দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৩৭ 🍂

0
678

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৩৭
🍂
—” ছেঁচড়াই আমি,,,, তুমি তো আমাকে বললে পড়া চুরের মাধ্যমে,,, যাও এটা বলার সাথে সাথে আমার পড়ার মুড সুইমিং করছে এখন,,, তাই আজ থেকে আগামী তিন দিন আমি আর কোনো পড়া পড়বো না ব্যাস,,,, এই নিয়ে আমি কোনো কথা শুনতে চাই না হুহহহ,,,৷

.

কথা গুলো বলেই একটা প্রকার নিজের রুমে দিকে ছুটে পালাতে চাইছিলাম আমি,,, কিন্তুু সেই সুযোগ আর পাওয়া হলো না আমার,,, তার আগে আয়ন ভাইয়া আমার হাত শক্ত ভাবে চেপে ধরে নিজের কাছে এনে বসায়,,,, তারপর ভ্রু কুঁচকে বললো,,,,

.

—” মায়াবাসি তুমি রিদ এর ধার্চ ধরছো কেন হুমম,,,, রিদ এর ভাষাভাষী হচ্ছো কবে থেকে,,, রিদের বলি বলতে শিখে গেছো তুমি,,,???

.

আয়ন ভাইয়া কথায় নড়েচড়ে বসলাম আমি,, আর কৌতুহল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ভাবতে লাগলাম কি এমন করেছি আমি যে উনার (রিদ) ভাষাভাষী হয়ে যাচ্ছি,,, তাই নিজের কৌতুহল মেটাতে আয়ন ভাইয়াকে কনফিউজড হয়ে প্রশ্ন করে বলে উঠি,,,,,

.

—” কি ধার্চ হয়েছে আমার উনার সাথে কথা বলে,,, আচ্ছা আমার কি উনি নামক কোনো সমস্যা হচ্ছে মানে আমার কি ভয়ংকর টাইপ কোনো অবনতি ঘটেছে উনার সাথে থেকে,,, বল না আয়ন ভাইয়া,,,????

.

আমার কথায় আয়ন ভাইয়া কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আমার হাত দুটো শক্ত করে ধরে স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে,,,,

.

—” হুমম অবনতি তো ঘটেছে তোমার,,, তুমি রিদ এর বলি বলতে শিখে গেছো,,, যেটা বিশাল বড় অবনতি তোমার আমার জন্য,,, আমি চাই না তোমার মধ্যে রিদ এর কোনো কিছু আসুক,,, তাই তুমি আর রিদ এর ভাষাভাষী কিছু বলবে না মায়াবাসি,,,,

.

আয়ন ভাইয়া কথায় গুলো আমি কিছু বুঝতে না পারায়,, আমার কনফিউজড হওয়ার লেভেলটা আরও একধাপ বেড়ে যায় তাই নিজের কনফিউজডের লেভেলটা বজায় রেখে পুনরায় আয়ন ভাইয়া কে প্রশ্ন করে বসি…..

.

—” উনি নামক কি বলি বলেছি সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমি,,,,

.

আমাকে পরপর প্রশ্ন করতে দেখে হালকা হাসলো আয়ন ভাইয়া,,, কিন্তুু আমি আয়ন ভাইয়া এই হাসি মানেটা বুঝতে পারলাম না,,,, তাই জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে,,, আর সে আমার জিজ্ঞেসু দৃষ্টি মেটাতে স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে,,,,,

.

—” এই যে বললেনা তুমি,,,” এই নিয়ে কোনো কথা শুনতে চাই না আমি ব্যাস,,,” এটাই তোমার বলা রিদের বলি,,, কারণ রিদ এই জেদ জেদ টাইপের কথা গুলো বেশি বলে,,, আর আজ তুমিও বললে এ টাইপের কথা যেটা তোমার জন্য খুবিই বেমানান,,,, কারণ মায়াবাসি মুখে হবে মিষ্টিবাসি কথা,,,, এমন রুডবাসি কথা তো একদমই মানায় না বুঝলে মায়াপাখি,,,,

.

আয়ন ভাইয়া কথায় আমি আবাক হওয়ে গেলাম মূহুর্তের,,, কি সুন্দর করে কথা বলে উনি,,, যেন মূহুর্তের মনকে ছুয়ে যেতে পারে,,, আমার ক্ষেত্রেও তাই হলো, আয়ন ভাইয়া কথায় গুলো হঠাৎ করেই আমার মনকে ছুয়ে গেল,,, তাই এই মনে জোকবষ্তা মেটাতে আয়ন ভাইয়া কে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে বলে উঠি…….

.

—” আয়ন ভাইয়া তোমার কথা গুলো কি সুন্দর,,, একদম পেটে পুড়ে রাখার মতো সুন্দর,,,, আমার অনেক ভালো লাগে তোমাকে আর তোমার কথা গুলোকেও জানো তুমি সেটা,,,, ইচ্ছে করে তোমাকে আমার পেটে পুড়ে রেখে দেয় যাতে পরে তোমার কথা শুনার জন্য তোমাকে আর খুজতে না হয় আমার,,, শুধু পেট থেকে বেড় করেই তোমার কথা গুলো শুনতে পারি আমি,,,,আচ্ছা ভাইয়া তোমাকে কি খাওয়া যাবে গোহ,,,, (কনফিউজড হয়ে)

.

আমার কথায় আয়ন ভাইয়া ঠোঁট প্রশারিত করে হালকা শব্দে হেসে উঠে,,, পরে আমার হাত দুটো টেনে নিজের কাছে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে আসে,,, পরে একহাতে আমার গাল আলতো ছুঁয়ে দিয়ে আদুরে সুরের বলে উঠে,,,,,

.

—” আমার মায়াপাখিতে আমি এতোটাই প্রভাবিত যে তার সাথে মিষ্টি কথা ছাড়া কোনো কথায় আসে না আমার মুখে,,, আর আমি তোমার শুধু পেটে নয় সবটা জুড়ে থাকতে চাই,,, আমি আমার মায়াপাখির, মায়াবাসি হয়ে থাকতে চাই,,,, আর সেটা খুব শীঘ্রই হবে পাখি,,, আর তো…..

.

আয়ন ভাইয়া বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই হালকা শব্দে চমকে উঠি আমরা দুজন,, শব্দের উৎস সন্ধানে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় ড্রয়িংরুমে মেইন দরজা দিকে,,,, যেখানে দাঁড়িয়ে আছে ডলি মীর্জা নামক এক কাপড় পড়া বিশিষ্ট আপুনিটি,,,, তাকে দেখে মূহুর্তেই আয়ন ভাইয়া কথায় ভুলে গেলাম আমি,,, সাথে সাথে মনে পড়লো আপুটি বলা সব কথা গুলো,,,,, যে উনার (রিদ) সাথে আপুটির গভীর ভালোবাসা চলছে আর এটা বিয়ে অবধি নিয়ে যেতে চাই আমার ভিলেন স্বামী,,,, কিন্তুু আমার জন্য তা করতে পারছে না উনি,,,

.

আর আমার জন্য উনি আপুটিকে বিয়ে করতেও পারছে না,,,, তারপরও উনি আমাকে কেন এখানে আটকে রেখেছেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমি,,,, আচ্ছা উনি কি আমাকে চুপি চুপি মারা জন্য এখানে বুন্ধি করে রেখেছেন,,, আল্লাহ কি সাংঘাতিক ব্যাপার ভাবা যায়,,,, না ভাবা যায় না আমাকে এখান থেকে পালাতেই হবে নয়তো উনি নামক প্রাণিটা আমাকে মেরেই ফেলবে কোনো রকম থামা থামি ছাড়াই,,,, তাই আমাকেই উনি নামক প্রাণিকে থামাতে হবে ডলি আপু মাধ্যমে,,,,,

.

—-” রিদ কোথায় আয়ন,,,,

.

ডলি আপুর কথা আমার ভাবনায় ছেদ ঘটলো,,,, আমি আপুর দিকে উৎসক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি,,, আর আমাকে এভাবে তাকাতে দেখে হালকা বিরক্তি নিয়ে আমাকে আবারও বলে উঠে,,,,,,

.

—” হুয়াট,,,, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন,,,,? আর রিদ কোথায় তুমি সেটা বলতে পারবে,,,,

.

ডলি আপু কথা আমি দ্রত নিজের মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানা যার অথ হল আমি জানি উনি কোথায় আছে,,,, আমার মাথা নাড়ানো দেখে ডলি আপু মুখে এক চিত্তে হাসি ফোটে উঠে,,,,, আর আপু হাসি দেখে আমিও হাসি মুখে কিছু বলতে যাব তার আগেই আয়ন ভাইয়া বেশ বিরক্তি নিয়ে ডলি আপু অনেকটা রুড গালায় বলে উঠে,,,,,

.

—-” রিদ নিজের রুমে আছে গিয়ে দেখে নাও,,,, আর একটা কথা আজকে যেভাবে মায়ার সাথে উচ্চ স্বরে কথা গুলো বললে নেক্সট টাইম যাতে এভাবে কথা বলতে না দেখি তোমায় আমি,,,, দেখলে কিন্তুু হিতের বিপরীত হতে পারে তোমার জন্য,,,, আর আমি কিন্তুু এতোও ভালো নয় সেটা তুমি ভালো করেই জানো,,,

.

আয়ন ভাইয়া কথায় আমি আবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলাম উনার দিকে,,,, উনি কি বলছেন কিছুই আমার বোধ গমন হচ্ছে না এ মূহুর্তে,,,,, আর না কিছু বুঝতে পারছি,,,, আপু তো আমার সাথে কোনো রুড ব্যবহার করেনি তাহলে আয়ন ভাইয়া এমন সব কথা গুলো কেন বলছেন আপুকে,,, আমি কিছু বুঝতে না পেরে বোকার মতো করে আয়ন ভাইয়া দিকে একবার তো ডলি আপু দিকে বারবার তাকাচ্ছি,,,,, আমার এমন তাকানো দেখে ডলি আপু হালকা বিরক্তি নিয়ে আয়ন ভাইয়া কে বলে উঠে,,,,,

.

—-” ঠিক আছে আয়ন, তোমার কথা গুলো আমার মাথা থাকবে,,,, আর হে ধন্যবাদ রিদের খবর দিয়ার জন্য,,,, নাউ বাই,,,,

.

বলেই কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে গটগট করে উনার (রিদ) রুমের দিকে পা বাড়ায়,,,, আর আমার দুজনই ডলি আপু যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম,,,, আমার তাকানোতে কিছু জানার উৎসক থাকলেও,,,, আয়ন ভাইয়া তাকানোতে রয়েছে একরাশ বিরক্তি মাখানো চাওনি,,,,

.

.

.

🍁
রাত ১২ঃ০০ কি ১২ঃ৩০ হবে,,, খান বাড়ি ডাইনিং এ রয়েছে নিস্তব্ধতা চাপা একটা পরিবেশ,,, আর সে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে রিদ এর জন্য,,,,, এ মূহুর্তে ডাইনিং এ বসে আছে,,, রিদের দাদা-দাদি, রিদ, আর আয়ন,,, সবার চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে কারও মুখে কোনো কথা নেই,,,,, হেনা খাঁন( দাদী) কাচুমাচু করছে রিদকে কিছু বলার জন্য সেই কখন থেকে,,, কিন্তুু রিদের ভয়ে কিছু বলতে পারছে না,,,, উল্টো নিজের সিটিয়ে যাচ্ছে বারবার ভয়ে,,,,, রিদ তার দাদী মনের অবস্থা বুঝতে পেরেও তার কোনো হেলদোল নেই,,,, সে এক মনে নিজের মতো করে চামচ নাড়িয়ে খাবার মুখে দিচ্ছে বারবার,,, যে এ মূহুর্তে তার খাবার খাওয়ার ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার,,,,

.

হেনা খাঁন আড়চোখে রিদকে একটা পলক দেখে নিল,,, পরে নিজেকে শক্ত করে, ধারালো গলায় উস্কু ভাবে রিদকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,

.

—” রিদ তোর আর মায়ার ডিভোর্স কাজটা তাড়াতাড়ি সারতে চাই আমি,,,, তুই মায়াকে না নিজের বউ মানিস না অন্য কিছু,,,,, তাছাড়া তুই তোর মতো স্বাধীন থাকতে চাস,,,, তাই তোকে তোর স্বাধীনতা দিয়ে দিচ্ছি আমি,,, তুই শুধু আমার সোনামা থেকে দূরে থাকবি ব্যাস,,,,,

.

হেনা খাঁনের কথায় উপস্থিত বাকি সবাই চমকে উঠলেও রিদের রিয়াকশন ছিল স্বাভাবিক,,, সে নিজের মতো করে খেয়েই চলছে এক মনে,,, যেন সে কিছুই শুনেনি,,, তাকে কেউ কিছু বলে নি এ মূহুর্তে,,,, তার কানে কোনো কথায় আসেনি,,,, আর বাকি দু’জন মানে আয়ন আর আরাফ খান (দাদা) হতবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে হেনা খাঁন এ দিকে,,,,৷ কারণ এ মূহুর্তে হেনা খাঁন এমন কিছু বলবে তারা এটা আশা করেনি,,,,, তাই আবাকে সাথে সাথে হতবাক ও হয়েছে তারা,,,, তাই একবার হেনা খাঁন দিকে তো একবার রিদের তাকাচ্ছে,,,,

.

আরাফ খান রিদের বাহিরও ভিতর সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত হলেও,,, হেনা খাঁন রিদের কোনো সম্পর্কে অবগত নয় তাই নিজের মতো করে কথা গুলো বলে যাচ্ছে,,,, আর আরাফ খান নিজের স্ত্রী পক্ষে সমতি জানালেও এ মূহুর্তে উনি চুপ করে আছে সবটা বুঝার জন্য,,,, কারণ উনি এ কয়েক দিনে রিদের অনেক কিছু দেখেছে মায়াকে নিয়ে,,,, তাই আজকে শিউর হওয়া জন্য বাকিটাও দেখতে চাই,,,,, তাই নিরব দর্শক এর মতো শুধু নিজের চোখটা বুলাচ্ছে,,,,

.

আর আয়ন এ মূহুর্তে এমন কিছু আশা না করলেও,,, হেনা খাঁনকে সমিতি জানাতে তার সাপোর্ট নেয়,,, কারণ বিষয়টা তাকে আর মায়াকে নিয়েই,, তার মায়াকে চাই আর সে সুবাদে যেকোনো সময়ে কথা গুলো বলুক না কেন তার কোনো আপত্তি নেই,,,, তাই আয়ন রিদের দিকে উৎসক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে উত্তরে আশায়,,,,

.

হেনা খাঁন রিদের কোনো ভাবান্তর না দেখে বিরক্তি নিয়ে খালকাটা ঝাঁজালো কষ্টে বলে উঠে,,,,,,

.

—-” আমি তোকে কিছু বলছি রিদ,,, আমি আমার সোনামাকে তোর সাথে দেখতে চাই না,,,, তোর সাথে ওর ডিভোর্স করিয়ে আবার বিয়ে দিতে চাই আমার সোনামার,,,, তাই আমি তোদের তাড়াতাড়ি ডিভোর্স করাতে চাই,,,, আর তোদের ডিভোর্সের কোনো চিন্তা তোকে করতে হবে না,,, সবটা আয়ন নিজেই দেখে নিবে,,, তুই শুধু সাইন করে দিবি বুঝেছিস,,,,,,

.

দাদীর কথায় এবারও কোনো নড়চড় হলো না রিদের,,, সে আগে মতো করেই অন্ন ভুষণ করে যাচ্ছে চামচ নাড়িয়ে নাড়িয়ে শান্ত দৃষ্টিতে,,,,, রিদের এমন ভাব দৃষ্টি দেখে কপাল কুচকে এলো আয়ন এর,,,,,, সে ঠিক বুঝতে পারছে না যে রিদ এভাবে চুপ থাকার মানেটা কি,,,, এবারও রিদ এর নড়চড় না দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে হেনা খাঁন,,,, পরে রেগে চোখ মুখ শক্ত করে রিদকে বলে উঠে,,,,,,,

.

—” এই তুই কি আমার কথা শুনতে পারছি না,,, তোর কি মনে হয় আমি আমার সোনামাকে তোর কাছে রাখবে মার খাওয়া জন্য কখনোই না,,,, তুই তোর মতো থাকবি আর আমার সোনামা আমার কাছে থাকবে তার মতো করে,,,, আর তুই নামক কোনো ছায়া আমার সোনামার লাইফ এ দেখতে চাই না আমি,,, তাই তুই মুক্তি দে আমার মা টাকে,,,,

.

হেনা খাঁনের কোনো কথায় রিদ কানে না তুলে নিজের মতো করে নিজের প্লেট এ খাবার শেষ করে, হাত বাড়িয়ে টিস্যু নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ায়,,,, পরে কারও দিকে না তাকিয়ে নিজের রুমে দিকে পা বাড়াতেই আবারও হেনা খাঁনের ঝাঁজালো কন্ঠে থেমে যায় রিদ,,, পরে পিছন ফিরে তাকায় নিজের দাদীর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে,,,, যেন সে কিছুই শুনেনি এতোক্ষণ জানেও না কোনো কিছু,,,, রিদ এমন দৃষ্টিতে অপেক্ষা করে আবারও হেনা খাঁন বলে উঠে,,,,,,

.

—” আমি কিছু বলছি রিদ,,, তুই আমার কথা শেষ না করে এভাবে যেতে পারিস না,,,

.

রিদ হেনা খানের কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকায় দাদীর দিকে,,,, পরে দুই কদম হেটে ড্রয়িংরুমে সোফায় আরাম করে বসে পা ওপর পা তুলে,,,, পরে ঘাড় ঘুরিয়ে দাদীর দিকে তাকিয়ে কপাল কুচকে হালকা চিন্তার ভাজ ফেলে দাদীকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,

.

—” কি যেন বললা দাদী,,, আবার বলোতু শুনি,,,,, আমার শটকার্ট মেমোরি লস হয়েছে মাথায় তাই আবার রিপিট করতো একটু,,, এভার আমি সবটা শুনছি বলো তুমি,,,, শুরু করো,,,,

(অনেকেই আয়নকে চাচ্ছেন মায়ার সাথে রিদকে নয়,,,,
বাকিদের মতামত জানাবেন কাকে পছন্দ)

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here