#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_7
#post_time_রাত12_টা_34
ভোরের আলো ফুটতেই নড়ে চড়ে উঠে রিমি।
কেউ দরজায় বার বার কড়া নেড়ে যাচ্ছে। বিরক্তি নিয়ে হাই তুলতে তুলতে দরজা খুললো ওহ।
কিছু বোঝার আগেই হুরমুরিয়ে রুমে ঢুকে গেল ফারাবি।
ফারাবি কে দেখে দু বার চোখ কচলালো রিমি।
ফারাবি বেডের উপর পা তুলে বসে পরলো।
রিমি বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল
_ কুম্ভকর্ন ঘুম কুমারী এই সাত সকালে আমার দরবারে ?
তা কি মনে করে এসেছেন ওনি ?
ফারাবি নখ কামড়াতে কামড়াতে স্পষ্ট করে বলল
_ আমি ঘুমাবো।
ফারাবির কথা শুনে রিমি মুখে হাত দিয়ে বলল
_ ওমা ঘুম কুমারী আমার রুমে ঘুমানোর জন্য এসেছেন ?
কাল যে এতো বার করে বললাম আমরা একসাথে ঘুমাই তা আপনি তো শুনলেন না আমার কথা।
আপনার তো একা একা ঘুমাতেই ভালো লাগে।
_ ধ্যাত ছাড় তো আমি আর কখনো তোদের বাসায় একা ঘুমোবোই নাহহ।
_ ওমা কেন ? ভূতের দর্শন হলো নাকি ?
রিমির কথায় রসিকতা ঝরে পরছে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে বলল
_ এমনি ঘুম হয় নি আমার।
এখন কোনো কথা বলবি না আমি ঘুমাবো।
রিমি আমুদের স্বরে কথা সাজাতেই ফারাবি ঘুমে তলিয়ে গেল।
রিমি কপালে হাত দিয়ে বলল
_ হায় রে আমার ঘুম কুমারী।
না জানি কার রাজ্যে গিয়ে অস্কার অর্জন করবে।
রিমি হাই তুলে দরজা লক করে দিয়ে ফারাবির পাশে শুইয়ে পরলো।
ফারাবি কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমুচ্ছে তাই রিমি ইনস্টান কোলবালিশ হিসেবে ফারাবির উপর পা তুলে দিলো।
ফারাবি ঘুমের ঘোরেই বলল
_ উফফ আপনার চরিত্রের দোষ আছে সরুন আমার উপর থেকে ।
রিমি লাফিয়ে উঠলো। ঘুমের ঘোরে কার চরিত্রের দোষ দিচ্ছে ওহহ ?
রিমির বোকার মতো ফারাবির দিকে চেয়ে রইলো।
*
নাস্তার টেবিল সাজাচ্ছেন রোমা চৌধুরী আর রিফাতের মা।
ফারাবির মা কফি বানাচ্ছেন।
কাল সবাই এই বাড়িতেই ছিলো।
ফারহানের মা একজন মেড কে ডেকে বললেন সবাই কে ডেকে তুলতে।
তারপর কফি হাতে নিয়ে তিন রমনী যে যার স্বামীর কাছে ছুটলেন।
তাদের স্বামী রা বউ এর হাত থেকে কফি খেতে পছন্দ করেন ।
এতে নাকি সারাদিন টা ভালো যায়।
রিমি আধঘন্টা ধরে ফারাবি কে ডেকে যাচ্ছে।
ফারাবি বেঘোরে ঘুমুচ্ছে , রিমি উপায় না পেয়ে নিজেই নাস্তা করতে চলে গেল।
নাস্তার টেবিলে ফারাবি কে খুঁজতে লাগলো ফারহান।
ফারাবির মুখ টা দেখার জন্য বুক টা হু হু করছে।
অথচ ফারাবির দেখা নেই , খানিক টা খেয়ে উঠে গেল ফারহান।
ফারাবিকে রুমে খুঁজে না পেয়ে বেরিয়ে আসলো।
কে জানে কোথায় আছে , একটু আগেই রায়হানের জরুরি কল এসেছিল।
ইমিডিয়েটলি কক্সবাজার যেতে হবে তাকে।
ফারহান মুখ গোমড়া করেই সকলের থেকে বিদায় নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চলে গেল।
ফারাবির কথা জিজ্ঞেস করতে চেয়ে ও এড়িয়ে গেল।
এভাবে সকলে তার প্রতি সন্দেহ করবে তাই।
*
বেশ কিছুক্ষণ আগেই কক্সবাজারে পৌছে গেছে ফারহান।
ফ্লাইটে করে আসতে বিশ মিনিটের মতো সময় লাগে।
মন মেজাজ বেশ উগ্র। রায়হান ফারহানের সামনে এসে শান্ত স্বরে বলল
_ ভাই ওকে বেঁধে রেখেছি।
ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ ওকে যাহহ আসছি দু মিনিটে।
রায়হান চলে গেল। ফারহান বাঁকা হাসলো , তার প্রেয়সীর দিকে নজর দেওয়ার ফল তো পেতেই হবে ওকে।
রায়হান গোডাউনের ভেতরে চলে গেল। বেঁধে রাখা আসিফের পাশে বেশ আমুদ করে বসলো।
আসিফ ভয়ে চুপসে গেছে।
রায়হান আফসোস এর স্বরে বলল
_ কতো বার ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে তোকে।
তুই শুনলি নাহহ , আমাকে দেখেই তোর কলিজা কাঁপে ভাই আসলে তুই জীবন্ত মরা হয়ে যাবি।
বলতে না বলতে ফারহান গোডাউনে ঢুকলো।
গায়ে একটা শার্ট , জ্যাকেট টা খুলে রেখেছে।
হাতে থাকা হকি স্টিক দেখেই আসিফের কলিজা কেঁপে উঠলো।
ফারহান ধীর পায়ে আগাতে লাগলো , হকি স্টিক ঘোরাতে ঘোরাতে বলল
_ পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।
ফারহান শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বলল
_ রায়হান বের হয়ে সাঁটার টা লাগিয়ে দে। অতিথি সেবা করবো আমি ।
রায়হান কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে বের হয়ে গেল।
আজ ওর রক্ষা নেই।
রায়হান যেতেই ফারহান অধর কোনে রহস্যময় হাসি টানিয়ে বলল
_ খুব শখ ফারাবির দিকে হাত বাড়ানোর ?
কি যেন বলেছিলি তুই ফারাবি কে বিয়ে করতে না পারলে ও ফারাবি তোর হবেই।
ফারাবি প্রথম রাত টা তোর সাথেই কাঁটাবে ?
বন্ধু দের কথা দিয়েছিস যদি ওহ তোকে বিয়ে না করে তাহলে ওর ভিডিও করে পাঠাবি ?
বলতে বলতে ফারহানের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।
আসিফের চুল মুঠো করে বলল
_ তোর চোখ খুবলে নিবো আমি।
একের পর এক ওয়ার্ন করেছি।
কি ভেবেছিস সিঙ্গাপুর থেকে আমি হাত গুটিয়ে রাখবো ?
ওর সাথে সর্বক্ষণ আমার চোখ থাকে রে,,বলেই আসিফের মুখে লাথি মারলো ফারহান।
গত আট মাস ধরে ফারাবি কে বিরক্ত করে যাচ্ছে ওহহ।
ফারহান পরপর ছয় বার ওয়ার্নিং দিয়েছে কিন্তু কয়েক দিন পর ই আবার শুরু করে দিয়েছে।
সাত দিন আগে আসিফের বাজে মানসিকতার কথা জানতে পেরে লোক পাঠায় আসিফ কে ধরে আনতে।
কিন্তু কোনো ভাবে আসিফ পালিয়ে যায়।
আজ সকালেই কক্সবাজার থেকে ধরা পরে ওহহ।
ফারহান আসিফের মুখের বাঁধন খুলে দিলো।
আসিফ মাফ চাইতে লাগলো। কিন্তু ফারহানের কান অব্দি তা পৌছালো নাহহহ।
বেঘোরে হকি স্টিক দিয়ে মারতে লাগলো ।
আসিফের মুখ ফেটে রক্ত পড়তে লাগলো।
শরীরের প্রতি টা অংশ ব্যাথাতে কুকরে গেল।
ফারহানের শরীর থেকে ঘাম চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরছে।
আসিফ কে আধমরা করে ছাড়লো ফারহান।
আসিফ জ্ঞান হাড়াতেই ছেড়ে দিলো ওকে।
ফারহান অজ্ঞান মানুষের উপর আঘাত করে নাহহ।
গোডাউন থেকে বেরিয়ে রায়হান কে বলল
_ ভেতরে যাহহহ।
রায়হান শুকনো ঢোক গিলে বলল
_ ভাই বেঁচে আছে না মরে গেছে?
ফারহান আলতো হেসে বলল
_ আমি কাউকে মেরে ফেলি নাহহ।
পরকালে তার দরবারের শাস্তির জন্য বাঁচিয়ে রাখি।
রায়হান প্রশস্ত হেসে ভেতরে গেল।
ফারহান গাড়ি থেকে জ্যাকেট পরে এসে বলল
_ ওকে হসপিটালে এডমিট করিয়ে দে।
আর শোন সুস্থ হলে তিন মাস জেলে পুরে দিবি।
রায়হান সম্মতি জানালো।
আসিফের মুখ টা দেখে রায়হানের মায়া হলো।
পরক্ষণেই মুখ ঘুড়িয়ে একটা লাথি মেরে বলল
_ শালা তোর জন্য মায়া না দেখানোই ভালো।
ফারহান স্পষ্ট সে কথা শুনতে পেল।
হালকা হেসে গোডাউন থেকে চলে আসলো ।
ক্লান্ত লাগছে খুব , তাই কিছুক্ষণ গাড়িতেই বসে রইলো।
বুক পকেট থেকে ফারাবির হাস্যউজ্জল একটা ছবি বের করে চুমু খেলো ।
ফারাবি ওর জীবনে এসে ধরা দেয় রঙ হয়ে।
রঙে রাঙিয়ে মন চুরি করে নিয়েছিলো টিনেজারে পা দেওয়া ফারাবি।
ফারাবি খুব চঞ্চল হলে ও ফারহান কে জমের মতো ভয় পেতো।
ফারহানের উগ্র মেজাজের কারনে ফারহান কে কোনো কিছু তেই টানতো না কেউ।
রঙিন জিনিসের প্রতি আগ্রহ ছিলো না ওর।
সব সময় কালো কিংবা সাদা শুভ্র তে ঢেকে রাখতো নিজেকে।
বলতে গেলে রঙিন জিনিসেই এলার্জি ।
সেইদিনের ফারাবির দুষ্ট মিষ্টি ভয়ার্ত চাহনির কথা মনে পরতে বিগলিত হাসলো ফারহান।
ফারাবি তখন তেরো তে পা দেওয়া কিশোরী।
বৈশাখ মাসের কড়া রোদ্দুর ছিলো। ঘেমে একাকার হয়ে রিফাতের কাছে আসছিলো ফারহান।
ফারাবিদের বাসার গেইট দিয়ে ঢুকতেই এক বালতি রঙ মেশালো পানি এসে পরে ওর গাঁয়ে।
হঠাৎ আক্রমনে ফারহান তাজ্জব বনে যায়।
রাগে আর বিরক্তি তে ভরে উঠে মুখ।
রঙের পানির উৎস খুঁজার জন্য ঘাড় ঘোরাতেই দেখতে পায় জড়োসড়ো হয়ে যাওয়া ফারাবি কে।
চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। চোখ খিচে বন্ধ করে নেওয়া , সাথে কাঁপতে থাকা মসৃন ঠোঁট।
ফারাবির পুরো শরীরে রঙের মাখামাখি , মূলত বান্ধবীদের সাথে রঙের মাখা মাখি খেলছিলো ওহহ।
দুষ্ট ফারাবি না বুঝে রঙের পানি ফারহান কে ছুঁড়ে মারে।
ফারহান মসৃন হেসে সেখান থেকে চলে যায়।
তারপর থেকেই শুরু হয় ফারাবির প্রতি কড়া নজরদারি আর আগলে রাখা।
ছোট্ট ফারাবি ভয়ে চুপসে থাকতো।
ফারহান কে দেখলেই দশ হাত দূরে চলে যেত।
প্রজাপতির মতো উড়তে গেলেই ফারহান এসে বাঁধা দিতো।
ফারহান সরে গেলে এক গাদা গালি দিতো ওকে।
ঝলমলে হেসে উঠলো ফারহান।
সেদিন টা উপহার দেওয়ার জন্য ফারাবির প্রতি কৃতঙ্গ ওহহ।
তারা ভরা খরা রুক্ষ্ম জীবনে রঙিন ছায়া দিয়েছে ফারাবি।
রস কস হীন ফারহান টিনেজার মেয়ে টার প্রেমে পরেছে বারংবার।
*
ফারাবি রা দুপুরে খেয়ে নিজেদের বাসায় চলে এসেছে।
রিফাত ফোনে ব্যস্ত , ফারাবি কান পেতে শোনার চেষ্টা করছে কি বলছে।
রিফাতের কথা গুলো হচ্ছে এমন সরি বাবু , কাল তো ব্যস্ত ছিলাম আমি , রাতে বেঘোরে ঘুমিয়েছি ব্লা ব্লা।
ফারাবি মুখ বাঁকিয়ে নিলো।
দিনের মাঝে আটচল্লিশ বার ঝগড়া করে মনিকা আর রিফাত।
দু মিনিট পর ই একে অপরের গা ঘেঁষে থাকে।
ফারাবি সে দিকে পাত্তা না দিয়ে বাগানে চলে আসলো।
বাইকের আওয়াজ পেয়ে বাগান থেকে বেরিয়ে আসলো।
সঙ্গে সঙ্গে মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
গেটের দিকে দৌড়ে গিয়ে বলল
_ ছোট চাচ্চু ইয়েহহহহ
আরিফ হাসতে হাসতে বলল
_ আমার আম্মা জান দেখি বড় হয়ে গেছে।
ফারাবি নাক ফুলিয়ে বলল
_ ছ মাসে কেউ বড় হয় ?
আরিফ ঝরা হেসে বলল
_ হয় নাহহ বুঝি ?
_ উহুহহ একদম ই নাহহ।
ফারাবির চিৎকারে রিফাত বের হয়ে আসলো।
আরিফ কে দেখে ছুটে গেল।
হাসি হাসি মুখ করে জড়িয়ে ধরলো।
রিফাত বিগলিত হেসে বলল
_ তা খবর কি তোমার সিগন্যালেই কি আটকে আছো ?
আরিফ লজ্জা হেসে বলল
_ নাহহ এবার পাক্কা হয়ে গেছে। সবুজ বাতি জ্বলে উঠেছে । পাক্কা গ্রিন সিগন্যাল ।
এ বছরেই শুভ কাজ সেরে ফেলবো।
রিফাত আর আরিফ হাইফাইপ করলো।
ফারাবি তীক্ষ্ম দৃষ্টি তে তাকিয়ে বিষয় টা বোঝার চেষ্টা করলো।
কোমরে হাত দিয়ে বলল
_ এই তোমরা কি আলোচনা করছো ?
আরিফ মেকি হাসি দিয়ে বলল
_ কিছু নাহহ।
ফারাবি বা হাতে ফু দিয়ে বলল
_ আমি কিন্তু সব জানি।
রিফাত ভ্রু কুঁচকে বলল
_ কি জানিস তুই ?
ফারাবি বাঁকা হেসে বলল
_ এটাই যে আমার উনত্রিশ বছরি বুড়ো চাচ্চুর বিয়ের ফুল ফুটেছে।
ইয়েহহহ বলেই লাফিয়ে উঠলো ।
আরিফ আর রিফাত একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো।
আরিফ গালে হাত দিয়ে বলল
_ হয়ে গেল। পুরো শহর কে বিনা টিকেটে বিয়ের দাওয়াত টা ফারাবি ই পৌছে দিবে।
রিফাত ফারাবি কে চোখ মেরে কাছে আসতে বলল।
ফারাবির সাথে আলোচনা শেষ করে গম্ভীর গলাতে বলল
_ দেখো চাচ্চু আমরা অতো শত বুঝি নাহহ।
তুমি আমাদের ট্রিট দিচ্ছো আর সেটা আজ ই।
ফারাবি ও মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো।
আরিফ করুন কন্ঠে বলল
_ এটা কি ঠিক বল ?
তোরা হলি গিয়ে আমার ছেলেপুলে ।
ফারাবি বিজ্ঞদের মতো করে বলল
_ উহুমমম আমরা তোমার ছেলে পুলে কম বন্ধু বেশি।
ভুলে যাও কি করে আমরা সবাই মিলেই মনি আন্টির সাথে তোমার লাইন টা পাক্কা করেছিলাম ।
তখন কোথায় ছিলো তোমার দায়িত্ববোধ?
রিফাত হাত দিয়ে আরিফ কে অঙ্ক কষে দেখালো।
আরিফ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল
_ হয়েছে বুঝে গেছি আমি।
তুই আমার সাড়ে তিন বছরের ছোট আর আম্মি জান সাড়ে এগারো বছরের।
ফারাবি মোহনীয় হাসলো।
রিফাতের সাথে হাইফাইফ করতেই পেছন থেকে আমুদে স্বর ভেসে আসলো
_ একা একাই সব প্ল্যান করে নিলি আমি কবে থেকে ছেলে পুলের দলে পরলাম রে ?
রিফাত ছুটে গিয়ে ফারহান কে জড়িয়ে ধরলো।
ফারাবি অন্য দিকে ফিরে তাকিয়ে রইলো।
আরিফের সাথে কুশল বিনিময় করে বলল
_ আজ আসার সময় হলো তোমার ?
এর জন্য ডাবল ট্রিট চাই।
আরিফ মোহনীয় হেসে বলল
_ তোদের বিয়ের ফুল ফুটুক পকেট খালি করে ছাড়বো।
ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ এটিএম কার্ড টাই দিয়ে দিবো।
আরিফ আর রিফাত বিগলিত হাসলো।
ফারাবি আড়চোখে তাকাতেই ফারহানের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল।
লজ্জা পেয়ে ফারাবি স্থান ত্যাগ করলো।
ফারহান বাঁকা হেসে ফারাবির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
Follow r join korun👇
Fatema’s story discussion
Fatema tuz – ফাতেমা তুজ
[ গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি । আপনাদের রেসপন্স এ হতাশ আমি। বোধহয় সিজন 2 লিখা উচিত হয় নি।
আপনাদের এমন রেসপন্স চলতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ই গল্প শেষ করে দিবো ]
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে