স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন2 #ফাতেমা_তুজ #part_22

0
190

#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন2
#ফাতেমা_তুজ
#part_22

মধ্যরাত্রী পেরিয়ে গেছে এবার ভোর হবার পালা। আকাশে এখনো চিক চিক করছে ঘন কালো অন্ধকার।
ফারহান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ফারাবির দিকে। ফারাবি চোখ বুজে বাতাস গাঁয়ে মাখছে।
ফারহানের ঘড়ির টং টং আওয়াজে কেঁপে উঠে ফারাবি।
ফারহান আলতো হেসে বলল
_ এখন আমাদের যেতে হবে। না হলে দেরি হয়ে যাবে।

ফারাবি কিছু না বলে লম্বা করে শ্বাস নিলো। শিরশির অনভূতি তে ছেয়ে গেল পুরো শরীর। ভোরের আগ মুহুর্ত টা এতো সুন্দর হয় বুঝি ?
নাকি প্রিয় মানুষটা কাছে থাকলে সবি সুন্দর লাগে ?
ফারহান সরস হেসে বলল
_ ম্যাডাম এখন সব অনুভূতি ফেলে রিয়েল জগতে যেতে হবে।
যে জগতে কোলাহল আর অশান্তি তে ভরা।
এই সব কিছু ছাপিয়ে আমাদের সুন্দর এক পথ চলতে হবে।

ফারাবি ঠোঁট দুটো এক করে নিলো। কিছুক্ষন ভেবে বলল
_ সময় টা থমকে যাচ্ছে না কেন ?
ফারহান ঝরা হাসলো । কিছু মুহুর্ত পর ই ওদের বোর্ট পারে এসে পৌছালো।
ফারাবির হাত ধরে সাবধানে নামিয়ে নিলো ফারহান।
ফারাবি এক হাত দিয়ে অন্য বাহুতে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে।
সারা রাত নদীতে থাকায় গা ঠান্ডা হয়ে গেছে।
সাথে মৃদু বাতাসে শরীরের প্রতি টা নিউরন জেগে উঠেছে।
ফারহান বিষয় টা বুঝতে পারলো। কারন ফারাবির শাড়ি টা ওহ ইচ্ছে করেই পাতলা কিনেছে।
ফারাবি কে কোর্ট টা খুলে পরিয়ে দিয়ে বলল
_ কোনো কথা নাহ। আমার শরীর গরম আছে কিন্তু তুই জমে গেছিস।

ফারাবি মুখ ছোট করে তাকিয়ে রইলো। এই মানুষ টা নিশ্চয়ই কোনো মনোবিজ্ঞানী।

ফারহান চমৎকার হাসলো। বোর্ট এ উঠে গিয়ে পাখির খাঁচা টা নিয়ে আসলো।
ফারাবি নিভু নিভু আলোতে চার পাশ দেখতে মত্ত।
কি সুন্দর দৃশ্য , লেকের ধারের দুটো গাছ কেমন লেগে দাড়িয়ে আছে।
ঠিক যেমন কাপল রা থাকে , ফারাবি মোহনীয় হাসলো।
ফারহান ভাবুক দৃষ্টি তে তাকিয়ে বলল
_ কি দেখছিস ?
_ গাছ গুলো কি সুন্দর।
_ গাছে চড়বি ?
ফারাবি ভ্রু কুঁচকালো। ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ আমি কোলে করে উঠিয়ে দিবো।

ফারাবির চোখ চকচক করে উঠলো। ফারহান মুখ টা মলিন করে বলল
_ আজ সময় নেই , অন্য একদিন গাছে চড়বো প্রমিস।

ফারাবি খিল খিল করে হাসলো। এই মানুষ টা কে যমের মতো ভয় পায় যে তা ওহ ভুলেই গেছে।
যখন সবার সাথে মিলিয়ে যাবে তখন আবার ফারহান ওর কাছে যম হয়ে যাবে।
খাঁচা খুলে পাখি দুটো কে তুলে নিলো ফারহান।
পাখি দুটো কিচির মিচির করতে লাগলো।
ফারহান প্রশস্ত হেসে বলল
_ আর একটু সময় ওয়েট কর এখনি মুক্ত করে দিবো।

ফারাবি একটা পাখি নিয়ে বলল
_ কি সুন্দর দেখতে, ইসসস আমরা যদি এমন হতাম।

ফারহান রহস্য হেসে বলল
_ তুই এই পাখির থেকে ও অনেক অনেক সুন্দর।

ফারহানের কথাতে লজ্জা হাসলো ওহহ।
ফারহান আর ফারাবি লম্বা করে শ্বাস নিয়ে পাখি দুটো কে এক সাথে মুক্ত করে দিলো।
আর মনে মনে তাদের থেকে দোয়া চেয়ে নিলো যেন আল্লাহ তায়লা ওদের কে ও এভাবেই সকল বিপদ থেকে মুক্ত করে দেন।
পাখি দুটো কিচির মিচির করতে করতে ওদের চার পাশে ঘুরপাক খেতে লাগলো।
তা দেখে ফারাবি লাফিয়ে উঠলো।
ফারহান সরস হেসে সে দিকে তাকিয়ে রইলো।

*

গাড়ি এসে থামলো ফারাবি দের বাসার পেছনে। ফারাবি সিটে হেলান দিয়ে আছে। ফারহান তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল
_ আর একটু পর ই আযান দিয়ে দিবে তাড়াতাড়ি চল।

ফারাবি একপলক তাকিয়ে মাথা ঝাঁকালো । ওর ইচ্ছে করছে না যেতে , ফারহানের সাথে লেপ্টে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব।
ইসস ফারহানের গাঁয়ের গন্ধ টা এখনো নাকে এসে লাগছে।
মানুষ টা কে সহ্য হতো না আর আজ ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না।
এই বিচিত্র রঙা অনুভূতি ইচ্ছে গুলোই বোধহয় ভালোবাসা।
এতে যেমন কষ্ট আছে ঠিক তেমনি সুখ আছে। দিন শেষে যারা এই লড়াইয়ে হেরে যায় তাদের কাছে ভালোবাসা কে বিষাক্ত কোন বিষ কিংবা ধারালো অস্ত্র মনে হয়।
কারন তারা এ যুদ্ধে জয়ী হতে পারে নি।
ফারাবি লম্বা করে শ্বাস নিলো ওহ হারবে না ওহ জিতবে ওকে জিততেই হবে।
যে ভালোবাসার একটু স্বাদেই পাগল হয়ে গেছে ওহ সে ভালোবাসার পূর্ন স্বাদ যে নিতেই হবে।

ফারহান বুকে হাত গুঁজে দাড়িয়ে আছে। সেই কখন গাড়ি থেকে নেমে ফারাবির দিকে চেয়ে আছে।
অথচ ফারাবি গভীর ভাবনাতে মত্ত।
ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ অনেক ভেবেছেন এবার প্লিজ নেমে আসুন।

ভাবনায় ফোরন কাঁটায় ফারাবি বিরক্ত হলো।
পরক্ষণেই ফারহান কে দেখে চুপচাপ নেমে গেল।
ফারহান আশে পাশে তাকিয়ে দেখছে কেউ আছে কি না।
একটু পর ই ফজরের আযান পরবে তাই খানিকটা সাবধনতা নিয়ে চলছে ওহ।
কাউকে না দেখতে পেয়ে ফারহান ফারাবি কে ইশারা করলো।
ফারাবি মাথায় লম্বা ঘোমটা দিয়ে নিয়েছে।
আর ফারহান মুখে মাস্ক পরে আছে।
ফারাবি কে নিয়ে ধরে ধরে পাঁচিল টপকালো ফারহান।
ফারাবি দের পাঁচিল বেশি উঁচু নয়। তবে ফারাবি শাড়ি পরে থাকায় একা একা সম্ভব হচ্ছে না।
ফারাবি আর ফারহান চোখ কান খোলা রেখে বাগানের ভেতর দিয়ে যেতে লাগলো।
বাগানের মালি কাকা ভোর বেলাতে উঠে পরেন।
কাউকে দেখলেই গন ধোলানি খাওয়াবেন সিউর ।
আর যদি ওরা ধরা পরে যায় তাহলে পুরো পাড়া রটে যাবে।
ঘরোয়া ব্যাপার টা সামাজিক হয়ে যাবে।
তারপর বিজন্যাস পার্টনার , প্রেস এর লোকজন পুরো দেশে রটে যাবে।
আর হেডলাইন হবে ইয়ং বিজনেস ম্যান এফ এফ ইন্ডাস্ট্রির ওনার ফারহান চৌধুরী লুকিয়ে বিয়ে করে ধরা পরেছেন।
আর প্রেস মানেই এক লাইন কে দশ লাইন বানানো। বিয়ে টাকে পরকীয়া অব্দি ঠেলে নিবে সব শেষে পুরো গন্ডগোল হয়ে যাবে।

ঝোপ থেকে ঝুনঝুন শব্দ হতেই ফারহান ফারাবির হাত শক্ত করে চেপে ধরলো।
ফারাবি বার বার ফাঁকা ঢোক গিলে যাচ্ছে । খুব ভয় হচ্ছে ওর , ধরা পরে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
ফারহান এক ঝটকা তে ফারাবি কে নিয়ে গাছের আড়ালে চলে গেল।
কয়েক সেকেন্ড বাদেই ঝোপ থেকে একটা বিড়াল বের হলো।
ফারাবি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। ফারহান বোকা হেসে বলল।
_ তোকে নিয়ে রিক্স নয় কোনো ।

ফারাবি বলদের মতো চেয়ে রইলো। ফারহান শক্ত করে হাত ধরে অতি সাবধানে ওকে নিয়ে গেল।
বাড়ির মেইন ডোর ছাড়া ফারাবি কে নিয়ে যাওয়া যাবে না ।
তাই ফারহান বাসার লোড সেডিং করে দিলো।
ফারাবি ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টি তে চেয়ে রইলো। ফারহান ঝরা হেসে বলল
_ এছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। আর আমি আগে থেকেই সব কালেক্ট করে নিয়েছি।

ফারাবি ঠোঁট দুটো প্রশস্ত করলো। ফারহান ধীর পায়ে আগাতে লাগলো। ভোরের সামান্য আলো থাকায় যেতে কোনো অসুবিধা হলো না।
সবাই বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে। অবশ্য ঘুমানোর ও কথা, কাল ফারহান মাশরুমের সুপে ঘুমের ঔষধ মিশিয়েছিলো।
আর তাই সবাই ঘুমোচ্ছে, কেউ সন্দেহ ও করতে পারে নি।
কারন ফারহান আর ফারাবির মাশুরুমে এলার্জি।
ফারাবির রুমে এসে শ্বাস ফেলল ফারহান।
এতোক্ষন পর যেন বুক থেকে পাথর টা নেমে গেল।
বেডে সটান হয়ে শুইয়ে বলল
_ তাড়াতাড়ি এক গ্লাস পানি দে ফারাবি।
আমাকে এখনি যেতে হবে।
ফারাবি দ্রুত টেবিল থেকে পানি এনে দিলো।
ফারহান ঢকঢক করে খেয়ে বলল
_ তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নিবি। আর এখন গোসল করবি না , নাহলে গরম ঠান্ডা লেগে যাবে।

ফারাবি মুখ টা গোমড়া করে বলল
_ কিন্তু

ফারহান সরু চোখ করে রসিকতার ছলে বলল
_ আমি এমন কিছু করি নি যার জন্য সাওয়ার নিতে হবে।

ফারাবি ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইলো। ওহ কি বলতে চাইলো, আর ফারহান কি বলে গেল।
ফারহান দ্রুত গতিতে বাসা থেকে বের হয়ে আসলো।
কেউ উঠে নি এখনো তাই নিশ্চিতে পাঁচিল টপকে বের হয়ে গেল।
ওদের বাসার সামনে গাড়ি এনে হর্ন বাজাতেই দারোয়ান গেট খুলে দিলো।
কাল দারোয়ান কে বলেছিলো রাতে একটা কাজে যাচ্ছে তাই দারোয়ান এক ডাকেই গেট খুলে দিয়েছে।
রুমে আসতে যাবে, তখন ফারহান দেখলো রিমির ঘর থেকে হাসির আওয়াজ।
ফারহান ভ্রু কুঁচকালো। রিমি এখন জেগে আছে কেন ?
কাল তো ওর খাবারে ও ঔষধ ছিল, বোধহয় সুপ টা খায় নি।
ফারহান তপ্ত শ্বাস ফেলল তারপর আবার হাসির শব্দ পেল।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে থেকে ভেতরে যেতে নিয়ে ও গেল না।
আপাতত সব ঝামেলা গুলো সারতে হবে তারপর রিমির খোঁজ লাগাতে হবে।
ফারহান দ্রুত পায়ে নিজের রুমে চলে আসলো।
মিররের সামনে এসে কোর্ট টা খুলে ফেলল।
ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। শার্ট টা খুলতে যাবে তখনি চোখে পরলো গলাতে দুটো চুল।
ফারহান লম্বা হাসলো, ভাগ্যিস অন্য কেউ দেখেনি ওকে।
এই চুল অন্য কেউ দেখলে কেলেঙ্কারি রটে যেত।
সাবধানে চুল দুটো ছাড়িয়ে একটা রুপার কারুকাজ করা বক্সে রাখলো।
এই চুল গুলো জমাবে ওহহ , বৃদ্ধ বয়স অব্দি নিজের গায়ে ফারাবির যত চুল লেগে যাবে সব গুলো গুছিয়ে রাখবে ওহ ভালোবাসার চিহ্ন স্বরূপ।
কিছু ছোট ছোট বিষয়ে সুখ খুঁজে নেওয়া টাই তো ভালোবাসার মাহাত্ম্য।

*

সকাল দশটার পর সকলের ঘুম ভেঙেছে। ফারাবি বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে। সকাল ছয় টায় ঘুমিয়ে এতো তাড়াতাড়ি কি ঘুম ভাঙবে?
ফারাবির মা আর বড় মা হাই তুলতে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এতো বেলায় কখনোই ঘুম ভাঙে না ওনাদের।
বরং ছয় টার জায়গাতে সাত টায় ভাঙে কিন্তু একেবারে দশটায় বিষয় টা হজম হচ্ছে না কারোর ই।
তার থেকে বড় কথা সবাই একসাথে এতো লেট করলো কি করে ?

রিফাত হাই তুলতে তুলতে সিঁড়ি বেয়ে নামছে।
মেজাজ প্রচন্ড রকমের গরম। কাল সারা রাত বেঘোরে ঘুমিয়েছে আর তাই সকাল সকাল মনিকা অজস্র ফোন কল দিয়েছে।
ঘুমু ঘুমু চোখে কি বলেছে কে জানে।
মেয়েটা কোন বায়না করেছে আর ওহ সেটায় রাজি হয়ে গেছে সেটাই বুঝতে পারছে না।

সকাল সকাল খবরের কাজগের হেড লাইন পড়া টা রিফাতের অভ্যাস।
হেড লাইন খুলতেই রিফাত অবাক হলো।
দুটো খবরের কাগজে একি হেডলাইন

” কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তি সাথে তার স্ত্রী , মধ্যরাত্রী তে কঙ্কনা ঝিলের মাঝখানে বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন ”

রিফাত আগ্রহ নিয়ে বিবরন টা দেখতে লাগলো।
বিবরন টার পাশে ছোট্ট একটা কাপল ছবি লাগানো।
তবে চেহারা দেখা যাচ্ছে না ছবি টা খুব দূর থেকে তোলা। তবে লাল রঙের পোশাক পরে আছে দুজনি।
রিফাত বিবরন টা পড়া শুরু করলো।

” গোপন সূত্রে জানা গেছে ,
এক পাগল প্রেমিক পুরুষ মাঝ রাতে ঝিলের মাঝ খানে বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
তবে আমরা তাদের পরিচয় জানতে পারি নি। মাঝ রাতে বোর্ট এ করে সকলের অগচরে এমন বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন সত্যি ই কি ভাবা যায় ?
কতো টা ভালোবাসা থাকলে এমন ভাবনা আসতে পারে তা আমাদের জানা নেই।
এই রকম যদি প্রতি টা পুরুষ তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতো তাহলে আমাদের সমাজে নতুন আলোরন সৃষ্টি হতো।
আমরা আমাদের নিউজ পেপার আর চ্যানেল থেকে তাদের কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তাদের বিবাহ জীবন সুখময় হোক ”

বিবরন টা পরেই রিফাতের মনে প্রশান্তি জেগে উঠলো।
ওহহ কখনো ভাবেই নি , মনিকা কে সারপ্রাইজ করবে।
লম্বা করে দম ফেলল এবার মনিকা কে সারপ্রাইজ করবে ওহ।

ফারাবির মা রিফাত কে চা দিয়ে বলল
_ কি রে রিক কি কাল আসছিলো আর ?

_ না ছোট মা। কাল তো আর আসে নি । অনেক বার ফোন করলাম সুইচ অফ বলল।

_ কে জানে ছেলেটা গেল কোথায়।
ভাই আর ভাবি কে ও কিছু বলে যায় নি।

_ এসে পরবে , বাচ্চা তো নয় আর।
তুমি এতো চিন্তা করো না।

ফারাবির মা তপ্ত শ্বাস ফেললেন।
ওনার মাথায় একটা ভাবনাই কাজ করছে।
ছেলে টা এভাবে কোথায় আর কেন চলে গেল ?
কাল কতো খুশি ছিলো। বলেছিলো সবার সামনে নাকি ফারাবি কে রিং পরাবে।
আর তারপর ই বিয়ের ডেট ঠিক করা হবে। চমকে দিবে সবাই কে। হঠাৎ করেই যে কোথায় চলে গেল কে জানে।

** ধূসর রঙের প্রজাপতি পড়ার অনুরোধ রইলো ।
Join Fatema’s story discussion
Follow Fatema tuz – ফাতেমা তুজ

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here