সুখ_একটি_প্রজাপতি (২৮)

0
109

#সুখ_একটি_প্রজাপতি (২৮)

পরের একটা মাস অভিনবর জীবনের সব থেকে বাজে সময় গেল। ঝিলের সাথে একদমই যোগাযোগ নেই। ছেলেটা আজকাল কেমন নুইয়ে পড়েছে। সারাদিন ঘরের ভেতর থাকে। কখনো বা গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এদিক সেদিক। ইতোমধ্যে কয়েকবার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে কল এসেছে। অভিনব একজন ট্রাভেলার। তার ভক্ত অনুরাগীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায়। ছেলেটা ফটোগ্রাফি করতে জানে। নানান দেশের খুটিনাটি তথ্য সহ দারুণ সব ফটো তোলার অনন্য রেকর্ড রয়েছে তার। অথচ গত একমাসে এই প্রকৃতি ওকে আগলাতে পারে নি। প্রেমের নেশাটা বাকি সব কিছুকে হার মানিয়েছে। এরই মধ্যে ঘটে গেল আরেক কান্ড। আরফান যে মেয়েটির মোহে ডুবে নিজ স্ত্রীকে ভুলে বসেছে কিছুদিন পূর্বে তাকেই বিয়ে করে নিয়ে এল! সেই থেকে পুরো পরিবার রেগে আগুন। অভিনবর কানে আসলেও আমলে নেয় নি বিষয়গুলো। ওর জীবন কেমন রুক্ষ হয়ে গেছে। ঝিলের শূন্যতা ওকে যন্ত্রণা দিচ্ছে। অনেক দিন পর নাস্তার টেবিলে এসেছে সে। মামিরা ব্যস্ত হয়ে খাবার দিচ্ছে। আরফানের নতুন স্ত্রীর নাম রিসা। বড়দের মাঝে হঠাৎ ই টেবিলে বসে পড়ল। অভিনব একবার পাশ ফিরে তাকিয়েছে। মেয়েটি অল্প বয়সী সুন্দরী স্মার্ট। তবে চেহারায় ভদ্রতার বিশেষ অভাব। বড়দের সামনেই খাবার খেয়ে চলেছে। নতুন বউ এর লেশ নামে মাত্র নেই! আরফানের মা আমেনা বিরক্ত হয়ে স্বামীর প্লেটে খাবার দিলেন। ইববান শিকদার এক চামচ খেয়ে উঠে গেলেন। রুচি চলে গেছে ওনার। একে একে খাবার রেখে উঠে গেল ওনার দুই ভাই লিটন ও মুজাহিদ শিকদার। অভিনব চুপচাপ খাবার খাচ্ছে। আরফান তৈরি হয়ে এসে ডাইনিং এ বসল।
“মা খাবার দাও।”

“নিজের খাবার নিজে নিয়ে নাও। না হলে স্ত্রী কে বল খাবার দিতে।”

“ও তো খাবার খাচ্ছে মা।”

“তো?”

“খাবারই তো বেড়ে দিতে বলেছি। এমন করছো যেন…। আমি নিজেই নিয়ে নিচ্ছি।”

রিসা পাশ থেকে বলল, “আমি দিচ্ছি।”

“না না তুমি খাও।”

পুনরায় খাবার খেতে লাগল রিসা। আরফান প্লেটে খাবার নিয়ে বলল, “কি অবস্থা ইহান?”

মুখ না তুলেই অভিনব বলল, “ভালো।”

“শুনেছি মির্জা বাড়ির মেয়ের শোকে ধরেছে তোকে। শোন তুই আমার ভাই। ওমন মেয়ে তোর আশে পাশে ঘুরবে। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল।”

রিসা মুখের খাবার টুকু চিবিয়ে বলল, “ইয়াহ ইয়াহ আরফান ইজ রাইট। ব্রো চিল।”

আমেনা বেগম বিরক্ত হয়ে চলে গেছেন। রিসা নামের মেয়েটি ওনার দু চোখের বি ষ। চরম অভদ্র এই মেয়ে। না হলে কেমন করে পারে অন্যের স্বামীকে বিয়ে করতে?

দুপুরে বেরিয়ে এল অভিনব। নিজেকে আর কষ্ট দিবে না বলেই স্থির করেছে। ভালো থাকার প্রয়াস নিশ্চয়ই করবে। শহর থেকে অনেক দূরে চলে এসেছে সে। এখানটায় গাছপালা আর কিছুদূর পর পর ছোট ছোট ঘর। দেখতে সুন্দর লাগছে। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে আচমকা বুকটা হু হু করে উঠল। ঝিলের মুখটা চোখে এসে ধরা দিচ্ছে। সে অশান্ত হয়ে গেল। পুনরায় গাড়ি নিয়ে শহরের দিকে এল। একে একে ঘুরতে লাগল অলিগলি। কোথাও শান্তি মিলছে না। এত অশান্তি বোধহয় আর অনুভব হয় নি। সন্ধ্যার দিকে একটা শপিং মলে এসে গাড়ি দাঁড় করায়। সেখান থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নেয়। ফেরার পথে একটা দৃশ্য দেখে বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। ঝিল আর আয়ুষ রাস্তা পার হচ্ছে। গাড়ির চলাচল বেশি বিধায় আয়ুষের হাত ঝিলের হাতকে আকড়ে ধরেছে। সেই সময়টা অভিনবর ইচ্ছে করল সব ধ্বংস করে দিতে। বিষয়টা মেনে নিতে পারছিল না। গাড়ির স্পীড বেড়ে গেছে কখন জানা নেই। ধুম করে একটা ট্রাকের সাথে এসে আ ঘা ত খেল। বা হাত আর হাঁটুর দিকটা জখম হলো। কপালের এক সাইট ও কেঁটে গিয়েছে। একটুর জন্য প্রাণটা হারায় নি। কিছু লোক এসে গ্লাসের বাইরে থেকে চেচামেচি শুরু করছে। অভিনব ধীর স্থিরভাবে গ্লাস খুলে দিল।
“আই এম ওকে।”

বিদেশী অভিনবকে দেখে অনেকের চোখ লাফিয়ে উঠেছে। ছেলেটা বা হাতটা চেপে ধরে বলল, “আমি ঠিক আছি। আপনারা যেতে পারেন।”

কি আশ্চর্য! বিদেশীর মুখে দারুণ বাংলা। অনেকেই থেমে রইল। অভিনব ধীরে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়েছে। ব্যথায় হাত নড়ানো যাচ্ছে না। কিছুটা সরে এসে তরুণের ফোনে কল করল। মিনিট দশেকের মাঝে পৌছে গেল তরুণ। অভিনবর বাহু চেপে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলল, “কেমন করে হলো এটা।”

“ট্রাকের সাথে গাড়ির ধাক্কা লেগেছে।”

“হায় আল্লাহ! ভাই ম’র’বি এভাবে।”

“ম’রেই তো গেছি।” ছোট করে বলা কথাটা তরুণের কর্ণপাত হলো না। সে ব্যতিব্যস্ত হয়ে হসপিটালে কল করছে। অভিনব মাথাটা সিটে এলিয়ে বসেছে। তরুণ ঝড়সম গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। তারপর হসপিটাল থেকে ট্রিটমেন্ট করিয়ে বাসায় পৌছে দিল। ওর অবস্থা দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমেনা বেগম কাঁদছেন। ওর অন্য মামিরাও বেশ ব্যস্ত হয়ে গেছে। একজন মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তো আরেকজন খাবারের ব্যবস্থা করছেন। কিছুটা সুস্থ হতে হতে কয়েকদিন পেরিয়ে গেল। অভিনব ভোর থেকেই বিচলিত। ক্যালেন্ডারে একটা তারিখ ঝলমল করছে। নোনা জলের কারণে দু চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।

ঝিলকে আংটি পড়িয়ে দিলেন ওর বড় মামা রাশিদ চৌধুরী। বড় মামি ডালিয়া বেগম আর ছোট মামি সুমতি বেগম একটু পর পর এসে ঝিলের রূপ গুণ ব্যবহার নিয়ে প্রশংসা করে যাচ্ছেন। মেয়েটা ওনাদের বাড়ির বউ হলে নিশ্চয়ই খুব ভালো হবে। ঘরের মেয়ে ঘরে থাকলে সমস্যা কোথায়? ঝিল নির্বিকার। এই বিয়েতে ওর যেমন মত নেই তেমনি নেই দ্বিমত। পাপারা ডিভোর্স করানোর ব্যবস্থা করে চলেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই ফাইনাল হয়ে যাবে সব। তারপর ঝিল আর আয়ুষের বিয়ের আয়োজন হবে। মৌনতার এবার খুব অভিমান হয়েছে। ঝিলের উপর রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে সে। গত কাল ঝিলের বাবা ইনভাইট করেছেন। তাই ওকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আসতে হয়েছে। ঝিলের এই সাজ দেখে মৌনতার কান্না পাচ্ছে খুব। অভিনবর কথা স্মরণ হচ্ছে। ছেলেটার অবস্থা কল্পনা করতেই শিউরে উঠে শরীর। ওর বেস্ট ফ্রেন্ডকে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে স্বার্থপর বলে মনে হলো। রাগে দুঃখে বের হয়ে গেল সে। রোহনের সাথে সেখানেই দেখা। দু চোখ ভর্তি জল। একটা টিসু এগিয়ে দেয় রোহন। সেটাতে চোখ মুছে নেয়।
“কেঁদে লাভ নেই। যা হচ্ছে হতে দাও।”

“এতটা পাষাণ কেন আপনারা?”

“না বুঝে মন্তব্য করবে না মৌন।”

“বুঝেই বলছি। এমন করে কেউ? ওদের এত বছরের বিয়েটা। আপনারা চাইলেই সব ঠিক হয়ে যেত।”

“ঘরে গিয়ে বোসো।”

“আসলেই আপনারা পাষাণ। মন বলে কিছু নেই।”

মৌনতার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রোহন শ্বাস ফেলল। উষ্ণ শ্বাসের ছোঁয়ায় চারপাশ ভরে উঠল। বুকের ভেতর কেমন যেন আর্তনাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে।

ঝিলের অনেক গুলো হাস্যউজ্জ্বল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়েছে।ওর মুখশ্রীতে থাকা প্লাস্টিকের হাসিটা ধরতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হলো না অভিনবর। বার বার ছবি গুলো দেখছে সে। যত সময় যাচ্ছে ততই অশান্ত হয়ে পড়ছে। দিন দুয়েক আগেই নোটিশ এসেছিল। মাস খানেকের মধ্যে বিচ্ছেদের কাগজ পাঠানো হবে। তারপর চিরদিনের মতো ওরা আলাদা হয়ে যাবে। অভিনব ভাবতেও পারছে না ওর সব অনুভূতি মিথ্যে হতে চলেছে। ওর স্ত্রী, ওর প্রজাপতি ওর জন্য চরম অশুদ্ধ হয়ে যাবে। এত এত কষ্ট কোথায় লুকাবে অভিনব?

রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মৌনতা বলল,
“ভাইয়ার সাথে দেখা করবি?”

চোখ ঘুরিয়ে তাকাল ঝিল। শরীরে ইষৎ কম্পন ধরেছে। মৌনতা এবার উঠে বসল। লাইট অন করে বলল‍, “আমি জানি তুই এখনো ভাইয়াকে ভীষণ ভালোবাসিস।”

ঝিল নিরুত্তর। ওর বাহুটা ধরে মৌনতা বলল,
“এমন ভুল করিস না যার জন্য তুই আপসোস করবি।”

এবার ঝিল তাকাল। অভিনবর প্রতি ওর অনুভূতি কখনো ফিঁকে হবার নয়। মানুষটা যে ওর আত্মার সাথে মিশে গেছে। যার ভেজা ঠোঁটে ওর সমস্ত সুখ। বুকের মাঝে ভরসা সেই মানুষটাকে ভোলা কি আদৌ সম্ভব?

রাতের আঁধারে খুব সহজেই মামা বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল ঝিল। মৌনতা জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। ঝিল সাবধানে বেরিয়ে ইশারা করতেই শ্বাস ফেলল। গ্রামের সড়ক বেয়ে ছুটছে মেয়েটি। কিছুটা পথ যেতেই একটা সাদা রঙের গাড়ি দেখতে পেল। অভিনবর লম্বা চওড়া অবয়ব দেখতে পেয়ে বুকের ভেতর ধীম ধীম আওয়াজ হতে শুরু করেছে। কত দিন পর মানুষটার সাথে দেখা হবে। কতদিন পর মানুষটার কণ্ঠ শুনবে। এই উত্তেজনা, আবেগ অনুভূতি ঝিলকে পাগল করে দিল। মাটির সাথে যেন পা আটকে গেল। এতটা কাছে এসে এখন পথ চলতে পারছে না সে। অভিনব ওর দিকে তাকাল একবার। এই দৃষ্টি যেন ওকে ভস্ম করে দিল। ওর শরীর অসম্ভব ভাবে কেঁপে উঠছে। অভিনব ধীর স্থীর পায়ে এগিয়ে এল। খানিকটা দূরত্ব রেখে বলল,”হ্যাপি সেভেন এনিভার্সারি প্রজাপতি।”

বিস্মিত ঝিলের দুটি চোখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল। নিশ্চয়ই রাত বারোটা বেজে গেছে এখন। অভিনব ঠোঁটের কোণ প্রসারিত করে হাসছে। তারপর গাড়ির ভেতর থেকে কেক বের করে আনল। মেয়েটার হাত ধরতেই শিরশির অনুভূতিতে ছেঁয়ে গেল শরীর মন। দুজন মিলে কেক কাটল। তারপর সবুজ ঘাসে বসে রইল কিছু সময়। ঝিলের মাথাটা অভিনবর কাঁধে এলানো। এর মাঝে একটা কথাও হলো না ওদের। আকাশের সুন্দর চাঁদ। রূপোর থালার মতো লাগছে। মৃদু বাতাস আর শরীরের ঘ্রাণ। সব মিলিয়ে রূপকথার মতো লাগছে পরিবেশটাকে। ঝিল দু চোখ বন্ধ করে নিল। মাথাটা কাঁধ থেকে একটু একটু করে বুকের দিকে অগ্রসর করছে। সময় যেন চোখের পলকে চলে যাচ্ছে। ভোর হবে তখন। অভিনব বলল,
“উঠুন প্রজাপতি। ভোর হওয়ার আগেই গ্রাম ছাড়তে হবে।”

আশ্চর্যজনক ভাবে পিছিয়ে এল ঝিল। ওর চোখের ভাষা ভিন্ন। অভিনব কষ্ট পেল। দু হাত বাড়িয়ে বলল, “আমায় ছেড়ে দিবেন ঝিল?”

এত আকুলতা নিয়ে কখনো কথা বলে নি অভিনব। ঝিলের ভেতরটা শূন্য হয়ে এল। খুব কান্না পাচ্ছে ওর। খোলা চুল গুলো উড়ছে। চোখের জল গুলো শুকিয়ে এসেছে। সুন্দর অনুভূতি গুলো তিক্ততার সাথে খেলা করছে। উত্তেজনা পেরিয়ে গেছে। এখন কেবল ঝিল পড়ে আছে। সে চায় না মানুষটাকে ছাড়তে। কখনোই চায় না। অভিনবর ভরাট হাত দুটি ঝিলকে বুকের কাছে টেনে নিল। শক্ত করে চেপে ধরল। এতটা অনুভূতি এসে ঠেকেছে যে ওর কথা হারিয়ে গেছে। বুকের ভেতরে থাকা হৃদপিণ্ড লাবডাব শব্দ করছে। সেসব মনোযোগ দিয়ে শুনল ঝিল।
“চলেন প্রজাপতি। ভোর হলে সমস্যায় পড়ব।”

ঝিল উত্তর করল না। অভিনব ওর হাতটা ধরে চলতে গেলেই বাঁধা প্রাপ্ত হলো। অবাক নয়নে তাকাল মেয়েটির মুখে। ঝিল নজর সরালো। হাতটা সরিয়ে নিয়েছে। অভিনব ক্ষণে ক্ষণে অবাক হচ্ছে।
“আপনি নিশ্চয়ই নেগেটিভ উত্তর দিবেন না প্রজাপতি।”

ওকে ভুল প্রমাণ করতেই বোধহয় উত্তরটা দিল ঝিল। অভিনব পিছিয়ে গেল। দুটি চোখ রিক্ত। বুকের ভেতরের শূন্যতা। মাথার উপর আঁচড়ে পড়া ঢেউ। বাতাস যেন সা সা করে বয়ে চলেছে। তীব্র বজ্রপাতে ভস্ম হয়ে যাবে যেন। অবিশ্বাস্য ভরা কণ্ঠ, “সত্যিই ডিভোর্স দিতে চান আপনি?”

ঝিলের হৃদয় ধক করে উঠল। বিষণ্ণ দুটি চোখ রক্তিম হয়ে আছে। গলায় জোর নেই বিন্দু মাত্র। শুষ্ক দুটি ঠোঁট চেপে ধরল সে।
“আপনার কাছে যেমন পরিবার সবার আগে আমার কাছেও আমার পরিবার সবার আগে। আপনি যেমন পরিবার ছাড়তে পারবেন না আমিও তেমন পরিবার ছাড়তে পারব না।”

“এসব কেন বলছেন ঝিল? তবে আমি আপনার কেউ না?”

নজর সরায় ঝিল। চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। জোনাকিরা উড়ছে। মাথার উপর ভোরের পাখির কলতান। পাশেই বহমান নদী। স্রোত আর ভাটায় মেতে আছে। সব এত সুন্দর অথচ ঝিলের বুকের ভেতর ঝড়। যে ঝড়ে সবটা ধ্বংস হতে শুরু করেছে। ভোরের আলো উঠার সাথে সাথে অভিনব আর ঝিল আলাদা হয়ে গেল। সমস্ত সুখ,অনুভূতি আজ বড্ড হেলায় পড়েছে। চোখের পলকে শেষ হয়ে গেল সাজানো গোছানো সুখময় সম্পর্কটা।

চলবে….
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি

পাঠকমহল: Fatema’s story discussion

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here