হিয়ার_মাঝে ৩৭. #মেঘা_সুবাশ্রী ®️

0
599

#হিয়ার_মাঝে ৩৭.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️

পরনে গাড় নীল রঙা জামদানী শাড়ি। উন্মুক্ত চুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। আঁচল মেঝেতে পড়ে লুটোপুটিতে ব্যস্ত। কিন্তু মেয়েটার হুঁশ নেই। দোলনায় বসে সে তার ভাবনা জগতেই ব্যস্ত। একজোড়া চোখ দীর্ঘসময় ধরে তাকে অবলোকন করে যাচ্ছে। তার নজর কাঁড়ল ঢেউ খেলানো কোমর সমান উন্মুক্ত চুলগুলো। দু’চোখে তৃপ্তির ঢেঁকুর। এক ললনার এত রূপ, এ তো শুধু হরণকারী নয় এক সর্বগ্রাসীও। কিন্তু তার হিয়ার মাঝে যে অন্য ললনার বাস। তাকে কিভাবে ভুলবে? স্মৃতি কাতর হল আরেকবার। নিজের এক পা এগিয়ে এলে, দু’পা পিছিয়ে নেয় বারংবার। অতীত তার আফসোসের আরেক নাম। সে যে বড্ড অসহায়! কবে মুক্তি পাবে তার জানা নেই।

পড়ন্ত বিকেল। নভোমণ্ডল লালচে ধূসর রঙে চেয়ে আছে। শীতকাল হওয়ায় গোধূলি লগ্নেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন মেঘ রাজ্য। সারাদিনের ক্লান্তিতে হাঁফিয়ে আছে নুবাহ। দুপুরে অতিথিতে গমগম করেছিল সারা বাড়ি। তার খালামনি, বাবা-মাসহ আত্নীয় স্বজনে পুরো বাড়ি ভর্তি ছিল। বিকেল হতেই কাছের আত্নীয় স্বজন চলে গিয়েছে। তার খালামনি’রা চলে গেলেও নীলাভ হৃদি নিভান রিদানদের যেতে দেয়নি। তার নানুও আছে। শুধু তার খালা শাশুড়ী তারা নেই। জিতুর বন্ধু’রা গিয়েছে মাত্র কিছুসময় আগে। বাড়ি অনেকটাই ফাঁকা এখন। খুব ইচ্ছে ছিল তার খালামনির সাথে যাওয়ার। কিন্তু যাওয়া আর হয়নি। আগামীকাল বিকেলে যেতে দিবে তাকে। তার শাশুড়ী মা’ সরাসরি তার খালামনির অনুরোধ নাকচ করে দিছে। আবার কাল সকালে গিয়ে পরেরদিন বিকেলেই ফিরতে হবে। তার উপর কড়া আদেশ জারি করে রেখেছে তার শাশুড়ী? এই বাড়িতে তার আপন মানুষ বলতেই তার শ্বশুরকে বেশ ভালো লেগেছে। দাদু, ঈশিভাবীও ঠিক আছে। কিন্তু দু’জন মানুষকে সে বুঝতে পারে না। জিতু তার মা’ দু’জনই এক চরিত্রের। এই ভালো তো এই খারাপ। তাদের আচরণ বোঝা বড্ড কঠিন। উদাস মনে সে বারান্দার দোলনায় বসে আছে। দৃষ্টি তার দূর আকাশ পানে। কারও স্মৃতি রোমন্থনে ব্যস্ত। কিন্তু বাস্তবতা সে বুঝে। অতীত তার কাছে এখন নিছকই দুঃস্বপ্ন শুধু। বক্ষস্থল ভারী হয়ে উঠল। অতীতে ফেরার যে কোন পথ নেই তার।

সহসাই জিতুর কথা শোনা গেল তার নিজের রুম থেকে। দু’জনের আলাদা রুম হলেও বারান্দা একই। বেশ বড় আর খোলামেলা বারান্দা। তার রুমের সম্মুখে বেতের দোলনা আর সাথে অনেকগুলো ফুলের টব সাজানো। জিতুর রুমের সম্মুখে দু’সিটের বেতের সোফা পাশে একটা ইজিচেয়ার। পাশে আবার ছোট্ট একটি টি-টেবিল। কোমর সমান অর্ধ দেয়াল ছোট ছোট ঝালির মত গ্রিল দিয়ে টানানো কিন্তু বাকিটা উন্মুক্ত। গ্রিলের মাঝে ফুলের টব ঝুলানো।

জিতুর রুম সম্পূর্ণ গ্লাস দ্বারা আবৃত। তবে ভেতর থেকে পর্দা টেনে রাখা। কিন্তু তার ক্ষীণস্বরে বলা কথা কিছুটা বুঝতে পেরেছে। শুনে নিজমনে আৎকে উঠল। সকালের পর সে আর জিতুকে জিজ্ঞেসই করেনি। তার কি বেশি পুড়েছে? নিশ্চয়ই এখনো জ্বলছে। তাই বুঝি ডাঃ এর সাথে কথা বলছে। সকালের সেই দৃশ্য ভাবলে এখনো লজ্জায় আড়ষ্ট হয়। জিমি ঈশিভাবী এটা নিয়ে তাকে বেশ খেপিয়েছে। সে নিজেকেও বেশ গালমন্দ করেছে। একটা কাজও সে ঠিকভাবে করতে পারে না। বেচারা জিতুর না জানি কতটা পুড়েছে!

সকাল বেলায় তার বন্ধুরা এটা নিয়ে বেশ মজা উড়িয়েছে। এজন্যই চিন্ময় বার বার বলছিল, ‘দোস্ত, তোর ছোট মামা কি বেঁচে আছে এখনও?

জিমানও তার সাথে টিপ্পনী মেরে বলেছে, ‘মনে হয় না, আছে।’

মুহুর্তে বন্ধুমহলে হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল। সে হা’ হয়ে এদের কথা গিলছিল। তবে নিজমনে আফসোস হল, জিতুর ছোট মামা অসুস্থ আর তারা মজা করছে। কেমন মানুষ এরা, একজন মানুষ অসুস্থ হলে কেউ তার মজা উড়ায়। সে জিমিকে জিজ্ঞেসও করেছিল,
‘তোমার ছোট মামার কি হয়েছে? উনি কি খুব অসুস্থ?’

জিমি তার কথা শুনে বেশ অবাক হল। ভাবুকচিত্তে বলে উঠল, ‘না’তো ভাবী, অসুস্থ হলে তো জানতাম। কাল রাতে কনভেশন হলে তো এসেছিল। একদমই সুস্থ ছিল। এমন খবর হলে এতক্ষন খালামনি বসে থাকত। তিনি সবার আগে ছুটে যেতেন না।’

এটা নিয়ে অবশ্য পরে তেমন মাথা ঘামায়নি সে আর। কিন্তু এখন বুঝতে পেরে নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে। ছিঃ! এমন একটা বিষয় নিয়ে সে জিমিকেও জিজ্ঞেস করেছে। ভাগ্যভালো জিমি বুঝেনি। জিতুর রুমের পাশে দাঁড়িয়ে আছে সে। ডাঃ এর কাছে বলা সব কথায় শুনল। বড্ড খারাপ লাগছে তার। এখন চাইলে সে জিজ্ঞেসও করতে পারবে না, কতটা পুড়েছে। জ্বলছে কি’না? বেশ আফসোস নিয়ে জিতুর রুমের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে আছে। আচমকাই গ্লাস খোলার শব্দ এল। সে পড়িমরি করি ছুটল নিজের রুমের দিকে। কিন্তু কথায় বলে না, ‘যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যো হয়।’

দ্রুত ছুটতে গিয়ে নিজের কাপড়ের সাথে পা বেঁধে ধপাস করে পড়ল বারান্দার শক্ত মেঝেতে। কিন্তু তখন সে পড়ার কথা চিন্তা না করে তড়িঘড়ি আঁচল টানল খোলা চুল ঢাকতে। পেছনে তাকালো না লজ্জায়। মচকে যাওয়া পা নিয়ে কোনোভাবে উঠে দাঁড়াতে চাইল। কিন্তু শেষ রক্ষা তার হল না। হুট করে তার সামনে জিতুকে দেখে তড়িৎ হাঁটু গেড়ে বসল সে। তার দিকে চোখ তুলে তাকালো না। কিন্তু তার দৃশ্যমান পা দেখে অবাক। পরনে তার সর্টস শুধু। পায়ের তিন ভাগের দু’ভাগই পুরো উন্মুক্ত এই ছেলের। ফের লজ্জায় পড়ল সে। জিতুও হাঁটু গেড়ে বসল। রক্তিম দু’চোখ। রুক্ষভাষায় বলে উঠল,

‘আমাকে তোমার বাঘ-ভাল্লুক মনে হয় না’কি রাক্ষস? এভাবে দৌঁড়ানোর কি খুব প্রয়োজন ছিল। বোকা মেয়ে কোথাকার!’

আচমকাই নুবাহ চোখ তুললো। সে জিতুর দিকে কিছুসময় তাকিয়ে ছিল। কিন্তু ঐ চাউনিতে কি ছিল তার অজানা। মন যেনো মুহুর্তে অন্যকিছু ভাবল। একবার খুব বলতে ইচ্ছে হল, ‘বোকা মেয়ে, এই শব্দ’টা আর কখনই বলবেন না জিতু। এই কথা আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই না। এটা যে আমার প্রিয় মানুষের ডাক ছিল। বড্ড প্রিয় সে ডাক।’

জিতু কথা বাড়ালো না বরং নুবাহকে দু’হাত দিয়ে টেনে দাঁড় করালো। নুবাহ ব্যথায় ককিয়ে উঠল। পা বসাতেই পারল না। তার ভাবনার অতীত আচমকাই জিতু তাকে কোলে তুলে নিল। নুবাহ হতবাক। লজ্জায় আর জড়তায় যেন হীম হয়ে আছে। ফের আরও একবার জিতুর বক্ষস্থলে তার জায়গা হল। শরীরে তার মৃদু কম্পন হচ্ছে। জিতু সোজা নিজের রুমে নিয়ে আসল। নুবাহকে তার নরম বিছানার মাঝে বসালো। নুবাহ আৎকে উঠল তাকে রুমে কেন আনল। কিন্তু জিতুর রুম দেখে সে হতবাক। পুরো রুম জুড়ে চোখ বুলালো। কত্ত বড় রুম। তার রুম থেকেও বিশাল। বিছানাও বেশ বড়। একসাথে ছয় সাত জন মানুষ অনায়েসেই ঘুমাতে পারবে। একপাশে বিছানা, অন্যপাশে বসার জন্য সোফা, তার সাথে লাগোয়া স্মার্ট টিভি। বিশাল বড় বুকসেলফ। দেয়ালে ফিট করা আলমিরা। সাথে পড়ার টেবিলও। এরপরও কত ফাঁকা জায়গা। আড়চোখে একবার জিতুকে দেখল। সে ড্রয়ারে কিছু একটা খুঁজছে।

নুবাহকে বিছানায় বসিয়ে মেডিসিন বক্স নিয়ে ফিরে আসল জিতু। হাঁটু গেড়ে বসল তার পায়ের সামনে। তার দিকে না তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,

‘কোথায় ব্যথা করছে?’

নুবাহর গলার স্বর কিঞ্চিৎ কাঁপছিল। কম্পিত গলায় জবাব দিল, ‘ডা,,ডান পায়ের গোঁড়ালি?’

জিতু ডান পা প্রথমে নেড়ে চেড়ে দেখল। গোঁড়ালিতে পেইন কিলার স্প্রে করল। পরে পায়ে মৃদু হাতে ম্যাসাজ করে দিল। নুবাহকে বলল এবার দাঁড়াও তো দেখি। কাচুমাচু করতে করতে নুবাহ কোনোভাবে দাঁড়াল। পায়ের উপর পুরো ভর দেয়নি তখনও। ভর দিতেই কিঞ্চিৎ ব্যথা অনুভব করল। সে ঈষৎ মাথা নাড়িয়ে জবাবে বলল,

‘ব্যথা কমে গেছে।’

কিন্তু জিতুর ভারী গলা, ‘সত্যিই! না’কি মিথ্যে বলছো। দেখ, মচকে যাওয়া কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। পরবর্তীতে এটা কিন্তু তোমার উপর মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলবে। তাই সত্যিটাই বল।’

জিতুর এত বড় লেকচার শুনে নুবাহ কিছুটা দ্বিধান্বিত। এবার অকপটে বলল, ‘বেশি না সামান্য ব্যথা করছে।’

জিতু ফের আরেকবার নুবাহর পা ম্যাসাজ করে দিল। ম্যাসাজ করে পুনরায় জিজ্ঞেস করল, ‘এর পরও ব্যথা আছে কি’না বল। যদি থাকে ডাঃ কে বলবো আসার জন্য। সে দেখলেই বুঝতে পারবে কি করতে হবে।’

ডাঃ এর কথা শুনে নুবাহ বাকরুদ্ধ। সামান্য এটার জন্য ডাঃ লাগবে। এটা তো এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। জিতু ফের দাঁড়াতে বলল। নুবাহ কোনোভাবে উঠল। কিন্তু তাতে বাঁধল আরেক বিপত্তি। সে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর আগেই পড়ে যেতে লাগল। কিন্তু পড়ার আগেই জিতু দু’হাত দিয়ে টেনে ধরল তাকে। নুবাহকে শক্ত করে ধরে বলল,

‘তুমি সত্যিটা বললেই পারতে, এখনও ব্যথা আছে। না’কি আমি বাঘ সত্যিটা বললে তোমাকে খেয়ে নেব।’

নুবাহ একদম চুপ হয়ে আছে। মুখ ফুটে কথা বেরুলো না। তার এহেন নিশ্চুপতায় জিতু ধরেই নিল সে তাকে মিথ্যে বলেছে। তাই শাস্তিও দিল তৎক্ষণাৎ। গম্ভীর গলায় বলে উঠল,

‘চুপচাপ বিছানায় উঠে বস। পায়ের ব্যথা কমলে নিজের রুমে চলে যেও।’

নুবাহ কাঠের পুতুলের ন্যায় জিতুর সব আদেশ শুনে যাচ্ছে। না চাইতেও বিছানায় উঠে বসল। বিছানার একদম শেষ প্রান্তে গিয়ে বসল। জিতু এবার ধমক দিয়ে উঠল,

‘বিছানার শেষ প্রান্তে কেন গিয়েছো? আমি বসতে বলেছি শুধু ঘুমাতে নয়। বোকা মেয়ে একটা!’

নুবাহ হতভম্ব। এই লোক তাকে কথায় কথায় বোকা মেয়ে কেনো বলে? এবার সে নিষেধ করবে। একদমই শুনতে চায় না সে এই বাক্যে। জিতু গ্লাস খুলে বারান্দায় চলে গেল। নুবাহ যেন দীর্ঘসময় পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল। পা দু’খানা মেলে বসে থাকতে পারছে না। সে আলগোছে একটা বালিশ টেনে দিল তার পিঠের নিচে। বসতেও সুবিধে পাচ্ছে না। ইচ্ছে করছে শুয়ে যেতে। কিন্তু এখানে শোয়া যাবে না। হুট করে আবার জিতু ফিরে এল। নুবাহর ভাবভঙ্গী বোঝার চেষ্টা করল। আচমকাই বলে উঠল,

‘কি শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে? এস, তোমাকে রুমে দিয়ে আসি।’

নুবাহ হা’ হয়ে আছে। এই লোক বুঝল কি করে তার মনের কথা। জিতু দু’হাত আলগোছে দিয়ে তাকে কোলে তুলে নিল। ক্ষীণস্বরে টিপ্পনী মারল নুবাহকে,
‘আজ এত হালকা কেন? সারাদিন খানা খাওনি। বিয়ের দিন তো বেশ ভারী ছিলে।’

নুবাহ দাঁত কিড়মিড়িয়ে উঠল। ইচ্ছে করছে কয়েক ঘা’ লাগিয়ে দিতে। বদ লোক একটা।জিতু ফের টিপ্পনী মারল।
‘কিছু বলতে চাও? সমস্যা নেই বলে দাও, আমিও দু’হাত খুলে দেব। তারপর ধপাস করে তুমি নিচে পড়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।’

নুবাহ সত্যিই এবার মুখ খুলল, ‘আপনি এত বদ কেন? আমি বলেছি আমাকে কোলে নেন।’

‘তুমিই তো কোলে উঠার জন্য বায়না ধরলে।’

‘আমি কখন বায়না ধরেছি, আপনিই তো কোলে নিলেন?’

‘বায়না ধরেছো বলেই তো ধপাস করে আমার সামনে এসে পড়লে। যাতে গিয়ে আমি তোমাকে কোলে তুলে নিই। ফের পড়তে গিয়েও বাঁচালাম।’

‘তাহলে আমাকে নামিয়ে দিন। ধরে রেখেছেন কেন?’

জিতু মলিন মুখে জবাব দিল, ‘আমি কখন ধরলাম, আপনাকে তো ছেড়েই রেখেছি। তাই তো এত উড়তে পারছেন।’

নুবাহ দু’চোয়াল শক্ত করল। ‘আপনি কথায় কথায় আমাকে আর ধরবেন না। হুটহাট কোত্থেকে ছুটে আসেন?’

জিতু প্রতিত্তোর করল না। নুবাহকে তার বিছানায় বসিয়ে সে দ্রুতই রুম থেকে বের হয়ে গেল। নুবাহ কিঞ্চিৎ আশাহত হল। জিতুর ডিম তার কথার জবাব দেয়নি কেন? হয়তো জবাব নেই তার কাছে। এটা নিয়ে মাথা ঘামালো না আর। তবে সহসাই চোখ পড়ল পড়ার টেবিলের দিকে। একটা মাঝারি সাইজের বক্স প্যাক করে রাখা। এটা আবার কার? সে বক্স’টা হাতে নিল। বক্স হাতে নিতেই তার নিচে রাখা একটা চিরকুট পেল। ভাঁজ করা চিরকুট খুলল দ্রুতই।

‘না চাইতেও আপনি আমার জীবনে এসেছেন। তাই অভিবাদন। ভালোবাসা থাক বা না থাক আপনি আমার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমার অর্ধাঙ্গিনী হয়ে আপনার বাকি জীবন কাটুক সাচ্ছন্দ্যে। সে কামনায় করি। আজ থেকে আপনার সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে সঁপে নিলাম। স্বামী হিসেবে আপনার জন্য আমার ছোট্ট উপহার। ভালো থাকবেন ‘মিসেস ইয়াফি ইমদাদ।’

চিরকুট পড়ে থ’ হয়ে আছে নুবাহ। এই উপহার নিজের হাতেই দিলে পারত। নিজের হাতে যখন দেয়নি, সেও এই বক্স খুলবে না আর। বদলোক একটা।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here