#সুখ_একটি_প্রজাপতি (২৬)
ঝিল বড্ড অশান্ত হয়ে পড়েছে। তার দুই ভাই গিয়েছে অভিনবর সাথে দেখা করতে। নিশ্চয়ই অভিনব ফেলে দেবার মতো পাত্র নয়। বরং অত্যন্ত সুপুরুষ। তবু একটা ভয় হচ্ছে। এই ভয়ে সে প্রায় কেঁদে ফেলল! দু হাতে আগলে নিল মৌনতা।
“কিচ্ছু হয় নি সোনা। ভাইয়ার মতো মানুষকে কেউ অপছন্দ করতে পারে?”
“তবু ভয় কেন হয় মৌন?”
নিরুত্তর রয় মৌনতা। সে নিজেও ভেতরে ভেতরে ভীত হয়ে আছে। এর কারণ অভিনবর বাহ্যিক সৌন্দর্য নয় বরং মানুষটার পরিবার। যদিও বা রোহন আহনাফ সবটা জেনেছে। তবু মত বদলে গেলে? যদি দেখা করতে গিয়ে শত্রুতার কথা স্মরণ হয়। বোনের স্নেহ যদি ভুলে যায়। সবটা কেমন গুলিয়ে আসছে। চিন্তায় ওর নিজের ই মাথা নষ্ট। মেয়েটি ধৈর্যহীন হয়ে পড়েছে।
“একটা কল করে দেখ।”
“যদি ভাইয়ারা থাকে।”
“উম। সেটাও কথা। তবু কল করে দেখতে পারিস।”
“হুম।”
কলটা অল্প সময়েই রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে অভিনবর ভারী মিষ্টি কণ্ঠ, “কেমন আছেন প্রজাপতি?”
“ভালো। আপনি, আপনি এখন কোথায়?”
“লাঞ্চ করছি। আপনার ভাইদের সাথে। তারা কেউই খেয়ে আসে নি। আপনার চিন্তায় খাওয়া দাওয়া ভুলে গিয়েছে।”
“ভাইয়ারা পাশে?”
“হুম। কথা বলবেন?”
ঝিলের চোখ বড় হয়ে এল। ছেলেটা ওর ভাইদের সামনে বসে প্রজাপতি বলে ডেকে যাচ্ছে! সাহস লজ্জা দুটোই কি লোকটার জন্য সহজ বিষয়। ঝিল তিক্ততার সাথে বলল, “মাথা নষ্ট হয়ে গেছে? ভাইয়াদের সামনে বসে প্রজাপতি বলে ডেকে যাচ্ছেন!”
শব্দ করে হাসল অভিনব। ঝিল যেন বোকা প্রাণী। মেয়েটির মুখশ্রী কেমন রক্তিম হয়ে এল। চিন্তায় মস্তিষ্কের অবস্থা খারাপ।
“আপনি বড্ড বোকা ঝিল।”
“কেন?”
“আপনার ভাইদের সামনে প্রজাপতি বলে ডাকব আমি? যদিও বা ডাকতে সমস্যা নেই। ওরা বয়সে আমার বেশ কিছুটা ছোট। কিন্তু সম্পর্কে বড় বনে গেছে। একটা সম্মানের বিষয় আছে না।”
“হুম।” অনেকটা অন্যমনস্ক হয়ে জবাব দিল ঝিল। ক্রমশ মেয়েটি হারিয়ে যাচ্ছে। ভাবণা গুলো কেমন আন্দোলন শুরু করেছে। কান্না পাচ্ছে খুব। ওর ভাইরা অভিনবকে পছন্দ করেছে তো?
ভাইয়েরা ফিরা অবধি একটুও শান্ত থাকতে পারল না ঝিল। একবার উঠছে তো একবার বসছে। এমন করতে করতে অনেক সময় পেরিয়ে গেল। পুনরায় অভিনবর ফোনে কল করল। সময় নিয়ে রিসিভ হয়েছে। কিছুটা ক্লান্তি অনুভব হয় কণ্ঠটাতে। ওর মন খারাপ হলো। মানুষটা অসুস্থতার মাঝেও কেমন ছুটে চলেছে।
“ভাইয়ারা চলে গেছে?”
“হুম। মাত্রই গিয়েছে।”
“ওরা কি বলেছে?”
“কি বলবে ঝিল?”
“কিছু বলে নি। আমাদের সাপোর্ট করল নাকি….”
“আপনি বড্ড চিন্তা করছেন প্রজাপতি। এমন করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।”
“আমি আসলেই শান্তি পাচ্ছি না।”
“শান্ত হোন।”
তারপর কিছু সময় নিস্তব্ধ হয়ে রইল মেয়েটি। অভিনবর শরীরটা বিশেষ ভালো লাগছে না। তবু মেয়েটির চিন্তিত মুখ কল্পনা করে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা ভুলে বসল।
“ওরা পজেটিভ রিয়্যাকশন দিয়েছে। আমি নিশ্চয়ই অপছন্দ করার মতো নয়?”
শেষ কথাটা বলে অভিনব কিছুটা হাসল। ঝিল যেন এবার নড়েচড়ে বসেছে। উত্তেজনা আরেকটু বেড়ে গেল। পুরো ঘটনা শোনার জন্য পেটের ভেতর গুড়গুড় করছে।
রোহন আর আহনাফের ধারণাটা ভুল ছিল। ঊনত্রিশ বছর বয়সী অভিনব চমৎকার ও অত্যন্ত সুপুরুষ মানুষ। বয়স কেবল সংখ্যা কথাটা যেন অভিনবর জন্যেই সৃজন হয়েছে। ছেলেটার বাহ্যিক রূপ মুগ্ধ করার মতো। তার থেকেও স্নিগ্ধ ছিল ব্যবহার। অসুস্থ অভিনব নিজের থেকে ছোট রোহন আর আহনাফের সাথে মোলায়েম ব্যবহারে সিক্ত ছিল পুরো সময়। ছেলেটাকে দেখে ওরা প্রায় অবাকই হয়েছিল। একটা সময় পর বুঝেছে ওদের মায়েরা নিজেদের মেয়ের জন্য সেরাটাই নির্বাচন করে দিয়ে গেছে। মনে মনে ওরা খুশি থাকলেও উপরিভাগটা অতোটা বিনয়ী ছিল না। এর কারণ অবশ্য দাম্ভিকতা নয়। ওরা চাইছিল আরেকটু সময় নিতে। অভিনব সম্পর্কে খোঁজ নিবে। তার পরই পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হবে। ঝিল অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে। ওর ভাইয়েরা যেন আজ অপেক্ষার সমুদ্রে ভাসাচ্ছে। ওর ছোট মন ছটফট করছে। পেছন পেছন ঘুরঘুর করছে মৌনতাও। মেয়েটির চিন্তিত পদক্ষেপ মনোযোগ দিয়ে গুণে নিচ্ছে। রোহন প্রবেশ করেই দৃশ্যটি দেখতে পেল।
“রাত তো অনেক হয়েছে। ঘুমাসনি কেন?”
ঝিল উত্তর দিতে পারল না। মৌনতার সাথে চোখাচোখি হতেই চোখ ঘুরিয়ে নিল রোহন। আহনাফ সবে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছে।
“কি ব্যপার বনু? এত রাত জাগা তো ঠিক নয়। দুটো বেজে গেছে!”
অশান্ত ঝিল শান্ত হতে পারছে না। ক্রমাগত হাত কচলাচ্ছে। আহনাফ ঝিলের মাথা হাত বুলিয়ে দেয়।
“চিন্তার কারণ নেই। আমরা আছি।”
মেয়েটার এত কান্না পেল যে চোখ থেকে পানিই পড়ল না। বুকের ভেতর কেবল শব্দ হচ্ছে। আহনাফ বোনকে নিয়ে চলে গেছে। ড্রয়িং রুমে এখন রোহন আর মৌনতা। একটা শীতল বাতাসে উড়ছে মেয়েটির খোলা চুল। উন্মুক্ত হয়ে আছে কাধের অংশটা। ভীষণ আকর্ষণে রোহনের মন চঞ্চল হয়ে উঠল। কখন মৌনতার কাছাকাছি চলে এসেছে খেয়াল নেই। মৌনতা নিজেও অনুভব করতে পারছে শরীরের মৃদু ঘ্রাণ। কিছু সময়েই রোহনের বলিষ্ঠ বুকের মাঝখানে চলে এল সে। দৃষ্টি সমতলে। হাত দুটো রোহনের শার্ট খামচে ধরেছে। একটা অভিমান ওর গলায় তিক্ততা দিচ্ছে।
“কেন আমায় ছেড়ে দিলে তুমি? কেন আমায় ফিরিয়ে দিলে সেদিন। আমি আজও তোমায় ঘৃণা করতে পারি না মৌন। আজও পারি না ঘৃণা করতে। অথচ আমি চাই তোমায় ঘৃণা করতে। খুব করে চাই।”
সময়ের স্রোত খুব বেশি ছিল কিনা কে জানে। তবে চোখের পলকেই কেটে গেল পরবর্তী একটা সপ্তাহ। অভিনব পুরো দমে সুস্থ হয়ে ফিরল শিকদার বাড়ি। ওর তিন মামা ইববান,লিটন, মুজাহিদ বসে আছেন গার্ডেনে। কাজে ব্যস্ত থাকলেও ভাগ্নেকে দেখে বেশ বিচলিত হয়ে পড়লেন।
“এত দিনে আসার সময় হলো? শরীর ভালো এখন?”
“জী মেঝো মামা। আমি ঠিক আছি। দানেশ এর বিষয়টা?”
ছেলের নাম শুনে বুকের ভেতর কেমন করে উঠে লিটনের। তিনি অব্যক্ত দৃষ্টিতে বড় ভাইয়ের পানে তাকান। ভদ্রলোক মুখ শক্ত করে রেখেছেন। দিন কয়েক পূর্বে দানেশ কল করেছিল। বলেছে সে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে। চৌকস ইববান শিকদার মুহূর্তেই বুঝে নিয়েছে সবটা। মির্জা বাড়ির ঘরের খবর তিনি রাখেন কিংবা রাখতে হয়। ভাতিজার প্রতি খুব চটে আছেন। সোজাসাপ্টা বলেছেন ঐ মেয়ে নিয়ে যেন এ বাড়ি না আসে। লিটন শিকদার ও ছেলেকে একইভাবে ধমকেছেন। কিন্তু বাবার মন কোথাও একটা নরম হয়েছে। ইববান শিকদার অভিনবকে নাস্তা করতে বলে চলে গেলেন। সকলেই ওনাকে ভুল বুঝে। কিন্তু তিনি তো সর্বদা ভালোই চেয়েছেন।
মাঝের দিন গুলো আরও দ্রুত পেরিয়ে গেল। এখন অভিনব আর ঝিলের প্রেম চলে রাতের আঁধারে। খুব রাতে ছাড়া ওরা কথা বলে না। দিনের বেশিরভাগ সময় ওরা ব্যস্ত থাকে। ঝিল পড়াশোনায় আর অভিনব চারপাশের কোলাহলে। আরফান বেপরোয়া ভাবে চলা ফেরা করছে এখন। ওকে দেখলে অভিনবর মায়া হয়। ছেলেটা খাঁটি জিনিসের মর্ম বুঝল না। মুনতাহা আজ এত গুলো মাস বাসায় নেই। দু পরিবারের দারুণ সম্পর্কটাও ভেঙে গেছে। মুনতাহার বাড়ির লোক বেশ রেগে আছেন। ইববান শিকদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুনতাহাকে কন্যা স্নেহে রাখবেন বলে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। মুনতাহার সাথে তিনি কথা বলেছেন। মেয়েটির সরল গলা। “ভালো আছি বাবা। আপনি নিজেকে দোষ দিবেন না।”
ইববান শিকদার সেদিন আর কথা বলতে পারেন নি। ওনার স্ত্রী সেদিন বেশ কান্নাকাটি করেছেন। মুনতাহাকে ওনি নিজের মেয়ের মতো দেখে এসেছেন। অথচ ওনার ছেলেটা মেয়েটাকে অবহেলা করল। তারপর থেকে আর যোগাযোগ হয় নি দু পরিবারের মধ্যে। আরফান নিজের মতো চলাফেরা করে। মাঝে মাঝে ইববান শিকদারের ইচ্ছে হয় ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে। কিন্তু বাস্তবে সেটা পারেন না। আজকাল ওনার মস্তিষ্কে চিন্তার পর চিন্তা। রাতের আঁধারে লাইব্রেরির ঘরে রকিং চেয়ারে বসে আছেন তিনি। অভিনব পানি নেওয়ার জন্য বের হয়েছিল। তখুনি মামাকে দেখতে পেল। ভদ্রলোকের বিষণ্ন মুখটা ওর ভীষণ মন খারাপ করায়। ধীরে ধীরে দরজার কাছটায় আসে।
“আসব মামা?”
“ইহান?”
“হুম।”
“আয়।”
নড়েচড়ে উঠলেন ইববান শিকদার। মলিন মুখটাত ইষৎ হাসি ফুটিয়ে বললেন, “এত রাত অবধি জেগে আছিস।”
“পানি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই উঠে এলাম।”
“ও। বোস পাশে।”
“মামা, একটা কথা বলব?”
“হুম বল।”
“তোমার মন খারাপ?”
“এমন কেন মনে হলো?”
“জানি না। আমার মনে হচ্ছে তুমি ভেঙে পড়েছ।”
ভদ্রলোক হাসলেন। গুমোট, রুক্ষ এক হাসি। অভিনবর হৃদয়টা ছটফট করছে।
“জানিস তো ইহান। টাকা পয়সার চিন্তা কখনোই করতে হয় নি আমাদের। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর হুট করেই চারপাশের মানুষ গুলো পর হতে লাগল। মির্জারা কখনোই আমাদের দুশমন ছিল না। বরং ভরসার হাত ছিল। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর ওরা কেমন বদলে গেল। ক্ষমতা আর সম্পত্তির দিকে হাত বাড়াল। এই সেই ঝামেলায় মেতে উঠল। কেমন যেন হয়ে গেল। আমি তখন সবে বিয়ে করেছি। লিটন আর মুজাহিদ পড়াশোনা করছে। কিছুদিনের মধ্যে মা ও মারা গেলেন। আমি দু চোখে অন্ধকার দেখি। টাকা পয়সার ঝামেলা আমার জীবন থেকে তিনটা বছর কেড়ে নেয়। আমি কাউকে বলি নি কথাটা। বাবার কাছের মানুষ গুলো প্রতারণা করেছিল। প্রত্যেকটা জমিতে ভেজাল ছিল। সেসব ঠিক করতে করতে কেমন পাথর বনে গেলাম। তোর মামি কে আজীবন আমি ধন্যবাদ দিব। সে বিয়ের প্রথম মাসের পর থেকে তিনটা বছর স্বামীর থেকে দূরে ছিল। তবু একটি বার অভিযোগ করে নি। তখন তো ফোন ছিল না। তোদের মতো প্রেমের আলাপ ও ছিল না আমাদের। কিন্তু সে সংসারটা সামলে নিয়েছে। আরেকটা সত্য জানিস তিন বছরে তোর মামির হাতে একটা টাকাও দিতে পারি নি আমি। কিন্তু সে অনায়াসে চারজনের সংসার সামাল দিয়ে গেছে। লিটন,মুজাহিদের পড়াশোনার খরচ ছিল অনেক। ওরা তো সবসময় রাজার মতো চলাফেরা করেছে। কেমন করে এসব চালিয়েছে এসব আমি জানি না। তোর মা তখন যুবতী। চারপাশের মানুষের নজর থেকে কেমন করে রক্ষা করেছে সেটাও আমি জানি না। তারপর তিন বছর পর আমি ফিরে আসি। ভীষণ ক্লান্ত আমার মুখের পানে তাকিয়ে তোর মামি কান্না করত শুধু। এসব আমার অগোচরে করলেও আমি বুঝতাম। আমাদের বিয়ের ছয় বছর পর আরফান হলো। তত দিনে লিটন ও বিয়ে করেছে। এর মধ্যেই ঘটে গেল আরেক বিপত্তি। আমার আদরের বোন ইহরিমা পালিয়ে গেল এক বিদেশী ছেলের সাথে। যন্ত্রণায় আমরা কাতরাচ্ছিলাম। সব থেকে কষ্টে ছিল তোর বড় মামি। মেয়ের মতো লালন করেছে কি না। এই সেই ঝামেলার মধ্যে শিকদাররা পুনরায় ক্ষেপে উঠল। তখন আমি একা নই। আমরা তিন ভাই ই তখন কর্মঠ। সামাল দিতে খুব কষ্ট হয় নি। ধীরে ধীরে তোর মায়ের সাথে যোগাযোগ হয়। তুই যখন এলি তখন রাহিন আর দানেশ তোর সমবয়সী। তিনজনের কি মিল। দেখে ভালো লাগল। তুই বিদেশীদের মতো দেখতে বিধায় আমার সন্তানেরা গর্ব করে চারপাশে বলে বেড়াত। আমরা সকলেই তোকে ভীষণ ভালোবাসি। যেমন ভাবে ইহরিমাকে বড় করেছি তার থেকে দ্বিগুণ ভালোবাসায় তোকে আগলে রেখেছিলাম। সবই ঠিক ছিল। হঠাৎ করেই তোর মায়ের মনে উদয় হলো মির্জাদের সাথে সম্পর্ক ঠিক করার কথা। কারণ ততদিনে মির্জাবাড়ির বউদের সাথে তোর মায়ের ভাব জমেছে। আমরা শুরুতে দ্বিমত করলেও মেনে নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মির্জারাই বদলে গেল। আমরা তো গিয়েছিলাম কিন্তু ওরাই ফিরিয়ে দিয়েছে। আত্মসম্মানের কথা বাদ ই দিলাম তবে বার বার আমার বাড়ির ছেলেরা কেন ওদের কাছে নত হয় বলতে পারিস?”
অদ্ভুতভাবে কেঁপে উঠল অভিনবর শরীর। ইবাবন শিকদার নিশ্চুপ হয়ে রইলেন। খানিক বাদে বললেন, “অনেক রাত হয়েছে ঘুমাও গিয়ে।”
অভিনব স্বীয় কক্ষ ফিরে ঘুমাতে পারল না। ওর চোখ দুটো ভীষণ জ্বালা করছে। সেই সময়ে ঝিলের কল এল। একটা অলৌকিক শক্তি ওকে কল রিসিভ করতে বাঁধা দিল।
চলবে….
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি
ছবি : ইন্টারনেট