#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_24
সা সা করে বাতাস বইছে। ব্যলকনির গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে ফারহান আর ফারাবি।
একটু আগেই ফারহান এসেছে। ফারাবি ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টি তে তাকিয়ে ছিলো ফারহানের দিকে।
মানুষ টা নিশ্চয়ই পাগল। ফারহান তার ঠান্ডা হাত ফারাবির হাতের উপর রাখলো।
ফারাবি বুক ভরে শ্বাস নিলো। দুজনের মাঝে খানিক টা নীরবতা চলছে।
কেন যেন দুজনেই আজ কথা খুঁজে পাচ্ছে না।
ফারাবির দীর্ঘপল্লব বিশিষ্ট চোখ দুটো বার বার বুঁজে যাচ্ছে।
মূলত ফারহানের সংস্পর্শেই এই আবেশ। স্মিত হাসে ফারহান, আকাশের তারা গুলোর দিকে এক পলক তাকিয়ে বলল
_ আমাদের বিষয় টা সবাই কে জানানো উচিত ।
রিক উন্মাদ হয়ে গেছে , এবার ঝামেলা করবেই ওহ।
রিকের কথা ভাবতেই ফারাবি কেঁপে উঠলো। ভয়ার্ত কন্ঠে মিনমিনিয়ে বলল
_ আমার ও তাই মনে হয়।
_ তবে জানিস কি আজ আমার ভয় হচ্ছে। জানি না সবাই বিষয় টা কেমন করে নিবে।
তোকে নিয়ে আমি সারা জীবন ই ইনসিকিউর ফিল করবো। আচ্ছা বুকের মধ্যে আগলে রাখার কোনো উপায় নেই ?
ফারহানের বাচ্চামো ফারাবি মৃদু হাসলো। পরক্ষণেই মন টা খারাপ হয়ে গেল।
ভাবতেই ভীষন কান্না পাচ্ছে ওর। ওহ যদি ফারহানের ভালোবাসা প্রথম থেকেই অনুভব করতো তাহলে রিক নামের ঝামেলা টা আসতো না।
ফারহানের বাহু তে মাথা ঠেকিয়ে ফারাবি বলল
_ আমি এর জন্য দায়ী। আমি অনুভব করতে পারি নি আপনাকে।
সব সময় আপনার রাগ টাই দেখেছি।
ফারহান মলিন হেসে বলল
_ তোর দোষ নেই এতে। আমি তোকে কখনো আমার ভালোবাসা বোঝাতেই চাই নি।
সব সময় রাগ দেখাতাম , আর সেদিন ও রাগের বষে চর মেরে বিয়ে করেছিলাম।
যদি বোঝাতাম , অনুভব করাতাম তাহলে হয়তো এতো কিছু হতো না।
ফারাবি আচমকাই ফারহান কে জড়িয়ে হু হু করে কেঁদে উঠলো।
ফারহান অবাক হলো , ফারাবি নাক টানতে টানতে বলল
_ আমি রাসিফ ভাইয়া কে পছন্দ করতাম না।
সেদিন বন্ধুদের সাথে সাথে প্ল্যান করেছিলাম। রাসিফ ভাইয়া আমাকে প্রপোজ করলে আমি সম্মতি জানাবো।
রাসিফ ভাইয়ার সাথে অনেকের প্রেম ছিলো । আমি তো চেয়েছিলাম ওনাকে উচিত শিক্ষা দিতে।
ফারহান এক গাল হাসলো। এ গুলো সবি জানে ওহহ। তবে ওদের বিয়ের পরে সব জেনেছে।
ফারাবি ঠোঁট উল্টিয়ে কাঁদতে লাগলো। ফারহান বোকা হেসে বলল
_ একদম নয়। আমি জানি সব , তবে পাকামো টা করতে চাওয়া টা তোর উচিত হয় নি।
পনের বছর বয়স ছিলো তোর , রাসিফ এর সাথে পেরে উঠতি না।
রাসিফ তখন নতুন তারকা হলে ও ওর হাত অনেকের সাথে।
নোংরা মনের মানুষদের সাথে পেরে উঠার জন্য কারো সাহায্য লাগে।
আর তুই একটা পুঁচকে , সে নাকি একাই নেমে গিয়েছিলি শাস্তি দিতে।
ফারাবি ঝরা হাসলো। সে চেয়েছিলো রাসিফ কে শাস্তি দিতে।
” নিজের জন্মদিনের জন্য স্কুল থেকে দুটো দিনের ছুটি নিয়েছিলো ফারাবি। কথা ছিল জন্মদিনের পরের দিন সবাই ঘুরতে যাবে। কিন্তু ফারাবির বান্ধবী জুঁই জানায় রাসিফ স্কুলের একটা ফাংশন করতে আসবে কাল। ফারাবি এই সুর্বন সুযোগ হারাতে চায় নি। রাসিফ হলো ওর স্কুলের ট্রাস্টির ছেলে।
রাসিফ ফারাবি কে পছন্দ করে। ফারাবির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে ও ফারাবি কখনো সুযোগ দেয় নি।
রাসিফের গানের গলা ভালো হওয়াতে রাসিফ বিভিন্ন জায়গায় ফাংশন ও করে।
আর বিভিন্ন মেয়ের সাথে রিলেশন করে তাদের মন নিয়ে খেলে ছেড়ে দেয়।
এই রকম ই ঘটনা ঘটেছিলো ফারাবির বান্ধবী জুঁই এর বড় বোনের সাথে।
সেদিন ই ফারাবি ভেবে নিয়েছিলো রাসিফ কে শাস্তি দিবে।
রিলেশনের নাটক করে ধোঁকা দিবে , তখন বুঝবে মানুষের মন নিয়ে খেললে কতো টা কষ্ট হয়।
জুঁই এর বোন জিনিয়া রাসিফ কে খুব ভালোবাসতো। কিন্তু এতো বড় প্রতারণা করবে তা বুঝতে পারে নি ওহ।
ভালোবাসার আঘাত সইতে না পেরে সুইসাইড করতে গিয়েছিল।
তাই প্ল্যান করে রাসিফ কে ফাঁসাবে ওরা। যেহেতু রাসিফ ফারাবি কে সত্যি সত্যি পছন্দ করে তাই মূল কাজ টা ওকেই করতে হবে ।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে গ্রাউন পরে ব্রাইডাল মেকআপে বের হয় ফারাবি। স্কুলের ফাংশন বলেই এতো সাজ গোঁজ করে বের হতে হবে বিষয় টা ফারহানের একদম পছন্দ হয় নি।
তাছাড়া ফারাবি এমন ছোট ফাংশনে সাজ গোঁজ করে না।
তাই ফারাবির পেছনে পেছনে ফারহান ও চলে যায় স্কুলের ফাংশনে।
স্টেজ এ গান গাইছে রাসিফ। বার বার ফারাবির দিকে তাকাচ্ছে ওহহ। যা দেখে ফারাবির গা জ্বলে উঠে। তাচ্ছিল্য হেসে সব দেখতে থাকে।
জুঁই জড়োসড়ো হয়ে ফারাবির পাশে বসে আছে । ওর খুব ভয় হচ্ছে, ফারাবি হালকা হেসে বলল
_ আপুর জন্য আমাদের এই টুকু করতেই হবে জুঁই।
রাসিফ ভাইয়া কে খুব ভালোবাসে জিনিয়া আপু । আর তাছাড়া ওনি যেটা করছেন সেটা ও ঠিক না।
আমাদের প্ল্যান মতো ওনার সাথে আমরা একদিন ই কথা বলবো। তার পর ই ওনাকে বলবো ওনাকে পছন্দ নয় আমার।
জুঁই স্মিত হাসলো। কি হবে বুঝতে পারছে না ওহ। তবে এটা ভেবে ভালো লাগছে ওর বোনের জন্য ফারাবি এতো বড় রিক্স নিচ্ছে।
গান শেষ হলেই করতালি তে ভরে উঠে চারপাশ। রাসিফ প্রসন্ন হাসে ,ফারাবি জুঁই কে ইশারা করে আড়ালে চলে যেতে বলে।
জুঁই ভয়ার্ত চোখে তাকাতেই ফারাবি আশ্বস্ত করে। ফারাবি স্টেজের একটু সাইটে দাড়িয়ে পরলো।
রাসিফ চার দিকে ফারাবি কে খুঁজতে লাগলো। আশে পাশে না পেয়ে মুখ টা মলিন করে ফেলল।
হঠাৎ ই ফারাবি কে স্কুলের গেট দিয়ে যেতে দেখে রাসিফ।
একটা গোলাপ হাতে দৌড়ে যায় ওহহ। ফারাবির কাছে যেতেই ফারাবি চকচকে হাসলো। রাসিফ মোহনীয় হেসে মাথা চুলকিয়ে বলল
_ একটা কথা বলার ছিলো ফারাবি।
ফারাবি এক গাল হেসে বলল
_ কি বলবেন ভাইয়া ?
_ প্লিজ ফারাবি ডোন্ট কলড মি ভাইয়া। ভাইয়া ডাকলে কলিজায় আঘাত লাগে।
ফারাবি হো হো করে হেসে উঠলো। তা খানিক টা দূরে থেকে স্পষ্ট দেখতে পেল ফারহান।
ফারহানের চোখ দুটো সরু হয়ে কপালে ভাঁজ পরে গেল।
রাসিফ ফারহানের তিন ব্যাচ জুনিয়র ছেলে। ফারহান কে বেশ সম্মান করে ওহহ।
ফারহান একটা সিগারেট জ্বালিয়ে নিলো। ফারাবির দিকে তাকিয়ে সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া টানতে লাগলো।
আজ কাল মাঝে সাঝে সিগারেট খাচ্ছে ওহ। মূলত কলিজা পুরিয়ে দেওয়ার জন্য ই খাওয়া। ফারাবির প্রতি গভীর আসক্ত হচ্ছে। নিজেকে দমিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পরেছে।
ফারহান সিগারেট টা ফেলে দিলো। চোখ দুটো রক্ত লাল হয়ে গেছে। ফারাবির দিকে এক পা এক পা করে আগাতে লাগলো।
ফারহানের চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে। রাসিফ ফুল হাতে হাঁটু গেড়ে বসে আছে। আর ফারাবি হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে।
ফারাবি ফুল টা নিতে যাবে তার আগেই ফারহানের শক্ত পোক্ত হাতের থাপ্পর পরে ওর গালে।
আচমকা আক্রমণে ফারাবি মুখ থুবড়ে পরে মাটিতে।
রাসিফ নাক কুঁচকে দাঁড়িয়ে রইলো। ফারহান চিৎকার করে বলল
_ চলে যাহহ ,
ফারহানের ভয়ঙ্কর কন্ঠস্বরে কেঁপে উঠে রাসিফ। ফারহান সম্পর্কে খুব ভালো আইডিয়া আছে ওর।
তাই দৌড়ে পালিয়ে যায় রাসিফ। ফারাবির হাতে বেশ খানিক টা ছিলে গেছে। ফারহানের রক্ত মাথায় চড়ে গেছে।ফারাবি কে টেনে হেচরে তুললো ওহহ। ফারহান কে দেখেই ফারাবির গলা শুকিয়ে গেল।
ফারাবির মুখ থেকে একটা শব্দ ও বের হলো না। তরতর করে ঘামছে ফারাবি।
ফারাবি কে টেনে গাড়ি তে বসিয়ে দেয় ফারহান।
ফুল গতিতে গাড়ি চালাতে থাকে। তা দেখে ফারাবি আর ও বেশি ভয় পেয়ে যায়।
চোখ দিয়ে নোনা জলের ফোয়ারা নামতে থাকে। তাতে ফারহানের কোনো ধ্যান নেই।
একটা ছোট্ট ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে গাড়ি থামায় ফারহান।
ফারাবির হিচকি উঠে গেছে। ফারহানের চোখ থেকে যেন দাবানল ঝরে যাচ্ছে।
ফারহান এক ধমক দিয়ে বলল
_ এক ফোঁটা চোখের পানি ফেললে মেরে দিবো একদম।
ফারহানের ধমকে ফারাবির চিত্ত কেঁপে উঠে। ফারহান টেনে নামিয়ে নেয় ওকে। ডুপ্লেক্স বাড়ির ভেতরে নিয়ে একটা রুমে বন্দি করে দেয়।
ফারাবি ভয়ে কিছু বলতে পারছিলো না।ফারহান কে ছোট থেকেই ভয় পায় তারউপর এমন রাগ দেখে ফারাবির কন্ঠস্বর যেন আটকে যায়।
বাক শক্তি হারিয়ে ফেলে ওহহ।
ঘন্টা খানেক পর একটা কাগজ নিয়ে আসে ফারহান ফারাবির দিকে বাড়িয়ে রগরগা কন্ঠে বলল
_ সাইন করে দে।
ফারাবি বিনাবাক্যে না দেখেই সাইন করে দেয়। ফারহান ফোঁস করে দম ফেলে নিজেকে শান্ত করে।
মিনিট পাঁচেক পর পাঁচ জন লোক আসে। তাদের দেখে ফারাবি ভরকে যায়। গুটি শুটি মেরে বসে পরে।
যখন কাজী বলেন কবুল বলতে ফারাবি শিউরে উঠে। তার মাথার উপর দিয়ে সব যেতে থাকে।
ফারহান ধীর কন্ঠে বলল
_ কবুল বল।
ফারাবি চমকে তাকায় ফারহানের দিকে। ফারহান আবার বলল
_ কবুল বলতে বলেছি।
ফারাবির শরীরে রাগ রগরগ করে উঠে। কবুল কেন বলবে ওহ ?
কি হচ্ছে টা কি ওর সাথে ?
ফারহান রাগী কন্ঠে আবার বলল
_ কি বলছি কানে যাচ্ছে না তোর ?
ফারাবি চেচিয়ে উঠে। ফারহানের দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে চিৎকার করে বলল
_ কবুল কেন বলবো আমি ?
আমার সাথে কি হচ্ছে এসব ? আমার মাথা কাজ করছে না।
ফারহান ইশারা করে সবাই কে ডয়িংরুমে যেতে বললো।
সবাই চলে যেতেই রুমের দরজা লক করে দেয় ফারহান।
নিজে কে যথাসম্ভব ঠান্ডা করে শান্ত স্বরে বলল
_ কবুল বলতে বলেছি কবুল বলবি।
এতো কথা কেন বলিস তুই ?
_ আমি বলবো না কবুল। কার সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছেন আপনি?
ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ বিয়ে দিচ্ছি না অলরেডি বিয়ে হয়ে গেছে।
ফারাবি অবাক চোখে তাকায়। ফারহান রেজিস্ট্রি পেপার ফারাবির হাতে দিয়ে বলল
_ ভালো করে পড় একটু আগে তোর সাথে আমার রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।
ফারাবি অবাক চোখে তাকায়। একটু আগে যে পেপারে সাইন করেছে তা রেজিস্ট্রি পেপার ছিলো।
ফারহানের সাথে ওর রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।
ফারাবি চিৎকার করে উঠে। পেপার ছিঁড়ে ফেলে হুংকার দিয়ে বলল
_ আমি মানি না এই রেজিস্ট্রি। আপনি আমার সাথে
ফারাবি আর কিছু বলতে পারি নি তার আগেই সর্বশক্তি দিয়ে চর মেরে দেয় ফারহান।
ফারাবি ছিটকে পরে বেডের উপর।
ফারহানের চোখ থেকে অগ্নিশিখা ঝরছে। কপালের রগ ফুটে উঠেছে।
ফারাবির চোখ ফেটে পানি ঝরছে।
ফারাবি কে বেডে সাথে চেপে ধরে ফারহান। ফারাবি ভয় পেয়ে যায়। ফারহান নিজের রাগ সংবরন করে বলল
_ একটা কথা ও বলবি না তুই। তুই অলরেডি আমার বউ। তুই মানিস আর না মানিস তুই শুধু আমার।
ফারাবি চমকে উঠলো। নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু ফারহানের সাথে পেরে উঠলো না। ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ তুই যদি কবুল না বলিস তাহলে তোর সাথে খারাপ কিছু হয়ে যাবে।
আমি জোর করে কিছু করতে চাচ্ছি না। কিন্তু তুই যদি কবুল না বলিস তাহলে রেজিস্ট্রি পেপার অনুযায়ী আমি স্বামীর অধিকার নিতে পেতে বাধ্য হবো।
ফারাবি ভরকে যায়। ফারহান বাঁকা হাসে। ফারাবি কাঁপতে থাকে , কি হচ্ছে ওর সাথে। এক মুহুর্তে সব পাল্টে যায় । তিন কবুল উচ্চারন করে ফারহানের হাতে নিজের নামের দলিল তুলে দেয় ওহ।
এভাবেই বিয়ে টা হয়ে যায় ওদের।
ফারাবি কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেছে। রোবটের মতো এক দিকেই তাকিয়ে আছে। ফাস্ট এইডস বক্স এনে ফারাবির হাতে ড্রেসিং করে দেয় ফারহান।
ফারাবি কে আঘাতে করে ভালো নেই ওহ।
কষ্ট হচ্ছে খুব , তবে ফারাবি কে নিয়ে ইনসিকিউর ছিলো ওহ।
তাই বাধ্য হয়ে মেয়েটার উপর জোড় খাটায় ওহ।
ফারাবি রক্ত মাখা হাত টা দেখে ফারহানের বুকে চিন চিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল।
আচমকাই শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নেয় ফারাবি কে।
ফারাবি কেঁপে উঠে, ওর সব এলোমেলো হয়ে গেছে।
ফারহানের সাথে নিজের সম্পর্ক টা বুঝে উঠতে পারছে না ওহহ।
ফারহানের চোখের অশ্রু কনা ফারাবি দেখতে পেলো না।
ফারাবির গায়ে আঘাত করে সহস্র গুন কষ্ট পাচ্ছে ওহ।
মেয়েটা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে ফারহান নিজেকে সামলাতে পারে নি।
চোখের পানি আড়াল করে ফারাবি কে নিয়ে গাড়ি তে বসিয়ে দেয় ফারহান।
ফারাবি কে বাড়িতে পৌছে দেয়। ফারাবি এতো বড় শকড হয়েছে যে নিজেকে সবার থেকে আড়াল করে রাখে।
দশ দিন কারো সাথে একটা কথা ও বলে নি ওহহ।
পনের দিন পর ই ফারহান চলে যায় সিঙ্গাপুর। ফারাবি একা হয়ে যায় , বার বার মাথায় আসে ফারহান তাকে ফেলে চলে গেছে।
ভেতর থেকে আর্তনাদ চলে আসে। স্বামী নামক মানুষ টা তাকে ফেলে রেখে চলে গেছে।
জোড় করে বিয়ে কেন করলো তাহলে ?
সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। নিজেকে সামলে নিতে বছর পেরিয়ে যায়। আর তৈরি হয় চাঁপা অভিমান সাথে এক আকাশ সমান ভালোবাসা ”
দমকা হাওয়া বইছে, ঝড় হবে বোধহয় ফারাবি কে জড়িয়ে ধরলো ফারহান।
ফারাবি সরস হেসে বলল
_ ধন্যবাদ আপনাকে আমার সাথে জোড় করার জন্য।
আপনি যদি সেদিন জোড় করে বিয়ে না করতেন তাহলে আমি কখনোই আপনাকে পেতাম না।
ফারহান বুক ভরে শ্বাস নিলো। ব্যর্থ প্রেপিক নয় ওহ , পূর্ন হয়েছে ওহ।
ভালোবাসা দিয়ে জয় করেছে , শুরুটা অন্যায় ভাবে হলে ও জয় করে নিয়েছে ওর প্রেয়সী কে।
ফারহান অনুনয়ে স্বরে বলল
_ ফারাবি একটা কথা দিবি ?
ফারাবি প্রশ্নবোধক দৃষ্টি তে তাকালো। ফারহান আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল
_ কখনো একা ফেলে যাবি না তো ?
সবাই দূরে ঠেলে দিলে ও আমাকে নিঃস্ব করে দিবি না তো ?
ফারাবির চোখ ছলছল করে উঠলো। স্বপ্নে ও ভাববে না ওহ , ফারহানকে ছাড়া ওহহ বাঁচতে পারবে না।
এই মানুষটার আত্মার সঙ্গে মিশে গেছে ওহ।
ফারহানের চোখে এক ফোঁটা গরম অশ্রু কনা ফারাবির হাতে পরে।
ফারাবির বুক টা কেঁপে উঠে। ফারহানে পায়ের উপর পা রেখে গলা জড়িয়ে ধরে ফারাবি।
ফারহানের গালে চুমু খেয়ে নেয় ফারাবি।
তারপর কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলল
_ কখনো না । আমি কখনো ছাড়বো না আপনাকে।
আমি যদি আপনার বউ হই তাহলে আপনি ওহ আমার স্বামী।
আর মেয়েদের বিয়ের পর স্বামী আপন হয়ে যায়।
পবিত্র কোরআনের বানী উচ্চারন করে আপনার নামে নিজেকে রাঙিয়েছি।
কখনো আপনাকে ছাড়বে না ফারহান, কখনো না।
ফারহানের বুকে প্রশান্তি নেমে যায়। ফারাবির হাত শক্ত করে জড়িয়ে নেয়।
ওদের দুজন কে আলাদা করার আর শক্তি কারো নেই।
সৃষ্টিকর্তা ওদের পূর্ন করেছে।
** বেস্ট একটা স্টোরি পেয়েছি আমি। এক খাঁটি ভালোবাসার গল্প। কনসেপ্ট টা যাদের আমি তাদরে কাছে কৃতঙ্গ। এতো সুন্দর এক ভালোবাসার গল্প আমাকে শোনানোর জন্য।
আপনারা ও জানতে পারবেন সেই খাঁটি ভালোবাসার গল্প। আমি রিকোয়েস্ট করছি প্লিজ প্লিজ সেই খাঁটি ভালোবাসার গল্প টা পড়বেন।
একটা অমায়িক ভালোবাসার গল্প যার পরিনতি জানতে পারবেন গল্প তেই।
আমি কিছু দিনের মধ্যেই গল্পের নাম টা ঠিক করে ফেলবো ।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে