স্রোতস্বিনী #মুগ্ধতা_রাহমান_মেধা পর্ব ১৯

0
249

#স্রোতস্বিনী
#মুগ্ধতা_রাহমান_মেধা
পর্ব ১৯

গতকাল রাতে স্রোত চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যেই মান্ধবীকে নিয়ে বাস স্টেশন পর্যন্ত আসে।মান্ধবী তাকে টিকেট কেটে বাসে উঠিয়ে দিয়ে গেছে।স্রোত মান্ধবীর সাথে পরামর্শ করেই এসেছে।সারারাত বাসে থেকে ভোরের দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছায়।তারপর একটা হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে বের হয়।

বর্তমানে স্রোত মেহরাদের সামনে বসে আছে।মেহরাদ কাজ করছে,কাজের ফাঁকে ফাঁকে স্রোতের দিকে তাকাচ্ছে। চোখের ইশারায় স্রোতকে লেকফুল করছে আর হাসছে। স্রোত প্রথম প্রথম রাগী দৃষ্টিতে তাকালেও এখন পাত্তা দিচ্ছে না।নিজেরই লজ্জা লাগছে,ঝোঁকের বশে কি কাজটাই না করে ফেললো।ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে আসছে।এখন মেহরাদ তো তাকে পঁচাবেই,মজা নিবে। স্রোত বলেছিলো হোটেলে ফিরে যেতে, মেহরাদ নিষেধ করে এখানেই বসিয়ে রেখেছে।কে কি ভাববে,বলবে সেটা মেহরাদ ম্যানেজ করে নিবে।
তখনই দরজায় নক্ করে একজন মেয়ে ক্যাপ্টেন প্রবেশ করে। তার নাম ক্যাপ্টেন সামিরা সুলতানা।সে গত দুই বছর যাবৎ মেহরাদকে পছন্দ করে।হাবভাবে বুঝা যায়।কিন্তু সরাসরি প্রকাশ করে না। মেহরাদ রাগলে তার চাকরির উপর প্রভাব পড়তে পারে না।তবে তার হাবভাবে মেহরাদ বুঝেও পাত্তা দেয় না।সামিরা এক অপরিচিত সাধারণ নারীকে দেখে অবাক হয়।এখানে তো থাকার কথা না।তার চোখমুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে অপ্রসন্ন হয়েছে।সামিরা অন্য কথা না বলে সোজা জিজ্ঞাসা করে,
“স্যার উনি কে?”
মেহরাদের মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে এই প্রশ্ন শুনে সে মোটেও খুশি নয়।সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই স্রোত বলে উঠে,
“পরিচিত।একটা প্রয়োজনে এসেছিলাম।”
সামিরা স্রোতের দিকে তাকিয়ে আছে।মেহরাদের মুখ দেখে বুঝাই যাচ্ছে স্রোতের উত্তর শুনে সে খুশি হয়নি,উল্টো রেগে গেছে।সে রাগান্বিত স্বরে সামিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আপনি নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন করার জন্য এখানে আসেন নি?কেনো এসেছেন সেটা বলুন।”
মেহরাদের কথা শুনে সামিরার মাথা নত হয়ে যায়।সে বলে,
“স্যরি স্যার।”
“প্রয়েজনের কথা বলুন।” কাঠকাঠ গলায় বলে মেহরাদ।
সামিরা জানালো এখনই মিটিং ডাকা হয়েছে সব অফিসারদের নিয়ে।মেহরাদকে যেতে হবে,সাথে আরো অনেক কিছুই বললো।স্রোত সবটাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অবলোকন করেছে।মেয়েটার হাবভাব তার একদম ভালো লাগে নি।মেহরাদের দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।স্রোতের কেনো জানি এই দৃষ্টিটা ঠিক লাগছে না।
মেহরাদ স্রোতকে অপেক্ষা করতে বলে মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়।মেহরাদ বেরিয়ে গেলে সামিরা স্রোতের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়,যা স্রোতের নজর এড়ায় না।সামিরা সন্দেহের দৃষ্টি রেখেই জিজ্ঞাসা করে,
“আপনারা কি সত্যিই পরিচিত?অন্য কোনো সম্পর্ক নেই তো?”
“কেনো বলুন তো?”
“না এমনি। ”
“আপনি মেহরাদ স্যারকে পছন্দ করেন?” জিজ্ঞাসা করে স্রোত উত্তরের অপেক্ষায় সামিরার মুখপানে চেয়ে আছে।
প্রশ্নটা শুনে সামিরার মুখের রং চেঞ্জ হয়ে যায়।স্রোত যা বুঝার বুঝে গিয়েছে,রাগ লাগছে।তবুও নিজেকে সামলে আবার বলে,
“আমাকে বলতে পারেন আমি হেল্প করতে পারবো।”
কথাটা শুনে সামিরার মুখ উজ্জ্বল হয়ে যায়।সে আনন্দে বলে উঠে,
“দুই বছর যাবৎ ভালোবাসি।কিন্তু প্রকাশ করতে পারি নি।অনেক চেষ্টাও করেছি পাত্তা দেন না আমায়।”
স্রোত এবার আর নিজেকে সামলাতে পারে না।রেগে গিয়ে বলে,
“এতোদিন প্রকাশ করেন নি।আর করবেনও না।আমি মেহরাদ সাদাফের স্ত্রী মিসেস স্রোতস্বিনী মেহরাদ সাদাফ।”
সামিরা বিস্ময় নিয়ে স্রোতের মুখপানে তাকিয়ে আছে।কি বলবে বুঝতে পারছে না।থেমে থেমে বলে,
“মিটিং শুরু হয়ে যাবে।আসছি আমি।”

সামিরা চলে যায়।রেখে যায় রাগান্বিত স্রোতকে।স্রোত নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।কি করবে সে বুঝতে পারছে না।মাথার চুল টেনে ছিড়তে ইচ্ছে করছে।বাসায় থাকলে এতোক্ষণে কিছু না কিছু ভেঙ্গে ফেলতো।নাহয় সাদা কাগজে লিখতে বসতো, লিখলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।এতোকিছু না ভেবে টেবিলের উপর থেকে কাগজ নিয়ে লিখতে শুরু করে।

প্রায় ঘন্টাখানেক পরে মেহরাদ এসে স্রোতের অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায়।তাড়াতাড়ি করে স্রোতের কাছে যায়।স্রোতের চোখ-মুখ রক্ত লাল হয়ে আছে আর ফোঁপাচ্ছে।মেহরাদ বুঝে উঠতে পারলো না কি হয়েছে।সে স্রোতকে আগলে নিলো।
তারপর জিজ্ঞাসা করলো,
“এই স্রোত কি হয়েছে তোমার?শরীর খারাপ লাগছে?বলো?”
স্রোত ফোঁপাচ্ছে আর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু কিছু বলছে না।মেহরাদ আবার জিজ্ঞাসা করলো,
“কি হয়েছে?এমন কেনো করছো?না বললে বুঝবো কিভাবে?”
“আমি অতি সহজে কাউকে নিজের করি না।আর একবার যদি করে ফেলি তাহলে তার উপর অন্য কারোর নজর আমি সহ্য করতে পারি না।আপনার উপরও কারোর নজর আমি মেনে নিবো না,মানতে পারছি না আমি।আপনি আমার, একান্তই আমার,শুধুই আমার।আপনার উপর শুধু একজনের অধিকার আর সেই একজনটা আমি,আর কেউ নয়।”মেহরাদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আচমকা তাকে জড়িয়ে ধরে কথাগুলো বলে স্রোত।
স্রোতের এমন আচরণে মেহরাদ অনেক বেশি অবাক হলেও কথাগুলো তাকে প্রশান্তি দিয়েছে।সে স্রোতকে চেয়ারে বসালো।তারপর এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলে স্রোত তা এক নিঃশ্বাসে শেষ করে।মেহরাদ স্রোতের মাথায় হাত বুলাচ্ছে।ফোপাঁনো কিছুটা কমলে মেহরাদ কি হয়েছে জানতে চায়।
স্রোত মেহরাদের দিকে তাকিয়ে বলে,
” ঐ অফিসারটা আপনাকে পছন্দ করে।ভালোও নাকি বাসে।জানেন আপনি?”
মেহরাদের একটু সময় লাগে বিষয়টা বুঝতে।মাথায় আসতেই অট্টহাসিতে মেতে উঠে।স্রোত কটমট করে তাকিয়ে বলে,
“আপনি হাসছেন?আমি হাসির কথা বলেছি?”
“অবশ্যই হাসির কথা বলেছো।ক্যাপ্টেন সামিরার আচরণ আমি আগেই বুঝেছিলাম কিন্তু আমলে নেই নি।মজার ব্যাপার হলো, সে এনগেজড।তবুও কেনো এমন করে সেই জানে।” মেহরাদ এখনো হাসছে।
স্রোত নিজের বোকামি বুঝতে পেরে মুখ ফিরিয়ে বসে।মেহরাদ নিজের আসনে বসতেই তার নজর পড়ে টেবিলের উপরের একটা কাগজ।সে কাগজটা হাতে নিলে তার অধর প্রসারিত হয়। সম্পূর্ণ পৃষ্ঠাটায় লেখা,

“মেজর সাহেব স্রোতস্বিনীর!”

#চলবে..

[আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। ঈদে বাড়িতে আসছি।তাই একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।পর্ব ছোট হলে মানিয়ে নিবেন একটু।ধন্যবাদ]

গতকাল রাতে স্রোত চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যেই মান্ধবীকে নিয়ে বাস স্টেশন পর্যন্ত আসে।মান্ধবী তাকে টিকেট কেটে বাসে উঠিয়ে দিয়ে গেছে।স্রোত মান্ধবীর সাথে পরামর্শ করেই এসেছে।সারারাত বাসে থেকে ভোরের দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছায়।তারপর একটা হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে বের হয়।

বর্তমানে স্রোত মেহরাদের সামনে বসে আছে।মেহরাদ কাজ করছে,কাজের ফাঁকে ফাঁকে স্রোতের দিকে তাকাচ্ছে। চোখের ইশারায় স্রোতকে লেকফুল করছে আর হাসছে। স্রোত প্রথম প্রথম রাগী দৃষ্টিতে তাকালেও এখন পাত্তা দিচ্ছে না।নিজেরই লজ্জা লাগছে,ঝোঁকের বশে কি কাজটাই না করে ফেললো।ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে আসছে।এখন মেহরাদ তো তাকে পঁচাবেই,মজা নিবে। স্রোত বলেছিলো হোটেলে ফিরে যেতে, মেহরাদ নিষেধ করে এখানেই বসিয়ে রেখেছে।কে কি ভাববে,বলবে সেটা মেহরাদ ম্যানেজ করে নিবে।
তখনই দরজায় নক্ করে একজন মেয়ে ক্যাপ্টেন প্রবেশ করে। তার নাম ক্যাপ্টেন সামিরা সুলতানা।সে গত দুই বছর যাবৎ মেহরাদকে পছন্দ করে।হাবভাবে বুঝা যায়।কিন্তু সরাসরি প্রকাশ করে না। মেহরাদ রাগলে তার চাকরির উপর প্রভাব পড়তে পারে না।তবে তার হাবভাবে মেহরাদ বুঝেও পাত্তা দেয় না।সামিরা এক অপরিচিত সাধারণ নারীকে দেখে অবাক হয়।এখানে তো থাকার কথা না।তার চোখমুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে অপ্রসন্ন হয়েছে।সামিরা অন্য কথা না বলে সোজা জিজ্ঞাসা করে,
“স্যার উনি কে?”
মেহরাদের মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে এই প্রশ্ন শুনে সে মোটেও খুশি নয়।সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই স্রোত বলে উঠে,
“পরিচিত।একটা প্রয়োজনে এসেছিলাম।”
সামিরা স্রোতের দিকে তাকিয়ে আছে।মেহরাদের মুখ দেখে বুঝাই যাচ্ছে স্রোতের উত্তর শুনে সে খুশি হয়নি,উল্টো রেগে গেছে।সে রাগান্বিত স্বরে সামিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আপনি নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন করার জন্য এখানে আসেন নি?কেনো এসেছেন সেটা বলুন।”
মেহরাদের কথা শুনে সামিরার মাথা নত হয়ে যায়।সে বলে,
“স্যরি স্যার।”
“প্রয়েজনের কথা বলুন।” কাঠকাঠ গলায় বলে মেহরাদ।
সামিরা জানালো এখনই মিটিং ডাকা হয়েছে সব অফিসারদের নিয়ে।মেহরাদকে যেতে হবে,সাথে আরো অনেক কিছুই বললো।স্রোত সবটাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অবলোকন করেছে।মেয়েটার হাবভাব তার একদম ভালো লাগে নি।মেহরাদের দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।স্রোতের কেনো জানি এই দৃষ্টিটা ঠিক লাগছে না।
মেহরাদ স্রোতকে অপেক্ষা করতে বলে মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়।মেহরাদ বেরিয়ে গেলে সামিরা স্রোতের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়,যা স্রোতের নজর এড়ায় না।সামিরা সন্দেহের দৃষ্টি রেখেই জিজ্ঞাসা করে,
“আপনারা কি সত্যিই পরিচিত?অন্য কোনো সম্পর্ক নেই তো?”
“কেনো বলুন তো?”
“না এমনি। ”
“আপনি মেহরাদ স্যারকে পছন্দ করেন?” জিজ্ঞাসা করে স্রোত উত্তরের অপেক্ষায় সামিরার মুখপানে চেয়ে আছে।
প্রশ্নটা শুনে সামিরার মুখের রং চেঞ্জ হয়ে যায়।স্রোত যা বুঝার বুঝে গিয়েছে,রাগ লাগছে।তবুও নিজেকে সামলে আবার বলে,
“আমাকে বলতে পারেন আমি হেল্প করতে পারবো।”
কথাটা শুনে সামিরার মুখ উজ্জ্বল হয়ে যায়।সে আনন্দে বলে উঠে,
“দুই বছর যাবৎ ভালোবাসি।কিন্তু প্রকাশ করতে পারি নি।অনেক চেষ্টাও করেছি পাত্তা দেন না আমায়।”
স্রোত এবার আর নিজেকে সামলাতে পারে না।রেগে গিয়ে বলে,
“এতোদিন প্রকাশ করেন নি।আর করবেনও না।আমি মেহরাদ সাদাফের স্ত্রী মিসেস স্রোতস্বিনী মেহরাদ সাদাফ।”
সামিরা বিস্ময় নিয়ে স্রোতের মুখপানে তাকিয়ে আছে।কি বলবে বুঝতে পারছে না।থেমে থেমে বলে,
“মিটিং শুরু হয়ে যাবে।আসছি আমি।”

সামিরা চলে যায়।রেখে যায় রাগান্বিত স্রোতকে।স্রোত নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।কি করবে সে বুঝতে পারছে না।মাথার চুল টেনে ছিড়তে ইচ্ছে করছে।বাসায় থাকলে এতোক্ষণে কিছু না কিছু ভেঙ্গে ফেলতো।নাহয় সাদা কাগজে লিখতে বসতো, লিখলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।এতোকিছু না ভেবে টেবিলের উপর থেকে কাগজ নিয়ে লিখতে শুরু করে।

প্রায় ঘন্টাখানেক পরে মেহরাদ এসে স্রোতের অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায়।তাড়াতাড়ি করে স্রোতের কাছে যায়।স্রোতের চোখ-মুখ রক্ত লাল হয়ে আছে আর ফোঁপাচ্ছে।মেহরাদ বুঝে উঠতে পারলো না কি হয়েছে।সে স্রোতকে আগলে নিলো।
তারপর জিজ্ঞাসা করলো,
“এই স্রোত কি হয়েছে তোমার?শরীর খারাপ লাগছে?বলো?”
স্রোত ফোঁপাচ্ছে আর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু কিছু বলছে না।মেহরাদ আবার জিজ্ঞাসা করলো,
“কি হয়েছে?এমন কেনো করছো?না বললে বুঝবো কিভাবে?”
“আমি অতি সহজে কাউকে নিজের করি না।আর একবার যদি করে ফেলি তাহলে তার উপর অন্য কারোর নজর আমি সহ্য করতে পারি না।আপনার উপরও কারোর নজর আমি মেনে নিবো না,মানতে পারছি না আমি।আপনি আমার, একান্তই আমার,শুধুই আমার।আপনার উপর শুধু একজনের অধিকার আর সেই একজনটা আমি,আর কেউ নয়।”মেহরাদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আচমকা তাকে জড়িয়ে ধরে কথাগুলো বলে স্রোত।
স্রোতের এমন আচরণে মেহরাদ অনেক বেশি অবাক হলেও কথাগুলো তাকে প্রশান্তি দিয়েছে।সে স্রোতকে চেয়ারে বসালো।তারপর এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলে স্রোত তা এক নিঃশ্বাসে শেষ করে।মেহরাদ স্রোতের মাথায় হাত বুলাচ্ছে।ফোপাঁনো কিছুটা কমলে মেহরাদ কি হয়েছে জানতে চায়।
স্রোত মেহরাদের দিকে তাকিয়ে বলে,
” ঐ অফিসারটা আপনাকে পছন্দ করে।ভালোও নাকি বাসে।জানেন আপনি?”
মেহরাদের একটু সময় লাগে বিষয়টা বুঝতে।মাথায় আসতেই অট্টহাসিতে মেতে উঠে।স্রোত কটমট করে তাকিয়ে বলে,
“আপনি হাসছেন?আমি হাসির কথা বলেছি?”
“অবশ্যই হাসির কথা বলেছো।ক্যাপ্টেন সামিরার আচরণ আমি আগেই বুঝেছিলাম কিন্তু আমলে নেই নি।মজার ব্যাপার হলো, সে এনগেজড।তবুও কেনো এমন করে সেই জানে।” মেহরাদ এখনো হাসছে।
স্রোত নিজের বোকামি বুঝতে পেরে মুখ ফিরিয়ে বসে।মেহরাদ নিজের আসনে বসতেই তার নজর পড়ে টেবিলের উপরের একটা কাগজ।সে কাগজটা হাতে নিলে তার অধর প্রসারিত হয়। সম্পূর্ণ পৃষ্ঠাটায় লেখা,

“মেজর সাহেব স্রোতস্বিনীর!”

#চলবে..

[আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। ঈদে বাড়িতে আসছি।তাই একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।পর্ব ছোট হলে মানিয়ে নিবেন একটু।ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here