প্রেমের_প্রদীপ_জ্বলে [১৯]
প্রভা আফরিন
লুকোচুরি থেকেই সন্দেহের সৃষ্টি। সম্পর্কের মাঝে লুকোচুরি থাকলে সন্দেহ আপনাতেই হাতছানি দেয়। আর সেই সন্দেহকে ঢাকতে আশ্রয় নিতে হয় ছলনার। শাওন তার প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা থেকেই জেনেছিল একজনের ছলনা অন্য জনকে ঠিক কতটা আঘাত দিতে পারে। বিশেষ করে বিপরীত ব্যক্তির ভালোবাসা যদি হয় নির্ভেজাল। খাঁটি দুধে একফোঁটা লেবুর রস পড়লে যেরূপ ছানা কেটে যায় তেমনই নির্ভেজাল ভালোবাসায় সন্দেহ ঢুকলে মায়া কেটে যায়।
জাওয়াদ শাওনকে ভালোবাসে, যে ভালোবাসা নিখাদ। শাওন সেই ভালোবাসাকে মুকুট হিসেবে মস্তকে ধারণ করেছে। অতীতের কালো স্মৃতির বাতাসে সেই মুকুটের পালক ঝরে পড়ুক ও চায় না। তাই বিয়ের দিন থেকে যতগুলো ঘটনা আমিনকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সেসবের ব্যাখ্যা দেওয়াটা প্রয়োজন ছিল। কথায় আছে ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। প্রতারিত, ব্যর্থ প্রণয়নীও নতুন করে পাওয়া ভালোবাসাকে কোনোকিছুর মূল্যে হারাতে চায় না। শাওন সপ্তাহ দুইয়ের মাঝেই স্বামীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে অবশ্য জাওয়াদের অবদানই বেশি। যত্ন করে ভালোবাসতে কয়জন পুরুষই বা পারে? যে পারে তাকে ফেরানো উচিত নয়, সযত্নে মনের ঘরে ঠাঁই দেওয়া উচিত। জাওয়াদ প্রেয়সীর হৃদয়টাকে মায়ার বাঁধনে বেঁধে ফেলেছে। পালানোর সাধ্য দুর্বল প্রেয়সীর নেই। আছে নিরব সমর্পণ।
জাওয়াদ সবটা শুনে স্থবির হয়ে গেল। ওকে সচরাচর রাগতে দেখা যায় না। কিন্তু বিয়ের রাতে আমিন তার স্ত্রীর ওপর হামলা করেছিল এবং বিষয়টা ওরা চেপে গেছে শোনার পর আপনাতেই সুদর্শন মুখে রাগ ধরা দিল। ত্বকের রঙে ঈষৎ ক্ষোভের রক্তাভা মিশল। ওর শক্ত চোখমুখ দেখে শাওন ভয় পেয়ে দূরে সরে গেল। আনত মুখে, নিচু স্বরে বলল,
“আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম অনেকবার। আমার হীনমন্যতা কাজ করত। তুমি যদি ভুল বোঝো…”
“আমার কোনো কাজে, কথায় কী তোমার এমনটা মনে হয়েছে যে আমি তোমাকে অবিশ্বাস করি?”
“না, তবুও…” শাওন জবাব দিতে পারল না। তার মনের অনিরাপত্তা ঠিক কতখানি তা যেন নিরবতার গায়েই সাক্ষরিত হলো। আজ নিশান্ত ডেকে কিছু কড়া কথা না বললে হয়তো আরো দেরি হতো জানাতে। নিশান্ত সরাসরি জাওয়াদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে চায়নি। সম্পর্কটা যাদের, তাদের ব্যক্তিগত বোঝাপড়াটা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের মুখ থেকে বউয়ের কথা শোনার চেয়ে বউয়ের কনফেশন শোনা ঢের ভালো। তাতে এটুকু নিশ্চিত থাকে যে মেয়েটা তাকে ভরসা করতে পারছে বলেই লুকোচ্ছে না। ভাইয়ের কথা বুঝেছে শাওন। তাই আর দেরি করেনি। স্বামীর উপস্থিতি টের পেয়ে ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বুকে।
জাওয়াদের গম্ভীর মুখের দিকে চেয়ে ও ভীত স্বরে বলল,
“আমার ওপর রাগ করো। তবুও কোনো সংশয় রেখো না, প্লিজ!”
জাওয়াদ কোনো জবাব না দিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেল। নিরব উপেক্ষায় শাওনের বুক ভার হয়ে আসে। টের পায়, এই মানুষটার অবহেলা তার বুকে অসহনীয় যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। এর জন্য সে নিজেকেই দায়ী করে। আমিন নামের অভিশাপটাকে কেন ও অন্ধ বিশ্বাস করেছিল! জীবনে ভুল মানুষের আগমন ঘটে গেলে কিছু অনর্থ অনিবার্য।
জাওয়াদ গোসল সেড়ে এসেও শাওনের সঙ্গে কোনোরূপ বাক্য বিনিময় করল না। তার মুখ দেখে মনে হলো গভীর চিন্তায় মগ্ন। পোশাক বদলে নিতে দেখে শাওন ব্যগ্র স্বরে বলল,
“তুমি চলে যাচ্ছো?”
“থাকার তো কথা ছিল না। যা বলতে ডেকেছিলে, শুনে গেলাম।”
শাওনের মনে হলো রাগ, ভুলের সময় দূরত্ব থাকা উচিত নয়। কাছে থেকেই সব মিটিয়ে নেওয়া উচিত। দূরত্বের দুষ্টুজালে যদি কোনো ভ্রান্ত সন্দেহ ঢুকে পড়ে! এখন তো বিপদও আছে। আমিন যদি ওর ক্ষোভ জাওয়াদের ওপর মেটায়! শাওন নিকটে এগিয়ে আসে। অনুরোধ করে বলে,
“প্লিজ রাগ কোরো না।”
বাক্যের সমাপ্তিতে শাওন ফুপিয়ে কেঁদে ফেলল। জাওয়াদের আত্মনিয়ন্ত্রণ শক্তি চমৎকার। ফোঁস করে শ্বাস ফেলে একহাত বাড়িয়ে স্ত্রীকে বুকে টেনে নিল। শাওন একটুও দেরি করল না ওকে জড়িয়ে ধরতে। তার সমস্ত শঙ্কা, ক্লেশ, অনিশ্চয়তাবোধ অশ্রু হয়ে সমর্পিত হলো জাওয়াদের বুকে। জাওয়াদ স্থির হলো। বিয়ের আগে এই মেয়েটিকে সে কতবার লুকিয়ে ফলো করেছে! মাঝে মাঝেই ভার্সিটি যাবার পথে হঠাৎ গাড়ি নিয়ে এসে বলত, “এ পথেই যাচ্ছিলাম, চলো তোমায় পৌঁছে দেই।”
শাওনের হাসি, কথা বলা, লাজুক স্বভাব সবটাই যেন মুখস্ত ওর। ছোটো থেকে বড়ো হতে দেখা বলেই মায়ার কমতি ছিল না। এভাবেই অনুসরণ করতে করতে একদিন জেনে গেল আমিন নামের কারো সঙ্গে মনের ঘরের গোপন মানুষটার সম্পর্কের কথা। জাওয়াদ সেদিন মনে মনে চূড়ান্ত আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। এ তারই ভুল। না বললে কে বুঝবে মনের কথা! ছোটোরা তো ওকে নিশান্তের মতোই বড়ো ভাই মনে করে। পরবর্তীতে সে-ই শাওনের চোখের পর্দা তুলেছিল। চিনিয়েছিল আমিনের আসল রূপ। শাওনকে সামলে নিতে কিছুদিন সময় দিয়ে এরপর আর দেরি করেনি। কবুল করে নিয়েছে নিজের জীবনে। এত ধৈর্যের পর যাকে পাওয়া, সে যদি ওর বিশ্বাস পাওয়ার জন্য বুকে লুটিয়ে কাঁদে, জাওয়াদ কী করে নিজেকে কঠিন রাখে! চোখের জল মুছিয়ে বলল,
“বললে রাগ করতে, করলাম। আবার বলছো রাগ না করতে। কোনটা শুনব?”
“আমার সব কথা শোনো?”
শাওন বর্ষায় টইটম্বুর নদীর মতোই অশ্রুপূর্ণ চোখে চাইল।
জাওয়াদ সেই চোখের কার্নিশে মন ভিজিয়ে জবাব দিল,
“কোনটা শুনিনি?”
শাওন সঙ্গে সঙ্গে আবদার করল,
“তাহলে আজ থেকে যাও।”
জাওয়াদ মিষ্টি কথায় ভুলল না। বলল,
“এইসব ট্রিকস দিয়ে কাজ হবে না। সবগুলো ভাই-বোন মিলে অকাজ করেছো। শোভা বাচ্চাটা পায়ে ব্যথা পেল, বাড়ির সবাই আতঙ্কিত হলো। তোমাদের ওপর আমি সত্যিই অসন্তুষ্ট। এতদিন ভাবতাম, নিশান্তকে ভয় পেলেও সবগুলো ভাই-বোন অন্তত আমাকে চোখ বুজে ভরসা করে। বাট আই ওয়াজ রং।”
“তুমি ভুল নও, জাওয়াদ। ইটস মাই ফল্ট। আমিই পারিনি ভয় কাটিয়ে তোমায় জানাতে। আমি সব দোষ স্বীকার করছি। তুমি এখন চলে গেলে আমি আরো বেশি গিল্টি ফিল করব। প্লিজ থেকে যাও।”
জাওয়াদ হেসে বলল,
“ঘরজামাই করে ফেলছো তো।”
“হলে নাহয়।”
“তাতে কী লাভ?”
“ব্যবসায়ী! সবখানে লাভ-লস খুঁজো!” শাওন চোখ ছোটো করে।
“এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তোমার স্বামী পাক্কা ব্যবসায়ী। বেনিফিট না দেখে এগোবে না।”
শাওনের গালে পাকা ডালিমের মতো রঙ ধরল। আলগোছে মুখ গুজে দিল স্বামীর কাঁধে। জাওয়াদ ওকে দুইহাতে আগলে নিতেই ফোনের ম্যাসেজ নোটিফিকেশন টুং করে বেজে উঠল। সকালের সেই প্রাইভেট নম্বর থেকে ম্যাসেজ এসেছে।
“আপনার মুখোশ খোলার সময় আসন্ন, মি. শেখ। সাবধান!”
____________
সকাল সকাল মেয়ের ঘরে এসেছেন সুমা। উনার ক্লোথিং আউটলেটে একটা নতুন কালেকশন লঞ্চ করা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন বলেই মেয়েটা দুদিন বাদে বাড়ি ফেরার পরও খুব একটা কথা হয়নি। এ নিয়ে সুমা বেগমের মাঝে কিঞ্চিৎ আফসোস আছে। উনার কেন জানি মনে হয় স্বামী-স্ত্রী দুজনই কাজ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন বলেই ছেলে-মেয়ে দুটো এমন চুপচাপ ও একাকিত্ব প্রিয় হয়ে উঠেছে। ছেলে-মেয়েদের বাল্যকাল-কৈশোরে সুমা বেগম ও সুলতান শেখ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পরিশ্রম করে গেছেন। এখন উনারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। চাইলেই অবসর যাপন করতে পারেন। কিন্তু ছেলে-মেয়েরাও এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছে। নিজেদের জগত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে। আগে ছেলে-মেয়েদের দেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের সময়ের অভাব ছিল, এখন সন্তানদের সময়ের অভাব। তবে সন্তানদের সঙ্গে উনাদের দূরত্ব নেই। আবার নৈকট্যের প্রাণোচ্ছলতাও নেই। যেটা দেখা যায় আজাদ পরিবারের মাঝে।
যাবীন আগামী ক্লাসের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করছিল ল্যাপটপে। মায়ের উপস্থিতি টের পেয়ে ও বিরতি নিল। বলল,
“এসো না, মা।”
সুমা ঘরে ঢুকলেন। দেখলেন ক্যানভাসে একটি অসমাপ্ত চিত্র পড়ে আছে। সন্তানের ওপর নাকি মায়েদের মুগ্ধ হতে নেই৷ নজর লেগে যায়। সুমা বেগম উনার দুই সন্তানের ওপরই মুগ্ধ। খুব শখ ছিল মেয়ে ডাক্তারি পড়বে। কিন্তু মেয়ের শখ হলো আর্টে। বুদ্ধিমতি সুমা মেয়ের ক্রিয়েটিভ মাইন্ডটাকে বুঝে ফেলেছিলেন বলেই জোর করে কিছু চাপিয়ে দেননি। বরং ওর গুণকে কাজে লাগিয়েই ভবিষ্যতটাকে একটি বৃহৎ পরিসরে যুক্ত করে দিতে চাইছেন। স্বামীর সফল টেক্সটাইল বিজনেস থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি শখের ক্লোথিং বিজনেস শুরু করেছিলেন। শেখ টেক্সটাইল লিমিটেড-এর কর্ণধার সুলতান শেখের পুঁজি ও সৎপরামর্শ কাজে লাগিয়েছেন। এ কথা বলতে তিনি দ্বিধা বোধ করেন না। বলেন, সফল পুরুষের পেছনে যেমন একজন নারী থাকে, তেমনই উনার সফলতার পেছনেও একজন পুরুষ আছে। স্বামীই তাকে সফল স্বাবলম্বী নারী হতে সাহায্য করেছে, যার ফলে তিনি এখন অনেক মেয়ের কর্মসংস্থান করে দিতে পারছেন। তবে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না সুমার পরিশ্রমই উনার বিজনেসকে একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু এনে দিয়েছে। “নোলক” ব্র্যান্ড এখন মেয়েদের পছন্দের প্রথম সারিতে। আর এই ব্র্যান্ডের বিশেষত হলো প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রেই নারী কর্মী দ্বারাই কাজ হয়।
সুমার বিশ্বাস মেহযাবীন তার ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে বিজনেসটাকে আরো সুন্দরভাবে আগলে নিতে পারবে। যেমনটা জাওয়াদ পেরেছে শেখ টেক্সকে আরো সুদৃঢ় করতে।
রংতুলি, আর্টপেপার ছড়িয়ে বারান্দার পাশটা হিজিবিজি হয়ে আছে। তিনি সেগুলো গোছাতে হাত দিলেন। বললেন,
“ক্লাস আছে আজ?”
“আছে।”
“কাজ রাখো। খেয়ে-দেয়ে তৈরি হও।”
যাবীন বাধ্য মেয়ের মতো কথা শুনল। নাশতার টেবিলে এসে বসতেই সুমা ওর পাতে খাবার দিতে দিতে বললেন,
“আমি ঠিক করেছি তুমি এবার ধীরে ধীরে বিজনেসে ইনভলভ হবে।”
“এখনই হঠাৎ?” যাবীন অবাক হলো।
সুমা বললেন, “যেন হঠাৎ দায়িত্বের চাপ নিতে না হয়। আমি চাই তুমি দায়িত্বের বাইরে থেকেই ধীরে ধীরে সবটা বুঝে নাও।”
“কিন্তু মা, তোমার কাজকে নিজের করে নেওয়ার মাঝে আমার কী কৃতিত্ব রইল? মনে হলো সবটা ইজিলি পেয়ে গেলাম।”
সুমা বিচক্ষণ কণ্ঠে বললেন,
“নোলক আমার সাধনার ফল। সেটার ভবিষ্যত চেয়ারম্যান হিসেবে আমি অযোগ্য কাউকে এক্সেপ্ট করব না, মিহা। একটা বিজনেসে অনেক মানুষের ভাগ্যও জুড়ে আছে। অনেকের সংসার চলে নোলকের জন্য। আমার পর কী তারা ভেসে যাবে? তাদের ভবিষ্যতের জন্য তো নতুন কাউকে চাই। যেমনটা তোমার বাবার লিডারশীপ বুঝে নিয়েছে জাওয়াদ। একজন যোগ্য ব্যক্তিই লিডার হতে পারে। তোমাকেও যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। তাছাড়া আমি তোমাকে বিজনেস ছেড়ে দিচ্ছি না। তুমি একজন এমপ্লয়ি হিসেবে নিযুক্ত হবে। আমাদের ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার সেক্টরে যুক্ত হবে এ মাসে। কিছু ইউনিক এন্ড ট্রেন্ডের বাইরে গিয়ে স্মার্ট ডিজাইন দেবে। সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে সেরা ডিজাইনটাকে চুজ করব আমরা। শীতকে সামনে রেখে কিছু লিমিটেড কালেকশন লঞ্চ করব। সাড়া ফেললে তুমি নোলকের বেতনভুক্ত কর্মচারী হবে। আমি তোমাকে লাফ দিয়ে উপরে ওঠা শেখাতে চাই না। পথ দেখাব। কিন্তু পরিশ্রমের সিড়ি বেয়ে তোমাকেই উঠতে হবে।”
যাবীন হ্যাঁ বা না কিছুই বলল না। সুমাও জোর করলেন না। যাবীন ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় হুট করে একটা ডেলিভারি ম্যান এগিয়ে এলো। বিশাল এক ফুলের তোড়া হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল তার নামে পাঠানো হয়েছে। মেহযাবীন হতভম্ব হয়ে গেল এতগুলো ফুল নিয়ে। একটা শুভেচ্ছা কার্ড ছিল তাতে। একহাতে ফুল আগলে অপর হাতে কার্ডটা খুলল ও।
তাতে লেখা,
“সকাল সকাল ফুল দেখলে মন ভালো থাকে। আমার ফুল আপনি। আপনাকে দেখে প্রতিটা সকালে মন ভালো করতে চাই।”
চলবে…