#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________52
সকাল ৬টা বাজে…………..
পাসের বেডে জেক আর রাহুল একে অপরের গায়ের উপর হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে আছে । আর এদিকে নিদ্র তৃপ্তির বেডের ডান পাসে আধ শোয়া হয়ে তৃপ্তির ঘুমন্ত মুখ দেখছে । তৃপ্তি অঘর ঘুমে তলিয়ে আছে । তার মুখে কিছু’টা তৈল ভাষা দিয়েছে । গতকাল রাতে প্রছন্ড জ্বর এসে ছিল তৃপ্তির । জ্বরের তারোনায় আবল তাবল বকছিল অনেক । একজন ডিউটি ডাক্তার এসে কিছু ঔষধ লিখে দেয় । পরে ঔষধ গুলো তৃপ্তির শরীরে দেওয়ায়, জ্বর অনেক’টা কমে যায় । রাতেই আমেনা’কে কল করে নিদ্র যানিয়ে দিয়েছে, তারা গত দুই দিনেও বাড়িতে যেতে পারবে না । আমেনা কারন জিজ্ঞেস করতে । জেক নিদ্রর হাত থেকে টান দিয়ে ফোন নিয়ে আমেনাকে বলেছিল । “আন্টি আমরা দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাচ্ছি । তৃপ্তি কেও সাথে নিয়ে যাচ্ছি । আপনি প্লিজ না করবেন,,, না” । নিদ্রর বন্ধুদের অনুরোধ আমেনা কখনো ফেলেনি । উনার পুরো ভরসা আছে নিদ্রর বুন্ধুদের উপর । তাই জেকের অনুরোধও আমেনা ফেলো না । কিন্তু আমেনা তো যানে না । যে এখানে কতো কিছু ঘটে গেছে । যাই হোক,,,,। নিদ্র তৃপ্তির গোলাপি রাঙা ঠোঁট দু’টোর দিকে তাকিয়ে আছে । ঠোঁট দু’টো কেমন চক চক করছে । নিদ্র ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে, তৃপ্তির ঠোঁটের ডান পাসের কোন থেকে বাম পাসের কোন প্রজন্ত টেনে নিলো । ঠোঁট দু’টো থেকে চক চকে ভাব’টা সরে গেল । এখন কেমন শুকনো একটা ভাব ফুটে আছে । তৃপ্তি একটু নড়ে চড়ে উঠলো । হয় তো নিদ্রর ছোঁয়া পেয়ে ঘুম ভেঙে গেছে । তৃপ্তি আস্তে করে চোখ দু’টো খুলে নিদ্রর দিকে তাকালো । দেখলো নিদ্রর চোখ দু’টো একে বারে তার চোখের সামনে । তৃপ্তি একটু ঘাবড়ে গেলো । হঠাৎ করো চোখ নিজের এতো কাছে দেখলে, ঘাবড়ে যাওয়াই সাভাবিক । ডান হাত’টা নাড়িয়ে ঘুম লাগানো ভাঙা গলায় তৃপ্তি বলে উঠলো ।
:+ভা,,ভাই,য়া ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি গলার স্বরে নিদ্রর ঘোর কাটলো । কিন্তু সে যে জন্য এতো কাছে আসলো, সেটা তো করেই যাবে । নিদ্র আবার ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে, তৃপ্তির নাকের তৈলাক্ত ভাব’টা মুছে নিলো । এরপর আস্তে করে তৃপ্তির নাকের ডগায় ঠোঁট জোরা ছোয়ালো । তৃপ্তির নাক সিরসির করে কেপে উঠলো । চোখ মুখ খিচে বুঝে নিলো তৃপ্তি । নিদ্র এবার তৃপ্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে বললো ।
:+গুড মর্নিং মাই কিউট ডল ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে তৃপ্তি চোখ খুললো । এরপর চট করে নিদ্রর গালে নিজের ঠোঁট জোরা ছোয়িয়ে সেও আস্তে করে বললো ।
:+গুড মর্নিং শয়তান ।(তৃপ্তি)
নিদ্র মুচকি হেসে তৃপ্তির গলার কাছে মুখ নিয়ে গেল । এমন সময় তাদের পাসের বেড থেকে আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসতে লাগলো রাহুল । নিদ্র তাড়াতাড়ি তৃপ্তির থেকে সরে আসলো । এরপর বেডের পাসে বসে রাহুলের দিকে তাকালো । রাহুল কেবলা হাবার মতো নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।
:+তুই সারা রাত ঘুমোস’নি? তোর চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেন? এখানে এভাবে বসে ছিলি না’কি সারা রাত ।(রাহুল)
রাহুকের কথা শুনে, নিদ্র হাত দু’টো উপরে তুলে আড়মোড়া ভেঙে বললো ।
:+ঘুমিয়েছি । এখনেই, ওর পাসে ।(নিদ্র)
ভেঙে ভেঙে কথা গুলো বললো নিদ্র । রাহুল আর কিছু বললো না । সে বেড থেকে নেমে ওয়াসরুমে চলে গেল । তৃপ্তি নিদ্রর পিঠে ডান হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে বললো ।
:+তোমার কি হয়েছে বলো তো ভাইয়া । যখনি আমার কাছে আসো । তখনি খালি আমাকে চুমু খাও । আমার এসব ভালো লাগছে না । আমাকে আর চুমু খাবে না তুমি । আমার কেমন যেন লাগে ।(তৃপ্তি)
নিদ্র তৃপ্তির কথা শুনে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে বললো ।
:+কেমন লাগে তোর ।(নিদ্র)
নিদ্রর তাকানো দেখে তৃপ্তি লাজুক মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে আস্তে করে বললো ।
:+জানি না । কেমন যেন লাগে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, নিদ্রর ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা ফুটে উঠে । নিদ্র কিছু বলার আগেই, তৃপ্তি নিদ্রর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট জোরা উল্টে আবার বলে উঠলো ।
:+আমার খিদে পেয়েছে । আমি কিছু খাবো ।(তৃপ্তি)
নিদ্র একটু নড়ে চড়ে বসলো কথা’টা শুনে । এরপর ওয়েট করতে লাগলো কখন রাহুল ওয়াসরুম থেকে বের হবে । তৃপ্তিকে ফ্রেশ করিয়ে, নিজে ফ্রেশ হয়ে, খাবার আনতে যাবে সে ।
—————————————–
দুপুর ১২টা বাজে……….
দেখতে দেখতে দুই’টা দিন কেটে গেছে । এই দুই দিনে তৃপ্তির কাছ থেকে একটুও সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি নিদ্র । সব সময় কেবিনের ভিতরে থেকেছে । বলতে গেলে তৃপ্তিই নিদ্রকে টেনে টেনে নিজের কাছে রেখেছে । নিদ্রকে নিজের কাছ থেকে একটুও সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি তৃপ্তি । কেনো তৃপ্তি এমন করো, এটা নিদ্রর কাছে রহশ্য । তবে নিদ্রর বেশ ভালোই লেগেছে । তৃপ্তি ডান হাত দিয়ে নিদ্রর বাম হাত ধরে একটু একটু করে হসপিটালে ঘুরে বেরিয়েছে । নিদ্র কেয়ারিং হাজবেন্ডের মতো তৃপ্তির খেয়াল রেখেছে । তৃপ্তির পোশাক আসাক একজন নার্স পরিবর্তন করে দিয়েছে এই কয়দিন । জেক আর রাহুল অন্য সব কাজ করেছে । পাঁচ তলা বাড়ির গেট দিয়ে ভিরতে গাড়ি প্রবেশ কারালো জেক । এরপর গাড়ি’টা পার্ক করে গাড়ি থেকে নেমে দারালো । গাড়ি’টির পিছনের দরজা খুলে প্রথমে বেরিয়ে এলো নিদ্র । এরপর তৃপ্তিকে আস্তে করে ধরে গাড়ির ভিতর থেকে নামিয়ে নিলো । তৃপ্তির বাম হাত’টা পালাস্টার করা । গলায় সাদা কাপড়ের বেন্ডেজ দড়ির মতো বানিয়ে বুকের উপর ঝুলানো বাম হাত’টা । রাহুল গাড়ির ভিতর থেকে ঔষধের বেগ আর জামা কাপড়ের বেগ গুলো নামাতে লাগলো । নিদ্র জেকের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তোরা এগুলো নিয়ে আয় । আমি ওকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে যাচ্ছি ।(নিদ্র)
জেক হেসে বলে উঠলো ।
:+সাবধানে ভিতরে যা । আন্টি আবার ঝারু নিয়ে তোকে দৌড়ানি না দেয় ।(জেক)
জেকের কথা শুনে তৃপ্তি হেসে উঠলো । নিদ্র তৃপ্তির ডান হাত’টা ধরে বললো ।
:+চল ভিতরে, এখানে রোদ পড়ছে ।(নিদ্র)
নিদ্রর সার্পোট পেয়ে, তৃপ্তি ধিরে ধিরে বাড়ির ভিতরের দিকে পা বারালো । জেক আর রাহুল তাদের পিছু পিছু ঔষধের বেগ পত্র আর জামা কাপড়ের বেগ গুলো নিয়ে আসতে লাগলো ।
★
আমেনা সবে মাত্র রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন । এই মাত্র উনার রান্না শেষ হয়েছে । মসলা বাটার মহিলা’টি আজ আসেনি । তাই বেলেন্ডারে মসলা গুঁড়ো করে রাধতে হয়েছে উনাকে । ড্রোইং রুমে ফেনের নিচে বসে জিরোচ্ছেন আমেনা । ঘেমে নেমে একা কার অবস্থা উনার । এমন সময় নিদ্র তৃপ্তিকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো । আমেনা চোখ দু’টো বুঝে ফেনের দিকে মুখ করে বসে ছিল । তৃপ্তি বাড়ির ভিতরে এসে আমেনাকে দেখে ডেকে উঠলো ।
:+বড় আম্মু ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির গলার আওয়াজ পেয়ে, আমেনা চট করে চোখ খুললো । এরপর যেদিক থেকে আওয়াজ আসছিল সেদিকে তাকালো । তৃপ্তিকে এমন অবস্থায় দেখে আমেনা আঁতকে উঠলেন । তরি ঘরি করে সোফা থেকে উঠে তৃপ্তির সামনে গিয়ে দারালেন । এরপর তৃপ্তির মুখে,গায়ে হাতে দিয়ে ছুয়ে আতংকের সাথে বলে উঠলেন ।
:+এ কি অবস্থা হয়েছে তোর? এমন হলো কি করে? কে করেছে তোর এমন? (আমেনা)
আমেনার আতংকিত চেহারা দেখে, নিদ্র পাস থেকে বললো ।
:+MOM….কুল ডান । ওকে আগে বসতে দাও । এরপর তুমি ওকে যা প্রশ্ন করার করো ।(নিদ্র)
আমেনা রাগি চোখে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্রর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল । আমেনা হুংকার দিয়ে বলে উঠলো ।
:+একদম চুপ হারামজাদা । মেয়েটার এমন অবস্থা করে বাড়িতে নিয়ে আসছে । আবার বড় কথা বলছে । ওর এই অবস্থা হলো কি করে?(আমেনা)
আমেনার কথা শুনে, তৃপ্তি ডান হাত দিয়ে, আমেনার বাম হাত ধরে বললো ।
:+ওদিকে চলো বড় আম্মু । আমি সব বলছি ।(তৃপ্তি)
আমেনা নিদ্রর দিকে চোখ পাকিয়ে রাগি গলায় বললো ।
:+তোকে পরে দেখছি । ও যদি উল্টা পাল্টা কিছু বলে, তাহলে তোর আজ খবর আছে ।(আমেনা)
এই বলে আমেনা নিদ্রর কাছ থেকে তৃপ্তিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো । নিদ্র জোরে একটা নিশ্বাস ছেরে, পিছনে ঘুরে জেক আর রাহুলের হাত থেকে ঔষধের বেগ পত্র নিয়ে বললো ।
:+আমার সাথে আয় তোরা ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে জেক ঘার ডলতে ডলতে বললো ।
:+আমরা এখন চলে যাই । পরে আবার আসবো ।(জেক)
নিদ্র কপাল কুঁচকে জেকের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+যেটা বলছি সেটা কর । এখন আমার সাথে আয় । দুপুরে না খেয়ে কোথাও যাচ্ছিস না তোরা ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র সামনে ঘুরে হাটা ধরলো । জেক আর রাহুলও নিদ্রর পিছু পিছু হাটা ধরলো । ড্রোইং রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় নিদ্র একবার আর চোখে তৃপ্তির দিকে তাকালো । তৃপ্তি নিদ্রর দিকে তাকিয়ে ছিল । আমেনা তৃপ্তিকে কি যেন বার বার জিজ্ঞেস করছিল । নিদ্র চোখ দিয়ে ইসরা করলো তৃপ্তিকে । যে আমেনার প্রশ্নের উত্তর দিতে । তৃপ্তি নিদ্রর থেকে চোখ সরিয়ে আমেনার দিকে তাকালো । আমেনা তৃপ্তির গালে আলতো করে হাত রেখে, শান্ত গলায় বললো ।
:+কি হয়েছে তোর । কথা বলছিস না কেন? নিশ্চয় বাঁদর টার জন্য কিছু করছে । কেয়ার লেচ একটা ।(আমেনা)
শেষের কথা চোখে মুখে রাগ এনে বললো আমেনা । তৃপ্তি একটু পিছনে সরে, আস্তে করে ডান পাসে কাত হয়ে আমেনার কোলে মাথা রাখলো । এরপর জোরে একটা নিশ্বাস ছেরে বললো ।
:+আমি যা বলবো, তুমি সুধু চুপচাপ শুনে যাবে । কথা গুলো শুনার পর, আমাকে বকতে পরবে না । ভাইয়াকেও বকতে পরবে না । প্রমিজ করতে হবে তোমাকে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, আমেনা একটু ভাবান্তক হলো । তৃপ্তি কি বলবে, যে সে তাদের বকতে পারবে না । আমেনা তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে বললো ।
:+আগে বল শুনি । তারপর বুঝবো তোদের বকা যায় । নাকি,, বকা যায় না ।(আমেনা)
আমেনার কথা শেষ হতেই, তৃপ্তি চট করে বলে উঠলো ।
:+না,, আগে তোমাকে প্রমিজ করতে হবে । নাহলে আমি কিছু বলবো না ।(তৃপ্তি)
আমেনা পরে গেল বিপাকে । নিদ্রর কাছে কথা গুলো শুনতে যাওয়া মানে, এক গাদা পেচানো মিথ্যা কথা । তৃপ্তি সত্যি বলবে কিনা আমেনা যানে না । তবুও মেয়ে’টাকে বিশ্বাস করে আমেনা । মেয়ে’টার বাচ্চা বাচ্চা সভাব আমেনার ভালো লাগে । এই মেয়ে মিথ্যা বলবে বলে আমেনার মনে হয় না । নিদ্রর বৌ হিসেবে মেয়ে’টাকে মেনে নিয়েছে আমেনা । কিন্তু একটা শর্তে যে তিনি ঠেকে আছেন এখনো । কি হবে, যদি সেই মেয়েটি এসে আমেনার সামনে দারায় । যদি প্রশ্ন করে, “আমার ভালোবাসাকে তুমি অন্যর হাতে তুলে দিলে”। ” এখন আমার আমি হবে?” । তখন আমেনা কি যবাব দেবে । সাত পাঁচ ভাবা বাদ দিয়ে আমেনা বললো ।
:+আচ্ছা এই প্রমিজ করলাম । তোদের কাওকে কিছু বলবো না । এবার বল, কি হয়েছে তোর? হাত পালাস্টার করা কেন? চোখ মুখ কেমন শুকিয়ে গেছে । এই কয়দিন কিছু খাসনি না’কি ।(আমেনা)
আমেনার কথা শুনে, তৃপ্তি একটু নড়ে চড়ে আরাম করে শুয়ে বললো ।
:+তাহলে শুনো । সেদিন আমরা ঘুরতে যাওয়ার পর । আমি ভাইয়ার কাছে বায়না করি তার বাইক চালাবো । কিন্তু ভাইয়া দিতে নারাজ । আমি তো বাইক চালাবোই, আমার খুব জেদ উঠে বসলো । তখন আমি কায়দা করে ভাইয়ার বাইকের চাবি চুরি করে নেই তার থেকে । জেক ভাইয়া, রাহুল ভাইয়া, আর ভাইয়া বসে বসে যখন গল্প করছিল । আমি সেই সুযোগ বুঝে বাইকের উপর চরে বসলাম । ভাইয়া যেভাবে বাইক স্টার্ড দেয়, আমিও সেই ভাবে বাইক স্টার্ড দিলাম । কিন্তু বিপত্তি সৃষ্টি হলো অন্য খানে । আমি বাইকের স্টেন তুলতে ভুলে গেছি । আর বাইকের স্পিড মাত্রায় অধিক বারিয়ে দিয়ে ছিলাম । যার ফলে বাইক’টি এক যায়গায় ঘুরতে ছিল । হঠাৎ বাইক’টি উল্টে পাল্টে যায় । আর আমি ছিটকে কিছু দুরে পড়ে যাই । আর ওখানে ছিল কিছু কাচের টুকরো । একটা কাচের টুকরো খচ করে আমার হাতে ঢুকে যায় । তারপর আমি অঙ্গেন হয়ে যাই । তারপর আর কিছু মনে নেই । যখন চোখ খুল্লাম তখন দেখি আমি হসপিটালে ।(তৃপ্তি)
স্কুলে পড়া মুখস্থ করে, যেভাবে টিচারদের কাছে মুখস্থ পড়া দেয় । ঠিক সেভাবে এক টানে চোখ বুঝে কথা গুলো বলে দম নিলো তৃপ্তি । আমেনা চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে আছে তৃপ্তির দিকে । তৃপ্তি কথা গুলো এমন ভাবে বলছে, যে মনে হচ্ছে আগে থেকে মুখস্থ করানো হয়েছে ওকে । আমেনা কিছু বলতে যাবে তার আগেই তৃপ্তি চোখ খুলে বলে উঠলো ।
:+বড় আম্মু,,,,তুমি কিন্তু প্রমিজ করছো আমাকে আর ভাইয়াকে কিছু বলবে না । এখন যদি কিছু বলো, তাহলে আমি আজ কিছু খাবো না । আমার কিন্তু প্রছন্ড খিদে পেয়েছে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, আমেনা কি বলবে বুঝতে পারছে না । উনার মুখের কথা মুখেই থেকে যাচ্ছে । আমেনা চোখ গরম করে চট করে বলে উঠলো ।
:+আমি তোদের,,,,,,।(আমেনা)
আমেনাকে পাত্তা না দিয়ে তৃপ্তি বললো ।
:+এই চুপ করো তো । আমার খিদে পেয়েছে, আমি খাবো । চলো আমাকে খায়িয়ে দেবে ।(তৃপ্তি)
আমেনার পুরো কথা শেষ হবার আগেই, তৃপ্তি চট করে আমেনার মুখের কথা কেরে নিয়ে, এই বলে শোয়া থেকে ধিরে ধিরে উঠে বসলো । আমেনা রিনরিনিয়ে বলে উঠলো ।
:+এই মেয়েও দেখছি আমাকে ভয় পাচ্ছে না । কথা গুলো এমন ভাবে পেচানো । একদম নিদ্র যেভাবে পেচিয়ে বলে তেমন । এক মিনিট,,, এই মেয়েকে আবার শিখিয়ে দেয়নি তো নিদ্র ।(আমেনা)
মনে মনে এই বলে গোল গোল চোখে আবার তৃপ্তির দিকে তাকালো আমেনা । তৃপ্তি বসা থেকে উঠে দারিয়ে ডান হাত দিয়ে আমেনার ডান হাত ধরে বললো ।
:+আমাকে পরেও দেখতে পারবে । এখন আমাকে খায়িয়ে দাও । দেখো আমার সুন্দর মুখ’টা কেমন কালচে হয়ে গেছে, হসপিটালে থেকে ।(তৃপ্তি)
আমেনার দিকে একটু ঝুকে মুখ’টা এপাস ওপাস দেখিয়ে বললো তৃপ্তি ।
:+হসপিটালে থেকে মানে ।(আমেনা)
কথা’টা বলে বসা থেকে উঠে দারালো আমেনা । তৃপ্তি থতো মতো খেয়ে গেল । এতখন তো নিদ্রর শিখিয়ে দেওয়া কথা গুলো শুর শুর করে বলে ফেলেছিল । আমেনাকে নিদ্রর কথার স্টাইলে দমিয়ে রেখেছে । কিন্তু এখন যদি আমেনা সন্দেহ করে যেছে ধরে, তখন কি হবে । তৃপ্তি চট করেই বললো ।
:+না মানে,,,,। ধুর এখন চলো তো । খিদের কারনে আমার পেটের ভিতর বার্জ পড়ার মতো আওয়াজ হচ্ছে, তুমি শুনতে পারছো না ।(তৃপ্তি)
এই বলে আমেনার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো তৃপ্তি । আমেনা কি বলবে বুঝতে পারছে না । এই মেয়ে যে সত্যি কথা বলছে না, আমেনা ঢের বুঝতে পারছে । নিদ্র এর চোখে পট্টি পরিয়ে দিয়েছে । আমেনা বুঝতে পেরে মুখ কিঞ্চিত হা করে ফেললো ।
★
দুপুরের খাবার শেষ করে জেক আর রাহুল চলে গেছে । আমেনা রিকুয়েষ্ট করেছিল জেক আর রাহুলকে থাকার জন্য । কিন্তু জেকের আব্বুর অফিসে কি যেন একটা কাজ পরে গেছে । এ জন্য জেক রাহুলকে নিয়ে চলে গেছে । তবে যওয়ার সময় আমেনাকে বলে গেছে আবার সময় পেলে আসবে তারা । তৃপ্তিকে আমেনা ফ্রেশ করিয়ে খাবার আর ঔষধ খায়িয়ে, রুমে শুয়িয়ে দিয়েছে । তৃপ্তির ঔষধ গুলো দেখেই আমেনা বুঝে গেছে, তৃপ্তির হাতে গভির ভাবে আঘাত লেগেছে । (আমেনা একজন নার্স, এটা আগেই যানিয়ে দেওয়া হয়েছিল) । নিদ্র রুমের মধ্যে শুয়ে ঘুমাচ্ছে । এই কয়দিন ঠিক মতো ঘুমাতে পারেনি সে । আমেনা হন হনিয়ে নিদ্রর রুমে প্রবেশ করলো । এরপর দরজা’টা ভেজিয়ে নিদ্রর বেডের পাসে এসে দারালো । আমেনার চোখ দু’টো দিয়ে যেন ধোঁয়া বেরোচ্ছে । নিদ্র অঘর ঘুমে তলিয়ে আছে । তৃপ্তির হসপিটালের রিপোর্ট গুলো দেখেই আমেনার রাগের সীমা অতিক্রম হয়ে গেছে । ঠাসস ঠাসস করে ঘুমন্ত নিদ্রর গালে কয়েক’টা চড় মারলো আমেনা । নিদ্র হকচকিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো । আমেনা নিদ্রর গেঞ্জির কলার চেপে ধরলো । এরপর দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বললো ।
:+হারামজাদা,,,এমন’টা হলো কি করে । একটা কাচের টুকরো দিয়ে এতো’টা কাটা যেতে পারে না । হ্যাঁ,, পারে কিন্তু এভাবে না । পুরো হাতের রিসা রগ কাটা গেছে । মেয়ে’টাকে এখানে পড়াতে নিয়ে আসছি আমি । ওর কিছু হলে । বজলুর, সালমাকে কি যবাব দেবো ।(আমেনা)
বলেই ঝাড়া মেরে নিদ্রর গেঞ্জি ছেরে দিলো আমেনা । এরপর ফ্লোরে বসে কাদতে কদাতে আমেনা আবার বললো ।
:+অন্যর মেয়েকে নিজের কাছে এনেছি । আল্লাহ আমাকে একটা মেয়ে দেয়নি বলে ওকে আমার কাছে এনেছি । আমি ভাবতাম তুই ওকে বোনের চোখে দেখতি । কিন্তু,,,,,,,,।(আমেনা)
আমেনা আর বলতে পারছে না । কান্নায় ভেঙে পরছেন । নিদ্র তরি ঘরি করে বেড থেকে নেমে, আমেনার পাসে বসলো । এরপর আমেনার বাম হাত’টা নিজের দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো ।
:+MOM….he’s my love । আমি ওকে প্রছন্ড ভালোবাসি । ও যদি আমার কাছ থেকে একটু দুরে সরে যেতে চায়, তাহলে আমার জীবন চলে যাবে MOM ।(নিদ্র)
কথা’টা বলে থামলো নিদ্র । আমেনা ভেজা চোখে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র লেপ্টে ফ্লোরে বসে, জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে আবার বললো ।
:+যানো MOM…ওর পতি আমার ভালো লাগা কাজ করতো না । যদি না তুমি সেদিন ওর সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে । কিছু বুঝতে পারছো না, তাই না । ঠিক আছে আমি সব বুঝিয়ে বলছি তোমাকে ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র চোখ দু’টো বুঝে নিলো । এরপর বেডের সাথে হেলান দিয়ে বসে বলা সুরু করলো ।
:+আজ থেকে ঠিক এক বা দের বছর হবে । তুমি তখন ওর সাথে নিচে সোফার উপর বসে ফোনে কথা বলছিলে । আর আমি ক্লাবে যাওয়ার জন্য সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম । তখনি একটা খিল খিলানি হাসির শব্দ শুনতে পাই আমি । হাসি’টা আমার ঠিক এই বুকে এসে লাগে যানো । ঝড়ের গতিতে হাটা ছেলে আমি মূহুর্তের মধ্যে সেখানে দারিয়ে গেলাম । কেন বলো তো? কারন হাসি’টা ঠিক আমার অতিত মনে করিয়ে দিয়েছিল । “রোজিনা” । মনে পড়ে MOM.. মেয়েটার কথা । কতো’টা ভালোবাসতো আমাকে তাই না । শাশুড়ী মা শাশুড়ী মা বলে তোমাকে এসে জালিয়ে মারতো ।(নিদ্র)
কথা’টা বলে চোখ দু’টো খুলে আমেনার দিকে তাকালো নিদ্র । আমেনা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছেলের দিকে । আট বছর আগের খতো এখনো মুছে যায়নি নিদ্রর বুক থেকে । আমেনা ঢের বুঝতে পারছেন । তিনি তো নিজেই ভুলতে পারছেন না এখনো । নিদ্রকে কি বলবেন তিনি । নিদ্র আমেনার তাকানো দেখে মলিন হেসে বলে উঠলো ।
:+ও আমাকে কি কথা দিয়ে ছিল MOM…। আমাকে ছেরে কখনো দুরে যাবে না । কিন্তু দেখো MOM…। আজ আট’টা বছর হয়ে গেছে, ও চলে গেছে । কেন করলো ও আমার সাথে এমন MOM…। ও একা কেন চলে গেল । আমাকে কেন ওর সাথে নিয়ে গেলো না । তাহলে তো আমি অন্য কারোতে আসক্ত হতাম না ।(নিদ্র)
শেষের কথা গুলো চিৎকার করে বলে উঠলো নিদ্র । আমেনা থম থমি খেয়ে কেপে উঠলো ।
——————————————-
:+ওয়েট ওয়েট ওয়েট । এতোখন প্রজন্ত সব ঠিক ছিল । কিন্তু এই রোজিনা কে? আর এই দিক’টা আমি কেমন যেন সব গুলিয়ে ফেলছি ।(রনি)
:+আরে ভাই তুই চুপচাপ শুনতে থাক না । আমার হাতে সময় নেই । ছয়টা বেজে গেছে । ৮টায় আমাকে বাসায় ফিতরে হবে । নাহলে মহারানী আমাকে বাসায় উঠতে দেবে না ।(আরিয়ান)
:+ওকে বৌ পাগলা গুরু আপনি বলেন আমি শুনছি ।(রনি)
:+দেখ ফাজলামো করবি না । তাহলে বলবো না গল্প’টা ।(আরিয়ান)
:+মাপ চাই । আপনি বলেন, এই আমি চুপ করলাম। আর ডিস্টাপ করবো না ।(রনি)
———————————————-
“রোজিনা” নিদ্রর ফাস্ট লাভ । মেয়ে’টা পাগলের মতো ভালো বাসতো নিদ্রকে । স্কুল লাইফের প্রেম ছিল নিদ্রর । মেয়ে’টা দেখতে যেমন সুন্দর ছিল । ঠিক তার চলা ফেরাও সুন্দর ছিল । সাপ্তাহে না হলেও চার পাঁচ বার নিদ্রদের বাড়িতে আসতো রোজিনা । নিদ্রদের গ্রামের পাসের গ্রামের মেয়ে ছিল রোজিনা । আমেনাকে শাশুড়ী শাশুড়ী বলে জালিয়ে মারতো সে । বাড়ির ভিতর সোফার উপর বসে বসে সুধু আমেনাকে হুকুম করতো । এই শাশুড়ী এটা দাও । ওই শাশুড়ী ওটা দাও । মেয়ে’টার মিষ্টি কন্ঠের ডাকে আমেনা বার বারই গলে যেতেন । রোজিনা লাড্ডু খুব পছন্দ করতো । কিন্তু আমেনা লাড্ডু বানাতে পারতেন না । সুধু রোজিনার জন্য আমেনা অনেক কষ্ট করে লাড্ডু বানানো সিখেছে । কিন্তু হঠাৎ একদিন একটা ঝড় এসে সব উলট পালট করে দিয়ে গেলো । নবম শ্রেণি শেষ হওয়ার পর রোজিনার বিয়ে ঠিক হয়ে যায় । নিদ্র তা মেনে নিতে পারেনি । পাগলের মতো ছুটে গিয়েছিল রোজিনাদের বাড়িতে । কিন্তু রোজিনার বড় ভাই । ছেলে পেলে দিয়ে অনেক মার ধর করে নিদ্রকে । আমেনাও গিয়ে ছিল বিয়ে’টা ঠেকাতে । কিন্তু আমেনার কথা কেও শুনলো না । নিদ্রর আব্বু ফরহাদ আহমেদ তখন ঢাকায় ছিল । নিদ্রর ফ্রেন্ড, জেসিকা, রিক, নিলয়, বৃষ্টি, গিয়ে ছিল বিয়ে ভাঙতে । কিন্তু কেও তাদের পাত্তা দেয়নি । রোজিনাদের পরিবারের লোকদের এক কথা ছিল । নিদ্রদের পরিবারে তারা মেয়ে দেবে না । কারন জিজ্ঞেস করতে তারা রেগে গিয়েছিল । তাদের পরিবারের এক মেয়ের সাথে নাকি নিদ্রর বাবা ফরহাদ আহমেদের বিয়ে দেবার কথা ছিল । কিন্তু ফরহাদ আহমেদের বাবা । তাদের পরিবারের মেয়েকে বাদ দিয়ে অন্য মেয়ের সাথে ফরহাদ আহমেদের বিয়ে দিয়ে দেয় । মানে আমেনার সাথে । রোজিনা তো পুরো পাগল হয়ে গেছিল নিদ্রর জন্য । কয়েক বার লুকিয়ে নিদ্রদের বাড়িতে চলেও এসেছিল সে । কিন্তু প্রতিবারই রোজিনার ভাই, বাবা, চাচা এসে রোজিনাকে খুজে মারতে মারতে নিদ্রদের বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যেতো । শেষ প্রর্জন্ত রোজিনার বিয়ে’টা ঠেকাতে পারিনি কেও । চোখের সামনে মেয়ে’টার বিয়ে হয়ে গেছে । চার মাস না ঘুরতে শুনা গেছিল রোজিনা প্রেগন্যান্ট । নিদ্র পুরো পাগল পাগল হয়ে গেছিল । জেসিকা, রিক, নিলয়, বৃষ্টি অনেক বুঝিয়েছে নিদ্রকে । কিন্তু নিদ্রর পাগলামো সয্য করার মতো ছিল না । রোজিনার যখন দশ মাসের বাচ্চা পেটে । তখন হঠাৎ একদিন রাতে প্রসব যন্ত্রণা উঠে রোজিনার । ধরতি ডাকা হয় । কিন্তু এক ঘন্টা পর ধরতি বাহিরে এসে যানায় । রোজিনা আর বাচ্চা দুই জনে মারা গেছে । কথা’টা নিদ্রর কানে আসার সাথে সাথে ঙ্গেন হারিয়ে ছিল নিদ্র । দশম শ্রেণি পাস করেছিল নিদ্র কোনো মতে । এরপর আমেনা নিদ্রকে নিয়ে ঢাকা চলে আসে । আর অপর দিকে রিক আর জেসিকা আবেগের বসে ভুল করে বসে । তাদের ধারণা হলো, নিদ্রর মতো তাদেরও হতে পারে । এজন্য তারা লুকিয়ে কাজিকে অনেক টাকা দিয়ে নিজেদের মধ্যে বিয়ে করে নেয় । আর এখানেই নিদ্রর ফ্রেন্ডদের জীবনে কালো আধার নেমে আসছিল । আর অনার্স থার্ড ইয়ারে জেসিকা মাস্টার প্ল্যান করে রিক, নিলয়, বৃষ্টিকে মেরে ফেলে । যা আপনারা পড়ে এসছেন প্রথম কিছু পর্বে । যাই হোক,,,। নিদ্র আমেনার কোলে মাথা রেখে গুটি শুটি হয়ে ফ্লোরে শুয়ে আছে । আর আমেনা শাড়ীর আঁচল এক হাত দিয়ে ধরে চোখের পানি মুছচ্ছেন, আরেক হাত দিয়ে নিদ্রর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন । নিদ্র জোরে নিশ্বাস টেনে বললো ।
:+সেই রোজিনাকে আমি তৃপ্তির মাঝ খুজে পেয়েছি MOM…। ওর হাসি । বাচ্চা বাচ্চা চেহারা । আমাকে মনে করিয়ে দেয় রোজিনার কথা । তৃপ্তি যখন আমার সামনে বসে হাসে । আমার মনে হয়, এই তো আমার রোজিনা । আমার সামনে বসে হাসছে । যানো MOM…তৃপ্তির সেই একটা হাসি আমাকে ওর প্রতি আসক্ত করে তুলেছে । এই এক দের বছর ধরে ওকে আমি আমার কাছে নিয়ে আসার জন্য পাগল হয়ে গেছিলাম । কেন? যানো? । ওকে যদি আমি রোজিনার মতো হারিয়ে ফেলি । সেই ভয়ে । ওকে আমি হারাতে পারবো না MOM..। তাহলে আমি মরে যাবো । আমাকে এবার আর কেও বাচাতে পারবে না তোমরা ।(নিদ্র)
কথা গুলো বলে একটু নরে চরে আমেনার কোলে মাথা রেখে ফ্লোরে পা ছরিয়ে আরাম করে শুয়ে পড়লো নিদ্র । আমেনা নিদ্রর মাথায় হাত বুলিয়ে ভাবছে, তার ছেলের বুকের ভিতর কতো কষ্ট এখনো লুকিয়ে রাখছে । আর আমেনা কিনা ভেবে বসে আছে, নিদ্র সব ভুলে গেছে । কিন্তু তৃপ্তির হাত কাটার বিষয় নিয়ে এখনো ক্লিয়ার হয়নি আমেনা । নিদ্রকে সাহস করে এখন আর কিছু বলতেও পারছেন না আমেনা । পুরোনো কষ্ট’টা আবারো যেগে উঠেছে ছেলেটার । আমেনা লক্ষ করলো, নিদ্রর বুঝা চোখের কোন থেকে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরছে । আমেনা মা হয়ে ছেলের এই কষ্ট কি করে সয্য করছেন তিনি সুধু যানেন ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিশেদ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]