#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৬৩
🍂
বাগানের সবকিছু হেঁটে হেঁটে হাত দিয়ে ছুয়ে ছুয়ে দেখছি আমি, অনেক দিন পর বাগার সবকিছু আবারও ভালো করে পযবেক্ষন করছি,, অনেকটা ভালো লাগা কাজ করছে নিজের মধ্যে,, অনেকটা নিজেকে শান্ত করার জন্য এখানে আসা, তাই নিজের খারাপ লাগা ভাবটা পিছনে ফেলে নিজের ভালো লাগাটা কাজ করাচ্ছি আমি, আর সেই ভালো লাগার সাথে কিছুটা এগিয়ে যেতে আমার চোখে পড়ল একটা অদ্ভুত জিনিস, আমি সেটা দেখে এগিয়ে গিয়ে দ্রুততার সঙ্গে নিজের হাতে নিয়ে দম ধরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ভ্যাঁ ভ্যাঁ শব্দ করে কান্না করে বসি হাত পা চরিয়ে ছিটিয়ে,,, কান্না করতে করতে শুধু একটাই কথা বলছি…..
.
—” আমার এতো সর্বনাশ কে করলো গু…. (নাক টেনে টেনে)
.
বাগানের একপাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল আরিফ ভাইয়া আমার এমন কান্না করা শব্দ শুনে সাথে সাথে আমার কাছে দৌড়ে এসে হাঁটু গেড়ে বসে অস্থির সুর বলে উঠে,,,,
.
—” কি হয়েছে রিতু, পাখি কান্না করছিস কেন তুই…..
.
আরিফ ভাইয়ার আদুরে মাখা কথা শুনে মূহুর্তে যেন কষ্টটা আরও একধাপ বেড়ে যায়, তাই আগের চেয়েও আরও বেশি শব্দ করে কান্না করে বসি, আমাকে কান্না করতে দেখে আরিফ ভাইয়া দু’হাতে আমার গাল আঁকড়ে ধরতেই পাশ থেকে দৌড়ে হাজির হয় আয়ন ভাইয়া, গায়ে তার জগিং সুট,, হয়তো বাহিরে জগিং করতে গিয়েছিল, আয়ন ভাইয়াও আমার সামনে হাটু গেড়ে বসে পরে অস্থিরতার সাথে বলে উঠে….
.
—” কি হয়েছে তোমার মায়ু, এই ভাবে কান্না করছো কেন, কোথাও ব্যাথা পেয়েছো তুমি,, আরিফ ওর কি হয়েছে,,,, (আরিফ ভাইকে উদ্দেশ্য করে)
.
—” আমি জানি নাহ ওর কান্না শুনেই তো এখানে আসলাম মাত্র,,,
.
আরিফ ভাইয়া এমন কথায় আয়ন ভাইয়া আমাকে আবারও ঝটপট তাড়া দিয়ে বলে উঠে…. .
.
—” মায়ুপাখি কি হয়েছে বলবে তো….
.
আয়ন ভাইয়ার এমন কথায় আমি আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না করতে করতে বলে উঠি…..
.
—” আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে গু আয়ন ভাইয়া, আমার সব শেষ হয়ে গেছে,,,
.
আমার এমন কথায় থমথমে খেয়ে যায় দুজনেই, কি এমন হয়েছে যে আমার সব শেষ হয়ে গেলো তাই আমার সাথে কি এমন হয়েছে বুঝার জন্য আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেই আমি নাক টেনে টেনে কান্না করতে করতে একহাত বাড়িয়ে সামনে দিকে ইশারা করে দেখিয়ে আবারও শব্দ করে কান্না করে উঠি,, ওরা দুজন আমার হাতের ইশারা অনুযায়ী সামনে তাকিয়ে কিছু দেখতে না পেয়ে আবারও আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় আর সাথে সাথে আরিফ ভাইয়া বলে উঠে….
.
—” কই কিছু তো দেখতে পারছি না কি হয়েছে,,,,
.
আরিফ ভাইয়া এমন কথায় আমি আবারও হাতের ইশার জিনিস টিকে দেখিয়ে বলে উঠি….
.
—” আমার ছোট বাবু ফিশটা কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে আয়ন ভাইয়া,, তুমি জানো ফিশটা অনেক চালাক ছিল,, কি সুন্দর করে পানির মধ্যে দৌড়াতো…
আর এখন এ্যাঁ…..
.
আমার এমন মরার কান্না দেখে থমথমে খেয়ে যায় দুজনেই,, পরে করুণ চোখে একবার ফিশটার দিকে তাকিয়ে থেকে আমার দিকে তাকায় দুজন,, আমার এমন কান্না দেখে আয়ন ভাইয়া চুপ করে গেলেও আরিফ ভাইয়া সাথে সাথে বলে উঠে….
.
—” সিরিয়াসলি রিতু তুই একটা দুই ইঞ্চি ছোট মাছের জন্য এমন ভাবে কান্না করছিস,,, আর তুই এটা কোথায় পেয়েছিস…
.
—” ভাইয়া তুমি ওকে মাছ কেন বলছো, সম্মান দিয়ে বলে ওকে, ছোট বাবুটা এমনিতে মারা গেছে দেখতে পারছো না তুমি,,, ওকে আমি বাগানে সুইমিং পুলের ছেড়ে ছিলাম থাকার জন্য, কিন্তু কে জানি এটাকে মেরে দিয়েছে,, (নাক টেনে টেনে কান্না করতে করতে)
.
আমার এমন কথা আয়ন ভাইয়া শান্তনা সুরে বলে উঠে……
.
—” আচ্ছা ঠিক আছে আরিফ আর মাছ বলবে না তোমার ছোট বাবুটাকে ওকে,, কিন্তুু তুমি এখন আর কান্না করো না কেমন আমি তোমাকে কাল আরও অনেক গুলা চালাক ফিশ এনে দিব, এখন এই মাছটাকে মানে এই ছোট বাবুটাকে ফেলে দিতে কাউকে বলে দিচ্ছি ঠিক আছে,,,
.
আয়ন ভাইয়ার কথায় ঝটপট করে বলে উঠি….
.
—” ফেলে দিবে মানে এটাকে করব দিতে হবে সুন্দর করে,,
.
অতঃপর যথা রীতি নিয়মে আমার ফিশটাকে করব দিয়ে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি, আয়ন ভাইয়া,আর আরিফ ভাইয়া,, আমি ফিশ টাকে ফুল দিয়ে আয়ন ভাইয়াকে কান্না করতে করতে ইশারা করলাম উনার হাতের ফুল গুলো দিতে সাথে ফিশটার জন্য দুই লাইন বলতেও,,, আয়ন ভাইয়া হাতে থাকা ফুল গুলো কবরের ওপর রাখতে রাখতে বলে উঠে….
.
—” এই ফিশটা ফিশ ছিল না এটা একটা ছোট বাবু ছিল, সাথে অনেক চালাক ও ছিল মাছটি, আমরা মাছটিকে অনেক সরণ করবো…
.
আয়ন ভাইয়া মাছ বলাতে আমি চোখ করুণ চোখে তাকায় উনার দিকে উনি আমার এমন করে তাকাতে দেখে বুঝতে পারে উনি কি ভুল করেছে তাই আস্তে করে একহাতে নিজের কান ধরে সরি বলে উঠে,,, আর আরিফ ভাই পাশে দাঁড়িয়ে নিজের মতো করে ফোন টিপছে, ভাইয়া এদিকে কোনো খেয়ালই নেই,, আমি আরিফ ভাইয়া দিকে তাকাতেই আয়ন ভাইয়া ও আমার সাথে সাথে আরিফ ভাইয়া দিকে তাকায়, ভাইয়াকে বেখেয়ালি দেখে আয়ন ভাইয়া আমার দিকে আবারও তাকিয়ে থেকে জোর পূর্বক একটা হাসি দিয়ে নিজের হাতের কব্জি দিয়ে গুঁতা দেয় আরিফ ভাইয়ে পেটে,
.
গুঁতা খেয়ে চমকে উঠে পাশে তাকাতেই আয়ন ভাইয়া ইশারা করে বলে কি করতে হবে,, ভাইয়া সাথে সাথে হাতে থাকা ফুল গুলোর দিয়ার জন্য তাকাতেই মুখটা চুপসে যায় মূহুর্তে কারণ আরিফ ভাইয়া নিজের হাতে রাখা ফুল গুলোকে ইচ্ছে মতো কচলিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে তাই, পরে আরিফ ভাইয়া এক পলক আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে করে ফুল গুলো কবর টার ওপর রাখে পরে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের মতো করে ফিশ টার জন্য দুই লাইন বলার জন্য বলে উঠে,,,, ,
.
—” মাছটা অনেকটাই ছোট ছিল আরও একটু বড় হলে ভালো হতো অনেক মজার মজার ডিস রান্না করে খাওয়া যেত যাহ এখন খেতে পারছি না আমরা ছোট হওয়াতে,,, আর মাছ ফ্রাই করে খেলে অনেক টেস্ট হয়, মাছ দিয়ে আমরা অনেক কিছু বানাতে পারি, কিন্তুু এই মাছটি দিয়ে কিছুই রান্না করতে পারিনি আমরা এতে করে অনেকটাই দুঃখ প্রকাশ করছি আমি,,,
এতটুকু বলেই থেমে যায় আরিফ ভাই পরে কিছু একটা ভেবে আরিফ ভাই ভ্রু কুঁচকে আয়ন ভাইয়া দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে……
—” আয়ন আমরা এই মাছটা কেও তো ফ্রাই করে খেতে পারতাম, ছোট মাছও তো ফ্রাই করা যায় তাই না, আর……
.
বাকি কথা গুলো বলার আগেই আরিফ ভাইয়া দৃষ্টি আমার ওপর পরতেই মূহুর্তেই চুপ করে যায়,, পরে আরিফ ভাইয়া আমার দিকে অপরাধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আমতাআমতা করতে করতে বলে উঠে…..
—” ইয়ে মানে রিতু আমিতো ভালো ভালো কথাই বলছিলাম তোর ছোট বাবুটাকে নিয়ে তুই…….
আরিফ ভাইয়া বাকি কথা গুলো বলার আগেই আমি শব্দ করে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে আবারও কান্না করে উঠি পরে কান্না করতে করতে বলে উঠি….
.
—” ভাই তুমি আমার ছোট বাবু ফিস টাকে অপমান করে কথা গুলো বললে ওর সম্পর্কে ভালো ভালো কথা না বলে……
.
আয়ন ভাইয়া আরিফ ভাইয়ার পেটে আবারও গুঁতা মেরেই আমাকে শান্তনা দিবে তার আগেই আমি কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে নিজের মতো হনহন করে কান্না করতে করতে বাড়ির ভিতরের চলে আসি, শুনবো না আর ওদের কথা কিভাবে পারলো আমার ছোট ফিস টাকে অপমান করতে হুহহহ….
.
.
🍁
আজ নিহা আপুর বিয়ে, চারিদিকে ঝকমকে কড়াকড়ি লাইটিং মনো মুগ্ধকর ডেকোরেশন সাথে সবাই জন্য বিয়ে আনন্দ নিয়ে মেতে আছে,, আমিও তাদেরই একজন আনন্দ মেতে উঠেছি নিহা আপুর বিয়ে বলে কথা,,, ডিপ নীল রঙ্গে একটা লেহেঙ্গা পরেছি আমি সাথে হালকা ভাবে সেজেগুজে ও নিলাম, নিহা আপুকে ডিপ লাল লেহেঙ্গা সাজানো হয়েছে বউ বলে কথা,, দাদীর সাথে বিয়ে স্টেজে সামনে যেতেই পড়লো আয়ন ভাইয়া, আরিফ ভাইয়া, দাদাজান, ও ফুপাকে তারা উনি খুব ব্যস্ততা সাথে কাজ করে চলছে আপুর বিয়ে জন্য,, আমি সবাই এক পলক দেখে চারপাশে উঁকি ঝুঁকি মেরে উনাকে খুঁজার চেষ্টা করে চলছি,, আজও কোথাও উনাকে দেখতে না তাই হতাশ হলাম আমি,,,,,
.
খানিক বাদে ফয়সাল ভাইয়ারা এসে পরে, ফয়সাল ভাইয়ারা আসতেই নিহা আপুকে স্টেজে ভাইয়ার পাশে বসানো হয়, আমি বেশ মনোযোগ সহকারে তাদের পযবেক্ষন করছি,, তখনি মনে মধ্যে কেমন একটা টিপটিপ করে ওঠে মূহুর্তেই অস্থিরতা গ্রাস করে আমাকে, আমি সেই অস্থিরতা নিয়ে দ্রুত চারপাশে চোখ বুলিয়ে উনাকে খুঁজে চলছি কারণ আমার এই অস্থিরতাটা উনার জন্য আমার কেন জানি মনে হচ্ছে উনি আমার আশেপাশেই কোথাও আছে, কিন্তুু আমার চোখের আড়ালে যার জন্য আমি উনাকে দেখতে পারছি না,,,,
.
ধৈর্য সহকারে অনেকক্ষণ খুঁজা পরও উনাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে হতাশ চোখে আহত মনে নিজের চোখ ঘুরিয়ে নিতেই অবশেষে চোখে পড়ল অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তিটিকে মানে উনাকে (রিদ), নীল শুট পড়া অবস্থায় এক কোনায় হাতে ওয়াইন এর গ্লাস ধরে দাড়িয়ে আছে দৃষ্টি তার ফোনে ওপর আর তার সাথে দাঁড়িয়ে আছে দুজন মধ্যে বয়স্ক পুরুষ আর একজন অতি সুন্দরী তরুণী,, তিন জন্যই হয়তো বিজনেস কাইন্ড হবে তাই হয়তো উনার সাথে দাঁড়িয়ে আছে,, কিন্তু মেয়েটাকে কেন জানি আমি মেনে নিতে পারছি না উনার পাশে দাড়ানো দেখে ভিতরে ভিতরে কেমন একটা খারাপ লাগা কাজ করছে প্রচন্ড ভাবে,,,
.
নিহা আপুর বিয়েটা সম্পূর্ণ হল কিছুক্ষণ আগে, কিন্তু নিহা আপুর বিয়েতে বিন্দু মাত্র মনোযোগী হতে পারিনি আমি, কিছুক্ষণ পর পর শুধু উনার (রিদ) দিকেই তাকিয়েছি আমি,, কিন্তুু উনি ভুল করেও একটাবারে জন্য তাকায়নি আমার দিকে, আমার এমন তাকা তাকি পর্ব ভিতর দিয়েই নিহার আপুর বিদায় পর্বটা শুরু হয়ে যায়,, নিহা আপুর কান্না করতে করতে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এগিয়ে যায় গাড়ির দিকে, নিহা আপুকে বিদায় দেওয়ার জন পরিবার সবাই এগিয়ে যায় গেটের দিকে সবাইকে এগিয়ে যেতে দেখেও আমি আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি ভাব লেসহীন ভাবে,,, আমি জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে থাকতেই পাশ থেকে একটা হাত শক্ত করে চেপে ধরে নিজের সাথে করে নিয়ে যেতে লাগলো টেনে হিচরে,,,
.
হঠাৎ করে এমন ঘটনায় চমকে উঠি আমি, হাতে মালিকের দিকে তাকাতেই চোখে পড়ল ডলি আপুকে, উনি আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলো আশেপাশে পরিচিত কেউ নেই আপাতত সবাই নিহা আপুর সাথে নিচে গেছে বিদায় দিতে,, উনিও (রিদ) আশেপাশে কোথাও নেই আর ডলি আপু সেই সুযোগে আমাকে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলো আর ডলি আপু এমন করে চেপে ধরায় উত্তেজিত কন্ঠে আমি বলে উঠি……
.
—” আপু তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আর হাতটা ছাড় প্লিজ আমি ব্যাথা পাচ্ছি তো…..
.
আপু আমার কোনো কথা না শুনে আমার হাতটা টেনে বাড়ির পিছনে রাস্তা দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে রাস্তা নিয়ে আসে, সেখানে আগের থেকেই ডলি আপুর মা বাবা সাথে কয়েকটি ভাড়া করা গুন্ডা টাইপে লোকও দাঁড়িয়ে আছে হাতে হকিস্টিক নিয়ে,, আমি সবাইকে দেখে ভয়ে সাথে সাথে চমকে উঠি,, আর ডলি আপুকে প্রশ্ন করে বলে ওঠি….
.
—” আপু তুমি আমাকে এখানে কেন এনেছো,প্লিজ আমকে যেতে দাও ভয় লাগছে আমার তোমাকে আ…..
.
বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই ডলি আপুর আমার গালে পর পর দুটো খাপ্পাড় বসায়, থাপ্পড় গুলো এতটাই জোরে ছিল যে আমি তাল সামলাতে না পেরে উপুড় হয়ে রাস্তা পরি,, ডলি আপুর আমার সামনে হাটু গেড়ে বসে পরে আমাকে শব্দ করার সুযোগ না দিয়ে আমার গলা চেপে ধরে শক্ত হাতে, ডলি আপুর এমন রুপ দেখে কলিজা কেঁপে কেঁপে ওঠে বারবার, ডলি আপুর আমার সাথে কেন এমন করছে তা আমি জানি না, তাই কান্না করতে করতে নিজের দুহাত দিয়ে ডলি আপুর হাত থেকে গলা ছাড়ানো চেষ্টা করেই চলছি আমি আর তখনি ডলি আপুর প্রচন্ড রেগে বলে উঠে…..
.
—” তোকে মরার জন্য এখানে নিয়ে এসেছি আমি, আজকে তোকে মেরে নিজের স্বপ্ন পূর্রণ করবো আমি তাই ..
.
ডলি আপুর আবারও বসা অবস্থায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পাশ থেকে একটা গুন্ডা লোকের কাছ থেকে হকিস্টিক নিয়ে আমার মাথার মাঝে বরাবর বারি মারার জন্য উঁচু করতে পাশ থেকে কেউ চিৎকার করে কিছু একটা বলে উঠে ,, আমি রাস্তায় উপুড় হয়ে পরে থাকা অবস্থায় সামনে দিকে তাকাই চোখে পড়ল উনাকে( রিদ)। উনি পাগল পাগল হয়ে প্রাণপূর্ণ দৌড়িয়ে আসছে আমাদের দিকে সাথে চিৎকার করে ডলি আপুকে উদ্দেশ্য করে বলছে…..
.
—” No no no, ডলি noooooo, ডলিইইই, ডলি ওর মাথায় মারিস না প্লিজ……
চলবে……….