যেখানে_দিগন্ত_হারায় #পার্ট_৩২ জাওয়াদ জামী জামী

0
296

#যেখানে_দিগন্ত_হারায়
#পার্ট_৩২
জাওয়াদ জামী জামী

ভার্সিটি থেকে ফিরে রেস্ট নিচ্ছিল আরমান। তখনই ওর ফোন বেজে উঠল। স্ক্রীনে বাংলাদেশের নম্বর দেখে বেশ অবাকই হয়। রিসিভ করতেই অচেনা কন্ঠস্বর সালাম দিল।

” আসসালামু আলাইকুম। ”

” ওয়ালাইকুমুসসালাম। কে বলছিলেন? ”

” আমি লামিয়া। আপনি কি আরমান? ”

” জ্বি। কিন্তু আপনি কে? লামিয়া নামের কাউকে আমি চিনি বলে মনে হচ্ছেনা। ”

” আপনি আমাকে চিনবেননা। আমার বাড়ি দুর্গাপুর। আপনার পাশের গ্রাম। ”

এবার আরমান চমকে গেছে। ওর এই নম্বর হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া আর কেউই জানেনা। দুর্গাপুরের কারও জানার কোন কারনই নেই। এই মেয়ে ওর নম্বর পেল কিভাবে! কৌতূহল দমন করতে না পেরে আরমান প্রশ্নটা জিজ্ঞেসই করে বসল।

” আপনি আমার নম্বর পেলেন কোথায় থেকে? আমাকে কিভাবে চেনেন? ”

” আপনার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে আমি কলেজে যাই, তখনই আপনাকে দেখেছি। আপনার নম্বরটা আপনার ওয়াইফ দিয়েছে। ”

” হোয়াট! মাশিয়া দিয়েছে? আপনাকে কেন আমার নম্বর দিতে গেছে? ও কি আপনাকে চেনে? ” এতক্ষণ শান্ত হয়ে কথা বললেও এবার বেশ রেগে গেছে আরমান। ওর রাগ আঁচ করতে পেরে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা মেয়েটা একটু মিইয়ে যায়। ওর বুক ঢিবঢিব করছে। তবুও মিনমিনে গলায় নিজের পক্ষে সাফাই দিতে চেষ্টা করল।

” আসলে আপনাকে আমার ভিষণ ভালো লেগেছে। আপনার ওয়াইফ সেটা বুঝতে পেরেই, আপনার নম্বর আমাকে দিয়েছে। ” এরপর মেয়েটি একে একে সেদিনের মাশিয়ার বলা কথাগুলো বলল।

সব শুনে আরমান রাগে গজগজ করতে থাকে। মাশিয়ার এমন উদ্ভট কর্মকান্ড ও মানতে পারছেনা। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় এবার মাশিয়াকে কিছু কঠিন কথা বলবে। কিন্তু তার আগে এই মেয়েটাকে পিছু ছাড়াতে হবে।

” আমার স্ত্রী না হয় জেনে-বুঝেই আপনাকে আমার নম্বর দিয়েছে। কিন্তু আপনি আমাকে ফোন দেয়ার ভুলটা করলেন কিভাবে? একজন বিবাহিত পুরুষকে ফোন দেয়াটা ভদ্রতার মধ্যে পরেনা এই জ্ঞানটুকুও আপনার নেই! আবার বলছেন, আমাকে ভালো লেগেছে? এরপর আর কখনোই আমাকে বিরক্ত করবেননা। আমার স্ত্রী আছে। আর স্ত্রী রেখে বাহিরের কোন মেয়ের সাথে কথা বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। ”

মেয়েটিকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই আরমান ফোন কেটে দিয়ে নম্বরটা ব্লক করে দেয়। এরপর ও ফোন দেয় শশীর কাছে। শশী ফোন রিসিভ করলে আরমান মাশিয়ার সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু মাশিয়া আগেই শশীকে বলে রেখেছে, আরমান ওর সাথে কথা বলতে চাইলে শশী যেন আরমানকে বলে দেয়, মাশিয়া কথা বলতে চায়না। বাধ্য হয়ে মা-বোনের সাথে কথা বলেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আরমানকে।

মাশিয়া আর শশী পুরোদমে পড়াশোনা শুরু করেছে। আরমানের আসতে আর দেরি নেই। সাতদিনের মধ্যেই ও দেশে আসবে। মাশিয়ার তৃতীয় সেমিস্টার শুরু হবে আর দশ দিন পরই। আরমান দেশে এসে ওকে নিয়ে আবারও ঢাকা যাবে। মাশিয়ার পরীক্ষা শেষ হলেই আবার গ্রামে আসবে। মাশিয়া বন্ধুদের কাছ থেকে নোটস সংগ্রহ করে পড়ছে। বন্ধুরা ওকে যথেষ্ট হেল্প করছে।

আয়েশা খানম ব্যস্ত হয়ে ছেলের পছন্দের খাবার বানাবেন তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি চালের গুঁড়া করে এনেছেন। পাশের বাড়িতে বলে রেখেছেন হাঁসের জন্য। মাশিয়া পড়ার ফাঁকে ফাঁকে শ্বাশুড়ির কাজকর্ম দেখে হাসে। আয়েশা খানম ছেলেকে প্রচন্ড ভালোবাসেন এটা সে বুঝে। তাই মাঝেমধ্যে শ্বাশুড়িকে এসব নিয়ে উত্যক্তও করে। আয়েশা খানমও হাসিমুখে ছেলের বউয়ের সকল মিষ্টি অত্যাচার সহ্য করেন।

শনিবার রাত আটটার দিকে আরমান বাড়িতে আসল। ওকে পেয়ে আয়েশা খানম খুশিতে কেঁদে ফেললেন। আরমানও মা’কে জড়িয়ে রাখল অনেকক্ষণ। কান্নাকাটির পালা শেষ হলে আরমান শশীর হাতে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দেয়। শশী খুশিমনে ব্যাগ নিয়ে আম্মার ঘরে যায়।

মাশিয়া নিজের ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সব মনযোগ দিয়ে দেখছিল। গত কয়েকমাসে ও আরমানের সাথে একবারও কথা বলেনি। আজ আরমান ওকে কি করবে ভেবেই ভয় হচ্ছে। আরমান আয়েশা খানমের সাথে কথা বলে ঘরের দিকে আসে। দরজার কাছে এসে দেখল মাশিয়া দাঁড়িয়ে আছে। ও মাশিয়াকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল, মাশিয়ার সাথে একটাও কথা বললনা।

” আজব! আমার সাথে কথা না বলেই অসভ্য মাস্টার ভেতরে চলে গেল! ” মাশিয়াও ভেতরে যায়।

আরমান ব্যাগ খুলে কিছু বের করছে। মাশিয়া উঁকি দিয়ে দেখল ট্রাউজার আর টি-শার্ট বের করেছে সে। ধীর পায়ে মাশিয়া বিছানায় গিয়ে বসল।

” হ্যাল্লো মাস্টার, আজকাল বেশি ভাব নিচ্ছেন মনে হয়? মাশিয়াকে মনে হয় চিনতেই পারছেননা! ভেরি ব্যাড। ”

মাশিয়ার গলা শুনে ওর দিকে না তাকিয়েই জবাব দেয় আরমান।

” সিংহীকে ভুলে যাওয়ার সাধ্য কি আমার আছে! তবে আপাতত কিছুক্ষণের জন্য চিনতে চাইছিনা। গোসল করে এসে সবকিছুর হিসাব নিতে বসব। বলতে পার সেজন্যও সাইলেন্ট আছি। ”

” কি..কিসের হিসাব! আমি এখন পড়তে বসব। আমার পরীক্ষার ডেইট দিয়েছে। তাই আমি পড়াশোনা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারছিনা। আপনি যদি বেশি হম্বিতম্বি করেন, তবে আমি আম্মার ঘরে আস্তানা গাড়ব। ”

মাশিয়ার সহজ স্বীকারোক্তি শুনে আরমান এগিয়ে আসল ওর দিকে। আরমানকে দেখে মাশিয়াও উঠে দাঁড়ায়। ওর চোখেমুখে দুষ্টুমি খেলা করছে। আরমান কাছে এসে এক টানে মাশিয়াকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।

” তোমার যত ইচ্ছে হয় পড়। আমি কিছুই বলবনা। শুধু এই রুম থেকে অন্য কোথাও যেতে চাইবেনা। তাহলে তোমার খবর আছে। আমার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করবেনা কখনোই। সেটা তোমার জন্য খারাপ বৈ ভালো হবেনা। ” মাশিয়ার ললাট আরমানের ভালোবাসার উঞ্চ পরশে সিক্ত হয় নিমেষেই। তৎক্ষনাৎ মাশিয়ার কপোল লালাভ আবরনে ছেয়ে যায়। ওর হিয়া প্রকম্পিত হয় অজানা সুখের আবেশে। ওষ্ঠদ্বয়ের সুরেলা ঝংকারে আরমানের কর্ণকুহরে প্রশান্তির ছোঁয়া দেয়।

” কোথাও যাবোনা। কিন্তু মহাশয়, এতগুলো ব্যাগ কেন আপনার সাথে? নিয়ে গিয়েছিলেন একটা ব্যাগ, এনেছেন চারটা। কি আছে এত? ”

” তুমি যেন কার কার জন্য ডাভ সাবান, ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী আরও সব কি কি আনতে বলেছিলে। সেসবই এনেছি। প্রয়োজনমত সবাইকে দিয়ে দিও। ”

আরমানের কথায় মাশিয়া দাঁত দিয়ে জিভ কাটল। ঘুরেফিরে ঐ প্রসঙ্গ আসায় ওর বুক ধুকপুক করছে।

” যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। রাত হয়ে গেছে। আম্মা তার আদরের ছেলের জন্য কতকিছু রান্না করেছে, সেসব ঠান্ডা হয়ে গেলে খেয়ে মজা পাবেননা। আম্মার আদরের ন্যাদা ছেলে বলে কথা। ” মাশিয়া কথাগুলো বলেই খিলখিলিয়ে হেসে উঠল।

দুইদিন পর আরমান মাশিয়াকে নিয়ে ঢাকা চলে যায়। ঢাকায় একমাসের বেশি সময় কাটিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আবারও গ্রামে ফিরে আসে। এবার ওদের সাথে সুধাও এসেছে। মেয়েটা গত কয়েকমাসের মধ্যে এবারই প্রথম গ্রামে আসল। এবারে কল্পনা মোর্তাজা তার মেয়েকে বাড়িতে নেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করলেও মাশিয়া শোনেনি। সে এবারও বাবা-মা’য়ের সাথে ভালো করে কথা বলেনি। দুইদিন মাশিয়ার ভাই মাহিন তার স্ত্রী’কে নিয়ে এসেছিল। ওরাও মাশিয়াকে যাওয়ার কথা বলেছে কিন্তু মাশিয়া রাজি হয়নি। আরমান সব শুনে প্রতিবারের মত এবারও চিন্তায় পরে যায়। মাশিয়ার এহেন আচরণের জবাব খুঁজে পায়না কিছুতেই। সেই সাথে বুঝতে পারেনা মাশিয়ার মতিগতি।

” আম্মাআআআ, আপনার এত সুন্দর সুন্দর শাড়ী আছে? এটা বেশি সুন্দর। ডিপ পার্পলে বোধহয় আপনাকে খুব মানাত। ”

আয়েশা খানম আলমারি খুলে কিছু একটা বের করছিলেন। তখনই মাশিয়া ঘরে ঢুকল। সে আয়েশা খানমের কাছে এসে দাঁড়ায়। ওর চোখ যায় আয়েশা খানমের শাড়ীর দিকে। সুন্দরভাবে সাজানো রয়েছে শাড়ীগুলো। তারই মধ্যে ডিপ পার্পল কালারের শাড়ীতে চোখ আটকে যায় মাশিয়ার। ও বের করে আনল শাড়ীটা। নেড়েচেড়ে দেখছে আর মুগ্ধ হচ্ছে।

” তোমার শ্বশুর আনছিল ঢাকা থাইকা। বারো-তেরো বছর আগে। ” হুট করেই অতীতে ডুব দিলেন আয়েশা খানম। অতীতের স্মৃতি রোমন্থনে মগ্ন হলেন।

” আব্বার পছন্দ ছিল বলতে হবে। আব্বা জানত তার সুন্দরী বউকে কোন কালারে মানাবে। দূর্ভাগা আমি আব্বাকে দেখতে পেলামনা। ”

মাশিয়ার কথায় হাসলেন আয়েশা খানম।

” এই শাড়ীডা পরলে তোমারেও সুন্দর লাগবো। আইজকা শাড়িডা পইরা আমারে দেখাওতো। আমার পোলায়ও খুশি হইব। হেয় শাড়ী পছন্দ করে। ওর জন্যই আমি এহনও শাড়ী পইরা থাকি। আমার বইনেরাও সালোয়ার কামিজ পরে। কিন্তু আমি আরমানের জন্য ঐসব পরবার পারিনা। ওর একটাই কতা ‘ শাড়ীতেই নারী ‘। শাড়ী না পরলে নাকি আমারে ওর আম্মার মত লাগবনা। ”

মাশিয়া আয়েশা খানমের কথা অমান্য করতে পারলনা। ও শাড়ীটা নিয়ে বেরিয়ে আসল ঘর থেকে।

রাতে আরমান সবেমাত্র নিজের ঘরে ঢুকেছে। লোডশেডিংও হয় ঠিক তখনই। অন্ধকার থেকে বাঁচতে ফোনের টর্চ অন করতেই নজর যায় ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়ানো মেয়ের দিকে। অন্ধকারে সে হাড়তে কিছু একটা খুঁজছিল।

আরমান ফোনের আলোয় মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে এক অপ্সরাকে। ডিপ পার্পল কালারের শাড়ীতে তাকে মোহনীয় লাগছে। ওর তনু-মন সকল বাঁধ ভাঙ্গতে চাইছে। নিষিদ্ধ কিছু ইচ্ছেরা তোলপাড় করে চলেছে ওর শিরা-উপশিরায়।

আলোর সন্ধান পেয়ে মাশিয়া সোজা হয়ে দাঁড়ায়। সামনের মানুষটাকে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মুচকি হেসে তার কাছে এগিয়ে যায়।

” আজকে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকার পণ করেছেন নাকি? ”

” উঁহু, আজকে কোন পণ করে নিজেকে শাস্তি দিতে ইচ্ছে করছেনা মোটেও। আজকেতো সব পণ ভেঙে গুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। চোখের সামনে, নিজের ঘরে এমন লাস্যময়ী কারও অস্তিত্ব থাকলে কোন সাধু পুরুষই কোনও পণ করতে পারবেনা। তারা ধ্যান ভঙ্গ করে সেই রমনীকেই কামনা করে কায়মনে। যেমন কামনা করছি আমি। ” আরমানের ঘোর লাগা গলা শুনে মাশিয়ার গলা শুকিয়ে গেছে শরীরে হালকা কাঁপন অনুভব করছে।

” শুধু কামনা করেই যান। এমন ব্রহ্মচারী হয়ে থাকলে অপ্সরা কেন কোন পেত্নীও থাকবেনা, যে যতই দেবালয়ে থাকুকনা কেন। ” ততক্ষণে আরমান মাশিয়াকে নিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেছে। বন্ধ করেছে দরজা। ও মাশিয়ার মনোভাব জানতে পেরেছে। আরমানকে দরজা বন্ধ করতে দেখে মাশিয়া সবিস্ময়ে বলল,

” একি! দরজা বন্ধ করলেন কেন? আম্মা আপনাকে ডেকেছিলেন। কিছু একটা বলবেন। ”

” উহু, এখন কোন কথা শুনতে চাইনা। বউয়ের যখন স্বামীর বহ্মচারী হওয়া নিয়ে আপত্তি, তখনতো এসব ঘোচাতেই হয়। পুরুষের বহ্মচারী হতে নেই কি বল? এতে নিজের ক্ষতি আবার বউয়েরও ক্ষতি। একজন আদর্শ পুরুষ কোন অবস্থাতেই তার বউয়ের ক্ষতি হতে দিতে পারেনা। আর আমিও আদর্শ পুরুষদের দলেই পরি। ” আরমান এক ঝটকায় মাশিয়াকে কোলে তুলে নেয়। আরমানের এমন কাজে লজ্জায় আরমানের বুকেই মুখ লুকায় মাশিয়া। আরমানের শরীরের পুরুষালী গন্ধে ওর দেহ অবসন্ন হয়ে যায়। পেটের ভিতর হাজারো প্রজাপতি ওড়ার অনুভূতি হচ্ছে। পিপাসায় ফেটে যাচ্ছে বুক। এ এমন পিপাসা যেন দুনিয়ার সকল পানিতেও এই তৃষ্ণা মিটবার নয়। দম বন্ধ হয়ে আসছে আবেশে।

আরমান মাশিয়াকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর শরীরে নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দেয়। আরমানকে নিজের এত কাছে পেয়ে মাশিয়া দুই হাতে মুখ ঢাকল। আজ হঠাৎই ওর লজ্জা লাগছে।

আরমান মাশিয়ার মুখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে দেয়।

” সিংহী এত লজ্জা পাচ্ছে কেন! তাকে এমন লজ্জা পেতে আগে কখনই দেখিনি। ”

” আগে কখনোই অসভ্য মাস্টার সিংহীর শরীরে হুমড়ি খেয়ে পড়েনিতো তাই। ” খিলখিলিয়ে হাসছে মাশিয়া।

” কেন ভালো লাগছেনা? ” মৃদু গলায় জানতে চাইল আরমান।

” হুঁ। ”

মাশিয়ার সম্মতি পেয়েই ওর কোমল ওষ্ঠে ওষ্ঠ রাখল আরমান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাশিয়া আরমানকে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে মুক্ত করেই হেসে। ওর এমন কাজে আরমান স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে মাশিয়ার দিকে। ও বুঝতে পারছেনা মাশিয়া কেন এমন করল।

হাসি থামিয়ে মাশিয়া বলল,

” সুড়সুড়ি লাগছিল, অসভ্য মাস্টার। সুড়সুড়ি না দিয়ে চুমু খেতে পারেননা বুঝি? ”

” তবে রে ফাজিল মেয়ে। ” আরমানের লক্ষ্য মাশিয়ার ঠোঁট। এবারেও মাশিয়া মুখ সরিয়ে নেয়। আবারও আরমান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় মাশিয়ার দিকে।

” আরেকটা কথা, থুথু যেন না লাগে। সুড়সুড়ি এবং থুথুবিহীন চুমু চাই আমি। ”

আরমান এক হাতে কপাল চাপড়ায়।

” আমার কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য তোমার শাস্তি পাওনা হয়েছে। আর সেটা হলো, সুড়সুড়ি এবং থুথুযুক্ত চুমু। ”

মাশিয়াকে আর কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে শক্ত বাঁধনে বেঁধে নেয় আরমান।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here