#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৩৮
🍂
—” কি যেন বললা দাদী,,, আবার বলতো শুনি,,,,, আমার শটকার্ট মেমোরি লস হয়েছে,,, তাই আবার রিপিট করতো একটু,,, এবার আমি সবটা শুনছি বলো তুমি,,,, শুরু করো,,,,
.
রিদের কথা ধার্চ দেখে হেনা খাঁনের রাগের সাথে সাথে ভয়টাও জেঁকে বসেছে মনে অনেকটা,,,, তিনি রিদ রাগ সম্পর্কে অবগত হলেও মায়াকে নিয়ে কোনো কম্পোমাইজ করতে চাই না তাই যা কিছু হোক না কেন রিদ থেকে মায়াকে বাঁচাবেই ব্যাস,,, আর সেটা যে করেই হোক,,, তাই তিনি নিজের চিন্তা ভাবনায় পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় রিদের দিকে,,,পরে রিদের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সামলিয়ে সোজা সাপটা ভাবেই বলে উঠে,,,,
.
—” তোর আর মায়ার ডিভোর্স চাই আমার,,,
.
দাদীর কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকায় রিদ তার দাদীর দিকে পরে খানিকটা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে,,,,
.
—” তো আমি কি করবো,,,, তোমার চাই, আমার না,,
.
রিদ এর এমন কথায় হেনা খাঁন নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে না পেরে চিল্লায়ে বলে উঠে,,,
.
—” তুই কি করবি মানে,,, তোরই সবকিছু,,, আর তোর ডিভোর্স চাই না মানে কি,,,
.
দাদীর কথা রিদ নিজের মতো করে বলে উঠে,,,,
.
—” সেটাই আমার কোনো ডিভোর্স চাই না,,, আর তোমার যদি ডিভোর্স চাই তো দাদাভাই এর কাছ থেকে নিয়ে নাউ,,, আমাকে কেন বলছো ডিভোর্স এর কথা, আমার কারও সাথে কোনো রকম ডিভোর্স চাই না,,,,
.
রিদের এমন বেহালি কথায় হেনা খাঁন যেন মূহুর্তের কয়েক গুন রাগটা বেড়ে যায়,,, আর সেই রাগের রেশ ধরে ঝাঁজালো কন্ঠে রিদকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,
.
—” তুই কি আমার সাথে মজা করছিস,,, আমি কেন আমার স্বামীর থেকে ডিভোর্স নিতে যাবো হে,,,, ডিভোর্স নিবি তো তুই,,,
.
রিদ আবারও বেহালি পনা বজায় রেখে, সোজাসাপটা ভাবে নিজের দাদীকে বলে উঠে,,,,,
.
—” তুমি তোমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবে না,,, তো আমি কেন আমার বউকে ডিভোর্স দিব,,, যেটা তোমার চাই না সেটা আমাকে কেন জোর করে চাপাচ্ছো,,,,
.
হেনা খাঁন রিদের কথা গুলো শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে,, পরে খানিকটা ক্ষিপ্ত গলায় কিছু বলবে তার আগেই পাশ থেকে আয়ন এগিয়ে এসে রিদের সামনে স্টং হয়ে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে,,,,,,,,
.
—” রিদ লুক, তোর আর মায়ার সম্পর্কটা সবাই জানে,,, তুই মায়াকে কিভাবে ট্রেড করিস সেটা সবার চোখে দেখা,,,, তাই তোদের ডিভোর্স হওয়াটাও অতাবশ্যক,,, তুই আর ঝামেলা করলেও সেটা মেনে নিব না আমি,,, সো প্লিজ মায়াকে মায়ার মতো থাকতে দে,,,,
.
আয়ন এর এমন কথায় রিদের কোনো ভাবান্তর হল না,,, সে নিজের অলসতা ঝেড়ে,,, নিজের মতো করে উঠে দাঁড়িয়ে পরে আয়ন এর সামনে স্টং হয়ে,,, পরে নিজের দুহাত পকেটে গজিয়ে স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে,,,,,
.
—” লুক আয়ন সম্পর্কটা আমার,,, বউটাও আমার,, তাই ডিসিশনটাও আমারই হবে,,, আর আমার বউ কার সাথে কতটা মিশে সবিই জানা আমার,, আমি আমার সম্পর্কটা মানতে না পারলেও আমার বউকে কিন্তুু কখনো আমার অবাধ হতে দেয় নি,,,
.
বলেই রিদ আয়নকে কিছু বলতে না দিয়ে নিজের রুমে দিকে পা বাড়ায়,,, কিন্তুু পিছন থেকে আয়নের এর কথা গুলো কানে আসতেই থামে রিদ,,, পিছন ফিরে তাকায় আয়ন এর দিকে,,, আয়ন রিদকে নিজের দিকে তাকাতে দেখে নিজের মতো করে বলে উঠে,,,,,,
—” অবাধ হতে দেসনি কারণ তুই মায়াকে ভয় দেখিয়ে মেরে বাধ্য করেছিস,,,, আর সবচেয়ে বড় কথা মায়া তোর সাথে থাকতে চাই না,,, তাই তুই মায়াকে ডিভোর্স দে,,,,
.
রিদ ভ্রু কুঁচকে আয়ন এর দিকে তাকায়,,, পরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে সোজাসাপ্টা ভাবেই বলে উঠে,,,,,,
.
—” অবাধ জিনিসকে আমি তখনি বাধ্য করি যখন জিনিসটা আমার পছন্দ হয়,,, আর সেটা যদি বউ হয় তো কোনো কথাই নেই,,,, আর আমার বউকে যদি আমি বাধ্য করি তাহলে তার পিছনে যথেষ্ট পরিমাণ কারণ আছে,,,, আর অকারণে কিছু করা হয় না আমার,,, আর হ্যা আজকে সবাইকে বলছি আমি,,,
আমার কোনো ডিভোর্স চাই না,,, আমার বউকে নিয়ে আমি কি করবো তার কৈফিয়ত অবশ্য কাউকে দিব না,,,, আর আয়ন তোর না বলা কথা গুলোও সবটা জানা আমার,,, আমার বউ এর পাশে একটা মাছি ঘুরাটাও আমার পছন্দ না সেইখানে যদি আস্ত একটা মানুষকে টলারেড করি আমি তাহলে তারও পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে,,,, আর এই আস্ত মানুষটা কে জানিস তো,,, সেটা তুই আয়ন,,, তোর সাথে আমার বউয়ের প্রতিটা মোমেন্ট আমার জানা সাথে তোর ফিলিংসও,,, তোকে কেন আমার বউ এর সাথে কথা বলার জন্য সুযোগ দিচ্ছি জানিস,,, কারণ আমার কিছু বুঝার আছে নিজের সাথে,,, তাই তুই সুযোগ পাচ্ছিস,,, কিন্তুু যখন আমি নিজেকে নিয়ে শিওর হবো তখন তুই কেন ওর নিজের ভাইকেও সহ্য করবো না আমি ওর পাশে,,,, তাই আমাকে আমার মতো করে থাকতে দাও,,, সবটা বুঝে নিতে চাই আমি,,, নয়তো বউ এর সাথে সাথে ফ্যামিলিকেও ছাড় দিব না আমি,,,
.
বলেই রিদ কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে গটগট করে নিজের রুমে দিকে পা বাড়ায়,,,, আর হেনা খাঁন আর আরাফ খান হতবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদের যাওয়ার দিকে,,,, কিন্তুু আয়ন তাকিয়ে আছে চোখ মুখ শক্ত করে দুহাত মুষ্টি করে,,,, তার এই মূহুর্তে সবকিছু শেষ করে দিতে ইচ্ছা করছে,,, তবুও মায়া নামক মেয়েটি তার চাই-ই চাই,,,,
চলবে……….