দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৭৮

0
887

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৭৮

.
🍂
আয়নের এমন কথায় রিদ পাল্টা প্রশ্ন করে বললো…..

.

—” আমার বউ তোকে বলেছে যে ওহ ওর স্বামীর সাথে কম্ফোর্টেবল ফিল করছে না এমন কিছু?

রিদ কথায় আয়ন দাঁতে দাঁত চেপে বললো…

—” রিদ বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু….

রিদ খানিকটা থেমে আয়ন দিকে কপাল কুচকে তাকিয়ে বলে উঠে…..

—” কোনটা বেশি হচ্ছে তোর মতে? তোর আমাকে
অহেতুক প্রশ্ন করাটা নাকি?তোর আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনটা শুনি!

দুইজনের কথা প্যাচের মধ্যে মায়া হঠাৎ করে আয়নকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…..

—” আয়ন ভাইয়া তুমি যাও প্লিজ আমি ঠিক আছি। আমি তোমার পিছন পিছন একটু পরই আসছি যাও।

মায়ার কথায় বাঁকা হাসে রিদ। তার বউয়ের মুখে বুলি ফুটেছে সেটা সে আরও আগেই দেখেছে। তার অনেক পরিশ্রমের ফল বউয়ের মুখের বলি। তাই রিদ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে চাইল তার বউ আর কি বলতে পারে আয়নকে তাদের দুজনের মাঝে আসতে না দিয়ে।
মায়ার কথায় রিদ চুপ থাকলেও আয়ন অনেকটাই চমকায়। মায়ার এমন আচরণ বা কথার সাথে আয়ন পূর্ব পরিচিত নয়। মায়ার সহজ কথা গুলো যেন আয়নের কাছে কঠিন লাগল। অবিশ্বাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল মায়ার দিকে। তার চেনা-জানা বোকা মায়াটাকে যেন হুট করেই অনেকটা বড় লাগছে। সবকিছু কেমন বুঝতে শুরু করেছে। আজকের মায়াকে তার কাছে অগোছালো নয় বরং অনেকটা গুছালো মনে হচ্ছে। আর হবেই না কেন? যে বোকা মায়াটা রিদ থেকে বাচার জন্য সবসময় অন্যের আশ্রয় নিতো আজ সেই মায়াই রিদের সাথে একা থাকতে চাচ্ছে র্নিভয়ে। আচ্ছা মায়ার হঠাৎ এতটা পরিবর্তন হলো কখন? সে দেশে না থাকায় তার অনুপস্থিতে হয়েছে নাকি তার দেশে থাকা কালীন হয়েছিল শুধু সেই লক্ষ করেনি পরিবর্তন। হয়তো অনেক বেশি ভালোবাসে মায়াকে তাই তার এতটা পরিবর্তন চোখে পড়ার পরও লক্ষ করতে পারিনি সে। আয়ন মায়ার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে শান্ত স্বরে নাহুচ করে বলল…..

—” তোমায় আমার পিছন পিছন আসতে হবে না। তুমি এক্ষুনি আমার সাথে চলো। এখানে তোমার কোনো কাজ নেই। তোমার রিদকে ভয় পেতে হবে না ওহ কিছু করতে পারবে না তোমায়। তুমি চলো আমার সাথে।

আয়নের কথায় মায়া খানিকটা জিদ্দি স্বরে বলে উঠে……

—” বললাম তো যাব না। তুমি যাও! আমি পরে আসছি…..

মায়ার কথায় এবার আয়ন সন্দেহ দৃষ্টিতে মায়ার দিকে তাকায়. আয়নের কেন যেন এই মায়াকে চিনতে কষ্ট হচ্ছে ভিষণ। তার মনে হচ্ছে এই মায়াটা তার না এই মায়াটা অন্য কারও মায়া, তার মায়া হারিয়ে গেছে কোথাও এমন সব চিন্তা ভাবনায় করে আয়ন মায়াকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই মায়া আয়নকে থামিয়ে দিয়ে ঠোঁট উলটিয়ে বলে উঠে……

.

—” ভাইয়া প্লিজ……

.

মায়ার বাঁকা ঠোঁটের কথায় আয়ন হার মেনে নেই মায়ার কাছে, পরে দুজনকে এক পলক দেখে নিয়ে কিছু না বলে চুপচাপ হনহনিয়ে হেঁটে চলে যায় বাড়ির ভিতরে….

.

আয়ন যাওয়ার সাথে সাথে অসহায় দৃষ্টিতে রিদের দিকে তাকায় মায়া, পরে রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে করুণা কন্ঠে বলে উঠে…….

.

—” আপনি এমন কেন কথায় কথায় ঝামেলা সৃষ্টি করেন কেন, এবার যদি আয়ন ভাইয়া দাদীকে বলে দেয় আমাদের সম্পর্কে তখন কি হবে……

.

—” তোমার কি মনে হয় বউয়ের সাথে কথা বলতে কারও পারমিশনের প্রয়োজন হয় রিদ খাঁনের হুমমম,, বউ আমার তাই অধিকার বোধটাও আমার,,,, তাই আমাদের মধ্যে যে আসবে সেই ঝামেলা মূল কারণ হবে আমি নয়, আর কাউকে ছেড়ে দেওয়ার মতো এতটাও ভালো মানুষ আমি না…..

.

রিদের এমন কথায় মায়া করুণ চোখে তাকায় রিদের দিকে কারণ মায়া কখনোই রিদের সাথে কথায় পেরে উঠে নি আর কোনো কালে পেরে উঠবে কিনা পরবর্তী সময়ে তাই সন্দেহ আছে,,, মায়া চুপ থেকে খানিক বাদেই রিদের বুকে মাথা রাখে, এই বুকটাই এখন মায়ার জন্য শান্তির নিবাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, দিন শেষ মায়ার এখন রিদের এই বুকটাই চাই নিজের মুখ লুকানোর জন্য পরম শান্তিতে…….

.

.

🍁
আরিফকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে ফিহা, নিজের দুই হাত আরিফের দুই পাশে দিয়ে মুখ বরাবর তাকিয়ে আছে আরিফের ফিহা, ফিহার এমন কাজে আরিফ ভিষণ ভাবে ইতস্তত বোধ করলেও ফিহা বেশ স্বাভাবিক বগিতে দাঁড়িয়ে আছে চোখ মুখ শক্ত করে, ফিহাকে এমন করতে দেখে আরিফ খানিকটা বিরক্তি নিয়ে বললো…..

.

—-” কি চাই তোমার……

.
আরিফের এমন কথায় কপাল কুচকে ফিহার বললো……

.

—” কি চাই মানে ভালোবাসা চাই আমার…..

.

—” তো আমি কি করব, আমি কি ভালোবাসার দোকান নিয়ে বসে আছি……

.

—” সেই জন্যই তো আপনার কাছ থেকে ভালোবাসা নিতে এসেছি,, ভালোবাসার দোকান খুলে বসবেন আর সেই দোকানে কাস্টোমার আসলে তাড়িয়ে দিবে বিনা ভালোবাসা দিয়ে তাই হয় নাকি জনাব……

.

ফিহার এমন বেখেয়ালি কথায় আরিফ ও দায়সারা ভাব নিয়ে উত্তর দিয়ে বললো……

.

—” আমার ভান্ডারে সবার জন্য ভালোবাসা থাকলেও আপাতত তোমার জন্য কিছুই নেই ভালোবাসার শূন্য ঝুলি হয়ে পরে আছে আমার দোকানে, এবার তুমি বিদায় হও তো…..

.

আরিফের কথায় ফিহা পাল্টা উত্তরে বললো…….

.

—” বললেই হলো নাকি ভালোবাসা নেই শন্য ঝুলি হয়ে পরে আছে আমার জন্য, আর শুনলাম আপনি নাকি আমার সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন, কথাটা কি সত্যিই নাকি হুমমম…..

.
আরিফ কপাল কুচকে বললো….

.

—” মানে,, কি আবোল তাবোল বকছো তুমি পথ ছাড়ো তো আমার………

.
আরিফের এমন কথায় ফিহার আরিফের দিকে আরও খানিকটা ঝুঁকে এসে চোখ চোখ রেখে বললো……

—” একদম না, আর কি আমি আবোলতাবোল বকছি হুম নড়াচড়া করবেন না জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকুন একদম, আর শুনুন আমার সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকবে তা কি হয় নাকি, আমি তা হতে দিব না আমার সম্পর্কে আপনার ভাবনাটা আসবে ভালো ভালো,,,,,

.

কথা গুলো বলেই ফিহা একটু থেমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আরিফের দিকে তাকিয়ে থেকে আবারও আদুরে লুটপুটু কন্ঠে বললো……..

.

—” আমার সাহেলে সাথে কোনো সম্পর্ক নেই সাহিল আমার জাস্ট ফ্রেন্ড অন্য কিছু না, সাহিল কাছ থেকে একটা হেল্প নিয়ে ছিলাম আপু আর জিজুর জন্য এখন সাহিল ওহ ওর মতো আছে আর আমি আছি আপনাকে নিয়ে, আপনি আমাকে যতোটাই দূরে টেলে দিন না কেন আমি বারবার আপনার কাছেই ফিরে আসবে ভালোবাসার দাবি নিয়ে,, আমি দুদিন এর জন্য আপনাকে ভালোবাসিনি আমার ভালোবাসাটা সাত জন্মে জন্য তাই আপনার পিছুটা আমি কখনোই ছাড়ছিনা আর না আপনাকে কোথাও যেতে দিচ্ছি,,,,

.

কথা গুলো বলেই আবারও আরিফকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ফিহা, বারবার ফিহার এমন কাজে আরিফ হতভম্ব হয়ে যায়, ফিহাকে কিছু বলার মতো কথা খুঁজে পাচ্ছে না আরিফ শুধু অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ফিহার দিকে, ফিহার এমন সাহস দেখে আরিফের সাথে সাথে আরও একজন ও আবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে, মনে হচ্ছে কৌঠা থেকে চোখ দুটো বের হয়ে আসবে মায়ার, চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে দুজনের দিকে,,,,,

.

মায়া রাতে খাবার জন্য আরিফকে ডাকতে এসেছিল রুমে কিন্তু দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফিহার এমন কান্ড দেখে, মায়ার আগেও খানিকটা সন্দেহ ছিল দুজনকে নিয়ে কিন্তু এখন সবটা পরিস্কার হয়েছে তার কাজে, মায়ার আরিফ ও ফিহার সম্পর্ক নিয়ে কোনো রকম আপত্তি নেই তাই দরজা আড়ালে দাঁড়িয়ে সবটাই চুপি চুপি দেখেই চলছে বেশ সময় ধরে,,,,

.

মায়ার এমন চুপিচুপি দেখার মধ্যে দিয়েই ফিহার হঠাৎ একটা অদ্ভুত কাজ করে ফেলে আরিফের সাথে নিজের ঠোঁট আরিফের ঠোঁটের সাথে চেপে ধরে আকস্মিক ভাবে,, ফিহার এমন আকস্মিক ঘটনায় আরিফ কিছু বুঝে উঠার আগেই আবারও ফিহা আরিফে দুই হাত নিজের কমড়ে ওপর রাখে ঠোঁট চেপে ধরা অবস্থায়,,,,,

.

ফিহার এমন কাজে এবার মায়ার চোখ দুটো আরও বড় বড় হয়ে এসে হা করে তাকিয়ে আছে সেদিকে, মায়া এমন করে হা করতে দেখে পাশ থেকে কেউ একজন সামনে দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে আস্তে করে মায়া থুতি ধরে মুখটা বন্ধ করে দেয় হা করার থেকে,, কিন্তু মায়ার মুখটা বন্ধ করার পর ও আবারও অটোমেটিকলি হা হয়ে যায় সামনে দৃশ্য দেখে,,মায়ার পাশে কে দাঁড়িয়ে আছে সেদিকে তার কোনো লক্ষই নেই,,, মায়ার কোনো হেলদোল না দেখতে পেয়ে এবার মায়ার কাঁধে হাত দিয়ে বার বার ডাকে কিন্তু মায়ার তার কাজে এতটাই ব্যস্ত যে সেও বার বার বিরক্তি নিয়ে কাঁধ ঝাঁকিয়ে হাতটি ফেলে দিচ্ছে পরপরই,,

.

মায়ার এমন কাজে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিটি হালকা স্মৃত হেঁসে উঠে মায়ার পিছন থেকে জরিয়ে ধরে কানে ফিসফিস করে আস্তে করে বলে উঠে….

.

—“রিত নিজের ভাইয়ে রোমান্স দিকে নজর দেওয়া কিন্তু ব্যাড ম্যানার্স জানো তুমি…….

.

পাশ থেকে কারও কন্ঠে পেয়ে চমকে উঠে মায়া দ্রুততা সঙ্গে পিছন ফিরে তাকাতেই চোখে পড়ল রিদের দুষ্টমী ভরা হাসি মুখ,,, মায়ার রিদকে নিজের দিকে এমন করে তাকাতেই দেখে লজ্জায় সিটিয়ে যায় কি করবে কিছু ভাবতে না পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থেকে আমতা আমতা করতে লাগে রিদের সামনে,,, রিদ মায়ার অবস্থা বুঝতে পেরে সেও মায়ার দিকে আরও এগিয়ে এসে একহাতে মায়ার গাল স্পর্শ করে খানিকটা ঝুঁকে চোখে দিকে তাকিয়ে থেকে মজা করে বলে…….

.

—” ইয়ে ইয়ে কি রিত,,,,

.

—” না মানে আসলে আমি ভাইয়া ডাকতে এসেছিলাম খাওয়ার জন্য……

.

—” আচ্ছা তাই আর এসেই তুমি ভাইয়ে রোমান্টিকতা দেখতে মন্ত হয়ে গেলে একা বারে তাই না এতে তোমার কোনো দোষ নেই তাই তো…..

.

রিদের এমন কথায় মায়া নিজের মাথাটা ওপর নিচ নাড়িয়ে সুমতি জানা যার অর্থ হ্যাঁ তার কোনো দোষ নেই,, মায়াকে সুমিত জানাতে দেখে রিদ হালকা হেসে হঠাৎ করেই মায়াকে কোলে তুলে নেই নিচে যাওয়ার জন্য খাবারের জন্য,,, মূলত রিদও ডিনার করার জন্য নিচের দিকেই যাচ্ছিল হঠাৎ করে মায়াকে আরিফের রুমের দিকে উঁকি মেরে তাকিয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ বশবর্তী হয়ে এগিয়ে আসে রিদ এখানে, যে বউ তার কি এমন নিজের ভাইয়ে রুমের দিকে উঁকি মেরে মেরে দেখছে রুমে ভিতরে না গিয়ে সেটা দেখার জন্য,,, এখানে এসে ফিহাকে এমন করতে দেখে সবটাই পরিস্কার হয়ে যায় রিদের কাছে,, রিদের আরিফ ও ফিহাকে নিয়ে কোনো রকম আপত্তি নেই যে যাহ খুশি করুক তার কোনো কিছুই যায় আসে না, রিদের শুধু নিজের সম্পর্কিত দিকটা ছাড়া অন্য কারও বিষয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ মনে করেনি কোনো কালেই,,,,,,

.

তাই ওদের কোনো কিছু না বলে নিজের বউকে কোলে তুলে নিয়ে সামনে দিকে হাটতে হাটতে বলে উঠে…..

.

—” আচ্ছা রিত তোমার কি সহজ ভাষা সহজ ভাবে বুঝতে পারো না,,, তোমরা দুই ভাই বোনই কি একি পদার্থের মানুষ সহজে সোজা হতে চাও না, তোমাদের পিঠিয়ে সোজা করতে হয়,,, যেমনটা আমি তোমাকে আমার মধ্যে বশ করছি, ঠিক তেমনটা ফিহাও তোমার ভাইকে বশ করে ওর সাথে থাকতে বাধ্য করবে একি ভাবে……

.

রিদের এমন কথায় মায়া কোনো রকম উত্তর না দিয়ে গাল ফুলিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকে রিদের কোলের মধ্যে রিদ মায়াকে কোলে করে সবার সামনে ডাইনিং টেবিলের নিজের পাশের চেয়ারটায় বসিয়ে দেয়, পরে সেও নিজের চেয়ারটা টেনে বসে মায়ার পাশে, রিদের এমন কাজে উপস্থিত সবাই হা করে তাকিয়ে আছে রিদও মায়ার দিকে শুধু আরাফাত খান বাদে তিনি স্বাভাবিক বগিতেই বসে বসে নিজের মতো করে খাবার খাচ্ছে কিন্তু বাকিরা সবাই হা হয়ে আছে দুজনকে হাসি মুখে দেখে,,,,,

.

মায়া প্রথমে বুঝতে পারিনি সে কোথায় আছে পরে যখন চারপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলো সবাই কেন তাদেকে এইভাবে দেখছে তখন ভয়ে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে পরে হেনা খাঁনের দিকে তাকিয়ে থেকে, মায়া দাঁড়ানো সাথে সাথে রিদ কপাল কুচকে মায়ার হাত ধরে আবারও বসিয়ে দেয় নিজের পাশে রাগী ভাবে, রিদের এমন একটা ভাব করছে যেন কিছুই হয়নি এখানে সবটাই স্বাভাবিক তার চারপাশে,,, আয়ন দুজনকে একসাথে দেখে রেগে নিজের দুহাত মুষ্টি বদ্ধ করে নেই সাথে সাথে রাগে যেন আয়নের শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে বারবার তাই নিচে প্লেট দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে,,,,,,,,,,

.

.

.

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here