#প্রিয়_প্রাণ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৩৬+৩৭
ছোট্ট একটা কেক হাতে দাঁড়িয়ে আরহাম। কেকটা নিজ হাতে বানালো মাত্র। রাত বারোটা বাজতে মিনিট পাঁচ বাকি। আজ তার আর তার তুঁষে’র দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিক। ঘুমন্ত তোঁষাকে টেনেটুনে তুললো আরহাম। ঢুলুঢুলু তোঁষা ফোলা ফোলা চোখে তাকালো। এলোমেলো তার চুলগুলো আরহাম আঙুল চালিয়ে গোছালো। তোঁষার সামনে কেকটা এনে কানে চুমু খেয়ে ফিসফিস করে জানালো,
— হ্যাপি অ্যানিভারসিরি প্রাণ।
তোঁষা বুঝলো না তবে হাসলো। তার কানে সুড়সুড়ি লাগছে। আরহামে’র কোলে উঠে বসলো আরাম করে। মৃদু হাসে আরহাম। তোঁষাকে আদর করে কাঁধে রাখা নিজের মাথাটা। অতঃপর দুজন একসাথে কেকটা কাটলো। তোঁষাকে খায়িয়ে দেয়াতে মজা পেলো ও। আরহামকে এখন দিবে না। একা একা আধ পাউন্ডের কেকটা খেয়ে ঢেকুর তুললো। আরহাম কিচ্ছু বললো না। তোঁষার মাথায় চুমু খেয়ে আবদারের স্বরে বললো,
— আজ ঘুমাস না আর প্রাণ।
তোঁষা হামি তুললো। আরহাম ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,
— প্লিজ না প্রাণ। আজ ঘুমাস না। আজই তো শেষ। তোকে দেখি। আমাকে দেখ। এই আরহাম তো তোর সব শেষ করে দিলো। আরহাম নিজেও শেষ প্রাণ। তোর ধ্বংসাবশেষটাই নাহয় দেখে যাই আমি। আমাকে আজ রাত টা দে।
তোঁষা বুঝলো না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। একটু পরই কি মনে করে গলা জড়িয়ে ধরলো।
আরহাম তোঁষা সহ উঠে দাঁড়ালো। আলমারি খুলে বের হলো গোলাপি এক প্রিন্সেস গাউন। তোঁষার পছন্দের চরিত্রের ডিজনিল্যান্ড এর এক পোশাকের মতো। নিজ হাতে তোঁষাকে সেটাতে সাজালো আরহাম। কাঁধ সমান চুলগুলো ছেড়ে আঁচড়ে দিলো। ফুটফুটে গোলাপি রঙে রাঙালো তোঁষার ওষ্ঠাধর।
ঠিক যেন প্রিন্সেস। তোঁষা বেজায় খুশি হলো। ঘুরে ঘুরে আরহামকে দেখালো সে। আরহাম ঢোক গিললো। সামনে কি হবে তা জানা নেই তার। আজ রাতটা বাদে তার জীবনে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কিচ্ছু না।
যদিও গত ছয়মাস আগেই কথা ছিলো তুষার তোঁষাকে এসাইলেমে পাঠাবে কিন্তু ওর পা ধরে অনুরোধ করে আরহাম রেখেছে এখানে। নিজের সব মেধা খাটিয়ে চিকিৎসা করছে। ফলাফল কতটুকু পেলো জানা নেই। তবে তুষার সকালে নিয়ে যাবে তোঁষাকে।
আজ তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকিতে আরহাম মোটেও মন খারাপ রাখবে না। সে দেখবে তার তুঁষ’কে। ভালোবাসবে তার প্রিন্সেসকে।
একদিকে ফুটফুটে তোঁষা অন্য দিকে আগুনপোড়া আরহাম৷ হাত বাড়িয়ে আরহাম তোঁষাকে নিজের কাছে নিলো। খুব ধীরে ধীরে তারা দুজন দুলছে। একসময় তোঁষা আরহামে’র বুকে মিশলো। আরহাম থামলো না। সে তার প্রিন্সেস নিয়ে বোল ডান্সে ব্যাস্ত। আচমকা হাত পৌঁছালো তোঁষার পিছনে চেইনে। এক টানে তা খুলে দিলো আরহাম। হাত চালনা করলো পিঠময়। তোঁষা আরামে “উম” শব্দ করে ও থেমে গেল। সময় পেরুলো। আরহাম ও থামলো। লাগিয়ে দিলো চেইনটা। তোঁষা মুখ তুললো গলা থেকে। আরহামে’র দিকে তাকিয়ে রইলো নেশালো চোখে। আজ পরাজিত আরহাম। সব দিক দিয়ে। সমাধি দিতে দেড়ী হলো না তার।
.
সকাল নয়টার কথা থাকলেও তুষার এলো এগারোটায়। তার নিজের ও মন চায় না তোঁষাকে আরহাম থেকে সরাতে কিন্তু আর কত? দুটো বছর জীবন থেকে গায়াব হয়ে গেলো। এখন তো সবাই সবার মতে জীবনে এগিয়ে যাচ্ছে তাহলে কেন তার পুতুল আর আরহাম সেই বছর দুই আগে আটকে থাকবে? তোঁষার সুস্থতা ছাড়া আপাতত তুষার কিছুই ভাবছে না।
দরজায় নক হওয়ার প্রায় দশ মিনিট পর খুললো আরহাম। তুষার তো একবার ভাবলো হয়তো আরহাম খুলবে না কিন্তু না সে খুলেছে। ভেতরে ঢুকার পরই দেখলো টেবিল ভর্তি নাস্তা। তোঁষা এটা ওটা নাড়ছে। আরহাম ধীর কন্ঠে বললো,
— আজ একসাথে খাব ভাই।
— পুতুল..
— ওকে বুঝিয়েছি। কিছু বলবে না তোমাকে।
তুষার আস্তে ধীরে তোঁষা থেকে একটু দূরে বসলো। আরহাম জুস এনে টেবিলে রেখে তোঁষার প্লেটে খাবার তুললো। তোঁষা সব কিছুই দুই হাতে ধরছে। আরহাম ওর মুখে মুরগির মাংসের টুকরো দিতেই তোঁষা একটু চুষে তা আরহামে’র মুখের সামনে ধরলো। অনায়াসে তা খেয়ে নিলো আরহাম। তুষার হা হয়ে তাকিয়ে রইলো। এ কোন আরহাম? সেই আরহাম যে কারো জুঠা তো দূর কারো ছুঁয়া খাবারটা ও খেতো না?
অথচ তোঁষার মুখের লালায় ভরা খাবার গিলে নিলো? আচ্ছা ভালোবাসা ঠিক কেমন হয়? এমন হয় যেমনটা তুষার চোখে দেখছে?
তুষারকে খেতে না দেখে আরহাম তোঁষা’র মুখে খাবার দিয়ে বললো,
— ভাই তোমার কি অসুবিধা হচ্ছে? অন্য পাশে বসে খাবে? সোফায় দেই?
তুষার অবশ্য সরলো না কিন্তু খেতেও পারলো না। এমনটা না তার ঘৃণা লাগছে। হয়তো অন্য কেউ হলে এখানে খেতেই পারতো না।
তোঁষা’কে খাওয়ানো হতেই তুষার বললো,
— ওনারা নিচে অপেক্ষা করছে।
আরহাম মাথা নিচু করে তোঁষাকে বুকে নিয়ে বসে রইলো। তুষার সময় দিলো। আরহাম ছাড়লো না। অগত্যা তুষার তাদের উপরে আসতে বললেই তিনজন নার্স এলো। তোঁষা বড়বড় চোখে তাদের দেখতেই একজন খুব সাবধানে তোঁষার হাতে ইনজেকশন পুশ করলো। তোঁষাকে যখন আরহাম থেকে সারাতে চাইলো তখনও ঢুলুমুলু তোঁষা বলছে,
— প্রাণ। আমাকে ছাড়ো কেন? ধরো।
একসময় মেয়েটা জ্ঞান হারালো। আরহাম ঠাই বসা। তোঁষা’কে ছাড়াতে গেলেই তুষার দেখলো তোঁষার হাতের মুঠোয় আরামে’র শার্টের কোণা যা ছাড়িয়ে দিলো তুষার। তার বুক ফেঁটে কান্না আসছে। কিন্তু করার কিছু নেই।
তোঁষাকে নিয়ে যাওয়ার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো আরহাম৷ তুষার ওর হাত ধরতেই দাঁড়া থেকে ছিটকে ফ্লোরে পরলো ও।
#চলবে…..
#প্রিয়_প্রাণ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ৩৭
“সুখ” জিনিসটা কারো সহ্য হয় তো কারো হয় না। ভাগ্যে আরহাম তোঁষার সুখ জিনিসটা বোধহয় একদমই সইলো না। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ তারা আলাদা। আরহামের শিয়রের কাছে বসা ওর মা। ভদ্র মহিলা বারবার চোখ মুছে যাচ্ছেন। একটু দূরে গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছেন তুরাগ। উপরে উপরে নিজেকে যতটা ই কঠর দেখাক না কেন ভেতরে ভেতরে তার করা হাহাকার কেবলমাত্র সেই টের পায়। তার প্রথম সন্তান আরহাম। তার প্রথম বাবা অনুভূতির জন্ম দিয়েছে এই আরহাম। এই ছেলেটাকে সে ভালোবাসে। শুধু মাত্র পরিবারের যাতে ভাঙন না ধরে তাই কোনদিন সে তোঁষা আরহামে’র বিয়ের পক্ষে ছিলো না। তুহিন কোনদিন চায় নি আরহামে’র সাথে তার ছোট পুতুলকে বিয়ে দিতে। আরহামে’র হুটহাট রাগ উঠা। নিজের জিনিস একদম নিজের করে রাখা এসব কে ই বা পছন্দ করবে? কোন বাবা ই চাইবে না আরহামে’র মতো ছেলের সাথে নিজের সন্তানের বিয়ে হোক। তুহিন ও চায় নি। তুরাগ পরিবার ভাঙার ভয়ে ছেলেকে কত অপমান করে দূর দূর করে দিয়েছিলো। তার সেই বুকের ধন আজ বিছানায় পরে আছে। ছেলের খোলা বুকে তাকিয়ে তার বুকটা ছেঁত করে উঠে। অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন তাতে। কামড়ের দাগগুলো যেন একদম তাজা। তুরাগের বুকে চাপ অনুভব হলো। মন চায় ছেলেকে বুকে চেপে ধরে রাখতে অথচ সে অপারগ। কোন এক অদৃশ্য দেয়াল দাঁড়িয়ে বাবা ছেলের মাঝে।
আজ তিনদিন ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি। ডক্টর এখনও বললো না কি হয়েছে। তুষারের কাছে শুধু শুনলো আরহাম সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে।
কোন বাবা মায়ের কাছে ছেলের সুইসাইডের কথাটা মানুষ যতটা সহজে বলে জিনিসটা কি আসলেই এত সহজ?
তোঁষাকে দেখে সোজা হসপিটালে ফিরলো তুষার। ওর লাল হওয়া চোখ দেখেই ওর মা দৌড়ে এসে ছেলের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরলো। অস্থির কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
— তুষার তোঁষা, তোঁষা ঠিক আছে?
তুষার দুই হাতে মা’কে জড়িয়ে রাখলো। একটু সময় নিয়ে ধুকপুক করা বুকে বললো,
— মা পুতুল….
— হ্যাঁ বল। পুতুল কি?
— ও ও ভালো নেই মা। ও ভালো নেই। শুধু কাঁদে। ওর মুখে ওর প্রাণ বাদে কোন শব্দ নেই। আরহাম ছাড়া ও বাঁচবে না মা৷ ও ম’রে যাবে। ওখানে সত্যি ই ম’রে যাবে। বাঁচবে না। আজ আমাকে দেখেই দৌড়ে এসে পা জড়িয়ে ধরলো। বিশ্বাস করো মা, মনে হলো আমার কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে। এতদিন আমাকে ও কত আঘাত করলো সেই আঘাতে আমি এত কষ্ট পাই নি যত কষ্ট আজ ওর এই দশাতে পেলাম। ওখানে রাখব না মা৷ ওখানে আমার পুতুল ম’রে যাবে।
এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে থামলো তুষার। ওর মায়ের মনটা ও কেমন আনচান করে উঠলো। তুষার মাকে নিয়েই আরহামে’র কাছে গেলো। তখনই আদনান এলো। পরিবারের সকলেই উপস্থিত এখানে। অপেক্ষা আরহামে’র জ্ঞান ফিরার।
আদনান তুষারকে দেখেই বললো,
— ভাই ডক্টর আসছে। কথা বলে এসেছি।
তুষার শুধু মাথা নাড়লো। কথা বলার শক্তি পেলো না আর।
রাত আটটা নাগাদ চোখ মেলে আরহাম৷ বুঝতে সময় লাগলো নিজের অবস্থান৷ আশেপাশে একে একে সকলকে দেখলেও দেখলো না ওর প্রাণকে। কিছু একটা মনে পরতেই ফট করে উঠে বসলো ওমনিই আদনান ধরলো ভাইকে। ওর মা আরহামকে সজাগ দেখেই ছেলের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে অঝোরে কেঁদে উঠলেন। আরহাম একহাতে জড়িয়ে ধরে অস্থির হয়ে বললো,
— তুঁষ? ভাই তুঁষ?
তুষার এগিয়ে এসে কিছু বলার আগেই আরহাম বললো,
— আমাকে নিয়ে চলো ওর কাছে। শুধু দেখব। একবার দেখব। কথা দিচ্ছি। দূর থেকে দেখব। আমার মন কেমন লাগছে। ও ও ভালো নেই ভাই।
ছেলের পাগলামি দেখে তুরাগ এগিয়ে এসে হঠাৎ জড়িয়ে ধরলো আরহামকে। মুহুর্তে থমকে গেলো আরহাম৷ আজ ঠিক কতটা বছর পর এক ভরসার বুক পেলো সে। দুই হাতে সেই বাবা নামক মানুষটার পিঠ ঝাপটে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠলো আরহাম।
পরিবেশটা মুহুর্তে ই ভারী হলো। তুরাগের চোখ গলিয়ে পানি পরলো। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে শুধু ধরা গলায় বললো,
— তোর তুঁষ তোরই থাকবে বাবা। নিয়ে যাবে ওর কাছে।
আরহাম কান্নার চোটে কথা বলতে পারলো না৷ আজ ঠিক কত বছর পর সে বাবা নামক ভালোবাসা পেয়েছে তা জানা নেই তার।
_____________
গায়ে কোনমতে এক শার্ট জড়িয়ে তুষার আর আদনানে’র সাহায্য গাড়িতে উঠলো আরহাম। অস্থির হয়ে একবার নিজেই বললো,
— আমি চালাই গাড়ি।
তুষার ওকে শান্ত স্বরে মানা করলো। আরহামে’র হাসফাস লাগছে। একদমই সহ্য হচ্ছে না এই পথঘাট যা পেরুতে এত সময় লাগে।
হাটু পর্যন্ত এক ফ্যাকাশে আকাশী রঙের ঢোলা জামা পরা তোঁষার। তিনজন তাকে চেপে ধরে আছে বেডের সাথে। শরীর মুচড়ে মুচড়ে উঠতে চাইছে তোঁষা। চিৎকার করে কাঁদছে গলা ফাটিয়ে। ওর কণ্ঠনালী ভেদ করে শুধু এক শব্দ ই বেরুচ্ছে “প্রাণ”। ভালোবাসা জিনিসটা বড় অদ্ভুত। এটা যেমন তোমাকে সুখের চাদরে মুড়িয়ে রাখবে তেমনই ছুঁড়ে মা’রবে অতলে যেখানে হারালেও তুলার কেউ নেই।
একসময় তোঁষার চিৎকার বন্ধ করে দেয়া হলো। তার মুখের ভেতর গুজে দেয়া হলো রুমাল। হাত পা ছটফটিয়ে উঠলো আরহামে’র প্রাণে’র। যাকে আরহাম তুলা তুলা করে বুকে পুরে রাখলো সেই তোঁষাকে যখন ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হলো তখন তার সারা শরীর কাঁপিয়ে হাত পা ছুড়লো মেয়েটা। লাভ হলো না। কেউ দয়া দেখালো না তোঁষাকে। চোখ গড়িয়ে পানি পরলো। বড় বড় চোখ করে তোঁষা খুঁজলো। পেলো না কাঙ্খিত ব্যাক্তিকে। নেই তোঁষার প্রাণ। কোথাও নেই।
এসাইলেমে ঢুকা মাত্র আরহাম যেন আরো অস্থির হলো। ভুলে গেলো তুষারকে দেয়া ওয়াদা।
তুষার ওকে নিয়ে ডক্টরের ওখানে যাওয়া মাত্র জানা গেলো তোঁষাকে শক দেয়া হচ্ছে। আরহাম নেতানো শরীরটা যেন এটা শোনামাত্র শিউড়ে উঠে। সেলের দিকে দৌড়ে যেতেই হা করে তাকিয়ে রইলো আরহাম৷
চিৎকার করে ঢুকতে নিলো ভেতরে। তুষার চেয়েও আটকাতে পারলো না। সোজা ভেতরে ঢুকে একেএকে সব তোঁষা থেকে খুলে দিলো। তোঁষা শরীর ছেড়ে দিলো। আরহাম গর্জে উঠে তোঁষার নামে মুখে অজস্র চুমু খেতে খেতে ডাকলো,
— প্রাণ। আমার প্রাণ। এই যে আমি। কলিজা আমার তাকা না। একটু তাকা। আমাকে মাফ কর তোঁষা৷ আমাকে মাফ কর।
জ্ঞানহীন তোঁষা হয়তো জ্ঞানে থাকলে অবাক হতো আরহামে’র মুখে ” তোঁষা” ডাক শুনলে। আরহাম সোজা কোলে তুলে নিলো ওকে।
কারো দিকে না তাকিয়ে বেরিয়ে গেলো সেখান থেকে। শুধু এক পলক লাল চোখে তাকালো উপস্থিত ডক্টরের দিকে। ওর নজরে কেঁপে উঠলেন তিনি।
এদিকে তোঁষার সদ্য রিপোর্ট হাতে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তুষার। মাত্র ই ওর হাতে দেয়া হয়েছে এটা। জানা নেই তুষারের। কি বয়ে আনবে এই রিপোর্ট তোঁষা আরহামে’র জীবনে।
#চলবে…