#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_3
থম থমে মেজাজে বাগানে দাড়িয়ে আছে ফারাবি।
ওর সাথে যেই কথা বলতে আসছে তাকেই ধমকে দিচ্ছে।
অথচ ফারহানের সামনে টু শব্দ অব্দি করতে পারে নাহহ ওহহ।
পুরো বাগান টাকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেন স্বপ্নপুরি।
রঙিন আলোয় ঝলমল করছে সব টা।
চারিদিকে নানান মানুষের সমাগম।
যে যার মতো ব্যস্ত , কেউ বা জুস হাত কেউ বা সেলফি নিতে।
আজকাল সেলফি হলো যে কোনো occasion এর মূল কার্য।
কাজ কম সেলফি বেশি।
ফারাবি ধুম করে শ্বাস ফেলল।
যেন ভেতর থেকে চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হচ্ছে।
বাসার কেউ ই জানে নাহহ ফারহান যে দপুরেই এসে গেছে।
সবাই অপেক্ষা করছে ফারহানের জন্য।
ফারহান কে রিসিপ করার জন্য ফরহাদ চৌধুরী লোক পাঠিয়েছেন বেশ কিছুক্ষণ ।
একটু আগে রাফাজের সাথে ফারহানের কথা হয়েছে।
ফারহান রাস্তায় আছে , ফারাবির মাথায় আসছে নাহ ফারহানের এই রকম কান্ডের কারন।
সব কেমন গড়মিল পাকিয়ে যাচ্ছে।
বাসায় এসে ও ফারহান আবার এয়ারপোর্ট এ কেন গেল।
ফারাবির ছোট্ট মস্তিষ্কে এই শক্ত পোক্ত বিষয় টা ঢুকছে নাহ।
ফারাবি সমস্ত চিন্তা বাদ দিয়ে সবার মতো কাঙ্খিত ব্যক্তি টির জন্য ঝুঁকে রইলো।
তবে তফাত একটাই সবাই খুশি তে আর ফারাবি ফারহান কে গালি দিতে।
আধ ঘন্টায় কয়েক শ গালি দেওয়া শেষ।
হঠাৎ আতশবাজির শব্দে পরিবেশ গমগমা হতে লাগলো।
আতশবাজি শূন্যে উঠে গিয়ে ওয়েলকাম টু ডিয়ার ফারহান আকার ধারন করছে।
যার দরুন সবাই বুঝে গেল ফারহানের গাড়ি এসে পরেছে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে বুকে হাত গুঁজে চোখ বাকিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
সবাই চকচকে চোখে তাকালে ও ফারাবির চোখ থেকে আগুন ঝরছে।
যেন এই দাবানলে ফারহান কে ধ্বংস করে দিবে।
কিন্তু সে কি জানে এই চোখের ভয়ার্ত চাহনি তেই কবে জ্বলে পুরে ছাই হয়ে গেছে ফারহান।
ফারাবি কোনো কালেই বুঝতে পারে না ফারহান নামের হনুমান টার জন্য সবার এতো আদিখ্যেতা কেন ?
ব্লু কার থেকে ফরমাল লুকে বের হচ্ছে ফারহান।
পরনে ব্ল্যাক শুট যার একটা বোতাম ও লাগায় নি।
ভেতরে থাকা ডেমিনের টি শার্ট ভেদ করে মেদ হীন বডি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
তার কারনে আর ও বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে ফারহান কে।
ভ্রু টা বাকানো , ঠোঁটে রহস্যময় হাসি চোখের সানগ্লাস টা বুকে স্থান পেয়েছে।
স্লিকি চুল গুলো মৃদু বাতাসে দোল খেয়ে যাচ্ছে।
ফারহান যতো টা এগোচ্ছে ফারাবির বুক ধুকপুক ততো বেড়ে চলছে।
ফারহান কে ফুলের সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে।
ফুল গুলো ও বেহায়ার মতো ফারহানের গায়ে লেপ্টে যাচ্ছে।
যেন ওর গাঁয়ের সাথে লেগে থাকার জন্য ওদের সৃষ্টি ।
যার দরুন ফারাবি ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
ফারহানের দৃষ্টি সবার মাঝে হলে ও মনদৃষ্টি শুধু তার প্রেয়সীর দিকেই।
ফারাবি আনমনে ফারহান কে গালি দিচ্ছে।
ফারহান বাঁকা হেসে ফারাবির কাছে এসে নিজের চুলে হাত দিয়ে মিনমিনিয়ে বলল
_ বকলে ও সমস্যা নেই।
সবটাই আমার
ফারহান আর এক মুহূর্ত না দাড়িয়ে সবার সাথে ভেতরে চলে গেল।
ফারাবি থম মেরে গেল।
ফারহান কেন তার পেছনেই পরে আছে ?
এইসবের মানে কি ?
এগুলো করে কি প্রমান করতে চায় ওনি ভালোবাসেন।
এ কেমন ভালোবাসা যার প্রতি কোনো খেয়াল ই নেই।
ভালোবাসা দেখায় অথচ তিন বছরে কোনো খোঁজ ও নেয় নি।
ফারাবি তাচ্ছিল্য হাসলো।
সে আর ভয় পাবে না ফারহান কে।
যতোটা সম্ভব ইগনোর করে চলবে।
কোনো অধিকার নেই ওনার।
ফারাবি উপর দিকে তাকিয়ে চোখের পানি আটকে ধরলো।
কিছুক্ষণ গেটের কাছেই দাড়িয়ে থেকে ভেতরে চলে গেল।
*
জয়েন Fatema’s story discussion 👈
And follow Fatema tuz – ফাতেমা তুজ 👈
অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে।
ফারহান সবার সাথে দাড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে।
কিছু মেয়ে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ওকে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে সেখান থেকে চলে গেল।
যেতে যেতে একা একাই বির বির করতে লাগলো।
_ ভাব দেখলে আর বাঁচি নাহহ।
উফফ আসছেন কোন নবাবপূত্রুর রে। যত্তসব এই বজ্জাত হনুমান টাকে নিয়ে সবাই নাচা নাচি শুরু করে দিয়েছে।
ইচ্ছে তো করে বেটার ঘাড় টা ধরে
বাকি টুকু আর বলতে বলতে পারলো নাহহ।
তার আগেই ফারহান এসে ফারাবি কে হেচকা টান মেরে বাড়ির পেছনের দিকে নিয়ে গেল।
একটু দূরে কিছু মানুষ দাড়িয়ে থাকলে ও ফারাবি কিছু বলতে পারছে নাহহ।
কেউ ওদের এভাবে দেখলে ও বিপদ।
পুরো অনুষ্ঠানে ই কেলেঙ্কারি রটে যাবে।
ফারাবির ছোট্ট মস্তিষ্ক ভয়ে নেতিয়ে যাচ্ছে।
সামনে ও বাঘ পেছনে ও বাঘ কি করবে ওহহ।
ফারাবি এক হাত দিয়ে ফারহানের হাত ছাড়াতে ব্যস্ত।
কিন্তু বরাবরের মতোই ব্যর্থ সে।
ফারাবি কে টেনে বাসার একদম পেছনে নিয়ে এসেছে।
এখানে কোনো মানুষ নেই , একটু দূরে লাইট জ্বলে আছে।
যার দরুন সব কিছু স্পষ্ট।
ফারহান ফারাবি কে ছিটকে ফেলল।
ফারাবি নিজেকে সামলে নিয়ে ফারহানের দিকে দৃষ্টি দিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
ফারহানের চোখ দুটো রক্তবর্ন ধারন করেছে।
সাথে রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে যাচ্ছে।
ফারহানের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেল ফারাবি।
জড়োসড়ো হয়ে দাড়িয়ে রইলো।
ফারহান দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বলল
_ শরীরের ভাঁজ দেখানোর খুব শখ ?
ফারাবি থম মেরেই দাঁড়িয়ে রইলো।
ফারহান ফারাবির দু বাহু চেপে ধরে রগরগা কন্ঠে বলল
_ কথা আসছে না কেন ?
শরীর দেখানোর জন্য পার্টি টে এলাও করেছি তোকে ?
মসৃন তুলতুলে পেট দেখিয়ে কি প্রমান করতে চাইছিস ?
তুই খুব হট ?
ফারহানের প্রতি টা কথায় রাগ স্পষ্ট।
যেন ফারাবি কে এখনি মেরে দিবে।
ফারাবি ছলছলে নয়নে তাকিয়ে রইলো।
ফারহানের কোনো কথাই তার বোধগম্য হচ্ছে নাহহ।
ফারাবির চোখের কোন ঘেঁষে এক ফোঁটা পানি ফারহানের হাতে গিয়ে পরলো।
ফারহানের রাগ আর ও বেড়ে গেল।
ফারাবির দু বাহু আর ও শক্ত করে চেপে ধরে বলল
_ হাউ কুড ইউ ?
আমি বার বার বলি চোখ থেকে যেন এক ফোঁটা পানি না ঝরে।
তোর সাহস কি করে হয় ?
ফারাবি ভয় পেয়ে গেল , হাতে বেশ ব্যাথা পাচ্ছে এতো জোড়ে ধরেছে যে ডিজাইন করা হাতা টার ফাঁক দিয়ে ফারহানেয নখ দিয়ে খানিকটা ছিলে ও গেছে।
ফারাবি ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো।
ফারহানের কানে সে শব্দ যেতেই ফারাবি কে ছেড়ে খানিকটা দূরে চলে গেল।
মাথার চুল খামচে ধরে রাগ সংবরন করে ফারাবির কাছে আসলো।
ফারাবি ভয় পেয়ে খানিক টা পিছিয়ে গেল।
ফারহান অসহায় মুখ করে বলল
_আম সরি।
আমি Hurt করতে চাই নি তোকে।
তুই কেন বুঝিস নাহহ, আমার রাগ হয় যেটা সেটাই কেন করিস ?
ফারাবি ডুকরে কেঁদে উঠলো।
ও কি করেছে তার এক চুল ও বুঝতে পারছে নাহহ।
ফারহানের ইচ্ছে হচ্ছে নিজের গালে নিজেই চর বসিয়ে দিতে।
এর জন্যই তিন টে বছর দূরে ছিলো।
ফারহান শান্ত দৃষ্টি নিয়ে ফারাবির দিকে এগিয়ে গেল।
ফারাবি ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
ফারাবি যখন এভাবে কাঁদে তখন তার ঠোঁট গোল আঁকার ধারন করে।
ফারহান আগাতেই ফারাবি পিছিয়ে গেল।
ফারহান দু হাত দিয়ে আশ্বস্ত করে বলল
_ কাম ডাউন। আমি আর কষ্ট দিবো নাহহ।
ফারাবি তবু ও কেঁদে যাচ্ছে।
ফারহান ফারাবি কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো নখের আঁচড়ের কারনে রক্ত বের হচ্ছে।
ফারাবির হাত ধরে
পেছনের গেট দিয়ে বাসার ভেতরে নিয়ে আসলো ফারহান।
নিজের রুমে এনে দরজা লক করে দিলো।
যার কারনে ফারাবি বেশ ভয় পেয়ে গেল।
আজকাল ফারহান কে এক বিন্দু ও বিশ্বাস হচ্ছে নাহ ফারাবির। কখন কি করে বসে, নিজের রাগ দেখাতে গিয়ে তিন বছর আগে ভাবতেই ফারহানের ধমক পরলো।
ফারাবি ভয় পেয়ে চুপ হয়ে দাড়িয়ে রইলো ।
ফারহান চোখ দিয়ে ইশারা করতেই ভদ্র মেয়ের মতো বেডের উপর বসে পরলো।
এখনো একি ভাবে কেঁদে যাচ্ছে ফারাবি।
একটা সেভলন আর তুলোর বল এনে ফারাবির কাছে হাঁটু গেড়ে বসে পরলো ফারহান ।
ফারাবি নাক ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ করে নিলো।
ফারহান আলতো হাতে ফারাবির হাত ,তুলোর বলে সেভলন লাগিয়ে পরিষ্কার করতে লাগলো।
কাঁটা জায়গায় সেভলনের ঝাঁঝ লাগতেই ফারাবি উঁহু করে উঠলো।
ফারহান আস্তে করে ফু দিয়ে মলম লাগিয়ে দিলো।
ফারাবি চোখ মুছে উঠে চলে যেতে নিলেই ফারহান হাত আটকে ধরলো।
ফারাবি চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইলো।
ফারহান আলতো হেসে ফারাবির দু গালে হাত রেখে অনুযোগের স্বরে বলল
_ আম সরি।
ফারাবি মাথা ঝাঁকিয়ে চলে যেতে নিলো।
কিন্তু ফারহান হেচকা টান মেরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।
ফারাবি শুকনো ঢোক গিলতেই ফারহান বাঁকা হাসলো।
যার কারনে ফারাবির ভয় আর ও বেড়ে গেল।
ফারাবির কোমর এক হাতে জড়িয়ে আলতো করে লেহেঙ্গার ঘেরা টা উপরে উঠিয়ে দিলো ফারহান।
ফারাবি বুঝতে পারলো ফারহান কেন এতো রাগ করেছিলো।
এখন ফারাবির বেশ লজ্জা লাগছে।
ফারহানের হাতের ছোঁয়া লাগতেই ফারাবি শিউরে উঠলো।
না চাইতে তো ফারাবির দু হাত ফারহান কে খামচে ধরলো।
ফারহান মুচকি হেসে ফারাবি কে খানিক টা উচু করে ধরলো।
দুজনের মাঝে কোনো দুরুত্ব ই নেই।
ফারহান ফারাবির নাকে নাক ঘষতে ঘষতে বলল
_ আই মিস ইউ জান।
ফারাবি চমকে তাকালো। নিজেকে ফারহানের এতো কাছে ভাবতেই লজ্জায় লাল হতে লাগলো।
ফারহানের উষ্ণ ঠোট ফারাবির চোখে ছুঁইয়ে দিতেই ফারাবি চোখ বন্ধ করে নিলো।
প্রতি টা হার্ট বিট দ্বিগুন উত্তেজনা নিয়ে চলছে।
ফারহান আবার ও ফারাবির ব্লাউজ এর জিপ খুলে দিলো।
ফারাবি চমকে তাকালো, ফারহান রাগি কন্ঠে বলল
_ পিঠের অর্ধেক অংশ তো দেখাই যাচ্ছে তাই পুরো টাই খুলে দিলাম।
ফারাবির ভীষন লজ্জা লাগছে।
এখন তার রাগ করার কথা থাকলে ও সে লজ্জায় নুইয়ে পরছে।
ফারহান জিপ লাগিয়ে দিয়ে ফারাবির খোঁপা খুলে দিলো।
সঙ্গে সঙ্গে ফারাবির ঘন চুল গুলো পুরো পিঠ জুড়ে পরলো।
ফারহান শক্ত গলায় বলল
_ চুল যেন খোলাই থাকে।
আর ডিনার কমপ্লিট করে সোজা রুমে চলে আসবি।
ফারাবি অনিচ্ছা থাকা সত্তে ও মাথা ঝাঁকালো।
ফারহান শান্ত কন্ঠে বলল
_ এবার যাহহ।
ফারাবি দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে লাগল।
কিন্তু ফারহান শক্ত গলায় বলল
_ আর একটা কথা।
ফারাবি থেমে যেতেই ফারহান ফারাবির কাছে এসে ধীর কন্ঠে ফিসফিস করে বলল
_ এই যে হাতের আঁচড় টা এটা আড়াল করে রাখিস।
না হলে পরে আমাকেই এসে বলবি আপনার চরিত্রের দোষ আছে।
এই আঁচড় অনেক কিছু বুঝায়।
আর যখন তখন লজ্জায় পরতে পারিস। বড় দের সামনে পরলে তো যাহ হবার তা হয়েই যাবে।
ফারাবি প্রথমে না বুঝলে ও পরে কথা টা বুঝতে পারলো।
ফারাবির চোখ জোড়া রসগোল্লার আকাড় ধারন করলো। ফারহানের মুখে কোনো কথা আটকায় নাহ।
ফারাবি আর এক মুহুর্ত ও দেরি না করে দ্রুত দরজা খুলে বের হয়ে গেল।
ফারাবি চলে যেতেই ফারহান বিগলিত হাসতে হাসতে বেডের উপর বসে পরলো।
মেয়েটা নিজেকে শক্ত করতে চাইলে ও পারছে না ফারহানের সামনে।
বার বার লজ্জায় আর ভয়ে নুইয়ে যাচ্ছে।
ফারহান দু হাত মেলে দিয়ে বলল
_ আই মিস ইউ জান , মিস ইউ ।
বুকের ভেতর টা কেমন যেন করে।
তোকে আগলে না রাখলে বিষাক্ত মানুষ গুলো যে তোর দিকে শক্ত নজর ফেলবে।
আর ফারহান তার জানের দিকে নজর দেওয়া পছন্দ করে নাহহ।
আর তার জন্য ই তো তোকে নিজের বুকে আগলে রাখতে চাই।
তুই শুধু আমার , খুব তাড়াতাড়ি সেটা সবাই কে জানানোর ব্যবস্থা করছি আমি।
বলতে বলতেই ফারহান রহস্যময় হাসলো।
বেশ কাঠ খড় পোড়াতে হবে, তবু ও প্রেয়সী যেন তার ই থাকে।
অবশ্য চাইলে ফারাবি কে ওর থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে নাহহ।
ফারাবি শুধুই ফারহানের।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
হ্যাপি রিডিং
চলবে