অর্ধ_নক্ষত্র #সূচনা_পর্ব #লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

0
636

“এমপি আরশমান খান এই ইন্সপেক্টর মেহরা শেইখ কে অবমূল্যায়ন করবেন না।ভাববেন না আপনি আমার হবু স্বামী বলে আপনাকে ছেরে দিবো।ভালোয় ভালোয় উত্তর না পেলে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে উত্তম মাধ্যম দিলেই মুখ দিয়ে শু শু করে সকল সত্য কথা বেরিয়ে যাবে।”,বিষাদ কণ্ঠে কথাটি বলে থেমে যায় মেহরা।

পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছিল আরশমান।মেহরার বলা কথাটি কানে এসে ঝংকার তুলতেই আরশমান সামনে তাকায়।চোখে থাকা সানগ্লাস খুলে বিস্তর হাঁসে।সামনেই পুলিশের গাড়ি থামানো তার পাশেই পুলিশের পোশাক পরিহিতা তার হবু বউ মেহরা দাড়িয়ে।মেহরার পাশে পুলিশের পোশাকে আরো একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে।আরশমান হেঁসে বলে,”আমাকে ছাড়তে কে বলেছে মেহরা।আপনি বরং আমায় ধরেই রাখুন।আমি তো আপনার কাছেই থাকতে চাই।”

মেহরার পাশে দাঁড়ানো মেয়েটি খিটখিট করে হেঁসে উঠলো।মেহরা ভ্রু কুঁচকে মেয়েটির দিকে তাকালো অতঃপর কণ্ঠে বিরক্তির রেশ টেনে বলল,” জুনায়না তুই হাসছিস কেনো?”

জুনায়না তার হাঁসির ইতি টেনে বলল,”কী করবো বল আমার প্রিয় বন্ধু আরশমান তার হবু বউয়ের থ্রেট এর প্রতুত্তরে রোম্যান্টিক ডায়লগ দিচ্ছে।”

আরশমান কণ্ঠের খাদ বাড়িয়ে বলে উঠলো,”জুনায়না কী রে দোস্ত তোর সাথে থেকেও দেখি আমার বউ করলার মত তিক্ত কণ্ঠে আমার সাথে কথা বলে তার উপর সে মারাত্বক লেভেলের আনরোম্যান্টিক।তুই আমার বউকে কয়েকটা রোম্যান্টিকতার ক্লাস’ও তো দিতে পারিস।”

মেহরা চোখ বড় বড় করে ফেললো।জুনায়না হো হো করে হেঁসে উঠলো ।

“ভাই আপনার দেরী হয়ে যাচ্ছে।”,আরশমানের পাশে দাঁড়ানো ছেলেটি বাক্যটি বলতেই আরশমান বলে,”আকাশ কি করি বলো,হবু বউ আমার পথ আটকেছে আমি কী করে যাই?”

মেহরা কয়েক কদমে এগিয়ে আসে আরশমানকে আপাদমস্তক পরখ করে নেয়।আরশমানের পরনে কালো রঙের পাঞ্জাবি।গৌড় বর্ণের মানুষটির গায়ে কালো রঙের পাঞ্জাবিটি যেনো শোভা পেয়েছে।ঝাঁকড়া চুলগুলো বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।তার বাদামি রঙের নেত্র মেহরার মুখ পানেই সীমাবদ্ধ।

আরশমান পাঞ্জাবির পকেটে দুই হাত গুজে মেহরার দিকে এক কদম এগিয়ে এসে ফিসফিস করে শুধায়,”এমন করে আমাকে চোখ দিয়ে স্কেন করার কারণ কী মেহরা?আজ কী আমায় বেশি হ্যান্ডসাম লাগছে?যদি মাত্রাতিরিক্ত হ্যান্ডসাম লেগেই থাকে বলেই দিন না আমি কিছু মনে করবনা।”

মেহরা মৃদু হেঁসে বলে,”আপনাকে আবার হ্যান্ডসাম লাগছে? হাসালেন আরশমান।”

আরশমান নির্নিমেষ মেহরার হাঁসির পানে চেয়ে রইলো।বলল,”আপনাকে হাসাতে পেরেছি তাহলে তো আমি ধন্য মেহরা।আপনি হয়তো অবগত নন যে আপনার এই হাঁসি আমার খুব প্রিয়।”

মেহরার হাঁসি মুখ মুহূর্তের মাঝে চুপসে যায়।মেহরা দুই হাত বুকে গুজে বলে,”সাফওয়ান চৌধুরী কে কিডন্যাপ করে কোথায় রেখেছেন আরশমান?”

সাফওয়ান চৌধুরী নামটি শ্রবণেন্দ্রিয় অব্দি পৌঁছাতেই আরশমানের কপালে কয়েকটি দৃঢ় ভাঁজ পড়ে আসে।আরশমান ভরাট কণ্ঠে বলে,”আপনার কাছে কোনো প্রকার প্রমাণ আছে আমি সাফওয়ান চৌধুরী কে কিডন্যাপ করেছি?ছোট ছোট সাক্ষীর জোড়ে আপনি আমাকে কিডন্যাপের অপবাদ দিতে পারেন না।আর আরশমান কে অপবাদ দিতে হলে মজবুত প্রমাণ জোগাড় করতে হবে আপনাকে।”,বলে থেমে যায় আরশমান।মেহরা কে কোনো প্রকার দ্বিরুক্তি করতে না দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,”আকাশ আমাদের হাতে আর কত সময় আছে?”

“ভাই এক ঘণ্টা।”

আরশমান হাত বাড়িয়ে মেহরার হাত শক্ত করে ধরে ঘাড় কাত করে জুনায়নার দিকে তাকিয়ে উচ্চ কণ্ঠে বলে,”জুনায়না মেহরা কে আমার সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি কোনো সমস্যা হবে?”

জুনায়না ঠোঁট প্রসারিত করে হাঁসলো।বলল,”নাহ দোস্ত কোনো সমস্যা নাই তুই যা।বেস্ট অফ লাক।”

আরশমান ঠোঁট বাঁকিয়ে হাঁসলো।মেহরা ‘ চ ‘ শব্দটি করে উঠলো হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে তিক্ত কণ্ঠে বলল,”আমার হাত ছাড়ুন আরশমান।এইসব কেমন অসভ্যতা?”

“আমি কোনো অসভ্যতা করছি না মেহরা কিন্তু আপনি চাইলে কিন্তু করতে পারি।”

“আপনি বড্ডো খারাপ একটি মানুষ আরশমান।”

আরশমান হাঁসলো দ্বিরুক্তি করলো না।আরশমান পুনরায় জুনায়নার দিকে তাকালো।কণ্ঠের খাদ বাড়িয়ে বলল,”দোস্ত আরেকটা কথা।প্রশান্ত তোকে অনেক বার ফোন দিয়েছিল তুই পিক কেনো করিস নি?তুই নিজে থেকে একবার ওকে ফোন করে দেখে নিস কেনো তোকে ফোন করেছিলো।”,কথাটি বলে আরশমান আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখে ইশারা করতেই গাড়ির পিছনের সিটের দরজা খুলে দিল আকাশ।আরশমান মেহরাকে ঠেলে গাড়িতে উঠিয়ে নিজেও গাড়িতে উঠে বসলো।মেহরার হাত এক মুহূর্তের জন্য ছাড়লো না আরশমান।আকাশ ড্রাইভিং সিটে উঠে বসে,দ্রুত গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে চলে যায়।

.
জুনায়না পকেট থেকে ফোন বের করতে করতে আফোসসের সহিত বলে,”ইশ জুনায়না তোর জান তোকে স্বেচ্ছায় ফোন করলো আর তুই কিনা একবারও তার কল পিক করতে পারলি না!”জুনায়না ফোনটি বের করতেই তা শব্দ তুলে বেজে উঠলো।তার সাথে ‘আমার প্রশান্ত’ নামটি ফোনের স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করে উঠলো তা দেখে খুশিতে গদগদ করে উঠলো জুনায়না।

জুনায়না দ্রুত ফোন রিসিভ করে কানে চেপে ধরে বললো,”কিরে আজ নিজে থেকে এত বার ফোন করলি প্রশান্ত।”

সাথে সাথে ফোনের ওইপাশ থেকে উত্তর এলো না ওইপাশের মানুষটি কিয়ৎক্ষণ চুপ করে রইলো।ফোনের ওইপাশের মানুষটির চুপ থাকা দেখে জুনায়নাও চুপ করে রইলো ওইপাশে থাকা মানুষটির ভারী শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ খুব আবেশে অনুভব করলো।

মৌনতা ভঙ্গ করে ভরাট কণ্ঠে ঐপাশ থেকে ভেসে আসলো,”তোর বাড়িতে আমার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটা পেনড্রাইভ রয়ে গিয়েছিল তার জন্যই ফোন করেছিলাম।”

জুনায়নার মুখটি মুহূর্তের মধ্যে ছোট হয়ে যায়।জুনায়না নরম কণ্ঠে বলে,”আজ তো সম্বভ না কাল সকালে থানায় যাওয়ার আগে তোর অফিসে এসে পেনড্রাইভ টা দিয়ে যাবো।”

গাড়িতে বসে থাকা আসাদ নামের একজন ইন্সপেক্টর নেমে এসে দ্রুত বলে,”জুনায়না গাড়িতে উঠুন আমাদের থানায় যেতে হবে।”

আসাদের কন্ঠ ফোনের ঐপাশ থেকে প্রশান্ত শুনতে পেয়ে বলে উঠলো,”তোর পাশে কে জুনায়না?”

জুনায়না কানে ফোন চেপে ধরে রেখেই দ্রুত গাড়িতে উঠে বসলো অতঃপর ঠোঁট টিপে হাঁসলো তার মাথায় যে দুষ্টু বুদ্ধি ঘুর পাক খাচ্ছে।মোহিত কণ্ঠে বলল,”আরেহ দোস্ত কী যে বলি তোকে, উনি আমাদের থানায় নতুন এসেছে এক সপ্তাহ হলো।জা হট রে দোস্ত।চোখ ঝলসে যাওয়ার মত রূপ তার,উফ আমি তো তাকে দেখে বিগ ক্রাশ নামক বাঁশ খেয়ে ফেলেছিলাম প্রথম দিন।”

প্রশান্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে শান্ত কণ্ঠে বলে,”আর কত মানুষের উপর ক্রাশ খাবি?ক্যারেকটার লেস মাইয়া!ওই পোলার ঝলসে যাওয়া রূপে দেখিস তোর চোখ দুটো যেনো ঝলসে না যায়।”

জুনায়না ঠোঁট টিপে হাঁসলো বলল,”আমার তো মনে হচ্ছে শান্ত আমার চোখ দুটো ঝলসেই যাবে কী হট দেখতে রে দোস্ত।”

“তোর সাথে কথা বললেও আমার পাপ হবে।”

“ঠিক আছে তাহলে তোর পুণ্যের মত কাজ হবে এমন একটা কথা বলি।”

“তুই পুণ্যের কথাও বলতে জানিস?”

“হম জানি তো শুন তাহলে,দ্রুত এসে আমাকে একটা চুমু দিয়ে জা তো।প্রশান্ত আই ওয়ান্ট আ ডিপ কিস ইয়ার।”

“ছি!তোর মুখে কিছু আটকায় না?আর আমাকেই বা কেন বলছিস জা গিয়ে তোর ওই ঝলসানো রূপের অধিকারী ইন্সপেক্টর কে বল।”

জুনায়না নিঃশব্দে হাসলো বলল,”ঝলসানো রূপের অধিকারী ইন্সপেক্টর সামনেই আছে দোস্ত।তুই যেহেতু বলছিস তার থেকেই বরং চুমু টা নিয়েনি।”

টুট টুট শব্দে ঐপাশ থেকে ফোন কেটে দেয় প্রশান্ত।”ইশ আমার চুমু রে!”,বলেই জুনায়না হো হো করে হেঁসে উঠল।

হাঁসির ইতি টেনে কিয়ৎক্ষণ চুপ করে থাকলো জুনায়না।হঠাৎ কিছু একটা মস্তিষ্কে পুনরাবৃত্তি হতেই কল লিস্ট থেকে ‘ মা ‘ লেখা নামটির মধ্যে স্পর্শ করলো।দুই তিনবার রিং হলো ওপর পাশে থাকা জুনায়নার মা আঞ্জুমান ফোন রিসিভ করলো কোমল কণ্ঠে বলল,”কীরে মা ফোন করলি যে?”

“মা তুমি হসপিটাল গিয়েছিলে?”

“নাহ মা যাচ্ছি, রাস্তায় আছি রে।”

“তাহলে মা সাবধানে যাও ফাইজ কে সব বলবে তোমার কি কি সমস্যা।আর কোনো কথা চাপা রাখবে না বলে দিলাম।”

ঐপাশ থেকে আঞ্জুমান হাসলেন বললেন,”জানিস তোর বাবা ও যখন আমাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতেন এমন করেই বলতেন আঞ্জুমান কোনো কথা চাপা রাখবে না।আমি যে সবসময় তোর মধ্যেই তোর বাবা কে খুঁজে পাই রে মা।”

জুনায়না মৃদু হাসলো।বাবা কথাটি শুনেই তার হৃদযন্ত্র কেঁপে উঠেছে।জুনায়নার যে সকলের মত বাবা ডাকার মত একটি মানুষ নেই।জুনায়না নিজেকে সামলে বলল,”তুমি সাবধানে যাও মা।আমি তো কাজের জন্য তোমার সাথে যেতেও পারি না।”

“সমস্যা নেই তুই সাবধানে থাকিস মা।রাখি তাহলে।”

.
রিকশা সিটি হসপিটালের সামনে এসে থামলে আঞ্জুমান রিকশা থেকে নেমে রিকশা চালক কে ভাড়া দিয়ে হাসপাতালের ভিতর চলে যায়।

“১০১২”নম্বর কেবিনের সামনে এসে থেমে যায় আঞ্জুমান।কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন যুবক আঞ্জুমানের হাতের ফাইলের দিকে তাকিয়ে থেকে এগিয়ে আসে বলে,”আন্টি আপনি আঞ্জুমান রয়?”

“জি বাবা।”

“ভিতরে যান ডক্টর ফাইজ ভিতরেই আছে।”

আঞ্জুমান এগিয়ে দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে।আঞ্জুমানকে দেখে চেয়ারে বসে থাকা শ্যাম বর্ণের পুরুষটি দাড়িয়ে যায় বলে উঠে,”মামনি এসেছো বসো।”

আঞ্জুমান এগিয়ে এসে চেয়ার টেনে বসে বলে,”আর না এসে পারি জুনায়না আমাকে প্রতিদিন বলে কান ঝালা ফালা করে ফেলছিল,মা ফাইজ এর কাছে একবার যেও।”

ফাইজ হাঁসলো নম্র স্বরে বলল,”কী কী সমস্যা তোমার মামনি সব খুলে বলো।”

আঞ্জুমান এক এক করে তার সমস্যা খুলে বলল।ফাইজ সমস্যা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে প্রেস্কিপশান লিখে আঞ্জুমানের দিকে কাগজটি এগিয়ে দিল বলল,”এই ওষুধ গুলো নিয়মিত খেয়ে দেখো।”

আঞ্জুমান কাগজটি নিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলো অতঃপর বিস্তর হেঁসে বলল,”তোরা কী ছোট ছোট ছিলি রে ফাইজ।আজ কত বড় হয়ে গেলি।তোদের ধরে ধরে স্কুলে দিয়ে আসতাম।এখন কত বড় ডক্টর হয়ে গিয়েছিস,জুনায়না ওর বাবার মত ইন্সপেক্টর হয়ে গেলো।আমাদের আরশমান এলাকার এমপি আর প্রশান্ত একজন সফল বিজনেসম্যান।তুই,জুনায়না,আরশমান,প্রশান্ত তোরা চারজন আমাদের কাছে একটা নক্ষত্র।তোদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক রে বাবা।”

ফাইজ মুচকি হাসলো অতঃপর টেবিলের উপর থেকে
স্টেথোস্কোপটি হাতে নিয়ে বলল,”আমি রাউন্ডে বের হবো মামনি চলো এক সাথে বের হই।”

.
আঞ্জুমান ও ফাইজ কেবিন থেকে বেরিয়ে এলে আঞ্জুমান চলে যায়।ফাইজ দুই তলায় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য লিফটের দিকে যেতে থাকে।আচমকা শক্ত কিছু একটার সাথে ধাক্কা লেগে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায় ফাইজ।

ফাইজ বুকে হাত দিয়ে চোখ মুখ কুঁচকে সামনে তাকাতেই মুহূর্তের মধ্যেই তার মুখভঙ্গি পরিবর্তন হয়ে যায়।ফাইজ মোহিত কণ্ঠে বলে উঠে,”মাশাল্লাহ এ তো পুরাই পরি!”

ফাইজের সামনেই একটি মেয়ে হাঁটু ভাঁজ করে ফ্লোরে পড়ে থাকা ফাইল গুলো তুলছে।মেয়েটির সাথে ধাক্কা লেগেই ফাইজ পড়েছে।দুধে আলতা গায়ের রঙ মেয়েটির।পরনে শুভ্র রঙের থ্রিপিস,মাথায় শুভ্র রঙের ওড়নাটি দিয়ে ঘোমটা টেনে রাখা।তার কালো রঙের বেনি করা লম্বা কেশ ফ্লোর স্পর্শ করেছে।চোখের সামনে কিছু অবাধ্য চুল এলোমেলো হয়ে উড়ছে।মেয়েটির গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে রাখা তার আরেক হাতে স্ফিগমোম্যানোমিটার।মেয়েটি ফাইজের বলা কথাটি শুনতে পেয়ে বিষাদ কণ্ঠে বলে,”ফাজিল।”

ফাইজ ভ্রু কুঁচকে উঠে দাড়ায় মুখ ভেংচে বলে,”অসভ্য মহিলা।”

মেয়েটির মুখ হা হয়ে যায়।মেয়েটি পড়ে থাকা বাকি ফাইল গুলো হাতে নিয়ে দাড়িয়ে যায়।ফাইজ পুনরায় মুখ ভেংচে হাঁটা ধরে লিফটের দিকে।মেয়েটি রাগান্বিত কণ্ঠে বলে,”আমাকে অসভ্য মহিলা বলে আবার মুখ ভেংচে গেলো!সাহস কত বড়! দাড়া দেখাচ্ছি তোকে”,বলে পায়ের থেকে চাপ্পল খুলে ফাইজের দিকে ছুঁড়ে মারে মেয়েটি।ভাগ্যবশত চাপ্পলটি ফাইজের মাথার উপর না পড়ে চুল বিহীন চকচক করতে থাকা একটি টাক মাথায় গিয়ে ‘ ঠাস ‘ করে পড়ে যায়।

মেয়েটি জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলে উঠে,”আই যা
স র্বনাশ!সব রেখে ওই টাকলা ডাক্তার হোসেন এর মাথার মধ্যেই পড়লো।প্রাণ বাঁচাতে চাইলে পালা রে জাহরা।”,বলে পায়ে থাকা চাপ্পলটি খুলে হাতে নিয়ে দৌড় লাগায় জাহরা।

ডক্টর হোসেন এর সামনে দাড়িয়ে থাকা রোগী হো হো করে হেঁসে উঠে।ডক্টর হোসেন রোগীকে এক ধমক লাগিয়ে নিজের টাক মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,”এই চাপ্পল কোন জায়গা থেকে টপকে পড়লো?”

#অর্ধ_নক্ষত্র
#সূচনা_পর্ব
#লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

#চলবে..
আপনাদের কাছে পর্বটি কেমন লাগলো??ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সকলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here