দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৪৩ 🍂

0
652

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৪৩

🍂
মাঝ রাস্তয় মায়ার নৃত্যন্ত দেহটা ঝাপটে ধরে চিৎকার করছে রিদ,,, কি হয়েছে তার সাথে কিছু বোধগমন হচ্ছে না তার,,, এমন মূহুর্তের রিদের কেমনটা লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছে না,,, নিজেকে বড্ড উন্মাদ আর পাগল লাগছে,,, বুকের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে,, মনে হচ্ছে কেউ তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে কমাগত,,, নিশ্বাসটা যেন বন্ধ হয়ে আসছে হা করেও নিতে পারছে নিশ্বাস,,, রিদের এমনটা মনে হচ্ছে যে করেই হোক তার এই মেয়েটাকে চাই-ই চাই, নয়তো সে এই গোটা দেশটাই জ্বালিয়ে দিবে সবকিছু ধংশ করে দিবে আরও অনেক বেশি হিংস্র হয়ে উঠবে যদি তার রিত(reeth) তার কাছে না ফিরে আসে,,,,

.

মায়াকে সে যতোই অত্যাচার করুক না কেন, কখনোই তার থেকে মায়াকে দূরে থাকতে দেয়নি,,, কারণ মায়ার সাথে দ্রুর্তটা কখনোই মেনে নিতে পারেনি রিদ তাই মায়াকে এক প্রকার বন্দী করে রেখেছিল তার জীবনের,,,, মায়াকে হারানো ভয়ে মায়ার জীবনের সবকিছু রিদ তার নিজের এর দখলে নিয়ে ছিল অনেক আগেই,,, এতটা দখলে নিয়ে ছিল যে মায়ার পাশে কোনো রকম মানুষ পছন্দ করতো না,,, এর জন্য মায়াকে বডিগার্ড দেয় রিদ মায়ার প্রতিটা মূহুর্তের খবর নিয়েছে রিদ,,,
মায়ার কোনো কাজেই রিদের কোনো সমস্যা ছিল না,, কিন্তুু মায়া যখন রিদকে ছেড়ে অন্য কোনো ছেলে সাথে মিশত বা রিদকে ছেড়ে যাওয়া কোনো কথা বলতো তখনিই রিদ সেটা মেনে নিত পারতো না,,,, তার ভিতরে থাকা অস্থিরতাটা চাতক পাখি মতো লাফাতে থাকতো আর তার রেশ ধরেই মায়াকে ভয় দেখাতে,,,, নিজের অনুভূতি সাথে পরিচয় ছিল না বলে,,, মায়াকে আর নিজের সময় দিচ্ছল রিদ,,, নিজের ফিলিংস এর সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য,,,, কিন্তুু মাঝে মাঝে মায়ার কিছু পাগলামো জন্য রিদ তাকে ভয় দেখাতো,,,

🍂
মায়ার হঠাৎ করে এক্সিডেন্টে হওয়ায় স্তব্ধ সবাই,,, সবাই শক্ট হয়ে ফ্রিজ এর মতো দাড়িয়ে আছে,,, কারো মুখে কোনো কথা নেই,,, হঠাৎ করে এমনটা হয়ে যাবে করে বিশ্বাসই করতে পারছেনা,,, রিদ মায়াকে ঝাপটে ধরে কান্না করতে দেখে খানিক বাদে সবাই দৌড়ে এসে মায়ার পাশে বসে,,,, হেনা খাঁন মায়ার অবস্থা দেখে চিৎকার করে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় মায়ার পাশে বসতে বসতে বলে উঠে,,,,

.
—” আমার সোনামা কি হয়েছে,, ওহ গায়ে এত রক্ত কেন রিদ,,, ওকে বলনা ওর দাদী খুব ভয় পাচ্ছে রক্ত এত দেখে,,, ওকে বল আমাকে জরিয়ে ধরতে আমার হাত পা কাপছে রিদ,,, ওকে বল আমার কাছে আসতে, ওহ (মায়া)তো তোকে ভয় পায় তাহলে ওহ তোর বুকে শুয়ে আছে কেন,,, আমার বুকে শুতে বল না প্লিজ,,,, (অঝোর ধারা চোখে পানি পরতে পরতে)

.
মূহুর্তের রিদ চুপ হয়ে যায়, কারে সাথে কোনো কথা বলে না, আর হেনা খাঁন এর কথা শুনে দুহাতে শক্ত করে জরিয়ে ধরে মায়াকে নিজের বুক সাথে,, আর হেনা খাঁন এ দিকে এমন ভাবে তাকায় যেন মায়াকে কিছুতেই দিবে না হেনা খাঁনকে,,, যতো কিছু হোক না কেন মায়া তার বুকে থাকবে,,,, একদম দিবে না কাউকে তার রিতকে(reeth) নিয়ে যেতে তার বুক থেকে,,,

.
আরাফ খানও মিসেস হেনা খাঁন এ পাশে ধপ করে বসে পরে,,, আর অস্রশিক্ত চোখে মায়া দিকে তাকিয়ে থেকে কাপা হাতটা বাড়িয়ে দিতেই রিদ মায়াকে নিয়ে নড়েচড়ে ওঠে,, আর তার দাদাজানকে ছুতে দিচ্ছে না,,, যদি দাদাজান রিদ থেকে মায়াকে আলাদা করে দেয় তাই,,,, আরাফ খান অস্রশক্তি চোখে অসহায় মতো তাকিয়ে আছে রিদের দিকে,,,, তখনি পাশ থেকে কেউ ধপাস করে আরাফ খানের গায়ে ঢলে পড়ে,,, আরাফ খান চমকে হাটু কাছে তাকাতেই চোখে পড়ল নিজের স্ত্রী সেন্সলেছ দেহটা,,, উনি জানত এমনটা হবে তাই আরাফ খান কান্না করতে করতে হেনা খাঁনকে নিয়ে কোলে মাথাটা রাখে,,,, হেনা খাঁন নিজের সোনামার অবস্থাটা মেনে নিতে পারেনি তাই অজ্ঞান হয়ে গেছে,,,,

.
ফয়সাল, সাহিল, আয়নে বাবা,, বাবা মিলে সবাইকে হসপিটালের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্তা করে,,, মায়াকে রিদের থেকে আলাদা করতে পারেনি,,, রিদ গাড়ির ভিতরে সারাটা রাস্তায় মায়াকে দু’হাতে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে রাখে,,, রিদের সারাটা শরীর মায়া রক্তে ভেসে গেছে,,, রিদ গাড়িতে বসেও কারো সাথে কোনো কথা বলছে না,,, রিদের অনুভূতি শূন্য হয়ে আছে তার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে,,, তাই সে পাথর মতো শক্ত হয়ে বসে আছে,,,,

.
হসপিটালের কেবিনে বাহিরে বসে আছে সবাই,,, সবার চোখে মুখে কষ্ট আর চিন্তার চাপ,, কি থেকে কি হয় কেউ কিছু ভেবে পাচ্ছে না,, মায়াকে কিছুক্ষন আগে কেবিনে ভিতরে ঢুকানো হয়েছি, মায়াকে ঢাকার সবচেয়ে নামি-দামি হসপিটাল এপোলো আনা হয়েছে এখনে দেশ বিদেশি বড় বড় ডাক্তারা আছে তাই,,,
বডিগার্ডরা সাবাই একপাশে দাঁড়িয়ে আছে আর মায়ার বডিগার্ড সবাই কান্না করছে মায়ার জন্য,,, আশিক তার পাতানো বোন এ জন্য বুক ফেটে চিৎকার বেড়িয়ে আসচ্ছে কষ্টে,,, আর আসিফ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিদের দিকে,,, আসিফ ভেবে পাচ্ছে না রিদ মায়ার ছোট ছোট বিষয় গুলো নিয়ে ভিষণ হাইপার ছিল,,, কতটা পাগলামি করছে মায়ার জন্য সে সবটা দেখেছে,,, কিন্তু আজকে যা হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নিবে না রিদ,,, এতটা শান্ত হয়ে বসে আছে মানে নিশ্চিত কোনো অজানা ঝড় তুলবে রিদ,,, যার কারণে এখন এতটা স্থির,,,,,
.

রিদ চুপচাপ বসে আছে কর্ণার একটা বেঞ্চ মধ্যে নিজের দুহাত মাথা চেপে ধরে ঝুঁকে ফ্লোরে দিকে তাকিয়ে থেকে,,,, তখন অনেক কষ্টে মায়াকে রিদ থেকে আলাদা করেছে আরাফ খান,,, মায়া সাথে কেবিনে ভিতরও ঢোকতে চেয়েছিল পরে আরাফ অনেক কষ্টে বুঝিয়েন যে রিদ যদি মায়া সাথে যায় তো মায়ার আরও অনেক বেশি ক্ষতি হবে,,, ডাক্তার তখন কিছু করতে পারবে না,,, তাই সে বাধ্য হয়ে মায়াকে যেতে দিয়েছে,,,,

.

রিদের এমন চিন্তা ভাবনায় মাঝে ডক্টর মায়ার কেবিন থেকে হতভম্ব হয়ে বেডিয়ে এসে আরাফ খান এর সামনে এসে দাঁড়ায়,, সবাইকে একপলক দেখে ভয়ে সিটিয়ে যায়,, কারণ এখানে সবাই খান পরিবারের সবাইকে চিনে,, বিশেষ করে রিদ সম্পর্কে অবগত পুরো বাংলাদেশ,, এক কথায় রিদকে মাফিয়া বলা যায়,,,, তাই ডক্টর রিদকে একপলক দেখে ভয়ে কাচুমাচু করতে করতে আরাফ খানকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,

.
—” পেসেন্ট অবস্থা খুব খারাপ,,,, মাথা আঘাত পেয়েছে প্রচন্ড আর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষননে কারণে জ্ঞান হারায় অনেক আগেই,,, তাই পেসেন্টের বাঁচার চান্স মাত্র ৫% আছে তাও ভালো করে বলতে পারছি না,,, আল্লাহ ডাকোন সবাই,,,,, পেসেন্টকে বাঁচানো আম………

.
বাকি কথা গুলো বলার ক্ষমতা আর হলো না ডক্টরের,,, তার আগেই ঝরে গতিতে রিদ আসিফ এর কমড় থেকে বন্ধুকটা নিয়ে ডক্টরের কলার ধরে প্রচন্ড জোরে দেয়ালে সাথে চেপে ধরে,,,, মুখে ভিতরে রিদের হাতে থাকা বন্ধুকটা চেপে ঢুকিয়ে ধরে,,,,, ডক্টরকে হঠাৎ করে দেয়ালে চেপে ধরায় সাথে সাথে দেয়ালে নিজের মাথা বারি খায় ডক্টর,,,, রিদের হঠাৎ এমন কাজে ভয়ে সিটিয়ে যায় ডক্টর,,, রিদকে কিছু বলার মতো সাদ্ধ নেই ডক্টর এর,,, তাই তিনি শুধু ভিতু চোখে তাকিয়ে থাকে রিদের দিকে ,,,,, তখনিই রিদের চোখে মুখে হিংস্রতা ফোটে উঠে,,, মুহূর্তেই অগ্নি মূর্তি রুপ ধারণ করে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে,,,,,

.

—-” হারামীবাচ্চা তুই আমার বউ এর বাঁচা মরার টিকেট দিবি,,,, তোর কাছে আমি বাঁচা মারার টিকেট নিতে এসেছি,,, আমার বাচ্চা বউকে সুস্থ করে তোল,,, আমার রিত(reeth) কষ্ট পাচ্ছে ভিষণ তাই তোর কাছে এনেছি,, নাকি টিকেট নিতে হারামী,,, বউ আমার রক্ত সহ্যয করতে পারে না,, তাই তো অজ্ঞান হয়ে গেছে,,, তাড়াতাড়ি ঠিক কর আমার বউকে,,, বউ ছাড়া আমার আর ভালো লাগছে না,,,, তুই তাড়াতাড়ি আমার বউকে ঠিক কর হারামীবাচ্চা,,,

.

রিদ টগবগে রক্ত লাল চোখে আরও খানিকটা ডক্টরকে নিজের কাছে এনে,,, দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,,

.
—” বউ নাই তো তুইও নাই,,,, আমার বউয়ের টিকেট আমাকে দিচ্ছস তাই না,,, এখন যদি তোকে আর তোর ফ্যামেলি সহ মরার টিকেট ধরিয়ে দেয় আমি তাহলে কেমন হবে,, তোর দুইটা মেয়ে আছে না শুধু, স্কুলে পড়ে,,, আমার বউ ঠিক না হলে সব কয়টা লাশ পড়বে একসাথে,,,, সাথে তোর এই বিশাল বড় হসপিটালটাও একদম শেষ করে দিব মানে,,, এই হসপিটালটা বেঙে গলিতে দিব একটা ইটও আস্ত থাকবে না যদি বউ আমার ঠিক না হয় তাহলে, সব কয়টা ডাক্তারকেও উপরে টিকেট ধরিয়ে দিব অনা হেষে আমি,,, এভার যা….

.
রিদ আকস্মিক ঘটনায় উপস্থিত সবাই ভরকে গেল,,,, রিদ হঠাৎ করেই ডক্টর মুখে ভিতর বন্ধুক টেকাবে কেউ বুঝতে পারেনি,,, যখনি বুঝতে পারে রিদ কি করছে তখন দ্রুততার সঙ্গে আরাফ খান রিদের কব্জি টেনে নিয়ে আসে নিজের সামনে,,, রিদ থেকে ডক্টর ছাড়া পেতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে,,, লম্বা লম্বা নিশ্বাস ফেলে নিজেকে ঠিক করে,,, পরে ভিতু চোখে রিদের দিকে তাকায় ডক্টর,,,,, তখনি আরাফ খান রিদকে সামনে দাড় করায় আর হাতে ইশারায় ডক্টরকে মায়ার কাছে যেতে বলে,,, পরে আরাফ খান কপাট রাগ দেখিয়ে বলে উঠে,,,,,

.

—” পাগল হয়ে গেছিস রিদ,,, কি করছিস কি তুই,,, শামীম( ডক্টর) এর কি দোষ,, ওহ যা সত্য তাই বলেছে,,,

.
আরাফ খানের কথা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না রিদ,,, হঠাৎ করেই যেন শরীরের রক্ত সব টগবগে উঠে,,,, মায়াকে হারানো কথাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না রিদ,,, তাই সারা শরীর জেন রাগে রি রি করছে মূহুর্তের,,,,,, তাই প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পাশে থাকা বড় ফুলের টপটা সজোরে আচার মারে ফ্লোরে,,, পরে একের পর এক ভাঙচুর করতেই থাকে হসপিটালের মধ্যে রিদ,,, এটা সেটা যা পাচ্ছে ভাঙচুর করছে আর চিৎকার করে বলছে,,,,

.
—” আমার রিতকে (reeth) চাই,,,,

পুরো আদা ঘন্টা সময় ধরে হসপিটালের ভাঙচুর করছে রিদ,,, যেই থামাতে যাচ্ছে তাকেই হিতাহিত জ্ঞান হারায়ে আঘাত করছে,,, কেউ থামাতে পারছে না রিদকে ভয়ে,,,, রিদ মায়ার জন্য এতটা পাগলামো করবে কেউ বুঝতে পারেনি,,, সবাই স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কারও মুখে কোনো কথা নেই,,,, সবটা শুধু দাঁড়য়ে দেখছে,,,,

.
রিদ হসপিটালের সবকিছু ভাঙচুর করতে করতে অনেকটা কান্ত হয়ে পরেছে,,, তারপরও ভাঙচুর করেই চলছে থামছে না,,,, রিদ অনেকটাই হাফিয়ে উঠেছে,,,, রিদকে হাফাতে দেখে আসিফ এগিয়ে এসে ধরতে নিলে আসিফকে আঘাত করে বসে রিদ,,, আসিফ কে আঘাত করতে দেখে আরাফ খান নিজে রাগ দমে রাখতে না পেরে রিদকে টেনে সামনে দাড় করিয়ে ঠাসসস করে চড় বসি দেয় রিদের গালে আর রাগি চোখ তাকিয়ে থাকে রিদ এর দিকে,,,,

,
রিদ জীবনের প্রথম নিজের দাদাভাই এর কাছ থেকে চড় খেয়ে মূহুর্তের শান্ত হয়ে যায়,,, সাথে সাথে বাকি সবাইও আবাক হওয়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,, রিদ কিছুক্ষন তার দাদা ভাই এর দিয়ে তাকিয়ে হঠাৎ করে আরাফ খান এর সামনে হাটু ঘেরে বসে পড়ে,,,, কান্না করতে করতে বলে উঠে,,,,

.
—” আমার রিত কে চাই দাদাভাই,,,, i want her at any cost,,,, আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে দাদাভাই ওকে ছাড়া,,,,, আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না,,,, আমার অনেক না বলা কথা আছে যা ওকে বলতে চাই, বুঝাতে চাই, আমি ওর বিষয়ে আজকে সন্ধ্যায় যতটা শিওর হয়েছি এখন আরও বেশি শিওর হলাম,,, যে আসলে আমার কি চাই রিত থেকে,,, তাই আমার ওকে অনেক প্রয়োজন, নয়তো আমি আর বাঁচতে পারবো না মরে যাবো একদম,,, তাই আমাকে আমার রিত এনে দাও না দাদাভাই,,,, i need her,,,,,, আজ আমি বড্ড অসহায় আমার রিত আমার সাথে অনেক রাগ করছে,,,, তুমি ওকে বোঝায় আমার সাথে রাগ করে না থাকতে,,, আমি আর পারছি না,,,, আমার বুকে অসহ্য ব্যাথা করছে,,,, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি,,,,

.
রিদের কথা গুলো শুনে মুহূর্তে সবার চোখে পানি চলে আসে,,,, যেই ছেলে সবাইকে কান্নি চলে,,, জীবনে কখনো এক ফোটা চোখে জলে পরেছে কিনা সন্দেহ আছে,,, আর আজ সেই ছেলে মায়ার জন্য এতটা পাললামি করছে এতটা কান্না করছে দেখে, হু হু হু করে কান্না করে উঠে,, রিদের ফুপি, নিহা,ফিহা,,, পরে নিজের দুহাতে মুখ চেপে ধরে কান্না করতে লাগলো,,, তারা কেউ মায়ার অবস্থা মেনে নিতে পারছে না,,, তারপরও আবার রিদের পাগলামো,,,, হেনা খাঁন অজ্ঞান অবস্থা অন্য কেবিনে শুয়ে আছে,,,, অতিরিক্ত উত্তেজনায় জন্য অজ্ঞান হয়ে গেছে তাই ঘুমের ইনজেকশন দিয়া হয়েছে তিন ঘন্টার আগে উঠবে না,,,,
মায়াকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কেউ আর আয়নকে মায়ার আক্সিডেন্ট এর কথা জানে পারেনি, তাই কিছুক্ষন আগে ফোন করে আয়নকে মায়ার কথা বলেই সাথে সাথে ফোন কেটে দেয় ফিহা,,,

.
আরাফ খান ঠোঁট কামড়িয়ে নিজের কান্না আটকিয়ে রিদকে বসা থেকে টেনে দাড় করায়,,,, পরে সাথে সাথে রিদকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়,,,

.

(মায়াবাসির ভালোবাসা সত্যি আমি মন্ত,,, কিছু বলার মতো ভাষা নেই,,,, রিদকে নিজের ভালোবাসা বুঝনো জন্য এমনটা হওয়া জরুরি ছিল,,,, এখন রিদের না বলা সব কথা মায়ার সামনে আসবে,,,,)

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here