প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [২৮] প্রভা আফরিন

0
452

প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [২৮]
প্রভা আফরিন

বিয়ে! যৌবনে পদার্পণ করা প্রতিটি স্বাভাবিক মানুষের মনেই বিয়ে নামক শব্দটির একটি আলাদা প্রভাব রয়েছে। সামাজিক নিয়ম হোক কিংবা পারিবারিক বা জৈবিক কারণেই হোক, প্রতিটা মানুষের মনেই বিয়ের একটি আলাদা স্বপ্ন বা বাসনা চিত্রিত আছে। যৌবন হলো সেই মহিমান্বিত সময়। যখন একজন ব্যক্তিকে নিজের ক্যারিয়ার গোছাতে হয়, পাশাপাশি বিয়ে করে সংসার নামক নতুন একটি বন্ধনে জড়াতে হয়। যুগে যুগে এভাবেই সমাজে বৈধ ও শালীন সম্পর্কগুলো তৈরি হয়ে আসছে। মেহযাবীনও সেই গড়পড়তা মানুষের কাতারেই পড়ে। যৌবনে পদার্পণ করে তার অন্তরও বিয়ে নিয়ে সুক্ষ্ম কিছু স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। তার মনে একটি সুখরাজ্য রয়েছে। যার নাম প্রেমনগর। সেই শূন্য রাজ্য একজন প্রণয়কুমারের প্রতিক্ষায় যৌবনের প্রতিটি দিন অতিবাহিত করছে। কিন্তু তাই বলে আকস্মিক সেই রাজ্যে অচেনা দস্যু আক্রমণ ঘটিয়ে রাজার আসন দখল করবে তা সে ভাবেনি। বলা নেই কওয়া নেই সেই সত্তোর-আশির দশকের মতো হুট করে ঘুম থেকে উঠে শুনছে বাড়ির বাতাসে তার বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে। একবিংশ শতাব্দীর একটি আধুনিক ও উন্নতমনা পরিবারে দাঁড়িয়ে এহেন পরিস্থিতি প্রহসন নয় কি! যেখানে ভাইয়ার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এখনো শেষ হলো না সেখানে তার বিয়ের কথা উঠল ঠিক কোন কারণে মেহযাবীন জানে না। তবে কারণটা যে গুরুতর কিছু তা ওর বিবেকবোধ সম্পন্ন মস্তিষ্ক ঠিকই বুঝতে পারছে। একটা অন্ধ রাগও মনের প্রাচীরে পেরেক ঠুকছে প্রতিনিয়ত। বাবা-মা কেন তার সঙ্গে আলাপ করল না? তার মতের কী কোনো মূল্য নেই? কেন নিজেরা নিজেরাই দরজা বন্ধ করে আলাপ করছে? কেন ভাইয়া এতটা মরিয়া তাকে পাত্রস্থ করতে?

শাওনকে গতকাল বাড়ি যেতে দেয়নি জাওয়াদ। নিশান্ত যখন মেহযাবীনকে পৌঁছে দিতে আসে তখন নিজের করণীয় স্থির করে সে শাওনকে থেকে যেতে বলে। তাতে কনের বাড়ির লোকেরা বিরক্ত হলেও মেহযাবীনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে এই মুহূর্তে শাওনের সাহচর্য প্রয়োজন। শাওন নিজেও জানে না কেন হঠাৎ একমাত্র ননদ ও বন্ধুর বিয়ের কথা উঠল। ওর ক্যারিয়ার নিয়ে স্বয়ং শাশুড়ি মা পর্যন্ত সিরিয়াস ছিলেন। মেয়েকে ব্যবসায় দাঁড় করানোর পরিকল্পনাও ধীরে ধীরে সাজাচ্ছিলেন। তাহলে কী এমন হলো যে সুমা বেগমও থমথমে মুখ করে আছেন! কোনো প্রতিবাদ করছেন না। ব্যাপারটা অতীব সন্দেহজনক।
স্ত্রীর মনোভাব ধরতে পেরেও জাওয়াদ গত রাতে কোনো কথা বলেনি। মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে এসে শাওনকে খাটে বসিয়ে নিজে মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে স্ত্রীর দুই হাত ধরে বলেছে,

“আমাকে বিশ্বাস করো, শানু?”

“নিজের চেয়েও বেশি, জাদ।”

“কারণ?”

“আমি দায়িত্ব জ্ঞান সম্পর্কে যথেষ্ট পারদর্শী নই। তুমি দায়িত্বশীল, বিচক্ষণ এবং অকপট। কাজেই আমি আমাকে পুরোপুরি ভরসা করতে না পারলেও তোমাকে করি।”

“তাহলে গতকাল থেকে দেখা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ভুল ধারণা মনে পুষে রেখো না। শুধু জেনো, আমি যা করছি ভালোর জন্যই করছি।”
জাওয়াদ ইচ্ছে করেই শাওনকে কোনো ঘটনার আভাস দিলো না। এখন তাদের দুজনের জীবনের সবচেয়ে মিষ্টি ও মধুর সময় চলছে। জাওয়াদ চায় না এর মাঝে অন্য কোনো দুশ্চিন্তা তার নবপরিণীতাকে বিচলিত করুক। এমনিতেই আমিন নামক অতীতের যাতনায় সে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। নতুন চিন্তা না-ই বা দিলো। জার্মানি থেকে হানিমুন পর্ব সেরে এসেই ধীরে ধীরে সব খোলাসা করবে নাহয়। সুখকে যতটা প্রলম্বিত করা যায় ততই স্বস্তি। কিন্তু মিহা! একমাত্র বোনকে সে কীভাবে মানাবে? একই প্রশ্ন শাওনের মাথায় এলো,

“যাবীন কী মানবে?”

“উই হ্যাভ নাথিং টু ডু। মানাতে হবে। আমরা ওর ভালো চাই এটুকু সে নিশ্চয়ই মানে। তুমিও বলেছো ওর কোনো পছন্দ নেই। তাহলে আমাদের পছন্দকেই গ্রহণ করতে হবে। তবুও আরেকবার কথা বলো। আপত্তির কারণগুলো আইডেন্টিফাই করো।”

“আর পাত্র? বর কে হবে সেটাই তো মূখ্য।”

“শুধু বর নয়, বীর চাই আমাদের। যে আমার বোনকে শক্ত বর্মের ভেতর সুরক্ষিত রাখতে পারবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে ওকে আগলে রাখতে পারবে। একইসাথে হবে দায়িত্ববান, ব্যক্তিত্ববান এবং অবশ্যই শেখ বাড়ির যোগ্য জামাই। তোমার কী মনে হয়? মিহাকে আগলে রাখার মতো এমন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পাত্র কে আছে চোখের সামনে?”

জাওয়াদ ভ্রু নাচাতেই শাওন মুখ ফসকে বলে উঠল, “বড়ো ভাইয়া!”
______________

টুং করে ফোনের নোটিফিকেশন বাজতেই নিশান্তের মস্তিষ্ক সচেতন হলো। ঢাকার বাইরে থেকে তার ডাক এসেছে। সময়ের হিসেব করে দেখল শাওনের রিসেপশনের দিনই তাকে বেরিয়ে পড়তে হবে। সিক্রেট টিমের হয়ে এটিই হবে তার প্রথম অপারেশন। যদিও তা আনঅফিশিয়াল হিসেবে গন্য হবে। কেননা সে এখনো টিমে জয়েন করেনি। বলা যায় তার যোগ্যতা যাচাই করতেই ব্রিগেডিয়ার সাহেব একটা বিশেষ সুযোগ করে দিচ্ছেন।
এই অপারেশনেই টিমের সুনজরে আসতে হবে ওকে। ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দ্য বেস্ট ইমপ্রেশন। আর নিশান্ত তা কোনোমতেই হাতছাড়া করবে না। অবশ্য সে কোনো সুযোগকেই হাতছাড়া করতে নারাজ। এই সপ্তাহের প্রতিটি দিনই তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা ক্ষণ তাকে কাজে লাগাতে হবে।

সকালে বাবার সঙ্গে একান্ত আলাপে নিশান্ত ভেঙে জানিয়েছে তার অপারেশনের কথা। এ-ও বলেছে, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী সে এখন ফিট। শুধু ভারী কিছু বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সামনেই মেজর র‍্যাংক লাভের সুবর্ণ সুযোগ ওকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তাই নিশান্ত আর ছুটি প্রলম্বিত করবে না। বাড়ির সবাই যেন ধরেই নেয় নিশান্তের হাতে এই সপ্তাহটাই শুধু সময় আছে। আর এ কয়দিনের মাঝেই সে বিয়ে করবে। উঁহু, কোনো আংটি বদল নয়। সরাসরি বিয়ে। নতুবা পরবর্তীতে কখন সময় হবে সে বলতে পারছে না। নিজেকে পুরোদস্তুর টাইট শিডিউলে বেধে ফেলেছে।

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সাহেব ছেলের এহেন কথায় যেন আকাশ থেকে পড়লেন। এক সপ্তাহের মাঝে বিয়ে! এ কেমন প্রহসন! সবে বড়ো মেয়েটার বিয়ে হলো। বড়ো ছেলের বিয়ে আরো জৌলুশের সঙ্গে হবে। নিশান্ত সে কথায় আপত্তি তুলে সাফ সাফ জানিয়ে দিলো,
“আমি কোনো ধুমধাম আয়োজন চাইছি না, বাবা। ছোটো করে শুধু পরিবার নিয়ে আকদ হবে, দ্যাটস ইট। দরকার হলে আপনারা বিষয়টি লিক করবেন না। পরবর্তীতে আমাদের সময় বুঝে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সামাজিকতা রক্ষা করবেন।”

“কনের পরিবারের প্রিপারেশনের একটা ব্যাপার আছে তো। শিলার পরিবারের ওপর এভাবে চাপিয়ে দিতে পারি না।”

“শিলা নয়।” নিশান্ত সঙ্গে সঙ্গে বিরোধ করল, “আমি তাকে অর্ধাঙ্গিনী করতে মনস্থির করতে পারিনি।”

“তাহলে কাকে পেরেছো?”

“মেহযাবীন শেখ।” দৃঢ় গলায় জবাব দিলো নিশান্ত। সঙ্গে এ-ও যুক্ত করল, “বাড়িতে বিষয়টা জানানোর আগে আপনি একবার সুলতান আঙ্কেলের সঙ্গে দেখা করুন। আমার মনে হয় আপনাদের বন্ধুত্বে গ্যাপ এসেছে। সেটাকে দূর করা উচিত।”

ছেলের কথায় ভিন্ন ইঙ্গিত পেয়ে আশরাফুল আজাদ সেদিনই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। অবসর গ্রহণের পর মায়ের ব্যবসায় জড়িয়ে উনার ব্যস্ততা বেড়েছে। সুলতান শেখও ব্যস্ত মানুষ। তাই অনেক দিন হলো একে অপরের সুখ-দুঃখের কথা উনারা জানেন না। যখন জানলেন আশরাফুল আজাদ স্থবির হয়ে গেলেন।

সুলতান শেখ দুর্বল কণ্ঠে বললেন,
“এইসব চিন্তা আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়েছে। আগের মতো জোর তো পাই-ই না। ছেলে-বউ ও আর আমাকে কোনোকিছুতে জড়াতে দেয় না। এখন জাওয়াদ চাইছে মিহার বিয়েটা দিয়েই সে জার্মানি যাবে। প্রথমে ভেবেছিলাম মেয়েকেও সঙ্গে পাঠিয়ে দেই, কিন্তু পাসপোর্ট জটিলতায় তা সম্ভব হবে না। এইসব নোংরা খেলায় পরিবার জড়িয়ে যাবে বুঝলে মেয়েটাকে দেশেই রাখতাম না। অতিরিক্ত ভালোবাসায় কাছছাড়া করতে পারলাম না। জাওয়াদের বক্তব্য, আমি অসুস্থ তাই আমার পক্ষে পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা ঠিক না, দায়িত্বও সে দেবে না। বোনের বিয়ে দিয়েই ছাড়বে। এই মুহূর্তে এমন জামাই আমি কোথায় পাব যে আমার ও আমার ছেলের অবর্তমানে মেয়েটাকে প্রটেক্ট করবে? আমার মাথা কাজ করছে না।”

আশরাফুল আজাদের বলিরেখাযুক্ত কপালে দীর্ঘতর ভাজ সৃষ্টি হলো। কিছুক্ষণ মৌন থেকে মনে মনে পুরো ঘটনাটি পর্যালোচনা করে নিশান্তের চালাকি ধরতে পেরে উনার ঠোঁটের কোণে স্মিত হাসি উঁকি দিলো। এক বৈমানিক পাত্রীতেই আটকে ছিলেন বলে আর কোনো বিবাহযোগ্যা মেয়েকে উনাদের চোখে পড়েনি। নয়তো বন্ধুর এ বিপদে স্বয়ং তিনিই পুত্রের জন্য মেহযাবীনকে চাইতেন। মেয়েটা তো কোনো দিকেই অপছন্দের নয়। আর নিশান্তও সুযোগ্য। অবশ্য এক মেয়েকে এ বাড়ির বউ করে পাঠিয়ে আবার তাদেরই মেয়ে পুত্রবধূ হিসেবে চাইতে হয়তো জড়তা কাজ করত। পরিস্থিতি ও ছেলের মত শুনে এখন আর তা নেই। তিনি কপট রাগেই বললেন,
“এতকিছু ঘটে গেল অথচ আমি জানলাম না! আমি কী তোকে সৎবুদ্ধি দিতে পারতাম না?”

সুলতান শেখ নিজের অপরাধ স্বীকার করলেন, “ঝড়টা কোনদিক দিয়ে আসবে বুঝতে পারিনি। দমকা হাওয়া দিয়ে প্রকৃতি নিশ্চুপ হয়ে যেতেই ভেবেছি বিপদ শেষ। তাই আর কাউকে জানাইনি। এখন ঝড় ফুলেফেঁপে উঠছে।”

“নিশান্তকে পাত্র হিসেবে কেমন লাগে তোর?”

বন্ধুর প্রশ্নে সহসাই চমকে উঠলেন সুলতান শেখ। কথার অর্থ বুঝতে পেরে শক্ত করে হাত চেপে ধরলেন। আশরাফুল আজাদ অপর হাত বন্ধুর হাতের ওপর রেখে আশ্বাস দিয়ে বললেন,
“নিশান্তের বিয়ের জন্য আমরা প্রস্তুতই ছিলাম। শাওনের পরেই আয়োজন করে ফেলতাম। যদি আমার ছেলেকে তোর যোগ্য মনে হয় তাহলে অনুমতি দে। দীপশিখা তোর মেয়ের সুরক্ষায় দুর্গ হয়ে উঠবে। আমার ছেলে হবে তার শরীয়তসম্মত বডিগার্ড।”
______________

“অসম্ভব! আমার কী এমন বয়স যে এখনই বিয়ে করতে হবে?”

মেহযাবীনের ক্ষোভে টইটম্বুর মুখের দিকে চেয়ে শাওন ব্যঙ্গ করে বলল,
“এমনভাবে বলছিস যেন তোর ভাই আমাকে বাল্যবিবাহ করেছে!”

“তা হতে যাবে কেন?”

“তোর আর আমার বয়সের খুব তো ফারাক নেই। আমি যদি তোর ভাইয়ের সঙ্গে সংসার করতে পারি তুই কেন পারবি না? আগের দিন হলে এখন দুই বাচ্চার মা হয়ে যেতি।”

বান্ধবীর রসিকতায় ভিজল না মেহযাবীন। বিরক্তি নিয়ে বলল,
“পার্থক্য তো এখানেই। আমার ভাইকে তুই ছোটোবেলা থেকেই চিনিস। আমার ভাইয়ার মতো পাত্র মেয়েদের প্রথম পছন্দ। রূপে, গুণে, বুদ্ধিতে, ভালোবাসায়, ধৈর্যে তার জুড়ি মিলবে না। আমার জন্য তো এমন কেউ বসে নেই।”

শাওন ঠোঁট টিপে হেসে বলল,
“আমিও যদি বলি এমন কেউ চোখের সামনেই আছে। শুধু তুই চোখে রাগের ঠুলি পরে আছিস বলে দেখতে পারছিস না।”

মেহযাবীন ফ্যালফ্যাল করে চাইল। এই মুহূর্তে বাড়ির সবাইকেই তার শত্রু বলে মনে হচ্ছে। স্বয়ং বান্ধবীকেও। সকলে একজোট হয়ে তাকে বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাচ্ছিল্য করে বলল,
“কে সেই প্রিন্স চার্মিং, যে আমার চোখের সামনে ছিল অথচ আমি দেখিনি?”

মেহযাবীন ড্রেসিং টেবিলের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শাওন খাটে বসে ছিল। সে উঠে দাঁড়িয়ে বান্ধবীর কাঁধ জড়িয়ে ধরে বলল,
“ইগোটাকে একটু সাইডে রাখ। শান্ত হয়ে ভাব। কেউ কি সত্যিই নেই? মেয়েরা নাকি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের প্রভাবে বুঝতে পারে কে তাকে পছন্দ করে আর কে করে না। তুই কী এমন কিছুই বুঝিস না? নাকি না বোঝার ভান করে আত্মতৃপ্তি লাভ করিস?”

“তুই কী বলতে চাস, শাওন?”

“বলছি মাথা ঠান্ডা কর একটু। তুই-ই তো বললি তোর ভাই কতটা বিবেচক মানুষ। সে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নিশ্চয়ই ভেবেই নিচ্ছে। জীবনের অনেক পরিস্থিতির জন্যই আমরা প্রস্তুত থাকি না। এরপরেও হয়ে যায়৷ আমরা যা চাই, যেভাবে চাই সব সময় তা হবে না। এটাই বাস্তব ও রূপকথার মধ্যে পার্থক্য। আর মানুষের সবচেয়ে ভালো গুণ হলো মানিয়ে নেওয়া। মানিয়ে নেওয়া থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে আপত্তি কোথায়? আমিও কী নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে তোর ভাইয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেইনি! বেশ ভালো করেই নিয়েছি এবং এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। তোর জন্য তোর বাবা, মা, ভাইয়া কখনো খারাপ চাইবে না। সর্বদা চাইবে তোর সুখ নিশ্চিত করতে। একটু ভাব আমার রূপের রানি। ভাবনাতেই সফলতা, ভাবনাতেই ব্যর্থতা।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here