দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৬৪

0
860

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৬৪

উনি পাগল পাগল হয়ে প্রাণপূর্ণ দৌড়িয়ে আসছে আমাদের দিকে সাথে চিৎকার করে ডলি আপুকে উদ্দেশ্য করে বলছে…..

.

—” No no no, ডলি noooooo, ডলিইইই, ডলি ওর মাথায় মারিস না প্লিজ……

.
ডলি আপুর উনাকে আমাদের দিকে দৌড়ে আসতে দেখে চমকে উঠে, হয়তো এই মূহুর্তে উনাকে এখানে আশা করি ডলি আপু তা আপুর ফেস দেখেই বুঝতে পারছি আমি, ডলি আপুর উনাকে (রিদ) দেখে খানিকটা ভরকে গিয়ে উনার দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে আবার আমার দিকে তাকায় পরে প্রচন্ড রেগে আমার মাথা আঘাত করার জন্য আবারও হকিস্টিক টা ওপরে তুলে বারি মারতেই উনি আবারও দৌড়াতে দৌড়াতে চিৎকার করে বলে উঠে………

.
—” ডলি স্টপ, ওর মাথায় আঘাত করিস না প্লিজ রিত সেটা সয্য করতে পারবে সেটা,, ডলিইইই

.
উনি এমন চিৎকার করে কথা গুলো বলতে বলতে অনেকটা আমাদের কাছে চলে আসে, উনাকে আমাদের কাছে চলে আসতে দেখে ডলি আপুর দ্রুত লাঠিটা ফেলে একহাতে বন্দুক নিয়ে অন্যহাতে শক্ত করে আমার চুলের মুঠো ধরে টেনে দাঁড়া করিয়ে আমার মাথায় নিজের হাতের বন্দুকটা চেপে ধরতেই উনি দৌড়ে এসে আমাদের সামনে দাড়ায়,,, ডলি আপুর উনাকে আমাদের সামনে দাড়াতে দেখেই আপুও উনাকে দেখিয়ে আমার মাথার বন্দুকটা আরও খানিকটা চেপে ধরে গুলি করা জন্য, উনি ডলি আপুকে এমন করতে দেখে সাথে সাথে আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকে দুই হাতে সামনে দেখিয়ে শান্তনা দিতে দিতে শান্তনা সুরে ডলি আপুর উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……….

.
—” ওকে ওকে কুল ডলি, তোর যাহ চাই আমি তোকে দিব তুই রিতকে কিছু করিস না প্লিজ আর জীবনের প্রথম আমি কারও কাছে রিকুয়েষ্ট করছি তুই সেটা শুন আপাতত,, এমনিতেই রিতের মাথার আঘাতটা এখনো ঠিক হয়নি, আর এটা জন্য ওকে বাঁচাতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের তুই প্লিজ ওর মাথায় আঘাত করিস না……

.

উনাকে এমন করে বলতে দেখে কপাল কুচকে এলো ডলি আপুর, আপু উনাকে উদ্দেশ্য করে স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে…..

.

—” লাইক সিরিয়াল রিদ, তোমার কি আমাকে বোকা মনে হয় এই মেয়েটার মতো,, আর তুমি যে লাইফে প্রথম রিকুয়েষ্ট করছো সেটাও এই মেয়েটা জন্য, কারণ আমি জানি তোমার প্রাণটা এই মেয়েটার মধ্যে রয়েছে, তাই তুমি এতোটা নরম হয়ে কথা বলছো, নয়তো রিদ খান কথা কম হাতটা বেশি চলে আর এটা ওয়াল ডের সবাই জানে,, আর আমি যেই এই মেয়েটাকে ছেড়ে দিব ওমনি তোমার আসল রুপটা বেড়িয়ে আসবে মূহুর্তেই,,, তাই আমার সাথে ওভার স্মার্ট সেজো না রিদ, আর এই মেয়েটা তো আমি মেরেই ফেলবে আজকে কেউ থামাতে পারবে না আমায়, তুমি ও না রিদ…..

.

ডলি আপুর এমন কথা শুনে আমি আমি কান্না করতে থাকি উনার দিকে করুন ভাবে তাকিয়ে থেকে উনি আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে প্রচন্ড রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে…..

.

—” আই সোয়ার ডলি, আমার রিতের যদি কিছু হয় তোর সাথে সাথে তোর বংশ পরম্পরায় সব কয়টাকেও মেরে দিব আমি কাউকে বাঁচতে দিব না আমি…..

.

উনার এমন শক্ত গলার কথা গুলো শুনেও ডলি আপুর কোনো রকম হেলদোল হল না, উল্টো আরও স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে…..

.

—” মেরে দাও আমার কি আমিই যখন বাঁচবো না তখন বংশধরকে দিয়ে কি করবো আমি আজব,,, তুমি তো আজকে পর আর আমাকে বাচিয়েই রাখবে না তো আমি কেন তোমার রিতকে বাচিয়ে রাখতে যাব হুমম,, আর তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না, এই মেয়েটাকে ভালোবাসো তাই আমি তোমার ভালোবাসা মানে তোমার সোনা বউ রিতকে তোহ মারবোই সাথে তোমাকেও মেরে দিব আজকে, তোমাকে মারার পর তোমার ফ্যামেলিও আমার মেরে দিবে তাই আমি নিজেও যখন মরবো তখন একা কেন মরবো সবাইকে সাথে করে নিয়ে মরি কি বল, উই আর জয়েন ফ্যামিলির,,,

.
কথা গুলো বলেই ডলি আপুর আমার মাথা বন্দুকটা চেপে ধরেই কিছু একটা ভেবে থেমে যায়, পরে নিজেই নিজের মতো করে আপন মনে বলে উঠে…….

.

—” উঁহুম, আগে তোমার বউকে মারা যাবে না, এই ভুলটা আমি করতেই পারবো না এই মূহুর্তে, কারণ আগে যদি তোমার বউকে মারি তাহলে তুমি বউ মরার সুগ্রে দিশেহারা হয়ে মূহুর্তেই আমাদের সব-কয়টাকে মেরে দিবে এক পলকেই,, তাই আগে ওকে নাহ মেরে তোমাকে মেরতে হবে রিদ,, তুমি যখন আমার হতে পারোনি তাই অন্য কারও হতে দিব না আমি,,,

.

কথা গুলো বলেই ডলি আপুর একহাতে আমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে অার অন্য হাতে উনার দিকে বন্দুকটা তাক করে শুট করার জন্য,, ডলি আপুকে এমন করতে দেখে আমি মূহুর্তেই আমি পাথর মতো জমে যায়, উনার যদি কিছু হয় তাহলে আমি নিজেও মরে যাব উনাকে ছাড়া একটা মূহুর্তে কাটাতে চাই না আমি, আমি উনাকে চাই-ই চাই, উনি নেই তোহ আমিও নেই, ডলি আপুর শুট করার সাথে সাথে আমি পাগল পাগল হয়ে বাধ ছাড়া মতো ডলি আপুর হাতটা ছাড়িয়ে প্রাণপূণ দৌড়ে কেউ কিছু বুঝে উঠা আগেই উনাকে আমি শক্ত করে জরিয়ে ধরি আমি, আমার জরিয়ে ধরার সাথে সাথে একটা গুলি এসে লাগে উনার হাতে,, আমার হঠাৎ দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরার কারণে উনি জায়গায় থেকে খানিকটা নড়ে যেতেই গুলিটা উনার হাতে লাগে নয়তো গুলিটা উনার বুকে লাগতো,,

.

আমি হঠাৎ জরিয়ে ধরার কারণে উপস্থিত সবাই খানিকটা চমকে উঠে, আমি উনাকে জরিয়ে ধরার সাথে সাথে উনি আমাকে দু-হাতে আঁকলে নেয় শক্ত করে নিজের মাঝে,, আর আমি উনাকে গুলি খেতে দেখে মূহুর্তে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলি বুকটা যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে অসয্যকর ব্যাথায়, নিজের মানুষটা মানে আমার উনি গুলি খেয়েছে তাও আমাকে বাঁচাতে গিয়ে এটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না আমি,, তাই পাগল পাগল হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারায়ে উনার হাতে গুলি খাওয়া জায়গায়টা দেখতে দেখতে কান্না অবস্থা বলে উঠি……

.
—” আপুর প্লিজ উনাকে মেরো না, উনার কিছু হলে আমি উনাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না,, তুমি আমাকে মেরে ফলো তবু উনাকে ছেড়ে দাও, আমার উনাকে চাই-ই চাই,,

.
আমার এমন পাগলামো না উনি যেন খানিকটা চমকে উঠে পরে বর্তমান অবস্থান বুঝে আদুরে একহাত আমার মাথায় বুলিয়ে দিতে দিতে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলে উঠে…….

.

—” রিত আমি আছি তো ভয় কেন পাচ্ছো সোনা,,, দেখো আমি একদমই ঠিক আছি, আর গুড গার্লরা কান্না করে না কিন্তুু, আমার সোনা বউ ভালো কান্না করে নাহহহহ……

.

উনার এমন কথায় আমি উনাকে আরও শক্ত করে দু’হাতে চেপে ধরেই বুকের মধ্যে নিজের মুখ লুকিয়ে কান্না করতে থাকি, আর বলতে থাকি যে,,,,

.
—” ডলি আপুর উনাকে মেরো নাহ প্লিজ, আমার উনাকে চাই….

.
আমার কথা গুলো বলার সাথে সাথে ডলি আপুর আবারও শুট করে আমাদের দিকে, ডলি আপুর গুলি করার সাথে সাথে উনি আমাকে নিয়ে অন্য দিকে ঝুকে যায় এতে করে গলিটি আমাদের পাশ দিয়ে অন্য দিকে চলে যায়,,, ডলি আপুর আবারও গুলি করবে তার আগেই উনি আমাকে জরিয়ে ধরা অবস্থায় নিজের একটা পা দিয়ে লাতিন মেরে মাটিতে পরে থাকা হকিস্টিকটা ডলি আপুর দিকে ছুড়ে মারতেই আপুর হাতে থাকা বন্দুকটা নিজের পরে যায়, আর সাথে সাথে সেটা উনি নিজের হাতে কেঁচ করে নেয়, হাতের বন্দুকটা গুড়াতে গুড়াতে বাকা দৃষ্টিতে ডলি আপুর দিকে তাকিয়ে থেকে বাঁকা হেঁসে ইনোসেন্ট ফেস করে ডলি আপুকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,,

.
—” ডলি বেবি ইউ আর ফিনিশ….
চলবে…………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here