#অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–৩১
সেন্টার টেবিলের ওপর দুপা রেখে সোফার সাথে মাথা এলিয়ে টানটান ভাবে আধশোয়া হয়ে আছে স্নিগ্ধা। চোখের পাতা গুলো বন্ধ । মধ্যম নিঃশ্বাসে ওঠানামা করছে বুক।
ইদানীং শরীর আরো বেশি খারাপ লাগে স্নিগ্ধার। ক্ষনে ক্ষনে মাথা ঘোরে,,খাবারে অরুচি,, ঠিকঠাক ঘুমও হয়না। আবরারেরও তাই কড়া নিষেধ, এত খারাপ শরীর নিয়ে কিছুতেই ভার্সিটি যাওয়া চলবেনা। তাই আজ এক সপ্তাহের মত ঘরবন্দী স্নিগ্ধা।
যেদিন গাড়িতে বমি করে ভাসালো স্নিগ্ধা,আবরার সেদিনই একজন নতুন মেয়েকে নিয়োগ করেছে কাজে। মেয়েটার নাম নিরু। বয়স আঠারো উনিশের মত। বলা চলে স্নিগ্ধার সমবয়সী। বাড়িতে এখন স্নিগ্ধা ব্যাতীত নিরু আছে। অন্তত আবরার অফিসে গেলে একা থাকতে হচ্ছেনা তার।
ম্যাডাম কিছু খাবেন??
নিরুর গলার স্বর পেতেই চোখ মেলে তাকালো স্নিগ্ধা। দু পাশে দুটো বেনুনী ঝুলিয়ে একটা সুতির ঢিলেঢালা থ্রি-পিস পরেছে মেয়েটা।কি মিষ্টি দেখতে লাগছে! নিরুকে দেখলেই স্নিগ্ধার বিয়ের আগের কথাগুলো মনে পড়ে। এরকম স্বাজস্বজ্জা তারও ছিলো একসময়।
বিয়ের পর শাড়ি ছাড়া অন্য কিছুই আবরার পরতে দেয়না।শুধুমাত্র ভার্সিটি যাওয়া বাদ দিয়ে বাসায় সব সময়ই শাড়ি জড়িয়ে রাখে স্নিগ্ধা।
স্নিগ্ধাকে এমন নিশ্চুপ দেখে নিরু পুনরায় গলা বাড়িয়ে ডেকে উঠলো,
— ম্যাডাম!
ধ্যান কেটে আসে স্নিগ্ধার। নিরুর দিকে তাকিয়ে মৃদূ হেসে বলে,
— আমি কিছুই খাবোনা। তোমার খিদে পেলে তুমি খেয়ে নাও।
মেয়েটা উদ্বেগ নিয়ে বলল,
— কিন্তু ম্যাডাম আপনি তো দুপুরেও ঠিকঠাক খাননি কিছু। আর স্যার বলেছিলো পাঁচটা নাগাদ আপনাকে ফ্রুট স্যালাদ দিতে। তাহলে?
— সমস্যা নেই।আমার দরকার পরলে আমি চেয়ে নেবো।
— আচ্ছা।
স্নিগ্ধার কথায় ঘাড় কাত করে স্বায় দিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলো নিরু। সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকালো স্নিগ্ধা।
সকালে আবরার অফিস যাওয়ার পর বাড়িতে সময় কাটতেই চায়না তার। অথচ ভার্সিটি গেলেই ঘন্টা গুলো কেমন হুড়মুড় করে পাড়ি দেয়। বোঝাই যায়না।
স্নিগ্ধা লম্বা করে একটা নিঃশ্বাস টেনে নিলো। আবরার কখন আসবে অপেক্ষার প্রহর বড্ড ধীরে এগোচ্ছে তার।
লোকটা ভীষণ রকমের পাগল!তার এইটুকু অসুস্থতাতেই একেবারে যা কান্ড করলো সেদিন। ডাক্তার দেখানো নিয়ে হুলস্থুল বাধিয়ে ফেলছিলো।অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে সেদিন আটকেছিলো স্নিগ্ধা। তাও কোনও ছাড় নেই। সারাদিন শুয়ে বসে থাকতে বলে গিয়েছে আবরার।
যতদিন না পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে ততদিন অব্দি কোনও কাজেই হাত লাগানো যাবেনা এমন হুকুম মহারাজের। কথাটা ভেবেই নিজে নিজে মুচকি হাসলো স্নিগ্ধা।
প্রশান্তিতে আবারো চোখ গুলো বন্ধ করে নিয়ে হেলান দিলো সোফার সাথে।
ততক্ষনে সদর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকেছে আবরার। স্নিগ্ধাকে দেখতেই ঠোঁটের কোনায় হাসি গাঢ় হয়ে এলো। কি স্নিগ্ধ শান্ত মুখটা! বাইরে তার হাজারো ক্লান্তি এক নিমিষেই মিশিয়ে দিতে পারে স্নিগ্ধার এমন সুশ্রী মুখকে দেখা মাত্রই।
দরজা খোলার শব্দ পেতেই স্নিগ্ধা চোখ তুলে তাকায়। অসময়ে আবরার কে দেখে প্রথম দফায় অবাক হয়। ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে,
— আপনি?
দরজার লক টা টেনে দিয়ে আবরার এগিয়ে এসে বসে পরলো স্নিগ্ধার পাশে। ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,
— কেন চিনতে পারছোনা আমায়??
আবরার বসতেই টেবিল থেকে পা নামিয়ে নিয়ে সোজা হয়ে বসে স্নিগ্ধা। কপালে ভাঁজ নিয়েই বলে
— আপনার তো আরো দু ঘন্টা পর আসার কথা।
ব্যাপারটাতে আবরার মুখ কালো করে বলল,
— এসেছি বলে খুশি হওনি? চলে যাবো আবার? আচ্ছা যাচ্ছি!
আবরার উঠতে ধরলেই স্নিগ্ধা হাত পেচিয়ে ধরে তাড়াহুড়ো করে বলল,
— এই না না।আমি তা বলিনি।আমিতো আরো অপেক্ষা করছিলাম আপনার জন্যে..!
আবরার সরু চোখে তাকিয়ে বলল,
— সত্যি?
স্নিগ্ধা ওপর নিচ মাথা ঝাকায়।যার অর্থ”” হ্যা…””
আবরার একটা নিঃশ্বাস ফেলে হাত প্রসারিত করলো সোফার হাতলে। স্নিগ্ধার পিঠ অব্দি বিস্তৃত হলো হাতটা। উদ্বেগ হীন গলায় বলে উঠলো,
— আসলে হয়েছে কি পরি! অফিস তো গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু কাজে মন আর বসছিলোনা। মনে করো,ল্যাবটব টা অন করলাম স্ক্রিনে দেখলাম তোমার মুখটা ভাসছে, দিলাম বন্ধ করে।আবার ফাইল নিয়ে চেক করতে বসলাম, সেখানেও দেখছি তোমার মুখটা ভাসছে। এরকম হলে কাজ করা যায় বলো??
শুরু থেকে আবরারের কথা গুলো মন দিয়ে শুনলেও পুরোটা শুনতেই নাক মুখ কুঁচকে নিলো স্নিগ্ধা।
— যাহ! সব মিথ্যে কথা।এরকম আবার হয় নাকি?
জবাবে আবরার দাঁত কেলিয়ে হাসে। পরক্ষনে স্নিগ্ধার নাকে নিজের নাক ঘষে বলে ওঠে,
— হবেনা কেন? আমার মন প্রান যার দখলে তাকে দেখা কি ভুল? তাকেতো চোখ মেললেও দেখি চোখ বুঝলেও।ওই যে বলেনা…
“” চোখ মেললেই দেখি তোমাকে…চোখ বুজলেই পাই আরো কাছে…! এর বেশি ভালোবাসা আমি দিতে চাই…
যত বেশি ভালোবাসা পৃথিবীতে আছে…!!
আবরারের গানের লাইন শুনে ঠোঁট প্রসারিত করে হেসে উঠলো স্নিগ্ধা। আবরার ও হাসলো তাল মিলিয়ে। পরমুহূর্তেই ব্যাস্ত গলায় বলে উঠলো,,
— আচ্ছা শরীর একটুও ভালো লাগছে এখন..??
স্নিগ্ধা মুখটা মলিন করে বলল,
— উহু।কেমন দূর্বল দূর্বল লাগছে।
আবরার চিন্তিত মুখে বলল,
— সেকি! দূর্বল লাগছে? খেয়েছো কিছু..!
স্নিগ্ধা ঠোঁট উল্টে বলল,
— উহু।খেতে নিয়েছিলাম।কিন্তু..
— কিন্তু পারোনি তাইনা??
স্নিগ্ধা মুখ কালো করে মাথা দোলায়। আবরার স্নিগ্ধার দিকে ঘুরে বসে। জ্বিভ দিয়ে নিচের ঠোঁট টা ভিজিয়ে নিয়ে বলল,
— এমন করলে তো হবেনা পরি।খেতে হবে তোমাকে।খাওয়া দাওয়া না করলে দূর্বল তো লাগবেই বলো। কিন্তু আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারছিনা তোমার হঠাৎ এত অসুস্থতা কেন?? কি এমন হলো? ফুড পয়জনিং তো নয়। তুমিতো আবার ডাক্তারের কাছে যেতেও চাচ্ছোনা।
উত্তরে স্নিগ্ধা ছেলেমানুষী গলায় বলল,
— ডাক্তারের কাছে গেলেই যদি ইঞ্জেকশন দেয়? ওরে বাবা! আমার খুব ভয় লাগে…!
স্নিগ্ধার মুখের ভঙিমায় শব্দ করে হেসে উঠলো আবরার। পরমুহূর্তে হাসি থামিয়ে কৌতুক মাখানো স্বরে বলে ওঠে,।
— আহারে! আমার বাচ্চা বউটা! আচ্ছা বেশ, ডাক্তারের কাছে গিয়ে আমি ওনাকে বলে দেবো যাতে তোমাকে ইঞ্জেকশন না দেয়া হয়। আর সব ক্ষেত্রে তো ইঞ্জেক্ট করাও হয়না। টেস্ট করাতে গেলে ইঞ্জেক্ট করতে হয়। যাক গে!নিজের বরের মানে আমার ওপর ভরসা রেখে কাল আমার সাথে চলুন মিসেস স্নিগ্ধা আবরার চৌধুরী। আপনাকে এভাবে দেখতে আপনার বরের যে একটুও ভালো লাগেনা।
কথাটায় মুচকি হাসলো স্নিগ্ধা। আবরার পাল্টা হেসে ঠোঁট এগিয়ে চুমু খেলো ওর কপালে। মুখ সরিয়ে এনে দুষ্টু হেসে বলল,
— কি কপাল আমার! বউকে প্রচন্ড মাত্রায় ভালোবাসতে মন চাইলেও তার শরীরের কথা ভেবে পারছিনা এখন।
কথাটায় স্নিগ্ধা ফিক করে হেসে ওঠে৷ আবরার মুখটা গোমড়া করে বলে,
— সুস্থ হয়ে নাও বউ। সুদ, আসল দুটোই পুষিয়ে নেবো।
স্নিগ্ধা মুখ ভ্যাঙচায়। আবরার ছোট্ট করে হাসি উপহার দিয়ে গলা বাড়িয়ে ডেকে উঠলো নিরুকে…
— নিরু…এদিকে এসো।
ডাক শুনে দ্রুত পায়ে রান্নাঘর থেকে এসে দাড়ালো নিরু। ওড়নার প্রান্তে হাত মুছতে মুছতে বলল,
— ডাকছিলেন সাহেব..
— তোমার ম্যাডামের জন্যে ফ্রুট স্যালাড করেছো?
— বানিয়েতো ছিলাম। ম্যাডাম কে জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু ম্যাডাম যে খাবেনা বলল,
কথাটায় আবরার স্নিগ্ধার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই স্নিগ্ধা অসহায় মুখ করে নিলো। আবরার চোখ ফিরিয়ে পুনরায় নিরুর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো
— নিয়ে এসো।যাও।
কথাটায় গোল চোখে জোরে জোরে দুবার মাথা ঝাকালো স্নিগ্ধা। উদ্বেগ নিয়ে বলল,
— না না প্লিজ আমি খাবোনা…!
স্নিগ্ধার কথার মাঝেই বাটিতে করে ফ্রুট স্যালাড নিয়ে হাজির হলো নিরু। আবরার চোখ ইশারা করে টেবিল দেখিয়ে বলল,
— রাখো এখানে।
চুপচাপ বাটিটা রেখে দিয়ে প্রস্থান নেয় নিরু। আবরার বাটি হাতে তুলে নিয়ে চামচের মাথায় আপেলের এক টুকরো তুলে স্নিগ্ধার মুখের সামনে ধরলো।
স্নিগ্ধা মুখ কাচুমাচু করে বলল…— প্লিজ..
আবরার চোখ রাঙিয়ে বলল,
— চুপচাপ খাও!
ধমকানিতে আর কথা বাড়ায়না স্নিগ্ধা। ঠোঁট উল্টে খেতে শুরু করে। আবরার বেশ যত্নে খাবার একটু একটু করে খাওয়াতে থাকে তার পরিকে। খাবার গিলতে গিয়ে বারবার উগড়ে দিতে ইচ্ছে করে স্নিগ্ধার। কিন্তু আবরারের ভয়ে বাধ্য মেয়ের মত খেতে থাকে সবটা।
বাটি পুরো খালি করেই থামলো আবরার। স্নিগ্ধা গাল ফুলিয়ে রেখেছে দেখে মুচকি হাসলো। টিস্যু পেপার দিয়ে ওর মুখটা আলতো করে মুছিয়ে দিয়ে ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,
— খাবার কার পেটে গেলো এখন??
জবাবে স্নিগ্ধা গাল দুটো ফুলিয়ে রেখেই বলল,
— সব আপনার জোরজবরদস্তি।
আবরার বাচ্চাদের মতো স্নিগ্ধার গাল টেনে বলে ওঠে,
— জোর করে যদি ভালো কিছু হয়,তবে জোর করাই ভালো।
স্নিগ্ধা খানিকক্ষণ কপাল কুঁচকে তাকিয়ে থেকে হেসে ফেলে। নিচের ঠোঁট লাজুক ভাবে কামড়ে ধরে আবরারের বুকে মাথা ঠেকায়। আবরার মাথা ঝুকিয়ে স্নিগ্ধার কপালে ছোট করে চুমু খেয়ে দুহাতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে ওকে।
___________________________________________
_________________________________
কি বলছিস কি..?? লোকটার আগে একটা বউ ছিলো? তার মানে স্নিগ্ধা ওর সেকেন্ড ওয়াইফ?
মৃনালের কথায় সুমন হ্যা বোধক মাথা নাড়ে। উদ্বেগ নিয়ে বলল,
— হ্যা। তবে আর কি বলছি তোকে। একবার ভাব! দুটো বিয়ে করেও শালা এত্ত সুন্দর একটা বউ পেলো।আর আমরা হতভাগা একটাই পাচ্ছিনা..!!
মৃনাল ধমকে বলল,
— ফালতু কথা রাখ।আর কি খবর জোগাড় করলি সেটা বল!
সুমন মুখটা সিরিয়াস করে বলল,
— স্নিগ্ধাদের গ্রামের জমিদার ছিলো আবরারের বাবা আসাদ চৌধুরী। ওদের গ্রামের বাড়িতেই স্নিগ্ধার বাবা মালির কাজ করে। সেখান থেকে ওদের আলাপ।তারপর বুঝিস ই তো অত গরিব ঘরে আবরারের মত ধনী ছেলে তো আকাশের চাঁদ সমতূল্য।হয়তো টাকার লোভে পরে মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে৷ নাহলে আগে বউ আছে জানা সত্ত্বেও কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় সেখানে। তাছাড়া ওদের বয়সের ব্যাবধানও তো কম নয়। কমসে কম আট নয় বছরের তো হবেই।
মৃনাল ভ্রু কুঁচকে বলল,
— কিন্তু তুই এত খবর পেলি কোথা থেকে?
সুমন ঈষৎ ভাব নিয়ে বলে ওঠে,,
— আরে পকেটে টাকা থাকলে ব্যাঙের ছাতাও পাওয়া যায়।সেখানে এসব খবর তো কোনও ব্যাপারই নাহ।আর তুইতো জানিস ই আমার একটু ডিটেকটিভ হওয়ার ইচ্ছে আছে। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে আবরার চৌধুরীর বাসার দারোয়ান কে ঘুষ দিলাম কিছু।আর জিজ্ঞেস করতেই ব্যাটা গড়গড় করে সব বলে দিলো।
মৃনাল চিন্তিত মুখে জ্বিভ দিয়ে নিচের ঠোঁট দ্বয় ভিজিয়ে নিয়ে বলল,
— প্রথমে ভেবেছিলাম স্নিগ্ধা হয়তো আমায় এভোয়েড করতে মিথ্যে বলছে। পরে ওর বরকে দেখে ভাবলাম ঠিক বলছে ।কিন্তু তাও কেমন একটা খুতখুত লাগছিলো।তোকে খোঁজ নিতে না বললে আমার তো এসব জানাই হতোনা রে।
সুমন নিজেও চিন্তিত ভাবে বলে,
— তাহলে এখন কি করবি? আর ওদের সাংসারিক কোনও ঝামেলার কথা কিন্তু শুনিনি। হয়তো ভালোই আছে স্বামীর সাথে।আমার মনে হয় তোর পিছিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। শত হলেও মেয়েটা বিবাহিত।
মৃনাল ধৈর্য হীন গলায় বলল,
— আরে ধুর! ওটা একটা বিয়ে হলো!নিজের কোনও ইচ্ছে নেই যেখানে। তাছাড়া যে লোক একবার নিজের বউ ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে সে পরের বার আরেকটা বিয়ে করবেনা তার কি গ্যারান্টি? আর তুই নিজেই তো একটু আগে বললি যে টাকা দেখে আবরারের সাথে স্নিগ্ধার বিয়ে করিয়েছে ওর বাবা মা।
— হ্যা সেটাতো আন্দাজ করেছি।
— কিন্তু আমি আন্দাজ করছিনা।আমার মনে হচ্ছে এটাই সঠিক।
সুমন কপাল কুঁচকে বলল
— তাহলে এখন?
মৃনাল দৃঢ়তা নিয়ে বলল,
— এখন আর কি! সব ভেবে চিন্তে এগোবো। তুই বরং বাড়ি যা এখন। আমি পরে তোকে কল করে জানাচ্ছি।সামনে কি করবোনা করবো?
সুমন একটা নিঃশ্বাস ফেলে মৃনালের কাধে হাত রাখে।নরম গলায় বলে,
— যা করার একটু ভালো করে ভেবে করিস মৃনাল।
অন্তত এমন কিছু করিস না,যাতে একটা সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
চলবে,