মাএই কাজ ছাড়াই একবার ছাদে এসেছে সে। প্রতিদিন রুটিন মাফিক একবার আসা হয়। পাশের বিল্ডিং এর ছাদে কাঙ্ক্ষিত একজন নারী’কে দেখার লোভে, এই নিয়মে’র হেরফের হয় না তার। কখনো তার দেখা মিলে, কখনো বুক ভরা হতাশা নিয়ে চলে যায় পুরুষটি। ছোট্ট পরশের মনে মেঘ জমেছে। সে দিকে তাকিয়ে নয়ন হঠাৎ করেই মুচকি হেসে বলে উঠলো,

“ঘর পু’ড়লে তো সবাই দেখে
মন পু’ড়লে দেখে ক’জন?
মুখ দেখে যারা মন বুঝতে পারে
তারাই তো আসলে স্বজন।

জীবনে অনেকেই আসে
শেষ পর্যন্ত থাকে ক’জন?
শেষ মূহুর্ত অব্ধি যে থেকে যায়
সে-ই তো বন্ধু প্লাস প্রিয়জন।

শ’রীরের খোঁজ তো সবাই রাখে
মনের খোঁজ রাখে ক’জন?
মনের খোঁজ রাখা মানুষটাই যে
তোমার প্রকৃত আপনজন।”

অপ্রত্যাশিত কিছু হার্ট স্পর্শকৃত নিদারুণ সত্য কথা শুনে থেমে গেলো কিশোরী মেয়েটা’র চলন্ত পা। চট করে পিছনে ঘুরে তাকালো সে। কি নিদারুণ সূক্ষ্ম ব্যথা চেপেছে তার বক্ষে। সে তো এই ব্যথা দেখাতে চায় না কাউকে। তবে কি লোকটা কোনো ভাবে তার যন্ত্রণা বুঝে গিয়েছে? না একদম বুঝতে দেওয়া যাবে না। সবারই তো কিছু গোপন ব্যথা থাকে। তার এটাও না হয়, সূক্ষ্ম ভাবে পড়ে থাকুক মনের কোণে। পরক্ষণেই নিজেকে ধাতস্ত করে স্বাভাবিক কণ্ঠে যুবকটি’র উদ্দেশ্য বললো,

“কিছু বলবেন, নয়ন ভাই?”

“বলতে নয় শুনতে এসেছি। কারণে নয় অকারণেই তোমায় দেখতে এসেছি। শত বাহানার মাঝে এক চিমটি চোখের প্রশান্তি পেতে এসেছি।

এহেন কথাখানি খুউব করে বলতে ইচ্ছে করলেও বলা হলো না, যুবকটির। গলার কাছে এসেও মুখোবাক্যে পরিণত হলো না।
মিনিট সময় অতিবাহিত হলো, কাঙ্ক্ষিত মানুষটি’র থেকে জবাব আসলো না কোনো। পরশ এখনো জবাবে’র আশায় সেদিকে তাকিয়ে আছে। যা দেখে অকারণেই মাথা চুলকালো নয়ন।

চট করেই তার সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে, কথা বলার বাহানা খোঁজ করলো। ততক্ষণাৎ পেয়েও গেলো। আজ অবশ্য একটা কারণ ও রয়েছে। সকাল দশটায়, সানাম চৌধুরী’র সাথে দু’জন একসাথে বের হবে অফিসিয়াল কাজে। আগে থেকেই দুই বন্ধু চুক্তি করে রেখেছে। নয়ন একবার হাত ঘড়ি পর্যবেক্ষণ করে নিলো। সময় নয়টা চল্লিশ। ততক্ষণাৎ সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললো,

সানাম কি করছে, কচি? তোমার ভাইকে একটু তাড়াতাড়ি বের হতে বলো। গেইটের কাছে আমি অপেক্ষা করছি, তোমার ভাইকে একটু ডেকে দেও।”

“আচ্ছা।”
ছোট্ট করে উওর দিয়ে, পরশ নিচে নামলো। ফোঁস করে শ্বাস ছাড়লো, নয়ন। মেয়েটার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বুকে হাত বেঁধে আনমনে বললো,

“তুমি অনেক সাধনার কবিতা আমার
আছো গল্পের শুভ সূচনায়,
তুমি দূর থেকে দেখা প্রিয় আকাশ আমার
আমি ভালোবাসি শুধু তোমায়।

তুমি ভোরের শিশির সন্ধ্যামালতী আমার
তুমি সহস্র তাঁরার মাঝে চাঁদ,
তুমি মন খারাপের মন ভালো আমার
তুমি হাসলেই কেটে যায় অবসাদ।”
_____________
বেড রুমে বসে ফর্মাল পোশাকে তৈরী হচ্ছে, সানাম চৌধুরী। আজ তার বিশ্রাম করার কথা ছিলো। কিন্তু, হলো কই? জাতীয়সংসদ থেকে জরুরী তলব। আজ প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনে জরুরী সভার আহবান করেছেন। প্রত্যেক সংসদ সদস্যের উপস্থিতি কাম্য।
অগত্যা যেতে বাধ্য সবাই।

ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাদা শার্ট গায়ে জড়িয়ে নিলো,সানাম চৌধুরী।
তার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে রাত্রীপ্রিয়া। স্বামী’র শার্ট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ থেকে শার্টে’র বোতাম আঁটকে দিলো সে। বিয়ের পর থেকে এটা প্রতিদিনই করে আসছে মেয়েটা। নিজের কাজটুকু সম্পূর্ণ করে কিঞ্চিৎ সরে দাঁড়ালো। এরিমধ্যে তার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছাকাছি নিয়ে গেলো, সানাম চৌধুরী। প্রেয়সীর পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়ালো দু’জন। নেতা সাহেব আয়না থেকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে দেখছে, তার মনোহরণী’কে ।
রাত্রীপ্রিয়া ততক্ষণাৎ লোকটাকে আলতো ধা’ক্কা দিয়ে নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললো,

“কি ব্যাপার, নেতা সাহেব? এখন আপনার মতলবটা কি, হ্যাঁ? আপনার মতলব সতলব’তো ভালো ঠেকছি না আমি।”

সানাম চৌধুরী হাতের বাঁধন শক্ত করে প্রিয়তমা স্ত্রী’র শাড়ী বেঁধ করে খোলা পেটে সুড়সুড়ি দিলো। খিলখিল করে হেসে উঠলো, রাত্রীপ্রিয়া। যা দেখে সানাম চৌধুরী দুষ্ট হেসে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,

“তোমার নেতা সাহেব, সব সময় রোমান্টিক মুডে থাকে বেগম সাহেবা। তুমি কাছাকাছি আসলেই, তাহার বুকে প্রেমের তুফান ব’য়ে যায়। সারা অঙ্গে রোমান্টিকতা এসে ভর করে, প্রেম প্রেম খেলা করে।”

“ছি! অস’ভ্য লোক।”

সানাম চৌধুরী পুনরায় হাসলো। বউয়ের ঘাড়ে গভীর চুমু খেয়ে বললো,

“তুমিই তো আমায় চরম অ’স’ভ্য বানিয়েছো, বেগম সাহেবা। জনগণের নেতা সাহেবে’র ইজ্জত হ’র’ণ করেছো তুমি। সেই অপরাধে আমি তোমার নামে মামলা ঠু’ক’বো। আমার বুকের কারাগারে ব’ন্দি করে যাবজ্জীবন কা’রা’দ’ণ্ড দিবো।”

“কারাগার যদি হয় আপনার বুক, সেখানে আমি নির্দ্বিধায় আস্ত জীবন কাটিয়ে দিবো নেতা সাহেব।”

বলতে বলতে নিজেও দু’হাতে প্রিয় পুরুষটি’র গলা জড়িয়ে ধরলো।
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে, তার দেখা সবচেয়ে সেরা পুরুষটি’কে। এরিমধ্যে সানাম চৌধুরী তাকে ছাড়লো। চটজলদি বউয়ের শাড়ীর আঁচল খানা তাহার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে নিজেও পাশে আরো একটু চেপে দাঁড়ালো। পরমুহূর্তে আয়নায় নিজেদের প্রতিচ্ছবিতে দৃষ্টিতে রেখে বললো,

“দেখো বউ? আমাদের দু’জন’কে একসাথে কি দারুণ মানিয়েছে! কি সুন্দর লাগছে! মনে হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা তোমাকে একমাত্র সানাম চৌধুরী’র জন্য পারফেক্ট করে বানিয়েছে। মাশাআল্লা! যদিও আমার বউ আমার চেয়ে সুন্দর, তবে আমিও সুন্দর।”

আচমকা চমকালো, মেয়েটা। নারীটি ঠিক কতটা চোখের প্রশান্তি হলে মানুষ এমন করে বলে! তার নেতা সাহেব, না হলে বোধহয় এমন নিদারুণ ভাবে নিজেকে চেনা হতে না। মানুষটা শত ভাবে, শত উপায়ে তাকে চমকে দেয়! এই মানুষটাকে যতো দেখে তত মুগ্ধ হয়ে যায়, রাত্রী। পরক্ষণে হাসলো, রাত্রী। নেতা সাহেবের কপালে আলগোছে গভীর চুমু খেয়ে নিলো। অতঃপর তার গাল ছুঁয়ে আদুরে কণ্ঠে বললো,

“আপনিও ভীষণণ সুন্দর, নেতা সাহেব! যতটুকু সুন্দর হলে, আপনাকে ছাড়া রাত্রীপ্রিয়া অপূর্ণ। আপনি ঠিক ততটুকু সুন্দর।”

“আমার মনোহরণী যখন বলেছে, আমি সুন্দর!আজ থেকে ধরে নিবো, পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষটিই হলাম আমি।”

রাত্রীপ্রিয়া আহ্লাদী হলো। খানিকটা লজ্জা পেয়ে মুখ লুকালো, স্বামীর প্রশান্ত বুকে। তাকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলো, সানাম চৌধুরী। মাথায় চুমু খেয়ে নেশালো কণ্ঠে শুধালো,

“তুমি আমার রাত্রীকালের ভোর হওয়া কুয়াশার’র মতো স্নিগ্ধ ভালোবাসা! তুমি আমার ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে জমতে থাকা বিন্দু বিন্দু উষ্ণতা।
তুমি আমার সন্ধ্যা বেলা’র জ্বলজ্বল করতে থাকা তারা’র মেলা। লাজুকলতা, ঠিক এভাবে লজ্জা পেয়ে বৃদ্ধা বয়সেও কারণে অকারণে কাছে এসো। আমি ঠিক তখনো দূরন্ত বালকের ন্যায়, আমার ভালোবাসা’র চাদরে মুড়িয়ে নিবো তোমায়।”

এরিমধ্যে দরজায় মৃদু শব্দ করলো, পরশ। বললো,

“ভাই, তোমায় নয়ন ভাই ডাকছে। দ্রুত নিচে যেতে বললো।”

ততক্ষণাৎ দু’জন দূরে সরে দাঁড়ালো। সানাম চৌধুরী একবার দেয়াল ঘড়ি পর্যবেক্ষণ করে বললো,

“আসছি আমি।”

পরশ নিঃশব্দে জায়গা ছাড়লো। সানাম চৌধুরী’ও আর দেরী করলো না। নিজেকে পরিপাটি করে, অফিসিয়াল ব্যাগটা হাতে নিলো। শেষবার বউয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললো,

“আসছি। সাবধানে থেকো, জান। একদম একা একা বাড়ির বাহিরে বের হবে না। কোনো কিছু প্রয়োজন হলে, আমাকে কল করিও।”

“আচ্ছা। আপনিও সাবধানে থাকবেন, নেতা সাহেব।”

সানাম চৌধুরী মুচকি হেসে, নিচে নামলো। তার পিছু পিছু রাত্রী। মা- চাচী বোনদের থেকে একে একে বিদায় নিয়ে বের হলো।
এরমধ্যে বারকয়েক সবাইকে সতর্ক করেছে, সানাম চৌধুরী। কেউ জানি, একা একা কোথাও না যায়। কোনো সমস্যা হলে তাকে যেন, বলে। ইত্যাদি, ইত্যাদি।
নিজের পরিবার নিয়ে আজকাল ভয় হয় তার। প্রকাশ্যে গোপনে বহু শত্রু’র আছে তার। নিজেকে নিয়ে ভয় না হলেও, বাকিদের নিয়ে সবসময়ই ভয়ে থাকে সে। যদিও কেউ স্পেশাল গার্ড ছাড়া সচারাচর বাহিরে বের হয় না। তবুও একটা অজানা ভয় থেকেই যায়।
.
.
চৌধুরী বাড়ির বিশাল গেইটে’র কাছে পুলিশ ফোর্স সহ স্পেশাল বডিগার্ডে’রা গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছে, মন্ত্রী সানাম চৌধুরী’র। এরিমধ্যে গেইটে’র কাছাকাছি কাঙ্ক্ষিত লোকটিকে দেখে সবাই স্যালুট করলো। মন্ত্রী সানাম চৌধুরী’র স্পেশাল গাড়ীর ড্রাইভার এসে দ্রুত গাড়ীর দরজা খুলে দিলো। সানাম চৌধুরী গম্ভীরতা বজায় রেখে, নিজের সিটে বসলো। নিজের পরিবার, বন্ধুদের কাছে সানাম চৌধুরী হাসিখুশি, নির্লজ্জ হলেও বাহিরে সবাই গুরুগম্ভীর সানাম চৌধুরী’কেই চেনে। যে প্রয়োজন ছাড়া একটা কথা বলা পছন্দ করে না। প্রয়োজনে’র তুলনায় তাকে সবাই একটু বেশীই ভয় পায়।
সানাম বসতেই তার পাশের সিটে বসলো, নয়ন। ড্রাইভার এসে দরজা লক করে, নিজের সিটে বসলল। স্যারে’র অনুমতি পেয়ে, একে একে সামনে পিছনে মোট পাঁচটা গাড়ি চলতে শুরু করলো। মাঝখানে চকচকে কালো রঙের গাড়িখানায় রয়েছে, মন্ত্রী সানাম চৌধুরী। গাড়ি স্টার্ট দিতেই সানাম চৌধুরী, হাসিমুখে মা-বউকে হাতের ইশারায় বিদায় জানালো। কারণ তারা গেইটের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলো।

এরিমধ্যে বন্ধু’র কাঁধ চাপকে বিরক্তিকর কণ্ঠে নয়ন বললো,

“এতো দেরী করলি, কেন সানাম? জানিস কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। অলরেডি তোর দশ-মিনিট লেট।”

“ঘরে বউ আছে, দেরী তো একটু হবেই। বুঝিসনি ব্যাপারটা..!”

চাপা কণ্ঠে শুধালো, সানাম চৌধুরী। নয়ন হাসলো। দুই বন্ধু নিজেদের মতো সময় কাটাতে লাগলো।

চলবে…..

[সবাই রেসপন্স করবেন পেজে। কে কে জেগে আছেন? দেখি সাড়া দিন? কেমন লাগছে গল্প? লিখতে লিখতে লেট হয়ে গেলো আজ, রিচেক করিনি। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here