স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 Part – 19

0
321

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 19
____________________________

ওনার সুরে গান শুনতে শুনতে কখন যে ওনার কাঁধে ঘুমিয়ে পরেছি তা আমার সম্পূর্ণ অজানা।ঘুম ভাঙ্গলো ভোর পাঁচ টার ফজরের আজানের সময়।ঘুম ভাঙতেই দেখি আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি!
আমি আমার ডান হাত টা নাড়াতে পারছি না।মনে হচ্ছে কেউ বেঁধে রেখেছে।কেন হাত টা নাড়াতে পাড়ছি না তা দেখার জন্য ডান পাশে তাকাতেই দেখি ফারহান ভাইয়া বেডের পাশে রাখা ঢুল টাতে বসে আমার ডান হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে তার উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছেন।

বুঝলাম গান শুনতে শুনতে যখন ওনার কাঁধে ঘুমিয়ে পরেছিলাম তখন ওনি ই আমাকে কোলে করে নিচে নামিয়ে নিয়ে এসেছেন। ধ্যাত আজকাল এই ফারহান ভাইয়ার কোলে চড়তে ও হচ্ছে আমায়।এই সব ভাবতে ভাবতে ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকালাম।কত শান্তি তে ঘুমিয়ে আছেন ওনি , কিন্তু হাত টা যে ব্যথায় নাড়াতে ও পারছি না। আমায় যাতনা দিয়ে নিজে ঘুমাচ্ছো দেখো! আসলেই বদ লোক। তবে এই সুন্দর ঘুম টা আমায় শান্তি ও দিচ্ছে।ওনাকে ঘুম থেকে জেগে তুলতে ও ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে এভাবেই থেমে যাক সময়। অদ্ভুত হয়ে যাক প্রহর। আচানাক এমন ভাবনায় ভরকে গেলাম। নিজেকে ধাতস্থ করে শুয়ে রইলাম সেভাবেই।
অগত্যা আমাকে ওনার ঘুম ভাঙা অব্দি অপেক্ষা করতে হবে।এভাবেই আপাদমস্তক চিন্তা করতে করতে সকাল ৬ টার দিকে ওনার ঘুম ভেঙে গেল।
আমাকে জেগে থাকতে দেখে প্রথমে কিছুটা অপ্রস্তুত বোধ করলে ও কয়েক সেকেন্ড বাদেই ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফোটালেন। স্বচ্ছ আর অদ্ভুত সে হাসি। আমি ভ্যাবলার মতো ওনার দিকে তাকিয়ে আছি। ফারহান ভাইয়া আমার হাতটা ছেড়ে আড়মোড়া দিয়ে ঘুমের রেশ কাটালেন।তারপর শার্টের হাতা ঠিক করতে করতে আমার দিকে না তাকিয়ে ই বললেন “কখন ঘুম ভেঙেছে?”

আমি কোনো সংকোচ না করেই বললাম
” ভোর ৫ টার দিকে।”
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে খানিকটা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ঘড়ির দিকে তাকালেন তারপর বললেন
– 6:03 অলরেডি এক ঘন্টা ধরে জেগেছিস।আমাকে ডেকে দিস নি কেন?

আমি ওনার কথায় বিষম খেলাম তারপর তুতলিয়ে বললাম
– আসসললে আমমমি তোতততত

ফারহান ভাইয়া আমার একদম কাছে এসে বললেন
– কি হলো তুতলাচ্ছিস কেন?
ওনি আমার এতো কাছে চলে আসাতে আমি চোখ খিচে নিয়েছি।ফারহান ভাইয়া এবার একটু জোড়ে ই বললেন
– কি হলো। ভয় পাচ্ছিস?
আমি ওনার ধমক খেয়ে চোখ খিচা অবস্থাতেই বলা শুরু করলাম
– আসলে আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন তাই আমার আপনাকে ঘুম থেকে জেগে তুলতে ইচ্ছে করছিলো না।
তাই জাগিয়ে দেই নি আপনার ঘুম ভাঙার অপেক্ষা করছিলাম।

ফারহান ভাইয়া আমার এহেম আচারনে খানিকটা দূরে সরে গেলেন, তারপর মিটমিটে হাসলেন। আমি চোখ খুলে দেখলাম ওনি সরে গেছেন , তাই হাত টা নাড়ানোর চেষ্টা করলাম।
কিন্তু পারছি না, তাই একটু জোড়েই নাড়ালাম যার ফলে বেশ ব্যথা পেলাম। আর উহহ করে উঠলাম।

ফারহান ভাইয়া হতচকিয়ে উঠলেন , তারপর আমার পাশে বসে বললেন
– কোথায় কষ্ট হচ্ছে ফারাবি। বল আমায়। কোথায় যন্ত্রণা হচ্ছে?
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে হাতের দিকে ইশারা করলাম।ওনি আমার হাত ধরে বললেন
– উফফফ শিট।আমি জোড়ে হাত ধরে ছিলাম বিধায় হাতে চোট লেগেছে তাই না?
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম
– ইটস ওকে।আপনি তো ভালোর জন্য ই ধরেছিলেন।
ফারহান ভাইয়া আমার কথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন
– বড় হয়ে গেছিস?বেশি বুঝিস আজকাল , বলেছি না আমার থেকে বেশি তুই নিজের খেয়াল নিজে ও রাখতে পারবি না। তুই এখনো সেই পিচ্ছি ই রয়ে গেছিস বুঝেছিস?

আমি ওনার কথায় শুধু মাথা ঝাকালাম।আদৌ কি বুঝেছি সেটাই বুঝিনি আমি।ফারহান ভাইয়া আমার হাতটা ধরে হালকা করে নাড়াতে লাগলেন।
বেশ কিছুক্ষণ পর ব্যথাটা কম মনে হলো আর তারপর চলে গেলো কোথাও।বড় আশ্চর্য!
ফারহান ভাইয়া বললেন
– এবার হাতটা নাড়িয়ে দেখ তো।
আমি ওনার কথা মতো হাত টা নাড়ানোর চেষ্টা করলাম।বাহহহ হাতের ব্যথা তো একদম ই নেই।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে প্রশ্নবোচক ভঙ্গিতে তাকালেন।আমি হালকা হেসে মাথা নাড়ালাম। আর
তারপর বললাম
– একটু ও ব্যথা অনুভব করছি না।

ফারহান ভাইয়া হালকা হাসলেন।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন
– ফ্রেস হওয়া লাগবে তো?

আমি মাথা নাড়ালাম।ওনি বললেন
– আমি নিয়ে যাবো?
আমি ভীত কন্ঠে বললাম
– নাহহ না। আপনি নার্স কে পাঠান।
ওনি আমার একদম কাছে এসে বললেন
– আমি নিয়ে গেলে সমস্যা কোথায়?

উনি আমার এতো টাই কাছে যে আমার নিশ্বাস ওনার বুকে গিয়ে পরছে। শার্টের দুটো বোতাম খোলা হওয়া তে বুকের এক অংশ দেখা যাচ্ছে। মানুষ টা কে গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে আমার কেমন কেমন যেন লাগে। কখনো খুব শান্তি লাগে আবার কখনো যন্ত্রণা। দুয়ে মিলে যেন এক অদৃশ্য অনুভূতি!
আমি কোনো মতে বললাম
– আসলে অনেক কিছুই তো আছে যা আপনি পারবেন না।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য দৃষ্টি তে তাকিয়ে বললেন
– এমন কোনো কিছুই নেই তোর যা আমি পারবো না।

আমি ওনার দিকে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টি তে তাকালাম।
ওনি আমার দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে বললেন
– ইটস ওকে। এখনি তোকে অস্বস্তি তে পরতে হবে না।
তারপর ই বোকা বোকা হেসে বললেন
– সময় হলেই অস্বস্তি তে ফেলবো।চিন্তার কোনো কারন নেই। এখন উড়ে নে।

আমি ওনার এই কথা গুলোর মানেই বুজলাম না যেন। অনেক কিছুই মাথায় আসে তবে মস্তিষ্ক বলে সেসব ভুল। শুধুই ভুল। তবে এটা সত্য উনি প্রতি টা কথার সাথে এমন কিছু কথা যোগ করে যার আগা মাথা আমি অন্তত বুঝতে পারি না।

ফারহান ভাইয়া আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে বললেন
– আমি নার্স কে পাঠিয়ে দিচ্ছি। ফ্রেস হয়ে নিবি , ভুল যেন না হয়।

আমি মাথা নাড়ালাম।ফারহান ভাইয়া চলে গেলেন।
এক মিনিটের মাথায় একজন নার্স এলেন। আজব ব্যপার হলে ও সত্যি আমাকে সাহায্য করতে একেক সময়ে একেক নার্স আসেন।এর কারণটা কি?

নার্স এসে হাঁসি মুখে বললেন
– গুড মর্নিং ম্যাম।

আমি ও হাসি মুখে উত্তর দিলাম
– গুড মর্নিং।

ওনি আমার কাছে এসে কপালে হাত রাখলেন।
তারপর একটা থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে নিলেন।
আমি কৌতুহল হয়ে বললাম যে
– জ্বর কতটুকু?
নার্স হেসে বললেন
– ডোন্ট ওরি ম্যাম, অল ইজ ওয়েল।

আমি বললাম
– ওহহ।

নার্স আমাকে উঠালেন।বাহএখন তো শরীরের ব্যথা টা ও কমে গেছে দেখছি।নার্স আমাকে নিয়ে ওয়াসরুমে গেলেন।

আজকে ও সেম ফারহান ভাইয়ার হাইজিন মেন্টেন করা সবকিছু ।ফ্রেস হয়ে চলে আসলাম।নার্স আমাকে বেডে না বসিয়ে বেডের পাশে থাকা সুন্দর ব্যালকনিতে নিয়ে গেলেন তারপর ব্যালকনিতে রাখা একটি সোভা তে বসালেন।তারপর আমার চুলের বিনুনি খুলে দিয়ে মাথায় ঝুঁটি বেঁধে দিলেন। যেন আমি কোনো পার্লারে হেয়ার কেয়ার করতে এসেছি!

এতোক্ষন আমি বারান্দার বাইরের দিকটাতে তাকাই নি।এখন চোখ গেল বাইরের দিকটাতে ,এতো সুন্দর বাইরের দিক টা যা বলার বাইরে।
হালকা হালকা কুয়াশাতে পাহাড়গুলো কে আরো সুন্দর করে দিয়েছে।বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহান ভাইয়া ফিরে আসলেন।নার্স ফারহান ভাইয়া কে দেখে কুশল বিনিময় করলেন।

ফারহান ভাইয়া আমাকে রুমে নিয়ে আসলেন।তারপর বেডে হাফ শোয়া অবস্থা তে বসালেন। নার্স পাশেই দাড়িয়ে আছেন।ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই বললেন।
“নার্স আপনার বাবা অসুস্থ তাই না?”
নার্স দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন
– ইয়েস স্যার ।
ফারহান ভাইয়া এবার ওনার দিকে ঘুরে বললেন
– আপনার বাবার ট্রিটমেন্ট করাতে কতো টাকা লাগবে?

নার্স চোখের কার্নিশ থেকে পানি মুছে বললেন
– ২ লাখ স্যার।

ফারহান ভাইয়া বললেন
– লোন দিচ্ছে না কোথাও থেকে?

নার্স বললেন
– স্যার হসপিটাল অথরিটির কথা অনুযায়ী হসপিটাল থেকে ১ লাখ টাকা লোন নিতে পারবো।তা ও আর ও এক লাখ টাকা লাগবে।সেই লোন টা কোথাও পাচ্ছি না।ফারহান ভাইয়া পকেট থেকে একটা চেক বের করে কিছু লিখে নার্স কে দিলেন।নার্স হাতে নিয়ে অবাক হয়ে ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকালেন। ফারহান ভাইয়া ওনাকে উদ্বিগ্ন না হতে দিয়ে বললেন
– এতে এক লাখ টাকা আছে।বাকিটা হসপিটাল থেকে লোন নিয়ে আপনার বাবার ট্রিটমেন্ট করাবেন।

ফারহান ভাইয়ার কথায় নার্সের চোখ উজ্জল হয়ে উঠেছে।ফারহান ভাইয়া আবার বললেন
– এটা লোন নয়।এটা আপনার প্রাপ্য সম্মান।

নার্স ফারহান ভাইয়ার দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকালেন।
ফারহান ভাইয়া ওনার বিস্ময় কাটাতে বললেন
– এই যে আপনি আপনার ম্যাম কে এতো যত্ন সহকারে ট্রিট করলেন এটা তার জন্য ই।

নার্স ফারহান ভাইয়ার দিকে কৃতজ্ঞতার চোখে
তাকালেন।ফারহান ভাইয়া ওনাকে বললেন
– আপনি ফাস্ট আপনার বাবার ট্রিটমেন্ট করান।

নার্স ফারহান ভাইয়া আর আমাকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন। আমি ফারহান ভাইয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।ফারহান ভাইয়া আমার মাথায় হালকা করে গাট্টা মেরে বললেন
– এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
ফারহান ভাইয়া আবার বললেন
– কি ভাবছিস?

আমি বললাম
– একটা কনফিউশনে আছি সেটা সলভ করে দিবেন ?

ফারহান ভাইয়া বললেন
– হুমম বল।

আমি বললাম
– আপনি নার্স কে টাকা দিলেন । আপনি তো এমনিতে ও দিতে পারতেন কিন্তু তা না করে

আমার কথা শেষ করার আগেই ফারহান ভাইয়া হালকা হেসে বললেন
– আমি যদি ওনাদের এমনি টাকা দিতাম।তাহলে ওনারা সেটাকে দান ভেবে নিতেন।যা আমি চাই নি , তার জন্য ই ওনাদের এভাবে দিলাম।যাতে ওনারা নিজেদের ছোট না মনে করে।

ওনার কথা শুনে আমার মনে প্রশান্তি বয়ে গেল।কতো ভালো ওনি , সবাই কে কতো সুন্দর করে ট্রিট করেন।
আর আমাকে একেক সময় একেক নার্স ট্রিট করার কারন ও এটা তবে।

এই সব ভাবনার ছেদ কাটলো ফারহান ভাইয়ার ডাকে।

ফারহান ভাইয়া বলল
– এই যে খাবার খেয়ে নে।
তারপর কিছু একটা ভেবে আবার বললেন
– আমি খাইয়ে দিবো?

ওনার কথাতে বারন করলাম না আর। ওনি আমার সম্মতি পেয়ে খাইয়ে দিলেন। ফারহান ভাইয়ার দিকে আমি অপলক দৃষ্টি তে চেয়ে আছি।আসলেই মানুষটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।খাওয়া শেষ হলে ফারহান ভাইয়া আমাকে শুয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর ডক্টর এসে চেইক করে গেলেন।নার্স আবার স্যালাইন বেঁধে দিলেন।
বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেল কিন্তু আজকে বাসা থেকে কেউ আসছে না কেন?

অস্বস্তি ও লাগছে।ফারহান ভাইয়া আমাকে অস্বস্তি বোধ করতে দেখে বললেন
– দাবা খেলবি?

আমার চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো আমি খুশি মনে বললাম
– হুমম খেলবো।
তারপর ফারহান ভাইয়া দাবা নিয়ে আসলেন। দুজন বেশ কিছুক্ষণ খেললাম।কিন্তু ফারহান ভাইয়া আমাকে বেশি গেইম দিয়েছেন। ধ্যাত তারপর একটা মুভি ও দেখা হলো।
এর মাঝে ফারহান ভাইয়া একটা নতুন গেইম ডাউনলোড করে নিয়ে আসলেন।তারপর ওনার ফোনে দুজোন বাজি ধরে খেলতে লাগলাম।যে হেরে যাবে সে কান ধরবে।আমরা দুজন ই বেশ কয়েকবার হেরে গেলাম।দুজন কেই কান ধরতে হলো।ফারহান ভাইয়াকে কান ধরতে দেখে আমি তো হাসতে হাসতে গলে যাই।

এভাবেই দুপুর হয়ে গেলো।দুটো বেজে গেছে কিন্তু বাসা থেকে কেউ এলো না।মন খারাপ করে বসে রইলাম ।

কিছুক্ষণ পর ফারহান ভাইয়া আমার সাথে বসে লাঞ্চ ও করে নিলেন। এভাবেই দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে গেল।কিন্তু কারো আসার নাম ই নেই । মন খারাপ করে বসে আছি দেখে। ফারহান ভাইয়া আমাকে ঘুমাতে বললেন।ঘুম ও আসছে না ধ্যাত।ফারহান ভাইয়া আমাকে একটা কিটক্যাট দিয়ে গেলেন।
কিটক্যাট দেখে মন টা ভালো হয়ে গেল ।
কিটক্যাট খেতে খেতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম কে জানে।
আর ফারহান ভাইয়া আমার পাশে বসে বসেই ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতে থাকলেন।

__________________________

( আসসালামুআলাইকুম রির্ডাস। আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না।একটি কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ। আর আমার গল্প বেশি বেশি শেয়ার করুন যাতে আমার গল্প টি সবার কাছে পৌছে যেতে পারে । আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন ।)

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here