#হে_সখা_মম_হৃদয়ে_রহো
#মুগ্ধতা_রাহমান_মেধা
#পর্ব ০৬
বাহিরে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছে।মনে হচ্ছে আকাশ যেনো রাগে ফেটে পড়ছে।শত্রুদের উপর তান্ডব চালাচ্ছে।বাতাসের এলোমেলো গতি সবকিছু উড়িয়ে দিচ্ছে।রাইমার কপালের ঠিক মাঝখানটায় রিভলবার তাক করে দাঁড়িয়ে আছে প্রতিজ্ঞা।রাইমার চেহারায় আতঙ্ক স্পষ্ট।প্রতিজ্ঞার চোখ থেকে যেনো রক্ত বর্ষণ হচ্ছে।ফোলা ফোলা রক্তলাল চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাইমার দিকে।সংকল্প এবং বাড়ির সবাই বিস্ময় নিয়ে প্রতিজ্ঞাকে দেখছে।এমন কিছু হবে কেউ কল্পনাও করে নি।
সাবিহার কল কেটে দিয়ে একবার চিৎকার করে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলো প্রতিজ্ঞা।সে বুঝে উঠতে পারছিলো না কিছু সময়ের ব্যবধানে কি থেকে কি হয়ে গেলো।সে যেনো কাঁদতেও ভুলে গেছে।কিন্তু সে তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়।হঠাৎ সে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে।এতো সহজে সব কিছু মেনে নিবে না সে।এতো আত্মত্যাগ,এতো চেষ্টা,এতোদিনের ভালোবাসা সব বৃথা গেলো!মেনে নিতে পারছে না সে।সবটাই স্বপ্ন মনে হচ্ছে।ঘুম ভাঙ্গলেই সব আগের মতো হয়ে যাবে।কিন্তু না সবটা সত্যি।মাথা কাজ করছে না তার।চিৎকার করে বলে উঠে,
“সব ছাড়খাড় করে দিবো।সব শেষ করে দিবো।সবাইকে শেষ করে দিবো।”
প্রতিজ্ঞার চিৎকারে এতোক্ষণে ওর বাবা-মা,ভাই-ভাবী ঘরের বাহিরে চলে এসেছে।দরজা বন্ধ থাকায় ওপাশ থেকেই ডাকছে প্রতিজ্ঞাকে।কি হয়েছে জানতে চাচ্ছে।কিন্তু প্রতিজ্ঞার তো এসবে খেয়াল নেই।কিছু একটা মনে করে ফট করে উঠে দাঁড়ায় সে।দরজা খুলে সোজা চলে যায় বাবার ঘরে।সবাই ওর বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে আঁতকে উঠে।অনেকবার অনেককিছু জিজ্ঞাসা করলেও প্রতিজ্ঞা কিছু না বলে চলে যায়।ওর পেছন পেছন সবাই যায়।গিয়ে দেখে প্রতিজ্ঞা কিছু খুঁজছে। বাবার ওয়ারড্রব পুরোটা এলোমেলো করে ফেলেছে।আর বিড়বিড় করছে,
“এ হতে পারে না,এ হতে পারে না,সবাইকে শেষ করে দিবো,সবকিছু জ্বালিয়ে-পু*ড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিবো।”
প্রতিজ্ঞার বাবা অস্থির হয়ে জিজ্ঞাসা করছেন,
“কি হয়েছে মা বলো আমাকে।না বললে বুঝবো কিভাবে?এমন কেনো করছো?”
প্রতিজ্ঞার মায়ের চোখে জল।মেয়ে কেনো এমন করছে জানেন না তিনি।প্রতিজ্ঞার ভাবী নাদিয়া শাশুড়ীকে সামলাচ্ছে।তানিম বোনকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“বোন আমার,বল কি হয়েছে?কি খুঁজছিস?আর কি হতে পারে না? বুঝিয়ে বল!”
কারো কথা প্রতিজ্ঞার কানে যাচ্ছে না।যা খুঁজতে এসেছিলো তা পেয়ে গেছে।প্রতিজ্ঞার বাবা এসিপি হওয়ায় উনার কাছে লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত রিভলবার আছে।প্রতিজ্ঞা জানে এটা।এটাই খুঁজতে এসেছিলো এ ঘরে।
প্রতিজ্ঞার হাতে রিভলবার দেখে আঁতকে উঠে বাড়ির সবাই। মনে হাজারটা প্রশ্ন উঁকি দেয়,যাদের উত্তর অজানা। কোনোভাবেই তাকে বাড়িতে আটকে রাখতে পারে না।সে তার গাড়ি নিয়ে এই কাল বৈশাখী ঝড়ের মধ্যেই বেরিয়ে পড়ে।ওর বাবা এবং ভাই ওর পেছন পেছন বেরিয়ে পড়ে।
আহমেদ মেনশনে ঢুকতেই বউসাজে এক রমণীতে সোফায় বসে থাকতে দেখে।তার পাশে শাহআলম সাহেব বসা।সাবিহা-সংকল্প এবং মাধুরী বেগম জাহানারা বেগমের কাছে আছে।উনার জ্ঞান ফিরেছে কিছুক্ষণ হলো।কিন্তু একটা শব্দও মুখ থেকে বের করেননি।প্রতিজ্ঞা সোজা হেঁটে গিয়ে রাইমার সামনে দাঁড়ালে রাইমা উঠে দাঁড়ায়।তখনই রাইমার কপালে বন্দুক ঠেকায় প্রতিজ্ঞা।
রাহিব-সাহিব দৌড়ে জাহানারা বেগমের রুমে যায়।ওদের হাঁপাতে দেখে ওদের মা ধমকে উঠে।বলে,
“দৌড়ছিস কেনো তোরা?দেখছিস না বাড়ির অবস্থা? এখনো তোদের বাঁদরামি করতে হবে?”
বাচ্চা দুটোর চোখেমুখে আতঙ্ক।থেমে থেমে রাহিব বলে,
“প্রতিজ্ঞা আপু…
থেমে যায় রাহিব।বুঝা যাচ্ছে অনেক ভয় পেয়ে আছে।প্রতিজ্ঞার নাম শুনে সবাই চমকে উঠে।সাবিহা রাহিবের কাছে যায়।জিজ্ঞাসা করে,
” প্রতিজ্ঞা আপু কি?কি করেছে?ভয় পাচ্ছিস কেনো?”
সাহিব ঢোক গিলে থেমে থেমে বলে উঠে,
“প্রতিজ্ঞা আপু এসেছে।ওর হাতে বন্দুক।নতুন ভাবীর মাথায় বন্দুক ধরে আছে।”
বাক্য কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই উপস্থিত সকলের মাথায় বজ্রাঘাত হয়।সবাই দৌড়ে ড্রয়িং রুমে যায়।জাহানারা বেগমও আর বসে থাকতে পারলেন না।মাধুরী বেগমের সাহায্য নিয়ে তিনিও ঘর থেকে বের হন।
প্রতিজ্ঞা এতোক্ষণে মুখ খুলে।চোখ দিয়ে যেনো আগুন বের হচ্ছে।চোয়াল শক্ত করে রাইমাকে বলে উঠে,
“তুই জানিস তুই কি করে ফেলেছিস? কার দিকে হাত বাড়িয়েছিস?আমার ভালোবাসার মানুষের দিকে কেউ দ্বিতীয়বার চোখ তুলে তাকানোর সাহস পায় না।আর তুই বিয়ে করে ফেলেছিস?তোকে কি করবো বল?কি করা উচিত তোর সাথে এখন!”
রাইমা আতঙ্কিত হয়ে আছে।প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছে।এমনিতেই অনিচ্ছায় বিয়ে করেছে,তারউপর এমনকিছু।সহ্য হচ্ছে না যেনো।ঢোক গিলে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজালো।এক নিঃশ্বাসে বলে উঠলো,
“আমার কোনো শখ ছিলো না এই বিয়ে করার।নেহাতই বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিয়েছে।এই বিয়ে করার থেকে মরে যাওয়া ভালো ছিলো।”
এই কয়েকটা বাক্য ড্রয়িংরুমে বি*স্ফোরণ ঘটাতে যথেষ্ট ছিলো।সংকল্প বিস্ময় নিয়ে বাবার দিকে তাকালো।তিনি চোখ সরিয়ে ফেললেন।
প্রতিজ্ঞা রাইমার বিপরীতে এক চিৎকার দিয়ে বললো,
“তো মরে গেলি না কেনো তুই?”
চিৎকারে পুরো বাড়িটা যেনো কেঁপে উঠলো।শাহআলম সাহেব রাগান্বিত হয়ে বললেন,
“প্রতিজ্ঞা কি শুরু করেছো তুমি?গু*ন্ডামি করছো কেনো?”
প্রতিজ্ঞা ধমকে উঠে।বলে,
“এই চুপ,একদম চুপ।আপনি,এই আপনি সব অঘটন ঘটিয়েছেন।আগে একে মা*রবো তারপর আপনাকে।”
রাইমার পুরো মুখে বন্দু*ক ঘুরাতে ঘুরাতে প্রতিজ্ঞা বলে,
“তুই তো মরিস নি।তবে এখন মরবি তুই,আমি মা*রবো তোকে এখন,এই মুহূর্তে।এই বাড়িতে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিবো আমি।বল কোথায় গু*লি করবো,বল!মুখে? চোখে?কথা বলছিস না কেনো?”
শেষের কথাটা চিৎকার করে বলে।রাইমা ভয়ের চোটে কিছু বলতে পারছে না।কথাগুলো যেনো আঁটকে যাচ্ছে।প্রতিজ্ঞার বাবা-ভাইও এতোক্ষণে চলে এসেছেন। যা বুঝার বুঝে গেছেন।
সংকল্প প্রতিজ্ঞার এক হাত ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে জোরে থাপ্পড় মা*রে।রাগান্বিত হয়ে বলে,
“এতোদিন কোথায় ছিলো তোমার ভালোবাসা?আজকে কোথা থেকে উদয় ঘটলো?ডানা গজিয়েছে?”
প্রতিজ্ঞা গালে হাত দিয়ে অশ্রপূর্ণ চোখে সংকল্পের দিকে চেয়ে আছে।হঠাৎ অশ্রুপূর্ণ দৃষ্টি আবার রক্তবর্ণ ধারণ করে।চেঁচিয়ে বলে উঠে,
“আমি তো সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম সংকল্প।কিন্তু, কিন্তু সময় আমার সাথে বেঈ মা নি করলো।সময় আমার থেকে আপনাকে কেড়ে নিলো।আমি সহ্য করতে পারছি না সংকল্প, আমি পারছি না।”
বলতে বলতে আবার কাঁদতে শুরু করলো প্রতিজ্ঞা।কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে বসে পড়লো।সাবিহা তাকে জড়িয়ে ধরলো।সেও কাঁদছে। প্রতিজ্ঞা তাকে দেখতেই সাথে সাথে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।উঠে গিয়ে সাবিহার মুখ চেপে ধরে চেঁচিয়ে উঠলো। বললো,
“এই তুই তো সব জানতি।জানতি না?তুই কেনো আটকালি না?বল?তুই কি করছিলি?তুই সব জেনেও চুপ করে ছিলি।তুই আমার সাথে বেঈ মা নী করছিস।তোরা সব কয়টা বেঈ*মান।”
প্রতিজ্ঞার বাবা-ভাই প্রতিজ্ঞাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।এরমধ্যে তার বাবা রিভলবারটা নিয়ে নিয়েছে।কিন্তু প্রতিজ্ঞার উপর মনে হয় কোনো অদৃশ্য শক্তি ভর করেছে।ছাড়ানো যাচ্ছে না।জাহানারা বেগম আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদছেন। কান্নাভেজা কন্ঠে প্রতিজ্ঞাকে বললেন,
“সাবিহা জানতো না রে।আমরা কেউই জানতাম না।কিচ্ছু জানতাম না।”
জাহানারা বেগমের কথা কানে প্রবেশ করতেই প্রতিজ্ঞা সাবিহাকে ছেড়ে দিলো।জাহানারা বেগমের দিকে তাকালো।সাবিহা এখনো কাঁদছে। প্রতিজ্ঞা নিজেকে বাবা-ভাইয়ের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলো।চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ালো। ধীর পায়ে হেঁটে জাহানারা বেগমের পায়ের কাছে বসলো।অশ্রুরা যেনো বাঁধ ভেঙ্গে ফেলেছে,থামছেই না।করুণ স্বরে বললো,
“আন্টি তুমি না বলেছিলে আমাকে তোমার ছেলের বউ বানাবে?বলেছিলে তো? তাহলে?কি হলো এটা?বলো কি হলো?”
জাহানারা বেগম কাঁদছেন। কিছু বলার ভাষা নেই তার।প্রতিজ্ঞা ওখানেই বসে আছে।বিড়বিড় করছে,
“সংকল্প আমার।এই বিয়ে মানি না,মানি না এই বিয়ে।সবাইকে শেষ করে দিবো।কাউকে বাঁচতে দিবো না,কাউকে না।”
চট করে উঠে দাঁড়ালো প্রতিজ্ঞা।সংকল্পের দিকে তাকালো।সংকল্প টলমলে দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।প্রতিজ্ঞা দৌড়ে তার কাছে গিয়ে তার কলার চেপে ধরলো।বললো,
“এখন আমার কি হবে?আমি কি করবো?বলে দিন আমায় বলুন?আমার কি হবে?আমার এতোদিনের অপেক্ষা বৃথা গেলো?এই তার প্রতিদান?”
সংকল্প নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,
“তুমি বড্ড দেরী করে ফেললে প্রতিজ্ঞা।”
কথাটা অন্তকর্ণে পৌছাতেই অগ্নিদৃষ্টিতে তাকালো প্রতিজ্ঞা।
আরে জোরে কলার চেপে ধরলো।দাঁত কিড়মিড়িয়ে বললো,
“কোনো দেরী করি নি।করি নি আমি দেরী।এই বিয়ে মানি না আমি।আপনি আমার সংকল্প,আপনি আমার।আপনার অবস্থান আমার হৃদয়ে।হৃদয়ের সবটা জুড়ে শুধু আপনি।সেই আপনি অন্য কারো হতে পারেন না।কোনো ভাবেই পারেন না।সৃষ্টিকর্তা আমার সাথে এমন করতে পারেন না।পারেন না এমন করতে।ঐ জায়গায় আজকে আমার বধূবেশে দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিলো।আমার কিসে কমতি ছিলো বলুন না?আমি কি দেখতে ওর থেকে খারাপ?আমার রূপে, গুণে, টাকায়, ভালোবাসায় কিসে কমতি ছিলো?বলুন সংকল্প।চুপ করে থাকবেন না।শুনোন,আপনি আমার সংকল্প, আপনি আমার।আমি আপনাকে না পেলে আর কাউকে পেতে দিবো না।হয় আপনি আমার নাহয় কারোর না।আপনাকে মা*রতেও আমি দু’বার ভাববো না।”
বলতে বলতে প্রতিজ্ঞার মনে হলো চারিদিকটা ঘুরছে।সে মাথায় হাত দিলো।চোখগুলো যেনো বন্ধ হয়ে আসছে।চারিদিকটা কেমন ঘোলাটে লাগছে।সবগুলো মানুষ যেনো তার চারদিকে ঘুরছে।তবুও সে বিড়বিড় করছে,
“সংকল্প আপনি আমার,নাহয় কারোর না।”
হঠাৎ প্রতিজ্ঞার মনে হলো তার মাথাটা শক্তপোক্ত কোনোকিছুর উপর পরলো।মাথাটা কেমন করে যেনো উঠলো।তারপর সব অন্ধকার।
প্রতিজ্ঞা জ্ঞান হারিয়েছে।সাবিহা,আনোয়ার সাহেব, তানিম দৌড়ে প্রতিজ্ঞার কাছে এলো।সংকল্প প্রতিজ্ঞাকে ধরতে এলে তানিম তাকে সরিয়ে দেয়।প্রতিজ্ঞার বাবা নিজের কোলে মেয়ের মাথা রেখে ডাকছেন মেয়েকে।তার চোখেও জল।বলছেন,
“তুই আমাদের আগে কেনো বললি না মা?তাহলে তো এতো কষ্ট পেতে হতো না।মা উঠ মা,প্রতিজ্ঞা!”
সাবিহা চোখের জল মুছছে আর প্রতিজ্ঞাকে ডাকছে।কোনো সাড়াশব্দ নেই।
তানিম বোনকে পাঁজা কোলে তুলে নিলো।যেতে যেতে সংকল্পকে রাগান্বিত কন্ঠে বললো,
“আমার বোনের কিছু হলে আমি ছেড়ে কথা বলবো না।”
তারপর বেরিয়ে গেলো।প্রতিজ্ঞার বাবাও উঠে দাঁড়ালেন।শাহআলম সাহেবের কাছে গেলেন।চোয়াল শক্ত করে বললেন,
“আমার মেয়ের যদি কিছু হয়,তাহলে এই বাড়ির প্রতিটা মানুষকে আমি জেলের ভাত খাওয়াবো।সবার জীবন ন রক বানিয়ে দিবো।মনে রাখবেন।”
তারপর সংকল্পের দিকে তাকালে সংকল্প মাথা নত করে ফেলে।আনোয়ার সাহেব বেরিয়ে গেলেন।প্রতিটা মানুষ যেনো এখনো ধ্যানমগ্নই আছে।কি থেকে কি হয়ে গেলো বুঝে উঠতে পারলো না কেউ।
শাহআলম সাহেব রাগে গিজগিজ করে বললেন,
“কত্ত বড় সাহস আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকেই হুম*কি দিয়ে গেলো।আর ঐ মেয়েটা! একটা গু*ন্ডা!”
সংকল্প রাগী স্বরে বললো,
“চুপ করো আব্বু।তুমি আমাদের জীবন ধ্বংস করে দিলে।কি বলেছিলে তুমি?রাইমা বিয়েতে রাজি!উনাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে আব্বু।এখন মনে হচ্ছে কি জানো?এতোগুলো জীবন নষ্ট হওয়ার চেয়ে তোমার ম রা মুখ দেখাটাই ব্যাটার ছিলো।”
বাক্য কর্ণপাত হতেই শাহআলম সাহেব গর্জে উঠলেন।
“সংকল্প! তুমি ভুলে যাচ্ছো আমি তোমার বাবা।”
“তোমাকে আমার বাবা বলতেও লজ্জা লাগছে।এতোদিন জানতাম ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের জীবন নষ্ট করে,এখন দেখছি বাবারাও ছেলেমেয়েদের জীবন নষ্ট করে।”
রাগান্বিত স্বরে বলে চলে যায় সংকল্প।
#চলবে….