#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৪৯
🍂
উনার ছুঁয়াই আমাকে কাঁপতে দেখে সাথে সাথে উনি উনার দু’হাতে আমার দুগাল আঁকড়ে ধরে মূহুর্তেই টেনে নিজের ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট চেপে ধরে,,,,,, আমি হিতাহিত জ্ঞান হারায়ে নিজের দুপা উঁচু করে দু’হাতে উনার শার্টের কলার চেপে ধরি শক্ত করে,,, সাথে আবেশেই নিজের দুচোখ বন্ধ হয়ে আসে,,,
.
রিদ মায়াতে মন্ত হয়ে আছে, আজ বড্ড উন্মাদ হয়ে ওঠেছে রিদ, নিজের বিয়ের বিগত দশ মাস পর আজ রিদ মায়াকে কাছে টেনে নিতে চাইছে,, সে তার রিতের মন্ত হয়ে থাকতে চাই, তার রিতকে কিছু বুঝাতে চাই,, তাই মায়াকে গভীর ভাবে ছুয়ে দেওয়া,, আর সেই ছুঁয়াই মায়াকে কাঁপতে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি রিদ, তাই মায়া কিছু বুঝে উঠার আগেই হুট করেই রিদ নিজের ঠোঁট সাথে মায়ার ঠোঁট চেপে ধরে,,,
দীর্ঘ চুমুতে মেতে উঠে,,,
.
পাঁচ মিনিট পর রিদ মায়াকে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিয়ে মায়ার কপালে নিজের কপাল ঠেকায়, দুজনেই নিশ্বাস উঠা নামা করছে দ্রত গতিতে, রিদ দুই সেকেন্ড মায়াকে দেখে আবারও মায়ার ঠোঁটের শব্দ করে চুমু খায়,, তখনো মায়া চোখ বন্ধ করে দুহাতে রিদের শার্টের কলার চেপে ধরে ছিল পা উঁচু করে,,, রিদ মায়াকে শব্দ করে চুমু খেয়ে সাথে সাথে এক হাতে মায়ার কমড় শক্ত করে চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে উঁচু করে দেয়ালে চেপে ধরে, মায়ার ঠোঁটের আবারও শব্দ করে ছোট ছোট চুমু খেতে থাকে পরপর কোনো থামা থামি নাই,,, আজ তার পিচ্চি বউকে ভালোবেসেই দম নিবে তার আগে নয়,,,
.
রিদের এমন রোমান্টিক আচরণে সাথে মায়া পূর্ব পরিচিত নয়,,, তাই কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না করে উঠে,,,, মায়ার কান্নার আওয়াজ রিদের কানে যেতেই চোখ তুলে তাকায় ওর দিকে,,, মায়ার এমন কান্না মানে বুঝতে পারছে না রিদ,,, তাই কিছুটা কনফিউজড হয়ে কৌতূহল চোখে তাকাতেই মায়া নাক টেনে টেনে কান্না সুরে বলে উঠে,,,,
.
—” আপনি আমাকে শ্বাসরুদ্ধকর ভাবে মারতে চান,,, আমি যাতে নিশ্বাস নিতে না পারি তাই এমন করছেন আমার সাথে,,,
.
রিদ মায়ার কথার মানে বুঝতে পেরে মজার ছলে ঠোঁট কামড়ে হেসে আস্তে করে বলে উঠে,,,
.
—” হুমমম,, তোমাকে রোজ শ্বাসরুদ্ধকর ভাবে মারবো আমি এবার থেকে,,, অনেক ছাড় পেয়েছো তুমি সেটা আর পাবে না আমার থেকে,,, তোমাকে বড় হতে হবে আমার জন্য, আমি নিজের তোমাকে সবটা শিখাবো,,, সেটার জন্য তোমাকে রোজ এমন সব শ্বাসরুদ্ধকর রোগে ভুগাবো আমি,,,
.
—” আমি দাদীকে বলবো আপনি আমাকে নিশ্বাস নিতে দেন না, আমার ঠোঁট চেপে ধরে রেখেছেন,,,,
.
—” তাই..! বলতে পারো,,, লজ্জা নামক সিস্টেমটা আমার মধ্যে নাই, তাই আমি সবার সামনেই সেইম কাজটি করতে পারবো বরাবরই,,, আর সাথে এটাও বলবো যে তুমি আমার কলার চেপে ধরে কাছে টেনে নিচ্ছিলে বারবার,,, (সোজাসাপ্টা উত্তর)
.
রিদের কথায় মায়া রিদের কলার সাথে সাথে ছেড়ে দিলেও সে রিদের বাহুটর থেকে ছাড়া পায় না, বরং আরও গভীর ভাবে আটকে পড়ে,,, রিদ মায়াকে কলার ছাড়তে দেখে আরো শক্ত ভাবে জড়িয়ে নেই নিজের সাথে মায়া যাতে ছুটতে না পারে তাই ওকে দু’হাতে আঁকলিয়ে উঁচু করে রাখে ফ্লোরা থেকে দেয়াল চেপে ধরে,,, এতে করে মায়া আবারও রিদের কলার চেপে ধরে ভয়ে,,, পরে ভয় ভয় নজরে রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে,,,,
.
—” আমি ইচ্ছা করে আপনার কলার চেপে ধরিনি তো,, আপনি তখন ঐ ভাবে ছুঁয়াই আমার কেমন কেমন জানি লাগে, আমার শরীর কেমন রোগী টাইপের কেঁপে কেঁপে ওঠে,,, আমি সয্য করতে পারি না এটা,,, আমার এমন কেন হয়,,, (অসহায় ভাবে)
.
রিদ মায়ার কথা গুলো শুনে শান্ত দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে মায়ার কপালে কপাল ঠেকায়, পরে আস্তে করে বলে উঠে,,,
.
—” তুমি কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছো তাই,,, এভার থেকে তোমার এমনটাই হবে তুমি আমার নতুন রোগে আক্রান্ত হবে দিন বা দিন,,,
.
মায়া রিদের কথার মানে বুঝতে না পেরে ভয়ে কাচুমাচু করে আস্তে করে বলে উঠে,,,
.
—” দাদীর যাব আমি,,,
.
—” উহুম,,, স্বামী থাকবা তুমি,,, আমার মন ভরেনি তাই কোথাও যাওয়া হবে না তোমার,,, চুপচাপ থাকো আমাকে আমার কাজ করতে দাও,,,
.
বলেই রিদ আবারও মায়াতে মন্ত হয়ে ওঠে,,, মায়ার গলায় নিজের মুখ গজাইতে হাত হালকা হয়ে আসে রিদের আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাই মায়া,,, নিজেকে কঠিন রোগী ভেবে ঠাস করে নিচে বসে যায় মায়া রিদের বাহুটরে ফাঁক দিয়ে,,, মায়ার এমন হঠাৎ কাজে মূহুর্তেই রিদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়, কি হয়েছে বুঝতে নিচের দিকে তাকাতে তাকাতেই মায়া চোখে ইশারায় দৌড় লাগায় দরজার দিকে,,,
.
রিদ মায়াকে নিজের থেকে পালাতে দেখে সেও দৌড় দেয় মায়ার পিছন পিছন, কিন্তুু রিদ মায়াকে হাত বাড়িয়ে ধরতে যাওয়ার আগেই মায়া দরজা খুলে কোনো দিক না তাকিয়ে নুপুরে ঝনঝন শব্দ করে ভৌঁ দৌড় দেয় ছাদে স্টেজে সবার উদ্দেশ্য,,, আর মনে-মনে আওড়াতে তাকে আর যাই হোক এখান থেকে রিদের এমন কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারবে না,,, তাই মনে মনে আবারও সিন্ধান্ত নেয় যে রিদের সামনেও আসবে আর,,,
.
রিদ মায়ার পিছন পিছন দৌড়িয়েও মায়াকে ধরতে না-পেরে মাঝ রাস্তা দাঁড়িয়ে পরে কমড়ে দু’হাতে রেখে,, পরে মায়ার ভৌ দৌড় দেখে হেসে ওঠে মায়ার পিছন থেকে চিল্লিয়ে বলে উঠে,,,,
.
—” রিত পালিয়ে লাভ নেই,,,, তুমি আর বাঁচতে পারবে না আমার থেকে, যেখানেই যাবে ঘুরে ফিরে আমাকেই পাবে তুমি,,,
.
রিত নামটি কানে আসতেই মায়া থামে, অজানা এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে মায়ার মনে,,, বুক ধুকপুক করে ওঠে এই রিত নামটি শুনলে,,, মূহুর্তে কেঁপে ওঠে সারা শরীর,,, মায়া ধীর গতিতে পিছন ফিরে তাকায় রিদের দিকে করুন ভাবে,,,
.
রিদ মায়াকে নিজের দিকে ঘুরতে দেখে,, ঠোঁট কামড়িয়ে হেসে আবারও দৌড় লাগায় মায়াকে ধরতে,, মায়া রিদকে নিজের দিকে দৌড়াতে দেখে চমকে উঠে আবারও দ্রততার সঙ্গে দৌড় দেয় ছাদে উদ্দেশ্য,,,,,
.
.
.
দাদীর আঁচল ধরে দাঁড়িয়ে আছে মায়া,,, দৃষ্টি তার নিহার হলুদ স্টেজ থাকলেও মনে ছুটে চলছে চারপাশে,,, তাই বারবার স্টেজ থেকে চোখ সরিয়ে ভয় ভয় নজরে চুপিচুপি চারপাশে চোখ বলাচ্ছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তিটি কোথায় আছে তা জানতে,,, চারপাশে রিদকে কোথাও দেখতে না পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মায়া,,, রিদ থেকে বাঁচার জন্য মূলত মায়া তার দাদীর আঁচল ধরে দাঁড়িয়ে আছে,, তখন রিদ থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে দাদীর আঁচল ধরে দাঁড়িয়েছে মায়া,,, দাদীর আঁচলটা তার একমাত্র নিরাপদ স্থান বলে মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে,,,,
.
রিদ মায়ের সাথে মিল রেখে নিজেকে হলুদ রঙের রাঙ্গিয়েছে,,, হলুদ পাঞ্জাবিতে সাদা ধুতি সেলোয়ার পড়েছে,, নিজের একহাত দিয়ে অন্য হাতের হাতা ফোল্ড করতে করতে সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসছে রিদ কিলার স্টাইল দিয়ে,,,, পরে ছাদে উঠে নিজের হাত থেকে দৃষ্টি সরিয়ে চারপাশে চোখ বুলাই,,, চারপাশে সবাইকে নিজের দিকে আবাক হয়ে হা করে তাকাতে দেখে কপাল কুচকে এলো রিদের,,, নিজের একবার দেখে নিয়ে আবারও তাকায় সামনে,,
.
আজ প্রথম পাঞ্জাবী পরেছে সে তাও তার বউয়ের জন্য নয়তো পাঞ্জাবীর বিষয়টি কোনো কালেই পছন্দ নয় তার,,, সবাইকে নিজের দিকে এভাবে তাকাতে দেখে বিরক্তি নিয়ে চারপাশে চোখ বুলাই আবারও,,, যার জন্য এতো কষ্ট করে পাঞ্জাবি পরলো সে,, তাঁকে তো দেখাতে হবে তার এই নতুন রুপটা,,, যার জন্য সে এতো কষ্ট করলো তাকে দেখতে না পেয়ে আরও বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে রিদের ফেস এ,,
চলবে,……………