#শ্রাবনে_প্রেমের_হাওয়া।
#লেখনীতে_ফাতিমা_তুয_যোহরা।
#পর্বঃ৬
শহর জুরে আজ বৃষ্টির উল্লাসে মুখরিত হয়ে উঠেছে যেন। পরিবেশ এখন শ্রাবন সন্ধ্যায় নামো-নামো অবস্থা। অন্ধকার রুমটাতে লাইটারের আলোয় নাজের কান্নারত মুখশ্রী যেন হৃদয়ে এসে আ’ঘাত হানছে ওমরের। নাজের মুখ থেকে রাদিফ সম্পর্কে সবকিছু জানতে পেরে ওমরেরও যেন ক্রো’ধে চক্ষুদ্বয় লাল হয়ে আসতে চাইছে। পুরোটা সময় শক্ত করে নাজকে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে আগলে ধরে রেখেছে ওমর। মেয়েটা সত্যিই খুব কষ্ট পাচ্ছে যেন। এমন সুন্দর আর শান্ত স্বভাবের মেয়ের সাথেও যে এমন কিছু হতে পারে, এটা যেন ওমর ঠিক মানতে পারছে না৷ বুকের ভিতরটা কেমন জ্বা’লা পো’ড়ায় মু’চড়ে রয়েছে তাঁর। নিজের অজান্তেই তারনায় পরে গিয়ে কান্নায় ওমরের শার্ট ভিজিয়েছে নাজ। বুকটা কেমন ভারি হয়ে রয়েছে নাজের। এ সময় যেন কাউকে খুব করে দরকার মাথা গোঁ’জার ঠাই হিসেবে। সেই শুন্যস্থানটাই হয়তো সে ওমরকে দিয়ে পূরন করে নিয়েছে নিজের অজান্তেই। হুঁশে ফেরা মাএ ভয়ে দ্রুত ওমরের বুক থেকে স্বরে গেলে ওমরের চোখ শান্ত হয়ে এলো যেন৷ অশ্রুসিক্ত নয়নে একরাশ বিতৃ’ষ্ণা নিয়ে নাজের দিকে তাকিয়ে রইলো সে। কালো রাঙা সালোয়ার কামিজ পরেছে নাজ। মাথা অব্দি ঘোমটাটা কান্নার কারনে অগোছালো ভাবে কেমন নড়বড়ে হয়ে রয়েছে নাজের। ছলছল ভাবে ধোঁয়াসা চোখদুটিতে এখন ভয়, ল’জ্জা, ক্লান্তিতা চোখে পরছে নাজের।
— এখনও ভালোবাসো তুমি রাদিফকে? ওমরের কন্ঠের রেশ শুনে নাজ চুপ করে গেলে ওমর কিঞ্চিৎ পরিমান নিশ্বাস টে’নে নিয়ে ধরা কন্ঠে বললো।
—ভালোবাসো কি? ওমরের ধরা গলায় গম্ভীর কন্ঠ শুনে তাঁর দিকে পিটপিট করে তাকাল নাজ। ওমর খানিকটা নিশ্বাস ছেড়ে নিয়ে ধীর কন্ঠে বললো।
— একটা কথা কি নাজো নাজ, সবার জীবনের পিছনেই একটা না একটা গোপন রহস্য লোকানো থাকে। হয়তো কেউ সেটা প্রকাশ করে আর কেউ করে না। কিন্তু তাই বলে যে জীবনের গতি থেমে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। আমি জানি তোমার মনের ভিতরে এখন কি চলছে। কিন্তু…
— হ্যা ভালোবাসি রাদিফকে। ওমরের পুরো কথাটা শেষ হওয়ার আগেই নাজের কান্না জড়ানো কন্ঠ শুনে চুপ মে’রে গেল ওমর। মনের মাঝে তো’লপা’ড় খেলে যাচ্ছে যেন তাঁর। তপ্ত নিশ্বাস ছেড়ে নিয়ে ধীর গলায় বললো।
— আমি বাহিরে ওয়েট করছি, তুমি দশ মিনিটের ভিতরে রেডি হয়ে নিচে এসো। আমার হয়ে আমার বুকে অশ্রু না ঝড়াও। অন্যের হয়েও যদি তাঁর কাছে তুমি সুখী থাকো,তাহলে সেটা মানতেও একপায়ে রাজী এই ইশতিয়াক আহমেদ ওমর। কথাটুকু বলেই ওমর আর একবিন্দু না দাঁড়িয়ে চলে গেলে তাঁর যাওয়ার পানে শীতল চাহনিতে তাকিয়ে রইলো নাজ। চোখদুটি জ্ব’লছে যেন নাজের।
— মি’থ্যা মা’য়ায় না জড়ালেও পারতেন নিজেকে। কথাটুকু মনে-মনে আওরে নিয়ে দীর্ঘ’শ্বাস ছাড়লো নাজ।
.
— এখন তুই কই যাবি ওমর? ভর সন্ধ্যা বেলায় তাও আবার এই ঝড় বৃষ্টির মধ্যে! আফসানা বেগমের উদ্বিগ্ন কন্ঠের রেশ শুনে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি স্থির রেখে ঠোঁট কাঁ’ম’রে ধরে ধীর কন্ঠে বললো ওমর।
—আপাদত সিলেট যাচ্ছি। অফিসের কিছু ফাইলে সাইন করতে হবে। দেন আরও কিছু কাজ আছে। তোমরা কেউ টেনশন করো না। চাচ্চু অফিস থেকে ফিরলে তুমি ম্যানেজ করে নিও একটু।
— ভাইয়া এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না হুম। এখানে এলে বিয়ে করার জন্য, আর না করেই চলে যাচ্ছো। ভাবির কি হবে। অর্পার কথা শুনে হাসলো ওমর। বললো।
— তোদের ভাবিকে নিয়েই যাচ্ছি। মহারানী অনেক ক’ষ্ট পেয়েছে এতদিন। সেই ক’ষ্টের জায়গাটাতে বৃষ্টি ঝড়িয়ে #শ্রাবনে_প্রেমের_হাওয়া নামাব আমি। জানি একটু সময় প্রয়োজন৷ কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার পাএ এই ইশতিয়াক আহমেদ ওমর কখনোই ছিল না। আর হবেও না। কথাটুকু শেষ করতে পেরে ঠোঁটের কোনে হাসির রেশ উ’পচে পরছে যেন ওমরের। অদ্ভুত এক প্রশান্তি অনুভব করতে পারছে যেন সে। ওমরের কথার আ’গা>মা’থা কিছু না বুঝতে পারলে আফসানা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ওমরের গালে হাত ছুঁয়িয়ে চুমু খেয়ে ভয়ের কন্ঠে বললেন।
—যা করবি ভেবে করিস কিন্তু বাপজান। এটা কিন্তু জীবন৷ কোনো খেলাখর নয় যে, যা খুশি একটা ভু’ল হয়ে গেলেই সই। আফসানা বেগমের কথা শুনে মৃদু হাসলো শুধু ওমর।
— বৃষ্টির রেশে ভিজতে থাকা হাজারো কদম ফুলের মধ্য থেকে একটা স্বচ্ছ কদম ফুল পেতে চাইলে তো একটু না একটু খা’দ থাকবেই তাতে কাকি। থাকনা একটু কলমের ভাজে লুকায়িত গোপন কথা৷ কিন্তু মহারানী শুধু আমার৷ কথাটুকু মনের মাঝে ঢেউ খেলতে থাকলে চোখেমুখের পা’নসে আবরন যেন হাওয়ায় মি’য়ি’য়ে গেল ওমরের।
.
রাত আটটা নাগাদ ধরনী কাঁ’পিয়ে বৃষ্টি হেনে আসলো যেন শহরে। ঝুপঝাপ বৃষ্টিতে ভিজে উঠেছে সমস্ত ঢাকার শহর। রাত নয়টায় আবারও বাস চলতে শুরু করবে দূরপানে। ওমরের ভাবগতিক খুব একটা ভালো ঠেকলো না নাজের কাছে। হুট করেই সবার থেকে বিদায় নিয়ে সেই বাসস্ট্যান্ডেই নিয়ে আসতে হলো তাঁর নাজকে। ঠিক কি করতে চাইছে ওমর? কি চলছে তাঁর মস্তি’ষ্কে? প্রশ্নগুলো দ’লা পাকিয়ে গেলেও উত্তরহীনা চাতক পাখির ন্যায় বসে থাকতে হলো নাজকে। ওমর তাঁকে বসিয়ে রেখে আসছি বলে কই যেন গিয়েছে। নাজের উদাসিনী মনটা যেন কেমন থ’ম মে’রে রয়েছে আজ৷ কালোরাঙা বোরকার পর্দার আড়াল হয়ে ঝরে চলেছে তার নিশ্চুপ কান্নার গন্ডি।
—এত কাছে থেকেও আজ তোমার সাথে দেখা করতে পারলাম না আমি আম্মা। একটা বার যদি তোমার দেখা পাইতাম তাইলে আর ক’ষ্ট হইতো না আমার। বুকটা যে জ্ব’লছে আম্মা। আমার জীবনটা এভাবে শেষ হয়ে গেল।
— পানিটা খাও। হুট করেই পুরুষালী কন্ঠের রেশ শুনে হাতের উল্টোপিঠে চোখ মুছে নিল দ্রুত নাজ। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানবটির দিকে তাকিয়ে নিশ্বাস ছাড়ল দীর্ঘ। ওমরের হাত থেকে পানির বোতলটা নিয়ে নেকআপটা জাগিয়ে নিয়ে একঢোকে পুরো বোতলটা শেষ করে দিলে ওমরের শীতল চাহনি যেন আরও কোমল হয়ে উঠলো নাজের প্রতি। ঠোঁটের কোনে প্রশান্তির হাসি হেসে আকাশ পানের ঝুম শ্রাবন হাওয়া দেখতে-দেখতে নাজের পাশে বসে পরলো সেও। হাতে থাকা লুকায়িত আইসক্রিমের প্যাকেটটা নাজের সামনে ধরে মৃদু হেসে বললো।
— একরাশ অনিশ্চিয়তা থাকা সর্তেও তোমার পিছু ছুটতে ইচ্ছে করে জানো মহারানী। এটাকি শুধুই এট্রাকশন? উহুম, ভালোবাসা। ওমরের কন্ঠের রেশ কান ছুঁয়ে স্পর্শ করে গেলে থ’মকে গেল যেন নাজ। কিছু একটা বলতে যাওয়ার আগেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাঁরা দিয়ে বলে উঠলো।
—চলো বাসে উঠে পরা যাক। সময়ও নেই বেশি। নাজের হাতে আইসক্রিমের প্যাকেটটা ধরিয়ে দিয়ে ওমর নিজের আর নাজের ট্রলি নিয়ে সামনে আগাতে থাকলে তাঁর যাওয়ার পানে উদ্দেশ্যহীন বিমূর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শুধু নাজ।
— এর কি কোনো মানে হয় ওমর। এসব এখন নিছকই পা’গলামি বয়ি অন্য কিছু ঠেকতে পারছি না আমি৷ পস্তা’বেন আপনি, একদিন ঠিকই রাদিফের মতো আপনারও আমাকে নিজের পাশে পা’নশে লাগবে দেখে নিয়েন। সেদিন হয়তো আফসোস বয়ি অন্যথা কিছু বেড়িয়ে আসবে না আপনার। কথা গুলো মনের আনাচে-কানাচে ঠেউ খেলে বেড়ালে দীর্ঘশ্বাস ছারল নাজ।
.
বৃষ্টিশেষে সকালের মিষ্টি মধুর স্নিগ্ধ শীতল হাওয়া শরীরে এসে কাঁ’পুনি ধরিয়ে দিয়ে গেলে ঘুম ভাঙলো নাজের। চলন্ত বাস এখনও তাঁর নিজ গন্তব্য খুঁজতে ব্যাস্ত। রাতে অনেকবার জিজ্ঞেস করলেও ওমর তাঁকে উত্তর না দিয়ে ঘুমোবে বলে ঘুমিয়ে যাওয়ায় আর জানা হয়নি নাজের যে, ওমর তাঁকে ঠিক কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। ঘমন্ত ওমরের বাচ্চাদের মতো নিষ্পাপ মুখশ্রী দেখে মা’য়া হলো যেন নাজের। ওমরের কালোরাঙা চুলগুলো কেমন গোছালো ভাবে সাইডে পরে আছে। পরনের সাদারাঙা শার্ট আর জিন্স। হলদেটে ফর্সা তৈলাক্তময় মুখশ্রী যেন নিভৃতে তেজস্বির মতো এসে নাজের হৃদয় শহরে এলোমেলো করে দিয়ে যাচ্ছে। বাসের জানালার কাঁচ ভেদ করে সো-সো শব্দে বাতাস বাহির থেকে ঠেলে বাসের ভিতরে আঁ’ছড়ে দিতে থাকলে মৃদুমধুর শীতল হাওয়ায় ওমরের চুলগুলো কেমন উড়ে-উড়ে বেড়াচ্ছে যেন। হুট করেই বাসের ধা’ক্কানিতে হুঁশে ফিরলো যেন নাজ। এতক্ষণ ধরে সে একটা পরপুরুষকে এতটা কাছ থেকে খুঁ’টিয়ে-খুঁ’টিয়ে দেখেছে! নিজেকে ধি’ক্কার জানালে যেন ল’জ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে নাজের। পরক্ষণেই খেয়ালে এলো সে ওমরের বুকের উপর মাথা ঠেকিয়ে ওমরের কোমর জড়িয়ে শুয়ে ছিল। আর ওমরও একহাত মাথার পেছনে তো আরেক হাত নাজেকে স্পর্শ না করেই সিট দিয়ে আড়াল করে ধরে আছে নাজকে। যেন সে ঘুম থেকে উঠে পরলেই নাজ তাকে রেখে হারিয়ে যাবে। নাজের চোখের কোনে পানি এসে ভর করলো যেন।
— সবকিছু ভাবনা থেকে সরিয়ে ফেললেও স্মৃতি কিভাবে মুছে ফেলব আমি। বলতে পারবেন কি ওমর?
“—মাথাটা সরাবে নাজ। আমার অসস্থি হচ্ছে তোমার জন্যে।” রাদিফের বিরক্তি মিশ্রিত কন্ঠ শুনে দ্রুতগতিতে মাথাটা সরিয়ে নিল নাজ। রাদিফ যেন সস্থির নিশ্বাস ছাড়লে এবার। সেদিন বিয়েটা হয়েছিল তাঁর রাদিফের সাথে। শশুর বাড়ির চৌকাঠ মো’ড়ানোর জন্য যাচ্ছিল নাজ। সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীর মি’য়িয়ে গেলে, বেখেয়ালে রাদিফের কাঁধে মাথাটা কাঁথ করে রেখেছিল নাজ। কিন্তু তাই বলে যে রাদিফ এতটা সিনক্রিয়েট করবে এটা ভাবেনি নাজ। তাঁর পর থেকে একটু দূরে-দূরেই থেকেসে সে রাদিফের কাছ থেকে। শুধু রাতের আঁধারে বিছানায় নিজেকে বি’লিয়ে দেওয়া। আর রাত পোহালে সকলের বাধ্য বৌমা তো কারো ভাবি হয়ে নিশ্বব্দে সবার কথা চুপচাপ শুনে যাওয়া আর রান্নাঘরের এককোনে ঘা’পটি মে’রে বসে থাকাই যেন তাঁর রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিয়ের পর বাড়ি থেকে কোথাও বের হয়েছে কিনা সন্দেহ নাজের। নিজের স্বাদ-আহ্লাদ, সবকিছু যেন জলাঞ্জ’লি দিতে হয়েছিল তাঁকে। রাদিফও তাঁর কোনোদিন খোঁজ খবরও পর্যন্ত জানতে চেয়েছে কিনা, বোধগম্য হলো না নাজের। সাংসারিক জীবনটা যেন তাঁর চার দেয়ালের আড়ালেই সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে সে নিতান্তই একা ছিল। রাদিফের আম্মা সুলেখা বেগম পাশে থাকলেও তিনিও অসুস্থ শরীর নিয়ে খুব একটা পাশে থাকতে পারতেন না নাজের। আচ্ছা সত্যিই কি নাজ রাদিফকে কখনো ভালোবেসেছে? কই, রাদিফের থেকেতো আজ গোটা একটা দিন সে দূরত্বে ছিল। একটিবারও তো রাদিফের জন্য খা’রাপ লাগেনি নাজের। বরং মুক্ত পাখির ন্যায় স্বাধীন ভাবে উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে হ্যা, নিজের আম্মা মেহরুম বেগমের পছন্দের পাএ রাদিফ হওয়ার কারনে রাদিফ তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে বলে নিজের আম্মার জন্য ক’ষ্ট হয়েছে তাঁর। কিন্তু রাদিফ! সেকি আদৌও নাজের জীবনে কোনো ভূমিকায় ছিল। নাকি শুধু কাগজে কলমে একটা স্বামীর চরিত্রে ছিল সে।
— তুমি উঠে পরেছো? দেখোছো আমি কি ঘুমটাই না দিয়ে ফেলেছি আজকে। তোমার নিশ্চয়ই খুদা লেগেছে নাজ। হুট করেই ওমরের কন্ঠ শুনে হুঁশে ফিরলো যেন নাজ। খানিকটা বিভ্রতবোধ করলে ওমর মুচকি হেসে ধীর কন্ঠে বললো।
— ওকেহ। বাড়িতে পৌঁছে একসাথে খাব।
—আমাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
নাজের প্রশ্ন শুনে ওমর ভ্রূদ্বয় কিঞ্চিৎ পরিমান ভা’জ করে নিয়ে হাতে থাকা বিদেশি কালো রাঙা ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে টাইম দেখতে থাকলে হুট করেই বাসটা থেমে গেলে একে-একে সবাই বাস থেকে নেমে পরছে যেন। বৃষ্টি শেষে গগন যেন আরও মেঘাচ্ছন্ন ভাবে থম মে-রে রয়েছে। হয়তো তাঁর শহরের অলিগলিতে ঝড়ে পরা এখনও বাকি রয়ে গেছে। তাই এখনো কালোরাঙা মেঘদ্বয়গুলো আকাশ ছেঁয়ে কেমন উড়ে-উড়ে বেড়াচ্ছে।
—ধরে নেও তোমার সাথে হওয়া অন্যা’য়ের শেষ অথ্যায়টা আমি করে দেব মহারানী। ভালো না বাসলে কি, বন্ধু হয়েতো থাকতে পারবে। তোমার রাদিফকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়ভার আজ থেকে আমার।
ওমরের কন্ঠস্বর শুনে জ’মে গেল যেন নাজ। সত্যিই কি ওমর তাঁকে রাদিফের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সাথে করে নিয়ে এসেছে। কিন্তু নাজতো ওমরের সাথে হলেও সিলেটের মাটিতে আবারও পা রেখেছে, রাদিফকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁর জন্য প্রয়েজন একটা চাকরি…..
চলবে…..
( আসসালামু আলাইকুম। পর্বটা দেরিতে দেওয়ার জন্য দুঃ’খীত। আমি এমনিতেই অসুস্থ ছিলাম৷ তারউপর রমজান মাসে গল্প লেখাও ক’ষ্ট দায়ক। ইনশাআল্লাহ এরপর থেকে রেগুলার হওয়ার চেষ্টা করব। 🥲 হ্যাপি রিডিং।)