#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৭৫
.
🍂
গভীর রাত রিদ নিজের রুমে সুমিং পুলের সামনে কাউচের ওপর বসে আছে নীল পানির দিকে নিজের দৃষ্টি স্থির রেখে, আজ মনটা বেশ চটপট করছে বউটার জন্য তার, একটা সময় সে বিয়ে ভালোবাসা থেকে দূরে দূরে থাকতো কারণ এসবকিছুর ওপর তার কোনো কালেই ইন্টারেস্ট ছিল না, তার শুধু পাওয়ার আর পাওয়ার নিয়ে খেলা করতে ভালো লাগতো, সেই জন্যই নিজেকে কঠিন মনের অধিকারী বানিয়েছে রিদ, কিন্তু দাদা-দাদি জোরাজোরিতে ও তাদের দেওয়া ওয়াদা মায়ার পরিবারকে সেটা রক্ষাতে জন্য বাধ্য হয়ে মায়াকে বিয়ে করতে হয় রিদের,,
.
বিয়ে অবধি সবিই ঠিক ছিল কিন্তু বিক্ষপ্তি ঘটে বউকে ভালোবেসে, মায়ার জন্য কখন যে তার কঠিন মনে মধ্যে সুপ্ত ভালোবাসা সৃষ্টি হয় সেটাই বুঝতে পারিনি রিদ,, এখন বউকে ভালোবেসেও তার সাথে ভালো করে দুটো কথা বলতে পারছে না সেই দাদা-দাদি জন্য, অবশ্য এতে রিদের নিজেই দোষটা বেশি কারণ সেই বারবার মায়াকে আঘাত করেছে নানান কারণে আর সেই জন্য হেনা খাঁন রিদের কাছে মায়াকে দিতে ভয় পাচ্ছে গভীর ভাবে, হেনা খাঁনের ধারণা রিদ মায়াকে বারবার আঘাত করে থাকবে রাগে বশে, আর সেও যে বউকে ভালোবাসে বলে পরে আর মায়াকে আঘাত করবে না তাও কিন্তু নয় মায়া যদি রিদকে কখনো ছেড়ে যেতে চাই তাহলে রিদ মায়াকে আঘাত করতে দ্বিতীয় বার ভাববে না,,,
.
এই সবকিছুই বুঝতে পারে রিদ, তাই তো নিজের দাদীর সাথে কোনো রকম বাড়াবাড়িতে যেতে চাইছে না, কারণ রিদের প্রাণটা যদি তার বউয়ের মধ্যে থাকে তাহলে হেনা খাঁনের প্রাণটাও তারই বউয়ের মধ্যেই রয়েছে, তাই রিদ তার দাদিকে বুঝাতে চাই যে সে এখন তার বউকে ভালোবাসতে শুরু করেছে, সে এখন বউকে চাই সারাজীবনের জন্য, বউ ছাড়া সে বড্ড উন্মাদ হয়ে আছে, এই সবটাই বুঝাতে হবে হেনা খাঁনকে পরে হেনা খাঁনের সুমতি পেয়েই বউকে আপন করে নিবে সে, তার আগে নয়,,,
.
কথা গুলো রিদ পানির দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের মনে মনে ভাবে নেই একবার, পরে কিছুক্ষণ সুইমিং পুলের নীল পানির দিকে তাকিয়ে থাকে, তাকিয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে কপাল কুচকে এলো রিদের পরে নিজের মধ্যে কিছু একটা ভেবে নিয়ে হঠাৎ করেই উঠে দাঁড়িয়ে হনহনিয়ে নিজের রুমে দরজা খুলে হেটে হেঁটে মায়ার রুমে দিকে ছুটে চলে যায় সেই, বাহির থেকে মায়ার রুমের দরজা আটকানো ছিল বলে সেটা রিদ সর্তকতার সাথে আস্তে করে খুলে মায়ার রুমে ভিতর প্রবেশ করে…..
.
মায়াকে এলোমেলো ভাবে ঘুমাতে দেখে কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেই দিকে পরে হঠাৎ করেই মায়াকে কোলে তুলে নিয়ে আবারও উল্টো ঘুরে নিজের রুমে দিকে পা বাড়ায়,, রিদ মায়াকে কোলে তুলার সাথে সাথে মায়া খানিকটা নড়েচড়ে ওঠে আবারও ঘাপটি মেরে ঘুমিয়ে পরে রিদের বুকে মধ্যে, রিদ হাঁটতে হাঁটতে মায়াকে বেশ কয়েক বার দেখে নেই ঘুমন্ত অবস্থায়, নিজের রুমে ডুকে আস্তে করে বেঁটের একপাশে শুয়ে দিয়ে নিজেরও মায়ার পাশে শুয়ে পরে,,,
.
শুয়ার সাথে সাথে মায়াকে টেনে নিজের বুকের ওপর তুলে উপুড় করে মায়াকে শুইয়ে দিয়ে দু’হাতে শক্ত করে জরিয়ে ধরে প্রশান্তির নিশ্বাস ফেলে নিরবে রিদ,,, পরে মায়ার মাথায় পরপর কয়েক বার নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে আস্তে করে নিজের ঠোঁট মায়ার মাথার মধ্যে সফটলি চেপে ধরে নিজের চোখ বন্ধ করে নেই, রিদের নিজেকে এখন বেশ শান্তি শান্তি লাগছে মায়াকে নিজের বুকের মধ্যে পেয়ে, কোনো এক প্রশান্তির ঢেউ যেন খেলা করছে রিদের মনের মধ্যে………
.
.
🍁
মায়ার ঘুমটা হালকা হয়ে আসতেই আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে রিদের পেটের ওপর কারণ রাতে রিদ মায়াকে নিজের ওপর শুইয়ে রেখে ছিল বাচ্চাদের মতো উপুড় করে তাই সকালে মায়া উঠে বসে রিদের পেটে ওপর দুই সাইডে দুই পা দিয়ে, রিদ গভীর ঘুমে থাকায় মায়া যখন ঘুম থেকে আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে তখন রিদের জরিয়ে থাকা দু’হাতে আস্তে করে দুপাশে পরে যায়,,,
.
মায়া নিজের দুহাত ওপরের তুলে হামি দিতে দিতে চোখ খুলে সামনে তাকায়, ঘুম ঘুম চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর চমকে চারপাশে দ্রুত নিজের চোখ বুলায় চারপাশটা বেশ অপরিচিত লাগায় খানিকটা ভরকে যায় মায়া, বিপদের আশঙ্কা ভেবে শুকনো ঢুক গিলে নেই বেশ কয়েক বার, পরে ভীতু চোখে আবারও আশেপাশে চোখ বুলাই, চোখের সামনে হাঠাৎ রিদের বড় আকারে দেয়ালে ছবি দেখে কপাল কুচকে সেই ছবি ভালো করে দেখার জন্য রিদের বুকের ওপর নিজের দুহাত দিয়ে ভর দিয়ে সামনে দিকে ঝুকতেই, চোখে পড়ল রিদের ঘুমন্ত চেহেরাটা, সাথে মায়ার ফেস ও রিদের ফেসের বারাবর হয়ে যায় দুজনেই,,,
.
চোখে সামনে রিদের ঘুমন্ত চেহেরা দেখে মূহুর্তেই মায়া নিজেকে সপ্নের অধিবাসী ভেবে নিয়ে নিজের চোখ বড় বড় রসগোল্লা বানানিয়ে হা করে তাকিয়ে থাকে রিদের ঘুমন্ত চেহেরার দিকে, অবিশ্বাস্য কিছু চোখে সামনে পড়ে যাওয়ার সেটার জন্য মায়া আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি, খুশিতে গদগদ করতে করতে আরও ঝুকে আসে রিদের মুখমণ্ডল দিকে, নিজের দুহাত দিয়ে রিদের দুগাল আঁকড়ে ধরে একদম কাছে চলে আসে রিদের, দুজনেই নিশ্বাস একে অপরের উপর আঁচড়ে পরছে সমান তালে,,,,
.
মায়া রিদকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে সেটাকে নিজের সপ্ন ভেবে রিদের চোখ মুখে পুরো চেহেরায় নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দিচ্ছে পরপর ইচ্ছে মতো, পরে রিদের ঠোঁটের দিকে কিছু তাকিয়ে থেকে কপাল কুচকে কিছু একটা ভেবে নিয়ে হঠাৎ করেই রিদের ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে সফটলি, চেপে ধরার পরও কোনো মতেই চুমু কিভাবে খাই সেটা বুঝতে না পারায় সাথে কিস করার সুবিধা করতে না পেরে আবারও উঠে বসে রিদের পেটে পরে রিদের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে থেকে চিন্তা করতে থাকে, কিভাবে কি করবে কিছুই চিন্তা করে না পেরে হঠাৎ করে নিজের মাথায় দারুণ বুদ্ধি আটকিয়ে নিয়ে সাথে সাথে আবারও ঝুকে রিদের ঠোঁটের সাথে নিজের দাঁত চেপে ধরে শক্ত করে কামড়িয়ে ধরে রাখে খিচকে,,,,,
.
ঠোঁটের ওপর অসহ্য ব্যাথা অনুভব করায় সাথে সাথে চোখ খুলে তাকিয়ে মায়ার দুবাহু চেপে ধরে উঠে বসে মায়াকে নিয়ে, পরে মায়াকে নিজের কোলের মধ্যে রেখেই এক হাতে মায়ার কমর জরিয়ে ধরে অন্য হাত নিজের ঠোঁট ওপর রাখে, রিদের ঠোঁট দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে মূহুর্তেই হাত দিয়ে সেই রক্ত মুছতে মুছতে মায়ার দিকে করুণ চোখে তাকায়, বউ যদি তার ঘুমের সুযোগ নিয়ে সকাল সকাল এভাবে কামড়ি ধরে তাহলে বাকি দিন গুলো কেমন করে কাটা সে,, সেই চিন্তা নিয়ে রিদ মায়ার দিকে তাকায় কিন্তু মায়া রিদের এমন সব চিন্তা ভাবনায় অপেক্ষা করেই রিদ কিছু বুঝে উঠবে তার আগেই আবারও রিদকে বিছানায় ফেলে দিয়ে সেই বিছানায় সাথে চেপে ধরে রেখে মায়া রিদের ঠোঁটে কামড়ি ধরে শক্ত করে, এতে করে রিদের কাটা ঠোঁটে জায়গায়টা আরও ক্ষত হয় বেশ খানিকটা, রিদ সেই ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে আবারও মায়ার দুবাহু চেপে ধরে সাথে সাথে উঠে বসে, মায়ার সপ্নে রিদ এমন করে বারবার উঠে বসার কারণে মায়ার ঠোঁট কামড়ানো চুমুটাও খেতে পারছে না ভালো করে এতে মায়া বেশ বিরক্তি নিয়ে রিদের দিকে তাকাতেই চোখে পড়ল রিদের ঠোঁটের দিকে, ঠোঁট দিয়ে অর্নরগল রক্ত ঝরতে দেখে মায়া খানিকটা ভয় পেয়ে যায়, ভয় ভয় কন্ঠে আস্তে করে বলে উঠে,,,,
.
—” ররররক্ত……
.
মায়ার বারবার রিদকে কামড়ি ধরতে দেখে সুপ্ত কন্ঠে রিদ বলে উঠে……..
.
—” কি সমস্যা তোমার সকাল সকাল কামড়াকামড়ি করছো কেন তুমি……
.
রিদের এমন কথায় মায়া মূহুর্তেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে রিদকে রাগ দেখিয়ে নাহুচ সুরে বলে উঠে…….
.
—” না আমি মানবো না, আপনি আমার সপ্নেও এতোটা নড়াচড়া করতে পারবেন না, আমি আরও ঠোঁট কামড়ানো চুমু খাবো, আমি শুয়ে পরুন…..
.
—” কিহ আমাকে তোমার সপ্ন মনে হচ্ছে, আর তুমি আমাকে নিয়ে সপ্নের এমন কামড়াকামড়িই করে থাকো সবসময় তুমি…..
.
রিদের এমন কথায় মায়া নিজের মাথা নাড়িয়ে সুমতি জানায় যার অর্থ হ্যা সে সবসময় রিদকে নিয়ে সপ্নের মধ্যে এমন কামড়াকামড়ি করে থাকে…….
.
.
চলবে………..