স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2 #ফাতেমা_তুজ #part_36

0
233

#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_36

নিস্তব্ধ পরিবেশ। আকাশের চাঁদ টা কে ও দেখা যাচ্ছে না। বোধহয় মেঘের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। কারন আজ ওদের ভালোবাসায় চাঁদ টা ও ভীষন ভাবে লজ্জা পেয়েছে। ফারহানের বুকে লেপ্টে শুইয়ে আছে ফারাবি। মৃদু বাতাসে চুল গুলো সব ফারহানের মুখে এসে পরেছে। ফারহান তাতে বিন্দু মাত্র বিরক্ত হচ্ছে হচ্ছে না। বরং ফারাবির চুলে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নিতে ব্যস্ত সে।
আজ প্রেয়সীর ভালোবাসার স্বাদ নিয়েছে। ফারহানের ঠোঁটের কোনে তৃপ্তির হাসি। ফারাবি ফারহানের হৃদস্পন্দন গুনতে ব্যস্ত। ফারহানের দিকে তাকাতে পারছে না ওহ। ফারহানের কথা মনে পরতেই লজ্জায় লাল টুকটুকে হয়ে যাচ্ছে।
ফারহান তার ঠান্ডা হাতে ফারাবি কে জড়িয়ে ধরলো। ফারাবির সর্বাঙ্গে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল।
অথচ একটু আগে ও ওরা এর থেকে বেশি কাছাকাছি ছিলো। বোধহয় প্রিয় মানুষের প্রতি টা স্পর্শ ই নতুন রঙ দিয়ে যায়।
ফারাবি লম্বা করে শ্বাস নিলো। ফারহান ছন্দ তুলে কোনো এক গানের লাইন আওড়ালো।
ফারাবির বুকের ভেতর ধীম ধীম করছে। ফারহান নীরবতার সুতো কেঁটে বলল
_ আমাকে এমন ভালোবাসা তে রাঙানোর জন্য আমি তোর প্রতি কৃতঙ্গ জান।

ফারাবি চমকালো সাথে লজ্জা তে চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো।
ফারহান তার শক্ত পোক্ত হাত দুটি দিয়ে ফারাবির মুখ তুলে নিলো।
ফারাবির শ্বাস শত গুন বেড়ে গেছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি দম টা বন্ধ হয়ে যাবে। ফারহানের চোখে নেশা লেগে আছে। প্রেয়সীর শরীরের ঘ্রানে মক্ত সে। ফারাবির লজ্জায় লাল টুকটুক হয়ে যাওয়া গাল দুটি তে সময় নিয়ে অধর ছোয়ালো ফারহান।
ফারাবির অবাধ্য হাত দুটো ফারহানের উন্মুখ পিঠ খামচে ধরলো।
এতো টাই জোড়ে ধরেছে যে ফারাবির নখের দাগ ফারহানের পিঠে বসে গেছে।
তাতে বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই ফারহানের।বরং দারুন এক সুখ লেগে গেছে হৃদয়ে। ফারাবি কে লজ্জায় লাল হতে দেখে ফারহান হাসলো।
নিঃশব্দে হাসি টা শেষ করে ফারাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে নিলো।
ফারহান তার সরু নাক ফারাবির কানের একটু নিচে ঘষতে লাগলো।
ফারাবির বুক ধুকপুকানি বেড়ে গেল। সে শব্দ ফারহান স্পষ্ট অনুভব করলো।
বিগলিত হেসে বলল
_ এই টুকু তে নিশ্বাস বন্ধ করে নিচ্ছিস। অথচ একটু আগে কতো টা

ফারহানের লাগামহীন মুখে হাত দিয়ে আটকে দিলো ফারাবি । ফারহান মোহনীয় হাসলো।
ফারাবি কে আরেকটু কাছে এনে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো ফারাবি।
ফারহান এক গাল হেসে বলল
_ আমার ভালোবাসার গভীরতা অনেক জান। কিন্তু আমি তোকে একটু ও কষ্ট দেই নি। জেনে শুনে একটা আঁচড় ওহ কাঁটি নি।
পরম যত্নে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।

ফারাবি চোখ বন্ধ করে বলল
_ কিন্তু আমি তো

ফারাবি কে আটকে দিলো ফারহান। ফারাবির ঠোঁটে আঙুল স্লাইড করতে করতে বলল
_ উহহু একদম না। তোর ভালোবাসার কাছে এই ছোট ছোট নখের আঁচড় তুচ্ছ জান।
ফারহান একটু থেমে বলল
_ একটা কথা দিবি জান ?

_ হুমম

_ সারাজীবন আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবি ?
তুই আমার বুকে থাকলে আমি একটু শান্তি তে ঘুমাতে পারবো।
একটু শান্তিতে ঘুমাতে চাই জান।

ফারাবির চোখ ছলছল করে উঠলো। ফারহানের অনুনয়ের স্বর ফারাবির বুকে ঝড় তুলে দিয়েছে।
ফারাবির ছলছল চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো।
ঝাঁপিয়ে পরলো ফারহানের বুকে। দু হাতে আবদ্ধ করে নিলো ফারহান তার প্রেয়সী কে।
ফারাবি বুক ভরে শ্বাস নিয়ে বলল
_ আমি আপনার ভালোবাসার স্বাদ নিতে সারাজীবন আপনার বুকে মাথা রাখতে চাই।
পৃথিবীর সমস্ত সুখের সেরা সুখ দেওয়ার জন্য আমি ও আপনার কাছে কৃতঙ্গ।
কথা দিন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অব্দি এভাবে আগলে রাখবেন আমায়।
কখনো ছেড়ে যাবেন না। আমি আপনার ভালোবাসার স্বাদ নিতে চাই ফারহান।
প্রতি মুহুর্ত আমি আপনাতে হারাতে চাই।

ফারহান অধর কোনে মৃদু হাসি ফুটিয়ে নিলো। ফারাবির কপালে ভালোবাসার পরস দিয়ে বলল
_ কথা দিলাম আমি কখনো ছাড়বো না তোকে।

ফারাবি ঝরা হাসলো। ফারহান তার প্রেয়সী কে বুকে টেনে নিয়ে নিদ্রার দেশে পারি জমালো।
পূর্নতা পেয়েছে ওদের ভালোবাসার সম্পর্ক। যে সম্পর্ক স্বয়ং আল্লাহ তায়লা হালাল করে দিয়েছেন।
তাই বোধহয় চাঁদ টা ও লজ্জায় মুখ লুকিয়েছে আছে।
ওদের ভালোবাসা দেখার মতো শক্তি চাঁদ টার যে নেই।
দুটো হৃদয় শুধু দুজনার। কেউ এতে ভাগ বসাতে পারবে না।
স্বয়ং আল্লাহ তায়লা এই সম্পর্ক বেঁধে দিয়েছেন।

*

ফারাবি ট্রাওয়াল দিয়ে চুল মুছে যাচ্ছে। ফারহান তাড়া দিচ্ছে বার বার।
জামান কয়েক বার ফোন করেছে ওদের।
সকালে ঘুম থেকে দেরি তে উঠার জন্য জামানের বাসায় যেতে ও লেট হচ্ছে। বরযাত্রী যাবে যোহরের নামাজের পর। ফারহান বাঁকা চোখে তাকিয়ে ঝটকা মেরে ট্রাওয়াল টা নিয়ে নিলো।
ফারাবির ভ্রু যুগল বেঁকে গেল।
_ কি করছেন টা কি ? তাড়াতাড়ি দিন , পরে দেরি হওয়ার জন্য আমাকেই বকা দিবেন ?

ফারহান নিরুত্তর মুখে ঘোর লাগানো চোখে তাকিয়ে আছে। ফারাবি দাঁতে দাঁত চেপে বলল
_ আপনার মতলব তো দেখছি ভালো ঠেকছে না। তাড়াতাড়ি দিন আমি রেডি হবো ?

_ আমার মতলব ভালো না মানে? বউ কে আদর করলে সেটা কে খারাপ বলছিস তুই ?

_ আরে এখন দিন না ।

_ উহুহহ আমি মুছিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে চুল মুছছিলি এক বছর হলে ও চুলের পানি ঝরবে না।

ফারাবি মুখ টা গোমড়া করে নিলো। ফারহান অতি যত্নে চুল মুছিয়ে দিলো। এমন ভাবে চুলের পানি ঝরাচ্ছে মনে হচ্ছে চুল ব্যথা পাবে।
আজব

_ এভাবে চুল মুছে কেউ ?

_ এভাবেই মুছে। তুই নিজের প্রতি বড্ড অবহেলা করিস। চুল গুলো কে এমন ভাবে মোচড়ানো শুরু করেছিলি ,যে দু দিনেই টাক হয়ে যাবি।

_ কিছু ই হতো না। আপনি এই সব ঢং বন্ধ করুন।
আর তাড়াতাড়ি করুন।

_ হুমম করছি তো বাবা । একটু শান্ত হ এবার। আমি একটু ঢং তো তোর সাথেই করবো।

ফারহান মুখ টিপে হাসলো। তারপর মলিন মুখে বলল
_ আচ্ছা ফারহান ভাইয়া

_ হোয়াট

_ ইয়ে না মানে শুনুন একটু।

_ বল ।

_ কালকে হলুদে রিফাত ভাইয়া আসলো না কেন ?
ভাইয়া ও কি আমার উপর

_ উহুহহ রিফাতের সাথে আমার কথা হয়েছে। রিফাত কাল আসে নি কারন রিকের মা বাবা এসেছিলো।

_ ওহহ আজ আসবে তো ?

_ হুমমম সবাই আসবে। রিমি আর ভাইয়া ও আসছে। বড় রা কেউ আসবে না , বুঝিস তো।

ফারাবি মলিন হাসলো। ফারহান ফারাবি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল
_ মন খারাপ করে না জান। আমি খোঁজ লাগিয়েছি তো।
মেয়ে গুলো কে বাঁচাতে পারলেই আমরা প্রপার্লি শান্তি তে থাকবো।
সবার সঙ্গে থাকবো।

ফারাবি ছোট করে হাসলো। ফারহান কাবাড থেকে একটা প্যাকেট বের করে দিলো।
ফারাবি প্যাকেট টা খুলে দেখলো একটা কটন কাপড়ের বেবি পিংক কালারের শাড়ি লেহেঙ্গা ।
ফারহান লম্বা হেসে বলল
_ জর্জেট এ তোর অস্বস্তি হবে তাই এটা অর্ডার করে বানিয়েছি।

ফারাবি মুচকি হাসলো। ফারহান একটা শার্ট আর ব্লেজার বের করে পরে নিলো।
ফারাবি ভ্রু কুঁচকে বলল
_ আপনি ম্যাচিং করে ড্রেস এনেছেন ?

_ ইয়াপ। কাপল রা সব সময় ম্যাচিং করেই পরে।

_ ইসস। কি আমার কাপল রে।

ফারহান ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল
_ কিছু বললি ?

_ নাহহ নাহহ । এমনি বলছিলাম আর কি তাড়াতাড়ি রেডি হোন।

ফারহান মুচকি হেসে ফারাবির গালে চুমু খেয়ে চলে গেল।
ফারাবি তাজ্জব বনে গেল। এই যখন তখন চুমু খাওয়া টা ফারাবি বুঝে উঠতে পারে না।
ফারহান দরজার কাছ থেকে উঁকি দিয়ে বলল
_ এই যে মিসেস আজ থেকে সকালে আর রাতে আপনি চুমু দিবেন।
আর বাকি সময় গুলো আমি।

ফারাবি কিছু বলবে তার আগেই ফারহান নিচে চলে গেল।ফারাবি থম মেরে থেকে হো হো করে হেসে উঠলো।
এটাই হলো প্রিয় মানুষ, তার একান্ত প্রিয় মানুষ ।

*

রিফাত আর মনিকা কে গেট দিয়ে ঢুকতে দেখে ফারাবি দৌড়ে গেল।
রিফাতের কাছে আসতেই ফারাবির চোখ ভরে উঠলো। রিফাত নাক কুচকে বলল
_ একদম না। একটু ও যেন চোখ থেকে পানি না পরে।
তাহলে ধুম করে মেরে দিবো।

রিফাতের কথাতে ফারাবি ঝরা হাসলো। রিফাত বোন কে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুমু খেয়ে বলল
_ একদম মন খারাপ করবি না।
ছোট আম্মু আর আব্বু খুব তাড়াতাড়ি সব বুঝে যাবে ।
আর আঙ্কেল ও দেখবি ফারহান কে নিয়ে প্রাউড ফিল করবে।
ওরা সবাই একটু রেগে আছে শুধু।

ফারাবি মলিন হেসে বলল
_ সবাই কেমন আছে ?

_ ভালো। তবে তোকে ছাড়া কষ্টে আছে রে। কেউ ই তোকে দূরে সরাতে চায় না যে।
কিন্তু

_ কিন্তু ঐ হারামি রিকের জন্য সবার অতি দরদ হচ্ছে।
যখন সবাই জানবে ওর আসল মুখ টা তখন দেখতে পারবি কতো বড় জালিম ঐ হারামি।

রিফাত লম্বা হেসে ফারহান কে জড়িয়ে ধরলো। ফারহান রিফাতের পিঠ চাপরে বলল
_ দুদিন দেখি নি অথচ মনে হচ্ছে কতো জনম টর দেখা।

_ তুই বড্ড বেইমান রে ভাই। আমার বোন কে বিয়ে করলি আর আমাকেই জানালি না।

_ টপ সিক্রেট এটা। আপনি কি আপনার বোন কে জোর করে বিয়ে করতে দিতেন মিস্টার রিফাত?

রিফাত সরস হেসে বলল
_ উহহুহহ।তবে যদি জানতাম আমার বোন টা এভাবে তোর প্রেমে পাগল হয়ে যাবে তাহলে আমি ধরে বেঁধে নিয়ে বিয়ে দিতাম।

ফারাবি ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল
_ ভাইয়া।

সবাই খিল খিল করে হাসলো। মনিকা এসে ফারাবি কে বুকে জড়িয়ে নিলো।
মনিকার সাথে কথা বলতে বলতে ভেতরে গেল ফারাবি।

ফারহান এক পলক তাকিয়ে বলল
_ জানি না কি হতে চলেছে। আমি তিনটে মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না।

_ চিন্তা করিস না ইয়ার। রিকের সব খবর তো আমরা পেয়েই যাচ্ছি।
কতো গুলো প্রুভ পেয়েছি যেগুলো দেখালেই ওর গেম ওভার।
কিন্তু ভিডিও গুলো ডিলিট করাতে হবে এই যাহ।

ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
_ হ্যাঁ । রায়হান কে ওর পিছে লাগিয়েছি। ওর সাথে রিকের একটা বন্ধুত্ব ও হয়ে গেছে।
তবে আমি চাইছিলাম এই বিয়ের ঝামেলা শেষ হলেই কিছু একটা করতে।
আমি রিক্স নিতে চাচ্ছি না। রিক পাগলা কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছে।
কাল দুপুরে তো

রিফাত ভ্রু কুঁচকে নিলো। ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
_ কাল দুপুরে ট্রাক দিয়ে আমার কার এক্সিডেন করতে চেয়েছিলো।
ভাগ্যিস তখন ফারাবি ছিলো না। কোনো মতে বেঁচে গেছি।

_ এই ব্যাথা পাস নি তো ?

_ উহুহ ব্যথা পেলে তো ফারাবি বাসা থেকেই বের হতে দিতো না।
ওকে কিছু জানতেই দেই নি আমি।

রিফাত লম্বা করে দম নিয়ে বলল
_ যা করার ফাস্ট করতে হবে।
না হলে বড় কিছু ঘটে যাবে। ওকে জেলে বন্দি না করা অব্দি শান্তি মিলছে না।

ফারহান ও রিফাতের কথায় সায় জানালো। চাইলেই রিক কে মেরে ফেলতে পারে ওহ। কিন্তু মারবে না , কারন ওহ হাজার হলে ও ফারাবির পরিবারের একজন।
তবে কোনো ছাড় ও দিবে না , জেলের ভাত না খাওয়ানো অব্দি শান্তি নেই।

**আগে আমি রাত দুটো অব্দি জেগে গল্প লিখতাম। দিনে প্রায় 7- 8 ঘন্টা শুধুই গল্প লিখতাম। তারপর পোস্ট করা কমেন্ট দেখা সেগুলো তো আছেই।
তবে এখন আমি সেটা পারছি না। একটা লাইন লিখতে গেলেই চোখ বুজে যাচ্ছে। অনেক কষ্ট করে দুই গল্পের দুটো পার্ট লিখে যাচ্ছি। তা ও তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লেগে যায়।
আমার পুরনো রিডার্স যারা আছেন তাদের কে বলছি।
আপনারা লক্ষ্য করুন আমি আগে কতো বড় বড় পার্ট দিয়েছি। আর কখনো কখনো তিন টে পার্ট ও দিয়েছি।
এখন আমি অসুস্থ, তাই পারছি না ঠিক ঠাক লিখতে।
তাছাড়া পোস্ট করার জন্য ও বেশ অনেক ক্ষন সময় লাগে। যথাসম্ভব রিচেক করার চেষ্টা করি।
কেউ রাগ করবেন না। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। নিয়মিত আল্লাহর ইবাদত করুন। আর ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন।
গঠন মূলক মন্তব্য করুন। #ধূসর_রঙের_প্রজাপতি পড়ার অনুরোধ রইলো।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here