দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৪০

0
606

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৪০

আমার এমন কান্ড দেখে জোরে হেসে উঠে উনি,,,, পুরো খান বাড়ি ড্রয়িংরুমে কাপিয়ে,,, উনার হাসি শব্দে সবাই চমকে পিছনে ফিরে তাকিয়ে হতবাক,,, ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে উনার দিকে,,, উনার হঠাৎ হাসার কারণ বুঝতে না পেরে,, আর উনাকে এই প্রথম এভাবে হাসতে দেখে সবাই এক প্রকার শক্ট হয়ে গেছে,,, আর বুঝার চেষ্টা করছে কি এমন হয়েছে এখানে যে উনি হঠাৎ হেসে উঠে,,,,,,

.
উনার হাসিতে আমি মূহুর্তে চমকে আবারও দাদাজান পিছন থেকে মাথা বেড় করে, তাকিয়ে আছি চোখ বড় বড় করে,, উনার হাসিতে যেন মুক্ত ঝড়ছে, ঝঙ্কালো সেই হাসি,,, আমি উনার এমন হাসি মাখা মুখ কখনোই দেখিনি,,, কিভাবে বুঝালে এই হাসিটাকে সর্বচ্চো সুন্দর বুঝাবে তা সত্যি আমার জানা নেই,,,,,,

.
সবাইকে দাঁড়িয়ে পরতে দেখে,, এবং নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে চুপ করে যায় রিদ,, হঠাৎ কি করেছে সে বুঝতেই সবার দিকে চোখ বুলাই রিদ,,, ড্রয়িংরুমে সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে এমনকি বাড়ির সব গুলো কাজে লোককেও তাকিয়ে থাকতে দেখে গম্ভীর হয়ে আসে রিদ,,, নিজের সব কান্তি ঝড়ে সোজা গিয়ে সোফায় পায়ে ওপর পা তুলে বসে পরে,,,, তখনো সবাই আবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল,,,
রিদকে এভাবে বসতে দেখে এগিয়ে আসে হেনা খাঁন,,, পরে আবাক হয়ে আবেগি সুরে বলে উঠে,,,,,

.
—” সোনাবাবা তুই কত বছর পর এভাবে হাঁসলি,,, তোকে এভাবে হাসতে দেখে আমার মনে শান্তি লাগছে,, তুই কি নিয়ে এত খুশি সোনাবা,,, (টলটলে চোখে)

.
হেনা খাঁনের এমন কথায় রিদ ইতস্তত বোধ করে বলে উঠে,,,,,

.
—” কোনো কারণ নেই হাসির দাদী,,, এবার চল সবার দেরি হচ্ছে,,,

.
রিদের কথায় হেনা খাঁন যেন আরও আবাক হয়,, তিনি চোখ বড় বড় করে বলে উঠে,,,,

.
—” তুই না এ মাত্র বললি যে তুই আমাদের সাথে যাবি না তাহলে,, আর তোর হাসি কা….

.
হেনা খাঁনকে বাকি কথা গুলো বলতে না দিয়ে রিদ স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে,,,,,

.
—” বললাম তো কোনো কারণ নেই আমার হাসি,, আর হাসি নিয়ে কোনো কথা শুনতে চাই আমি,,, কিছু দেখে আঁটকে গেছি তাই তোমাদের সাথে যাব,,, না নিলেও যাব আমি,,,

.
রিদ এর এমন ব্যবহার বুঝতে না পেরে হেনা খাঁন চিন্তিত সুরে বলে উঠে,,,,,

.
—” তুই তো কান্ত সোনাবা,,, রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে। তারপর নাহয় যাবি,,,, আর কোথায় আটকে আছিস তুই। কিছুই তো বুঝতে পারছি না আমি,,, কি হয়েছে তোর তুই এমন করছিস কেন সোনাবাবা,,,

.
দাদী এমন কথায় রিদ তার দাদী থেকে চোখ সরিয়ে মায়ার দিকে তাকায়,,, দুজনের চোখাচোখি হতেই মায়া লজ্জা চোখ নামিয়ে নেয়,,, রিদ অপলক দৃষ্টিতে মায়ার লজ্জা মাখা মুখে তাকিয়ে থাকে,, পরে নিজের দৃষ্টি মায়ার দিকে স্থির রেখে,, নিজের দাদীকে বলে উঠে
.
—” হঠাৎ মনে বসন্তের হাওয়া লেগেছে দাদী,,, কিছু দেখে ভালো লাগছে খুব বেশি,,,, তাই আমার সব কান্তি ভুলে মাইড চেঞ্জ করলাম,,, তোমার সাথে আজকে আমি থাকতে চাই,,, চল এবার,,, দেরি হচ্ছে না তোমার,,,

.
রিদের কথায় হেনা খাঁন বুঝতে না পেরে,,, আবারও প্রশ্ন করে বলে উঠে,,,,

.—” মানে….?

রিদ মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে মায়ার কান্ড দেখছে,,, মায়া বারবার রিদকে চুরি করে দেখতে গিয়ে ধরা খাচ্ছে রিদের কাছে বারবার,,, কারণ রিদের দৃষ্টি স্থির মায়া ওপর,, তাই মায়া যতবার রিদের দিকে তাকাচ্ছে ততবার দুজনের চোখাচোখি হচ্ছে,,,, লজ্জা মায়া সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিচ্ছে,,,, মায়াকে এভাবে লজ্জা পেতে দেখে নিজের মাথাটা একটু ঝুকে নিচু করে হালকা হাসলো রিদ,,,, পরে আবারও মাথা তুলে মায়ার দিকে নিজের দৃষ্টি স্থির রেখে নিজের মতো করে দাদীকে বলে উঠে,,,,

.

—” ইশশশশ,,, দাদী আজকে তোমাকে শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে,,, তোমাকে এই শাড়িতে এতটা ভালো লাগবে জানলে আরও আগেই এনে দিতাম আমি,,, দাদী আজকে থেকে তুমি রোজ রোজ শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়াবা বাড়িতে,, বাকি সব ড্রেস তোমার জন্য একদম বন্ধ,,,, এভাবেই যদি তুমি লক্ষী মেয়ে মতো আমার কথা গুলো শুনো, তাহলে তো আমি আর তোমাকে কোনো রুপ ভয় দেখাতে পারবো না দাদী,,,, কি করি বলতো? (মজার করে) আর এমনিতেই তো তুমি আজ আমার রঙ্গের রাঙ্গে আছো, তাই তোমাকে আজকে একা ছাড়তে ইচ্ছা করছে না আমার,,, ভাবলাম আজকে সারাটা সন্ধ্যা আর রাত আমার সাথেই কাটাবে তুমি। তাও কোনো অপশন ছাড়ায়,,,,,

.
বলেই রিদ সোফা ছেড়ে উঠে দাড়ায়,,, সবাইকে হা করে তাকাতে দেখে খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করে
ঝাঁজালো কন্ঠে বলে উঠে,,,

.

—” তোমরা কি যাবে নাকি তোমাদের সবকিছু ক্যান্সেল করবো আমি,,,

.
বলেই আবারও সবার দিকে রিদ একটা পলক তাকিয়ে কোনো কিছু না বলে বেড়িয়ে যায় বাসার থেকে,,, হয়তো বুঝে গেছে রিদের এমন ব্যবহার আর বলা কথা গুলো কেউ হজম করতে পারছে না এ মূহুর্তে,,, তাই রিদের বারবার বলার পরও সবাইকে রিদ দিকে আবাক হয়ে হা করে তাকাতে দেখে বিরক্তি নিয়ে চলে যায় রিদ গাড়ির উদ্দেশ্য বাহিরে,,,

.
ড্রয়িংরুমে পিনপিনে নিরবতা বিস্তার করছে কারও মুখে কোনো কথা নেই,,, সবাই শুধু হা করে তাকিয়ে ছিল রিদ দিকে,,, রিদ বলা কোনো কথায় যে কেউ বুঝেনি তা সবার হা করা দেখেই বুঝা যাচ্ছে,,, আর বুঝবেই বা কি করে,, হেনা খাঁন তো সবসময় শাড়ি পড়েই চলে বাড়িতে,, অন্যকিছু কবে পড়েছে তা সঠিক হেনা খাঁনের ও মনে নেই এ মূহুর্তে,,,,, তারপরও রিদ তর দাদীকে শাড়ি পরতে বললো ট্রেড দিয়ে,,, ভাবা যায় কত বড় মাপে গুন্ডা,,,

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here