স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 Part – 7

0
491

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 7
____________________

শিলাকে বিদায় জানিয়ে আপাদমস্তক চিন্তা করতে করতে বেশ খানিকটা চলে আসলাম। ওমন সময় চোখে পড়ে দুটো ছোট্ট বাচ্চা রাস্তার পাশে খেলছে। ওদের দেখে মনটা ভরে উঠল। সমস্ত ধ্যান ধারণা উবে গিয়ে ওদের দিকে চোখ আটকে গেল। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে বাচ্চা দুটো খেলছে ঠিকই কিন্তু আমার কাছে ওদের কেমন যেন বর বউ মনে হচ্ছে। মেয়েটার বয়স পাঁচ কি ছয় আর ছেলেটার আট নয় হবে। ওদের দেখে সমস্ত চিন্তা ভুলে গেলাম। ওদের খেলা দেখার জন্য পাশের বেঞ্চে বসলাম। ব্যাগটা কাঁধ থেকে ছাড়িয়ে বেঞ্চের পাশে রাখলাম। তারপর ব্যাগ থেকে কিটক্যাটটা বের করে ও কিছু একটা ভেবে রেখে দিলাম আর পাশে রাখা চকোচকো বের করলাম। চকোচকো মুখে দিয়ে বসে আছি আর ওদের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি। বাচ্চা দুটো খেলছে পিচ্ছি মেয়েটা মিথ্যে মিথ্যে রান্না করছে আর ছেলেটা তার পাশেই বসে আছে। মেয়েটা বেশ অনেকক্ষণ ধরে বিভিন্নভাবে রান্না করল। তারপর ছোট প্লাস্টিকের চুলা থেকে হাঁড়িটা নামায়। নামানোর সময় আবার কি সুন্দর মিথ্যে মিথ্যে ছ্যাঁকা খেলো। ছেলেটা ওকে বলল, ” তুমি ব্যাথা পেয়েছো?”

মেয়েটা কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে বলল, “হুম।”
ছেলেটা আবার বলল, “আমি তো বললাম সাবধানে রান্না কর। কিন্তু তুমি শুনলেই না। দেখি দেখি কোথায় ব্যাথা পেয়েছ।”

আমি ওদের এহেম কান্ডে অবাক না হয়ে পারলাম না।
এই টুকুনি দুটো বাচ্চা কি সুন্দর অভিনয় করছে!
বাববাহ আমি তো পুরো ফিদা। আরও বেশি আগ্রহ নিয়ে ওদের দিকে মনোযোগ দিলাম। ছেলেটা মেয়েটার হাত ধরে ফু দিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটা আবার কিছুক্ষণ পর বলছে আস্তে ফু দাও দেখ নি কতটা লেগেছে। ছেলেটা টা এবার মেয়েটার মাথায় গাট্টা মে রে হেসে হেসে বলল, “হয়েছে নাটকের দোকান। অনেক ক্ষিধে পেয়েছে খেতে দাও।”
মেয়ে টা বলল, “না আমি পারব না।”
ছেলেটা এবার কালো মুখ করে বলল, “তাহলে কিন্তু বড় হয়ে তোমায় বিয়ে করব না।”
মেয়েটা এবার রেগে গেল আর বলল, ” তোমাকে আমি ও বিয়ে করব না যাও।”

এই বলে উঠতে লাগল তখনি ছেলেটা মেয়েটার হাত ধরে বলল, ” আচ্ছা রাগ করো না। আমি আর বলব না এমন, এই যে কান ধরছি।”

মেয়েটা মানল না রেগে ফুলে অন্য দিকে মুখ করে বসে রইল এবার ছেলেটা মেয়েটার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে মেয়েটার হাত ধরে বলল, “বললাম তো আর হবে না।”

কিন্তু মেয়েটা মানতে নারাজ এবার ছেলেটা উঠে দাঁড়িয়ে মেয়েটার কপালে চুমু এঁকে দিল। এবার দুজনেই ফিক করে হেসে দিয়েছে। আর হাত ধরে চলে গেল। আমি শেষের দুটো কান্ডতে শিউরে উঠলাম সাথে কিছুটা লজ্জা ও পেলাম সেইদিনের কথা ভেবে। কারণ সেইদিন আমি কান্না করায় ফারহান ভাইয়া ও হাঁটু গেড়ে বসে আমার কপালে চুমু এঁকে দিয়েছিল। এই সব ভাবতে ভাবতে আবার হাঁটা লাগালাম।
আজকে যেন পা চলছেই না। ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছে।
_______________

আবার কিছুটা পথ চললাম পাশের দোকানে ফারহান ভাইয়া কে দেখতে পেলাম। ফারহান ভাইয়া দুজন গরিব ব্যক্তি কে কিছু কিনে দিচ্ছেন। লোক দুটো ফারহান ভাইয়ার হাত ধরে আবার কিসব যেন বলছে। ফারহান ভাইয়া ও ওনাদের হালকা হেসে হেসে উওর দিচ্ছেন। মনের ভেতর এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব করলাম। ফারহান ভাইয়া সত্যিই অসাধারণ মানুষ। সবাইকে কেমন সাহায্য করে। যখন হানিফ কাকা ও কাকি ছেলেদের অবহেলার কারণে বাড়ি ঘর ছেঁড়ে এখানে চলে আসে তখন ফারহান ভাইয়া ওনাদের অনেক সাহায্য করেছিলেন। তখন ফারহান ভাইয়া নবম কি দশম শ্রেণীর ছাত্র। হানিফ কাকার থাকা খাওয়া দোকান সব কিছু তো ফারহান ভাইয়াই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কাকা তো ফারহান ভাইয়া কে বাবা ছাড়া কথাই বলেন না। আর ফারহান ভাইয়া ও সবসময় কাকার খোঁজ খবর রাখেন। কেমন আছে কোনো অসুবিধা হচ্ছে নাকি বা কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে নাকি সব। কাকি তো ফারহান ভাইয়া কে প্রায় সময় ই নিজেদের সাধ্য মতো রেঁধে খাওয়াবেন। ফারহান ভাইয়া ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। ওনারা দরিদ্র বলে কখনো অবহেলা করে না। বরং এক সাথে বসে খায় আর কাকিকে পা ধরে সালাম করে সবসময়। এইটুকু বয়সেই দরিদ্র মানুষের প্রতি এত ভালোবাসা ভাবা যায়! আসলেই মানুষটা খুবই ভালো। এই সব ভাবতে ভাবতে আবার বেশ কিছুটা পথ চলে আসলাম।

হানিফ কাকার চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছি এমন সময় হানিফ চাচা ডাক দিলেন। ওনাকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি দিলাম আর জিজ্ঞাসা করলাম,”কেমন আছেন কাকা?”

[ হানিফ কাকা অসম্ভব ভালো মানুষ। কিন্তু কথায় আছে না ভালো মানুষের কপালে বেশির ভাগ সময় সুখ থাকে না ঠিক তেমনি। তাই তো তিন ছেলে থাকা সত্যে ও আজ কাকা কে চা বিক্রি করতে হয়। যদি ও এতে কাকার কোনো অভিযোগ বা অভিমান নেই। দিব্বি আছেন তিনি তার সহধর্মিনী কে নিয়ে । কাকার বয়স হবে ৫২ কি ৫৫ তিন ছেলে কে বিয়ে দিয়েছেন ভালো চাকরি ও করেন তারা কিন্তু মধ্যবয়সী বাবা মায়ের আশ্রয় নেই তাদের সুখে ভরা কুটিরে।

কাকা এখানে আছেন চার বছর ধরে। অসম্ভব সুন্দর করে কথা বলেন। আমাকে দেখলেই বলবে মামুনি কেমন আছ। আমার হাতে চা খেয়ে যাও। বাসার সবাই কেমন আছেন সব। অনেক ভালো লাগে ওনার সাথে কথা বলতে। ]

আজ ও তার ব্যতিক্রম হলো না কাকা আমাকে বলল ‘বসো মামুনি। তোমার জন্য স্পেশাল চা বানিয়ে দেই।’

কাকার হাতের চা উফ মিস করা যাবে না। বসে আছি কাকা চা দিলেন আমি চায়ের কাপে শেষ চুমুকটা দিতে না দিতে কাকা জিজ্ঞাসা করলেন,” তা মামুনি চা টা কেমন হয়েছে বললে না তো?”‘

আমি আরেক বার চুমুক দিয়ে বললাম, “উফ কাকা কি যে বলব অসাধারণ।”

কাকা হেসে উঠল পরক্ষণেই বলল ,” মামুনি আজ ঐ বখাটেরা তোমাকে হয়রান করে নি তো?”
মুখটা মলিন হয়ে গেলো আমার বললাম, “না কাকা ওরা তো আজকে আমার পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু কাকা”

আমার কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই কাকা হেসে উঠলেন।
আমি ওনার হঠাৎ অপ্রত্যাশিত অট্টহাসিতে কিছুটা বেকুব বনে গেলাম। পরক্ষণেই কাকা যা যা বললেন আমি তো আকাশ থেকে পরলাম।
“তা মামুনি ওদের ঘাড়ে কয়টা মাথা যে ওরা আবার হয়রান করবে। সেইদিন কি মা র টাই না খেয়েছে।”

আমি হতবাক হয়ে গেলাম সম্পূর্ণ ঘটনা বুঝার জন্য নিজেকে সিরিয়াস করে নিলাম তারপর কাকা আমাকে যা যা বললেন তা শুনে আমি নিজের বাকশক্তি হারিয়ে ফেললাম। কতক্ষণ থম মে রে বসে রইলাম ।

[ সেই দিনের ঘটনা যখন আমি ফারহান ভাইয়া কে রিফাত ভাইয়া ভেবে জড়িয়ে ধরে ছিলাম। যখন দেখলাম আমি রিফাত ভাইয়া কে না ফারহান ভাইয়া কে জড়িয়ে আছি তখন আর তার দিকে দ্বিতীয় বার তাকাতে পারলাম না। লজ্জার সাথে সাথে খানিকটা ভয় ও কাজ করছে। ফারহান ভাইয়া হলো বড্ড রাগি কিন্তু বড়দের যথেষ্ট সম্মান করে। সবার মুখে মুখে ওনার প্রশংসা শোনা যায়। ওনার সাথে তো আমার তেমন কোনো দিন কথাই হয় নি। কারণ আমি ওনাকে প্রচন্ড পরিমানে ভয় পাই। ওনার দিকে তাকালেই মনে হয় ওনি রেগে আছেন। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলে ও সত্যি যে আমি ওনাকে কখনো কাঁদতে আর অট্টহাসি তে দেখিনি। হাসি বলতে ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি। কিন্তু এই মানুষটির মৃদু হাসিটা চোখ ধাঁধানোর মতো সুন্দর। প্রাণ খোলা স্বচ্ছল হাসিটা কতই না সুন্দর হবে। বরাবরই ওনার থেকে আমি দূরে থাকি। ওনার দিকে তাকাতেই পারছিলাম না। ওনি শান্ত স্বরে বললেন, “ফারাবি কি হয়েছে, বল আমায়।”

আমি কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। আমাকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে ওনি এবার আমাকে ধমক দিলেন।
“ফারাবি।”

ওনার ধমকে আমি চমকে গেলাম আর সাথে সাথে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলাম। ওনি যেন বোকা বনে গেলেন। আমাকে আলতে ভাবে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে দিলেন। তারপর আমাকে ছাঁদে রাখা আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে সাজানো মিষ্টি দোলনাটা তে বসালেন। আর ওনি হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসলেন। কিছুক্ষণ নীরবতা বিরাজ করল। তারপর আমার হাত টি ধরে আদুরে ভাবে চুমু খেয়ে বললেন ‘আমাকে ভয় পাচ্ছিস?’

সেই মুহূর্তে আমার যে কি হলো, আমি কোনো রকম ইতস্তত না করে মাথা দোলালাম। ফারহান ভাইয়া বললেন,
“আচ্ছা আমি বকা দিব না তোকে, কিন্তু যদি তুই আমাকে সত্যি টা বলিস তো।”

আমি মাথা দোলালাম। তারপর আবার বলা শুরু করলেন ‘এবার বল তুই ঐ ভাবে কাঁদছিলি কেন?’

সবটা মনে পড়ে যাওয়ায় আমি আবার কেঁদে দিলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে বললেন, “এবার কিন্তু বকা
দিব। ” তারপর চোখের পানি মুছিয়ে বললেন, “উঁহু আর কাঁদবি না।”

কিন্তু চোখের জল যেন থামছেই না। তিনি বকা দিলেন না।
চোখের পানি আবার মুছে দিলেন আর বললেন ‘সবসময় কাঁদলে তোকে ভালো লাগে না রে বোকা মেয়ে। যেমনটা এখন তোকে কান্না তে মানাচ্ছে না। এখন আর কাঁদবি না।’

আমি চুপ রইলাম। ভেতরটা যন্ত্রণায় নুইয়ে যাচ্ছে। তারপর বললেন ‘বল আমায় কি হয়েছে?’

আমি ওনাকে অনড়গল সব বলে দিলাম। ওনি আমাকে কাছে টেনে নিয়ে হালকা ভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন কিছু হয় নি এই টুকুতে কেউ এভাবে কাঁদে বোকা? শোন বাসায় কাউকে কিচ্ছু বলবি না ঠিক আছে আর এখন সুন্দর করে ফ্রেস হয়ে খেয়ে একটা ঘুম দিবি। আমি প্রতিউত্তরে শুধু মাথা দোলালাম। ওনি আমাকে দোলনা থেকে উঠিয়ে কপালে চুমু এঁকে দিলেন আর বললেন ‘লক্ষ্মী মেয়ে। ফাস্ট , ফাস্ট যা না হলে কিন্তু বকা দিব।’

আমি তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে ওনার কথা মতো খেয়ে ঘুম দিলাম। বরাবর ই আদুরে মেয়ে আমি। সবাই এত আদর করে যে সেটা নিয়ে বলার ভাষা নেই। আজ ফারহান ভাইয়ার থেকে এমন আদর পেয়ে আমি সত্যিই হতবাক।মানুষটা খারাপ নয়। আসলেই খারাপ নন তিনি।
_____________

সেইদিন রাতের বেলা আকাশ ভাইয়া রা মদ খাচ্ছিল আর ক্যারাম খেলছিল সাথে সেইদিনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করছিলেন। আকাশ ভাইয়া বললেন, ” কালকে আবার মেয়ে টাকে পাওয়া যাবে।” কথা শেষে পৈশাচিক হাসি দিলেন। হঠাৎ কারো ঘু’ষি খেয়ে আকাশ ভাইয়া নিচে পড়ে গেলেন।
এমন হঠাৎ আক্রমণে কিছুটা রেগে গিয়ে উঠে দাড়িয়ে এক বাজে গালি দেওয়ার জন্য সামনে থাকা মানুষটার দিকে তাকালেন। তাকিয়ে আকাশ ভাইয়া বাকশক্তি হারিয়ে ফেললেন প্রায়। চোখ গুলো অসম্ভব লাল, মনে হচ্ছে এখনি ফেটে র ক্ত ঝরবে। আকাশ ভাইয়ার মনের ভেতর ছ্যাঁত করে উঠল। ভয়ে ওনার পা অনড়গল কাঁপছে তারপর তুতলিয়ে বললেন, “ফাররহান ভাই।”

কিছু বলার পূর্বে ই আবার এক ঘু’ষি পড়ল, আকাশ ভাইয়ার মুখে। ঠোঁট ফেটে র ক্ত বের হতে লাগল। কিছু বোঝার পূর্বেই ফারহান ভাইয়া, আকাশ ভাইয়া আর নিহাব ভাইয়া কে লাগাতার মা রতে লাগলেন। পাশে থাকা কোনো মানুষের সাহস নেই এগিয়ে গিয়ে ফারহান ভাইয়া কে আটকানোর। আকাশ ভাইয়ার হাত টা পা দিয়ে পিষে বললেন, “এই হাত দিয়ে ফারাবি কে স্পর্শ করেছিস। তোর এই হাত আমি ভেঙে গুড়িয়ে দিব হা রা মি র বা চ্চা।” আর নিহাব ভাইয়ার কলার চেপে ধরে বললেন, “তোর এই মুখ দিয়ে তুই ফারাবির প্রতি কটূক্তি করেছিস , তোর এই চোখ দিয়ে বাজে ইঙ্গিত করেছিস তোকে তো আমি….” বলেই অঝোরে মা র তে লাগলেন।

“তোর জ্বিভ আমি ছিড়ে ফেলবো হারা*** বা**।”

পাশ দিয়ে যাচ্ছিল রানা ভাইয়া আর জামান ভাইয়া। দুজোন ফারহান ভাইয়া কে থামাতে গেল। কারণ যে ভাবে মা রছে তাতে বেশিক্ষণ এভাবে মা র খেলে মৃ ত্যু হওয়া তেমন আশ্চর্যের বিষয় হবে না। ফারহান ভাইয়া কে আটকানো যাচ্ছে না। ওদের দুজোনের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জীম করা বডি স্কুল কলেজ বক্সিং চ্যাম্পিয়ন কে সহজে আটকানো যাবে না এটাই স্বাভাবিক। রানা ভাইয়া আর জামান ভাইয়া আশে পাশের মানুষের সাহায্য নিয়ে কোনো মতে ফারহান ভাইয়া কে দূরে সরিয়ে আনেন। রানা ভাইয়া বললেন ‘ ফারহান ক্ল্যাম ডাউন কি করছিলি কি ম রে যেত তো।’

ফারহান ভাইয়ার চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট ফুটে উঠছে।
ফারহান ভাইয়া বললেন, ” ঐ জানো**** বা*** তো মে রেই ফেলতে চেয়েছিলাম। ওর সাহস বেড়ে গেছে।”

পাশ থেকে জামান ভাইয়া বললেন, ” আচ্ছা ও করেছে কি যার জন্য ওকে…”

জামান ভাইয়ার কথা শেষ হওয়ার আগেই ফারহান ভাইয়া বলল, ” ও কি করেছে। বল ও কি করে নাই। ঐ জানো**** বা** আমার ফারাবির দিকে নজর দিয়েছে।”

“ফারাবি মানে। রিফাতের বোন?”

রানা ভাইয়া বলল, “তবে বুঝি আমাদের রাজনের মনে প্রেমের ফুল ফুটেছে।”

রানা ভাইয়া আর জামান ভাইয়া একসাথে বলে উঠল কথাটা।
“হুমমমম বুঝে গেছি মামা।”

এবার ফারহান ভাইয়া হেসে ওদের পিঠে চাপরে বললেন ‘বেশি বকছিস তোরা।’

তারপর তিনজন একসাথে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন ]

[ আসসালামুআলাই রির্ডাস। আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আগের থেকে আজকের পর্ব টা বড় হয়েছে। আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে না। আর আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন। সাথে আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কোনো গ্রুপে রিভিউ দিবেন। এত কষ্ট করে গল্প লেখি আপনাদের কাছে তো একটা রিভিউ দাবি করতেই পারি তাই না। ভুল ক্রুটি হলে ধরিয়ে দিবেন। বাজে মন্তব্য করবেন না প্লিজ। ]

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here