দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৫৪ 🍂

0
820

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৫৪
🍂
মায়ার এমন কথায় রিদ নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে সাথে সাথে মায়াকে উল্টো শুইয়ে মায়ার ওপর উঠে বিছানার সাথে চেপে ধরে গলায় মুখ গজায়,,, রিদের এমন কাজে মায়ার মূহুর্তেই ভরকে যায় আর রিদ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য চটপট করতেই রিদ শক্ত করে চেপে ধরেই বলে উঠে,,,,,

.
—-” শিশশশশশশ,,,

.
রিদ মায়াকে বিছানার সাথে চেপে ধরে নিজের মতো করে মায়ার গলায় ছোট ছোট চুমু খেতে থাকে, এতে করে মায়া সারা শরীর কেঁপে কেঁপে মূহুর্তেই, নিজের দুই হাত রিদের হাতে বন্ধি থাকায় নড়াচড়া করতে পারছে না, তাই রিদ নামক ভয়ানক রোগের আক্রান্ত হচ্ছে ক্রমাগতই, রিদ মায়াতে মন্ত হয়ে ধীরে ধীরে গলা ছেড়ে নিচের দিকে যেতেই মায়া আবারও ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না জোড়ে বসে, রিদ মায়ার কান্না অপেক্ষা করে মায়ার বুকে মুখ গজায়, রিদের এমন কাজে মায়া কান্না করতে করতে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠে,,,

.

—” আপনি খারাপ লোক, আমাকে ছেড়ে দিন আমি আর সয্য করতে পারছি না,

.
মায়ার এমন কথায় মুখ তুলে তাকায় রিদ, খানিকটা এগিয়ে এসে মায়ার মুখ বরাবর হয়, পরে মায়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে সোজাসাপ্টা ভাবেই বলে উঠে,,,

.
—” খারাপ হলে হলাম , বউ আদর করছি আমি ডিস্টার্ব করবা নাতো এখন,,,

.
রিদের এমন কথায় মায়া কান্না অফ করে গোল গোল চোখে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে,,,,,

.
—” আপনি মিথ্যা বলছেন কেন, আপনি আমাকে আদর না করে চেপে ধরে কষ্ট দিচ্ছেন, আপনি জানেন আপনি যখন আমার সাথে এমন করেন আমি সেটা সয্য করতে পারি না, কিন্তুু অন্য কেউ আমাকে ছুয়ে দিলেও আমার আপনার মতো ফিল হয়না কেন, আমার কেমন জানি লাগে, নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা আপনার ছুঁয়ায় আমি,,,,

.
রিদ মায়ার কথা গুলো শুনে মায়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আস্তে করে মায়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠে,,,

.
—” এটাকে প্রেম আসক্তি বলে বউ, আমার ছুঁয়ায় তুমি স্পেশাল ফিল করো কারণ তুমি আমিতে আসক্ত তাই,

.
কথা গুলো বলেই রিদ মুখ তুলে তাকায় মায়া দিকে পরে নিজের একহাত মায়ার গালে রেখে গালের স্লাইড করতে করতে আবারও বলে উঠে,,,

.

—” রিত তোমার চারপাশে পরিবেশটা তোমাকে বড় হতে দিচ্ছে না বরং তারা তোমাকে আরও দিন বা দিন ছোট করেন তুলছে, তোমার আমার ফ্যামেলি মিলে তোমাকে এতোটা আঁকলে রেখেছে যে তোমাকে বড় হওয়ার সুযোগটাই দেয়নি কখনো, তোমাকে বাহিরের জগৎ এর সাথে পরিচয় হতে দেয়নি,, এতদিন তোমার ছোট হওয়াতে আমার কোনো প্রবলেম ছিল না, কিন্তুু এবার আমার ঘূর্র সমস্যা কারণ তুমি বড় না হলে আমাকে একা থাকতে হবে সারাজীবন, বউ থাকতে একা থাকবো আমি জাস্ট ইম্পসিবল, তাই তোমাকে বড় করবো আমি, তোমাকে সেই সব শেখাবো যা তুমি বুঝে উঠতে পারছো না, আর এর জন্য আমি তোমার চারপাশে পরিবেশটা পরিবর্তন করে দিব। আমার বউ চাই, তার ভালোবাসা চাই, সব চাই আমার,

.

কথা গুলো বলেই খানিকটা থেমে রিদ মায়ার কপালে কপাল ঠেকিয়ে আবারও বলে উঠে,,,,

.
—” আমাকে এতোটা না পুড়াইলে পারতে রিত, তোমার দহনের আগুনে পুড়ে পুড়ে মরছি রিত, আমাকে বাঁচাও রিত, তুমি হিনা কেউ এই জালা মিটাতে পারবে না। তোমাকে আমার বড্ড প্রয়োজন রিত, আমি কাতর হয়ে বসে আছি কবে ধরা দিবে আমার কাছে তুমি,,,

.

মায়া রিদের কাতর কন্ঠে কথা শুনে নিজের দুহাত দিয়ে রিদের দু গাল আঁকড়ে ধরে নিজের মুখোমুখি করে আস্তে করে বলে উঠে,,,,

.
—” আপনি এমন সব কথা বলছেন কেন, কি হয়েছে আপনার, আমি আছি তো আপনার পাশে,

.
রিদ মায়ার আদুরী মাখা কথা শুনে মায়ার কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে, মায়ার ওপর থেকে সরে মায়াকে নিজের ওপর শুইয়ে দিয়ে পাশ থেকে চাদরে এনে দুজনের গায়ে জড়ায়, পরে চাদরে ভিতর দিয়ে একহাত মায়া উম্মত কমড়ে রেখে অন্য হাত মায়ার মাথায় বলিয়ে দিতে লাগে, মায়া ছোট বাচ্চাদের মতো উপুড় হয়ে রিদের গায়ের ওপর উঠে শুয়ে আছে, রিদ মায়ার মাথায় আদুরে একহাত বলিয়ে দিতে দিতে কাতর কন্ঠে বলে উঠে,,,

.
—” আমার যে কি হয়েছে তোমাকে বললেও এই মূহুর্তে বুঝতে পারবে না তুমি, তবে তোমাকে ছাড় ও দিব না আমি, আমার ফিলিংস গুলো তোমার ওপরই ডালবো, বউ তুমি আমার ছাড় পাবা না কখনোই বরং গভীর ভাবে আরও জরিয়ে নিব তোমায়, গত পনেরো ঘন্টায় যদি তোমাকে নিশ্বাস নিতে সময়টা পযন্ত না দেয় আমি আমার রোমান্টিক অত্যাচার কারণে,,, যদি পনেরো ঘন্টায় তোমাকে এতোটা ঝালাতে পারি তো বাকি দিন গুলো তোমার কেমন যাবে ভাবতে পারো তুমি,, আমি তো ঠিক করে বসে আছি বউয়ের আদর এবার চাই আমার কোনো ছাড় নেই, দরকার হলে বউ নিয়ে দেশান্ত হয়ে যাব তবুও বউয়ের আদুর খাব, কি বলো রিত,,,,

.

রিদের এমন লাগামহীন কথায় মায়া রিদের বুকে মধ্যে নিজের মুখ চেপে ধরে মূহুর্তে, রিদের কথায় মায়া ভিতর অস্থিরতাটা যেন কয়েক গুণ বেরে যায়, কি করবে কিছু ভেবে না পেরে নিজের দুহাত দিয়ে শুয়া অবস্থায় রিদের শার্টটের কলার চেপে ধরে রিদের বুকে নিজের নাক ঠোঁট চেপে ধরে রাখে শক্ত করে, রিদ মায়ার এমন ভাবে লজ্জা পেতে দেখে ঠোঁট কামড়িয়ে হেঁসে মায়াকে আরও গভীর ভাবে জরিয়ে ধরে বলে উঠে,,,

.
—” বউ কি আজ আমার মধ্যে ঢুকে যাওয়ার প্লেয়িং চলছে নাকি হুমমম, বিষয়টা কিন্তুু খারাপ না আমার ভালোই লাগছে,

.
রিদের এমন লাগামহীন কথা মায়ার লজ্জা পাওয়া ধাপটা যেন আরও একধাপ বেড়ে যায়, আর সেই লজ্জা রেশ ধরে মায়া রিদের বুক থেকে মুখ তুলে সাথে সাথে রিদের গলায় মুখ গজিয়ে কামড়িয়ে ধরে,

.
মায়ার এমন হঠাৎ আক্রমণে রিদ চমকে উঠে, পরে মায়াকে নিজের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে সাথে সাথে উল্টো ঘুরিয়ে বিছানা সাথে আবারও চেপে ধরে, রিদও মায়ার গলায় মুখ গজিয়ে কামড় বসায়,

.
রিদের এমন কাজে মূহুর্তেই মায়া ভরকে যায়, গোল গোল চোখে রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে ঠোঁট উলটিয়ে কাদু কাদু স্বরে বলে উঠে,,,,,

.
—” আপনি আমায় কামড় খেলেন কেন,

.
—” তুমি খেলে তাই, আর আমি একা কেন কামড়ে চিহ্ন সাথে নিয়ে ঘুরবো, তোমাকেও সাথে সামিল থাকতে হবে, সবাইকে বুঝতে হবে তোমার স্বামী কতটা রোমান্টিক,,,

রিদের এমন কথায় মায়া তেজ দেখিয়ে বলে উঠে,,,

.
—” আপনি সবসময় আমার সাথে এমন করেন শুধু কামড় খান আমায়,,

.
মায়ার এমন কথায় রিদ ভ্রু কুঁচকে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে,,,,

.
—” তুমি এটা সত্যিবাধি কিভাবে সেটাই আমি বুঝতে পারি না মাঝে মাঝে, সবসময় কি কামড়টা আমি খেতাম নাকি তুমি আমাকে খেতে, তোমার এই কামড় খাওয়ার রেশ ধরেই আজ আমি এটা পাগল হয়ে আছি তোমার জন্য, তোমার দেওয়া প্রথম কামড়টা আমাকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে ছিল অনেকটাই,,,

.

রিদের কথায় মায়া খানিকটা উচ্চ স্বরে বলে উঠে,,,,

.
—” বেশ করেছি কামড় খেয়েছি, আরও খাব ইচ্ছে করলে আমার,,,,

.
কথা গুলো বলেই মায়া নিজের ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে নিজের মুখ পাশ ফিরিয়ে নেয় রিদ থেকে, রিদ মায়ার এমন জেদি টাইপের কথা শুনে মায়াকে নিজের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে দেখে রিদ সাথে সাথে নিজের হাত দিয়ে মায়ার মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে মায়ার গাল একহাতে শক্ত করে চেপে ধরে, রিদ মায়া গাল দুপাশ থেকে চেপে ধরে মায়া ঠোঁট দুটো উঁচু করে সাথে সাথে নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে গভীর ভাবে,,,

.
রিদের এমন কাজে মায়া নিজের দুহাত দিয়ে রিদকে বাঁধা দেয়ার আগেই রিদ মায়া দুহাত নিজের একহাত নিয়ে বিছানার সাথে চেপে ধরে, আর অন্য হাতে মায়ার মাথা…….

চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here