প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [৩২] প্রভা আফরিন

0
384

#প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [৩২]
প্রভা আফরিন

ঘড়ির কাটা জানান দিচ্ছে রাত সাড়ে দশটা বাজে। সন্ধ্যায় শেখ বাড়ি তার সদা শান্তশিষ্ট বৈশিষ্ট্য হারালেও এখন আবারো সুনসান হয়ে গেছে। বাইরের কেউ ঘূনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি এ বাড়ির মেয়ের আজ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। দীপশিখার সদস্যরা রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর বিদায় নিয়েছেন। বরের কোনো খবর নেই। জাওয়াদ অপেক্ষায় থাকতে থাকতে এক পর্যায়ে কল করল। রেসপন্স পেল না। বেজে বেজে কেটে গেল। পরপর দুইবার একই কাণ্ড হলে ভ্রু কুচকে এলো তার। চিন্তাগ্রস্ত মনে প্রথমেই ভাবনা এলো, কোনো বিপদ হলো না তো! ঠিক তখনই একটি ম্যাসেজ বিপ করল তার মুঠোফোনে। জাওয়াদ বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো বার্তাটির দিকে।

মেহযাবীন শাড়ি বদলে রাতে ঘুমানোর উপযোগী ঢিলেঢালা ফতুয়া ধরনের পোশাক পরেছে। রুমে আপাতত সে ও তানি খালা অবস্থান করছে। যেহেতু যাবীনের ভাবি বা বোন গোছের কেউ আপাতত কাছে নেই তাই তানি খালাই সেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে অতি বিজ্ঞের মতো নববধূকে বোঝাচ্ছিলেন কীভাবে স্বামীর মন পেতে হয়। ওকে পোশাক বদলাতে দেখে তিনি হতাশ হয়ে বললেন,
“একটা শাড়ি পিনলা না? জামাইর লগে পরথম রাইত একটু সাজুগুজু কইরা পরিপাটি হইয়া থাকতে হয়। তাতে জামাইয়ের চোক্ষের আরাম হয়।”

যাবীন বিরক্ত হলো। সন্ধ্যা থেকে বাড়ির সকলের যত্নের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নিশান্ত। জামাই জামাই করে সবাই মাথায় তুলে ফেলেছে। এইসব আদিখ্যেতা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করতে হচ্ছে ওকে। বলল,
“কারো চোখের আরামের চেয়ে আমার ঘুমের আরাম গুরুত্বপূর্ণ। বাই দ্য ওয়ে, তোমাদের সাধের জামাই আসছে নাকি রাতে? এরকম কিছু জানিয়েছে?”

যাবীন সতর্কতার সঙ্গে প্রশ্ন করল। লোকটা বেরিয়ে যাবার পর ভেবেছিল আর আসবে না। হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল। কোনো রকম প্রস্তুতি ব্যতীত স্বামী হয়ে যাওয়া অপছন্দের পুরুষের সঙ্গে রাত্রিযাপন তার জন্য অস্বস্তির। নিশান্ত কী শারিরীকভাবে তাড়িত পুরুষ যে কবুল বলার উছিলায় রাত্রিযাপন করতে চলে আসবে! সে কি একটা বারও যাবীনের মনের অবস্থা ভাববে না? সকালের ম্যাসেজটা মনে পড়ল ওর। ‘সারারাত’ শব্দটা মিন করেছিল তখন। তাহলে কি আসবেই? নিশান্তকে এতটা নিচ ভাবতেও যেন কষ্ট হচ্ছে যাবীনের। অবশ্য এলেও একটা কার্যোদ্ধার হবে। কিছু প্রশ্নের উত্তর চাই। যেগুলো ওকে শান্তি দিচ্ছে না। বদ লোক কি সেই প্রশ্ন এড়াতেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে!

তানি খালা যাবীনের চুল আঁচড়ে বিনুনি করে দিতে দিতে বললেন,
“সবাই তো থাকতে কইলো। তুমি একটা ফোন দেও। বিয়া যখন হইছে তখন দূরে থাকা ঠিক না। ঝগড়া হোক, মারামারি হোক, তবুও বিছানা আলাদা করবা না। স্বামী-ইস্তিরি দূরে থাকলে মাঝে শয়তান ঢুইক্যা পড়ে।”

যাবীন তানি খালাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “আজকের মতো সংসারের ক্লাস এই পর্যন্তই। পরে শিখিয়ে দিয়ো। এখন গিয়ে ঘুমাও।”

তানি খালা যাবার আগে চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “মাথা ঠান্ডা করো, মামণি। সংসার বড়ো জটিল জায়গা। এইখানে মাথা ঠান্ডা রাইখ্যা চলতে হয়। তহন কইলা না কারো চোক্ষের আরাম হওয়ার চেয়ে তোমার ঘুমের আরাম দরকারি? যেদিন মায়ায় পড়বা হেদিন বুঝবা কারো চোক্ষের আরাম হওয়ার যে কি সুখ। নিজের আরাম বিসর্জন দিয়া তার সুখের লইগ্যা সব করতে পারবা। আল্লাহ তোমার মনে মায়া বাড়াইয়া দিক।”

তানি খালার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে যাবীন ঘনঘন মাথা নেড়ে বলল, “কক্ষনো না, কোনোদিন না।”

ও ঢিলে বিনুনি পিঠে ঝুলিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। ভাইয়ার বিয়ে উপলক্ষে পুরো বাড়ি লাইটিং করা হয়েছে। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাতিগুলোকে রঙিন জোনাকি পোকা মনে হচ্ছে। এত রঙ, আলোর ঝলকানিত মাঝেও সব কেমন নিষ্প্রাণ। উচ্ছলতা ম্লান। অভিমানী মনের সঙ্গে একাকী অবকাশ যাপন করতে গিয়ে যাবীনের দিশেহারা দুই চোখ আবারো নোনাজলে ভিজে উঠল। এভাবে বিয়েটা হবার খুব কী দরকার ছিল? দোষ কাকে দেবে? পরিবার নাকি ভাগ্যকে? কাউকে দোষ দিক আর না দিক, নিশান্তের ওপর তার রাগ অবশ্যই আছে। আসুক সে আজ বাড়িতে। লোহা গরম থাকতেই পেটাতে হয়। মাথা ঠান্ডা হয়ে গেলে ভাবনাও বদলে যেতে পারে। কিংবা আগ্রহও হারাতে পারে।

হঠাৎ খট করে শব্দ হতেই নিচে চাইলো সে। দেখল জাওয়াদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে গ্যারেজের দিকে যাচ্ছে। মিনিট খানেকের মধ্যেই গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে গেল। মিশে গেল পথের বাঁকে। যাবীনের কপালে ভাজ পড়ে। এতরাতে ভাইয়া কোথায় গেল! কী হচ্ছে আড়ালে! মেহযাবীন ঘরে এসে ফোনটা খুঁজল। কোথাও নেই।
_______________

ফাহাদ হোসেন। শেখ টেক্সের সাবেক জিএম। মাস কয়েক পূর্বে তিনি আকস্মিক চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর উনার আর কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
নিশান্ত স্থির হয়ে বসে আছে ড্রাইভিং সিটে। তার মুখে ওয়ান টাইম মাস্ক, আঁধারে ভাসমান চোখজোড়া স্থির হয়ে আছে সম্মুখের লক্ষ্যবস্তুর দিকে। সে ভুল না হলে এই ব্যক্তিই ফাহাদ হোসেন। ভোজবাজির মতো উবে যাওয়া ব্যক্তিটির সঙ্গে আজ এভাবে আকস্মিক দেখা হয়ে যাবে নিশান্ত ভাবতে পারেনি। এমনকি ফাহাদ হোসেনের বর্তমান বেশভূষাও চোখে লাগার মতো। এত দামী একটা গাড়িতে চড়ে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন! আয়ের উৎস এতটা সমৃদ্ধ হলো কোনপথে? নিশান্ত লোকটির গতিপ্রকৃতি খেয়াল করছিল নিগূঢ় চোখে। একবার মাত্র বের হয়েই লোকটা আবার গাড়িতে ঢুকে গেছে। কেমন একটা তাড়াহুড়ো ভাব ছিল আচরণে। কারো জন্য অপেক্ষা করছে মনে হচ্ছে। নিশান্ত এখানে অন্য কাউকে দেখার অপেক্ষায় ছিল। মেহযাবীনকে কেউ ফলো করছে বলে একটা ধারণা জন্মানোয় তার নিশ্চয়তা পেতেই ছুটে এসেছিল। কিন্তু ফাহাদ হোসেনকে আশা করেনি। এই লোক কেন এখানে এসেছে নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে না। তবে যে কারণেই আসুক এখন এই বিশেষ ব্যক্তিকে চোখের আড়াল করা যাবে না। আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সামনের গাড়িটার ইঞ্জিন সচল হয়ে উঠল। নিশান্তও তার করণীয় স্থির করে ফেলল। সে গাড়িটাকে ফলো করবে। প্রাডোটা ধুলো উড়িয়ে পার্কিং এড়িয়া থেকে পথে নামতেই সাময়িক বিরতি দিয়ে নিশান্তও গাড়ি নিয়ে নেমে গেল। দুই গাড়ি পেছন থেকে নজর রাখল যেন সন্দেহের দৃষ্টিতে না পড়তে হয়। গাড়ি ছুটছে বনানীর দিকে। পথে জ্যাম নেই খুব একটা। সিগন্যালের কারণে মাঝে মাঝে থামতে হচ্ছে। নিশান্ত দূরত্ব কমিয়ে আরেক গাড়ি টপকে সামনে এসেছে যেন হারাতে না হয়। ড্যাশবোর্ডের ওপরে ফোনটা কাঁপছে। নিশান্ত দেখল জাওয়াদের ফোন। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে উত্তেজিত স্বর ভেসে এলো,
“কোথায় তুই?”

নিশান্তের তীক্ষ্ণ শ্রবণেন্দ্রিয় বুঝতে পারল জাওয়াদ ব্যস্ত পথে। আশপাশ থেকে গাড়ির আওয়াজ ভেসে আসছে। সে ছোটো করে উত্তর দিলো,
“আমি ফাহাদ হোসেনের পেছনে আছি।”
“ফলো করছিস?”
“এছাড়া উপায় কী?”
“কোথায় আছিস বল আমিও আসছি।”
“উঁহু, এই ভুল করিস না। তোর সাবেক জিএম তোর গাড়িটা অনায়াসে চিনে ফেলবে। জল ঘোলা করার দরকার নেই। স্বচ্ছ পানিতেই মাছের গতিপ্রকৃতি খেয়াল করতে দে।”
“এরপর?”
এরপর কী? ঠিক করতে হবে এখনই। তারও আগে দেখতে হবে ফাহাদ হোসেন গর্ত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেটা কোথায়?
______________

জাওয়াদ বাড়ি ফিরল রাত দুটোয়। নিস্তব্ধ বাড়ির বাইরেটা আলোকিত হলেও ভেতরে নিগূঢ় অমাবস্যার জমাটবদ্ধ আঁধার বিছিয়ে আছে। এক্সট্রা চাবি সঙ্গে রেখেছিল বলে দরজা খোলা-বন্ধের ঝামেলায় কাউকে জাগাতে হয়নি। তবুও তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে দুজন মানুষ জেগে ছিল। একজন তার মা। আরেকজন বোন। দোতলায় উঠতেই ক্ষীণ আলোয় মেহযাবীন পথরোধ করল। জাওয়াদ চমকে গেল ক্ষণিকের জন্য। এরপর জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বলল,
“এখনো ঘুমাসনি কেন?”

“তুমি কোথায় গেছিলে, ভাইয়া?”

যাবীনের জেরাকে আলগোছে পাশ কাটাল সে, “দরকারি কাজ ছিল একটু। খুব টায়ার্ড লাগছে। জেগে থাকিস না। যা ঘুমা।”

জাওয়াদ চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ মনে পড়েছে এমন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করল। এগিয়ে দিয়ে বলল,
“তোর ফোনটা সন্ধ্যায় আমার কাছে ছিল। দিতে ভুলে গেছিলাম।”

মেহযাবীন এবার যারপরনাই অবাক হলো। জাওয়াদ চলে যেতে নিলে পেছন থেকে ডাকল সে, “ভাইয়া, নিশান্ত কোথায়?”

“ওর বাড়িতে গেছে। এখানে আসতে রাজি হয়নি। বলল বিয়েটা হঠাৎ হয়েছে। সংসারটা ধীরেসুস্থে হোক। বুদ্ধিমান ছেলে। যা ঘুমিয়ে পড়। রাত তো বেশি বাকি নেই। কাল থেকে আবার মেহমানদারি করতে হবে।”
মেহযাবীনকে ধোঁয়াশায় রেখে জাওয়াদ প্রস্থান করল।
_________

সকালে যাবীনের গাঢ় ঘুমটা কাচের মতো চুরমার হলো ফোনকলের আওয়াজে। অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করে হ্যালো বলতেই স্পিকারে ভেসে এলো শাওনের ব্যস্ত স্বর।
“যাবীন, তুই এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস?”

“তো কী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাব?”

শাওন দুষ্টু হাসল, “বাসর জেগে ক্লান্ত নাকি? কিন্তু ভাইয়া তো এ বাড়িতে।”

“শাট আপ! বিয়ের পর তুই অশ্লীল হয়ে যাচ্ছিস।”

“বললাম ক বুঝলি কলা৷ আমি তো কলমও বলতে পারি নাকি! তোরা যে একসঙ্গে থাকলে রাত জেগে ঝগড়া করতি তা কাউকে আলাদা করে বলতে হবে না। কাজের কথা বলছি শোন। জলদি গোসল করে বের হ। পার্লারে যাব। মেহেদি পরব দুই হাতে। তোর নতুন বিয়ে হয়েছে তাই তুইও আমার সঙ্গে পরবি। ফাইজাও আসছে।”

যাবীন আলস্যে হাই তুলল, “তোদের মনে রং লেগেছে, তোরা হাত-পা রাঙা৷ আমার মনে মেঘ জমেছে। আমাকে না হয় কাঁদতে দে।”

শাওন বুঝল তার বান্ধবীর মনের অভিমান। সেও পালটা অভিমান করে বলল,
“আমি তোর একমাত্র ভাবি হই। এখন ননদও হই। আচ্ছা সব বাদ দিলাম। আমাদের এত বছরের বন্ধুত্ব কিছুই নয়? এই খুশির দিনে তুই আমার পাশে থাকবি না?”

যাবীন কোনো জবাব দিলো না। শাওন উৎসাহ পেয়ে পুনরায় বলল,
“পুরো ব্যাপারটাকে তুই যতটা বাজে ভাবছিস ততটাও নয় কিন্তু। আমি তোর ভাবি, তুই আমার ভাবি। বিষয়টা কি সুন্দর ভেবে দেখেছিস?”

যাবীনও আক্ষেপে বলে দিলো, “আমার ভাইটা কত ফ্রেন্ডলি আর তোর ভাইটা আস্ত জংলি। বিষয়টা কি ভয়ংকর ভেবে দেখেছিস?”

শাওন হেসে ফেলল, “ভয়ংকর সুন্দর! তুই রেডি হবি এক্ষুনি। আমি যাওয়ার পথে তোকে পিক করব।”

শাওন ফোন রেখে দিলো। কিছুক্ষণ পর সুলতান শেখ মেয়ের ঘরে এলেন। মেয়েকে বিমর্ষমুখে বসে থাকতে দেখে বললেন, “একমাত্র ভাইয়ের বিয়েতে তুমি আনন্দ করবে না? অনুষ্ঠানের অর্থই তো আনন্দ।”

যাবীন গোমড়ামুখে বলল, “কেন করব না। অবশ্যই আনন্দ করব।”

“তাহলে সাজগোজ করছো না কেন? এত এত শপিং করলে সব দিয়ে সাজবে না? বউমা আমাকে ফোন করে জানাল তুমি আমাদের ওপর ভীষণ রেগে আছো৷ তাই তার খুশিতে সামিল হতে চাইছো না? এই খুশি তো তোমারও আম্মু। তোমার বিয়েতে আয়োজন করিনি বলে ভেবো না ভবিষ্যতেও করব না। এটাকে প্রি-ওয়েডিং প্রোগ্রাম ধরে নাও আপাতত। মেইন প্রোগ্রাম পুরো শহর জানিয়ে ধুমধামে হবে।”

যাবীন মনে মনে বিরক্তি চাপল। শাওনও এখন চালাকি করতে শিখে গেছে। বুঝেছে ও যাবে না তাই একদম সদর দপ্তরে নালিশ ঠুকেছে! সুলতান শেখ মেয়ের জড়তা মানতে পারলেন না। নিজেই তাগিদ দিয়ে পার্লারে পাঠাতে চাইলেন। কথা ছিল শাওন ওকে পিক করবে বাড়ির সামনে থেকে। তৈরি হয়ে নিচে নেমে দেখল সেই চেনা বিএমডব্লিউটা ড্রাইভওয়েতে এসে থেমেছে। যাবীন চমকে উঠল। পেছানোর পথ নেই। বাবাই যত্ন করে তাকে শেয়ালের জিম্মায় তুলে দিলেন। সেই ধূর্ত মানব চোখে চশমা এঁটেই ইঞ্জিন চালু করল। শুরুতেই ত্যারচা সুরে বলল,
“তোমার নাকি আমাকে জংলি মনে হয়? তো কী জংলিপনা করেছি শুনি? বলো কত অভিযোগ আছে তোমার, আজ সব শুনব।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here