প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [৩১] প্রভা আফরিন

0
381

প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [৩১]
প্রভা আফরিন

ধুলো ওড়ানো হাওয়াকে নিস্তেজ করে যেভাবে শ্রাবণ মেঘের বর্ষণ নামে, তেমনই মেহযাবীনের সমস্ত উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, ক্ষোভকে নিস্তেজ করে দিলো শুধু একটি কবুল। একটা শব্দের জোর এত বেশি হয়? নাকি মস্তিষ্কের বশ্যতাই মনের ওপর জোর দেখায়?
বৃষ্টির ঝিরিঝির ফোটায় ধুলো ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গেলেও বিলাসী গাছের পাতায় কাঁপন তোলে বৃষ্টির ছন্দ। তেমনই যাবীনের বুক কাঁপছে। একটা সই করতে হাত কাঁপছে। নিজের নামটা এতটা বড়ো কোনোদিন মনে হয়নি তার। লেখা এতটা বিশ্রী মনে হয়নি। কাঁপতে থাকা হাতের সঙ্গে কলমের আঁচড়ও রুক্ষ হয়ে উঠছে। পালিয়ে যাওয়ার শক্তিটুকু যেন সন্ধ্যার আলোর মতোই বলহীন। প্রতিবাদ করার কণ্ঠটাকে কেউ সমুদ্রের তলদেশে চেপে ধরেছে। হাঁসফাঁস করছে, অথচ কোনো শব্দ কণ্ঠ থেকে বের হচ্ছে না। এমন বিচিত্র অনুভূতির সঙ্গে এই প্রথম সাক্ষাৎ শেখ বাড়ির রাজকন্যার। একটা সইয়ের ব্যবধানে উপস্থিত ব্যক্তিগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক বদলে গেল। কীভাবে বদলালো! অদৃশ্য সুতোটা কে নাড়ছে এখানে? ধর্মীয়, সামাজিক ও মানসিক স্বীকৃতি! তাই তো! ধর্ম যা বিধান করে, সমাজ যা প্রচলন ঘটায় এবং মন যা মেনে নেয় তার ওপরই তো সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কিন্তু এখানে সামাজিক ও ধর্মীয় স্বীকৃতি মনের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। যা মন মানতে চায় না তাও দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে ফেলতে হয়। ভাগ্য, পরিবার কিংবা পরিস্থিতির ওপর অভিমান করেই যেন সে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। তপ্ত জলের ফোঁটা গাল বেয়ে ভিজিয়ে দিলো নির্মেদ চিবুক।

নিশান্ত ঠিক তার পাশেই বসে আছে। দেহের দূরত্ব একহাত সমান। মনের দূরত্ব পরিমাপ করা দুঃসাধ্য। উপস্থিত সকলে যখন মোনাজাত শেষে নবদম্পতিকে দোয়া দিতে ব্যস্ত তখন মেহযাবীনকে বিমূঢ় করে দিয়ে তার পেলব, নিদাগ হাতটা বেদখল হলো নিশান্তের শক্ত হাতের ভাজে। সেই স্পর্শে না আছে কোনো জড়তা, না দ্বিধা। মেহযাবীন ঝট করে ঘাড় ঘুরাল। চোখের তারায় ভেসে উঠল সদ্য বিবাহিত স্বামীর শান্ত, অবিচল মুখ। অধিকারের প্রতাপ সেখানে সূর্যের মতোই তেজিয়ান। যেন দুর্লভ বস্তু লাভের তৃপ্তি তার মুখশ্রীকে দীপ্তিময় করে তুলেছে। মেহযাবীন হাত ছাড়াতে মোচড়ামুচড়ি করে। তাতে সামান্যতম বিকার ঘটে না পুরুষটির। পাহাড়ের অটল পাথরের মতো আসর ভরা মানুষের সামনে তার হাতটাকে শক্ত বাঁধনে আবদ্ধ করে রাখে। মেহযাবীনের মনে হঠাৎ ভয় ঢুকে গেল। লোকটা তার স্বামী হয়ে গেছে বলে এখন বাকিসব পুরুষদের মতোই তার ওপর অধিকার দেখাবে! কক্ষনো নয়। বিয়ের আগে তার মত জানার সামান্য চেষ্টাও যে করেনি তার কাছে নিজেকে কখনো তুলে দেবে না ও।

উৎসাহ পেয়ে শোভা ও অনন্ত নবদম্পতির কিছু ছবি তুলে নিল। সবগুলো ছবিতেই বিয়ের কনে মুখ নামিয়ে কান্নারত ছিল। শোভা একবার বলেই ফেলল,
“মনে হচ্ছে আপুকে তুলে এনে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটু হাসো না। এই দিন কী আর ফেরত পাবে? ভবিষ্যতে আফসোস করবে।”

মেহযাবীন বিড়বিড় করে বলল, “আফসোস অবশ্যই হবে। ছবি তোলার জন্য নয়, তোর ভাইকে বিয়ে করার জন্য।”

নিকটে অবস্থানরত নিশান্ত শুনে ফেলল কথাটা। কিংবা তাকে শুনিয়েই বলা হলো। বলাবাহুল্য, ওর গায়ে লাগল কথাটা। নিশান্তের তেড়িয়া রাগ ব্যতীত আর কোনোকিছু নিয়েই কারো অভিযোগ নেই। রাগও যে সে অহেতুক দেখায় এমনটাও নয়। এক ভ্রু উঁচিয়ে দম্ভের সঙ্গে বলল, “রিয়েলি! সংসার করার আগেই সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছো?”

‘খুব সাধ না সংসার করার! ঘুচিয়ে দেব একদম।’ কথাটা বলতে নিয়েও মেজাজ সামলালো যাবীন। দাঁতে দাঁত চিপে বলল,
“কিছু জিনিস পূর্বাভাস দেখেই বোঝা যায়।”

“আর কিছু জিনিস প্রকট হলেও স্পষ্ট চোখে দেখা যায় না, মন থেকে না চাইলে বোঝাও যায় না। কোনোদিন হয়তো সত্যিই আফসোস করবে। শুধু কারণটা হবে হৃদয়গত।”

যাবীন দমে যেতে চাইল না। নিজেকে কোনোভাবেই অসহায় প্রমাণ না করার জেদ চেপেছে মনে। ক্ষোভিত চাপা স্বরে আওড়াল, “কী বলতে চান? আপনার প্রেমে পড়ে যাব?”

“হু নোজ? পড়তেও পারো। মনকে তো বেধে রাখা যায় না।”

“আপনার ওপর! কোনোদিন হবে না।” মেহযাবীন মুখ ঝামটে চোখ সরালো।

নিশান্ত ধারালো হাসিটা ঠোঁটের কোণে এঁটে ঘাড় নুইয়ে বলল, “চ্যালেঞ্জ নিচ্ছো? একঘরে বসবাস করে রক্ষা করতে পারবে?”

মেহযাবীন তার জলে ভাসা চোখদুটি তুলে চাইল। নিশান্তের নিরেট চোখের মণিতে কী ছিল সে জানে না, বুকের বাঁ পাশের মাংসপিণ্ডটা যেন দুরুদুরু করে উঠল। যেখানে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্কই নেই, নেই কোনো আবেগ কিংবা আকর্ষণ সেখানে চ্যালেঞ্জের কথা কীভাবে চলে এলো! ঠিক তখনই অনন্ত কয়েকটা ক্লিক করে লাফিয়ে উঠে বলল,
“পারফেক্ট ক্যান্ডিড! চোখে চোখ রেখে কি সুন্দর লাগছে দুজনকে! এই ছবি বাঁধিয়ে তোদের বেডরুমে টানিয়ে রাখবি আর আমার প্রশংসা করে একঢোক পানি বেশি খাবি।”

দুজনের চাপা রেষারেষি সে যাত্রায় ভণ্ডুল হলো। ছবি তোলা শেষে যাবীনের হাতটা নিশান্ত যথাস্থানে ফিরিয়ে দিলো। ইশারায় জাওয়াদকে এককোণে ডেকে নিশান্ত উঠে গেল পাশ থেকে। জেদি পরিণীতার দিকে আড় দৃষ্টি রেখে সম্বন্ধীকে বলল,
“তোর বোনের ফোনটা চেয়েছিলাম।”

জাওয়াদ সঙ্গেই রেখেছিল ফোনটা। এগিয়ে দিতেই নিশান্ত সেটা নিজের জিম্মায় লুকিয়ে ফেলল। বলল, “আজ যেন ও কোনোভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার নাগাল না পায়।”

জাওয়াদ চিন্তিত স্বরে বলল,
“তোর প্ল্যানটা কী?”

“আপাতত নিশ্চিত হতে হবে সত্যিই মেহযাবীনকে ট্র‍্যাক করা হচ্ছে কিনা। কিছুক্ষণের মাঝেই আমি বেরিয়ে যাব। এরপর ওর সোশ্যাল একাউন্ট থেকে একটা পোস্ট করা হবে। যদি আমার অনুমান সঠিক থাকে তবে ফোনটা ট্রেস করে কেউ নিশ্চিত সেখানটায় পৌঁছাবে। আমি সামনে থেকে সেই বান্দার নেক চেহারা দর্শন করতে চাই।”

“আর আমরা যাকে খুঁজছি তার কী হবে? লোকটাকে না পেলে দেশ ছাড়াটা আমার জন্য নেহাৎ বোকামি হয়ে যাবে। কারণ আমার অবর্তমানে ওরা ফাঁকা ময়দানে গোল দেবে। দূরে থেকে হাত কামড়ানো ছাড়া কিছুই করতে পারব না।”

নিশান্ত কোনো জবাব দিতে পারল না। শুধু তার কপালের ভাজ জানান দিলো চিন্তা তারও কম নয়। জাওয়াদের ফ্লাইটের মাত্র পাঁচ দিন বাকি। নিশান্তের সময় আরো কম। অপারেশনের মাত্র তিন দিন বাকি। এরপর সে আউট অফ টাউন হয়ে যাবে।
________________

দিলশান ক্লিনিকে পেশেন্ট দেখতে ব্যস্ত ছিল। সন্ধ্যার পর ভিড়টা একটু বেশিই হয়। এ সময় অন্যদিকে মন দেওয়ার ফুরসত নেই। তবুও সতর্ক মনের সংকল্প ছুটে যাচ্ছে। ফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। ‘মিনি মনস্টার’ স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নামটা দেখে রিসিভ করার ইচ্ছে উবে গেছে তার। কিন্তু বিপরীতের নারী বড়োই বেপরোয়া। যা বলতে ফোন করা তা না জানিয়ে ছাড়বেই না। দিলশান বিরক্ত হয়ে ফোন রিসিভ করতেই স্পিকারে ভেসে এলো চঞ্চলা নারীর অধিকারসুলভ বাক্য,
“আপনি ফোন ধরছেন না কেন? এসিস্ট্যান্ট ময়দাসুন্দরী মেয়েটার সঙ্গে বুঝি বিজি?”

দিলশান পেশেন্টের সামনে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখল। পুচকে মেয়ে তাকে টিজ করছে এ কথা কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। সরে এসে চাপা কণ্ঠে বলল, “এসব কী ধরনের কথা, শোভা? ময়দাসুন্দরীর সঙ্গে বিজি বলে কী বোঝাতে চাইছো?”

“ওহ! আমি তো ভুলেই গেছি আপনি বোঝেন কম। বেশি বুঝলে আমাকে কষ্ট করে সিঙ্গেল থাকা লাগত না। এক বাচ্চার মা হয়ে যেতাম। ফোন করে বলতাম বাবুর ডায়পার শেষ ফেরার পথে নিয়ে এসো।”

দিলশানের কাশি উঠে গেল। মেয়েটির জবানে কোনো লাগাম নেই!
“তোমার চিন্তাভাবনা ভীষণ ডার্টি। নিজেকে পবিত্র করো, বুঝেছো?”

শোভা অবাক গলায় বলল,
“আই হেইট ইয়োর মাইন্ড। এখানে ডার্টির কি দেখলেন? বিয়ের পর আপনি বাচ্চার বাবা হবেন না? সেই বাচ্চার মা আমি হবো এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। নাকি বিয়ে না করে সন্ন্যাসী হবার প্ল্যান আছে? দেখুন আমি কিন্তু বেশিদিন অপেক্ষা করতে পারব না। বড়ো ভাইয়ার ব্যাবস্থা হয়ে গেল বলে। এরপরই আমার পালা। সো বি রেডি।”

“শোভা প্লিজ! আমি ক্লিনিকে আছি। পেশেন্ট অপেক্ষা করছে। তোমার অহেতুক আলাপ শোনার মুডে নেই।”

শোভা আবারো আগের কথার সূত্র ধরে বলল,
“আপনার একটা এসিস্ট্যান্ট আছে না, কী যেন নাম… সাবিনা! মুখের ওপর দুই ইঞ্চি পরিমাণ ময়দা মেখে আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করে। মেয়েটার নিয়ত ভালো না।”

“তুমি কী করে জানলে?”

‘আমিই তো জানব। ভবিষ্যত স্বামীকে পাহারা দিতে হবে না? তার চরিত্র ঠিক রাখতে হবে। চরিত্রহীন কাউকে তো আর বিয়ে করতে পারি না। আপনি খবরদার সাবিনার দিকে তাকাবেন না। নয়তো চোখ গেলে দেব। লোকে বলবে আমার বর কানা। তাতে সমস্যা নেই। আমাকে না দেখলে কাউকে দেখা লাগবে না।”

“কী সাংঘাতিক! তুমি আমাকে থ্রেট দিচ্ছো?”

“সতর্ক করছি। আর যদি চোখ বাঁচাতে চান শুধু আমার দিকে তাকাবেন। ন্যাচারাল বিউটি দেখলে চোখের জোত্যি বাড়ে। আপনি তো আবার চশমাওয়ালা চোখের ডাক্তার। সুতরাং আমি আপনার চোখের ও মনের আরাম।”

মেয়েটির উদ্ভট সব কথায় দিলশান হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারছে না। তবে নিজের জন্য কারো এমন পাগলামি দেখে পুরুষোচিত মন একটু গর্বিত হয় বৈকি! বিদ্রুপের সুরে বলল, “বাহ! ন্যাচারাল বিউটি দেখেই যদি চোখের সমস্যা কমে যায় তাহলে কষ্ট করে ডাক্তারি পড়লাম কেন? তো এই সাইন্স তোমায় কে শেখালো? কবি শোভানন্দ?”

শোভা বিগলিত হয়ে পড়ল, “হ্যাঁ, শোভানন্দ আমার লাভগুরু। কিছুদিন ধরে আমি আপনার বিরহে আছি দেখে সে বলেছে আপনাকে জ্বালাতে। আপনার ধমকে যে আত্মিক শান্তি আছে তা আমার চাঁদের বুড়ির শাসনেও নেই।”

দিলশান কুটিল হেসে বলল, “শোভা, এতক্ষণ সময় নষ্ট করে তোমার বাজে কথা কেন হজম করলাম বলো তো?”

শোভা সবজান্তার মতো বলল,
“কারণ আপনি মনে মনে আমাকে পছন্দ করেন। মুখে স্বীকার করেন না।”

দিলশান আবারো হাসল, “আমি যদি বলি তোমার চাঁদের বুড়ির কাছে তোমার এই মনস্টার রূপটা ফাঁস করে দেওয়ার প্রমাণ পেয়ে গেছি!”

“কীভাবে?”

‘কল রেকর্ড।”

শোভা সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দিলো। লাইনচ্যুত হতেই দিলশান নীরব হাসিতে মেতে উঠল। তর্কে এই মেয়ের সঙ্গে কিছুতেই পারবে না সে। তাকে দমাতে চাই কৌশল। বুদ্ধি করে চতুর শোভাকে মাত দিতে পেরে নিজের পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে হলো দিলশানের।
_______________

রাত নয়টায় যাবীনের একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। হ্যাশট্যাগ লোনলি, হ্যাশট্যাগ সেল্ফ কোয়ালিটি টাইম দিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সে নিজেকে সঙ্গ দিতে একাকিত্বকে বেছে নিয়েছে। এখন সাড়ে নয়টা বাজে। নব বিবাহিত বর রোডসাইড কফিশপের কাচের দেয়াল ঘেঁষে বসে কফিতে সিপ নিচ্ছে। হিসেব মতো আজ নিশান্তের বাসর রাত। আর সে নতুন বউ ফেলে বউয়ের ফোন নিয়ে শত্রু খুঁজতে বসে আছে। বাসর! হাহ! বিয়ের যে নমুনা তাতে বাসর শব্দটা প্রহসন বৈ কিছুই নয়। তারচেয়ে বউয়ের শত্রু খোঁজাটাই আজ রাতে বেশি রোমাঞ্চকর কাজ। যাবীনকে এখনই বাড়িতে নেবে না ও। আগামীকাল থেকে জাওয়াদ-শাওনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। সমস্ত উৎসবের শেষে জাওয়াদ দেশ ছাড়ার আগে বোনকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবে। তবে শ্বশুরমশাই অফার করেছে নিশান্ত চাইলে শেখ বাড়িতে থাকতে পারে। সে কথায় বউ নামক প্রাণীটা মনে মনে তাকে কয়েকবার কাঁচা চিবিয়ে খেয়েছে বুঝতে বাকি নেই।

নিশান্ত কফিতে চুমুক দিয়ে যাবীনের সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটতে থাকে। সে যদি জানে নিশান্ত তার একাউন্ট দখল করেছে তাহলে আরেকদফা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। নিশান্ত সময় দেখল। দশটা বাজতে চলল অথচ সন্দেহজনক কিছুই চোখে পড়ল না। আরো কিছুক্ষণ বসে থেকে সে যখন বিরক্ত হয়ে উঠল তখনই গ্লাসের বাইরে একটি প্রাডো গাড়িতে নজরবিদ্ধ হলো। গাড়ি থেকে নামা ব্যক্তিটিকে দেখে তার নজর তীক্ষ্ণ থেকে বিস্ময়কর হতে থাকে।

চলবে…
রমজান মাস, কখন লিখব কখন দেব সব তালগোল পাকিয়ে গেছে। এরমাঝে আমার খুব প্রিয় ছোটোবোন হাসপাতাসে ভর্তি। মন মেজাজ কিছুই ঠিক নেই। একটু দোয়া রাখবেন মেয়েটির জন্য। আর গল্প দেরিতে এলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here